গর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়া যাবে কি ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

অনেক গর্ভবতী মা জানতে চায় যে, গর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়া যাবে কি? তারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারবেন। চলুন,গর্ভবতী মায়েরা গরুর কলিজা খেতে পারবে কিনা, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অধিকাংশ গর্ভবতী মায়েরা গরুর কলিজা খেতে পছন্দ করে। কারণ এটা খেতে খুবই সুস্বাদু এবং অনেক পুষ্টি রয়েছে। কিন্তু এর ক্ষতিও আছে ,তাই গর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়া যাবে কি? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়া যাবে কি ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

গর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়া যাবে কি

অনেকে জানতে চায় যে, গর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়া যাবে কি? চলুন, তাহলে গর্ভবতী মায়েরা কলিজা খেতে পারবে কিনা ও উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

গরুর কলিজা বা লিভার অনেক পুষ্টিকর খাদ্য, যা বিশেষ করে মেয়েদের শরীরের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। তাদের শরীরের ভিটামিন-এ, আয়রন এর চাহিদা পূরণ করে থাকে। আর এগুলোর উৎস হলো কলিজা, যার কারণে অনেক গর্ভবতী মায়েরা পুষ্টি পাওয়ার আশায় অতিরিক্ত পরিমাণে কলিজা খেতে থাকে, যার কারণে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস কলিজা খাওয়া যাবে না। প্রথম তিন মাসে ভ্রণের অঙ্গগুলি গঠন হয়ে থাকে। এজন্য এ সময় অতিরিক্ত ভিটামিন-এ খাওয়ার কারণে জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে। শিশুর এক বা একাধিক জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
তিন মাস পূর্ণ হয়ে গেলে এরপরে সুস্থ মায়েরা সপ্তাহে দুইবার ৭৫ গ্রাম করে কলিজা খাওয়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে মুরগির কলিজা খেলে ভালো হয়। কেননা গরু, খাসির কলিজার তুলনায় মুরগির কলিজার মধ্যে রেটিনল কম থাকে যার কারণে ক্ষতিও কম হয়।

যেসব গর্ভবতী মায়েরা অপুষ্টি জনিত সমস্যায় রয়েছেন, তারা ডাক্তারের পরামর্শক্রমে প্রথম তিন মাস পূর্ণ হয়ে গেলে তারপর প্রতি সপ্তাহে ৭৫ গ্রাম করে কলিজা খাওয়া যেতে পারে। এজন্য তাদের ভিটামিন-এ' এর চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি আয়রন এবং অন্যান্য ভিটামিন খনিজ লবণ এর চাহিদা পূরণ করবে।

যে কোন প্রাণীর লিভার, সেটা হতে পারে পশুর বা মাছের তার মধ্যে উচ্চমাত্রায় রেটিনল রয়েছে। রেটিনল হলো টেরাটোজনিক উপাদান, যদি একজন গর্ভবতী মা গ্রহণ করে। সেই ক্ষেত্রে ভ্রনের ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় যেকোনো ধরনের কলিজা খাওয়া থেকে সাবধান হতে হবে।

গর্ভাবস্থায় গরুর ভুড়ি খাওয়া যাবে কিনা

অধিকাংশ নারী পছন্দ করে গরুর ভুরি কিন্তু গর্ভাবস্থায় গরুর ভুড়ি খাওয়া যাবে কিনা? এ সম্পর্কে অনেকেই জানে না। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

গরুর মাংসের তুলনায় গরুর ভুরি যদি একজন গর্ভবতী মা খায়, সেক্ষেত্রে অনেক ক্ষতি হতে পারে। কারণ এর মধ্যে কিছু ক্ষতিকর বস্তু রয়েছে,যা গরুর মাংসের চেয়ে বেশি ক্ষতি রয়েছে। তবে উপকারও রয়েছে খুবই কম।

এর মধ্যে থাকে জিংক, সেলেনিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। যা তার শরীরের জন্য উপকার করে থাকে। তবে গর্ভবতীর জন্য এই ভুড়ি বিপদজনক হতে পারে।

গর্ভবতী নারীদের এই সময়ের প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম থাকে এবং তাদের হার্ট খুবই কম কাজ করে। এই কলিজার মধ্যে সেলেনিয়াম থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। এতে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং বাচ্চারও হার্টবিট কমে যেতে পারে। এজন্য পরিমাণ মতো খেতে হবে, তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শে খেলে ভালো হয়।

গরুর ভুড়ির মধ্যে দুই রকমের চর্বি রয়েছে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট আরেকটি হলো ট্রান্সফার ফ্যাট। স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা ১.৩ গ্রাম এবং ট্রান্সফার্ডের মাত্রা ০.২ গ্রাম থাকে। এর কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হতে পারে।

এ অবস্থায় গর্ভবতী মা যদি এই কলিজা খায়, সেক্ষেত্রে তার স্বাভাবিক ওজনের চাইতে বেশি হতে পারে। এতে বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তবে গর্ভবতী মহিলা কলিজা খেতে পারবে পরিমাণে খুবই কম, তবে খাওয়ার আগে ভালো করে পরিষ্কার ও সিদ্ধ করে নিতে হবে। কেননা গরুর কলিজায় প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে, যার কারণে আমাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় গরুর মাংস খেলে কি হয়

অনেকে জানতে চায় যে গর্ভাবস্থায় গরুর মাংস খেলে কি হয়? চলুন, জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় গরুর মাংস খাওয়ার কারণে কি হতে পারে। এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ছবি
গরু, ভেড়া ও ছাগলের মাংস এর মধ্যে কিছু পুষ্টি উপাদান থাকে, যা গর্ভবতী নারীদের অনেক উপকার হয়। এছাড়াও সন্তান নেওয়ার পূর্বেই দম্পতিদের চিন্তা করা উচিত যে, তার স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য যে সকল খাবার খাওয়া প্রয়োজন, সে সকল খাবার সম্পর্কে জানতে হবে। এজন্য বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন এই অবস্থায় লাল মাংস বা গরু, ভেড়া, ছাগলের মাংস খাওয়া যেতে পারে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, লাল মাংসের গুণাগুন ও পুষ্টি নিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত পেশাদারগণ গবেষণা শুরু করেছেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, লাল মাংস খাওয়ার কারণে নারীদের গর্ভধারণ ক্ষমতা বাড়তে পারে।

এই কথাটি অনেক যুগ যুগ ধরেই চলে আসছিল লোক মুখে মুখে থেকে। এখন বৈজ্ঞানিকরা এই বিষয়টা গবেষণা করে দেখছেন যে, লাল মাংস এমন কিছু উপাদান আছে, যা সত্যি গর্ভধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
গবেষকরা বলেছেন সারা বিশ্বে প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্তির স্বল্পতার কারণে নারী-পুরুষের খাদ্যে গ্রহণ করার প্রবণতা কম থাকে কিন্তু আরও একটি গবেষণায় আবার বলা হয়েছে যে, নারী পুরুষের প্রজনন সংক্রান্ত জটিল সমস্যা আছে।

এবং নারীদের হঠাৎ করে গর্ভপাত হওয়া, ভ্রনের জটিলতা দেখা দেওয়া। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে অনেক সময় বাচ্চা প্রসব হয়ে যায়, এই ধরনের সকল সমস্যার হয়ে থাকে সাধারণত সেলেনিয়াম এর ঘাটতির কারণে।

গরু, ভেড়া ও ছাগলের মাংস এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ সেলেনিয়াম থাকে, যা প্রাপ্তবয়স্কদের প্রজননের স্বাস্থ্যের উন্নত করতে পারে। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন বি ৬ অনেক দরকার হয়ে থাকে। কারণ এগুলো হরমোনের স্বাভাবিক ক্রিয়ায় সাহায্য করতে পারে। তাই এসব লাল মাংস ভিটামিন ৬ এর চাহিদা পূরণ করে থাকে।

এজন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রে বা উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়ে দেয় যে, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা সপ্তাহে যেন ৫০০ গ্রাম রান্না করা লাল মাংস খেয়ে থাকে। তারা সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ বার এই খাবার রান্না করার চেষ্টা করে। বিশেষ করে গরু, ভেড়া, ছাগল ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, এই ধরনের মাংসের মধ্যে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল গর্ভাবস্থায় শরীরের বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকলে, এই মাংস খাওয়া যাবে কিনা। এটা একজন চিকিৎসকের পরামর্শ করে আপনি খেয়ে নেবেন।

গর্ভাবস্থায় ছাগলের মাংস খাওয়া যাবে কি

মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দুরা সাধারণত ছাগলের মাংস খেয়ে থাকে, তাই গর্ভাবস্থায় ছাগলের মাংস খাওয়া যাবে কি? এ সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

খাসির মাংসের মধ্যে প্রোটিন, আয়রন থাকে। যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাওয়ানো যায়। সে ক্ষেত্রে এই আয়রন ও প্রোটিন এর ভালো উৎস হতে পারে। তবে গরু, খাসি ও ছাগলের মাংসে তুলনামূলক বেশি চর্বিযুক্ত।

যা খাওয়ার কারণে গর্ভবতী মায়ের ওজন বেড়ে যেতে পারে, হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাসির মাংস অনেক বেশি না খেয়ে পরিমাণ মত খাওয়ার চেষ্টা করবেন। খাওয়ার সময় চর্বি ছাড়া মাংস খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

প্রোটিনের চাহিদার জন্য খাসির মাংস খেতে পারেন। এর পরে মাছ, ডিম, ডাল ও মুরগির মাংস খেতে পারেন। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার যদি খাওয়া হয় সেক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়েদের ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি হাড়ের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এজন্য খাসির মাংস বেশি একটা খাবেন না।

গরুর, মুরগি কিংবা খাসির মাংস রান্না করার ক্ষেত্রে ভালো করে সিদ্ধ করতে হবে, কারণ এগুলো থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে হবে। কেননা এ সকল ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ক্ষতি হতে পারে। যা গর্ভপাত, অকাল প্রসব গুরুতর অসুস্থতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খুব উচ্চমাত্রার মাংস না খাওয়াই ভালো।

গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না

এখন জানবো গর্ভাবস্থায় যে সকল খাবার খাওয়া যায় না। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

অল্প সিদ্ধ মাছঃ গর্ভাবস্থায় অনেকে মাছ খেতে পছন্দ করে, এক্ষেত্রে মাছ খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কেননা রান্না করার সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন মাছ কাঁচা না থেকে যায়। অল্প সিদ্ধ না হয়, কারণ অল্প সিদ্ধ হলে এতে জীবাণু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই জীবাণু জটিল অসুখ তৈরি করতে পারবে। এক্ষেত্রে নোরো ভাইরাস, ভিব্রীয়, লিস্টেরিয়া ইত্যাদি ধরনের জীবাণু মায়ের শরীরে ক্ষতি করতে পারে।

কমসিদ্ধ মাংসঃ আপনি মাংস যদি কম করে সিদ্ধ করেন এতে শরীরে ভীষণ ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া ও প্যারাসাইটস থাকে যেমন টেক্সোপ্লাজমা ই-কলি লিস্টরিয়া ইত্যাদি ধরনের। এইগুলো থাকার কারণে সংক্রমনের সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। আর এই ধরনের সংক্রমণ থেকেই স্টিল বার্থ অসুখ, স্নায়ুর সমস্যা, চোখের সমস্যা, মৃগী রোগ ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

কম সিদ্ধ ডিমঃ যদি আপনি ডিম কম সিদ্ধ করে খান, সে ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর কারণে শরীরের মধ্যে আপনার সালমনেল্লা নামক ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। এর কারণে ব্যাকটেরিয়া জ্বর, বমি, পায়খানা, পেটের ব্যথা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা গর্ভবতীর জন্য এটা খুবই ক্ষতিকর এবং একদমই ঠিক হবে না।

কফি পানঃ অনেকেই কফি পান করতে পছন্দ করে কিন্তু গর্ভাবস্থায় অভ্যাসটি ছেড়ে দিতে হবে। কেননা এই সময়ে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি চা বা কফি খাওয়া যাবে না। এতে ক্ষতি হতে পারে, এমনকি গর্ভস্থ শিশুরও ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।

এ সময় আরেকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, সেটা হলো অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস খাওয়া যাবে না। এতে ভ্রনের অ্যালকোহল সিনড্রোম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং জন্মের পরে শিশুর হার্টের সমস্যা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় মুরগির মাংস খাওয়া কতটা নিরাপদ

গর্ভবতী মায়েরা অনেকেই মুরগি খেতে পছন্দ করে, তবে গর্ভাবস্থায় মুরগির মাংস খাওয়া কতটা নিরাপদ। এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ছবি
মুরগির মাংসের মধ্যে উচ্চ পুষ্টি থাকে যা আমাদের প্রোটিন এবং নয়টি অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিড এর কাজ করে থাকে। এতে করে উভয় পেশিগুলো আমাদের গঠন করতে সাহায্য করে। মুরগির মাংসের মধ্যে চর্বি কম থাকার কারণে মানবদেহের স্থূলতার সমস্যা হয়না। যা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ক্ষেত্রে ভালো একটি উপকার করে থাকে।

গর্ভবতী মহিলাদের মুরগির মাংস খাওয়ার কারণে পূর্বে অবশ্যই ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে।এদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, কেননা কাঁচা বা পুরোপুরি রান্না না হওয়া মুরগির মাংস খেলে গর্ভবতী মহিলাদের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।

এতে লিস্টরিয়া নামক একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা শরীরে ক্ষতি করতে পারে। এই মুরগির মাংস ১৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা দিয়ে রান্না করতে হবে। তাহলে মাংসের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া গুলো মরে যাবে, এর ফলে মুরগির মাংস খেলে নিরাপদ হবে।

মুরগির মাংসের মধ্যে এমন কোন রকম ক্ষতিকারক পুষ্টি উপাদান নাই, যা গর্ভবতীর জন্য ক্ষতি হতে পারে। এজন্য গর্ভাবস্থায় এই খাদ্যটি নিরাপদ ভাবে খেতে পারেন।
মুরগির মাংস গর্ভবতীদের খাওয়ার ক্ষেত্রে একটি ঝুঁকি হলো লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া। যা দূষিত হয়ে গর্ভবতীর মহিলাদের ক্ষতি করতে পারে। যেমন গর্ভপাত হওয়া, নবজাতকের সংক্রমণ হওয়া। এমনকি অকাল মৃত্যুর দিকে যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে ২২% জন্ম পূর্ববর্তী লিস্টরিয়ার ক্ষেত্রেই নবজাতকের মৃত্যু হতে পারে।

গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বিষয় নয় তবে গর্ভবতী মহিলারা গর্ভবতী হওয়ার নয় এমন মহিলাদের তুলনায় এই ধরনের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়।

গর্ভবতী মহিলারা মুরগির মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ১৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দিয়ে ভালো করে সিদ্ধ করে নিয়ে তারপরে খাবেন। তাহলে আপনার শরীরের উপকার হবে একজন গর্ভবতী মহিলার সর্বদা রান্না করা মুরগির মাংস খাওয়া যাবে। তবে অবশ্যই অর্ধ সিদ্ধ রান্না করা মাংস খাওয়া যাবে না, এতে ক্ষতি হতে পারে।

হবু মায়েরা রেডিমেট বা রান্না করা মাংস বাজার থেকে কিনতে পাওয়া যায় বা বিভিন্ন ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করে খেতে পছন্দ করে। এইটা কখনোই খাবেন না এতে আপনার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এর মধ্যে স্যান্ডউইচ বার্গার এবং পিজ্জা আরো অনেক খাবার রয়েছে যার মধ্যে এই মাংসগুলো দিয়ে থাকে। তাই এগুলো খাবার থেকে বিরত থাকবেন, এগুলো সাধারণত রান্না করার সময় বেশি একটা সিদ্ধ করে না, যার কারণে এই ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়।

তবে যাই হোক গর্ভাবস্থায় আপনি সকল রকমের খাদ্য খেতে পারবেন, সে ক্ষেত্রে ভালো করে সিদ্ধ করে নিয়ে রান্না করলে সমস্যা হবে না। তবে এক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ায় সবচাইতে ভালো হয়।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়া যাবে কি ও কতটা নিরাপদ

পরিশেষে বলা যায় যে, গর্ভাবস্থায় সব খাবার খাওয়া যাবে। তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে খেতে হবে। তাই এতক্ষণে হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে, গর্ভাবস্থায় গরুর কলিজা খাওয়া যাবে কি? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনার উপকার হবে। তাই পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪