বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কিভাবে যাওয়া যায় ও কত টাকা লাগে জানুন

অনেকে জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কিভাবে যাওয়া যায়? এক্ষেত্রে আপনি যদি বৈধভাবে যেতে চান। তাহলে অবশ্যই সরকারি ভাবে যাওয়াই ভালো। চলুন, বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশের লোকজন মনে করে অস্ট্রেলিয়া যেতে হলে দালালের মাধ্যমে যেতে হবে কিন্তু এটা একটি ভুল ধারণা। আপনি বৈধভাবে গেলে আপনার অসুবিধা হবে না। তাই বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কিভাবে যাওয়া যায়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কিভাবে যাওয়া যায় ও কত টাকা লাগে জানুন

অস্ট্রেলিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

আপনি যদি অস্ট্রেলিয়াতে যেতে চান, সেক্ষেত্রে কোন কাজে গুরুত্ব বেশি জানতে হবে। তাই অস্ট্রেলিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।

অস্ট্রেলিয়া যে কাজের জন্য আপনি যেতে চাচ্ছেন, সেই কাজ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কারণ ওই কাজের চাহিদা কেমন সেটা আপনাকে জানতে হবে। তাহলে আপনার বিদেশে যাওয়ার সার্থকতা হবে। এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন।

তবে অস্ট্রেলিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে সে কাজগুলোর অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি আপনি যেতে পারেন। তাহলে বেশি বেতন পাবেন, যে কাজগুলোর চাহিদা সবচাইতে বেশি নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা হলো।
  • আইটি ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে পারেন
  • ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতে পারেন
  • মেকানিক্যালের কাজ করতে পারেন
  • কনস্ট্রাকশন এর কাজের চাহিদা আছে
  • ড্রাইভিং করতে পারেন
  • কৃষি কাজের অনেক মূল্য রয়েছে
  • প্লাম্বার কাজ করতে পারেন
  • ওয়েল্ডিং এর কাজ করতে পারেন
  • কাঠমিস্ত্রির কাজের গুরুত্ব রয়েছে
  • ক্লিনারের কাজ ভালো স্যালারি দিয়ে থাকে।
  • গবাদি পশু পালনের কাজ করতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়া উপলক্ষে কাজের গুলোর উপরোক্ত যে কাজগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো এগুলো কাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। তবে কিছু সম্মানজনক এবং মর্যাদা সম্পন্ন কাজ রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হবে। যে কাজগুলোর বেতন সবচাইতে বেশি তা নিম্ন উল্লেখ করা হলো,
  • চিকিৎসা পেশা হিসেবে যেতে পারেন
  • বিমান চালক হিসেবে কাজ করতে পারেন
  • খনি শ্রমিক হিসাবে কাজ করবেন
  • আইটি পেশাজীবী হিসেবে চাকরি করতে পারেন
  • ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবস্থাপনা পেশাজীবী হিসাবে কাজ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কিভাবে যাওয়া যায়

অনেকে জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কিভাবে যাওয়া যায়? আপনি যদি অস্ট্রেলিয়াতে যেতে চান, সেক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায়ে যেতে পারবেন। সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো,

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যদি যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে চারটি ভিসার মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন। নিম্নে চারটি বিষয়ে উল্লেখ করা হলো,
  • অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন
  • অস্ট্রেলিয়ার টুরিস্ট বা বিজনেস ভিসায় যেতে পারবেন
  • অস্ট্রেলিয়া মেডিক্যাল ভিসায় যেতে পারবেন
  • অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়া যাবে।
উপরোক্ত এই বিষয়গুলোর মাধ্যমেই আপনি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার বৈধ পাসপোর্ট টিকিট থাকতে হবে। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার সবচাইতে সহজ উপায় হল টুরিস্ট ভিসা এর মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন। এতে আপনি সেখানে পর্যটক হিসাবে গ্রহণ করতে পারবেন।

স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে আইইএলটিএস পরীক্ষার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন। যদি একজন কর্মী হিসেবে অস্ট্রেলিয়া যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে বোয়েসেল এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারবেন। তাই আরো কোন উপায়ে যাওয়া যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
পর্যটক হিসেবেঃ আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যটক হিসাবে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদি ভ্রমণের জন্য আপনি উপযুক্ত হবেন।

এক্ষেত্রে আপনি অস্ট্রেলিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শহরগুলো এবং বৈচিত্র সংস্কৃতি ঐতিহ্য বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা সেগুলো আপনি দেখতে পারবেন।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির অপেরা হাউস থেকে গ্রেট বেরিয়ার রিফ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া বিভিন্ন আকর্ষণীয় মনোমুগ্ধ হওয়ার জায়গা দেখতে পারবেন এবং অভিজ্ঞতা হবে। বাংলাদেশ পর্যটকদের জন্য অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ একটি স্বপ্নের মত কাজ করে থাকে।

উচ্চ শিক্ষার জন্যঃ আপনি উচ্চ শিক্ষার হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীর ভিসা হিসেবে আবেদন করতে পারবেন। এই ভিসার মাধ্যমে আপনি অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করতে পারবেন।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে যদি কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়া যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে হবে। কারণ এর মাধ্যমে আপনাকে অস্ট্রেলিয়া কাজের জন্য অনুমতি দেবে।

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে

আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে কত টাকা লাগবে সেটা জানা প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া অনেকেই ভ্রমণের জন্য অথবা কাজের জন্য যেতে চায়। বাংলাদেশের লোকজনের কাছে অস্ট্রেলিয়া খুবই পছন্দের একটি দেশ এবং সেখানে যদি আপনি কাজ করতে পারেন অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে অনেকেই হয়তো জানে না যে, অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে। অনেক সময় তারা বিভিন্ন দালালের হাতে পড়ে নিঃস্ব হয়ে যায় এবং অনেক টাকা তাদেরকে দিতে হয়। অনেক সময় তারা অস্ট্রেলিয়াতে পৌঁছাতেও পারে না ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে। অবশ্যই আপনি একটি ধারনা পাবেন, এতে আপনার অনেক উপকার হবে। তাই চলুন, জেনে নেওয়া যাক কোন কাজের উপরে কত টাকা ভিসা খরচ হতে পারে।
  • টুরিস্ট ভিসায় যদি আপনি অস্ট্রেলিয়া যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত।
  • আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।
  • বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত লাগে।
  • ডলারের মান কমবেশি যদি হয় সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ কম বেশি হবে।
বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে কাজের জন্য অনেকেই বিদেশে যাচ্ছেন। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় পছন্দনীয় কৃষিকাজের জন্য অনেকে যেতে চায় কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ভিসায় বিভিন্ন রকম কাজ রয়েছে। যেমন কৃষি কাজ, ড্রাইভিং রেস্টুরেন্ট এর কাজ কোম্পানির কাজ এবং ক্লিনার হিসেবেও কাজ করতে পারবেন।

তাছাড়া উচ্চ মানের কাজের মধ্যেও মেকানিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ার ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার ইত্যাদির কাজ রয়েছে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এই অস্ট্রেলিয়ায় এই কাজগুলোর জন্য যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা চিন্তা ভাবনা করেন।

সে ক্ষেত্রে আপনাকে এই ভিসা করার জন্য ৮ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে। তাই মোটামুটি ধারণা দেওয়া যেতে পারে যে এই টাকার মধ্যে আপনি যেতে পারবেন।

সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে, বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কিভাবে যাওয়া যায়? এখন জানব সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে। নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো,
ছবি
আপনি বিভিন্ন মাধ্যমেই অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন, এক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক সময় জালিয়াতির কারণে আপনার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়। বিশেষ করে আপনার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। কিছু অসাধু চক্র অস্ট্রেলিয়ার ভিসা করে কোটি কোটি টাকা নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে নিচ্ছে।

এই দালাল থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে, এসব প্রতারণার কারণেই সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া একান্ত প্রয়োজন এবং কিভাবে যাওয়া যায় সে সম্পর্কে জানাও প্রয়োজন।
সবাই মনে রাখতে হবে যে টাকা দিয়ে কিংবা প্রভাব খাটিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যাবে না। আপনি ভিসা পাবেন না, এক্ষেত্রে ঘরে বসে অনলাইনে অস্ট্রেলিয়া ভিসার জন্য আবেদন করলে ভালো হবে। ভিসার জন্য অনুমোদন পেলে আপনি আপনার অস্ট্রেলিয়ায় কাজের জন্য যাওয়ার অনুমতি পাবেন।

এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হবে ৫.৫ এবং ব্যাংকে ৫ লক্ষ টাকার মতো রাখতে হবে। তাছাড়া বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যাবে। বোয়েসেল অস্ট্রেলিয়া নিয়মিত ভাবে কর্মী পাঠাচ্ছে এটি একটি বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান। এখানে বিশ্বস্তভাবে কর্মীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তাই এর মাধ্যমে আপনি যেতে পারেন।

অস্ট্রেলিয়া কাজের বেতন কত

আপনি অস্ট্রেলিয়ায় যদি যেতে চান, সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া কাজের বেতন কত? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই নিম্নে অস্ট্রেলিয়ার বেতন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

আমেরিকার মতো অস্ট্রেলিয়াতেও প্রতি ঘন্টায় বেতন দেওয়া হয়। তবে আমেরিকাতে কিছু কিছু প্রদেশগুলোতে আলাদা বেতন কাঠামো আছে এবং সে ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বেতন একই হয়ে থাকে। তবে যাদের বয়স ২১ বছরের কম তাদের সর্বনিম্ন বেতন হয়।

আগে ২১ বছরের উপরে বেশি হলে প্রতি ঘন্টায় সর্বনিম্ন বেতন বেশি পাবেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতেও সর্বনিম্ন কাজের মজুরি দিয়ে থাকে। প্রতি ঘন্টার ক্ষেত্রে ২৩.২৩ অস্ট্রেলিয়ান ডলার দেওয়া দিয়ে থাকে।

যাদের বয়স ২১ বছরের কম তাদের প্রতি ঘন্টায় ১৫.২৩ অষ্টালিয়ান ডলার পেয়ে থাকে। তবে এ দেশে শিক্ষার্থীরা পার্ট টাইম কাজ করার সুযোগ আছে। তারা সপ্তাহে ২০ ঘন্টার বেশি কাজ করতে পারবেনা। সাধারণ জনগণ সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করার অনুমতি থাকে না। অস্ট্রেলিয়ায় সপ্তাহে দুইদিন ছুটি থাকে যেখানে কাজ করা যাবে না।

একজন অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী কিংবা নাগরিকদের বেতন নির্ভর করে, তার কাজের দক্ষতার উপরে যোগ্যতা অভিজ্ঞতা এবং লোকেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সাধারণত সর্বনিম্ন বেতনের চাইতে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও ওভারটাইম কাজ করলে আপনি বেতন বেশি পেতে পারেন, সে সম্পর্কে নিম্ন উল্লেখ করা হলো।
  • আপনি যদি কৃষি কাজ করেন সে ক্ষেত্রে প্রতি মাসে বেতন পাবেন ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত।
  • কনস্ট্রাকশনের কাজ যদি করেন সেই ক্ষেত্রে প্রতি মাসে বেতন পাবেন ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত।
  • ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করলে প্রতি মাসে বেতন পাবেন ৪ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত।
  • ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করলে প্রতি মাসে ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত বেতন পাবেন।
  • প্লাম্বার এর কাজ যদি করেন সে ক্ষেত্রে তাহলে প্রতি মাসে ৪ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মতো বেতন পাবেন।
  • রেস্টুরেন্টের যদি কাজ করেন তাহলে প্রতি মাসে বেতন পাবেন ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত।
  • ড্রাইভার এর কাজ যদি করেন সেই ক্ষেত্রে প্রতিমাসে বেতন পাবেন ৪ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত।

অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি লাগে

অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু তথ্য দিতে হবে, তাই অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি লাগে? সম্পর্কে আপনার এই তথ্যগুলো জানা খুবই প্রয়োজন এবং কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে। না হলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করার অনুমতি পাবেন না।

আর বিভিন্ন ভিসার জন্য বিভিন্ন রকমের যোগ্যতা লাগে, তবে কাগজপত্র প্রায় একই হয়ে থাকে আবার অনেক ক্ষেত্রে আলাদা হয়। চলুন, অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য যে যোগ্যতা এবং কাগজপত্র লাগতে পারে, সেগুলো সম্পর্কে জানা যাক।
  • ই পাসপোর্ট থাকতে হবে
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট লাগবে
  • চারিত্রিক সনদ প্রয়োজন
  • সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
  • ইংরেজি ভাষা এর ক্ষেত্রে দক্ষতার থাকতে হবে এবং সার্টিফিকেট লাগবে অর্থাৎ আইইএলটিএস থাকতে হবে।
  • ভ্রমণ বীমা লাগবে
  • আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দেখাতে হবে যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট ট্যাক্স রিটার্ন লাগবে।
  • স্কিল সার্টিফিকেট দরকার
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ পত্র লাগবে
  • অস্ট্রেলিয়ার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির আবেদন পত্র যদি লাগবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দরকার
  • জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে
  • করোনা টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট লাগবে
  • এইচএসসি পাস হওয়া লাগবে

অস্ট্রেলিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে

ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কিভাবে যাওয়া যায়? এখন জানবো অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য বয়স কত হতে হবে। চলুন, নিম্নে এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যায়।

অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য বয়সের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে এবং বিভিন্ন ভিসার উপরে বয়সটাও নির্ভর করে। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে আপনার সর্বনিম্ন বয়স লাগবে ১৮ বছর।

তবে কিছু ক্ষেত্রে হয়তো ১৬ বছর হলেও আবেদন করতে পারবেন। সাধারণত অস্ট্রেলিয়ার উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে বয়সের ক্ষেত্রে তেমন বয়সের ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা হয় না।
আসলে ভিজিট বিষয়ে যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে বয়স তেমন ব্যাপার না। এর কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই তবে কারো বয়স যদি ১৮ বছর কম হয়। সে ক্ষেত্রে অফিসিয়াল কোন অভিভাবক সাথে যাওয়া লাগবে। 

এক্ষেত্রে অবশ্যই অভিভাবকের সম্মতি লাগবে, তাছাড়া প্রয়োজনে ডকুমেন্টস ও থাকতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ভিসায় যদি যেতে চান, সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরি এবং বিভিন্ন রকমের বয়স হতে পারে।

স্কিল ইন্ডিপেন্ডেন্স ভিসা এর ক্ষেত্রে আপনার বয়স ১৮ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে হওয়া লাগবে। তবে স্ক্রিল ওয়ার্ক রিজিওনাল ভিসায় যদি এবং এমপ্লয়ার স্পন্সরশীপ ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার বয়স লাগবে ১৮ থেকে ৪৫ বছর এর বেশি হওয়া যাবে না।

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত সময় লাগে

অনেকে জানার আগ্রহ হয় যে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত সময় লাগে? তাই অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য যে সময় লাগে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় দূরত্ব হতে পারে ৭১৭১ কিলোমিটার এর মতো। এ দূরত্ব আপনার বিমানের মাধ্যমে যেতে হবে, এই ক্ষেত্রে অনেকে জাহাজের মাধ্যমে যেয়ে থাকে।

তাছাড়া আরো অনেক মাধ্যম রয়েছে যে যেভাবে যেতে পারে। তবে আপনার জাহাজের মাধ্যমে বা অন্য কোন উপায় যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে কিন্তু অবৈধভাবে যদি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি আছে।

আর যদি বৈধভাবে বিমানে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৫ ঘণ্টার মধ্যে আপনি অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছা যাবেন। এতে সময়ের উপর নির্ভর, আপনার কিছু বিষয়ের জন্য হতে পারে কমবেশি এক্ষেত্রে আপনি কোন বিমানবন্দর থেকে যাচ্ছেন অথবা বিমানবন্দরের কতগুলো স্টেপ আছে সকল কিছু মিলেই আপনার সময়টা একটু কমবেশি হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন

আপনি অস্ট্রেলিয়ায় যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভিসা জন্য আবেদন করা লাগবে। তাই অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন সম্পর্কে জানা খুবই দরকার। চলুন, জেনে নেওয়া যাক অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা থাকে।
ছবি
সে ক্ষেত্রে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে, অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন ফরম ছাড়া অনলাইনে ভিসা আবেদন করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইনে ভিসা জন্য আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এরপরে আপনাকে এটা জমা দেওয়া লাগবে।

সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়ায় যদি ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, সেক্ষেত্রে অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যেতে পারে। আবেদন করতে করার অনুমতি পাবেন, যেমন স্টুডেন্ট ভিসা কাজের ভিসা, পারমিট ভিসা এ সকলের জন্য আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। তবে কয়েকটি ধাপ পূরণ করতে হবে, নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

প্রথমে আপনাকে অস্ট্রেলিয়ার সরকারি ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে ভিজিট করা লাগবে। আর সেখান থেকে আপনাকে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে।

তারপর আপনাকে উঠতে ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।

এরপর আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করা লাগবে।

আপনার ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করা লাগবে, সাথে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং ভিসা আবেদনটি পরিশোধ করা লাগবে।

আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ভিসা আবেদন ফরম অনলাইনে জমা দেওয়া লাগবে, তারপরে অনুমতি পাবেন।

লেখকের শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু পদ্ধতি এবং উপায় জানতে হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কিভাবে যাওয়া যায়? এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটিতে সুন্দর করে বর্ণনা করা হয়েছে, আশা করি উপকৃত হবেন। পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪