মোবাইল দিয়ে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় জেনে নিন
অনেকে জানতে চায় যে, মোবাইল দিয়ে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়? ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি প্রাথমিক পর্যায়ে মোবাইলের মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন। চলুন, মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
প্রাথমিক পর্যায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ মোবাইল এর মাধ্যমে করতে পারেন। তবে মোবাইল এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই মোবাইল দিয়ে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃমোবাইল দিয়ে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় জেনে নিন
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। ডিজিটাল মার্কেটিং হলো অনলাইনের মাধ্যমে কোন পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করা। সেই প্রচার সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং কিংবা তার অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আবার ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করুন
তাছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া যেমন টিভি রেডিও এগুলোর মাধ্যমে পণ্য বিজ্ঞাপন প্রচার করা যেতে পারে। এটাও মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ, এছাড়া মোবাইলের মাধ্যমে ইন্সট্যান্ট মেসেজিং করা, বিলবোর্ড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে প্রচারণা করা যেতে পারে, যাকে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে পারি।
ডিজিটাল যুগে নিজের ব্যবসাকে অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং কতটা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রত্যেকটি সেক্টরকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান সময়ে টিকে থাকতে হবে।
মোবাইল দিয়ে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়
বর্তমানে প্রায় মানুষের নিকট স্মার্টফোন থাকে, যার মাধ্যমে অনেক কাজ করা যেতে পারে। তাই মোবাইল দিয়ে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়? সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।
কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস যদি আপনার গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে চান, তাহলে এই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমেই পৌঁছাতে হবে। তাই ইচ্ছা করলে আপনার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে আপনার এই পণ্য বা সার্ভিস মানুষের নিকট পৌঁছা দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সাররা সফলতা অর্জন করেছে।
এরা প্রথমে মোবাইল দিয়েই কাজ শুরু করেছিল, এছাড়াও বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে। সবাই অধিকাংশ সময় ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকে, আর এগুলোকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সেল করে আপনি ইনকাম করতে পারেন। এভাবেই আসলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো ক্যাটাগরি আছে, কিছু ক্যাটাগরির কাজ মোবাইলের মাধ্যমে করা যেতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে যে সকল কাজ মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন, যেমন ডাটা এন্ট্রির কাজ, লিড জেনারেশন, এমনকি টুকটাক গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজও মোবাইল দিয়ে করা যেতে পারে।
তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে আপনি যদি প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটিং হতে চান, সেক্ষেত্রে ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপের প্রয়োজন কিন্তু এই প্রফেশনাল মানে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনি মোবাইল দিয়েই কাজ করতে পারবেন। এখন বলা যেতে পারে যে কোন কোন সেক্টরে মোবাইলের মাধ্যমে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করা যাবে।
- কন্টেন্ট মার্কেটিং করা যেতে পারে
- ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ করবেন
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারে
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
কন্টেন্ট মার্কেটিংঃ এর কাজগুলো করা যেতে পারে খুবই সহজ, এ গুলো প্রধানত মোবাইলের মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো কন্টেন্ট মার্কেটিং এর কাজ। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করার জন্য অবশ্যই কোন পণ্য বিক্রি করবেন, কোন সার্ভিস প্রোভাইড করবেন।
সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রয়োজন রয়েছে। তাই সুন্দর করে কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে আপনার ইউটিউবে অথবা নিজস্ব ওয়েব সাইটে পাবলিশ করতে পারেন। এতে আপনার কন্টেন্ট গুলো অনেকটাই উপকৃত হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ। তাই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কিছু মাধ্যম রয়েছে এবং তার টেকনিক গুলো আলাদা। সোশ্যাল মিডিয়ার মার্কেটিং গুলো হল ফেসবুক, ইমেইল, ইউটিউব ইনস্টাগ্রাম, লিংকডিন, টুইটার এগুলোর মাধ্যমে আপনার ব্যবসা সার্ভিস ইত্যাদির প্রচার করতে পারেন।
বর্তমানে প্রায় বেশিরভাগ মানুষ এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করার কারণে আমরা দেশ-বিদেশের চেনা অজানা বিভিন্ন মানুষের সাথে এসএমএস ছবি ভিডিও স্ট্যাটাস মাধ্যমে কথা বলতে পারি কিন্তু বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া গুলো অনলাইন মার্কেটিং এ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
বিভিন্ন ধরনের পণ্য ক্রয় করা যেতে পারে। এতে অনেক সময় বেঁচে যায় এবং কষ্ট ও কম খরচ হয়। এজন্য ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবসা বাণিজ্য প্রচার করার জন্য ভালো কাজ করছে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রয়োজন আছে। কোন কিছু সার্চ করে যদি মানুষ খুঁজে না পায়, তাহলে তো আপনার পণ্য বিক্রি হবে না। আর গুগলে যদি কোন কিছু মানুষ সার্চ করে।
অথবা ইউটিউবে যদি কোন কিছু সার্চ করে যদি আপনার তথ্য বা আপনার পণ্যটা সকল তথ্য খুঁজে পায়। তাহলেই পণ্যটা কিনবে, তাই বিখ্যাত কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনিয়ারের নাম দেওয়া হলো তা হলো গুগল, ইয়াহু, বিং এই সকল সাইটগুলো সাধারণত ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সাধারণত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দুই ধরনের গ্রুপে হয়ে থাকে; ওয়ান পেজ অপটিমাইজেশন করা, অফ পেজ অপটিমাইজেশন।
এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যদি আপনার একটা সাইট থাকে সে ক্ষেত্রে এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আপনাকে একটি ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল, ওয়েবসাইট লাগবে এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সহজভাবে বলতে গেলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং হল;
এমন একটা মার্কেটিং যা কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে যদি বিক্রি করে দিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে কোম্পানি আপনাকে কমিশন দেবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনার মূলধন না থাকলেও কোন ইনভেস্ট ছাড়াই মোবাইলের মাধ্যমেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যেতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে কিছু বিষয়ে প্রয়োজন, তাই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে? বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক আছে। ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।
কারণ আজকের দিনে বিশ্বের যতগুলো কোম্পানি রয়েছে, সবাই তাদের পণ্যগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে বিজনেস করছে।
যার কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই আপনি নতুন মানুষ হিসাবে প্রথমে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজটা শেখাই সবচাইতে ভালো হবে। আর যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান সেই ক্ষেত্রে কিছু জিনিস প্রয়োজন হবে। তা হলো;
দক্ষতাঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য প্রথমেই আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতা ছাড়া আপনি এই প্লাটফর্মের সফলতার মুখ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে পারবেন না। তাই প্রথমে আগে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করা প্রয়োজন।
ডিভাইসঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতা অর্জন করার জন্য অবশ্যই আপনার ডিভাইসের প্রয়োজন। কারণ অধিকাংশ কাজগুলোই অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয়। তাই আপনার অবশ্যই ডিভাইস হিসেবে একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকা লাগবে।
মার্কেটিং স্ট্রাটেজিঃ আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশল সম্পর্কে জানতে চান, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই এর ট্র্যাটিজি আপনাকে বুঝতে হবে। পণ্যের বিজ্ঞাপন কোন কাস্টমারদের কে প্রোভাইড করবেন। সেই সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে এজন্য আপনার এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
এসইও এক্সপার্ট হতে হবেঃ এসইও সম্পর্কে আপনার পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। এর প্রত্যেকটা অংশ সুন্দর করে শিখতে হবে। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে আপনার পণ্যর বিজ্ঞাপন টা অবশ্যই মানুষের সম্মুখে নিয়ে আসতে হবে।
অর্গানিকভাবে আপনার পণ্য যদি প্রচার করতে চান, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার এসইও সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ধারণা থাকতে হবে এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাহলে আপনি আপনার সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যেতে পারবে।
ডাটা এনালাইসিসঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ডাটা এনালাইসিস করা যখন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার টার্গেট করা কাস্টমার কেয়ার দের ডাটা এনালাইসিস করা লাগবে। তাদের আপনার কাছে যদি তাদের ডাটা গুলো থাকে তাহলে আপনি অতি দ্রুত গতিতে তাদের সম্মুখে আপনার পণ্যের গুনাগুন সম্পর্কে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।
ডিজাইন করাঃ ডিজাইন সম্পর্কে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে কারণ অনলাইনের মাধ্যমে যখন আপনি বিজ্ঞাপন দিতে যাবেন। তখন আপনার পণ্যের সম্পর্কে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করতে হবে। প্রথমে যদি এই ছবিটার প্রতি আকর্ষিত হয় তাহলে আপনার পুরোনো ডিটেলস করার জন্য আগ্রহ হবে। তাই কাস্টমার কে আকর্ষিত করার জন্য অবশ্যই আপনার গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা থাকা লাগবে।
কনটেন্ট ক্রিয়েশনঃ কোন প্রডাক্টের প্রচারণা করার জন্য কন্টেন্ট সুন্দর করে সাজাতে হবে। যেমন ভিডিও কনটেন্ট হতে পারে, ইমেজ কনটেন্ট টেক্সট কনটেন্ট এই সকল বিষয়ে আপনার এমন ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। যেন লোকজনের কাছে আকর্ষিত হয় এবং চমকের মতো কাজ করে এই বিষয়ে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
ধৈর্যঃ অনলাইনে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করতে হবে। যারা অতি অল্প সময়ের মধ্যে ইনকামের আশা করে তারা কখনোই সফলতা অর্জন করতে পারবে না। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে অভিজ্ঞতা দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অবশ্যই হাতে কমপক্ষে দুই বছরের উপরে সময় দিতে হবে, তাহলে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রত্যেকটা সেক্টর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি? সে সম্পর্কে ধারনা প্রয়োজন, নিম্ন তা আলোচনা করা হলো।
প্রথমে একজন নতুন মানুষের একটা প্রশ্ন করে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কোন সেক্টর টা সবচাইতে জনপ্রিয়। তাই ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে যতগুলো সেক্টর আছে সবগুলো কাজেরই চাহিদা আছে। আপনি যে কোন একটি সেক্টরের দক্ষ হতে পারলে সেখান থেকে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন। আর এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে উন্নত করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে এর কোন কাজটি সবচাইতে জনপ্রিয় তা জানা প্রয়োজন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অনেকগুলো সেক্টর আছে সেগুলো আপনি শিখতে পারেন। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাজ করতে হলে এর সাথে আরো অনেক কিছু শিখতে হবে। মনে করুন একজন কোম্পানি তার প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য প্রচারণা করার প্রয়োজন এবং সেল বৃদ্ধি করবে এটা অনলাইনের মাধ্যমে করতে চায়।
এক্ষেত্রে আপনাকে এই বিষয়ে সময় অথবা জ্ঞান সম্পর্কে জানানো প্রয়োজন। আর এই জন্য একজন ফ্রিল্যান্সারকে তারা হায়ার করে থাকে। প্রথমে এ প্রোডাক্ট মার্কেট প্রচার করা এবং বিক্রি করার জন্য প্রোডাক্ট এর ছবি সাজানো প্রয়োজন। প্রোডাক্ট সেল করার জন্য ফেসবুক অথবা ইউটিউব থেকে বেছে নিতে পারেন। যদিও আমরা সোশ্যাল মিডিইয়াকে মার্কেটিং বলে থাকি।
একটি কোম্পানির প্রোফাইল ফটো অথবা ব্যানার তৈরি করার জন্য একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও ফেসবুক পেজ তৈরি করার জন্য একজন ডিজিটাল মার্কেটার প্রয়োজন হয়। তাছাড়া এই পেজটিতে কোম্পানির প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দেওয়া প্রয়োজন, সেজন্য একজন প্রয়োজন হবে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট এর প্রয়োজন হবে। এজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের চাহিদা বেশি।
আবার কোন ব্যক্তি যদি ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চায় না, সে ক্ষেত্রে নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার সরাসরি কাস্টমারের কাছে নিয়ে যেতে পারেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ডেভেলপার এবং ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য ওয়েব ডিজাইনার ওয়েবসাইটগুলো প্রস্তুত করে দেওয়ার পরে ওয়েবসাইট গুলো গুগল প্রথমের র্যাংক নিয়ে আসতে পারেন সে ক্ষেত্রে একজন ডিজিটাল মার্কেটারের প্রয়োজন হবে। গুগলে এ্যাড রান করতে পারেন।
যদি কোম্পানির মালিক চায় তারা কোন রকমের ট্রাফিক নিয়ে আসার দরকার নাই অর্থাৎ অর্গানিকভাবে তাদের প্রোডাক্ট এর কাস্টমার চাচ্ছেন সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন এসিও এক্সপার্ট প্রয়োজন হবে।
টপ রাঙ্ক এ যদি ওয়েবসাইটটা অবস্থান করাতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার কোম্পানি প্রচারণা ভালো হবে এবং বিক্রিও ভালো হবে। এভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কার্যক্রম গুলো প্রত্যেকটা ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে আরেকটা সম্পর্ক আছে।
সুতরাং ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কাজের চাহিদা বেশি হতে পারে এবং ফ্রিল্যান্সার কোন কাজের চাহিদা বেশি হতে পারে এই ধরনের আসলে কাজের পরিধির বর্তমানে পরিলক্ষিত হতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি মোবাইল দিয়ে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়? আমরা জানবো এই ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য কতদিন সময় লাগতে পারে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
ডিজিটাল মার্কেটিং মৌলিক ধারণাঃ যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মৌলিক ধারণা নিতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে। যেমন এসইও ও এসইএম এ সম্পর্কে জানতে তিন মাস সময় দিতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে রিসোর্স আছে। যেমন ব্লগ পোস্ট ভিডিও টিউটোরিয়াল ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন।
এসইও সম্পর্কে মৌলিক ধারণা হলো আপনার ওয়েবসাইট কিভাবে রাঙ্কিং এ নিয়ে আসা যায়। এটাই মূলত এসইও কাজ, তাছাড়া বিজ্ঞাপন প্রচারণা তৈরি করা। এ ধরনের কাজ করা যেতে পারে। এসইএম মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যেতে পারে, ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে এই ডিজিটাল মার্কেটিং করা যেতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মৌলিক প্রশিক্ষণ নিতে ৬ মাসের সময় লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে যে কাজগুলো আপনি করতে পারবেন। তার মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মৌলিক ধারণা ভালোভাবে বুঝার জন্য যেমন এসইও ,এসইএম এই কাজগুলো ছাড়া সামাজিক মিডিয়া মার্কেটিং ইমেইল মার্কেটিং কন্টেন্ট মার্কেটিং।
এই বিষয়গুলো আপনি সুন্দরভাবে বুঝতে পারবেন। এছাড়া আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয় পদ সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে নিজের তৈরি করতে পারবেন দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে আপনার এক বছরের মত সময় সময় লাগবে। এতে আপনি এসইও এক্সপার্ট হতে পারবেন, গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন। আর এই দক্ষতা অর্জনের জন্য আপনার অনলাইন কোর্স প্রোগ্রাম দ্রুতভাবে শেখার জন্য আপনার কাজ করবে। এজন্য এক থেকে দুই বছরের মধ্যে আপনি একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত হবেন।
একজন অভিজ্ঞ এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হওয়ার জন্য দুই বছরের বেশি সময় লাগবে। তার ডিজিটাল মার্কেটিং প্রকল্প কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আর সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইমেইল মার্কেটিং প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে অনেক কাজ করা লাগবে এবং বাস্তবতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
দুই বছরের বেশি সময় দিতে হবে তাহলে আপনার দক্ষতা মজবুত হবে এবং বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং এর বাজার সম্পর্কে আপনি বুঝতে পারবেন, তাহলে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। তাহলে আশা করি একজন অভিজ্ঞ সম্পন্ন ডিজিটাল মার্কেটার হওয়ার জন্য আপনার দুই বছরের বেশি সময় দিতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং সবচাইতে চাহিদা বেশি আছে, এর ব্যবসায় ক্ষেত্রে অনলাইনে মার্কেটিং করা অনেক সুবিধা পাবেন। আরো কিছু সুবিধা আপনাদের সম্মুখে তুলে ধরা হলো;
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়াঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যা দেশের ভৌগলিক সীমাবদ্ধতা ছারিয়ে বহির্বিশ্ব ছড়িয়ে পড়বে। আপনি যদি একটি ছোট ব্যবসায়ী হন তবু আপনার অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যবহার করার কারণে।
আপনার পণ্য সারা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের নিকট পৌঁছা দিতে পারবেন। এর মানে হল আপনার এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করলে আপনার ব্যবসাকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন।
টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণঃ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞাপনের যথেষ্ট হবে না। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন দেয় যথেষ্ট হবে না বরং আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করা লাগবে যে আপনার বিজ্ঞাপনটা সঠিক লোকের কাছে পৌঁছেছে কিনা। আর এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনাকে টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এই প্লাটফর্ম শক্তিশালী কাজ করবে। এক্ষেত্রে আপনার বিজ্ঞাপন গুলো নির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে প্রদর্শন করা লাগবে। সবচাইতে বেশি আগ্রহী হতে পারে মূলত আপনার পণ্যের সাথে যে লোকগুলোর চাহিদা রয়েছে। সেই লোকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তাহলে আপনি আপনার পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারবেন এবং সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে ফেসবুক পেজকে ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে আপনি যদি ফেসবুক ক্যাম্পেইন সম্পর্কে অর্থাৎ এড সম্পর্কে যদি ভালো ধারণা থাকে তাহলে আপনার নির্দিষ্ট অডিয়েন্স এর কাছে আপনার পণ্যের গুনাগুন সম্পর্কে উপস্থাপন করতে পারবেন।
কম খরচে মার্কেটিং করাঃ মার্কেটিং এর পদ্ধতির ক্ষেত্রে দর্শকের কাছে পৌঁছানো এবং ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে টিকটক থেকে ইনকাম করা যায় জেনে নিন
তবে এই পদ্ধতি গুলো তুলনামূলক অনেকটাই বেশি টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্ল্যাটফর্ম যদি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে পুরাতন মার্কেটিং এর তুলনায় অনেক টাকা কম খরচ হবে এবং আপনার বাজেটের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচারণা করতে পারবেন।
কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগঃ ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার পণ্য যদি কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে চান, সেই ক্ষেত্রে কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। তাহলেই তাদের নিকট আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপনটা চলে যাবে এবং তারা এই বিজ্ঞাপন দেখেই আপনার পণ্যটা কিনতে আগ্রহী হবে। এজন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহযোগিতা নিতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন অনলাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার টার্গেট কাস্টমারকে এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা যাবে, এক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
আপনি সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ব্র্যান্ডের প্রচারণা করার জন্য এই প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করবেন। এটা আপনার ব্যবসায়িক পণ্যের মূল্য জানিয়ে দেওয়া লাগবে এবং বিশ্বাস হয় সেই ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা আপনাকে করতে হবে।
ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করাঃ অনলাইনের প্রচুর পরিমাণ ব্রান্ড রয়েছে, সেটা আপনার থেকে আপনার ব্রান্ড টা যেন তাদের থেকে আলাদা হয়ে থাকে। গ্রাহকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয় সেরকম ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
এর গুণাগুণ যেন ভালো হয় এই ক্ষেত্রে আপনাকে উপস্থাপনা এবং কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে খুবই দক্ষতা অর্জন করা লাগবে। অন্য পরিসেবা প্রচারণা করা যেতে পারে যার কারণে মানুষ সচেতনতা হবে। আপনার ব্রান্ড সম্পর্কে জানবে এছাড়াও আপনার এই পণ্য কেনার জন্য তারা আগ্রহী হবে।
পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি করাঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনাকে বিক্রয় বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এবং গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। যখন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনার পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে দ্রুত আপনার ব্যবসার উন্নতি ঘটবে এবং প্রচারণা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এটা আরো ডেভেলপ করতে থাকবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ
ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি মোবাইল দিয়ে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়? বর্তমানে জানবো এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। চলুন, এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমানে প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং অভিজ্ঞতা অবশ্যই থাকতে হবে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য সেবার প্রচার প্রচারণা করতে পারবেন এবং দ্রুত ও কম খরচে বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে।
তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে এবং তাদের চাহিদা সম্পর্কে জানাতে পারবে। তারপরে আমাদের প্রশ্ন হয় যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি হতে পারে?
এই বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা আমাদের থাকা দরকার। ভবিষ্যতে এর চাহিদা কেমন হবে এবং এটা টিকে থাকবে কিনা? এ সম্পর্কে আমাদের মোটামুটি ধারণা নেওয়ার প্রয়োজন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
কাজের দিক দিয়েঃ ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তাই প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে সাথে আপনাকে তাল মিলিয়ে চলা লাগবে। এজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ প্রয়োজন রয়েছে।
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মেশিন লার্নিং ভয়েস সার্চ, ভিজুয়াল সার্চ সোশ্যাল মিডিয়া এবং ই-কমার্স এর মত নতুন কিছু আবিষ্কার হচ্ছে যার মাধ্যমে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো বিস্তৃত হবে।
ভয়েস সার্চ ও ভিজুয়াল সার্চঃ মানুষ যেকোনো তথ্যের জন্য প্রয়োজনে ভয়েস করে এবং ভিজুয়াল সার্চ করে থাকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে হবে। যেন তাদের ওয়েবসাইট ও বিজ্ঞাপন উপকরণগুলোকে ভয়েস এবং ভিজুয়াল অনুসন্ধানের কাজ করে অপটিমাইজেশন করা লাগবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমঃ বর্তমানে গ্রাহকরা সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ বা সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় বেশি দিয়ে থাকে। তাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
এই প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাহকরা এই মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবে এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা সচেতনতা বৃদ্ধি করতে তাদেরকে এই অনলাইনের মাধ্যমে প্রচারণা করতে হবে।
ই কমার্সঃ অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে মানুষের সবচাইতে আকর্ষণ বেশি। এজন্য আপনাকে ই-কমার্সের ব্যবসা করতে হবে এর মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য অনলাইনে আপনার পণ্যের উপস্থাপনা করতে হবে। তাছাড়া গ্রাহকদের কাছে সুস্পষ্ট বিশ্লেষণ এবং তাদের সুবিধা জনক কেনাকাটার ব্যবস্থা করতে হবে।
এই ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করার ফলে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এতে করে তাদের পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে, তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে এর ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল রয়েছে।
ক্যারিয়ার দিক থেকে ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ক্যারিয়ারের কথা যদি বলা যেতে পারে সেই ক্ষেত্রে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম টা সবচাইতে জনপ্রিয়। ফ্রিল্যান্সার ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি ই-কমার্স কোম্পানি সব জায়গায় এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর যারা দক্ষ লোক রয়েছেন। তাদের চাহিদা রয়েছে তাছাড়া নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর জ্ঞান থাকতে হবে।
শুধুমাত্র জ্ঞান থাকলেই চলবে না এই ক্ষেত্রে সফলতা হওয়ার জন্য ব্যবহারিক দক্ষতা লাগবে। সেজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন টুলস প্লাটফর্ম সকল কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করা লাগবে। প্রতিদিনের আপডেট সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। যদি আপনার সৃজনশীলতা এবং বিশ্লেষণতা দক্ষতা থাকে।
ইনকামের দিক থেকেঃ ইনকামের কথা বা বেতনের কথা যদি বলা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সবচাইতে বেশি ইনকাম করার সহজ এবং বেতনও বেশি পাওয়া যেতে পারে। অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করবে। আপনার বেতন কত হবে এবং কত মাসে ইনকাম করতে পারবেন।
অনেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে লক্ষ টাকার উপরে ইনকাম করে থাকে। এখানে আকর্ষণীয় বেতন ছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং পেশাদার হিসেবে কাজের পরিবেশন গতিশীল হতে হবে। আপনার কাজ ভালো লাগবে এখানে নিত্যনতুন ধারণা পাবেন।
বাস্তবতার আলোকে বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। বিশ্বব্যাপী কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ রাখা লাগবে, তাছাড়া দক্ষতা ব্যবহার করে আপনার ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠানকে প্রসারিত করার জন্য এই ডিজিটাল মার্কেটিং সাহায্য করবে।
লেখকের শেষ বক্তব্য
পরিশেষে বলা যেতে পারে যে বর্তমানে ব্যবসা করার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি ইচ্ছা করলে আপনার মোবাইলের মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে উন্নত করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি উপকার পাবেন, পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url