মেহেদি পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
অনেকে চুলে মেহেদি পাতা দিতে পছন্দ করে, তাই মেহেদি পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম অনুযায়ী পরিমাণ মতো ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। চলুন, চুলে কিভাবে মেহেদী পাতা দিবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সাধারণত যাদের চুল সাদা হয়ে গেছে তারাই বেশিরভাগ চুলে মেহেদী দিয়ে থাকে। তবে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের চুলে মেহেদি দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা থাকতে হবে। তাই মেহেদি পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পোস্টে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃমেহেদি পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
মেহেদি পাতা
মেহেদি পাতা এর ইংরেজি নাম হল হেনা। বৈজ্ঞানিক নামের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে lawsonia inermis মেহেদী এক ধরনের সপুষ্পক উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত। প্রাচীনকাল থেকেই চুল ত্বক এবং বিভিন্ন পশম রঙিন করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এর গুনাগুন অনেক রয়েছে, বিশেষ করে মেহেদী পাতা চুলে দিলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
তাছাড়া ঔষধি গুণ হিসাবে এটা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করে থাকে। এই মেহেদী পাতার সাথে অন্যান্য বিভিন্ন দ্রবণ মিশ্রণ করেও একটি আধা কৃত্রিম পদার্থ হিসেবে তৈরি করা যেতে পারে।
হাত সাজানোর ক্ষেত্রে এই মেহেদী ব্যবহার করা হয়, তাছাড়া চুলের ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেকের পাকা চুল কৃত্রিম উপায়ে রঙিন করার জন্য মেহেদী পাতা ব্যবহার করে।
মেহেদি পাতার ব্যবহারের পাশাপাশি এর ফুল থেকে ফল উৎপন্ন হয়ে থাকে। প্রাচীনকালে মেহেদির ফুল থেকে সুগন্ধি তৈরি করা হতো, যা বর্তমানে দেখা যাচ্ছে প্রধান লসোন থাকে।
যে গাছের লসোন বেশি থাকে সেই গাছের ফলে বীজ উৎপাদন কম দেখা যায়। আরেকটা বিষয় জেনে রাখা দরকার মেহেদি পেস্টের ক্ষেত্রে পিএইচ মান ৫.৫ এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে থাকে।
মেহেদি পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম
মেহেদি পাতা অনেক আগে থেকেই চুলে ব্যবহার করে থাকে। তাই মেহেদি পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন, নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সাধারণত চুলে ১ থেকে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত মেহেদী পাতা পাতা বেটে লাগিয়ে রাখবেন, এর বেশি রাখা ঠিক হবে না।
সরাসরি মেহেদী পাতা ব্যবহার না করাই ভালো, এর সাথে অন্য কিছু দ্রবণ মিক্সড করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট জাত মেহেদী পাওয়া যায়, এই মেহেদী গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের উপাদান দিয়ে থাকে। যা ক্ষতিকর হতে পারে, তাই প্রাকৃতিক উপায়ে মেহেদী গাছ থেকে সংগ্রহ করে বেটে মাথায় লাগাবেন এতে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
মেহেদি পাতার প্যাক তৈরি করতে পারেন, এতে পাতার সাথে হালকা গরম পানি মিশিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
চুলে মেহেদী পাতা ব্যবহার করার পর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে চুল পরিষ্কার করবেন।
চুলের যত্নে সরিষার তেল ও মেহেদি
মেহেদি পাতার অনেক গুনাগুন রয়েছে, তাই চুলের যত্নে সরিষার তেল ও মেহেদি ব্যবহার করতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়, নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আপনি চুলে মেহেদী দেওয়ার পর সরিষার তেল দিতে পারেন, পরের দিন শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করবেন। এতে কন্ডিশনারের মত কাজ করে থাকে।
কেননা মেহেদি পাতার মধ্যে থাকে ভিটামিন ই ও ট্যানিন এবং সরিষার তেলের অনেক উপকার রয়েছে এটা অনেকেই জানেন। যার কারণে সরিষার তেলের সাথে মেহেদি পাতা ব্যবহার করার কারণে চুল ঝলমলে মসৃণ এবং শক্তিশালী হয়।
আপনার চুল যদি শুষ্ক হয় সে ক্ষেত্রে সরাসরি মেহেদী পাতা ব্যবহার করা ঠিক হবে না। এতে ক্ষতি হতে পারে, চুল আরো রক্ষতা হতে পারে এজন্য মেহেদি পাতার সাথে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলের শুষ্কতা আর থাকবে না, তবে অতিরিক্ত সরিষার তেল ব্যবহার করা যাবে না, এতে ক্ষতি হতে পারে।
চুলের যত্নে মেহেদি পাতার উপকারিতা
এতক্ষণে আমরা জেনেছি মেহেদি পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এখন জানবো মেহেদী পাতা চুলে দিলে কি উপকার পাওয়া যায়। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
চুলের যত্নে বিভিন্ন উপাদান আমরা ব্যবহার করে থাকি, যা প্যাকেটজাত প্রক্রিয়া হওয়ার কারণে অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে যদি আপনি মেহেদী পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল পুষ্টি পাবে এবং সুন্দর দেখাবে।
এজন্য প্রাকৃতিক উপাদানে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এবং প্রাকৃতিক ভাবেই অন্য কোন উপাদান মিশ্রণ করে দিলে মেহেদির রং আরো গাড় হবে। এজন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন ডালিমের খোসা, বিটরুট এগুলো মাধ্যমে ব্যবহার করলে মেহেদি র রং কিছুটা গাঢ় হবে, কালচে কালার হয়ে থাকে।
মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে হলে আপনি মেহেদী ব্যবহার করতে পারেন। মাথার ত্বকের পিএইচ এর ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য সিবাম গ্রন্থীর কার্যকারিতা কমাতে হবে। তারপরও সমস্যা দেখা দিলে মুলতানি মাটি ও মেহেদী পাতা মিক্সড করে তিন থেকে চার ঘন্টা রেখে দিলে মাথার তৈলাক্ত সমস্যা দূর হবে।
মেহেদি পাতার মধ্যে প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে পারে, চুল পড়া বন্ধ করে, প্রাকৃতিক ফাঙ্গাস উপাদান, মাথার ত্বকের জ্বালানি কমায় এবং খুশকি দূর করতে পারে।
খুশকি দূর কর করাঃ ৪ চামচ মেহেদী পাতার গুঁড়া এবং একটি লেবুর রস, ২ চামচ দই মিশিয়ে ঘন করে নিয়ে পেস্ট তৈরি করতে পারেন। এতে মাথার ত্বকে ও চুলে লাগাতে পারেন, ৩০ মিনিট পর সালফেট বিহীন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবেন।
চুল পড়া কমাতেঃ ৬ চামচ আমলকির গুঁড়া, ৩ চামচ মেহেদির গুঁড়া,২ চামচ মেথি গুঁড়া, একসঙ্গে একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে সুন্দর করে মেশাবেন। এরপরে ১০ চামচ পানি দিয়ে এবং একটি ডিমের সাদা অংশ নিবেন, তার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে একটি ঘন করে পেস্ট তৈরি করতে পারেন।
প্রয়োজন হলে আরো একটু পানি দিতে পারেন। এই পেস্ট তৈরি করার পর এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে। তারপরে সম্পূর্ণ চুলে আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখতে হবে। এক ঘন্টা রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করবেন, এভাবে সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।
চুল রং করতেঃ এক চামচ কফি পাউডার পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে নিতে পারেন, এরপর ঠান্ডা হলে একটি পাত্রে পাঁচ চামচ মেহেদির গুড়া নিবেন। তারপর এই গরম কফি মিশিয়ে ঘন করে পেস্ট তৈরি করতে পারেন।
তারপর চুলকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নেবেন, এরপর পেস্ট চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখবেন। এভাবে দুই থেকে তিন ঘন্টা যদি রেখে দেন, তাহলেই সুন্দর রং হবে এরপর পরিষ্কার পানি এবং শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করবেন।
মেহেদি পাতার অপকারিতা
মেহেদি পাতার অনেক উপকারিতা আছে এবং মেহেদি পাতার অপকারিতা রয়েছে। এর অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক,
আপনার মাথার ত্বকে যদি এলার্জি সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে মেহেদী ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এর মধ্যে যে উপাদান রয়েছে তা আপনার এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আপনার যদি ঠান্ডা জনিত সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে মেহেদী পাতা ব্যবহার না করাই ভালো, এতে আপনার ঠান্ডা আরো বেশি হতে পারে। কারণ এর রস আপনার মাথার ভিতরে চলে গেলে আরো ঠান্ডা লাগতে পারে।
মেহেদি পাতা চুলে দেওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে ছাড়িয়ে নিতে হবে, কেননা মেহেদী চুলে লাগানোর ক্ষেত্রে জট লাগতে পারে।
মেহেদি পেস্ট করার সময় ধাতব বাটি ব্যবহার করবেন না, কেননা এই উপাদান গুলোর জন্য ধাতব বাটির সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটতে পারে। কাচের বাটিতে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
কপালে কিংবা মাথার তালুতে মেহেদির দাগ এড়াতে চুলের লাইনে পেট্রোলিয়াম জেল ব্যবহার করতে পারেন এতে দাগ দূর হয়ে যাবে।
মেহেদির পেস্টকে চুলের সম্পূর্ণ শুকাতে দেওয়া যাবে না, এতে চুলের পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে।
মেহেদি পাতার হেয়ার প্যাক
ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি মেহেদি পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এখন জানবো মেহেদি পাতা দিয়ে কিভাবে হেয়ার প্যাক তৈরি করা যায়, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মেহেদী ও নারিকেলের তেলঃ মেহেদী ও নারিকেলের তেল কুসুম গরম পানিতে ১২ ঘন্টার মত ভিজিয়ে রাখবেন। এরপরে চুলগুলো ভাগ করে ব্রাশ দিয়ে সুন্দর করে এই মেহেদির পেস্ট লাগাবেন। এরপর এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করবেন। এভাবে এক মাস ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
মেহেদী ও আমলকিঃ আধা কাপ মেহেদি গুড়ার সাথে দুই চামচ আমলকির গুঁড়া মিশিয়ে কুসুম গরম পানি করে ভিজিয়ে রাখবেন ১০ থেকে ১২ ঘন্টার মত। এরপর চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত এই পেস্ট টা লাগিয়ে রাখবেন। এক ঘন্টা পরে পরিষ্কার পানিতে এবং শ্যাম্পু দিয়ে ধূয়ে ফেলবেন এতে ভালো উপকার পাবেন।
মেহেদী ও অ্যালোভেরাঃ এক কাপ মেহেদী পাতা ও এলোভেরা পাতা বেটে নিয়ে মিক্সড করে নিবেন। এর পরে মিশ্রণটি চুলে লাগাবেন আধাঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করবেন।
ডিম ও মেহেদীঃ এক কাপ মেহেদী গুড়ার সাথে এক কাপ পানি এবং একটি ডিম, লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে এক ঘন্টা রেখে দিবেন, মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখবেন। কিছুক্ষণ পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধূয়ে ফেলতে পারেন, এতে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
কিছু বিষয়ে আপনাকে মেহেদী ব্যবহার করার ক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো তা হল;
যাদের শুষ্ক চুল রয়েছে এবং খুবই ঘন তাদের মেহেদী ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এতে চুল অতিরিক্ত রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
মেহেদী সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখার পরের দিন ব্যবহার করা যেতে পারে, এটা তেমন একটি ক্ষতি হবে না।
মেহেদীর হেয়ার প্যাক ব্যবহার করার আগে কপাল, ঘাড় ও কানের ত্বকে নারিকেলের তেল ঘষে নিতে পারেন মেহেদির রং লাগবে না।
চুল শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার করার দরকার নেই কারণ মেহেদি দিলে এমনি কন্ডিশনার মত হয়ে যায়।
মেহেদি পাতার গুনাগুন
মেহেদি পাতা শুধু চুলে দেওয়াই উপকার হয় না, এটা আরো বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। চলুন, মেহেদি পাতার গুনাগুন সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মেহেদী পাতা হৃদপিন্ডের জন্য ভালো কাজ করে থাকে, এর রস বা বীজ যদি কেউ নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন। এতে কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কারণ এর মধ্যে সেই উপাদানটা রয়েছে তাছাড়া রক্ত ধমনিতে রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, এটা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মাথা ব্যাথা দূর করেঃ মেহেদী গাছের ফুল পেস্ট করে এর সাথে ভিনেগার মিক্সড করে নিতে পারেন। এরপরে কপালে অথবা ব্যথার স্থানে লাগে দিলে আপনার মাথা ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
পায়ের জ্বালাপোড়া কমায়ঃ মেহেদি পাতার সাথে ভিনেগার মিক্সড করে ভিজিয়ে রাখবেন এবং একজোড়া মুজার ভিতর রেখে দিতে পারেন, তারপর মোজাটি পায়ে সারারাত পড়তে পারেন। এতে আপনার পায়ের জ্বালাপোড়া কমে যাবে।
ঘা শুকাতে সাহায্য করেঃ মেহেদি পাতার পেস্ট বানিয়ে পিঠে, ঘাড়ে ঘামাচি হতে পারে এবং এর কারণে অনেক চুলকানি শুরু হয়, জ্বালাপোড়া করে এজন্য আপনি এই পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও এই পেস্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে মেহেদী পাতার গুড়ো পানিতে মিক্সড করে নিবেন।
তারপরে কুলকুচি করতে পারেন, এটা মুখের ঘা যদি থাকে সে ক্ষেত্রে দূর হয়ে যাবে এবং মুখ জীবনে মুক্ত করতে পারে কারণ এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে সাহায্য করে।
পানি পচা রোগঃ সাধারণত নোংরা জীবাণু পানিতে আপনি যদি চলাফেরা করতে থাকেন। তাহলে সেই ক্ষেত্রে দুই আঙ্গুলের ফাঁকে এক ধরনের ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। আর এতে যদি আপনি মেহেদির পেস্ট লাগাতে পারেন তাহলে আপনার এই ক্ষত দ্রুত সেরে যাবে।
পা ফাটাঃ অনেকের শীতকালে পা ফাটা দেখা যেতে পারে, তাছাড়া সারা বছর পা ফেটে থাকে এই ধরনের সমস্যা দূর করতে হলে। এই মেহেদী পাতা বেটে ফাটা জায়গায় পুরো করে লাগিয়ে দিতে পারেন। এটা আধা ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলবেন দেখবেন পা ফাটা দূর হয়ে যাবে।
ক্ষত সারায়ঃ অনেকের দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত থাকতে পারে, যেগুলো বারে বারেই হয়ে থাকে। যা সারানো সম্ভব হয় না, এই ধরনের ক্ষত সারাতে মেহেদী পাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগাতে পারেন। এতে দ্রুত ক্ষতস্থান সেরে যাবে।
আমাদের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে, মেহেদী পাতার গুন অনেক রয়েছে। এটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে বিশেষ করে চুলের ব্যবহার করার ক্ষেত্রে। অবশ্যই মেহেদি পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। তাহলে এতে উপকার পাবেন। আশাকরি এই পোস্টটি থেকে আপনার উপকার হবে। পোস্টটি যদি ভালো লাগে, তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url