কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায় জেনে নিন
অনেকে জানে না যে কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায় ? তাই যারা ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাদের এ বিষয়ে জানা প্রয়োজন। চলুন, ফেসবুকের মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমানে ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই ফেসবুক কে ইনকামের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। তাই কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায় ? এ সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃকিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায় জেনে নিন
কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 টাকা আয় করা যায়
ফেসবুকের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়, এটা অনেকে জানেনা। তাই কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 টাকা আয় করা যায়? নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো,
অনলাইনে জনপ্রিয় সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম হল ফেসবুক, যার মাধ্যমে সারা বিশ্বে যোগাযোগ করা যেতে পারে। ২.৩২ বিলিয়ন মানুষ এই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। যারা ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন তারা একটু পর পর ফেসবুকে ঢুকে থাকে। পোস্ট করে রিয়াক্ট করে শেয়ার করে লাইক কমেন্ট করে বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করে আড্ডা দেয় ইত্যাদি।
কিন্তু আমরা জানি ফেসবুকে এসব লাইক কমেন্ট শেয়ার করার কারণেও ইনকাম করা যায়। এখানে আপনি চাইলে নিজের আয়ের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারবেন। বিভিন্ন ফ্যান পেজ তৈরি করে ফানি ভিডিও অথবা আরো বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করে আপলোড করতে পারেন। তাছাড়া অনলাইন শপিং এর জন্য গ্রুপ কিংবা পেজ খুলে সেখানে বিজনেস করতে পারেন।
আবার ফেসবুকে গেম খেলেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাফিলিট মার্কেটিং সহ আরো অসংখ্য ইনকামের পথ রয়েছে। তাই ফেসবুকের মাধ্যমে 500 টাকা ইনকাম করা ব্যাপার না। চলুন, এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ফেসবুক পেজ থেকে ইনকামঃ আপনি যদি ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে ফেসবুক একাউন্ট খোলা লাগবে। এরপর অ্যাকাউন্ট থেকে আপনি ফেসবুক পেজ খুলতে পারবেন, পেজ খোলার পর সুন্দর করে সেট আপ করতে হবে।
যেন ভিউয়ার্সরা আপনার কন্টেনগুলো পড়ে উপকার পায়। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে ভিডিও দিতে হবে এবং কন্টেন আপলোড করা লাগবে। প্রতিদিন অন্তত একটা বা দুইটা করে ভিডিও বা কন্টেন্ট আপলোড অথবা ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন এর রিকোয়েস্ট করার পরে সকল শর্ত পূরণ করতে যদি পারেন।
তাহলে আপনার ফেসবুক মনিটাইজেশন হয়ে গেলে সেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এরপরে কন্টেন্ট মনিটাইজেশন হয়ে গেলে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে আপনি পেমেন্ট সংযোগ করে দিতে পারেন। এরপর থেকে আপনি খুব সহজে আপনার ফেসবুক কন্টেন্ট এর মাধ্যমে প্রতি ঘন্টা ওয়াচ টাইম বা ভিউয়ার্সের মাধ্যমে ইনকাম করা যাবে।
ফেসবুক থেকে কিভাবে আয় করবেনঃ বর্তমান বিশ্বে ফেসবুক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতি সেকেন্ডে পাঁচটি করে নতুন একাউন্ট তৈরি করে। এর চেয়ে বড় প্লাটফর্ম পাওয়া যাবে না, তাই আপনি ইনভেস্ট ছাড়াও ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করুন
এখান থেকে আপনার অডিয়েন্স বেছে নেওয়া যাবে তাদের ব্যবহার করে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আপনাকে শুধু যেটা করা লাগবে তাহলে তাদের আনন্দ দেওয়া লাগবে, তাদের উপকারও করা লাগবে। তাছাড়া ফেসবুক থেকে ইনকাম বিভিন্ন উপায় করা যেতে পারে চলুন আলোচনা করা যাক।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য প্রচারণা করার জন্য এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ব্লগার সেলিব্রেটি বা ইনফ্লুয়েঞ্জারদের কমিশন দিয়ে থাকে। তাদেরকে দিয়ে গ্রাহকের নিকট উক্ত কোম্পানির পণ্যগুলো পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট লেখে বা বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
গ্রাহকরা এই পণ্যগুলো যদি ক্রয় করে তাহলে কোম্পানি উক্ত ক্রয় কৃত পণ্যের বাজারের মূল্য হতে নির্দিষ্ট পরিমাণে কিছু টাকা কমিশন দিয়ে থাকে ব্লগার বা সেলিব্রিটিদেরকে।
ফেসবুক বিজনেসঃ আপনি যদি ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করছে, সে ক্ষেত্রে আপনি একটি অনলাইন শপ দিতে পারেন। সে শপের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থাকতে পারে, যেমন জুয়েলারি কসমেটিক কাপড়চোপড় হেন্ডি ব্যাগ, ঘড়ি, জুতা, ঘর সাজানোর জিনিসপত্র এই ধরনের জিনিস আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কেন্দ্রীয় জন্য আপনাকে ফেসবুকে গ্রুপ খোলা লাগবে অডিয়েন্সরা আপনার পণ্য সম্পর্কে যেন জানতে পারে। প্রতিদিন আপনার পণ্যের কালেকশন এবং মান সম্পর্কে ছবি পেজে বা আইডি তে বা গ্রুপে আপলোড করা লাগবে। এতে করে গ্রাহকরা পণ্য ক্রয়ের জন্য উৎসাহিত হয়ে থাকবে।
যেন গ্রাহকরা উৎসাহিত হয় পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে অনলাইন পেমেন্ট করা যেতে পারে এবং ক্যাশ অন ডেলিভারি পেমেন্ট এর ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। গ্রাহকের বিশ্বস্ততা সৃষ্টি হবে আবার আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইন শপের সেলসম্যান হিসেবেও কাজ করে দিতে পারেন।
ফেসবুকে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য অনলাইনে বিক্রি করার জন্য লোককে হায়ার করে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেটা অর্গানিকভাবে আপনার ফলোয়ার বাড়ার পর যদি আপনি পুরো কোম্পানির পণ্য বিক্রি করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন।
একাউন্ট ফর সেলঃ যারা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চায়, তারা পুরাতন ফেসবুক একাউন্ট খুঁজতে থাকে। এজন্য ফেসবুক পুরাতন পেজ অনেক জনপ্রিয় হতে পারে। তাই আপনি ফেসবুক পেজ খুলে সেটার অডিয়েন্স বাড়াতে থাকবেন, বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট আপলোড করতে থাকলে একসময় আপনার ফলোয়ার বাড়বে।
এতে করে আপনার ফেসবুক পেজের দামও বৃদ্ধি পাবে। কারণ এখানে আপনার অনেক লাইক কমেন্ট আছে তাই এই ফেসবুক পেজটা যদি একজন নতুন বিজনেস ম্যান কিনতে পারবেন। এই ফেসবুক পেজ বা একাউন্টটা যদি বিক্রি করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি অনেক টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়
আপনি যদি ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, তাই নিম্নে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
ফেসবুক থেকে বিভিন্নভাবে আয় করা যায়, এর মধ্যে নিজের দক্ষতার সাথে মিল রেখে নিজেই নির্বাচন করে নিতে পারবেন। ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে কাজ করলে ইনকাম করতে পারবেন। কারণ ফেসবুক একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এটা দ্বারা ইনকাম করা সম্ভব।
ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে যে উপায়গুলো রয়েছে তা উল্লেখ করা হলো,
ইন-স্ট্রিম অ্যাডঃ ভিডিওর মধ্যে যে বিজ্ঞাপন গুলো দেখা যায় সেটা দর্শকের জন্য আকর্ষণ করতে পারে। এজন্য ইনস্ট্রাম ফিল্ডের একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞাপন তৈরি করতে হবে। যেন কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় কারণ ব্যবহারকারীরা এই বিজ্ঞাপন এড়িয়ে যেতে পারে না।
এজন্য এই বিজ্ঞাপন গুলো গল্প আকারে উপস্থাপন করতে হবে। ফেসবুকের শর্ত পূরণের পাশাপাশি ভিডিওগুলো অবশ্যই এক মিনিটের বেশি যেন না হয়, ভিডিও এক মিনিটের বেশি হওয়া লাগবে। এছাড়াও ইন্সট্রিম বিজ্ঞাপন চালানোর ক্ষেত্রে এই পেজটিতে কমপক্ষে ১০ হাজার ফলোয়ার লাগবে।
পেইড সাবস্ক্রিপশনঃ টাকার বিনিময়ে সাবসক্রিপশন বাড়ানো যায়, এতে ফলোয়াররা টাকার বিনিময়ে সাবস্ক্রিপশন বিশেষ বা এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এই সুবিধাটি ফেসবুকের ইনভাইটেশন ফিচার এর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
ব্যবহারকারীরা ফ্যান সাবস্ক্রিপশন আনলক করে যেতে পারে। ২৫০ জনের বেশি রিটার্ন ভিউয়ার লাগবে, এছাড়াও ১০ হাজারের মতো ফলোয়ার দরকার, ৫০০০০ পোস্ট এংগেজমেন্ট থাকতে হবে। এক লাখ আশি হাজার ওয়াচ টাইম মিনিট থাকা লাগবে।
ব্রান্ডের সঙ্গে কাজঃ পেজে রিচ বাড়ানোর জন্য এবং কনটেন্টকে প্রাসঙ্গিক করার জন্য কাজ করা যেতে পারে। নতুন দর্শক নিয়ে আসতে এবং ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য কোম্পানি ব্র্যান্ড লাগবে। তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে টাকার বিনিময়েও কাজ করা যেতে পারে। এজন্য পোস্টে ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে দেওয়া যেতে পারে।
পেট ইভেন্টঃ ফেসবুক পেজে টাকা বিনিময়ে ইভেন্ট তৈরি করা যেতে পারে। ইভেন্ট ফিচারটির মাধ্যমে পেজ দিয়ে আপনি সময়সূচী তৈরি করা এবং পেইজদের সুন্দর করে সাজানো চালানো যেতে পারে। এজন্য ফেসবুক পেজে পেইড অনলাইন ইভেন্ট চালু করতে পারেন।
নতুন ইভেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে ইভেন্ট ট্যাবে ক্লিক করা যেতে পারে। অপশনটি সিলেক্ট করা লাগবে এরপরে ইভেন্ট মূল্য এবং যদি কোন হোস্ট থাকে সেই ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করা লাগবে।
ফলোয়ারদের অনলাইন স্টোরে নিয়ে যেতে হবেঃ সোশ্যাল কমার্স ফিচার্ডের মাধ্যমে ফেসবুক পেজ থেকে ক্রেতাদের আপনি সরাসরি অনলাইনে ইস্টরে নিতে পারবেন। যেসব ব্র্যান্ডের মাধ্যমে ফেসবুক ছোট ব্যবসা করা যেতে পারে, মানে যাদের ছোটখাট ব্যবসা রয়েছে তারা এই উপায়টি ব্যবহার করতে পারবেন, বিজ্ঞাপন দেখতে পারবে এবং পণ্যটি কেনার জন্য উৎসাহিত হতে পারে।
এজন্য ফেসবুক পেজের ক্যাটালগ ম্যানেজারে পণ্যের ক্যাটালগটি যুক্ত করতে হবে। এরপর একটি ছবি বা ভিডিও পোস্ট করতে হবে, যেন পণ্যটির প্রাসঙ্গিক হতে পারে এরপরে এটা লিংক করে দেওয়া লাগবে। লাইভ স্ট্রিম চলাকালীনে পণ্য লিঙ্ক দিতে পারেন।
ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা
ফেসবুকে যদি আপনার ভিউয়ার বেশি হয়, তাহলে টাকা বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তাই ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা? সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো,
ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটররা বিভিন্ন ধরনের ভিউজ করে থাকে, এর মাধ্যমেও ইনকাম করা যেতে পারে। কারণ ফেসবুকে এড গুলো দেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করা যেতে পারে। এছাড়াও এই উপাদানগুলো নির্ভর করতে পারে।
অ্যাড ইম্প্রেশনঃ আপনার ভিডিও কন্টেন্টের মধ্যে যদি বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, তাহলে দেখিয়ে দিতে পারেন। আপনার ভিডিও গুলো মনে করুন অনেকেই দেখছে, তাহলে এড ইম্প্রেশন অনেক কম যদি হয়, তার মানে এই ভিডিওতে বিজ্ঞাপন অনেক কম পরিমাণে দেখাচ্ছে আলাদা আলাদা ভিডিওতে এড ইম্প্রেশন আলাদা আলাদা হতে পারে।
CPM, Cost Per Thousand Impression: অ্যাডভার্টাইজাররা ১০০০ এড ভিউয়ের জন্য টাকা দেয়। এজন্য সিপিএম হিসাবে দেখানো বা বুঝানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে আলাদা আলা ভিডিওগুলো কন্টেন্টের উপর নির্ভর করে। সিপিএম রেট গুলিও আলাদা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে পার্ট টাইম কাজ করে টাকা ইনকাম করুন
CPV, Cost Per View: কিছু এড মডেলের মতো ভিডিওগুলোতে এই অ্যাডগুলো চলতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেখা যায়।
এর উপর ভিত্ত করে কমবেশি অর্থ দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন গুলো দেওয়ার সময় পর্যন্ত দেখলেই মানে যদি দেখা যায় সে ক্ষেত্রে ইনকাম হতে পারে।
CPM Rates: প্রতি এক হাজার এড ভিউ করলে আপনাকে যে টাকা দেওয়া হবে। তা সিপিএম রেট বলা হয়। আপনার ভিডিওতে ভিউ হতে অডিয়েন্স এর লোকেশন সবকিছু মিলেই নির্ভর করে সিপিএম রেট। এই ক্ষেত্রে ৫ ডলার থেকে ২০ ডলার ইনকাম হতে পারে।
এক্ষেত্রে কম বেশিও দেখা যায় ফেসবুক থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে ভিডিও ভিউজ খুবই জরুরী। এক্ষেত্রে সিপিএম, সিপিএম রেট ইম্প্রেশন অ্যাড ইম্প্রেশন, ভিডিওর বিষয়বস্তু শ্রোতাদের লোকেশন এর ক্ষেত্রে সম্পন্ন দেখা যাচ্ছে কিনা বিজ্ঞাপন টা দেখতে পারতেছে কিনা।
এই বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে, যেহেতু এই সমস্ত বিষয়ের উপর নির্ভর করে ফেসবুকের টাকা দিয়ে থাকে। তাই প্রত্যেক কন্টেন্ট ভিডিও এবং ফেসবুক ক্রিয়েটর ইনকামের পরিমাণ বিষয়টা আলাদা হতে পারে। কত টাকা আপনি পাবেন সেটা সরাসরি বলা সম্ভব না।
ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার উপায়
ফেসবুকের রিলস অনেকেই ভিডিও দিয়ে থাকে এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। তাই ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।
চীনা প্রতিষ্ঠান টিকটকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে তারা ইউটিউব রিলস ভিডিও নিয়ে ইউটিউব চালু করে। এক্ষেত্রে ফেসবুকেও এই বিষয়টা মাথায় রেখে তারাও ছোট ছোট ভিডিও বিষয়ে নাম দিয়েছে ফেসবুক রিলস। মানুষের ব্যস্ততার কারণে তারা এত বড় ভিডিও দেখার সময় নেই, তাই ছোট ছোট আকারে ভিডিও সবচেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
ফেসবুকে তাদের প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য এই বিষয়ে মনিটাইজেশন চালুর ব্যবস্থা করা আছে। এর মাধ্যমে তাদের শর্টস ও রিয়েলস থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবে। আয়ের সুযোগ থাকার কারণে ফেসবুকে ইউটিউবে নিয়মিতভাবে মানুষ নিয়মিতভাবে কনটেন্ট তৈরি করে পাবলিস্ট করছে। এতে প্রচুর ভিডিও তৈরি করে এবং এখান থেকে ভিউ বেশি পাওয়া যায়।
রিলস থেকে আয়ঃ যারা রিলস তৈরি করেন তারা নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও মনিটাইজ করার সুযোগ পেয়ে থাকে। যা ফেসবুকে যত যে বেশি ভিডিও প্রচার করবে, তত ইনকাম বেশি হবে। ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় এই বিষয়টি আগে ছিল কিন্তু বর্তমানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের উৎসাহিত করার জন্য বোনাস প্রোগ্রাম চালু করে দিয়েছে।
ভিডিও ভিউ এংগেজমেন্ট শেয়ার সহ কয়েকটি ক্ষেত্রে বেধে দেওয়া টার্গেট পূরণের মাধ্যমে পেয়ে থাকে। ফেসবুকের এই বোনাস প্রোগ্রাম ছিল ফেসবুক ইনভাইট শুধুমাত্র দেখা যেত। ফেসবুক অথরিটি ক্রিয়েটর পারফরম্যান্স ভিডিও কোয়ালিটি ও দর্শকের আগ্রহের উপর নির্ভর করে এদেরকে বোনাস প্রোগ্রাম অফারটি দিয়ে শুরু করেছে।
রিলস থেকে আয় করতে যেসব বিষয়ে মানতে হবেঃ ফেসবুকে সাধারণ ভিডিও ও রিলস ভিডিওর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। এর মধ্যে হল দৈর্ঘ্য বিষয়টা অন্যতম রিলস ভিডিওর দৈর্ঘ্য হল ৯০ সেকেন্ড ভিডিওটা হওয়া লাগবে ভার্টিকেল বা লম্বালম্বি হবে।
মনিটাইজেশন করার জন্য পেজ বা প্রফেশনাল বোর্ডের মুড এর আইডিতে অন্তত ৫০০০ ফলোয়ার থাকা লাগবে। ইউনিক ভিডিও দরকার হবে যা আপনি প্রথম আপলোড করেছেন এবং ৭ দিন ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম থাকা লাগবে। একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন অন্যের ভিডিও আপলোড করে আপনি মনিটাইজেশন করতে পারবেন না।
এসব শর্ত পূরণ হলে রিলস মনিটাইজেশনের জন্য আপনি আবেদন করার অনুমতি পাবেন। ফেসবুক আপনার পেজ ও পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি এবং কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি রিভিউ করে দেখবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রফেশনাল ড্যাশবোর্ডে অথবা ইভেনের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দিবে। আপনার আবেদন যদি অনুমোদন হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে ইনকাম করতে পারবেন।
রিলসে যেসব বিজ্ঞাপন পাবেনঃ ব্যবহারকারীরা সাধারণত ক্রিয়েটরদের ভিডিওতে স্টার দেওয়ার অনুমতি পাবে। এসব স্টার ফেসবুকের কাছে বিক্রি করা যাবে। এছাড়াও ট্যাব থেকে কোন রিল চালু করার কারণে ভিডিও চালু হওয়ার আগে বিজ্ঞাপন টা দেখতে পারবে। যাকে বলা হয়ে থাকে ট্রল করার পরে আরেকটি রিলস চালু হওয়াতে হর পূর্বেই দ্বিতীয় রিলস এর মাঝে একটি অ্যাড দেখাবে।
ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় করার উপায়
অনেকেই ফেসবুক ভিডিও আপলোড করে থাকে তাই ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে আলোচনা করা হলো,
আপনি যদি ফেসবুক ভিডিও আপলোড করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিডিওটা হওয়া লাগবে। কারো কপি করা তা আপলোড করা যাবে না। আপনি যদি কপিরাইট ভিডিও আপলোড করতে থাকেন তাহলে আপনার মনিটাইজেশন বাতিল হয়ে যাবে। ইউনিক কন্টেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ বুদ্ধি হলো ফেসবুক লাইভ করতে পারেন তবে কিছু শর্ত আছে।
আপনার অবশ্যই একটি পেজ থাকা লাগবে সেখানে ১০০০০ লাইক থাকতে হবে।
আপনার পেজে তিন মিনিটের ভিডিও থেকে শেষ দুই মাসে ৩০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম থাকা লাগবে। যদি আপনার তিন মিনিটের ভিডিও থাকে সেটা ৩০ হাজার মানুষ কমপক্ষে এক মিনিট করে দেখা লাগবে।
অথবা ১০ হাজার মানুষ তিন মিনিটের ভিডিও দেখলেও হবে, একটা ভিডিও থেকে সব অস্থায়ী আসতে হবে এমনটা নয়। সকল ভিডিও থেকেই মোট ৩০০০০ ওয়াচ টাইম হলেও চলবে ফেসবুকের স্পেশাল লিংক গেলেই আপনি ইউটিউব এর মত দেখার দেখা যাবে। কতজন ফলোয়ার আপনার কত মিনিট হয়েছে সকল কিছু দেখতে পারবেন।
আপনার পেজটি গুড স্ট্যান্ডার্ড হওয়া লাগবে অর্থাৎ আপনার পেজে কোন কপিরাইট প্ল্যান থাকা যাবে না এবং পলিসি ভায়োলেশন থাকা যাবে না।
ভিডিও তৈরি করার জন্য ফেসবুক অনেকটাই কিছু ধরা বাধার নিয়ম বেধে দিয়েছে। এক্ষেত্রে কিছু ইমেজ আছে একটা মিউজিক থাকবে এই ধরনের একসেপ্ট করবে না। বাংলা ভাষা এখনো অ্যাপ্রুভ করে নাই, তবে হতে পারে।
তাই আপাতত বাংলা ভাষা কোন ভিডিও বা এ ধরনের ভিডিও ওয়াচ টাইম যেহেতু ২ দুই মাস কাউন্ট করবে সে ক্ষেত্রে লাইক বাড়ানো যেতে পারে। ১০ হাজার লাইক আপনি আপনার পেইজে নিয়ে নিন।
ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত
আপনার ফেসবুকে যদি মনিটাইজেশন করতে যান, সেই ক্ষেত্রে ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত রয়েছে। সেগুলো আপনাকে পূরণ করেই মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে হবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
বিশ্বের সবচাইতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক অন্যতম। ফেসবুক থেকে বিভিন্নভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এক্ষেত্রে মনিটাইজেশন করতে হয়। মূলত মনিটাইজেশন করার অর্থ হলো আপনার পেজটি নিয়মিত দেখাশোনা করা। সেই সাথে আপনার ফেসবুকের কিছু শর্ত মেনে চলা লাগবে।
অনেকে মনিটাইজেশন ব্যাপারটা অনেক ঝামেলার মনে করে তবে মনিটাইজেশন ঝামেলা যদিও হয় তবুও এটা করতে পারলে আপনার পেজ থেকে ইনকাম করতে পারবেন। চলুন মনিটাইজেশন করার জন্য যে শর্তগুলো পূরণ করা লাগে সে সম্পর্কে জানা যাক।
যে পেজটি আপনি মনিটাইজেশন করবেন এর জন্য প্রথম শর্ত হলো সেই পেজে ১০ হাজার ফলোয়ার থাকা লাগবে। তাহলে আপনি ফেসবুক মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করার অনুমতি পাবেন।
নিয়মিতভাবে ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করা লাগবে ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করার জন্য তিন মিনিট বা তিন মিনিটের বড় ভিডিও আপলোড করা লাগবে। তিন মিনিটের চেয়ে ছোট ভিডিওগুলোর ভিউ গণনা হবে না। সুতরাং ভিডিও ভিউ বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য প্রতিটি ভিডিও কমপক্ষে তিন মিনিট হওয়া বাধ্যতামূলক।
৩ মাস ৩০ হাজার মিনিট ভিডিও ওয়াচ টাইম থাকা লাগবে এবং এক মিনিটের কম সময় ভিডিও ওয়াচ টাইম গণনা করা যাবে না। মোটকথা ৩ মাসের মধ্যে ৩০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম থাকা লাগবে।
আপলোড করবেন সেটি অবশ্যই ফেসবুকের স্ট্যান্ডার্ড মানের হতে হবে। ফেসবুক মনিটাইজেশন করার আবেদন যেভাবে করতে পারেন।
প্রথমে ফেসবুক পেজের হোমে গিয়ে সেখানে মনিটাইজেশন অপশন পাবেন। মনিটাইজেশনে ক্লিক করে পেজটি মনিটাইজেশন করার যোগ্য কিনা তা আপনাকে দেখতে হবে।
যদি মনিটাইজেশনের যোগ্য মনে হয় যোগ্য হতে পারে সে ক্ষেত্রে পাশের আর সবুজ বৃত্তটি বড় আকারে দেখতে পারবেন এবং লেখা থাকবে কংগ্রাচুলেশন এর রেট Congratulation Your page is read to earn money.
যদি আপনার পেজে সামান্য কিছু সমস্যা যদি দেখেন, সে ক্ষেত্রে পাশে হলুদ বৃত্তটি বড় করে পূরণ করে দেখার যাবে। সেই সঙ্গে যদি আপনার পেজটি কোনোভাবেই মনিটাইজেশনের জন্য প্রস্তুত না হয়। তবে লাল চিহ্ন দেখতে পারবেন।
তারপর আপনাকে আরো কিছু ধাপ পার করা লাগবে, সেখানে আপনার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য দেওয়া লাগবে। নাম ঠিকানা ইমেইলের ঠিকানা সহ আরো কিছু বিষয়ে আপনাকে দিতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি যদি শেষ করতে পারেন তাহলে ফেসবুকে আপনাকে মনিটাইজেশন দেবে।
ফেসবুক স্টার থেকে ইনকাম
ফেসবুক এখন স্টার চিহ্নিত একটি ব্যবস্থা করে দিয়েছে যার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। তাই ফেসবুক স্টার থেকে ইনকাম করার জন্য যে উপায় গুলো দরকার তা নিম্ন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
ফেসবুক স্টার থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় হয়তো অনেকেই জানেনা। আপনি যখন ফেসবুকে রিলস ভিডিও পোস্ট করে থাকেন। তখন কিন্তু ইউজাররা আপনার ভিডিওটা দেখার কারণে লাইক কমেন্ট করে থাকে। অনেকে শেয়ারও করবে এভাবে ইউজাররা চাইলে আপনার ইস্টারও দিতে পারবে।
কেউ যদি আপনাকে একটা স্টার দিয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমে ফেসবুক পেজের প্রফেশনাল ড্যাশবোর্ডে ০.০১ ডলার পেয়ে যাবেন।
এভাবে আপনার ১০০ ডলার কমপ্লিট হয়ে গেলে তখন কিন্তু আপনি সরাসরি ব্যাংকের একাউন্টে লিংক করে, ব্যাংকের একাউন্ট থেকে টাকা জমা হবে এবং সেখানে থেকে আপনি টাকা তুলতে পারেন।
তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো ফেসবুক স্টার তারাই দেওয়ার অনুমতি পাবে যাদের প্রোফাইলে বা পেজে ফেসবুক স্টার মনিটাইজেশন অন করা আছে।
কোন অ্যাকাউন্টের ধরন দশটা স্টার আছে সে চাইলে আপনাকে দুটোই স্টার দিতে পারবে। এখন যার কাছে আপনার অপশনটা নাই সে কিন্তু আপনাকে এটা দিতে পারবে না। ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।
তবে আপনার বন্ধুরা আপনাকে ফেসবুকের পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি বা আরো যেগুলো পলিসি আছে সেগুলো কিন্তু মেনেই দেওয়া লাগবে। আপনাকে ভালো ভালো কনটেন্ট আপলোড করা লাগবে, নিজস্ব কনটেন্ট আপলোড করবেন।
ডাউনলোড করে বা কপি কৃত কনটেন্ট পোস্ট করবেন না। এই ক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্টটি বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই সবসময় অরিজিনাল কনটেন্ট পোস্ট করার জন্য চেষ্টা করা দরকার।
শেষ কথাঃ কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায় জেনে নিন
পরিশেষে বলা যায় যে ফেসবুক থেকে যারা টাকা ইনকাম করতে চান, তাদের ব্যাপকভাবে ফেসবুক সম্পর্কে জানতে হবে। তাই কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়? এ সম্পর্কে আজকের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনার উপকার হবে, পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url