সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ও বেতন কত জেনে নিন

অনেকে জানতে চায় সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। কারণ অনেকে বিভিন্ন দালালের খপ্পরে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সরকারিভাবে যাওয়াই ভালো। চলুন, কিভাবে সরকারিভাবে জাপানে যাওয়া যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
জাপানে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন এজেন্সি আছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তারপরে যেতে পারেন। অথবা সরকারি ভাবেও যেতে পারেন। তাই সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃসরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় ও বেতন কত জেনে নিন

জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি

অনেকেই জানতে চায় যে, জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি? বিশ্বের মধ্যে জাপান অর্থনীতির দিক অনেক এগিয়ে রয়েছে। তাই ওই দেশে অনেক কাজের সুযোগ আছে, যারা কাজের ভিসার নিয়ে জাপানে যায় বা যেতে চাচ্ছেন, তারা অবশ্যই জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

এছাড়াও আপনাদের দক্ষতা থাকতে হবে, যে কাজের উপরে আপনি যাবেন। আর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা যদি থাকে, তাহলে আপনি অনেক টাকা বেতন পাবেন। যে কাজগুলোর চাহিদা বেশি সেগুলোর মাধ্যমে আপনি অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন। নিম্নে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো,
  • কনস্ট্রাকশন শ্রমিক হিসেবে যেতে পারেন
  • প্লাম্বার এর কাজ করতে পারেন
  • কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করতে পারেন
  • ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতে পারেন
  • মেকানিক্স এর কাজ করতে পারেন
  • ক্লিনার এ কাজ করতে পারেন
  • নার্সের জব করতে পারেন
  • ফুড প্যাকেজিং কাজ করবেন
  • বিক্রয় কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারেন
  • ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতে পারেন।
  • ফ্যাক্টরির কাজ
  • কৃষি কাজ করতে পারেন।
উপরোক্ত এই কাজগুলোর মধ্যে যদি আপনার দুই একটি কাজ এর অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে সে কাজের উপর আপনি ভালো দক্ষতা থাকলে বেশি বেতন পাবেন। তাই জাপান যাওয়ার আগে অবশ্যই উপরোক্ত কাজের গুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো দুই একটা কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনি যাবেন। তাহলে আপনার কাজের দক্ষতা থাকলে এই কাজগুলো পাবেন এবং ভালো সেলারিতে চাকরি করতে পারেন।

সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায়

আপনি বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে জাপানে না গিয়ে সরকারিভাবে যেতে পারেন, তাই সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।

সরকারিভাবে জাপানের যদি যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে টিটিসি কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এরপর আবেদন করবেন, এক্ষেত্রে আপনি যদি টিটিসি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬ মাস ট্রেনিং নিতে পারেন। 

তাহলে পরবর্তীতে আইএম জাপান পরীক্ষা দিয়ে জাপানে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হবেন। তাই শারীরিক যোগ্যতা হিসেবে ছেলেদের জন্য ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি এবং মেয়েদের জন্য ৪ ফিট ১১ ইঞ্চি হতে হবে। তাহলে আপনি প্রাথমিক পর্যায়ে নির্বাচিত হবেন।

এক্ষেত্রে আপনার জেনে রাখা ভালো যে ছয় মাস ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আপনি জাপানে যাওয়ার জন্য যে ভাষা শিখবেন।

তা টিটিসির মাধ্যমে আপনি ভাষা শিখতে পারবেন, জাপানে যাওয়ার জন্য পরীক্ষায় এটেন্ড করা লাগবে। যদি আপনি নির্বাচিত হতে পারেন, সে ক্ষেত্রে সরকারিভাবে জাপানে যাওয়ার অনুমতি পাবেন।
তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএমইটি এর মাধ্যমে যেতে পারবেন। এজন্য প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং একটি একাউন্ট করে নিতে হবে।

তারপর আপনাকে রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড দেওয়া লাগবে। অবশ্যই এর সাথে প্রদান করা লাগবে, একাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে জাপানের চাকরির সার্কুলার প্রকাশ করলে আবেদন করা লাগবে। আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বা অফ লাইনের মাধ্যমে আবেদন পত্র জমা দিবেন।

লিখিত মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে বাছাই করা হবে। সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থী চূড়ান্ত নির্বাচন করবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে জাপানের কাজের জন্য তারা প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ করলে বিএমইটি কর্তৃপক্ষ তাদেরকে জাপানে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিবে এবং ব্যবস্থা করবেন।

স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায়

ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। এখন জানবো স্টুডেন্ট ভিসায় জাপানে যাবেন কিভাবে, নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

জাপানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবছরে প্রায় কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী পড়তে যায়। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় অল্প খরচে উচ্চ শিক্ষা নেওয়া যায়। জাপানে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজও করা যায় এবং ফুলটাইম চাকরির ব্যবস্থা আছে।

পৃথিবীর সেরা ২০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় জাপানে আছে। জাপান ভ্রমণের জন্য পৃথিবীর সেরা দেশ যত রয়েছে, তার মাঝে অন্যতম জাপানে বহু ভাষাভাষী মানুষ আছে। যা আপনাকে সহজে নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিবে। জাপানের সংস্কৃতি ও আবহাওয়া আপনাকে কর্মঠ করে তুলতে সাহায্য করবে।

যে ধরনের ভিসা আপনার জন্য ঠিক হবে, জাপানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য ভিসা আবেদন করার আগে আপনি কোন ধরনের ভিসার জন্য প্রযোজ্য হবে। সেটা জানা প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন মেয়াদের কোর্স রয়েছে। মেয়াদের উপর নির্ভর করে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

শর্ট টার্ম ৯০ দিনের জন্য ভিসাঃ যদি আপনি অল্প সময়ের মধ্যে কোর্স করতে চান, সেই ক্ষেত্রে কোর্সের মেয়াদ ৯০ দিনের জন্য আছে। সে ক্ষেত্রে আপনি আবেদন করতে পারেন, আপনার পাসপোর্ট এর উপর একটি স্টিকার লাগানো থাকবে।

যার মাধ্যমে ইমিগ্রেশন অফিসে যেন তারা বুঝতে পারবে যে আপনি ৯০ দিনের জন্য জাপানে ভিসার অনুমতি দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আপনি চাইলে ছোটখাটো কোর্স করবেন যেমন ভাষা শিক্ষা কম্পিউটার ট্রেনিং শেফ কোর্স ইত্যাদি।

এই ধরনের ভিসাকে ৯০ দিন মেয়াদী এই ধরনের ভিসাকে 'ভিসা ওয়েভার' হিসাবে বলা হয়ে থাকে। এ সময় আপনি শুধুমাত্র এক দুইটি কোর্স করার অনুমতি পাবেন। মাত্র ৯০ দিনের জন্য আপনি এ ধরনের ভিসা নিতে পারেন, তারপর সকল দেশের ভিসা অনেক দেশে দিয়ে থাকে না।

যদি কোন দেশে দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি আবেদন করতে পারেন। তবে বাংলাদেশের লোকজন এটা আবেদন করতে পারবে।

মিড টার্ম ৯০ দিন থেকে ২০ সপ্তার জন্য ভিসাঃ আপনার কোর্স যদি ৯০ দিনের বেশি অর্থাৎ ২০ সপ্তাহ মধ্যে করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অবশ্যই ২০ সপ্তাহের মধ্যেই হতে হবে। জার্মানি আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ইউনাইটেড কিংডম এই দেশগুলোর অধিবাসী বা পাসপোর্ট এ ধরনের ভিসা পেতে পারেন।

অন্য দেশের ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা ব্যতিক্রম হতে পারে, যদি আপনি উপরে এই দেশগুলো ছাড়া অন্য দেশের অধিবাসী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি জাপানে পৌঁছানোর দিন থেকে শুরু করেন ৯০ দিন জাপানে কোন ঝামেলা ছাড়াই অবস্থান করতে পারবেন। ৯০ দিন পরে জাপানে বসবাস করার অনুমতি পাবেন না।

এই সমস্যাটাকে বলা হয়ে থাকে 'ভিসা রান' এ সমস্যার সমাধান করার জন্য আপনাকে জাপানের আশেপাশের যেকোনো একটি দেশের যেমন কোরিয়া হতে পারে আর সেখান থেকে পুনরায় আবার জাপানের ভিসা করা লাগবে। এই ধরনের ভিসা কে বলা হয় 'রি এন্ট্রি'।

যেহেতু আপনার স্কুল কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় ২০ সপ্তাহের কোন কোর্স থাকবে না। তাই আপনাকে উপরের সমস্যাগুলো অর্থাৎ ভিসার রান সংক্রান্ত সমস্যা, তাছাড়া রি এন্ট্রি এর মাধ্যমে আপনাকে ভিসা করা লাগবে। যদিও জাপান করতে পারতো, তবে এই সমস্যা মেনে নিতে চায় না।

লং টার্ম ২০ সপ্তাহ থেকে ২ বছরের ভিসার জন্যঃ যদি আপনি দুই সপ্তাহের বেশি দিন অর্থাৎ দুই বছরের কম এরকম ভিসা করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনি দুই বছরের জন্য করতে পারবেন। ১২ বছরের মধ্যে কোন শিক্ষার্থী এই ভাষা আবেদন করতে পারবেন।

জাপান যেতে কত টাকা লাগে

জাপানে যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই জাপান যেতে কত টাকা লাগে? চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বর্তমানে জাপান কাজের জন্য ভিসা যদি করেন সে ক্ষেত্রে ৩৫০০ জাপানি ইয়েন লাগবে। বাংলাদেশী টাকায় জাপান যাওয়ার খরচ হবে ১১ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মত। বর্তমান সরকারি ভাবে ব্যতীত জাপান স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে জাপানে যাওয়ার জন্য ১১ থেকে ১৫ লাখ টাকার মত খরচ হয়।

বর্তমান সময় বিমান ভাড়া এবং প্রসেসিং খরচ সহ আরো অনেক কিছুই বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জাপানের ভিসার লেটার পাঠানোসহ বিভিন্ন ধরনের এম্বাসি খরচ যার কারণে আগের তুলনায় অনেক টাকা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অন্যান্য যে কোন ভিসার চাইতে অনেকটা দাম বেশি।

সরকারিভাবে জাপানে যাওয়ার খরচ কম হবে এবং বেসরকারিভাবে জাপানে যাওয়ার খরচ ভিন্ন রকম হবে। তাই আপনি যদি সরকারিভাবে জাপানে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে প্রসেস অন্যরকম হতে পারে এবং খরচ আরেকটা কমবে। বেসরকারি যদি ভাবে যেতে চান সে ক্ষেত্রে খরচ বেশি লাগবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজের ভিসার জন্য কত টাকা লাগতে পারে।
  • জাপান ভিসা জন্য কাজের ভিসার জন্য খরচ হবে ১১ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকার মত।
  • স্টুডেন্ট ভিসায় যদি জাপান যেতে চান সেই ক্ষেত্রে খরচ হবে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার মত
  • আপনি যদি জাপান বিজনেস ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে খরচ হবে ১০ থেকে ১৮ লাখ টাকার মত।
  • জাপান টুরিস্ট ভিসায় যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৮ লাখ টাকার মত লাগবে।
  • ফ্যাক্টরি ভিসায় যদি যেতে চান তাহলে খরচ পড়বে ১০ থেকে ১৪ লাখ টাকার মত।
এখানে যে ভিসার নাম গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো মূলত বেসরকারিভাবে যদি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে একটু বেশি। আর সরকারিভাবে যদি যেতে চান তাহলে খরচ কিছুটা কমবে, কেননা বেসরকারি খরচ একটু বেশি হয়ে থাকে তাই আপনি কম খরচে যেতে চান তাহলে সরকারিভাবে যাওয়া লাগবে।

বিভিন্ন কাগজ পাতির ঝামেলা ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ঝামেলা থাকে, সেগুলো বিভিন্ন এজেন্সি এই সমস্যার সমাধান করে থাকে। তাই সাধারণ জনগণের জন্য এগুলো সমস্যার কঠিন হয়ে যায়। তাই এজেন্সির মাধ্যমে এ কাজগুলো করলে আপনার খরচ একটু বৃদ্ধি পাবে।

মূলত জাপানে কাজে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে খরচটা একটু বেশি হতে পারে। বর্তমানে কাজের ভিসা বাংলাদেশ থেকে খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। তাই বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে প্রসেসিং করে, আপনার কাজ রেডি করে দিবে। আর যদি সরকারের মাধ্যমে প্রসেস করতে চান, তাহলে আপনার অবশ্য বৈধ কিছু কাগজপত্র রেডি করা লাগবে, সাথে অবশ্যই কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।

তারপরে আপনি জাপানে যাওয়ার অনুমতি পাবেন। জাপানের সকল ধরনের কাজ ভিসা পাওয়া যায়, এক্ষেত্রে আপনারা যারা যেতে চান অবশ্যই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে থেকে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। আগে প্রশিক্ষণ নেওয়া লাগবে, ধরুন আপনি ইলেকট্রিক্যাল কাজের উপর জাপানে যাবেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করে সার্টিফিকেট নিয়ে তারপরে যেতে হবে। 

সরকারিভাবে নিবন্ধন খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে, উক্ত খরচের মধ্যে সরকারিভাবে যাওয়ার প্রসঙ্গে বলা হবে। সে ক্ষেত্রে ১১ থেকে ১৫ লাখ টাকার মত খরচ হবে। বাংলাদেশের মাধ্যমে সকল প্রশংসা করা হচ্ছে এই ক্ষেত্রে কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তো ভালো এজেন্সির মাধ্যমে লোকগুলো বিদেশে যেতে পারছে।

জাপানের সর্বনিম্ন বেতন কত

বাংলাদেশে অনেক মানুষই জাপানে যেতে চায়, তাই অনেকে জানতে চায় যে, জাপানের সর্বনিম্ন বেতন কত? নিম্নে জাপানের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

জাপানে সাধারণত ঘন্টায় হিসাবে বেতন নির্ধারণ করা হয়, এ দেশটির জেলা অনুযায়ী সর্বনিম্ন প্রতি ঘন্টায় বেতন দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে কম বেশি হওয়া হতে পারে, দেশটির রাজধানী টোকিওতে কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রতি ঘন্টায় বেতন দিয়ে থাকে ১১১৩ ইয়েন।

আবার প্রতি ঘন্টায় করা যায় কম বেতন দেওয়া হয় যেমন ৭৯০। এদেশের সপ্তাহে আপনাকে চল্লিশ ঘন্টা কাজ করার অনুমতি পাবেন। সপ্তাহে একদিন ছুটি দেবে, দেশটিতে আপনি প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১৫ ঘণ্টা এবং মাসে ৪৫ ঘণ্টার মতো। ওভার টাইম করার সুযোগ পাবেন।

জাপানে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার মতো বেতন পেয়ে থাকে। প্রবাসীদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য হওয়া লাগতে পারে। তাই জাপানি কোন প্রবাসীর কাছ থেকে সঠিক তথ্যটা জানা আপনার প্রয়োজন।

ওভার টাইম করার মাধ্যমে আপনি বেতন বেশি পেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে গড়ে মাসে বেতন হতে পারে ৩৪৭০ ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মত। তাই আপনি কাজের জন্য জাপানে যদি যেতে চান, সেক্ষেত্র ৯ সে ১ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

জাপান যেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা

আপনি যে জাপানে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগা প্রয়োজন। তাই জাপান যেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বর্তমানে অনেকেই বাংলাদেশ থেকে জাপানে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চায় কিন্তু অনেকে জানে না। বাংলাদেশ থেকে জাপানে যাওয়ার জন্য কতটুকু শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে, এজন্য জাপানে যাওয়ার জন্য কি কি সার্টিফিকেট আপনার প্রয়োজন। তাছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সমস্ত বিষয় জানা দরকার, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় জাপানে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই জাপানের কিছু নীতিমালা মানতে হবে। যেমন আপনি যদি জাপানে যান তাহলে যেতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ লাগবে। ভিসা করার সময় কেন পড়াশোনা করা ছাড়া এখন কেউ জাপানে প্রবেশ করার অনুমতি পাবে না।

আপনি যদি জাপানে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সর্বনিম্ন হলেও এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট লাগবে। আপনি আরো ভালো মানের যদি জব করতে চান সেই ক্ষেত্রে মাস্টার অথবা ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট দরকার হবে। জাপানে ভালো মানের জব করতে গেলে অবশ্যই আপনার উচ্চশিক্ষিত হতে হবে।
জাপানে যাওয়ার জন্য আপনাকে নূন্যতম মানের গুণ গুলো অবশ্যই থাকতে হবে, নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • জাপানি স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার এসএসসি পাশে যে কোন বিভাগের বিজ্ঞান মানবিক অথবা ব্যবসা শিক্ষার যে কোন একটি সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
  • তাছাড়া আপনার জাপান যাওয়ার জন্য উচ্চতা প্রয়োজন কমপক্ষে ৫ ফুট ২ ইঞ্চির মত উচ্চতা হতে হবে।
  • এছাড়া আপনার বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হওয়া লাগবে, তাহলে আপনি জাপানে যাওয়ার অনুমতি পাবেন।
  • আপনার মেডিকেল টেস্ট এর রিপোর্ট প্রয়োজন হবে, অবশ্যই রিপোর্ট ভালো হতে হবে।
  • বর্তমানে এখন স্টুডেন্ট ভিসা যাওয়ার ক্ষেত্রে করোনার ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
  • জাপানে যাওয়ার জন্য শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে এবং কাজ করার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।
  • যিনি জাপানে যাবেন তার জাপানে যাওয়ার পূর্বে আবেদন করার করতে হবে এবং নিজের জাপানি ভাষা সার্টিফিকেট প্রয়োজন লাগবে।
  • এছাড়া আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অবশ্যই বাধ্যতামূলক থাকতে হবে, তাছাড়া আপনি কোন ভাবে জাপানে যাওয়ার অনুমতি পাবেন না।

জাপান যেতে কি কি লাগে

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। চলুন, এখন জেনে নেওয়া যাক জাপানের যাওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র লাগে। সেই সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
ছবি
  • জাপানি ভাষায় দক্ষতার সার্টিফিকেট লাগবে
  • ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হওয়া লাগবে
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হবে
  • এসএসসি সনদের সার্টিফিকেট দরকার হবে
  • জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করতে হবে
  • উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হওয়া লাগবে
  • বৈধ পাসপোর্ট লাগবে
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন হবে
  • স্বাস্থ্য সনদের প্রয়োজন।
জাপান যাওয়ার জন্য পড়াশোনার দরকার তা হল ভিসা ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে থাকে। স্টুডেন্ট ভিসায় যদি আপনি জাপানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান, সে ক্ষেত্রে সার্কুলার অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন হবে।

তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যদি যেতে চান তাহলে ন্যূনতম আপনাকে এসএসসি পাস করা প্রয়োজন হতে হবে। কোম্পানির কাজের ধরন অনুযায়ী আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কমবেশি হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে কত সময় লাগে

অনেকে জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে কত সময় লাগে? তাই চলুন, সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশ থেকে আগে যখন জাপানে যাওয়া হতো, সেই ক্ষেত্রে অনেক সময় লাগতো। এজন্য তখনকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা ধীরগতি ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে জাপানে যাওয়ার জন্য সময়ের লাগে ৬ ঘন্টা।

তবে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের বিমানের বিভিন্ন ভিতরে কোন কাজকর্মের মাধ্যমে হয়তো ৬ ঘন্টা আর একটু কম বেশি হতে পারে। তাই আপনি অবশ্যই একটু বেশি সময় হাতে নিয়ে বের হবেন। এরকম চিন্তা ভাবনা করে হাতে সময় রেখেই আপনাকে কাজ করতে হবে। আশা করি বাংলাদেশ থেকে জাপানে যাওয়ার জন্য সময় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

লেখকের শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় যে, আপনি যদি জাপানে সরকারি ভাবে যেতে চান, সেক্ষেত্রে জানা প্রয়োজন। তাই সরকারি ভাবে জাপান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই দালালের মাধ্যমে বিদেশ না গিয়ে সরকারিভাবে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন, পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪