বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানুন
অনেকে জানেনা বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। যদি আপনি এই দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য নিয়ম-কানুন না জানেন, তাহলে সমস্যা হতে পারে। চলুন, ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা যাক।
বাংলাদেশের অনেক মানুষ মনে করে ইউরোপের দেশগুলোতে অবৈধ উপায়ে যাওয়া লাগে কিন্তু এই দেশগুলোতে যেতে কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেগুলো জানতে হবে, তাই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পোস্টটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানুন
ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায়
অনেকে অবৈধ উপায়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন এবং তারা মনে করে যে অবৈধভাবে ছাড়া ইউরোপে যাওয়া যাবে না। আসলে সঠিকভাবে চিন্তা ভাবনা করে বৈধভাবে ইউরোপে যাওয়া যাবে।
বৈধভাবে ইউরোপে দেওয়া ক্ষেত্রে যেসব দেশে সহজে ভিসা পাওয়া যাবে। সেই দেশগুলো আপনাকে খুঁজতে হবে, তারপর জানা লাগবে যে ইউরোপের কোন দেশগুলো সেঞ্জেনভুক্ত। এগুলো জেনে তারপর আপনাকে যেতে হবে।
সেনজেন ভুক্ত দেশ ভিসা পাওয়া সহজ হয়, ওই দেশগুলোর ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। আপনি একটি ভিসা দিয়ে ২৬ টি দেশ ভ্রমণ করার অনুমতি পাবেন। আপনি ইউরোপের দেশ ভ্রমণ করার জন্য সেঞ্জেনভুক্ত ভিসা জন্য আবেদন করতে হবে।
যেমন অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইতালি আইসল্যান্ড লিথুনিয়া লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ মালটা নেদারল্যান্ডস পোল্যান্ড নরওয়ে এই দেশগুলোর ভিসা মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন। সেঞ্জেনভুক্ত ভুক্ত ২৬ টি ইউরোপীয় দেশগুলোতে আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন এবং ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি পাবেন।
এই ভিসার মেয়াদ ছয় মাস হবে অর্থাৎ ছয় মাসের মধ্যে ৯০ দিন ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন। কিন্তু সব দেশ উন্নতই নাও হতে পারে, তবে এই দেশগুলো যাওয়ার জন্য আপনি খুব সহজে ভিসা পাবেন।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম
ইউরোপ মহাদেশের প্রায় অনেক রাষ্ট্রই উন্নত, তাই সবার কাছে অনেক প্রিয়। তাই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো,
যারা ইউরোপ যেতে চাচ্ছেন, কিভাবে যাবেন অনেকে জানে না। তাই ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যেতে হলে দুটি পদ্ধতিতে যেতে হবে। একটি হলো স্টুডেন্ট ভিসা আর একটি ভ্রমণ ভিসা এর মাধ্যমে আপনাকে যেতে হবে। এই দুই ভিসার মাধ্যমেই আপনি রোমানিয়া সার্বিয়া, মাল্টা, আর্মানিয়া এ সকল দেশগুলোতে যাওয়ার অনুমতি পাবেন।
আর যদি অন্য দেশগুলোতে যাওয়ার ইচ্ছা করেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লাগবে। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এম্বাসির সাহায্য প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশের অনেক এম্বাসী রয়েছে যা ইউরোপের দেশগুলো যাওয়ার জন্য ভিসা দিয়ে থাকে।
তবে এম্বাসের সাথে যোগাযোগ করার পূর্বে অ্যাম্বাসির বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে হবে। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লাগে। তাছাড়া ভ্রমণ ও স্টুডেন্ট ভিসায় আপনি যেতে পারবেন স্কলারশিপ নিয়ে। আপনার কিছু তথ্য লাগবে তা হল;
- একটি বৈধ পাসপোর্ট প্রয়োজন এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস হওয়া লাগবে।
- সরকারিভাবে ভিসার জন্য আবেদন করা লাগবে।
- সরকারের অনুমোদন আছে এমন ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে আপনি ভিসা করতে পারবেন।
ভিসার আবেদন করার জন্য আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং চেক দিতে হবে। সেটা দেখার জন্য ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে অনেক দেশ রয়েছে, যা খুব সহজেই বসবাস করা যায় এবং সহজে ভিসা পাওয়া যায়।
সে দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পর্তুগাল, গ্রিস মাল্টা, মেক্সিকো আমেরিকা, সাইপ্রাস এবং আরো অন্যান্য রাষ্ট্র রয়েছে। ইউরোপের ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে নিয়ম ভিন্ন হতে পারে। কেননা প্রতিটি ইউরোপীয় দেশের সরকার, আপনার ভিসা অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনের প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনে কাগজপত্র ব্যবস্থা করে দিবেন। তবে কিছু নিয়ম আছে যেগুলো আপনাকে জানা প্রয়োজন।
ভিসা ধরণ নির্ধারণঃ প্রথমে ভিসার ধরনের ধারণা লাগবে, হিসেবে বলা যায় আপনি পর্যটন যাচ্ছেন অথবা কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন কিনা এ বিষয়ে বিবেচনা করা লাগবে।আবেদন ফরম পূরণঃ ইউরোপের দেশের সরকারের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করবেন এবং পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে যেমন পাসপোর্ট, ছবি, আর্থিক সাক্ষাৎকার ভ্রমণ প্রস্তুতের বিবরণ সংগ্রহ করতে হবে।
আবেদন ফিঃ অনেক দেশে ভিসা আবেদনের ফি দিতে হয়, যেটা আপনাকে দিতে হবে।
প্রতিষ্ঠান দলিল সংগ্রহঃ আপনার ভিসা আবেদনের জন্য যে প্রতিষ্ঠানের যাবেন, সেখানকার দলিল অফার লেটার অনুমতি ইত্যাদি বিষয় কাগজপত্র দিতে হবে।
ভিসা ইন্টারভিউঃ আপনাকে ভিসা ইন্টারভিউ দেওয়া লাগবে, ইন্টারভিউ বিষয় সাধারণত আপনার পরিকল্পনা এবং আবেদন প্রক্রিয়ার সাথে মিল আছে কিনা সেগুলো যাচাই করবে।
ইউরোপ দেশের ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া যদি জানতে চান, সেই ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের সরকারি ওয়েবসাইট আছে বা স্থানীয় দূতাবাস আছে। সেখানে আপনি থেকে জেনে নিতে পারবেন।
ইউরোপ যেতে বয়স কত লাগে
ইতোপূর্বে আমরা জেনেছি বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এখন জানবো এই দেশগুলোতে যেতে বয়সের সীমা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
এরপরে অনেক দেশ আছে এক দেশের একেক রকমের নিয়ম এবং ভিসা নীতি। শুধুমাত্র সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোতে ভিসা ক্ষেত্রে একই। সাধারণভাবে ইউরোপে কাজের উদ্দেশ্যে যদি যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনার বয়স হওয়া লাগবে ২১ থেকে ৫৫ বছর এর মধ্যে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে বয়স অনেক কম হলেও চলবে। ১৬ বছরের অধিক বয়সের যে কোন মানুষ একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক।
ইউরোপে যাওয়ার জন্য কত বছর বয়স লাগবে এ সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। আর যদি আপনি ইউরোপে যেতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার এ বিষয়ে জানা প্রয়োজন। ইউরোপ এমন একটি কান্ট্রি যেখানে প্রবেশ করতে অনেকেই পছন্দ করে কিন্তু যাওয়ার জন্য বয়স সম্পর্কে অনেকে জানে না।
ইউরোপে যেতে সাধারণত সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে। ওর পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে আপনি আবেদন করলে অবশ্যই ১৮ বছর হওয়া লাগবে। যদি আপনি ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার যেকোনো বয়সের হলেই চলবে।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ কাজ করতেই যেতে চায় সাধারণত সে ক্ষেত্রে অনেকে বসবাস করতেও স্বপ্ন দেখে। তারা অতি সহজে ভিসা পেতে পারেন, কাজের জন্য ভিসা করতে চান সেই ক্ষেত্রে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার বৈধভাবে ইউরোপে যাওয়া প্রয়োজন। আপনার অবশ্যই বয়সের মধ্যেই আপনাকে যেতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
অনেকে জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়? চলুন এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
এ ব্যাপারে এমন একটি দেশ যেখানে সবাই যেতে পছন্দ করে, যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম মহাদেশ যেখানে ৫০ টি মহাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তার মধ্যে ছয়টি আংশিকভাবে স্বীকৃত দেওয়া হয়েছে।
ইউরোপের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে সব দেশেই যেতে পারবে না। এখন বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশগুলোতে যেতে পারবেন, সে সম্পর্কে জানা খুবই দরকার নিম্নে উল্লেখ করা হলো;
ফ্রান্স, পর্তুগাল, জার্মানি, ইতালি, রোমানিয়া অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড পোল্যান্ড মাল্টা এ সকল দেশগুলোতে সহজ ভাবে বাংলাদেশের লোকজন ভিসা পাবেন।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি হয়তো ধারণা পেয়েছেন যে, এই দেশগুলোতে বাংলাদেশের লোকজন সহজভাবে ভিসা পেতে পারে এবং সেই দেশগুলোতে কাজ করতে পারবেন।
ইউরোপে যেতে কত টাকা লাগে
অনেকেই জানতে চায় যে, ইউরোপে যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। তাই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে চলুন জানা যাক।
পূর্ব ইউরোপ দেশঃ পূর্ব ইউরোপ দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া, ইউক্রেন আরমানিয়া আজারবাইজান ক্রোয়েশিয়া পোল্যান্ড রোমানিয়া, হাঙ্গেরি ইত্যাদি দেশগুলোতে যেতে স্টুডেন্ট ভিসায় খরচ হবে ৩ লাখ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত। ভিজিট ভিসা খরচ হবে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় খরচ হবে ৫ লক্ষ্য থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত।
পশ্চিম ইউরোপ দেশঃ গুলোর মধ্যে আইসল্যান্ড, আলবেনিয়া সাইপ্রাস ডেনমার্ক ফ্রান্স জার্মানি গ্রিস ইতালি পর্তুগাল ইত্যাদি দেশগুলোতে যেতে স্টুডেন্ট ভিসায় খরচ হতে পারে ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকার মত। ভিজিট ভিসায় খরচ হবে ১২ লক্ষ থেকে ১৬ লক্ষ টাকার মত। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় খরচ হবে ১২ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকার মত।
মধ্য ইউরোপ দেশঃ মধ্যে ইউরোপ দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড আয়ারল্যান্ড নেদারল্যান্ডস সুইজারল্যান্ড ইত্যাদি দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় খরচ হবে ৪ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত।
ভিজিট ভিসায় খরচ হবে ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় খরচ হবে ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত। ইউরোপে যেতে যে টাকাগুলো সম্পর্কে বলা হয়েছে হয়তো কম বেশি হতে পারে। আপনি অবশ্যই ভিসা এম্বাসি থেকে জেনে নিবেন। এই আলোচনা শুধুমাত্র আপনাদেরকে একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে।
ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এখন জানবো ইউরোপের কোন দেশগুলোতে সহজ ভাবে ভিসা পাওয়া যাবে। চলুন, নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
দেশের অধিকাংশ মানুষ ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়। কারণ ইউরোপের সেনজেনভুক্ত একটি দেশের ভিসা যদি আপনি পান। সেক্ষেত্রে ২৭ টি দেশে আর ভিসা লাগবে না ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে।
তাছাড়া ইউরোপের প্রায় সব দেশে জীবনযাত্রা অনেক উন্নত। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা অস্ট্রেলিয়া ইউরোপের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা ও ভিজিট ভিসা পাওয়া খুবই সহজ খরচ কম।
ফ্রান্সঃ ফ্রান্স অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত। এখানে টুরিস্ট ভিসা খুবই সহজ ভাবে দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভিসা প্রাপ্তির শর্ত পূরণ করতে হবে, ফ্রান্সের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া খুবই সহজ কিন্তু কাজের জন্য ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন। নিয়ম মেনে চেষ্টা করলে সহজেই আপনি ভিসা পাবেন।
পর্তুগালঃ অভিবাসীদের স্বর্গ নামে পরিচিত পর্তুগাল দেশ। কারণ পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়া খুবই সহজ ভাবে দিয়ে থাকে। তাছাড়া ভ্রমণ ভিসা ও পড়াশোনার জন্য ভিসা পাওয়া যেতে পারে। স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আইইএলটিএস স্কোর ৬.০০ থাকা লাগবে।
মাল্টাঃ এ দেশটি ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ, যার কারণে প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে এই দেশে কাজের জন্য আসে। ইউরোপের এই দেশটি কাজের জন্য ভিসা পাওয়া খুবই সহজ। বাংলাদেশ-ভারত থেকে অনেক লোক কাজের জন্য এ দেশে যায়। তাছাড়া টুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়াটাও সহজ ইউরোপের অন্য দেশগুলোর তুলনায়। এ দেশটিতে খরচ খুবই কম হয়ে থাকে।
সুইজারল্যান্ডঃ পর্যটনদের পছন্দের একটি দেশ সুইজারল্যান্ড। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে যায়। পর্যটকরা বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড যেতে পারে। বাংলাদেশের মানুষেরা সাধারণত টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডে যায়।
কারণ সুইজারল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসা দিয়ে থাকে অতি তাড়াতাড়ি কিন্তু কাজের ভিসা পেতে অনেকটাই কঠিন হয়। তাছাড়া পড়াশোনার জন্য ভিসা পাওয়া যেতে পারে অনেক সহজভাবে, এক্ষেত্রে আইইএলটিএস শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে।
হাঙ্গেরিঃ বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি পড়াশোনার ক্ষেত্রে অতি তাড়াতাড়ি দিয়ে ভিসা দিয়ে থাকে। অবশ্য কিছু শর্ত থাকে সে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। কাজের জন্য ভিসা চালু করা শুরু করেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে এবং যত কাগজপত্র সকল কিছুই পালন করা হচ্ছে।
নেদারল্যান্ডসঃ বর্তমানে নেদারল্যান্ডসের যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা সহজ ভাবে পাওয়া যায়। কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখলে জানা যায় যে শিক্ষার্থীরা নেদারল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে গিয়েছে। তারা অতি সহজে ভিসা পেয়েছে কিন্তু এক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর ৬.৫০ লাগবে।
লিথুয়ানিয়াঃ সুইডেনের বিপরীত দিকে অবস্থিত লিথুনিয়া, যা শিক্ষার হার প্রায় ৯৯ পারসেন্ট। বর্তমান বাংলাদেশ থেকে অনেক স্টুডেন্ট এই ভিসা নিয়ে যাচ্ছে দেশটিতে। তবে এখানে কাজের ভিসা অনেক কঠিন হয়।
লাটভিয়াঃ বালটিক সাগরের পূর্ব দিকে অবস্থিত, এই দেশটি এখানে স্টুডেন্ট ভিসা খুবই সহজ ভাবে পাওয়া যায়। তাছাড়া এই দেশটি কাজের জন্য ভিসা দেয়, সম্প্রতি প্রশিক্ষণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়।
যে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে এই দেশটিতে ভিসা বেশি পাওয়া যায় এবং সকল প্রক্রিয়া খুবই দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করতে পারে। এ ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় অনলাইনের মাধ্যমে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া চেয়ে এ দেশে যাওয়া খরচ কম হয়ে থাকে।
সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
সরকারি নিয়মে যদি ইউরোপে যেতে চান, সেক্ষেত্রে সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। কেননা বিভিন্ন দেশের নিয়মাবলী বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সরকারিভাবে আপনি যদি ইউরোপে যেতে চান।
সে ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ম গুলো মানতে হবে। তারপর আবেদন করা লাগবে প্রথমে সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার জন্য কত ধরনের ভিসা থাকে। সে সম্পর্কে জানতে হবে সাধারণত তিন ধরনের ভিসা হয়ে থাকে তা হল;
- স্টুডেন্ট ভিসা
- শ্রমিক ভিসা
- চাকরির ভিসা
স্টুডেন্ট ভিসাঃ স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যারা পড়াশোনা করছেন, সেই সকল ছাত্র-ছাত্রী স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আবেদন করবেন। এইভাবে যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের চাকরি করতে পারবেন।
এজন্য আমাদের দেশের অধিকাংশ ছাত্ররা স্টুডেন্ট ভিসা পছন্দ করে, তবে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য অবশ্যই আইএলটিএস করা লাগবে, এছাড়া স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করার অনুমতি পাবেন না।
শ্রমিক ভিসাঃ যদি আপনি যদি শ্রমিক ভিসায় ইউরোপে যেতে চান, সেখানে কৃষি কাজ করার জন্য তাহলে আপনাকে কৃষিকাজের উপরেই আবেদন করা লাগবে। এই বিষয়ে সাধারণত একজন ইউরোপ বসবাসকারীর ব্যক্তির অনুমোদন লাগবে, তাহলেই তাড়াতাড়ি ভিসা পাবেন। এক্ষেত্রে যদি ইউরোপে কৃষি কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে ভিসার জন্য আবেদন করা লাগবে।
চাকরির ভিসাঃ চাকরির ভিসা সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হিসেবে পরিচিত। এ ভিসা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করতে হয়। ওই প্রতিষ্ঠান যদি অনুমোদন দেয় তাহলেই পারমিট ভিসা পাবেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা শক্তিশালী এবং ক্ষমতা সম্পন্ন ভিসা। যা আপনি ইউরোপের বাসিন্দা হতে কাজে লাগবে।
যদি আপনি কাজ করেন তাহলে অবশ্যই আপনি ইউরোপে গিয়ে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও কিছু জানার জন্য সরকারি যে এমব্যাসিগুলো রয়েছে সেখানে গিয়ে আপনি জানতে পারবেন।
লেখকের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যেতে পারে যে, বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি ইউরোপে যেতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম কানুন মেনে যেতে হবে। অবৈধভাবে আপনার ইউরোপের দেশগুলোতে না যাওয়াই ভালো। তাই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আজকের এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনার উপকার হবে, পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url