সৌদি আরব থেকে কিভাবে ইউরোপ যাওয়া যায় ও কত টাকা লাগে
অনেকে জানতে চায় যে, সৌদি আরব থেকে কিভাবে ইউরোপ যাওয়া যায়? তাই সৌদি থেকে কিভাবে বৈধ উপায়ে ইউরোপে যাওয়া যাবে সে বিষয়ে জানা প্রয়োজন। চলুন, সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সৌদি আরব থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে ইনকাম বেশি হয়। তাই তারা বিভিন্ন উপায়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু বৈধ উপায়ে কিভাবে ইউরোপে যাওয়া যায় সেটা জানা প্রয়োজন। তাই সৌদি আরব থেকে কিভাবে ইউরোপ যাওয়া যায়? এ সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃসৌদি আরব থেকে কিভাবে ইউরোপ যাওয়া যায় ও কত টাকা লাগে
সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে
আপনি যদি সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যেতে চান, সে ক্ষেত্রে সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে? জানা প্রয়োজন নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো,
আপনি যে ধরনের ভিসা নিয়েছেন এবং আপনার ভিসার মেয়াদের উপর নির্ভর করবে। সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার খরচ কত হবে। আপনি যদি সৌদি আরব থেকে ভিজিট ভিসায় ইউরোপে যেতে চান সে ক্ষেত্রে কম খরচ হবে। আবার যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইউরোপের দেশ ইতালিতে যেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার খরচ বেশি হবে।
ইতালি ভিজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হলে আপনি অবৈধ হিসাবে বিবেচিত হয়ে যাবেন কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ অনেক দিন পর্যন্ত থাকবে। এজন্য আপনি ভালো বেতনে ইতালিতে কাজ করার অনুমতি পাবেন।
বর্তমানে যাওয়ার জন্য আপনার খরচ হতে পারে ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মত। আপনি বৈধভাবে যদি ইউরোপে যেতে চান, তাহলে আপনার কাজ খুঁজে পাওয়ার জন্য কোন সমস্যা হবে না। আর যদি অবৈধভাবে যান তাহলে আপনার সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
সৌদি আরব থেকে কিভাবে ইউরোপ যাওয়া যায়
অনেকে সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য ভিসা করতে চায়। তাই সৌদি আরব থেকে কিভাবে ইউরোপ যাওয়া যায়? এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যদি যেতে চান, সেক্ষেত্রে তিনটি বৈধ ভিসা করতে পারবেন তা হল;
- টুরিস্ট ভিসায় যেতে পারবেন
- স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া যাবে
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজ করতে পারবেন।
টুরিস্ট ভিসাঃ সাধারণত টুরিস্ট ভিসা ৯০ দিন অথবা তিন মাসের মেয়াদে দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। টুরিস্ট ভিসা সৌদি আরব থেকে সহজ ভাবে আপনি ইউরোপে যেতে পারবেন। এই টুরিস্ট ভিসায় যদি সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যেতে চান।
সে ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করা লাগবে সুবিধার জন্য ইউরোপের যে কোন একটি দেশের ৯০ দিনের মধ্যে বৈধ কাজ ম্যানেজ করতে হবে। আর যদি দীর্ঘদিন বা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে কাজের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসাঃ আপনি যদি ইউরোপে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ভিসা করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার স্টুডেন্ট ভিসায় করতে হবে। সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার জন্য ইউরোপের যে কোন একটি প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার জন্য ভর্তির ইনভাইটেশন আপনার কাছে থাকতে হবে।
তাহলে সহজ ভাবে আপনি স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন যেমন যদি আপনি স্নাতক পাস করেছেন সে ক্ষেত্রে আপনি স্নাতকোত্তর অর্জনের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে পারেন। এভাবে আপনি সৌদি আরব থেকে যেতে পারবেন।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে কাজ করার জন্য বা চাকরি করার জন্য যে ভিসা নেওয়া হয়ে থাকে। তাকে আমরা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বলে থাকি। সৌদি আরব থেকে যদি ইউরোপে যেতে চান সেজন্য ইউরোপের বিভিন্ন চাকরির প্রটোকল থেকে আপনাকে পছন্দ মত চাকরি জন্য আবেদন করা লাগবে।
তারপর চাকরি যদি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাবেন। এই পদ্ধতি যদি যেতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনি ইউরোপের স্থায়ী নাগরিক হয়ে যাবেন। ইউরোপের দেশগুলোতে সব সময় শ্রমিক এর অভাব দেখা যায়, তাই আপনি ইচ্ছা করলে এই পারমিট ভিসা ইউরোপে যেতে পারেন।
তবে আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কর্মদক্ষতা ভালো থাকে তাহলে চেষ্টা করতে পারেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইউরোপে যাওয়ার জন্য এজন্য আপনি অনেক টাকা বেতন পাবেন।
ইউরোপে চাকরি
ইউরোপে চাকরি পাওয়ার জন্য উপরোক্ত এই তিনটি পদ্ধতি যে কোন একটি পদ্ধতি আপনি আবেদন করতে পারেন। তাহলে অতি সহজেই ইউরোপে যেতে পারবেন এবং আপনি যদি সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করেন, সেক্ষেত্রে উপরোক্ত তিনটি পদ্ধতির মধ্যে যে কোন একটি বেছে নিলে আপনি সহজ ভাবে যেতে পারবেন।
এখন ইউরোপে গিয়ে আপনি কি করতে পারেন আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যান অথবা টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার ৯০ দিনের মধ্যে অবশ্য একটা চাকরি জোগাড় করে নিতে হবে। আপনি যখন ইউরোপে যাবেন তার আগে অবশ্যই আপনার কাজ হবে, ইউরোপে চাকরি খুঁজতে হবে।
পরিচিত কারো মাধ্যমে অথবা কারোর মাধ্যমে চাকরি ম্যানেজ করতে হবে কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার চাকরি আবেদন করা লাগবে।
কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই ইউরোপের চাকরি পাওয়ার জন্য দালালের মাধ্যমে অনেক টাকা দিয়ে থাকে, এতে করে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে অনেকে ভালো চাকরি পায় না, আবার অনেকে দেখা যায় চাকরি পেলে অবৈধ হিসেবে চাকরি পায় যা আপনার ক্ষতি হতে পারে।
যার ফলে আপনি যে কাজটি করবেন সেটা অবৈধ কাজ হিসেবে পরিগণিত হবে। আবার অনেকে এভাবে দালালের মাধ্যমে বা অবৈধভাবে কাজ পাওয়ার কারণে অনেক টাকা দিয়ে থাকে যা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তী টাকা ফিরে পাবেন না, তখন আপনার সব টাকাই ক্ষতি হয়ে যাবে।
এজন্য আপনাকে বৈধ মাধ্যমে বা কারো পরিচিত মাধ্যমে ইউরোপে যেতে পারবেন অথবা ইউরোপের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেখে চাকরি খুজে আবেদন করবেন। এতে আপনার সহজভাবে চাকরি হয়ে যাবে, এতে কোন টাকা নষ্ট হবে না এবং আপনি ভালো মানের চাকরি করতে পারবেন।
আপনার সকল কাগজপত্র যদি বৈধ হয় সেক্ষেত্রে আপনার চাকরি পেতে খুবই কম সময় লাগবে। খুব সহজভাবে আপনি ইউরোপের ভালো একটা চাকরি করতে পারবেন এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করা যাবে। চাকরি পাওয়ার জন্য আপনি সৌদি আরব থেকে যাওয়ার বৈধ পদ্ধতি মাধ্যমেও যেতে পারবেন।
ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আপনি যদি সৌদি আরব থেকে ইউরোপে কাজের জন্য ভিসা করতে চান, সেই ক্ষেত্রে ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে পারেন। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো,
আপনি যদি কোন দেশে জব করার জন্য ভিসা করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে ইউরোপের বিভিন্ন প্রটোকল থেকে পছন্দমতো চাকরির আবেদন করা লাগবে।
তারপরে যদি আপনার চাকরি হয়ে যায়, তাহলে আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন। সেখানে ভিসা যখন পাবেন আপনি যেকোনো কাজ করতে পারবেন। এতে আপনার কোন সমস্যা হবে না এবং একসময় আপনি এদেশের নাগরিক হয়ে যাবেন। ভালো মানের যদি চাকরি পান তাহলে অনেক টাকা বেতন পাবেন।
তাই ইউরোপে যাওয়ার জন্য বৈধভাবে যদি যেতে চান তাহলে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গেলে আপনের কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। কেননা কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ দিয়ে থাকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলোতে, তাই আপনার যদি কোন পরিচিত লোক থাকে তাদের মাধ্যমেও কাজ সংগ্রহ করতে পারেন।
যদি আপনার কোন লোক না থাকে সেই ক্ষেত্রে ইউরোপের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিয়োগ দিয়ে থাকে তাদের কোম্পানিগুলো নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেখান থেকে আপনি আপনার বৈধ কাগজ এর মাধ্যমে যদি আবেদন করেন। তাহলে আপনার চাকরি হয়ে যাবে এবং এটা বৈধ পদ্ধতিতে চাকরি হবে।
এটা আপনার কোন সমস্যা হবে না এবং কোন টাকা পয়সার ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। আপনি আবেদন করলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন এবং সেই ক্ষেত্রে সুন্দর মত কাজ করতে পারবেন।
সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যাওয়ার বৈধ উপায়
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি যে, সৌদি আরব থেকে কিভাবে ইউরোপ যাওয়া যায়? এখন জানব বৈধ উপায় কিভাবে ইউরোপে যাওয়া যায়। সে সম্পর্কে চলুন, বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হোক।
সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যদি বৈধভাবে যেতে চান সে ক্ষেত্রে তিনটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যাবে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বৈধ ভাবে আপনি যেতে পারবেন। তাছাড়া স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন।
সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যদি আপনি যেতে চান সে ক্ষেত্রে কখনোই দালালের মাধ্যমে যাবেন না। এতে আপনার টাকা পয়সা নষ্ট হবে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তাই অবশ্যই আপনি বৈধ উপায়ে ইউরোপে যাবেন।
বৈধ উপায়ে গেলে আপনার কোন টাকা নষ্ট হবে না, এতে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। এজন্য আপনি যখন ভিসা করবেন তখন অবশ্যই খোঁজখবর নিয়ে বৈধ উপায়ে যেতে পারেন। সেই ভাবেই আপনি ভিসা করবেন তাহলে আপনি সুন্দর সহজ ভাবে সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যেতে পারবেন।
যে তিনটি বিষয়ের মাধ্যমে আপনি ভিসা করতে পারবেন তা উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি
এই তিনটি মাঝে যে কোন একটি আপনি আবেদন করবেন এবং এই তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে যদি ভিসা হয়ে যায়। যে কোন একটি ভিসা যদি আপনি করতে পারেন তাহলে ওই দেশে আপনি গিয়ে সুন্দর মত কাজ করতে পারবেন।
এটা আপনার বৈধ ভিসা হয়ে যাবে এভাবেই আপনি সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যাওয়ার বৈধ উপায়ে ভাবে ভিসা করতে পারবেন। তাহলে আপনার কাজের কোন ক্ষতি হবে না, টাকাও নষ্ট হবে না। এতে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার পর বৈধ হওয়ার উপায়
আপনি যদি অবৈধভাবে ইউরোপ গিয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে কিভাবে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার পর বৈধ হওয়ার উপায় সম্পর্কে নিয়মে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো,
যে কোন দেশে অবৈধভাবে ভিসা মাধ্যম ছাড়া দালালের খপ্পরে পড়ে আপনি যদি বিদেশে যান। সে ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তারপরেও অনেকে ভিসা খরচ বাঁচাতে বা ভিসা না পাওয়ার কারণে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে অবৈধ পথে ইউরোপে গিয়ে থাকে।
যদি আপনি অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করে থাকেন। তাহলে আপনার প্রথম লক্ষ্য হবে দ্রুত তা অর্জন করা। কারণ ধরা পড়ল আপনাকে জেলে যেতে হবে এবং সাজা এরপর শুন্য হাতে দেশে ফেরা লাগবে।
এজন্য আপনি ইউরোপের এমন কোন দেশ বা প্রদেশগুলো বেছে নিবেন। যেখান থেকে তুলনামূলক ভাবে সহজেই বৈধতা অর্জন করতে পারবেন। প্রয়োজনে বাঙালি কোন ব্যক্তির সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তাছাড়া আরও একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন, অবৈধভাবে যাওয়ার পরে যদি আপনি কোন শরনার্থী শিবিরে যেতে পারেন।
যেকোনো উপায়ে যদি এই শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করতে পারেন। তাহলে আপনি বৈধ হিসেবে ওই দেশে কাজ করতে পারবেন। কারণ শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার পরে আপনার জন্য কাজ করা খুবই সহজ হয়ে যাবে। বৈধ হওয়ার ক্ষেত্রে সহজ হয়ে যাবে, শরণার্থী শিবিরে গিয়ে আপনাকে এমন একটি কারণের কথা বলা লাগবে যার কারণে আপনি দেশে ফিরতে পারতেছেন না।
আপনাকে অনুরোধ করতে হবে এবং আপনার দুঃখের কথা তুলে ধরতে হবে। আপনি যদি মিথ্যা কথা বলেও আশ্বাস অর্জন করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার ওখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। শরণার্থী শিবিরে দুই থেকে তিন বছর থাকার পরে আপনি টেম্পোরারি রেসিডেন্স জন্য আবেদন করা অনুমতি পাবেন।
তারপরে ৫ থেকে ১০ বছর থাকার পরে পার্মানেন্ট রেসিডেন্স হিসেবে আবেদন করতে পারবেন। এর পরে আপনি ইউরোপের স্থানীয় নাগরিক হয়ে যাবেন। এভাবে অনেকেই অবৈধভাবে বিভিন্ন ট্রলারের মাধ্যমে জাহাজের মাধ্যমে শরণার্থী হিসেবে গিয়ে তারপরে বৈধ হিসেবে ইউরোপে কাজ করতে পারে।
তবে এইভাবে যাওয়া অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ, তাই চেষ্টা করবেন বৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার জন্য তাহলে আপনার ঝুঁকি থাকবে না এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যেতে কি কি লাগে
আপনি যদি সৌদি থেকে ইউরোপে যেতে চান তাহলে কিছু কাগজপত্র লাগবে জানা প্রয়োজন। তাই সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
ইউরোপ দেশে যাওয়ার জন্য অনেকেই চেষ্টা করে থাকে, তাই শ্রমিকদের এই দেশে অনেক মর্যাদা দিয়ে থাকে। সেখানে শ্রমিক অধিকার রক্ষা করা হয় এবং শ্রমিকদের অনেক মর্যাদা আছে। তাই এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক হিসাবে এই দেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে থাকে। কারণ এখানে সর্বোচ্চ অধিকার পেয়ে থাকে এই শ্রমিকরা।
এজন্য অনেক মানুষ সৌদি আরব থেকে ইউরোপে বেশি যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। সৌদি আরব থেকে ইউরোপে গেলে পাঁচ থেকে দশ গুণ টাকা বেশি উপার্জন করতে পারবেন। তাই সবাই ইউরোপের দেশগুলোই পছন্দ করে থাকে,তাই আপনার ভিসার প্রয়োজন হবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন।
সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং ভিজিট ভিসা এই দুটি ভিসা নিয়ে এই দেশে পাড়ি জমাতে পারেন। এই দুটি ভিসা আবেদন করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো;
- একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে সর্বনিম্ন ছয় মাস মেয়াদের হতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি লাগবে
- ইটালিয়ান ভিসা প্রয়োজন হবে
- ট্রাভেল ইন্সুরেন্স থাকতে হবে
- আর্থিক সাপোর্টের প্রমাণ লাগবে যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে পারেন
- ট্রাভেল ইতিহাস যেমন কয়েকটি দেশ আপনি ভ্রমণ করেছেন এরকম প্রমাণ থাকতে হবে।
- মেডিকেল রিপোর্টের সার্টিফিকেট লাগবে
- পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট লাগবে
- জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হবে
- ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে প্রমাণস্বরূপ টিকিট বুকিং হোটেল বুকিং থাকতে হবে।
- স্কিল সার্টিফিকেট যদি থাকে তাহলে ভালো হবে
- ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স যদি সার্টিফিকেট থাকে দিয়ে দিবেন।
- ইতালি ভাষা সার্টিফিকেট যদি প্রয়োজন হয় দিতে হবে
- ইংরেজি ভাষা দক্ষতা যদি প্রয়োজন হয় তাহলে লাগবে
- এ ছাড়া আপনার আরো অন্যান্য যদি কাগজপত্র থাকে সেগুলোর সাথে নিবেন।
আশা করি সৌদি আরব থেকে আপনি কিভাবে ইউরোপে যাবেন এবং কি কি লাগবে সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। উপরোক্ত এই বিষয়গুলো আপনার সঙ্গে রাখতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে সৌদি আরব থেকে আপনি যদি ইউরোপে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই বৈধ উপায়ে যাবেন। তাহলে আপনার কোন অসুবিধা হবে না। তাই সৌদি আরব থেকে কিভাবে ইউরোপ যাওয়া যায়? এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল টিতে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। উপরোক্ত এই নিয়ম অনুযায়ী ইউরোপে যেতে পারবেন। পোস্টটা ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url