বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি ও নিয়ম সম্পর্কে জানুন
অনেকে জানতে চায়, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি? তাই যে সকল পদ্ধতি ব্যবহার করলে আপনার কম খরচ হবে। তা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে পারবেন। চলুন, বিদেশ থেকে টাকা কিভাবে দ্রুত পাঠাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অনেকে না বুঝে বিভিন্ন উপায়ে টাকা পাঠিয়ে থাকে, এতে তার অনেক টাকা খরচ হয় এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে। তাই বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি ও নিয়ম সম্পর্কে জানুন
বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
প্রবাসীরা টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে অনেকে জানেনা। তাই বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।
ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমঃ প্রবাসীরা তারা বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর মাধ্যম হলো ব্যাংক একাউন্ট কিন্তু এটা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই তারা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমেই টাকা পাঠায়। তবে এ সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। আপনি যদি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে চান, সে ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি বা অবলম্বন করতে হবে। তাহলে আপনি ভালোভাবে টাকা পাঠাতে পারবেন। দুটি পদ্ধতি হলো;
- বাংলাদেশে একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
- ব্যাংকের সকল কিছু সংগ্রহ করতে হবে এর বিস্তারিত জেনে তারপর টাকা পাঠাতে হবে।
- আপনাকে অনুসরণ করে নিতে হবে তাহলেই আপনি যে দেশেই থাকেন না কেন বাংলাদেশের ব্যাংক একাউন্ট টাকা পাঠাতে সমস্যা হবে না।
ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে হবেঃ বাংলাদেশের যে সমস্ত ব্যাংক আছে তার মধ্যে যেগুলো বেশি লিডিং এবং কার্যকারী হিসেবে বিবেচিত হয়। তার মধ্যে থেকে যে কোন একটি ব্যাংকে আপনার একাউন্ট খুলতে হবে।
যখন আপনার একাউন্ট খোলার কাজ শেষ হয়ে যাবে, আপনার ব্যাংক একাউন্ট পুরোপুরি একটিভ হয়ে যাবে। তখন আপনি ব্যাংকের একাউন্টে যে কোন দেশ থেকে টাকা পাঠাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র আপনার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার এবং আপনার যে একাউন্ট রয়েছে। সেই একাউন্ট নাম্বার মনে রাখা লাগবে কিংবা একটি খাতার পৃষ্ঠায় লিখে রাখতে পারেন।
যখন আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং ব্রাঞ্চ মুখস্ত করবেন কিংবা সংগ্রহ করে নিবেন। তখন আপনি সেই দেশের যে কোন একটি ব্যাংকে গিয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। তারপর আপনার ব্যাংক ডিটেলস যখন দিয়ে দিবেন।
তখন তারা আপনার একাউন্ট চেক করে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাতে পারবেন। এক কথায় সবচেয়ে কার্যকারী পদ্ধতিতে এবং সবচেয়ে কম খরচে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো যায় ব্যাংকের মাধ্যমে, এভাবেই আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন।
বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমেঃ বাংলাদেশের যে সমস্ত মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটর আছে তার মধ্যে আপনার কাছে যেটা ভালো লাগবে। ঐ সমস্ত দেশে বিভিন্ন আউটলেট রয়েছে, কম সময় এবং অধিক চার্জে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে চান। আপনি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করতে পারেন এতে দ্রুত গতিতে আপনার টাকাটা পেয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে আপনার যে কাজটি করতে হবে তা হল; আপনার আশেপাশে যে সমস্ত মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটর আছে সেখানে যেতে হবে এবং আপনার নির্দিষ্ট নাম্বারে টাকা সেন্ড করে দিলেই হয়ে যাবে। সেন্ড করলে আসলে কত টাকা চার্জ হবে সেটা আপনার মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটর এর উপরেই নির্ভর করতে পারে।
অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ হাউজঃ বিদেশে অনুমোদিত যে সমস্ত বাংলাদেশি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ আছে। তার মাধ্যমেও আপনি টাকা পাঠাতে পারেন, মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে আপনি টাকা পাঠালে তাতে নির্দিষ্ট টাকার চেয়ে বেশি টাকা পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে টাকা পাঠানো অনেকটা লাভ হয়ে থাকে।
তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু সময় বা দিন অপেক্ষা করা লাগতে পারে। এতে করে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনার একাউন্টে ডিপোজিট হওয়া লাগবে এবং সেই টাকা আপনি পাবেন মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে। যদি টাকা পাঠাতে চান এক্ষেত্রে একটি বিষয় খেয়াল রাখা লাগবে আর তা হলো ব্যাংক একাউন্টের ডিটেলস লাগবে।
মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। যদি ভুল ব্যাঙ্ক ডিটেলস দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট গন্তব্যে আপনার টাকা পৌঁছাবে না। এতে নানা রকমের জটিল সমস্যা হতে পারে। তাই উপরে আলোচনা থেকে বলা যেতে পারে, আপনি খুব সহজে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর এই উপুক্ত নিয়মগুলো ব্যবহার করে বিদেশ থেকে আপনি বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে সমস্যা হবে না।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি
অনেকেই জানতে চায় যে, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি? চলুন, দ্রুততম টাকা পাঠানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
যারা প্রবাসে থাকেন সে সকল বাংলাদেশীদের উপর নির্ভর করে তার পরিবার। তারা পরিশ্রম করে তার পরিবারের জন্যই এবং তারা অর্থ উপার্জন করতে পারে। পাঠানোর জন্য তারা বিভিন্ন মাধ্যম খুঁজে থাকে, সমস্যা সৃষ্টি করে।
তাই ভালো মাধ্যম জানা খুবই প্রয়োজন, বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে আমাদেরকে সকল বিষয়ে সুযোগ করে দিয়েছে এবং সহজ করে দিয়েছে। তাই অনায়াসে সহজভাবে প্রবাসীরা টাকা পাঠাতে পারে। তো কয়েকটি সেরা পদ্ধতির মধ্যে অন্যতম পদ্ধতিগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো;
বিকাশঃ সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে রয়েছে বিকাশ। যা দেশের বাইরে এবং দেশের ভিতরেও অনেক প্রচারিত এবং জনপ্রিয় হয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের এটি একটি প্রতিষ্ঠান, তাই বিদেশ থেকে প্রবাসীরা এর মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারবেন।
একদম হাতের মুঠোয় চলে আসবে, এজন্য প্রবাসী ভাইয়েরা সর্বপ্রথম যে দেশে বিকাশে অনুমতি আছে বা অংশীদার আছে। তালিকাভুক্ত ব্যাংকের শাখা অথবা মানি এক্সচেঞ্জ কিংবা এমপিও ট্রান্সফার এজেন্ট আছে। সেখানে আপনাকে যেতে হবে এই এজেন্টরা আপনাকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
বিকাশের মাধ্যমে আপনি যদি টাকা পাঠাতে চান, সেই ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ পঁচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঠাতে পারবেন। আর প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মত পাঠানো যায়। এই অর্থ প্রদানে বিকাশের কোন প্রকার বাড়তি মূল্য দেওয়া লাগে না।
তবে ওই ব্যক্তিটির বাংলাদেশে পরিবারের জন্য দিয়ে থাকে এবং ক্যাশ আউট করলেই সে নির্ধারিত টাকা পেয়ে যাবে। যদি বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে এক হাজার টাকায় ১৭.৫ টাকা কাটবে। আর অ্যাপ ছাড়া ১৮.৫০ টাকা চার্জ লাগে।
ওয়াইজঃ এই পদ্ধতিটা নতুন হলেও ঝামেলা মুক্ত টাকা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর জন্য ওয়াইজ পরিচিতি লাভ করেছে । এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালের শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্বব্যাপী গ্রাহক সংখ্যা অনেক।
প্রায় ২০ মিলিয়ন এর মত মোবাইল ফোনের অ্যাপের মাধ্যমে এটা ব্যবহার করা যেতে পারে। এবং সবাই ব্যবহার করে অনেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে মুদ্রা কিনে নিয়ে থাকে।
ওয়েবসাইট থেকে অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। মুদ্রা বিনিময় ও লেনদেন করতে পারবেন খুবই কম খরচে। যা প্রবাসীদের কাছে অনেক পছন্দ হয়ে থাকে, কোন ব্যাংক বা এজেন্টের কাছে যাওয়া লাগে না। ফোনের মাধ্যমেই এই অ্যাপস এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায়। এর উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সরকারের কাছ থেকে ২.৫% রেমিটেন্স পাওয়া যেতে পারে।
ট্যাপট্যাপ সেন্টঃ অতিরিক্ত ফি প্রদানের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি এটা ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানটি আমেরিকার ফাইনান্সিয়াল কন্টাক্ট অথরিটি কর্তৃক অনুমোদিত এজন্য অর্থ নিরাপত্তা রয়েছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে।
মুহূর্তের মধ্যে এটা পৌঁছে দিতে পারে তাছাড়া মুদ্রা বিনিময়ের হারের কারণে গ্রাহকের কাছে প্রিয় হয়েছে। যুক্তরাজ্য কানাডা জার্মানি বেলজিয়াম স্পেন নেদারল্যান্ড এই ধরনের দেশ থেকে সহজভাবে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। বিকাশ এর স্থানীয় ব্যাংকগুলোর সাথেও অংশারিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ২.৫% রেমিটেন্স পাবে, পাশাপাশি এই অ্যাপ ব্যবহার করলে বাংলাদেশ থেকে বোনাসও দেবে। তাছাড়া সেন্ট মানি করার সাথে সাথে বাংলাদেশের ট্যাপ ট্যাপ থেকে আপনি বোনাস পাবেন। প্রথমে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং নির্দিষ্ট প্রমাণ ব্যবহার করতে হবে এরপরই ফান্ড পাঠালে আপনার বোনাস পাবেন।
স্ক্রিলঃ বর্তমান ফ্রিল্যান্সাররা তাদের টাকা হাতে পাওয়ার জন্য পেমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করে থাকে স্ক্রিল। জুম এর মত এটিকে পেপালের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে স্কিল অ্যাকাউন্ট থাকার কথা বলে।
বাংলাদেশে পেপাল না থাকার কারণে মোটামুটি স্ক্রিলের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রবাসীরা এই সিস্টেমটি ব্যবহার করতে পারবে কোন ঝামেলা হবে না।
এর সুবিধার মধ্যে রয়েছে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কম ফি কাটে, তাছাড়া যথেষ্ট সুরক্ষা রয়েছে এবং নিশ্চয়তা আছে। এই পেমেন্টের মাধ্যমে আপনি মোবাইলেও অ্যাপস হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। অফিসিয়াল ওয়েবপেজ থেকে অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। তবে সফল একাউন্টের জন্য তথ্যগুলো অবশ্যই প্রমাণ সাপেক্ষ লাগবে।
স্ক্রিল একাউন্ট থেকে বিভিন্ন মাধ্যমেই আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে টাকা পাঠালে একাউন্টে ব্যবসায়িক হওয়া লাগবে। এক্ষেত্রে কোনো ফি থাকবে না কিন্তু গ্লোবাল পেমেন্ট মেথর ব্যবহার করার কারণে টাকা প্রধানপূর্বক ফি এক দশমিক ২৫% কেটে নেবে।
মানি গ্রামঃ বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর মাধ্যম গুলোর মধ্যে তিন লক্ষ দিক এজেন্ট মানিগ্রাম বেশ পরিচিত হয়েছে। পুরনো প্রতিষ্ঠানটি অধিকাংশ প্রবাসী কাছে নির্ভরশীল এই পদ্ধতির প্রধান কারী পরিচয় পত্র সহ কাগজপত্র এবং সেই দেশের মুদ্রা নির্দিষ্ট অর্থ নিয়ে মানিগ্রাম এজেন্ট এর কাছে যাওয়া লাগে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল মুদ্রা মানিগ্রাম করা যেতে পারে।
এজন্য গ্রহণকারীর অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল ওয়ালেট নাম্বার লাগবে, মানিগ্রামের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড হলে প্রতি এক হাজার ইউএসডি ব্যাংক চার্জ ৩২.৯৯ ইউ এস ডলার। আর ডেবিট কার্ড যদি ব্যবহার করে তাহলে ১.৯৯ ইউ এস ডলার কাটবে।
রেমিটলিঃ আরো একটি কম চার্জে টাকা পাঠানোর সেরা মাধ্যম, বাংলাদেশের অনেক ব্যাংকেই এই রেমিটলি মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা হয়। তার মধ্যে ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যেতে পারে।
এই ডিজিটাল সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা পাঠালে চার্জ নিবে ২.৯৯ ডলার। এতে নির্দিষ্ট ফিজিক্যালি লোকেশন না থাকার কারণে কম খরচ হয় এর ব্যবহারকারীদের অনেক সুবিধা পায়।
এটা সবচেয়ে বড় সফলতা হলো রেমিটলির মাধ্যমে যেকোনো দেশের মুদ্রায় এক্সচেঞ্জ করা যেতে পারে। এর ফান্ড ট্রান্সফারের দুটি মুডি রয়েছে যার নাম হলো এক্সপ্রেস এবং ইকোনমি এর মাধ্যমে দ্রুত টাকা পাঠানো যায়। এখানে ইকোনমিক ক্যাটাগরির অল্প ট্রানসফার ফি নেওয়া হয়। তবে কোন ক্ষেত্রে রেমিটেন্স পাঠানো ক্ষেত্রে দেরি হয় না।
আপনি ইচ্ছা করলে অতি সহজে রেমিটলি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। এতে গ্রহণকারীর নাম ও ঠিকানার সাথে পেমেন্টের যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। এরপর এই সকল তথ্য আপনার মোবাইল ও ইমেইলে পৌঁছে যাবে।
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নঃ অনেক পুরানো এই পরিষেবাটি অনেক ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে। মোবাইলে অ্যাপ এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং খুবই কম খরচে পাঠানো যায়। বাংলাদেশ অধিকাংশ ব্যাংকেই ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর মাধ্যমে টাকা প্রদান করে থাকে।
এতে টাকা দেওয়া হলে তাকে যথাযথ তথ্য প্রদান করতে হয় এবং নির্দিষ্ট লোকেশন থেকে অর্থ নিতে পারবে। তাছাড়া টাকার প্রধানের জন্য এজেন্ট এর কাছে অথবা ব্যবহারকারী নিজেই মুদ্রার রূপান্তর করে তার পরিবারের কাছে নিয়ে যাবে।
জুমঃ বাংলাদেশের পেপাল মানি ট্রান্সফার না থাকার কারণে বিকল্প হিসেবে এটা ব্যবহার করা যেতে পারে। বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম পদ্ধতির ক্ষেত্রে এবং টাকা গ্রহণ করার নির্ভরযোগ্য একটি সার্ভিস। এখানে লেনদেনটা খুবই দ্রুত হয়ে থাকে জুমের প্রক্রিয়ার সাথে অভ্যস্ত হয়ে গেলে আপনি ওয়েবসাইটের ইউজার ড্যাশবোর্ডের সাথে নিয়মিত থাকবেন এটা খুবই সহজ বিষয়।
সরাসরি ওয়েব সাইটে গিয়ে সাইনআপ করে নতুন প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এতে যে কোন প্রকার ট্রান্সফারের কাজ গুলো করা যেতে পারে। ৯৯৯ ডলারের জন্য মাত্র ৫.৯ ডলার ফ্রি দিতে হয়। তারপর ৯৯৯ ডলারের বেশি মানি ট্রান্সফার করলে সেই ক্ষেত্রে ৯.৯৯ ডলার দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত এই সার্ভিসটি বিদেশ থেকে বাংলাদেশের টাকা পাঠানোর নির্ভরযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান।
বিশ্বস্ত বিশ্বের বড় বড় শহরগুলোতে এই ডলার বা পাউন্ড খুব সহজে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছানো যাবে। এরপর খুবই গ্রহণকারী খুবই সহজ ভাবে টাকাটা গ্রহণ করতে পারবে। এতে করে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের মানুষজনেরাও এই টাকা তুলতে খুবই একটা কষ্ট হবে না।
বিদেশ থেকে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে
প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠানোর কতদিন পর টাকা পাবে জানা খুবই প্রয়োজন। তাই বিদেশ থেকে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে? সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্টে টাকা আসতে কত সময় লাগে, এটা জানা খুবই প্রয়োজন। কারণ তাদের প্রিয়জনরা সেই অনুযায়ী টাকাটা উঠাতে পারবে। প্রায় সাত দিনের মতো সময় লাগে ৭ দিন অপেক্ষা করার পর যদি টাকা না পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে আপনি ব্যাংকের ব্রাঞ্চের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তার সাথে ভালোভাবে কথা বলে এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন।
বিদেশ থেকে কেউ টাকা পাঠালে সেটা ডলার হিসেবে একাউন্টে চলে আসে। এই টাকা আসতে সময় লাগে প্রায় সাত দিনের মত। পুরোপুরি আপনি যদি বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠান সে ক্ষেত্রে সময় খুবই কম লাগবে। ৫ মিনিট থেকে ২৪ ঘন্টার মত সময় লাগতে পারে। তবে কিছু সময় বেশিও লাগতে পারে, এই ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে তা হল;
মানি ট্রান্সফার কোম্পানিঃ বিকাশের সাথে চুক্তিবদ্ধ বিভিন্ন মানি ট্রান্সফার কোম্পানি থাকে, প্রতিটি কোম্পানির নিজস্ব লেনদেন প্রক্রিয়া এবং সময়সীমা আলাদা হয়।
ব্যাংকঃ কিছু ব্যাংক আছে যারা বিকাশে টাকা পাঠানোর সুযোগ করে দিতে পারে, ব্যাংকের লেনদেন প্রক্রিয়া অনুযায়ী এই সময়টা বলা যেতে পারে।
মোবাইল অ্যাপঃ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো যায়। সে ক্ষেত্রে বিকাশে যদি টাকা পাঠান এই অ্যাপের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী অর্থাৎ পাঁচ মিনিট থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনি টাকা পেতে পারেন।
বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি? এখন জানবো সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যাবে। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
- বিকাশের মাধ্যমে যদি আপনি টাকা পাঠান সেই ক্ষেত্রে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত পাঠাতে পারবেন।
- রকেটের মাধ্যমে যদি টাকা পাঠান সে ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার মত পাঠানো যাবে।
- নগদের মাধ্যমে যদি টাকা পাঠান তাহলে ৫০ হাজার টাকার মত পাঠাতে পারবেন।
- উপায় অ্যাপসের মাধ্যমে যদি টাকা পাঠান সে ক্ষেত্রে ৫০০০০ টাকা পাঠানো যাবে।
- ইসলামী ব্যাংকের এম ক্যাশ এর মাধ্যমে যদি টাকা পাঠান সে ক্ষেত্রে ৫০০০০ টাকা পাঠাতে পারবেন।
মাসিক সীমাঃ এক মাসের মধ্যে কত টাকা পাঠানো যাবে সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বিকাশের মাধ্যমে এক মাসে তাকাতে পাঠাতে পারবেন ৫ লক্ষ টাকার মত, রকেটের মাধ্যমে ২ লাখ, নগদ এর মাধ্যমে ২ লাখ, উপায় ও এম ক্যা শ এর মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা পাঠাতে পারবেন।
এই টাকাগুলো পাঠানোর ক্ষেত্রে ৫ হাজার ডলারের বেশি যদি আপনি টাকা পাঠাতে চান, সেক্ষেত্রে আয়ের উৎস প্রমাণপত্র জমা দেওয়া লাগবে অবৈধ উৎস থেকে অর্থ পাঠানো যাবে না।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর বিভিন্ন উপায় রয়েছেঃ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যেমন বিকাশ রকেট নগদ উপায়ে এম ক্যাশ টাকা পাঠাতে পারবেন।
ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অনলাইন ব্যাংকিং মোবাইল ব্যাংকিং এটিএম শাখা ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন।
মানি ট্রান্সফার কোম্পানিঃ যেমন ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মানিগ্রাম, রেমিটলি ট্রান্সফরমার ওয়াইজ এ সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এখান বিস্তারিত জেনে নিবেন।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে বোনাস কত
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে বোনাস পাওয়া যায়। তাই বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে বোনাস কত? তা বিস্তারিতভাবে নিম্নে বর্ণনা করা হলো,
প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠালে তারা এক ডলারে ১১৫ টাকা ৫০ পয়সার মত। এক্ষেত্রে বিদেশ থেকে প্রবাসী ভাইবোনেরা ১০০ ডলার যদি পাঠায়, সে ক্ষেত্রে তারা বোনাস পাবে ১০২ টাকা ৫০ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের টাকার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকে সরকার। আবার দেশের উন্নতি করতে হলে প্রবাসীদের কষ্ট অর্জিত টাকা খুবই প্রয়োজন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বের ১৭২ টি দেশের প্রায় এক কোটি বিশ লাখ প্রবাসী লোক কাজ করছে। প্রতি বছর তারা পরিবার-পরিজন আত্মীয় স্বজনের কাছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতিবছর প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার এর মত টাকা পাঠাতে পারে।
বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধ উপায় যদি সরকারি খরচ আর সরকারি দু দশমিক পাঁচ শতাংশ পাবে প্রনোদনা পাবে এবং এক শতাংশ ক্যাশ বোনাস দিবে। বিকাশে ১৫০০০ টাকা বা তার বেশি যদি রেমিটেন্স পাঠানো যায়।
তাহলে এক শতাংশ ক্যাশ বোনাস পাবে। আরও অতিরিক্ত ১ শতাংশ বোনাস পাবে। এক্ষেত্রে মোট বোনাসের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩.৫ শতাংশ হারে। এই অফারটি বিকাশ মাঝে মাঝে দিয়ে থাকে তবে এটি পরিবর্তন হতে পারে।
প্রবাসী যে কোন বাংলাদেশী চাইলে বিকাশের মাধ্যমে মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে পারবে। এতে বিকাশ একাউন্টের পাঠাতে হবে বিশ্বের ৭০ টি বেশি দেশ থেকে অনলাইন বা ওয়ালেট ট্রান্সফারের মাধ্যমে। সাতটিরও বেশি মানি ট্রান্সফার সংস্থার সাথে দেশের দশটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ বিকাশ একাউন্টের নিরাপদে তারা টাকা পাঠাতে পারবে।
বিদেশ থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি? সম্পর্কে। এখন জানব ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে যদি টাকা পাঠাতে চায়, সেক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে। সাধারণত প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ তাদের উপার্জনের টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়ে থাকে। প্রবাসীরা অনেক পরিশ্রম করে তাদের উপার্জিত টাকা দেশে পাঠাতে চায় নিরাপদে এবং কম খরচে। আর সে ক্ষেত্রে প্রবাসী যখন বৈধভাবে টাকা পাঠাতে চায়, সেক্ষেত্রে দেশে যদি টাকা পাঠায় আমরা সেটাকে বলে।
প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যম ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা পাঠাতে পারেন। এতে আপনার রেমিটেন্স পাওয়ার মাধ্যমে দেশ উন্নত হবে এবং খুবই কম খরচ আপনি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা প্রিয়জনের কাছে টাকা পৌঁছাতে পারবেন। এটা একটি বৈধ পন্থা এটা কোন ঝামেলা নেই।
- প্রথমে অবশ্যই ডাচ-বাংলা ব্যাংকে আপনার একাউন্টে থাকা বাধ্যতামূলক।
- তারপর ডাচ বাংলা ব্যাংক অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ যাওয়া লাগবে।
- এরপর আপনার টাকা জমা দিবেন তাদের দেওয়া কেওয়াইসি ফরম পূরণ করা লাগবে।
- কেওয়াইসি ফর্ম বলতে বুঝায় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন আপনার পাসপোর্ট তথ্য ব্যাংকে পাঠা যে ব্যাংকে পাঠাতে পারবেন। সে ব্যাংকে যাবতীয় তথ্য ব্যাংকের নাম ব্রাঞ্চ লোকেশন সকল কিছু দিতে হবে।
- তারপর একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাওয়া যাবে, সেখানে উল্লেখ থাকবে আপনার কত টাকা পাঠিয়েছেন সেই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে।
- এরপর আপনার প্রিয়জন টাকা পাইছে কিনা তাকে কল দিয়ে শুনে নিবেন, এরপর যদি বলে যে পেয়েছি তাহলে ঠিক আছে।
- বাংলাদেশের যার কাছে আপনি টাকা পাঠান সে যদি পেয়ে থাকে। আর সে ক্ষেত্রে এটিএম বুথ অথবা বাংলাদেশের যে কোন ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে আপনি টাকা তুলতে পারবেন বা তারা তুলে নিতে পারবেন।
উপরোক্ত এই পদ্ধতি অনুযায়ী বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে সেগুলো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে। আপনি এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে খুব সহজে টাকা প্রিয়জনের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর খরচ
অনেকে বিকাশে টাকা পাঠাতে পছন্দ করে সেক্ষেত্রে খরচ কত হতে পারে, তাই বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর খরচ সম্পর্কে নিম্ন আলোচনা করা হলো।
বিদেশ থেকে প্রবাসী ভাইয়েরা বাংলাদেশের রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে বাড়তি খরচ করেই তারা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। বর্তমানে ১০০ টাকার রেমিটেন্স পাঠালে প্রবাসীদের খরচ হয় তিন টাকা ২৫ পয়সা মত।
বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন রকমের টাকা পাঠানো যায় এবং বিভিন্ন খরচ হয়ে থাকে। তার মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে রেমিটেন্স পাঠালে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়। সে ক্ষেত্রে ৫ টাকা ১১ পয়সার মত খরচ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪.৭৭ টাকার মতো খরচ হয়, ইটালি থেকে ৪.৬ টাকা, কাতার থেকে টাকা পাঠালে ৪.১৩ টাকা খরচ হয়, সৌদি আরব ৩.৫১ টাকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ১.৯৬ টাকা খরচ হয়। মালয়েশিয়া ৩. ১৩ টাকা কুয়েত ২.২৮ টাকা, সিঙ্গাপুর থেকে ২.৪৬ টাকা এর মত খরচ হবে।
বাংলাদেশের পাঠানোর ক্ষেত্রে এখন কিছুটা কম হতে পারে। ভারত, পাকিস্তান এর চেয়ে বেশি খরচ হয় উপরোক্ত এ বিষয়ে জানতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা
অবশেষে বলা যায় যে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায়। তবে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন এবং আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url