পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে ও করণীয় সম্পর্কে জানুন
অনেকে জানতে চায় যে, পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে? আপনার যদি পাতলা পায়খানা হয়। সে ক্ষেত্রে কলা খেতে পারবেন, এতে উপকার পাবেন। চলুন, পাতলা পায়খানা হলে কলা খেতে পারবেন কিনা এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পাতলা পায়খানা হলে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয় কিন্তু মনে রাখবেন এই সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজন। এছাড়াও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। তাই পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃপাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে ও করণীয় সম্পর্কে জানুন
পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণ
পাতলা পায়খানা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তাই পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণ সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হলে পাতলা পায়খানা হতে পারে। তাছাড়া খাবার ঠিকমতো না খেলেও পাতলা পায়খানা হতে পারে। এছাড়া আরো কিছু কারণে পাতলা পায়খানা হতে পারে নিম্নে আলোচনা করা হলো,
- ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া এর মাধ্যমে আক্রান্ত হলে
- খাবারের মধ্যে পয়েজেনিং থাকার কারণে পাতলা পায়খানা হয়
- দূষিত ও নোংরা পানি খাওয়ার কারণে পাতলা পায়খানা হতে পারে।
- অস্বাস্থ্যকর মিষ্টি বা দুধ জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে পাতলা পায়খানা হতে পারে।
- বাহিরের খোলা খাবার যেখানে মশা, মাছি পড়ে আছে এই ধরনের খাবার খেলে পাতলা পায়খানা হতে পারে।
- আবার অনেক সময় ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবেও পাতলা পায়খানা হতে পারে।
পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে
অনেকেই জানতে চায় যে, পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে? আসলে পাতলা পায়খানা হলে কিছু খাবার বাদে প্রায় সব খাবারই খাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে কলা খাওয়া যেতে পারে এতে কোন সমস্যা হবে না বরং এই কলা খাওয়াতে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। কারণ পাকা কলার মধ্যে থাকে পেকটিন যা পায়খানা শক্ত করতে সাহায্য করে।
তাছাড়া পেট খারাপের লক্ষণগুলো কমাতেও পারে, এক্ষেত্রে এক গ্লাস বাটার মিল্ক একটি কলা চটকিয়ে নেবেন, এর সাথে মিক্সড করে যদি খেতে পারেন। তাহলে উপকার পাবেন, এই মিশ্রণটি দিনে দুই থেকে তিনবার খাওয়া যেতে পারে। এতে অনেকটাই ভালো লাগবে।
আপনার যদি পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অনেকের বমি ও হতে পারে। বমি হওয়ার কারণে শরীর থেকে পটাশিয়াম ও লবণের ঘাটতি দেখা যেতে পারে। তাই আপনি পাকা কলা খাবেন, কারণ পাকা কলার মধ্যে পটাশিয়াম থাকে এবং যার কারণে আপনার হজম শক্তিও কাজ করবে। এছাড়াও পটাশিয়ামের ঘাটতিটাও পূরণ করবে। এজন্য পাকা কলা খাওয়া যেতে পারে।
পাতলা পায়খানা হলে কাঁচা বা পাকা কলা যেটাই খান না কেন, অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে পাকা কলা ও টক দই মিক্সড করে বেলেন্ডার করে খাবেন। তাছাড়া কাঁচা কলা সিদ্ধ করে যদি ভর্তা করে খেতে পারেন। এর সাথে হালকা লেবুর রস, লবন মিশিয়ে যদি খেতে পারেন, তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
পাতলা পায়খানার লক্ষণ
আপনার যদি পাতলা পায়খানা হয়, সে ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই পাতলা পায়খানার লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনা করা হলো।
- অল্প কিছুক্ষণ পর পর পায়খানা করার জন্য বেগ দিতে পারে।
- পাতলা পায়খানা হলে সাধারণত পায়খানার চাপ দিতে পারে না। কারণ এই সময় অপেক্ষা করতে খুবই কষ্ট হয়। যার কারণে পোশাকে পায়খানা করে ফেলতে পারে।
- পেটেও তলপেটে প্রচন্ড পরিমাণ ব্যথা হতে পারে।
- শরীরকে ক্লান্তি বোধ হয় শরীর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকে।
- মাথা ঘুরায় ও মাথা ব্যাথা করতে থাকে, অনেকে বমি করে ফেলে।
- পাতলা পায়খানার সাথে অনেক সময় রক্ত বের হতে পারে।
পাতলা পায়খানা হলে করণীয়
আপনার যদি পাতলা পায়খানা হয় সে ক্ষেত্রে কি করবেন? তাই পাতলা পায়খানা হলে করণীয় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।
পাতলা পায়খানা হলে প্রথমে একটি বিষয় খেয়াল করতে হবে, তা হলো; শরীর যেন প্রয়োজনীয় পানি ও ইলেকট্রোলাইট পায়। এজন্য ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা রোগীর জন্য শুকনো খাবারের পরিবর্তে জলীয় খাবার দেওয়া। পানি, ডাবের পানি, শরবত এবং ওর স্যালাইন খুবই যত্নের সাথে খাওয়ানো যেতে পারে।
আপেলঃ লুজ মোশন এর ক্ষেত্রে অর্থাৎ পাতলা পায়খানার ক্ষেত্রে আপেল খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এর মধ্যে পেকটিন নামক এক ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। যা শরীরের যাওয়ার পরে টয়লেটে যাওয়ার প্রবণতা কমতে থাকে।
সিদ্ধ আলুঃ সিদ্ধ আলুর মধ্যে অল্প পরিমাণ লবণ এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এর কারনে শরীরে এমন কিছু উপাদান বৃদ্ধি পাবে। যার প্রভাবে পেট খারাপের সমস্যা অনেকটাই কমতে থাকবে। তাই পেটের সমস্যা হলে সকাল বিকালে সিদ্ধ আলু খেতে পারবেন।
দইঃ পাতলা পায়খানা হলে এক বাটি দই খাওয়া যেতে পারে, তবে সেটা বাসি হওয়া যাবে না। এতে আপনার অনেকটাই পাতলা পায়খানা কমতে থাকবে। কারণ টক দইয়ের মধ্যে ল্যাক্টোব্যাসিলাস এবং বিফিডোয়াতটেরিয়াম নামের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে।
যা আমাদের খাদ্য হজম ক্ষেত্রে সাহায্য করে। এছাড়াও পাতলা পায়খানা কমাতে ও যতদিন পেটের সমস্যা না কমবে ততদিন আপনি দিনে দুই থেকে তিন কাপ টক দই খেতে পারবেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ আপনার পাতলা পায়খানা হলে এই উপাদানটি খেতে পারেন। এতে অনেক কাজ করবে, কারণ এর মধ্যে আছে প্যাকটিন নামের একটি উপাদান। যা পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও পেটকে চাঙ্গা করতে পারে।
তবে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার যেভাবে খাবেন, তা হল; এক গ্লাস পানির মধ্যে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার নিবেন। প্রতিবার খাওয়ার পরে এক গ্লাস করে এই পানি খেতে পারেন। এছাড়াও ইচ্ছা করলে এর সাথে আপনি অল্প পরিমাণে মধু মেশাতে পারেন, এতে স্বাদ হবে ভালো লাগবে।
লেবুর পানিঃ পেটের সমস্যার জন্য আপনি লেবুর পানি খেতে পারেন কিন্তু অনেক উপকার পাওয়া যায়। কারণ লেবুর পানির মধ্যে থাকে এন্টি ইনফ্লামেটরি, যা প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। যা পাতলা পায়খানা বা পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ডাবের পানিঃ পাতলা পায়খানা হলে আপনার শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য দূর করার জন্য এবং পানির চাহিদা মেটানোর জন্য ডাবের পানি খেতে পারেন। কারণ ডাবের পানির মধ্যে পটাশিয়াম থাকে, যা পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারবে।
এজন্য আপনি পেট খারাপ হলে বা পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণে দিনে কমপক্ষে দুই গ্লাস করে ডাবের পানি খেতে পারেন। এতে আপনার শরীর খনিজ পদার্থর চাহিদা পূরণ করবে।
দারুচিনিঃ দারুচিনি যে উপাদান আছে তা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া পেটের যে কোন সমস্যা দূর করতে পারে। এজন্য আপনি দিনে ৪ বার দারুচিনি পাউডার পানির সাথে মিক্সড করে খেতে পারেন, এক কাপ গরম পানির মধ্যে এক চামচ দারুচিনি পাউডার মিশিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে দিতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে, পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে? এখন জানবো বাচ্চাদের লুজ মোশন হলে কি করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক,
সাধারণত বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে ধরে নেওয়া হয় তারা বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। কারণ শিশুরা ডায়রিয়াতে বা পাতলা পায়খানায় বেশি হয়ে থাকে। কারণ তারা বুঝতে পারে না কোন খাবার খেলে অসুবিধা হবে। তারা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের মাধ্যমে পাতলা পায়খানা হবে।
সেটা তারা বুঝতে পারে না, এখন পাতলা পায়খানা হলে কি করবেন। চলুন জানা যাক, প্রথমত অবশ্যই বাচ্চাকে ওর স্যালাইন বা খাবার স্যালাইন খাওয়াবেন। তবে এই ক্ষেত্রে নিয়ম হলো আধা লিটার পানি মধ্যে একটি ওর স্যালাইন পুরোটুকু মিক্সড করতে হবে। এরপরে ছয় ঘন্টা মধ্যে খাওয়া শেষ করতে হবে। তাছাড়া এর সাথে আরো শরবত, ডাবের পানি, লেবুর পানি খাওয়ানো যেতে পারে।
অবস্থা যদি খুবই খারাপ হয় সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে অথবা হাসপাতালে নিতে হবে। এ সময় বাচ্চাদের প্রচুর পরিমানে পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে এবং খনিজ পদার্থ, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম বের হয়ে যাওয়ার কারণে সমস্যা হতে পারে। লবণ ও পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য খাবার স্যালাইন দিতে হবে।
শিশুকে উপরোক্ত গুলো খাওয়ানোর পাশাপাশি অবশ্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন। ছয় মাসের বেশি যদি বয়স হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খাওয়াতে হবে। বাচ্চার পাতলা পায়খানা হলে যদি এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে খাওয়াবেন।
পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম
পাতলা পায়খানা হলে অনেকেই জানতে চায় যে, পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
পাতলা পায়খানা হলে যখন ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে সেরে উঠতে না পারে। সে ক্ষেত্রে ওষুধের প্রয়োজন হয়ে যায় বা অনেকেই প্রথমেই ঔষধ খেতে পছন্দ করে। তবে এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা বলে থাকেন। পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া হলে কখনোই ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র এই সময় শরীর থেকে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়।
যার কারণে খাওয়ার স্যালাইন খেলেই সেটা পূরণ হয়ে যাবে। পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া তাড়াতাড়ি সেরে যায়, তবে অনেকেই ওষুধ খেতে পছন্দ করে। তাই বাজার থেকে বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে নিয়ে আসে। যেমন যে ধরনের ওষুধ সাধারণত দোকানদাররা দিয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলো; লপেরামাইড ও কোডিন জাতীয় ঔষধ খেয়ে থাকে।
আবার অনেকে সিপ্রোফ্লক্সাসিন বা এজিথ্রোমাইসিন এন্টিবায়োটিক খেয়ে থাকে। এটা অনেক ক্ষতিকর, চিকিৎসকের চিকিৎসা পত্র ছাড়াই এ ধরনের এন্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। তাছাড়া অনেকেই ফ্লাজিল বা মেট্রোনিডাজল খেয়ে থাকে কিন্তু মেট্রোনিডাজলের এটিও একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। এজন্য ডোজ কমপ্লিট করে খেতে হবে।
এই সকল ওষুধ খাওয়ার ফলে অনেকটাই টয়লেটে যাওয়া কমে যায় কিন্তু ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা সারাতে সাহায্য করে না। এতে আরো শরীরের ক্ষতি করতে পারে, মনে করেন ১২ বছর বয়সের নিচে একটি শিশুর ডায়রিয়া হয়েছে সাথে জ্বর বা পেট কামড়ানো আছে, পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে।
আলসারের সমস্যা রয়েছে, এই ক্ষেত্রে এই ওষুধগুলো খাওয়ার কারণে মাথা ঘোরা, মাথা হালকা বোধ হওয়া। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য এ ধরনের সমস্যা হতে পারে, এতে সিপ্রোফ্লক্সিসিন, মেট্রোলিডাজল বা অ্যাজথ্রোমাইসিন এগুলো এন্টিবায়োটিক খাওয়ালে শরীরে ক্ষতি হবে।
সাধারণত ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা ভাইরাসজনিত সমস্যা বা ব্যাকটেরিয়া অথবা খাবারের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। এ ধরনের পাতলা পায়খানা একাই সেরে যায়, এই ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার যদি বেশি প্রয়োজন হয়। তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের চিকিৎসা পত্র নিয়ে তারপরে ওষুধ খাওয়াতে হবে। তবে চেষ্টা করবেন খাবার স্যালাইন ও ডাবের পানি এবং তরল জাতীয় খাবার গুলো খাওয়াবেন।
পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাওয়া যাবে না
পাতলা পায়খানা হলে অনেক খাবার খাওয়া যায় না। তাই পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাওয়া যাবে না। নিম্নে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো;
ঝাল, তরকারি তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণে তারা সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে।
যে সমস্ত খাবার খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা হয় যেমন মটরশুঁটি, ব্রকলি, মটর, কুকিজ বা কেক জাতীয় মিষ্টি খাবার খেলে সাধারণত গ্যাস্ট্রিক বেড়ে যেতে পারে। এর কারণে পাতলা পায়খানার বেশি হতে পারে। এটা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সাধারণত যেকোনো ধরনের ভাজা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়া মাছ, মাংস ভাজা খাওয়া থেকেও দূরে থাকবেন।
ডিম ও দুধ বা দুধের তৈরি খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এতে আরো পাতলা পায়খানা বেশি হতে পারে, দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবার গুলো না খাওয়াই ভালো।
পাতলা পায়খানা হলে এ ধরনের খাবারগুলো খাবেন না। কারণ দুধ হজমের সমস্যা করতে পারে এবং পেটে গ্যাস্ট্রিক বাড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া দুধের তৈরি খাবারের মাঝে পনির, দুধ, মাখন জাতীয় খাবার খাবেন না।
চিনি দিয়ে চা, কফি বা বাজার থেকে ফলের জুস আঙ্গুর বেদনা ইত্যাদি এ ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকবেন। চা বা কফির মধ্যে ক্যাফেইন থাকে যার কারণে পাতলা পায়খানা হলে এগুলো খাওয়া ঠিক নয়। এতে পেটের সমস্যা আরও বৃদ্ধি করতে পারে বরঞ্চ এর পরিবর্তে আদা চা খেতে খাওয়া যেতে পারে।
মদ্যপানঃ পাতলা পায়খানা হলে মদ্যপান খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এতে হজমের সমস্যা হতে পারে এবং হজমের ক্ষেত্রে ক্ষতি হবে। পাতলা পায়খানা হলে উপরক্ত খাবার গুলো থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন। বিশেষ করে অ্যালকোহল যুক্ত পানি খাবেন না।
আমাদের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে, পাতলা পায়খানা হলে অনেকে চিন্তা করে কোন খাবার গুলো খাবে না। অনেকে জানতে চাই যে, পাতলা পায়খানা হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে? তাই এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন, তবে পাতলা পায়খানা হলে চিন্তার কোন কারণ নেই, ঘন ঘন খাবার স্যালাইন খাওয়াবেন। পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url