কিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায় ও গুগল এডসেন্স সম্পর্কে জানুন
অনেকে জানতে চায় যে, কিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায়? এ সম্পর্কে হয়তো জানেন না, আজকের আর্টিকেলটিতে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। চলুন, গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি ইউটিউব অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে হবে। এজন্য আপনাকে কিছু নিয়ম জানতে হবে। তাই কিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃকিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায় ও গুগল এডসেন্স সম্পর্কে জানুন
গুগল ম্যাপ থেকে আয় করার উপায়
অনেকে জানতে চায় গুগল ম্যাপ থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। চলুন, গুগল ম্যাপ থেকে কিভাবে আপনি ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গুগল ম্যাপ অত্যন্ত জনপ্রিয় যা আপনার জীবনকে সহজ করবে। বিশ্বের প্রায় প্রান্তেই যেখানেই যান না কেন আপনার এই গুগল ম্যাপ রাস্তা দেখিয়ে দিবে। যদি আপনার সাথে একটি স্মার্ট ফোন থাকে, সার্চ ইঞ্জিন গুগল ম্যাপের মাধ্যমে আপনি যে কোন স্থানে সহজ ভাবেই যেতে পারবেন।
অবস্থান দূরত্ব এবং সেখানে পৌঁছানোর জন্য পরিবহনে যদি যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে কত সময় লাগবে এবং কোন রাস্তা দিয়ে যেতে হবে এ সকল তথ্য গুগল ম্যাপ জানিয়ে দিবে। এখন প্রশ্ন হল গুগল ম্যাপ থেকে কিভাবে আপনি ইনকাম করবেন চলুন জানা যাক।
এজন্য প্রথমে আপনাকে গুগলে তালিকাভুক্ত যে ব্যবসা গুলো আছে, সেগুলো খুঁজে বের করা লাগবে। এর পরে এই ব্যবসার মালিকদেরকে আপনি ইমেইল পাঠাতে পারেন।
যেন তারা যাচাই-বাছাই করে তালিকাভুক্ত হয়, কারণ গুগলের নিয়ম অনুসারে যদি ব্যবসাকে যাচাই-বাছাই না করা হয়।
তাহলে এটি তালিকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোন ব্যবসা কোন ব্যবসার মালিক যদি তার ব্যবসাকে গুগলের তালিকাভুক্ত যদি না করা থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি যদি এই কাজটা করে দেন এর পরবর্তীতে মালিককে যদি একটি ইমেইল করেন।
যে আপনার ব্যবসা গুগল ম্যাপে তালিকাভুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে তিনি যাচাই বাছাই করে আপনাকে কিছু টাকা দিতে পারে। অনেকেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করছে, অনেকে ২০ থেকে ৫০ ডলারের ইনকাম করে থাকে।
আরো একটি কাজ করতে পারেন সেটা হল গুগল ম্যাপে কন্ট্রিবিউশন করা যেতে পারে। কন্ট্রিবিউশন করলে নির্দিষ্ট লেভেল যদি পার হতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে কোন হয়তো টাকা দেবে না গ্রাহক কিন্তু একটি স্টার মার্ক দেওয়া যাবে।
নতুন কোন জায়গায় যোগ করা যেতে পারে নতুন ছবি সংযুক্ত করতে পারেন রিভিউ প্রশ্ন উত্তর সহ বিভিন্ন ধরনের জন্য আপনি পয়েন্ট পেতে পারেন গুগল থেকে। এভাবে আপনি যদি কাজ করতে থাকেন তাহলে আপনার নির্দিষ্ট গণ্ডি পার হলেই আপনি স্টার যুক্ত হবেন এবং এই জিনিসটা কন্ট্রিবিউটরদের প্রোফাইলে চলে যাবে।
কিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায়
আপনি গুগল ম্যাপ থেকে কিভাবে ইনকাম করতে পারেন, সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই কিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায়? এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো,
ইউটিউব থেকে আয়ঃ যারা ভিডিও দেখতে পছন্দ করেন, তারা সাধারণত ইউটিউব অনেক কিছু তথ্য দেখতে থাকেন এবং এজন্য অনেকটাই জনপ্রিয়। তবে ইউটিউব থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউবে সুন্দর সুন্দর ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে ভিডিও হতে হবে ইউনিক এবং অন্য কারো ভিডিও আপলোড করা যাবে না। কপি পোস্ট করা যাবে না, এখানে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন। যেমন; বিভিন্ন রান্নার ভিডিও, পড়াশোনার ভিডিও অনলাইন কোর্স বিষয়ে ভিডিও, শিক্ষামূলক কোন ভিডিও করতে পারেন এবং ভ্রমণ বিষয়ে অনেকেই ভিডিও করে থাকে।
এই ভিডিওগুলো আপনার নিজস্ব ইউটিউবে পাবলিস্ট করার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিও থেকে যেন মানুষ কিছু শিখতে পারে বা জানতে পারে এই ধরনের ভিডিও করার চেষ্টা করবেন। তাছাড়া ভিডিও দেখে যেন মানুষ আনন্দ পায় সেদিকে আপনাকে নজর দিতে হবে।
এছাড়া ইউটিউবে নিজের পণ্য ভিডিও করেও প্রচার করতে পারেন এবং পণ্যগুলো বিক্রি করাও যেতে পারে। ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনি এফিলেট মার্কেটিং করতে পারেন অর্থাৎ অন্য কারোর প্রোডাক্ট আপনি বিক্রি করে দিতে পারেন, এর মাধ্যমে আপনি কমিশন পাবেন।
আপনাকে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে এবং নিয়মিত ভাবে পোস্ট আপলোড করা লাগবে। যখন আপনার ভিউয়ার বেশি হয়ে যাবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং করে ইনকামঃ অনেকেই ব্লগিং করতে পছন্দ করে, বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করতে পছন্দ করে। সে ক্ষেত্রে আপনি গুগলের ব্লগারের এর মাধ্যমে আপনি নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন, এভাবে টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।
বিভিন্ন টপিক নিয়ে ব্লগিং করা যেতে পারে, টপিক গুলো যেন মানুষ গুগলের সার্চ করে, এই ধরনের লেখা আপনাকে লিখতে হবে। এক্ষেত্রে লেখার মান ভালো করতে হবে ব্লগ ইন বাংলা অথবা ইংরেজিতে লেখা যেতে পারে।
কোন বিষয়ে লেখার জন্য আগে বিষয়টি নিয়ে রিসার্চ করা লাগবে, লেখাটা যেন খুব সুন্দর হয় এবং তথ্যবহুল হয় সেদিকে খেয়াল রাখা লাগবে। এভাবে যদি কাজ করতে পারেন তাহলে একসময় আপনি গুগল এডসেন্স এর অনুমতি পাবেন, সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং তৈরি করার জন্য যেসব যোগ্যতা লাগবেঃ ব্লগিং তৈরি করার জন্য কিছু জিনিসপত্র আপনার প্রয়োজন হবে, সেগুলো জানা খুবই প্রয়োজন সেগুলো কি জেনে নেওয়া যাক।
- ডোমেইন ও ওয়েবসাইট প্রয়োজন।
- এসইও সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন
- নিজে লেখতে পারেন অথবা অন্যকে দিয়ে লিখে নিতে পারেন।
লগইন করে ব্লগিং করে আপনি যদি আয় করতে চান, সেই ক্ষেত্রে ব্লগার ডট কম গিয়ে আপনার একটি ব্লগ খোলা লাগবে। ইচ্ছা করলে অন্য জায়গা থেকেও খোলা যেতে পারেন। তারপরে ব্লগের জন্য সুন্দর একটি নাম তৈরি করা লাগবে। একটি নির্দিষ্ট ডোমেইন লাগবে এরপরে এই ব্লগ সাইটটি সাবমিট করা লাগবে।
এরপর ব্লগে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি শুরু করতে পারবেন। আস্তে আস্তে আপনার ব্লগে ভিজিটর যদি বাড়তে থাকে তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স এ জন্য আবেদন করবেন। আবেদন করার পর গুগল থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। অনেকেই প্রতি মাসে ১০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে, টাকা সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে তুলা যাবে।
গুগল এডমোব থেকে টাকা আয়ঃ এডমোব এটি মূলত মোবাইল এডভারটাইজিং সার্ভিস বলা হয়ে থাকে, এটার কাজ মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপস এর মধ্যে অ্যাড দেখাবে। মূলত বলা যেতে পারে গুগল এডসেন্সের মতোই কাজ করে থাকে। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে এড দেখানো হয়ে থাকে, আর এডমোব এর মাধ্যমে মোবাইলে এড দেখানো হয়ে থাকে।
অর্থাৎ প্রতিনিয়ত মোবাইলের মাধ্যমে প্রতিদিন যদি কোন মোবাইলের অ্যাপস তৈরি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমরা মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ডাউনলোড করি, এই অ্যাপসটা ডাউনলোড করার সময় বিভিন্ন ধরনের এড দেওয়া হয়। আর দেখানোর মাধ্যমে অ্যাপস এর প্রতিষ্ঠাতা টাকা পায়।
তবে মনে রাখতে হবে আপনি এই অ্যাপসটি তৈরি করার পর গুগল প্লে স্টোরে পাবলিশ করা লাগবে। প্লে স্টোরে পাবলিশ না করলে আপনি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন না। আর বেশি মানুষের কাছে যদি আপনি পৌঁছাতে না পারেন তাহলে ইনকামও করতে পারবেন না।
এই কাজটি করার জন্য প্রথমে আপনাকে এডমোব ওয়েবসাইটে যাওয়া লাগবে, সেখানে আপনার নিজের একটি আইডি খোলা লাগবে। তারপর সেখানে নিজের তৈরি অ্যাপটি দিয়ে প্লে স্টোরে পাবলিশ অপশনে গিয়ে ওপেন করা লাগবে। এরপরে অ্যাড অপশনে ক্লিক করে দিলেই হয়ে যাবে।
গুগল এডওয়ার্ড থেকে ইনকামঃ গুগল এডওয়ার্ড এটি এড দিতে পারেন এটা এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন যেখানে আপনার বিভিন্ন প্রোডাক্টের এড দেখাতে পারবেন এবং এখান থেকে বিক্রিও করা যেতে পারে। এই অ্যাডওয়ার্ডের মাধ্যমে বিজনেস পেইজ বা ওয়েবসাইটেকে সবার সামনে নিয়ে আসা যেতে পারে।
এবং বিক্রিও করতে পারবেন, তবে অ্যাড দেখানোর জন্য কিছু পরিমাণ টাকা পয়সা খরচ হতে পারে। এফিলেট করা পণ্যগুলো এই এডওয়ার্ডের মাধ্যমে বিক্রি করা যাবে। মনে করুন একটি পণ্যের দাম ২০ হাজার টাকা আপনি যদি বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনাকে ২ হাজার টাকা দিতে পারে। এতে যদি আপনি এডওয়ার্ডে ১০০০ টাকা খরচ করেন সেক্ষেত্রে তাও আপনার লাভ থাকবে।
গুগল এডওয়ার্ড এর মাধ্যমে যদি আপনি ইনকাম করতে চান, সে ক্ষেত্রে প্রথমে এডওয়ার্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি একাউন্ট খোলা লাগবে। এরপরে এখানে অ্যাড দেখানো শুরু করতে হবে। এখানে সেটিং সিলেক্ট করে দেওয়া লাগবে এর পরে অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
গুগল পে থেকে ইনকামঃ গুগল পে হলো এক ধরনের পেমেন্টের অ্যাপস বলা হয়। এই অ্যাপস ব্যবহার করে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। এ্যাপস ব্যবহার করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। পেপাল, পেটিএম এগুলোকে সাধারণত Gpay অ্যাপস বলা হয়।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অফার দিয়ে থাকে এই অফারের মতো কাজ করলে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইলের রিচার্জ, ইলেকট্রিক বিল, ব্যালেন্স ট্রান্সফার এছাড়া আরো বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।
এখানে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করে বিভিন্ন স্ক্যাচ কার্ড পাবেন এবং লটারির মত অনেক কিছুই পাবেন। এখানে বন্ধু-বান্ধবদের ইনভাইট করলে আপনাকে কিছু টাকা দিবে এগুলো হোমপেজে লেখা থাকে।
গুগল এডসেন্স কি
অনেকে জানতে চায় যে, তাহলে গুগল এডসেন্স কি? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হলো;
গুগল এডসেন্স গুগলের একটি জনপ্রিয় সার্ভিস। যার মাধ্যমে গুগল ও ইউটিউবারদের চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে এবং এর মাধ্যমে ইউটিউবার বা ব্লগাররা টাকা ইনকাম করতে পারে।
এক কথায় এটি একটি অ্যাডভারটাইজমেন্ট পাবলিকশিং প্রোগ্রাম যা গুগল এর নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট নিজস্ব একটি প্রোডাক্ট বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে পার্ট টাইম কাজ করে টাকা ইনকাম করুন
আপনারা হয়তো লক্ষ্য করবেন যে ইউটিউব এর কোন ভিডিও দেখতে বা ব্লগের কোন পোস্ট পড়তে গেলে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
এটাই মূলত গুগল এডসেন্সের কাজ। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে এগুলো হয়ে থাকে। যখন আপনার এগুলোতে ক্লিক করবে অথবা ভিজিটর দেখলে আপনার ইনকাম হবে।
ব্লগ অথবা ইউটিউব থেকে যারা ইনকাম করতে চান তারা গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এটা একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম এজন্য আপনি ব্লগ ওয়েবসাইট বা ইউটিউব কে কাজে লাগাতে পারেন। আপনি গুগল এডসেন্স আপনার ভালো ইনকামের ব্যবস্থা করে দিবে, যদি আপনার ইচ্ছা থাকে তাহলে এই সেক্টর ইনকাম করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে
এতক্ষণে আমরা জেনেছি কিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায়? চলুন, এখন জেনে নেওয়া যাক গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ কাজ করবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গুগল এডসেন্স কাজ করার জন্য আপনাকে প্রথমে এখানে একাউন্ট তৈরি করা লাগবে। আপনার ওয়েবসাইটের হেড ট্যাগ এবং আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে ছোট আকারে এডসেন্স কোড সেট করা লাগবে।
এরপর আপনি গুগল এডসেন্সের ব্যবহার করার জন্য তৈরি হবেন। যখন গুগল এডসেন্সের আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগর সাথে এডসেন্স ব্যবহার করার অনুমোদন পাবেন।
আপনার ওয়েবসাইটে যে বিজ্ঞাপন দেখাবে সেগুলো আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্টের বিষয়ের সাথে মিল থাকবে। এরপর যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর এই এডভারটাইসমেন্ট গুলোর উপর ক্লিক করবে। তখন এর বিনিময় টাকা গুগল এডসেন্স আপনার একাউন্টে টাকা জমা দিবে।
গুগল এডসেন্স এমন একটি এডভার্টাইজমেন্ট প্লাটফর্ম যেখানে পাবলিশারদের ওয়েবসাইটে দেখানো বিজ্ঞাপনে গুলোতে সিপিসি অনুযায়ী টাকা দিয়ে থাকে। এর মানে হল আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি পরিমাণে ভিজিটর আসবে তত বেশি বিজ্ঞাপন করলে তত পরিমাণ আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে থেকে ইনকাম করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স দুটি মাধ্যমে টাকা দিবে একটি হল এড ক্লিক এর মাধ্যমে দ্বিতীয় নাম্বার হলো অ্যাড ইম্প্রেশন এর মাধ্যমে।
এড ক্লিক সম্পর্কে এতক্ষণে বর্ণনা করা হয়েছে তারপরও বিস্তারিত বলা যেতে পারে, আপনার ওয়েবসাইটে যে পোস্টগুলো লেখা হয়েছে সেখানে ভিজিটররা এসে আপনার এই পোষ্টের মাঝে যে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। সেখানে যদি কোন ভিজিটর ক্লিক করে তাহলে আপনি আপনার একাউন্টে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা জমা হয়ে যাবে।
আর ইম্প্রেশন হলো আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন গুলো প্রতিদিন লোকজনরা দেখতে পারবে। এর উপরে ভিত্তি করে আপনাকে টাকা দেওয়া হবে। এই ক্ষেত্রে আপনার বিজ্ঞাপনে ক্লিক না করলেও চলবে, গুগুল এডসেন্স প্রতি ১০০ টি এড যদি ভিউ হয় সেক্ষেত্রে এক ডলার দিয়ে থাকে। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনার যে জিনিসগুলো খেয়াল রাখতে হবে বা যে জিনিসগুলো প্রয়োজন হবে তা হল;
- আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট এবং সেখানে ব্লগ পোস্ট থাকা লাগবে।
- আপনার ব্লগে প্রয়োজনীয় ভালো মানের কন্টেন্ট রাখতে হবে।
ব্লগে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটার নিয়ে আসতে হবে, এক্ষেত্রে অবশ্যই অর্গানিক ট্রাফিক হতে হবে। মনে রাখবেন গুগল এডসেন্স থেকে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে বা ব্লগে প্রতিদিন ১ হাজারের মতো ভিজিটর আসতে হবে। সেই সাথে ওয়েবসাইটের বা ব্লগে গুগল এডসেন্সের অনুমোদন লাগবে। তাহলেই আপনার গুগল এডসেন্স থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স পেমেন্ট
আপনি যদি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাই গুগল এডসেন্স পেমেন্ট সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হলো;
গুগল এডসেন্স মাধ্যমে যদি আপনি টাকা তোলার অনুমতি পেয়ে থাকেন, তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার একটা কাজ করতে হবে সেটা হল গুগলে অ্যাডসেন্সের পিন ভেরিফাই করে নিতে হবে।গুগল এডসেন্সের পিন ভেরিফাই করার জন্য কিছু শর্ত থাকে। এই শর্তটি হলো পিন ভেরিফাই করার ক্ষেত্রে আপনার একাউন্টে কমপক্ষে ১০ ডলার থাকা লাগবে।
গুগল এডসেন্স একাউন্টে ১০ ডলার গুগল আপনার একাউন্ট মেইল দিয়ে জানিয়ে দেবে। গুগল থেকে আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে পিল লেটার সম্পর্কে জানিয়ে দিবে। আপনার গুগল এডসেন্সের নাম ও ঠিকানা সঠিকভাবে যদি দেন তাহলে আপনার পোস্ট অফিসের মাধ্যমে লেটারটি পেয়ে যাবেন। সাধারণত গুগল এডসেন্সের পিন লেটার পাওয়ার জন্য ২৮ দিনের মতো সময় লাগে।
তবে কারো ক্ষেত্রে সমান নাও হতে পারে গুগল এডসেন্সের পিন পাওয়ার জন্য আপনি পোস্ট অফিসে যোগাযোগ রাখতে পারেন। পোস্টমাস্টার কে আগে থেকে জানিয়ে রাখতে হবে যে আমার একটি পিন লেটার আসবে।
এটা আশা মাত্র আমাকে ফোন দিবেন, একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন আপনার গুগল এডসেন্সের ঠিকানা দেওয়ার সময় অবশ্যই আপনার ফোন নাম্বার যেন ভুল না হয় এবং ফোন নাম্বার অবশ্যই দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে টিকটক থেকে ইনকাম করা যায় জেনে নিন
তাহলে আপনার পিন লেটার পাওয়াটা খুবই সহজ হবে। গুগল থেকে পাঠানো লেটারটি আপনার ভিতরে একটি গোপন পিন নাম্বার থাকবে যেটা দিয়ে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ভেরিফাই করে নিতে পারবেন।
আপনার যদি নাম ঠিকানা ভুল হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনি লেটার নাও পেতে পারেন। তবে কয়েকবারের জন্য আবেদন করার সুযোগ আছে তারপরও লেটার যদি না আসে সে ক্ষেত্রে আপনার নাম ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ড দিয়ে গুগলের এড্রেস এ ভেরিফাই করতে পারেন। চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক টাকা কিভাবে তুলবেন।
গুগল এডসেন্স থেকে আপনার টাকা তোলার জন্য কিছু শর্ত থাকে, আপনার গুগল এডসেন্স এর একাউন্টে মোট ব্যালেন্স থাকতে হবে ১০০ ডলারের উপরে। আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসের ২১ তারিখের মধ্যে সাধারণত টাকা পাঠিয়ে থাকে। হয়তো টাকাটা পেতে কয়েকদিন দেরি হতে পারে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের সময় পেমেন্ট করে।
কিছু কিছু ব্যাংক দেরি করে গুগল এডসেন্স এর টাকা যোগ করে থাকে। গুগল এডসেন্স থেকে টাকা উঠানোর খুবই সহজ বিষয় গুগল এডসেন্স এড্রেস ভেরিফাই করার জন্য আপনাকে আপনার গুগল এডস একটি ব্যাংক একাউন্টে যোগ করা লাগে।
একটা ব্যাংক একাউন্ট সঠিকভাবে যদি যোগ করতে পারেন তাহলে আপনার কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর গুগল প্রতি মাসে অটোমেটিক্যালি ১০০ ডলার বা তার বেশি আপনার একাউন্টের পাঠাবে। তবে টাকাটা আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে পেতে হয়ত কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে।
গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন
ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি যে কিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায়? এখন জানবো গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার জন্য যেসব জিনিস প্রয়োজন হয়। সে সম্পর্কে চলুন জানা যাক,
গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করা বিষয়টা এখন অনেকটাই জনপ্রিয় হয়েছে। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে বা এটাতে এপ্লাই করার জন্য বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় না। আগে আপনাকে গুগল এডসেন্স এর অ্যাকাউন্ট খোলা লাগবে।
যদি আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার একাউন্ট খোলা লাগবে। এরপরে গুগল যদি আপনার অ্যাপ্রুভ করে দেয় সেক্ষেত্রে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, এবার জেনে নেওয়া যাক গুগল একাউন্ট খোলার জন্য যে সকল জিনিস প্রয়োজন হয়।
গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার জন্য আপনার অবশ্যই গুগল আইডির প্রয়োজন হবে।
- এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একটি জিমেইল একাউন্ট থাকা লাগবে।
- অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য একটি সচল মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন হয়।
- ভেরিফিকেশন এর চিঠি পাঠানোর জন্য একটি রিয়াল ঠিকানা দিতে হবে, ঠিকানা ভুল যেন না হয়।
- গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকামের জন্য ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেলের প্রয়োজন হবে।
- যদি আপনার কাছে উপকরণগুলো থাকে তাহলে আপনি খুব সুন্দর ভাবে গুগল এডসেন্সের এপ্লাই করে করার অনুমতি পাবেন।
এখন প্রশ্ন হল এটা কখনো এপ্লাই করা লাগবে চলুন, এ সম্পর্কে জানা যাক। ব্লগ সাইটের ক্ষেত্রে বা ওয়েবসাইট যত বেশি ইউনিক পোস্ট থাকবে তত তাড়াতাড়ি এডসেন্স পেতে পারেন। তবে ওয়েবসাইটের সর্বনিম্ন ৫০ এর উপরে পোস্ট থাকাটা ভালো। আপনি নিয়মিত পোস্ট লিখতে থাকুন এক সময় দেখবেন আপনার ৫০ এর উপরে পোস্ট লেখা হয়ে গেছে।
তখন আপনি গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে পোস্টগুলো অবশ্যই ইউনিক হওয়া লাগবে। যদি কোয়ালিটি না হয় তাহলে এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করে কাজ হবে না। কেননা গুগল এডসেন্স কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে আপনার এই আবেদন বাতিল করে দিতে পারে।
আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে পাঁচটির বেশি কন্টেন্ট থাকা লাগবে। কোন ক্যাটাগরি খালি রাখবেন না, পাশাপাশি ওয়েবসাইটে About us, Contact us, প্রাইভেসি পলিসি এই পেজ গুলো চেক করে নিতে হবে। যদি না থাকে তাহলে নতুন করে ক্রিয়েট করা লাগবে। যদি মানসম্মত ওয়েবসাইট না হয় তাহলে যারা ভালো ওয়েবসাইটে পারদর্শী তাদের সহযোগিতা নিতে পারেন।
আপনি যদি ইউটিউব এর মাধ্যমে গুগল এডসেন্সের থেকে টাকা ইনকাম করতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কপিরাইট ফ্রি ভিডিও আপলোড করা লাগবে। সেই সাথে কোন ধরনের এডাল্ট ভিডিও পাবলিশ করতে পারবেন না। এছাড়া ইউটিউব এর ক্ষেত্রে গুগল এডসেন্স আবেদনের জন্য এক বছরে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম যা বাধ্যতামূলক।
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়
গুগল এডসেন্স থেকে যদি ইনকাম করতে চান, তাহলে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। নিম্ন বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হলো;
গুগল এডসেন্স থেকে আপনার ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল থাকা লাগবে এবং যদি আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকে সেখানে প্রতিদিন ভালো মানের ট্রাফিক আসতে হবে বা ভিজিটর লাগবে।
একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিজিটর লাগবে আর এই ট্রাফিক গুলোর মাধ্যমে বা ভিজিটরের মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর বা ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, সেই ক্ষেত্রে যে কাজগুলো আপনাকে করতে হবে। অবশ্যই কোন একটি কোম্পানির বিজ্ঞাপন আপনার ওয়েবসাইটে দেখাতে পারবেন। এর মাধ্যমে কোম্পানি থেকে টাকা নিতে পারবেন অর্থাৎ আপনাকে সেই কোম্পানির সাথে এডভাটাইজমেন্ট বিষয়ে সরাসরি কথা বলা লাগবে।
এরপর যদি আপনার ওয়েবসাইটে তাদের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আগ্রহ হয়, তাহলে তাদের থেকে টাকা নেওয়া যাবে কিন্তু যদি না হয় সেই ক্ষেত্রে আপনি কোম্পানির সাথে কথা বলে কোন কাজ হবে না। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা করার জন্য গুগলকে সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানিগুলো টাকা দিয়ে থাকে।
যার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি ইন্টারনেটে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসগুলো প্রচারণা করার জন্য। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন পোস্টের মাঝে দেখা দিতে পারে এই ক্ষেত্রে আপনাকে চিন্তাভাবনা করতে হবে যে এড গুলো দেওয়া হবে বা বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে সেই ধরনের আপনার পোস্ট লেখার চেষ্টা করবেন। তাহলে গুগল আপনার এই পোষ্টের মাঝে বিজ্ঞাপন টা দেখাতে পারবে।
এজন্য কোম্পানিগুলো তাদের সার্ভিস এর বিজ্ঞাপন প্রচার করার জন্য গুগলকে টাকা দেয়। এভাবে গুগল এডস এর মাধ্যমে তাদের কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রচারণের দায়িত্ব নেয় গুগল। এখন গুগল সবার কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞাপন নিয়ে তারা প্রচার করবে কিভাবে বা দর্শকের সামনে নিয়ে আসবে কিভাবে সেটা তার দায়িত্ব।
এজন্য গুগল তাদের সার্ভিসের নাম দিয়েছে গুগল এডসেন্স। যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্লগ ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলের মালিকেরা গুগল এডসেন্স খোলার মাধ্যমে গুগলের পার্টনারে যোগ দেন, তারা মূলত অর্থ উপার্জন করার জন্য গুগল থেকে বিজ্ঞাপন নিয়ে তাদের দেখাতে পারে।
যারা গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে কোম্পানিকে প্রমোট করা হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে ভিজিটররা দেখতে পারবে।
গুগলের দুটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে গুগল এবং গুগল এডসেন্স একটি কোম্পানির কাছ থেকে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে এবং বিজ্ঞাপন পাবলিশারের দায়িত্ব নিয়ে থাকে।
এক কথায় বলা যেতে পারে যে গুগল এডস এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করা লাগে এবং তারা এডভারটাইসের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে সেই সব বিজ্ঞাপন গুলো প্রচার করার জন্য এডসেন্স পাবলিশারদেরকে ওই টাকার ৬০ পার্সেন্ট গুগল দিয়ে থাকে আর বাকি ৪০ পার্সেন্ট গুগল নেয়।
এভাবে মূলত গুগল সার্ভিস দিয়ে থাকে এক্ষেত্রে সবারই লাভ হবে অর্থাৎ যিনি কোম্পানি গুগলকে টাকা দিলেন তার বিজ্ঞাপন প্রচার করার জন্য এবং গুগল সেখান থেকে যে অর্থ নিল সেখানে প্রচার করার পাবলিশারদের কিছু টাকা দিলে। সে নিজেও লাভ করল এভাবে আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখানোর ক্ষেত্রে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এর মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।
গুগল এডসেন্স থেকে কি পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়, এটা নির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় না। কারণ এডসেন্স থেকে আয় করাটা আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক এর উপরে নির্ভর করতে পারে। আপনার ওয়েবসাইটে যত ভিজিটর আসবে তত টাকা আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগে যদি ক্লিক বেশি পরে এবং প্রতি এড ক্লিকে সিপিসি যত বেশি হবে তত বেশি আপনি গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে লোকেরা ঘরে বসে অনেকে লক্ষ টাকার উপরে অনেক ইনকাম করছে। গুগল এডসেন্স থেকে কি পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন তা নির্দিষ্ট সীমা থাকেনা।
ওয়েবসাইট বা ব্লগের প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক থাকলে বিজ্ঞাপনে ক্লিক আসলে আপনি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মনে রাখবেন এডসেন্সের মাধ্যমে অনেক অংশ নির্ভর করে ট্রাফিকের উপরে। যদি হাই কোয়ালিটি ট্রাফিক প্রচুর পরিমাণ হয় আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেই ক্ষেত্রে ইনকাম করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্সের সুবিধা গুগল এডসেন্স একটি বিশ্বস্ত এড নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করে থাকে। প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ বর্তমানে এডসেন্স ব্যবহার করে থাকে, এখানে অ্যাডভার্টাইজার পাবলিশ আর দের জন্য হাই লেভেল সিকিউরিটির দেওয়া থাকে।
আপনার প্রয়োজনে ডাটা গুগলের দ্বারা সব সময় ট্রাক করা হবে। গুগল এনালাইটিকস একাউন্ট এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে সব সময় ট্রাক করা হবে। অনেকগুলো অ্যাড ফরমেট আছে যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি টেক্সট এডস, ভিডিও অ্যাডস ইমেজ এগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ কিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায় ও গুগল এডসেন্স সম্পর্কে জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি গুগল এডসেন্স থেকে বা গুগলের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে গুগল সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে। তাই কিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায়? এজন্য আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। কিভাবে আপনি ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url