তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা এবং গুরুত্ব সম্পর্কে জানুন
অনেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানেনা। আসলে তাদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে জানা খুবই প্রয়োজন। চলুন, এর উপকার এবং কি ক্ষতি করে থাকে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমানে আমরা এই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করছি এবং সকল কাজকর্ম ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি। তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা এবং গুরুত্ব সম্পর্কে জানুন
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কাকে বলে
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের বর্তমান যুগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে জানতে চায় যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কাকে বলে? নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো,
প্রযুক্তি শব্দটি ইংরেজিতে বলা হয় Technology. গ্রিক শব্দ হিসাবে Techne আভিধানিক অর্থ শিল্প, কারু হাতের দক্ষতা ইত্যাদি বোঝানো হয় এছাড়া Logia এর অর্থ শব্দ।
তথ্য শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ Information বলা হয়ে থাকে অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তির ইংরেজি আভিধানিক অর্থ ইনফরমেশন টেকনোলজি। যার অর্থ হয়ে থাকে কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় তথ্যগুলো একত্রীকরণ, সংরক্ষণ করা, বিনিময়ের ব্যবস্থা ইত্যাদি থেকে বুঝিয়ে থাকে।
যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে এমন মাধ্যমকে বোঝায় যা কোন তথ্য এক স্থান থেকে আরেক স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটার স্থানান্তরকে বুঝানো হয়ে থাকে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বলতে আমরা টেলিযোগাযোগ সম্প্রচার মিডিয়া অডিও ভিজুয়াল প্রসেসিং এবং ট্রান্সমিশন সিস্টেম এবং নেটওয়ার্ক ভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ পরিচালনাকে ক্ষেত্রে যে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাকে আমরা তথ্য ও প্রযুক্তি বলে থাকি।
অর্থাৎ তথ্য আদান প্রদান এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করে থাকি, মূলত সেটা কি তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে যেমন মোবাইল কম্পিউটার, টেলিভিশন, রেডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা যোগাযোগ করতে পারি।
তথ্য প্রযুক্তি হলো সার্বজনীনভাবে গ্রহণ করতে পারে, এরকম শিক্ষা যন্ত্রকে বুঝায়। যার শিক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে, পরিকল্পনা করতে পারে যেমন শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষাদানের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় কার্যক্রম দ্রুত ও আকর্ষণ করার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের আধুনিক টেকনোলজিতে দক্ষতা অর্জন করার জন্য সারা বিশ্বে শিক্ষা ব্যবস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
একক চাহিদার সঙ্গে পরিবর্তনশীল জনসংখ্যা কে মানিয়ে নেওয়ার জন্য জনসংখ্যা বিষয়ক পরিষেবা সরবরাহের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা আমরা তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে পারি শিক্ষা ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন কর্মসূচি সেবা দেওয়ার জন্য।
প্রকৃতপক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এক ধরনের যোগাযোগ সিস্টেম ইত্যাদি তথ্য সংরক্ষণ অডিও ভিডিও সিস্টেম ইত্যাদির সমন্বয় নিয়ে যে এক ধরনের গঠিত হয়। সেই ব্যবস্থাকে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কাজে লাগাতে পারি, বিশেষ করে এ তথ্য প্রযুক্তি যিনি ব্যবহার করেন সে খুব সহজে তথ্যগুলো সংগ্রহ সংরক্ষণ করা, সঞ্চালন করা এবং বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা পালন করে থাকে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
আধুনিক যুগে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার অধিকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা উভয় রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমরা প্রতিদিনই ব্যবহার করতেছি, এছাড়াও এর সুযোগ সুবিধা গুলো আমরা ভোগ করে থাকি। তবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ব্যক্তি আমরা এর সুবিধা সমূহ অনেকে জানিনা এবং অসুবিধার কথাও বুঝতে পারে না। সেজন্য নিম্নে কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- কম খরচে দ্রুত ডেটা ও তথ্য স্থানান্তর করা যেতে পারে এবং অত্যন্ত সহজ ভাবে এই তথ্যগুলো আদান প্রদান করা যায়।
- খুব কম সময়ে এর মধ্যেই অধিক পরিমাণে ডাটা স্থানান্তর করা যেতে পারে।
- সময়ের ক্ষেত্রে অপচয় কম হয় এছাড়াও কাজের গতি বৃদ্ধি পায়, দ্রুতগতিতে কাজ করা যায়।
- তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি উন্নতির কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ঘরে বসেই শিক্ষা লাভ করতে পারে।
- বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেকে দক্ষতা অর্জন করার জন্য এই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা, যা সফলতা অর্জন করা যায়।
- খুবই কম পরিশ্রম করার মাধ্যমে অধিক কাজ করা যায় এবং সেটা সফলতা অর্জন করা যেতে পারে।
- ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য কাজগুলো অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে করা যায়।
- অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় শপিং করার ক্ষেত্রে ঘরে বসেই করা যেতে পারে।
খুব দ্রুত গতিতে তথ্য সংগ্রহ এবং তথ্য সংরক্ষণ স্থানান্তর ইত্যাদি করার মাধ্যমে সময় কম সময় বেঁচে যায়। তাছাড়া ই-লার্নিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার কারণে অনেকে এর মাধ্যমে কাজ করে বেকারত্ব দূর হয়েছে। এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করে অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করছে।
উপরেই তথ্যগুলো তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমেই এর সুবিধা এবং গুরুত্ব অবলম্বন করেছে লাভ করতে
পেরেছেন। তাছাড়া এই সুবিধা গুলো আমাদের বাস্তব কার্যকারী রয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অসুবিধা সমূহ
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারি। আবার এটা ব্যবহার করার কারণে অসুবিধা হতে পারে, নিম্নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অসুবিধা সমূহ বর্ণনা করা হলো।
- শিশুরা এবং অল্প বয়সে ছেলে-মেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচাইতে বেশি আসক্ত হয়ে থাকে।
- ভিডিও গেম ও অন্যান্য গেমস এর প্রতি শিশুরা বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে, যা আমাদের সমাজের অনেক ক্ষতি হতে পারে।
- অশিক্ষিত কর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা অনেকটা কমে গেছে।
- অনেক ক্ষেত্রে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ছাত্রছাত্রী এবং অল্প বয়সে লোকজনেরা ছেলে মেয়েরা অনলাইনে বেশি সময় নষ্ট করছে।
- অনলাইনের মাধ্যমে বেশি সময় দেওয়ার কারনে মানুষ অলস হয়ে যাচ্ছে এবং শারীরিকভাবে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি হওয়া শুরু করেছে।
- সাংস্কৃতিক খেলাধুলা এগুলো ছেড়ে দিয়ে এখন সবাই স্মার্টফোনে বেশি সময় দেয় এবং আসক্ত হয়ে যায়।
- বিভিন্ন প্রকার ভিডিও গেমস খেলার মাধ্যমে সময় নষ্ট করে দিচ্ছে, এছাড়াও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে যে ক্ষতিগুলো হয় তা উপরোক্ত বিষয়গুলোর মাধ্যমে আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো দেখা যেতে পারে আর সাধারণত কিছু পদ্ধতি বা ব্যবস্থাপনা নিজেরাই গ্রহণ করতে হবে।
তাহলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে, তাছাড়া আমরা এই যে যারা আসক্ত হয়ে অনলাইনে বা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এজন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। আসলে আমাদের পক্ষে এই বদ অভ্যাসটা ছাড়া অনেক কঠিন হবে, তারপরও আস্তে আস্তে এটা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপাদান
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছু বস্তু জিনিসের প্রয়োজন হয়। তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপাদান সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো
- স্মার্টফোন, কম্পিউটার এছাড়াও এই ধরনের কিছু যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- রেডিও টেলিভিশন ফ্যাক্স ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়
- কম্পিউটার ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করা যেতে পারে।
- অডিও ভিডিও এর মাধ্যমে আমরা সুবিধা পেয়ে থাকি।
- স্যাটেলাইট, স্যাটেলাইট টেলিভিশন ব্যবহার করা হয়।
- কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেমন LAN MAN WAN ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
- আধুনিক টেলিযোগাযোগের মাধ্যমেও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- মডেম, মডুলেশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব
ইতিপূর্বে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জেনেছি। এখন এর গুরুত্ব সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্বঃ দৈনন্দিন জীবনে আমরা কোন না কোন ভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি। মনে করেন আপনি ঘরে বসে টেলিভিশনের মাধ্যমে খবর দেখছেন এটাও একটি প্রযুক্তি। আবার অনেক দূর দূরান্তে মানুষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইলে কথা বলছেন এটা একটি প্রযুক্তির ব্যবহার।
অনেক দূর দূরান্তে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাতায়াতের জন্য কথা বলার জন্য আমরা স্মার্টফোন ব্যবহার করি এবং ভিডিও ফোনে দেখা যায়। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ করতে পারি, পৃথিবীর এক স্থান থেকে আরেক স্থানে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
তাছাড়া আমরা দৈনন্দিন জীবনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করতে পারি। সে অর্ডার করা পণ্য আমাদের সরাসরি বাসায় নিয়ে এসে পৌঁছে দিতে পারে। সে সাথে অনেকে ট্রেন ভ্রমণ করতে বা ভ্রমণ করতে পছন্দ করে।
তাহলে আপনি ঘরে বসে বাস ট্রেন এগুলো অনলাইনে টিকিট করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনার টিকিট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয় না। বরঞ্চ আমরা নিজে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট সংগ্রহ করতে পারে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্বঃ আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি, বিশেষ করে বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রমের প্রায় অনেক কিছুই ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে কাজ করা হয়ে থাকে। যেমন আপনি ইচ্ছা করলে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করতে পারেন আবার শিক্ষকরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছাত্রদেরকে পড়াতে পারেন।
তাছাড়া পাশাপাশি শিক্ষা বিষয়ক অনেক বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করার প্রয়োজন হলে সেগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি। তাছাড়া বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকি। ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করে গুগলের মাধ্যমে অনেক কিছু আমরা শিখতে পারি।
অতীতে একজন শিক্ষার্থী নতুন কিছু যদি জানার জন্য আগ্রহ করতো, সেই ক্ষেত্রে তাকে প্রচুর পরিমাণ বই পড়তে হতো বা বই ঘাটাঘাটি করা লাগতো। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীরা যেকোনো ধরনের প্রশ্ন গুগলে সার্চ দিলে সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়।
মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতে পারে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু তথ্য খুব সহজে পেয়ে যায় এবং তাদের সময় ব্যয় হয় কম। তারা প্রচুর পরিমাণ স্টাডি করতে পারে, তাই সুবিধাগুলোর দিক বিবেচনা করে অবশ্যই অনলাইনে সুবিধা রয়েছে এবং তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্বঃ আমরা যদি অতীতের কথাগুলো মনে করি সেক্ষেত্রে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে হলে তাকে বিভিন্ন চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ করা লাগতো। এটা ছিল অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ ব্যাপার তাছাড়া একটি চিঠি আপনার কাঙ্খিত মানুষের কাছে পৌঁছাতে অনেক দিন সময় লাগে এবং সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করা যায় না।
সেই ক্ষেত্রে গুগলের বর্তমানে চিন্তা করলে দেখা যায় যে মানুষ আর আগের দিনের মতো অপেক্ষা করতে হয় না। বরঞ্চ আমরা এখন মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে একজন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে পারি। খুবই সহজে বিশেষ করে মেসেজ, ইমেইল করতে পারি।
আমরা প্রত্যেকে এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি, আমরা ইচ্ছা করলে মোবাইলে কল দিয়ে সরাসরি কথা বলা কথা বলতে পারি, আবার আজকের দিনে ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে আমরা যোগাযোগ করতে পারি।
আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দ্রুত একজন ব্যক্তির অন্য আর একজন ব্যক্তির যোগাযোগ করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে আপনি এই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে আমরা ভিডিও ফোনের মাধ্যমে সরাসরি এখন দেখতেও পারি পৃথিবীর এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যোগাযোগের আগের যুগে দেখা যেত না কিন্তু বর্তমানে দেখা এবং কথাও বলা যেতে পারে।
কর্মক্ষেত্রে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বা গুরুত্বঃ কর্মক্ষেত্রে আমরা বর্তমানে যোগাযোগ প্রযুক্তি তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে থাকি। সে ক্ষেত্রে আমরা যদি লক্ষ্য করি তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে কর্মক্ষেত্রের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। কারণ আগের যুগে কলকারখানা গুলোতে যে কাজগুলো করা হতো সেগুলো ছিল অনেকটাই কষ্টদায়ক।
বর্তমানে সেই কাজগুলো উন্নত মানের হওয়ার কারণে রোবটের সাহায্যে অনেক কাজ করা হয়ে থাকে। এর ফলে কাজটা খুবই দ্রুত হয় এবং দক্ষতার সাথে খুবই সুন্দরভাবে কাজগুলো হয়ে থাকে। এছাড়া বাড়তি সময় অপচয় হয় না মানুষের মাধ্যমে করতে গেলে অনেক সময় লাগে।
অনেক সময় ইত্যাদি দেওয়ার প্রয়োজন হয় এবং রোবট যদি ব্যবহার করা যায় সে ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যাগুলো সম্মুখীন হতে হয় না এবং বাড়তি কোনো খরচের প্রয়োজন দেখা যায় না।
ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্বঃ বর্তমানে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকে অনলাইনের মাধ্যমে বিশেষ করে আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি। যার ফলে একটি ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য যতগুলো হিসাব নিকাশ সকল তথ্য আদান প্রদান করা যায়। এই কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ব্যবহার করে তার সাথে কাজ করা যায়।
এছাড়াও পাশাপাশি অনলাইনে ব্যবসা করা হয়ে থাকে যেমন একজন মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেট এর সাহায্যে কাজে লাগিয়ে প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও আপনি প্রোডাক্টগুলো আপনার কাঙ্খিত কাস্টমারের নিকট পাঠিয়ে দিতে পারবেন। তাছাড়া কাজগুলো আপনি তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে করতে পারবেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কত প্রকার ও কি কি
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে। এখন জানবো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রকারভেদ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শুধুই যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তা কিন্তু নয় এর সাথে আরো একাধিক বিভিন্ন বিষয় ব্যবহার করি। কারণ তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে, যেগুলো আমরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকে।
আমরা বিভিন্ন প্রকার তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে থাকি, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই এ তথ্যপ্রযুক্তির প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। চলুন, এ সম্পর্কে সম্পর্কে আলোচনা করা হোক।
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মোটামুটি চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে তা হল;
- কম্পিউটারিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম বলা হয়ে থাকে।
- ব্রডকাস্টিং সিস্টেম
- টেলিকমিউনিকেশন বা মোবাইল এর মাধ্যমে
- এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করা
এগুলোই মূলত তথ্য প্রযুক্তির প্রকারভেদ যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব
বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি আমাদের সমাজে কিভাবে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব রয়েছে, নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আমাদের বিভিন্ন কিছু অপচয় থেকে রক্ষা করে থাকে। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যয় কে কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘরে বসে বিদ্যুৎ পানি গ্যাস ইত্যাদি বিল মোবাইলের মাধ্যমে দিয়ে থাকি।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের আগে যে সময়গুলো লাগতো সেটা এখন বর্তমানে খুবই কম সময়ের মাধ্যমে পারা যায় এবং যেখানে সরাসরি গিয়ে কাজ করতে হতো এখন বর্তমানে মোবাইলের মাধ্যমে আমরা সেগুলো পেমেন্ট করতে পারি, এক্ষেত্রে সময়ের অপচয় হয় না।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করার কারণে সর্বক্ষেত্রে আমরা দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারি। বর্তমানে ব্যবস্থাপকরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এবং দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে পারে। ব্যবসা-বাণিজ্য এর ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং অনেকটাই লাভজনক হয়ে থাকে।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করার কারণে যে কোন তথ্যই আমরা সহজ ভাবে পেয়ে থাকি। বিশেষ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইল ব্যবহার করে সারা বিশ্বটাকে আমরা হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে পারি। প্রয়োজনীয় তথ্য আমরা গুগল এর মাধ্যমে পেয়ে থাকি।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহার করে আমরা তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারি যেমন ফোনের মাধ্যমে কথা বলা যায়। ইন্টারনেট, ফ্যাক্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তথ্য বা বিভিন্ন জিনিস পাঠিয়ে দেওয়া যেতে পারে। ইমেইল করা যায় এসএমএস এবং আরো বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা দূর দূরান্তে ব্যক্তিদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জুম মিটিং করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে খরচ কম হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন মতামত আদান প্রদান করা যেতে পারে।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার ক্ষেত্রে যদি ব্যবহার করা যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে আরো অনেক ভালো কাজ করে থাকে। বিশেষ করে আগে প্রথাগত ব্যবসা ছিল সেটা এখন বের হয়ে বর্তমানে ই কমার্স ব্যবসা করতে পারে।
বর্তমানে রোবট ব্যবহার করে মানুষের শারীরিক শক্তি করতে হয় না। এই রোবট অনেকগুলো মানুষের একাই কাজ করতে পারে এবং সময় বেঁচে যায়। বিপদজনক পরিশ্রম ইত্যাদি সকল কিছু কাজ করা যেতে পারে যেমন ঢালাইয়ের কাজ, ভারি মালামাল উঠানো নামানো ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পড়ালেখা করিয়ে থাকে এবং পরীক্ষা নিয়ে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষা লাভ করা যেতে পারে। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পড়ালেখা করিয়ে থাকে।
এছাড়া শিক্ষামূলক বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে সেখান থেকে শিক্ষা লাভ করা যেতে পারে। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা করে থাকে।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে বর্তমানে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে চিকিৎসকরা এক দেশে বসে আরেক দেশে রোগীদের সেবা দিতে পারে এবং চিকিৎসা পত্র প্রদান করতে পারে। বিভিন্ন সার্জন ডাক্তার তারা নানা ধরনের কাজ রোবটের সাহায্যে কাজ করা যেতে পারে।
বর্তমানে বিশ্বের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে এই প্রযুক্তি। বিশেষ করে ইন্টারনেটের ব্যবহার করে বর্তমানে যেকোনো দেশে ঘরে বসে কাজ করে দিতে পারবে এবং তারা অনলাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বর্তমানে ফেসবুক ইউটিউব আরও বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া এর মাধ্যমে।
ভিডিও এবং বিভিন্ন সাইটে আপলোডিং করে আমরা বিনোদন নিতে পারে। বিশেষ করে বিভিন্ন ছবি ভিডিও শেয়ার করা যেতে পারে আজকাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিভি ও রেডিও চালু করা যেতে পারে। এছাড়া অডিও ভিডিও প্রযুক্তির মাধ্যমে ছাড়াই কম্পিউটারের বিভিন্ন কিছু কম্পিউটারের মাধ্যমে টিভি দেখা যেতে পারে।
বর্তমানে ই গভর্নেন্স চালু করার মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কাজের অনেকটা সুবিধা হয়েছে। বিশেষ করে তারা বিভিন্ন ধরনের সরকারি কর্মকান্ড ক্ষেত্রে কে দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ করার ক্ষেত্রেও এই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে।
যেমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বিভিন্ন কিছু তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা যেতে পারে। তাছাড়া কম্পিউটারের মাধ্যমে অনেক কাজকর্ম করা হয়ে থাকে। যা আগের যুগের মতো কাগজ কলমের করতে হয় না। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পত্র ইত্যাদি নিয়োগের ক্ষেত্রে যত কাজ এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
লেখকের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। তাই বর্তমানে আমরা যত ধরনের কাজ রয়েছে অধিকাংশ কাজগুলো তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে আরো তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতি হবে, এতে মানুষ অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবে। তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা উভয় রয়েছে। তবে এটা ব্যবহারের উপরের নির্ভর করে। পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url