ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় ও ক্রিম সম্পর্কে জানুন
অনেকে জানতে চায় ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। বিভিন্ন কারণে আপনার ঠোঁটের রং কালো হতে পারে। চলুন, ঠোঁটের রং কালো দূর করতে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
নারী বা পুরুষ উভয় বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করার কারণে অনেক সময় তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঠোঁটের রং কালো হতে পারে। তাই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় ও ক্রিম সম্পর্কে জানুন
ঠোঁটের চারপাশে কালো দাগ কেন হয়
অনেকের বিভিন্ন কারণে ঠোঁট কালো দাগ দেখা যায়, তাই ঠোঁটের চারপাশে কালো দাগ কেন হয়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন নিম্নে এ বিষয়ে বর্ণনা করা হলো।
ওরাল মেলানোমাঃ ত্বকের ক্যান্সার বা ওরাল মেলানোমা ক্যান্সারের একটি গ্রুপ যা দেখতে ছোট কালো বা বাদামী রঙের দাগ দেখা যায়। এটা সাধারণত ঠোঁটের আকার আকৃতি ও রংয়ের পরিবর্তন হয়ে থাকে।
হাইপারপিগমেন্টেইশনঃ ঠোঁট সহ ত্বকের বিভিন্ন স্থানে ও বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন, ক্ষত, পোকামাকড় কামড়, ব্রণ অথবা কোন প্রসাধনী ব্যবহার করার কারণে এ ধরনের সমস্যাগুলো হতে পারে।
প্রসাধনীর এলার্জির প্রতিক্রিয়াঃ ঠোঁটের কালো দাগ প্রসাধনীর এলার্জির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কারণেও দেখা যেতে পারে। আর এই ধরনের সমস্যাকে এলার্জিক কন্টাক্ট সাইলাইটিস বলা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত লৌহ শরীরে যখন সঞ্চয় শুরু করে তখন তাকে কালো দাগ ক্লান্তির ছাপ, সমস্যা ও ব্যথা অনুভূত তাছাড়া আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পানি শূন্যতাঃ পানি শূন্যতার কারণে ত্বকে শুষ্কতার ছাপ দেখা দিতে পারে, শুষ্ক ও ফাটা ঠোঁট বারবার জিহ্বা দিয়ে ভিজিয়ে নিলে অথবা কামড়ালে এর ফলে প্রদাহ বাড়তে থাকে এবং কালো হয়ে যায়।
রোদের ছাপঃ অ্যাস্টিনিক কেরাটোসিস দাগ যা সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসার কারণে বেগুনি রশ্মির তাপে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এতে ঠোঁট কালো দেখা যায়।
ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতিঃ এই ভিটামিনের কারণে ত্বক কালো হতে পারে, মূলত অ্যানিমিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। এছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ আছে যেমন মুখে আলসার বা ক্ষত অস্বস্তি লাল জিহবা ব্যথা ত্বকে হলুদ দাগ দেখা দিতে পারে।
ধূমপানঃ ধূমপান করার কারণে ঠোঁট কালো দেখা যায়, এতে আপনার ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ধূমপান থেকে বিরত রাখাই ভালো।
ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ আছে যেমন ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ঔষধ, ব্যথা নাশক মাইক্রোবিয়াল বিরোধী যে সকল ওষুধ ব্যবহার করা হয়, এর কারণে ঠোঁটে ও ত্বকে কালো দাগ দেখা দিতে পারে।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
অনেকে বিভিন্ন কারণে ঠোঁট কালো হয়ে গেছে সমস্যায় ভুগছেন, তাই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। চলুন, ঠোঁট কালো হলে কি করবেন সে সম্পর্কে জানা যাক।
লেবু ও মধুঃ লেবু ও মধু দুটি প্রাকৃতিক উপাদান লেবুর মধ্যে এক ধরনের অ্যাসিড থাকে। যা ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করতে সাহায্য করে, তাছাড়া মধুরও অনেক গুণাগুণ রয়েছে। তাই এই দুটি মিশ্রিত করে যদি আপনার ঠোঁটে লাগাতে পারেন, এরপর নরম কাপড় দিয়ে ভিজিয়ে সেটা মুছে ফেলবেন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলেই ঠোঁটের কালো রং দূর হয়ে যাবে।
দুধের সরঃ দুধের সর সাথে একটু মধু মিশিয়ে যদি ঠোঁটে লাগাতে থাকেন, তাহলে ঠোটের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
নারিকেলের তেলঃ নারিকেলের তেলের মধ্যে ফ্যাটি এসিড থাকে, যা ঠোঁটকে আদ্রতা রাখতে সাহায্য করে। আঙ্গুল দিয়ে একটু নারিকেল তেল আলতো ভাবে লাগিয়ে দিবেন, দেখবেন অনেকটাই কালো দাগ দূর হয়ে গেছে।
গোলাপ জল ও অলিভ অয়েলঃ রাতে ঘুমানোর আগে গোলাপ জল ও অলিভ অয়েল মিশ্রিত করে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। নিয়মিত ৭ দিন ব্যবহার করলে দেখবেন, ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
আলুর রসঃ আলুর রস ত্বকের উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে, এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে। বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ দূর করতে পারে, এজন্য আপনি আলু বেটে নিয়ে তার রসটা বের করে নেবেন। তারপর ঠোঁটের চারপাশে লাগাতে পারেন, একদম শুকিয়ে গেলে তারপরে ধুয়ে ফেলবেন এতে ঠোঁটের কালচে রং দূর হয়ে যাবে।
পিয়াজের রসঃ পিয়াজের রস ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে পারে। কারণ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তাই ঠোঁটের চারপাশে এই দাগগুলো দূর করার জন্য পিয়াজের রস লাগাতে পারেন।
বিটঃ এক টুকরো বিট নিবেন এরপর ঠোঁটে ভালো করে ঘষে দেবেন, ২০ মিনিটের মধ্যে ধুয়ে ফেলতে হবে। কারণ বিটের মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ঠোঁটকে সতেজ রাখতে পারে এবং ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
শসার রসঃ শসা ব্লেন্ডার করে রস বানাবেন, এরপরে ঠোটে লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলতে পারেন। শসার রস ঠোঁটের আদ্রতা বজায় রাখতে পারে।
টমেটোর রসঃ টমেটো রস তৈরি করতে পারেন, প্রতিদিন দুইবার টমেটো রস ঠোটে লাগাবেন এদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর হবে এবং ত্বকে উজ্জ্বল দেখাবে।
টক দইঃ ঠোঁটকে উজ্জ্বল করার জন্য ল্যাকটিক এসিড খুবই উপকার করে থাকে। তাই টকদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে, এজন্য টক দই তুলা দিয়ে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। এতে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ এক চামচ পানিতে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিবেন। এরপর তুলা দিয়ে ঠোটে লাগাতে থাকবেন, কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলবেন। এতে আপনার প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা তৈরি হবে এবং ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে।
ঘৃতকুমারীঃ ঘৃতকুমারের মধ্যে যে উপাদান আছে তা ত্বককে সুন্দর করতে সাহায্য করে। ঘৃতকুমারী থেকে যে জলীয় অংশটুকু আছে সেটা ত্বকে ও ঠোটে লাগাতে পারেন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে, এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।
গ্লিসারিনঃ তুলা দিয়ে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে দিতে পারেন, ঠোটে একটু গ্লিসারিন দিতে পারেন। এতে ঠোঁট আর্দ্রতা বজায় রাখবে এতে শুষ্কতা হবে না।
বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডার সাথে একটু পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিবেন। এর পরে ঠোঁটে লাগিয়ে দুই তিন মিনিট অপেক্ষা করবেন, তারপর ভালো করে ধুয়ে নিবেন।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম নাম
অনেকেই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। তাই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম নাম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের ঠোঁটকে গোলাপি করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি ক্রিম বা লিপজেল বিক্রি করে। এই ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করার কারণে অনেকের ঠোঁট কালো হয়ে যায়। তবে আপনি আপনার ঠোঁটকে গোলাপি করতে পারবেন এরকম ক্রিম তৈরি হয়। সামান্য একটু পরিবর্তন হতে পারে তবে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে।
এ সকল ক্রিম বা লিপজেল আপনার কালো ঠোঁটকে আবার গোলাপি করতে পারে সে ধরনের ক্রিমও আছে। শুধুমাত্র এই ক্রিম আপনার গোলাপি রং করবে তা কিন্তু নয় আপনার ঠোঁটের পরিচর্যা করতে করা লাগবে এবং ঠোঁটের প্রতি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এককথায় আপনার ত্বককে আদ্রতা রাখা লাগবে।
একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন ত্বকের কোষ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যার কারণে আপনার এই ধরনের সমস্যাগুলো হতে পারে, যাই হোক চলুন যে সকল ক্রিম মোটামুটি বাজারে ভালো যেগুলো সাইড ইফেক্ট খুবই কম এবং বিভিন্ন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ প্রেসক্রিপশন করে থাকে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- ম্যাক্সিলিপ প্লাম্পার নামের ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন
- হিমালয় হারবাল লিপ কেয়ার ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন
- বায়োটিক বায়ো ফ্রুট লিপ বাম ক্রিম ভালো কাজ করে
- লোটাস হারবাল সেফ সান লিপ বাম SPF ২০ এই ক্রিমটা ব্যবহার করতে পারেন
- ভেসলিন লিপ থেরাপি রোজী লিপস এটাও ব্যবহার করতে পারেন।
যে ক্রিম বা লিপ বামগুলি কালো ঠোঁটকে গোলাপি করতে ব্যবহার করা হয়। তাদের মধ্যে মূলত এই পাঁচটি ক্রিম অনেক ভালো, আপনারা বিভিন্ন কসমেটিকের দোকান থেকে এটা কিনতে পারেন। আবার অনেকে অনলাইনের মাধ্যমেও ক্রয় করে থাকে। তবে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে নিলে আরো ভালো হবে।
কালো ঠোঁট গোলাপি করার উপায়
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। এখন জানবো কিভাবে কালো ঠোঁটকে গোলাপি করা যায়। সেই সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলো।
ঠোঁট যদি সুন্দর হয় তাহলে মুখের সৌন্দর্যটা অনেকটাই ভালো দেখায় কিন্তু সেই সৌন্দর্য যদি ঠোঁটটা কালো হতে থাকে। তাহলে দেখতে খুবই খারাপ দেখায়, এতে অনেকের মন খারাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন মানুষ হাসি ঠাট্টা করে থাকে।
আবার অনেকটাই নিজেকে চিন্তিত মনে হয়, তবে কালো হওয়ার পিছনে অনেক কারণ আছে। অনেক সময় জন্মগতভাবে ঠোঁট কালো হয়, ধূমপানের কারণে, জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়, তাছাড়া খাবারের ক্ষেত্রে অনিয়ম, বায়ু দূষণ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে ঠোঁট কালো হতে পারে।
আবার অনেক সময় ভিটামিনের অভাবেও ঠোঁট কালো হয়। তাই এই সকল কারণে যদি ঠোঁট কালো হয়ে যায়। তাহলে কিভাবে গোলাপি রং হবে, সেটা সম্পর্কে নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
লেবুর রসঃ যেকোনো দাগ দূর করার জন্য লেবুর রস ভালো কাজ করে থাকে। মুখের ত্বকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন না, ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করার জন্য লেবু পাতলা করে কেটে নেওয়া লাগবে।
তারপর সামান্য এর উপরে চিনি ছিটিয়ে দিতে পারেন, লেবুর টুকরো গুলো ঠোঁটে ভালোভাবে ঘষতে থাকবেন।
যার ফলে ঠোঁটের মৃত চামড়া গুলো উঠে যাওয়া শুরু করবে। লেবুতে থাকা এসিড ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে পারবে, এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
নারিকেল তেলের ব্যবহারঃ আমরা সাধারণত চুলে কিংবা ত্বকে নারিকেলের তেল ব্যবহার করে থাকি। তবে ঠোটের কালচে ভাব দূর করার জন্য নারিকেলের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। আঙ্গুলের সামান্য নারিকেলের তেল নিয়ে নিবেন এবং ঠোঁটে মাখিয়ে দিবেন।
তারপর ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে, এভাবে দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে এবং গোলাপি রঙ হয়ে উঠবে।
ঠোঁটের যত্নে অলিভ অয়েল তেলঃ অলিভ অয়েল তেল অনেক উপকারী বিশেষ করে ত্বকের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে। তাই ঠোঁট কোমল ও সুন্দর রাখার জন্য অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করার কারণে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।
কয়েক ফোটা অলিভ অয়েল তেল এর সাথে আধা চামচ চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন। এরপরে ঠোঁটে ভালোভাবে লাগাতে থাকবেন, এভাবে সপ্তাহখানেক যদি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়ে গোলাপি রং হবে।
গোলাপ জলের ব্যবহারঃ ত্বকে কোমল মোলায়েম করার জন্য গোলাপজল ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠোঁট ভালো রাখার জন্যও গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপ জলের সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে এরপর ঠোঁটে লাগাতে পারেন।
এভাবে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার যদি করতে পারেন তাহলে অনেক ভালো উপকার পাওয়া যাবে। পাশাপাশি গোলাপের পাপড়ি বেটে ঠোঁটে লাগাতে পারেন এতে আপনার ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।
মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
অনেক মেয়েদের ঠোঁট কালো হয়ে থাকে এটা নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকেন। তাদের এই কালো ঠোঁট কিভাবে গোলাপী রঙ করা যাবে। তাই মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলো।
ফেয়ার এন্ড লাভলী লিপ ক্রিমঃ এই ক্রিম আছে ভিটামিন বি-৩ এবং টিটানিয়াম ডাই-অক্সাইড যা ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে পারবে এবং কালো দাগ দূর করে।
লাকমে লিপ লাভলি ফর্সা লিপ ক্রিমঃ এই ক্রিমে ভিটামিন সি এবং গ্লিসারিন থাকে যা ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করতে পারে এবং কালো দাগ দূর করে।
বোরোলিন লিপ ক্রিমঃ এই ক্রিমের মধ্যে ভিটামিন ই এবং অ্যালোভেরা আছে ত্বককে পুষ্ট করে এবং কালো দাগ দূর করতে করে থাকে।
নিভিয়া লিপ বামঃ এই বামটিতে SPF 15 থাকে যা ঠোঁটকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারে এবং কালো দাগ দূর করে থাকে। এই ক্রিমটি ব্যবহারের কারণে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে কিছুটা সময় লাগে। তবে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন, এতে ভালো ফলাফল পাবেন।
উপরোক্ত ক্রিমগুলো অনেকে উপকার পেয়েছে, সেজন্য আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে কিন্তু আপনি অবশ্যই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ পরামর্শক্রমে এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করবেন।
ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া যেসব রোগের লক্ষণ
অনেকে ঠোঁটে কালো দাগ দেখা যায় কিন্তু ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া যেসব রোগের লক্ষণ সে সম্পর্কে জানেনা। চলুন, ঠোঁটে কালো দাগ থাকলে কি ধরনের রোগ হতে পারে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
এমনি কাল দেখা যেতে পারে আবার অনেকে ধূমপানের কারণে ঠোঁটের রং কালো হয়। তাছাড়া ঠোঁটের যত্ন না নিলেও অনেক সময় রং পরিবর্তন হয়ে থাকে, বদলে যাওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে একটা জিনিস অনেকেই হয়তো জানে না। সেই বিষয়টা অবশ্যই জানা প্রয়োজন, তা না হলে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।
অনেকে ধারণা করেন ঠোঁট কালো হয় শুধুমাত্র ধূমপান করার জন্য হয়ে থাকে। যদিও নিকোটিন ও বেনজোপাইরিন ত্বকের মেলালিন বৃদ্ধি পেতে থাকে, যার কারণে ঠোঁট কালো রং হয়।
তবে আরও বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে ঠোঁটের এই কালো রং হওয়ার পিছনে। সেটা হয়তো অনেকের অজানা থাকতে পারে। চলুন, আরো কি কারণে এই ঠোঁটের রং কালো হতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।
ভিটামিনের ঘাটতিঃ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে শরীরের ভিটামিন বি ১২ যদি ঘাটতি হয়। সে ক্ষেত্রে কালো দেখা যেতে পারে। তাছাড়া ভিটামিনের অভাবের কারণে শরীরে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ দেখা দিতে পারে, এজন্য ঠোঁট কালো হতে পারে।
অ্যাডিসনস রোগঃ এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে শরীরের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে কোর্টিসল ও এলডোস্টোরেন নামক হরমোনের ক্ষরণ কমতে থাকে। যার কারণে দেহের বিভিন্ন অংশ কালো হয়ে যেতে পারে ঠোঁট কালো হতে পারে।
পানি শূন্যতাঃ পানি শূন্যতার কারণে ঠোঁটের রং কালো হতে পারে। যদি হঠাৎ করে ঠোঁটের রং কালো হয় সেক্ষেত্রে বুঝবেন যে আপনার শরীরের পানি অভাব দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে রং বদলানোর সাথে সাথে ঠোঁট ফাটা সমস্যা থাকে।
ক্যান্সারঃ ঠোঁটের কালো দাগ ক্যান্সারের লক্ষণ ও ধরা যেতে পারে। যদি এই দাগ ক্রমশ গারো হতে থাকে রক্তপাত কিংবা ক্ষত দেখা যায়। তাহলে মনে করবেন যে আপনার ক্যান্সারের সমস্যা হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
থাইরয়েডঃ শরীরের মধ্যে থাইরক্সিন হরমোন ক্ষরণ কমতে থাকলে অথবা বেড়ে গেলে শরীরে বিভিন্ন অংশে কালো দাগ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে ঠোঁটেরও উপর প্রভাব পড়তে পারে। তাই ঠোঁট কালো রং দেখাতে পারে, এজন্য আপনার থাইরয়েড পরীক্ষা করতে হবে।
গর্ভাবস্থায়ঃ গর্ভাবস্থায় অনেক নারীর সাধারণত হরমোনের পরিবর্তন হয় দেখা দিতে পারে। আবার হরমোন জনিত ওষুধ খাওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ বা থেরাপি দেওয়ার কারণে হতে পারে।
লিপস্টিক ব্যবহারঃ অনেকেই অতিরিক্ত লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন আবার অনেক পুরুষ ঠোটে লিপ বাম ব্যবহার করে থাকেন। এতে এগুলোর এলার্জির সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, পরবর্তীতে ঠোঁটের রং কালো দেখা যায়।
ঠোঁটের রং কালো দূর করার জন্য অবশ্যই ঘরোয়া চিকিৎসা করাই সবচেয়ে ভালো হবে। এই আর্টিকেলের উপরে বর্ণনা করা হয়েছে ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে সেখান থেকে জেনে নিবেন।
লেখকের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে অনেকের ঠোঁটের রং কালো হতে পারে, এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। আজকের এই আর্টিকেলটিতে খুবই সুন্দর ভাবে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া কেন ঠোঁটের রং কালো হয় এ সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনার উপকার হবে, পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url