কীটনাশক খেলে কি মানুষ মারা যায় ও এর ব্যবহারের নিয়ম জানুন
অনেকে জানতে আগ্রহে যে, কীটনাশক খেলে কি মানুষ মারা যায়? অধিক হারে কীটনাশক ব্যবহার করলে, সেই ফসল মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন, কীটনাশক খেলে মানুষ মারা যায় কিনা এর সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অধিকাংশ কৃষক ফসলের বেশি উৎপাদন করার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করে থাকে। এতে এই ফসল মানুষ খাওয়ার কারণে পরবর্তীতে ক্যান্সার হতে পারে। তাই কীটনাশক খেলে কি মানুষ মারা যায়? এ সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃকীটনাশক খেলে কি মানুষ মারা যায় ও এর ব্যবহারের নিয়ম জানুন
কীটনাশক কি
অনেকে জানতে চায় যে, কীটনাশক কি? চলুন, কীটনাশক সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
যেসব জৈব ও অজৈব পদার্থের রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে জনস্বার্থের বিরোধী বিভিন্ন ক্ষতিকারক কীট পতঙ্গের মৃত্যু ঘটাতে পারে অথবা দমন করতে পারে। এই ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য কে কীটনাশক বলা হয়। যেমন ডায়াজিনন, ফরাডন বলা যেতে পারে।
জৈব কীটনাশকঃ জৈব কীটনাশক দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে, উদ্ভিদ থেকে যে কীটনাশক পাওয়া যায় যে কীটনাশক যেমন রোটেনন, নিকোটিন, কৃত্রিম রাসায়নিক কীটনাশক আবার তিন ধরনের হয়ে থাকে। যা জৈব ক্লোরিন যেমন ডিডিটি, গ্যামাক্সিন, জৈব ফসফেট, ম্যালানিয়ন, প্যারাথিন, সেভিন, ডায়াজিনন।
আরো পড়ুনঃ নিরাপদ খাবার নিরাপদ জীবন বিস্তারিত জানুন
তাছাড়া রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে জীবন প্রক্রিয়ায় বিপর্যয় ঘটিয়ে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ দমন করার জন্য ব্যবহার করা হয়। যে দ্রব্য কীটনাশক ও জৈব পদার্থ সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। খাদ্য বিষ, স্পর্শ বিষ, অথবা ধোয়া বিষ হতে পারে।
বাড়িঘর শস্য গুদাম বা আবদ্ধ স্থানে রক্ষিত পণ্য দ্রব্যের ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গের ক্ষেত্রে সাধারণত ধোয়া বিষ বা বিষ গ্যাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে ফিরমন বিকর্ষণ ইত্যাদি পদার্থগুলো কীট পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা হয়। তবে এগুলোর কার্যকারিতা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে, যা রাসায়নিক পদার্থ বিষাক্ত হবে না।
কীটনাশক খেলে কি মানুষ মারা যায়
অনেকে জানতে চায় যে, কীটনাশক খেলে কি মানুষ মারা যায়? মূলত কীটনাশক পোকামাকড় দমন করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চলুন, এটা মানুষ খেলে মারা যাবে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
কীটনাশক বিষের প্রভাব অনেকদিন পরে পড়তে পারে। আর এর এই দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব হতে পারে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন ফুসফুসের ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার পাকস্থলীর ক্যান্সার স্তন ক্যান্সার কিডনি ক্যান্সার এর মত বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের সমস্যা হয়ে থাকে।
এখন প্রশ্ন হল এই কীটনাশক খাওয়ার কারণে মানুষ মারা যাবে কিনা? এর উত্তরে বলা যেতে পারে যে এটা মূলত পোকামাকড় দমন করার জন্য বা মারার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে কিন্তু মানুষ যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে সেক্ষেত্রে মারা যেতেও পারে।
তবে যে সকল শাকসবজির বা ফলে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই ধরনের কীটনাশক দমন করার জন্য বিষ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটা যদি একজন মানুষ সেই সকল সবজি বা ফল খায়, তাহলে সে ক্ষেত্রে তার শরীরের ভেতরে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
সেটা ধীরে ধীরে ক্যান্সারের দিকে চলে যাবে, তাই বলা যেতে পারে কীটনাশক খাওয়ার কারণে তাৎক্ষণিক মৃত্যু না হলেও ভবিষ্যতে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে। এজন্য আমাদের উচিত কীটপতঙ্গ দমন করার জন্য প্রাকৃতিক কীটনাশক ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
চলুন, কীটনাশক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এটি একটি বিষাক্ত পদার্থ যা কীটপতঙ্গ মেরে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হয়। রাসায়নিক পদার্থের সাহায্যে মূলত কীটনাশক প্রস্তুত করার জন্য করা হয়। পোকামাকড় নির্মলের জন্য এই কীটনাশক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি প্রয়োগের কারণে ডিম, লার্ভা, ও বিনাশ হতে পারে।
কৃষি ক্ষেত্রে সহ চিকিৎসা শিল্প প্রতিষ্ঠান গৃহস্থালি কর্মকাণ্ডে এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিংশ শতাব্দীতে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য এই কীটনাশক ব্যবহার করা যায় করা হয়। শাকসবজির সাথে কীটনাশক মিশ্রিত খাবার অনেক সময় মানুষ এর ক্ষতি হতে পারে এবং পরিবারের যদি বেশি হয়ে থাকে, অনেক সময় মানুষ মারা যেতে পারে।
বিভিন্ন পত্রিকাতে একটি সংবাদ লেখা হয়েছে যে, দিনাজপুরে লিচু খেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এটার কারণ হলো ওই কৃষক লিচু ফলে কীটপতঙ্গ দমন করার জন্য কীটনাশক দিয়েছে এবং দেওয়ার পরপরই হয়তো শিশুরা সেই লিচুটা খেয়ে ফেলছে। যার কারণেই তাৎক্ষণিক শিশুদের মৃত্যু হয়, তাই কীটনাশক যদি পরিমানে বেশি হয়।
সেই ক্ষেত্রে মানুষ তাৎক্ষণিক মারা যেতে পারে। এই বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন তাছাড়া প্রায় সকল ধরনের কীটনাশকই জীববৈচিত্রের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক ধরনের কীটনাশক মানুষের বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে। কিছু কিছু কীটনাশক খাদ্য শৃংখ হলেও প্রভাব ফেলতে পারে।
নিকোটিন, নিমের নির্যাসকৃত প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন কীটনাশক পোকামাকড়ের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিকোটিন ভিত্তিক কীটনাশক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন পর্যন্ত ব্যবহার হচ্ছে।
কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ সমূহে এই ধরনের কীটনাশক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ভেজস বিহীন কীটনাশক ধাতব পদার্থ এবং আর্সেনেট কপার ও ফ্লোরিন যৌগের সমন্বয় তৈরি করা হয়ে থাকে, যেখানে সালফারের ব্যবহার দেখা যায়।
কীটনাশক ব্যবহারের নিয়ম
এতক্ষণ আমরা জেনেছি, কীটনাশক খেলে কি মানুষ মারা যায়? এখন জানব এর ব্যবহার সম্পর্কে। চলুন, কিভাবে কীটনাশক ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষক রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে জানে না। এজন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাসায়নিক সার ও কীটনাশক যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে। আর এসব সার ও কীটনাশক বৃষ্টির পানির সাথে মিশে খাল বিল বা নদীর পানির সাথে মিশে যায়।
এর কারণে বিভিন্ন জলাধরের পানিগুলো দূষিত হয়ে থাকে, এই দূষিত পানির ভিতর মাছ সহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণী জীবন যাপন করে। এতে তাদের অনেক অসুবিধা হয়ে থাকে, অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করার কারণে দেশি মাছের বিভিন্ন প্রজাতি মারা যায় এবং বিলুপ্তর পথে।
একসময় আমাদের দেশে খাল বিলের নদীসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণ মাছ পাওয়া যেত। এখন সেই সব গল্পের হিসাবেই পরিচিত এখন বর্তমানে দেশী মাছ প্রজাতি নেই বললেই চলে। এদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া খুবই প্রয়োজন।
আমাদের দেশের খাল বিল নদী নালা জলাশয় বিভিন্ন জলজ প্রাণীর জীবনধারণের পরিবেশ ফিরে নিয়ে আসতে হবে এবং পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
দেশের প্রাণিজ এবং প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য দেশি মাছের মাধ্যমেই এটা পূরণ করা যাবে। যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমাদের ক্ষতি হবে। এর বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করা খুবই কঠিন।
অনেক কৃষক কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে জানে না। যার কারণে তারা সবজি জমিতে কীটনাশক প্রয়োগের ক্ষেত্রে কতটুকু পরিমাণ ব্যবহার করতে হবে। সেটুকু তারা করে না পরিমাণে বেশি করে ফেলে, এজন্য অনেক সময় জমি থেকে সবজি তুলে নিয়ে আসে কীটনাশক প্রয়োগ করার কতক্ষন পরে জমি থেকে সবজি তোলা নিরাপদ।
সে সম্পর্কে তারা জানে না যার কারণে এই সবজি খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সবজির জমিতে কীটনাশক প্রয়োগের পরপরই সবজি তুলে নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে সবজিতে প্রয়োগ করা কীটনাশক ভোক্তার জন্য অনেক ক্ষতিকর। যা কৃষকরা হয়তো জানে না, তাদের মনে রাখা দরকার।
কীটনাশকের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন, ফসলের জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করবেন। তাকে অবশ্যই তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিজের স্বাস্থ্যের জন্য হলেও এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে এই ধরনের বিষয় নিয়ে সচেতনতা করা খুবই প্রয়োজন।
বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে আমাদের সকলেরই কাজ করতে হবে। তারা বাস্তবে কতটা দায়িত্ব পালন করছে সে বিষয়ে সবার মনিটরিং করা খুবই প্রয়োজন। কীটনাশক প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সতর্ক করতে হবে, এর ক্ষতিকর কতটা ভয়াবহ হতে পারে। সে সম্পর্কে তাদেরকে বলতে হবে তাহলেই তারা সতর্ক হবে।
কীটনাশক কত প্রকার ও কি কি
কীটনাশক বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে, তাই কীটনাশক কত প্রকার ও কি কি? নিম্নের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
উৎপত্তি অনুসারে কীটনাশকের দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। অজৈব কীটনাশক এবং জৈব কীটনাশক।
জৈব কীটনাশক ও অজৈব কীটনাশকঃ এটা হল আর্সেনিক, লেড, সালফার, ক্লোরিন এই ধরনের বিভিন্ন যৌগ নিয়ে তৈরি।
বিষক্রিয়ার অনুসারে কীটনাশককে আট ভাগে ভাগ করা হয় তা হল;
- পাকস্থলী বিষ নামে পরিচিত
- স্পর্শ বিষ হতে পারে
- প্রবাহ বিষ
- ধুমায়িত বিষ
- রাসায়নিক বন্ধাকারক বিষ
- আকর্ষক বিষ, বিকর্ষ বিষ
- খাদ্য অনিহা কারক বিষ।
কার্যকারীতার স্থান হিসাবে কীটনাশক পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে তা হলো;
দেহ বিষ, প্রোটোপ্লাজ, মেকবিস, শ্বাসতন্ত্র বিষ, স্নায়ু বিষ, পাকস্থলীর বিষ ইত্যাদি হতে পারে।
কেউ বিষ পান করলে যা করণীয়
যদি কেউ কীটনাশক বা যেকোনো ধরনের বিষ পান করলে সে ক্ষেত্রে যা করবেন তাই কেউ বিষ পান করলে যা করণীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অনেকে বিভিন্ন ধরনের মানসিক টেনশনের কারণে বা হতাশায় ভুগতে থাকে এজন্য বিষ পান করে কেউ ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এই পরিস্থিতিতে প্রথমে যত দ্রুত সম্ভব কাছের কোন হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। মনে রাখবেন বিষপান করার এক ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে যদি না নিতে পারেন তাহলে চিকিৎসকের চিকিৎসা করা খুবই কঠিন হয়ে যাবে।
কারণ এই সময়ের মধ্যে পাকস্থলী থেকে অশোষিত বিষ বের করার জন্য পাকস্থলী ওয়াশ করা লাগবে। এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে এলে পাকস্থলী ওয়াশ করালে যতটা লাভ হওয়ার কথা সে পরিমাণ লাভ হবে না। তবে সব ধরনের বিষ বা ঔষধ সেবনে কিন্তু পাকস্থলী ওয়াশ করা লাগেনা। কোন ক্ষেত্রে ওয়াশ করা লাগবে এবং কোন ক্ষেত্রে ওয়াশ করা লাগবে না সেটা চিকিৎসকই ভালো বুঝবে।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কীটনাশক জাতীয় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে, এই বিষ শরীরে বা কাপড় চোপড়া লাগলে সেখান থেকে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে, তাই বিষ পান করলে কাপড়-চোপড় খুলে শরীর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
গোবর মিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করার চেষ্টা করা এগুলো ঠিক নয়। যদি বিষ পান করা ব্যাক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে, তাহলে ফুসফুসে চলে যাবে এটা আরো মারাত্মক ক্ষতি হবে। এছাড়াও কেরোসিন অ্যাসিড পান করে বমি করানোর চেষ্টা করা যাবে না।
এতে মারাত্মক ক্ষতি হবে ওষুধ সেবন করলে ব্যবহৃত ওষুধের মোড়ক চিকিৎসকের নিকট নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে চিকিৎসা দিতে সুবিধা হয়। শিশুরা ভুলে ওষুধ সেবনের পরিবর্তে এসিড বা বিষপান করে ফেলে তাই এগুলো হাতের নাগালের বাইরে রাখার চেষ্টা করবেন।
কীটনাশক ব্যবহারের সুফল ও কুফল
কীটনাশক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে উপকার ও ক্ষতিকর দুটোই রয়েছে। তাই কীটনাশক ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
কৃষি ক্ষেত্রে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়ে থাকে, এটি নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। একদিকে কীটনাশক ব্যবহার করার কারণে ফসলের উৎপাদন বেশি হয়। অন্যদিকে মানব শরীরে এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে। তাই এই বিতর্কের ক্ষেত্রে কীটনাশকের সুফল কি, সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ফসলের ক্ষতি রোধঃ কীটনাশক ব্যবহার করার কারণে পোকামাকড়, ইঁদুর অন্যান্য ক্ষতিকর প্রাণী ফসল নষ্ট করতে পারে না, এতে ফসলের উৎপাদন বেশি হয়।
কীটনাশক ব্যবহার করে এর সুফল সম্পর্কে নিম্নে বর্ণনা করা হলো;
খাদ্যের অপচয় রোধঃ কীটনাশক ব্যবহার করার কারণে খাদ্য শস্যের অপচয় কম হয়ে থাকে।
মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষাঃ যে সকল পোকামাকড় রোগব্যাধি ছড়ায়, সেই সকল পোকামাকড়কে কীটনাশক ব্যবহার করে যদি মেরে ফেলা যায়। সে ক্ষেত্রে এই রোগগুলো থেকে মানুষ রক্ষা পাবে। যেমন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি এই সকল রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
অর্থনৈতিক লাভঃ কীটনাশক ব্যবহার করার কারণে কৃষকের ফসলে বৃদ্ধি পাবে, এতে অর্থনৈতিক লাভও বেশি হবে।
যেহেতু আজকাল কৃষকরা সাধারণত কৃষি ক্ষেত্রে কীটনাশক ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়া ফসল উৎপাদন করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই কৃষকেরা এখন ব্যাপকভাবে কীটনাশক ব্যবহার করে থাকে কিন্তু এটা ব্যবহার করা ঠিক নয়।
তারা যদি জানতো যে এই কীটনাশক অধিকারে ব্যবহার করার কারণে আমাদের নিজেদেরই ক্ষতি হচ্ছে। তাহলে আর ব্যবহার করত না। চলুন, এই কীটনাশক বেশি ব্যবহার করার কারণে পরিবেশ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কতটা ক্ষতি হতে পারে। সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ক্ষতিকর দিক সমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হলো;
পরিবেশ দূষণঃ কীটনাশক ব্যবহার করার কারণে মাটি জল এবং বায়ু দূষণ হয়ে থাকে, এটা আমাদের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
জৈব বৈচিত্র হ্রাসঃ কীটনাশক ব্যবহার করার কারণে কিছু উপকারী পোকামাকড় আছে যেমন মৌমাছি এবং অন্যান্য প্রাণী থাকে। যা আমাদের অনেক ক্ষতি করে পরিবেশের বৈচিত্রটা হারিয়ে যায়।
মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলেঃ কীটনাশক ব্যবহার করলে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এর ফলে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি হতে পারে, যেমন ক্যান্সার, জন্মগত সমস্যা প্রতিবন্ধী বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
কীটপতঙ্গের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ কীটনাশক দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার করলে কীটপতঙ্গের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে। তখন কীটপতঙ্গ গুলো দমন করা সহজ হয় না, পরবর্তীতে অন্য কোন কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।
শেষ কথাঃ কীটনাশক খেলে কি মানুষ মারা যায় ও এর ব্যবহার সম্পর্কে জানুন
পরিশেষে বলবো আমাদের কৃষকেরা অধিকারে কীটনাশক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। প্রাকৃতিক গত ভাবে এই পোকামাকড় কীটপতঙ্গ দমন করার জন্য চেষ্টা করবেন। কীটপতঙ্গ দমন করতে গিয়ে আমাদের অনেক মানুষ এর শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে। তাই কীটনাশক খেলে কি মানুষ মারা যায়? এ সম্পর্কে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url