তেঁতুল খেলে কি প্রেসার কমে ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

অনেকে জানতে চায় যে তেঁতুল খেলে কি প্রেসার কমে? তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন, তেতুল খাওয়ার কারণে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে কিনা এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অধিকাংশ মহিলাদের ধারণা যে টক জাতীয় খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, বিশেষ করে তেঁতুল খেলে কিন্তু এটা একদমই ভুল ধারণা। তাই তেঁতুল খেলে কি প্রেসার কমে? এ সম্পর্কে জানতে পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃতেঁতুল খেলে কি প্রেসার কমে ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা

তেতুল মহিলাদের কাছে খুবই জনপ্রিয়, তাছাড়া তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। এই ফলটি টক মিষ্টি হয়ে থাকে। তাছাড়া এর গুণ রয়েছে, নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ত্বক উজ্জ্বল এবং এক্সফোলিয়েট করেঃ তেঁতুল যুগ যুগ থেকেই ব্যবহার হচ্ছে, ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে তেতুলের মধ্যে আলফা হাইড্রোক্সি এসিড থাকে। যা ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে পারে। তেতুলের মধ্যে এই উপাদানটি থাকে।

এছাড়াও আরো সাইট্রিক এসিড, ম্যালিক এসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড, টারটারিক অ্যাসিড থাকায় এক্সফোলিয়েট করতে পারে এবং দাগ মুক্ত উজ্জ্বল চেহারা নিয়ে আসে। এজন্য তেতুলের রস ব্যবহার করতে পারেন।

তাছাড়া ত্বককে হাইড্রেট করতে পারে, এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ এনটিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে অকাল বার্ধক্য রোধ করতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন সি থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ তেতুলের মধ্যে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যার কারণে এটা ওজন কমাতে সাহায্য করে, বেশি ওজন হওয়ার কারণে হৃদরোগ, কিডনি, লিভারের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। 

এজন্য তেতুল যদি খান সেক্ষেত্রে ভালো কোলেস্টেরল গুলো বাড়িয়ে দেবে এবং খারাপ কোলেস্টেরল গুলো কমে যাবে। তাছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে তেতুল খেলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বিগুলো কমে যায়।

হজম সমস্যা দূর করেঃ আপনি যদি নিয়মিত তেতুল খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে হজম শক্তি বাড়িয়ে দেবে। কারণ এর মাঝে ফাইবার থাকে আর এটা অন্ত্রের গতিবিধি ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই তেঁতুল কোষ্ঠকাঠিন্যের ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ ম্যালিক এসিড, টারটারিক অ্যাসিড থাকার কারণে ডায়রিয়াজনিত সমস্যা দূর করে।

লিভারের সমস্যা দূর করেঃ গবেষণায় দেখা গেছে তেতুলের রস যদি খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে লিভারের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে দেয়। তাছাড়া এটা লিভারের ফ্রি রেডিক্যাল ক্ষতি করার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে পারে।
তেতুল একটি খনিজ সমৃদ্ধ ফল যা শরীরের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এর মধ্যে ভিটামিন ই থাকার কারণে সেলিনিয়াম লিভারের লিপিড সামগ্রিক গুলো ফ্রি রেডিকেল এর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

হার্ট ভালো রাখেঃ তেঁতুল খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে, এর মধ্যে উচ্চ ফাইবার আছে। যার কারণে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে পারে। যার কারণে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃ তেতুলের মধ্যে যে পোস্টটি উপাদান গুলো থাকে তা শরীরকে কার্বোহাইড্রেট শোষণ করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তেতুল বেশ ভালো উপকার করে থাকে। এছাড়াও রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। তেতুলের মধ্যে এন্টিনফ্লামেটরি থাকার কারণে এটা অগ্ন্যাশয় কে ব্যথা মুক্ত করতে পারে।

চোখ ভালো রাখেঃ তেঁতুলের মধ্যে যে উপাদান আছে তা চোখের ড্রপ তৈরি করতে সাহায্য করে। এটা কনজেনটিভ ভাইটিসের চিকিৎসার জন্য কাজ করে। প্রাচীনকাল থেকে চোখ সম্পর্কিত সমস্যা গুলোর জন্য তেঁতুল ব্যবহার করা হয়।

চুলের যত্নে তেতুলঃ চুলের যত্নে তেতুল ভালো কাজ করে থাকে, মাথার ত্বকের জন্য আপনাকে তেতুলের রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে ফলিকল বৃদ্ধি করতে পারে, চুলকে শক্তিশালী করতে পারে। মাথার ত্বক মজবুত করতে পারে, এছাড়াও এর মধ্যে ভিটামিন সি থাকার কারণে ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারবে। চুলকে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ তেতুলের রস যদি আপনি নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন। এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি বাড়িয়ে দেবে। এছাড়াও সর্দি কাশি এই ধরনের সমস্যা দূর করতে পারে।

প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকার কারণে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া তেতুল একটি অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক জীবাণু গুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করেঃ তেতুলের মধ্যে সক্সলেট মিথেনলীক এক্সট্র্যাক্ট থাকার কারণে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাছাড়া এর মধ্যে এন্টি এক্সিডেন্ট থাকার কারণেও ক্যান্সারের কোষগুলোকে দূর করতে পারে।

তেঁতুল খেলে কি ক্ষতি হয়

ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি যে তেঁতুল খেলে কি প্রেসার কমে? এখন আমরা জানবো তেতুল খেলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

অতিরিক্ত তেঁতুল খেলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে, এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা বেশি তারা অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়া যাবে না। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীরে ফুসকুড়ি চুলকানি, বমি বমি ভাব শ্বাস নিতে অসুবিধা সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।

বেশি পরিমাণ তেতুল যদি খেয়ে থাকেন তাহলে শরীরে রক্ত বৃদ্ধি হতে পারে। যাতে আপনার ক্ষতি হতে পারে কারণ অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না।
তেতুল গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসতে পারেন, এজন্য এটা খাওয়ার দিকে সতর্ক রাখতে হবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।

অতিরিক্ত তেতুল খেলে ওজন কমতে পারে, এজন্য বেশি খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।

তেতুলের মধ্যে টারটারিক অ্যাসিড থাকার কারণে দাঁত নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়া যাবে না।

তেঁতুল খেলে কি প্রেসার কমে

অনেকেই প্রশ্ন করে যে তেঁতুল খেলে কি প্রেসার কমে? চলুন, জেনে নেওয়া যাক, তেতুল খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে কিনা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হোক।
ছবি
অনেকে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তেঁতুলের রস বা লেবুর রস খেয়ে থাকে। যা একটি অবৈজ্ঞানিক ধারণা যে এটা খেলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তেতুলের পানি বা লেবুর রস পান করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এরকম কোন যৌক্তিকতা নেই লেবুর রস খেলে রক্তের চর্বি কেটে যাবে। এরকম কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।

বরং তেতুলের পানি বা লেবুর রস যদি একটু বেশি খেয়ে ফেলেন, এতে আপনার বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। গলা জ্বালাপোড়া করতে পারে এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। যার কারণে রোগী আরো ঘাবড়ে গিয়ে ধারণা করতে পারে যে হার্টের সমস্যা হয়েছে। এজন্য উচ্চ রক্তচাপ আছে এসব কথা কান না দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মতে আপনাকে চলতে হবে।
আবার অনেকেই বলে থাকে শিরায় দু এক ব্যাগ স্যালাইন দিয়ে থাকে এতে নাকি সুস্থ হবে। এ ধারণাটি ভুল, বিভিন্ন ধরনের স্যালাইন বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার। তাই বিনা কারণে স্যালাইন দেওয়া যাবে না। এটা আরো ক্ষতি হতে পারে। আবার উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস রোগীরা আরও রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। 

এমনকি না বুঝেও কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে যদি স্যালাইন দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে মৃত্যুহার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই কারণ ব্যতীত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিরায় স্যালাইন দেওয়া যাবে না এবং প্রচুর রক্তচাপ হলেই তেতুলের রস খাওয়া যাবে না।

ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম

এতক্ষণে আমরা জেনেছি, তেঁতুল খেলে কি প্রেসার কমে? এ সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কিভাবে তেঁতুল খেলে ওজন কমতে পারে। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

অনেকেই ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে বা বিভিন্ন উপায়ে বের করে। তার মধ্যে ওজন বৃদ্ধি হলে মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। এজন্য যারা ওজন কমাতে চান তারা তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে, তাহলেই আপনার ওজন কমতে পারে।

ওজন কমানোর জন্য তেঁতুল খেলে আপনার অনেকটা উপকার হতে পারে। এতে হাইড্রোক্সিটিক অ্যাসিড থাকার কারণে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, এজন্য আপনি যদি ওজন কমাতে চান, সে ক্ষেত্রে তেতুলের শরবত নিয়মিতভাবে খেতে পারেন।

তাহলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ হবে, তবে শুধু তেতুল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ হবে তা কিন্তু নয় এর জন্য আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

তবে তেতুল খাওয়ার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে যেভাবে খেলে আপনার ওজন কমতে পারে তা হল;

পানির সাথেঃ তেতুলের শরবত পানি দিয়ে তৈরি করে, যদি আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন এক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে।

খাবারের সাথেঃ ভাত বা রুটির সাথে তেতুলের চাটনি খেতে পারেন, এতে আপনার দীর্ঘক্ষন পেট ভরা থাকবে। যার কারণে অতিরিক্ত খাবার খেতে মন চাইবে না, এতে আপনার ওজন কমবে।

নাস্তার সাথেঃ তেতুল শুকনো করে খেতে পারেন, এতে আপনার শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ রাখবে।

ওজন কমানোর জন্য তেঁতুল শুধুমাত্র তেঁতুল খাবেন, এতে ওজন নাও কমতে পারে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে হবে যেমন শাকসবজি ফলমূল আর চর্বিবিহীন প্রোটিন খাদ্য। এছাড়াও পাশাপাশি প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে এবং রাত্রিতে নিয়মিত ঘুম দিতে হবে।

তেতুল ওজন কমাতে সাহায্য করে তবে এটি একমাত্র সমাধান হতে পারে না। এর জন্য আপনার জীবনধারা পরিবর্তন করতে হবে। তাই এই তথ্যগুলো যদি আপনি নিয়মিতভাবে পালন করতে পারেন। 

তাহলে আপনার ওজন কমতে থাকবে, আপনার খাদ্য অভ্যাস যদি নিয়ন্ত্রণ করেন, তাহলে আপনার ওজন কমতে সাহায্য করবে। আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে জীবন যাপন করবেন।

গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে

গর্ভাবস্থায় সাধারণত নারীরা তেতুল খেতে পছন্দ করে, তাই অনেকে জানতে চায় যে গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে? চলুন, গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি উপকার অথবা ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • গর্ভাবস্থায় পরিমাণ মতো যদি তেতুল খান, সে ক্ষেত্রে তেমন কোন ক্ষতি হবে না। তবে যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন, এতে আপনার পেটে গ্যাস হতে পারে, হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • প্রতিদিন ১০ গ্রামের বেশি তেতুল খাওয়া যাবে না, এতে আপনার গ্যাস্টিকের এসিডিটির সমস্যা বেড়ে যাবে।
  • সকালে খালি পেটে তেতুল খাওয়া যাবে না, এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
  • এমন একটি সময় তেতুল খাওয়ার জন্য সঠিক সময় হল খাবার গ্রহণ করার আধাঘন্টা পরে খেতে হবে।
  • তেতুল খাওয়ার সময় কাঁচা লবণ ও মরিচ মিক্সড করে খাওয়া যাবে না।
  • কাঁচা তেতুল খাওয়া যাবে না, পাকা হালকা বাদামি রঙ এর তেতুল আপনি খেতে পারেন।
  • তেতুল খাওয়ার আগে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে, কারণ এর ভিতরে পোকা থাকতে পারে এতে আপনার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ফ্রেশ তেতুল কিনে একদম টাটকা খাবেন।
  • পুরনো তেলে বানানো বাহিরের বিভিন্ন ধরনের তেতুলের আচার পাওয়া যায়, এগুলো কখনোই খাবেন না। এতে আপনার গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
  • যাদের ব্লাড প্রেসারের কম থাকে তারা তেতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • গর্ভাবস্থায় আপনার যদি অস্পেরিন জাতীয় ওষুধ খেতে হয়, সে ক্ষেত্রে তেতুল না খাওয়াই ভালো এবং গর্ব অবস্থায় কেউ যদি আয়রন ক্যালসিয়াম ভিটামিন জাতীয় ওষুধ খেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে যখন ওষুধ খাবেন ওই বেলায় দুই ঘন্টা আগে বা পরে তেতুল খাওয়া যাবে না।
অনেকে দেখা যায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া লাগতে পারে, এজন্য যে কয়েকদিন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাবেন। সে কয়েকদিন ভিটামিন সি জাতীয় ফল ও তেতুল খাওয়া যাবে না। এতে ক্ষতি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় তেতুল খাওয়া বেশি একটা ক্ষতি হবে তা কিন্তু নয় তবে উপরোক্ত এই বিষয়গুলো সতর্ক থাকতে হবে।

আবার এতে খুবই উপকার হবে তাও কিন্তু না। এটা একটি টক জাতীয় খাবার হওয়ার কারণে মহিলাদের সবচাইতে ভালো লাগে। তাই গর্ভাবস্থায় মায়ের শারীরিক অবস্থা উপর ভিত্তি করে প্রয়োজন। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে তেঁতুল খেতে পারেন এবং নিয়ম করে সময়মতো খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মা সুস্থ এবং ভালো থাকবে।

তেঁতুল বীজের উপকারিতা

তেঁতুল খেলে যেমন উপকার পাওয়া যায় ঠিক তেমনি তেঁতুল বীজের উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সাধারণত তেতুলের কথা শুনলেই তেতুলের বীজের কথা মনে পড়ে। এক্ষেত্রে তেতুলের বীজ ফেলে দেওয়া ঠিক নয়। এতে কিছু গোপন উপকারিতা আছে যা আপনার শরীরের জন্য উপকার হতে পারে।
ছবি
বাংলাদেশ মূলত পাটকল ও কাপড়ের মিলে সুতা রং করার জন্য তেতুলের বীজ ব্যবহার করা লাগে। সুতার রং টেকসই করার জন্য অনেকদিন আগে থেকেই এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

মশার কয়েল তৈরি করার জন্য কাঁচামাল হিসাবে তেতুলের বীজ ব্যবহার করা লাগে।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইউনানী আয়ুর্বেদিক হোমিও ও এলোপ্যাথিক ঔষধ তৈরীর ক্ষেত্রে তেতুলের বীজ ব্যবহার করে। এই ধরনের কাঁচামাল ছাড়াও ঔষধি গুণের জন্য অনেক উপকার করে থাকে এই তেতুলের বীজ।

চোখের চিকিৎসার জন্য যে ড্রপ তৈরি করা হয় সে ক্ষেত্রে তেতুলের বীজ ব্যবহার প্রয়োজন হয়।

তাছাড়া পাকস্থলীর গোলযোগ লিভার বিভিন্ন ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য এই বীজ ব্যবহার করা হয়। গর্ভকালীন বমি বমি ভাব মাথা ঘুরানো এই সমস্যা দূর করতে তেতুলের বীজ এর শরবত খাওয়া যেতে পারে।

তেতুলের বীজ গরম পানিতে ফুটানোর পর আঠা তৈরি করা হয়ে থাকে, যা দিয়ে ছবি আঁকার কাজে প্রয়োজন হয়।

তেতুলের বীজে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে মস্তিষ্কে দ্রুত শক্তিশালী করতে পারে।

লেখকের শেষ কথা,

অবশেষে বলা যায় যে তেতুল একটি সুস্বাদু ফল যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। তবে তেঁতুল খেলে কি প্রেসার কমে? এ সম্পর্কে পোস্টটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পোস্টটি থেকে উপকার পাবেন। পোস্টটি পড়ে যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪