ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

যাদের ওজন বেশি তারা ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তাই ওজন কমানোর জন্য তিসি খেতে পারেন। চলুন, কিভাবে তিসি খেলে ওজন কমবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
নিয়মিত তিসি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন তাহলে শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি হতে পারে। এজন্য নিয়মতান্ত্রিক ভাবে খেতে হবে। তাই ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃওজন কমাতে তিসি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম

আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী পরিমাণ মতো খাবেন। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো;

তিসিকে বলা হয় সুপারফুড। পুষ্টিবিদদের মতে, তিসির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি রয়েছে। এর মধ্যে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ফাইবার। এই তিসি বীজ হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে কাজ করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সার এর ক্ষেত্রে ভালো উপকার করে থাকে। তাছাড়া সবচেয়ে বিশেষ কাজ করে থাকে ওজন কমাতে পারে। এর মধ্যে আমাইনো এসিড, থায়ামিন, তামা ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস লিগান্যান ইত্যাদি রয়েছে।

তিসি যেভাবে ওজন কমায়, তিসি বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন আছে ১০০ গ্রাম পিসিতে ১৮ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। যা শরীরের কোষ মেরামত ও পেশি গঠন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা ওজন কমাতে সবচেয়ে ভালো ভূমিকা পালন করে থাকে।
আর তিসি বীজ খাওয়ার কারণে ক্ষুধা কম লাগে, এজন্য অস্বাস্থ্যকর খাবার তেমন একটা খাওয়া হয় না। কারণ খাবারের আগে এক চামচ তিসি গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে যদি খেতে পারেন। তাহলে দ্রুত ওজন কমতে থাকবে, এটা পেট ভরা থাকার কারণ অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা থাকে না।

যেভাবে আপনি খেতে পারেন; প্রথমে একটি পাত্র নিবেন তার মধ্যে এক গ্লাস পানিতে তিসি গুঁড়া গুলো মিশিয়ে নিবেন। এরপর চুলায় পানিটুকু ফুটিয়ে নিতে হবে, এরপর লেবুর রস ও গুড় মিক্সড করে খেতে পারেন। চাইলে গুড় ছাড়াও আপনি খেতে পারেন, প্রতিদিন এভাবে যদি খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন কমতে থাকবে।

তিসি খাওয়ার সঠিক উপায়ঃ বর্তমানে দুই ধরনের তিসি দেখা যায় একটি হলো হলুদ আরেকটি বাদামী। এই দুই ধরনের তিসির মধ্যেই প্রচুর পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনেক উপকার করে থাকে। আপনি তিসি বীজ বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন।

এবং বিভিন্ন খাবারের সাথে মিক্স করে খেতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো কাজ করে থাকে, গুড়ো করে পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

তিসি খাওয়ার উপকারিতা

এতক্ষণে আমরা জেনেছি ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে, এখন জানবো তিসি খেলে কি উপকার হয়। তা নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা এই ফাইবারযুক্ত তিসি নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন। এতে ফাইবার থাকার কারণে পেটের সমস্যাগুলো দূর করে। বিশেষ করে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে নিয়মিত ভাবে পানিতে ভিজিয়ে যদি খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ ডায়াবেটিস যারা আক্রান্তিত হয়েছেন তাদের অন্ত্রের সচলতা করতে খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে হজমের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে থাকে, এর কারণে রক্তের শর্করা বৃদ্ধি পেতে পারে। এই জন্য যদি আপনি তিসি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

কোলেস্টেরল ব্যালেন্স করবেঃ কোলেস্টরেল আমাদের শরীরের প্রয়োজন আছে কিন্তু তা পরিমান মত থাকতে হবে। যদি কম বেশি হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে, তিসি খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল গুলো এলডিএল কমাতে পারবে এবং ভালো কোলেস্টেরল গুলো এইচডিএল বাড়াতে পারবে।

তিসি আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল এর ব্যালেন্স ঠিক রাখবে। এজন্য যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে। যাদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তারা এই তিসি খেতে পারেন, অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

হৃদপিণ্ড ভালো রাখেঃ তিসির মধ্যে অ্যামানো এসিড থাকে, গ্লুটামাইন এই জন্য হৃদপিণ্ড ভালো থাকে। তিসি বীজ রক্তচাপ কমাতে পারে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে। ধমনীতে কোন বস্তু জমা থাকলে সেটা রোধ করতে পারবে, এর কারণে এই বীজ পরোক্ষভাবে স্ট্রোক ও হৃদরোগের জন্য প্রতিরোধ করতে পারবে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ তিসি বীজের মধ্যে লিগন্যান থাকার কারণে এটা কোলন প্রোস্টেট স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। তাছাড়া এটা শরীরে বিভিন্ন জায়গায় টিউমার হলে সেটাও প্রতিরোধ করতে পারে।

ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ এক চামচ তিসি বীজ নিয়মিতভাবে খেতে পারেন, তাহলে আপনার শরীরের এর প্রোটিন গুলো যে বৃদ্ধি পাবে। তা ত্বকের জন্য খুবই উপকার সেইসাথে স্কিনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

এবং ত্বকের ক্ষেত্রে আরো ভালো কাজ করে থাকে। তাছাড়া যদি আপনি এটা ত্বকে লাগাতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। যার কারণে আপনার চুলও সৌন্দর্য হবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে।

উচ্চ রক্তচাপ কামায়ঃ উচ্চ রক্তচাপ শরীরের অনেক ক্ষতি করে থাকে, তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। তারা এই তিসি বীজ খেতে পারেন এতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। জার্নাল মিড সাইন্স এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে নিয়মিত তিসি বীজ যদি খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

মেয়েদের বিভিন্ন সমস্যায়ঃ মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে শারীরিকদের সমস্যাগুলো রয়েছে। সেগুলোও সমস্যার সমাধান করতে পারে এই তিসি বীজ বিশেষ করে মেয়েদের পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যথা হয়ে থাকে এই ধরনের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

তিসি খাওয়ার অপকারিতা

তিসি খেলে যেমন উপকার হয় তেমনি তিসি খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে। নিম্নে তিসি খাওয়ার খেলে যে শরীরে ক্ষতি হতে পারে সেগুলো সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ছবি
আপনি যদি তিসি বেশি খেয়ে ফেলেন এবং খাওয়ার পর যদি খান সেক্ষেত্রে আপনার অন্ত্রে সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া যদি আপনি নিয়মিত ভাবে পরিমাণ মত খান সে ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে কিন্তু যদি অতিরিক্ত খান সেই ক্ষেত্রে ডায়রিয়া হতে পারে।
আপনি যদি গর্ভবতী হতে চাচ্ছেন সেই ক্ষেত্রে তিসি বীজ না খাওয়াই ভালো। কেননা এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে, তাছাড়া তিসি বীজ বেশি খাওয়ার কারণে এলার্জি হতে পারে এবং নিম্ন রক্তচাপ শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তিসি বীজ অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে এক চামচ তিসি বীজের মধ্যে ৩৭ গ্রাম ক্যালোরি থাকে। যার মধ্যে ফাইবার প্রোটিন জিংক এর মত বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি থাকে কিন্তু এটা যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে তাহলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

চুলের জন্য তিসির উপকারিতা

ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। চলুন, এখন জেনে নেই কিভাবে এই তিসি চুলে দিলে উপকার করে থাকে। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো,

চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে পারেঃ ভিটামিন বি যেমন ফলেট বায়োটিন ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি যদি দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে ভিটামিন বি এর অভাব জনিত কারণে চুল পড়তে পারে। আপনার শরীরে যদি ভিটামিন বি এর অভাব দেখা দেয়।

সে ক্ষেত্রে আপনার চুল পড়তে পারে এইজন্য ভিটামিন এর অভাব পূরণ করার জন্য আপনি তিসি খেতে পারেন। কারণ এর মাঝে রয়েছে রিবোফ্লাবিন, ফলেট বায়োটিন পাইরোডক্সিন ভিটামিন বি ১২ ফলিক অ্যাসিড ইত্যাদি যার কারণে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং চুলের গোড়া শক্ত হবে চুল অনেক বৃদ্ধি পাবে।

চুল পড়া কমাতে এবং চুলের ঘনত্ব করতেঃ তিসির মধ্যে আছে ভিটামিন ই যার চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। কারণ ভিটামিন এর অভাবে দেহ কোষে অক্সিজেনের অভাব থেকে সৃষ্টি হয় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস যা আমাদের এই তিসি উপকার করে থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও চুল পড়ার সাথে অনেকটাই মিল রয়েছে। আর এই স্টেজ মুক্ত থাকার জন্যই মুক্ত থাকতে পারলে আপনার চুল পড়া কমে যাবে। তাছাড়া এর মধ্যে আন্টি এক্সিডেন্ট থাকার কারণে চুলের অকালপক্কতা রোধ করতে পারে।

তাছাড়াও এর মাঝে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি থাকার কারণে আমাদের মাথার ত্বকের প্রদাহ দূর করতে পারে এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়। এটা যদি আপনি নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে চুলকে মোটা শক্ত করবে এবং চুল পড়া রোধ করবে। এছাড়াও চুলের ঘনত্ব হবে যা দেখার মত।

দুর্বল চুলকে শক্ত ও সবল করেঃ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের কোষের বাহ্যিক জেলের জন্য উপকার করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এটি এসেনশিয়াল ফ্যাট যা আমাদের শরীরের নিজে নিজে তৈরি করতে পারেন।

এর কারণে এটা খাবার থেকে গ্রহণ করতে হবে, সাধারণত তিন ধরনের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড আছে যার মধ্যে দুটি হল মাছ থেকে পাওয়া যায় এবং আরেকটি হলো আলফা লেনিক এসিড। বাদাম থেকে পাওয়া যায় এজন্য চুলের দুর্বলতা দূর করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই তিসি শুষ্ক ও দুর্বলকে কাটিয়ে তোলার জন্য নিয়মিত ভাবে চুলে তিসি ব্যবহার করতে পারেন।

সুস্থ ও সুন্দর চুল গজাতেঃ গবেষণায় দেখা গেছে তিসি মাথার ত্বকের পিএইচএ মাত্রা ও সেখান থেকেই তেল তৈরি করতে পারে যা আমাদের চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে খুবই উপকার করে থাকে। আমাদের ত্বকের নিচে সেবাসিয়াস প্লান্ট থেকে তেল উৎপাদন করতে পারে।

যা মাথার ত্বকের PH ও আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারবে। তিসি এই সেবাসসিয়াস গ্ল্যান্ডের শান্ত করতে পারে যাতে করে সেখান থেকে যতটুকু প্রয়োজন। ততটুকু তেল তারা উৎপাদন করে এবং চুলকে সুস্থ সুন্দর রাখতে পারবে।

ত্বকের জন্য তিসির উপকারিতা

আপনার ত্বক উজ্জ্বল রাখতে তিসি ব্যবহার করতে পারেন, কারণ ত্বকের জন্য তিসির উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
ছবি
ত্বকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে, তিসি অত্যন্ত যাদুকারি কাজ করে থাকে। যে ত্বকে দ্রুত কাজ করে তাকে বলিরেখা একটি সমস্যা যা বয়সের আগেই চেহারার বার্ধক্য চাপ পড়ে যায়। এই তেল যদি হতে ব্যবহার করতে পারেন।

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এছাড়া তাকে দক্ষতা দূর করতে পারে। ত্বকের মসৃণ হতে পারে এবং শুষ্ক ত্বককে দারুন ভাবে করা যায়। কিসের মধ্যে এক ধরনের যে উপাদান রয়েছে তা আপনার শরীরের বিভিন্ন প্রকার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারবে।

তাছাড়া এর মাঝে ত্বকে সুস্থতা থেকে দূর করে, তাছাড়া ত্বকের লালচে ভাব ঘামজনিত সমস্যা দূর করতে পারে। তাকে সুস্থতা শরীরের ভিতরে টিসুগুলোর ভালো রাখা এবং ত্বকের টিস্যু গুলো সুস্থ রাখা ইত্যাদি সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
ত্বকের ভিতরে যে মৃত সেলগুলো থাকে সেগুলো পরিষ্কার করতে পারে এবং অতিরিক্ত তেলগুলো বের করতে পারে। ত্বকের রংয়ের অসামঞ্জসতা দূর করতে ভালো কাজ করে থাকে, এছাড়াও ত্বকের কালো দাগ গুলো দূর করতে পারে। ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে পারে, এছাড়াও ত্বকের ভিতরে যে ব্ল্যাকহেডস এর সমস্যা রয়েছে।

সেগুলো দূর করতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা ক্যান্সার যদি হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক সময় দেখা যায়। এর ভিতরে আন্টি এক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটা ক্যান্সারের সেলগুলো তৈরি হতে বাধা দিতে পারে।

ত্বকের যত্নে তিসির ব্যবহারঃ তিসি জেল তৈরি করতে পারেন, এই জেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে সুগন্ধির জন্য কিছু এসেনশিয়াল ওয়েল মেশাতে পারেন এরপর মিশ্রণটি সুন্দর করে শরীরের ত্বকে লাগালে সমস্যা দূর করতে পারবে। তার কারণে ত্বকের যেমন র‍্যাশ জালা ভাব কমতে পারে।

তিসি বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি এসিড আছে যা ত্বকের তাড়ন্য ধরে রাখতে পারে। এজন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই তিসির জেল ব্যবহার মুখে লাগাতে পারেন, এতে ত্বক একেবারে তরতাজা দেখাবে।

তিসির সাথে চালের গুড়া মধু অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। এই ফেস প্যাকটিক গলায় মুখে ২০ মিনিট রাখতে পারেন। এরপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলবেন এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং ত্বক সুন্দর দেখাবে।

প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করে সামান্য তেল মুখে মেসেজ করতে পারেন, আর ৩০ মিনিট রেখে দিতে পারেন। এরপর ফেসওয়াশ ও স্বাভাবিক মাত্রায় পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এতে আপনার ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করবে।

আমাদের শেষ কথা,

সর্বশেষ বলা যেতে পারে যে আপনি যদি নিয়মিতভাবেই তিসি খেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ওজন কমবে, তবে ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী পরিমাণ মতো খেতে হবে। তাহলে আপনার ওজন কমবে, পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে উপকার পাবেন। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪