কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায় জেনে নিন
অনেকে জানতে চায় যে, কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়? আসলে আপনার হাতে যদি মোবাইল থাকে এবং অনলাইন সম্পর্কে একটু জানা থাকে, তাহলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, মোবাইল এর মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমানে প্রায় মানুষই স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে, যারা একটু সচেতন রয়েছেন তারা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃকিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায় জেনে নিন
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট app
বিভিন্ন ধরনের অ্যাপের মাধ্যমে আপনি মোবাইলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট app কিভাবে নিবেন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মোবাইল এর মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস আছে। সব অ্যাপ দিয়ে ইনকাম করা যায় না। তাহলে কোন অ্যাপ দিয়ে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন, বিকাশে নিতে পারবেন এজন্য হয়তো অনেকেই সঠিক তথ্য জানেনা।
যার কারণে অ্যাপের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারে না। মোবাইল দিয়ে টাকা কিভাবে আয় করা যায় সেই অ্যাপ গুলোর নাম এবং টাকা ইনকাম করে বিকাশে কিভাবে উত্তোলন করা যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
Web Pay App: একটি অনলাইন অ্যাপ যার মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে খুব সহজে টাকা ইনকাম করা যাবে এবং বিকাশে উত্তোলন করতে পারবেন। কিভাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন ও নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
এই অ্যাপের মধ্যে প্রবেশ করার পর আপনার সামনে কিছু অপশন আসবে। তার মধ্যে Start Work অপশনটিতে ক্লিক করতে করবেন।
যখন আপনি ক্লিক করবেন সেখানে পাঁচ রকমের কাজ করতে পারবেন যেমন; Web Task, Link Task, Video Task, Admob, Video Search
এই অপশন গুলোতে আপনি অনেক কাজ করার অনুমতি পাবেন এবং কাজ করে বিকাশে খুব সহজভাবেই পেমেন্ট নেওয়া যাবে।
এই অ্যাপটির মাধ্যমে প্রতি মাসে আপনি অনেক কাজ করতে পারবেন এবং প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Dream 11 অ্যাপঃ এই অ্যাপটি ভারতের খুবই জনপ্রিয়। এ অ্যাপের মাধ্যমে আপনি মোবাইল দিয়ে সহজ ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের টুর্নামেন্ট দেখানো হয় যেমন ক্রিকেট ফুটবল, হকি, বাস্কেটবল এই ধরনের খেলা দেখানো হয়ে থাকে।
প্রতিদিন সারা বিশ্বে নানান ধরনের লাইভ ম্যাচ খেলা দেখানো হয়ে থাকে। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি লাইভ ম্যাচ দেখতে পারবেন। এটা একটি ভার্চুয়াল দল তৈরি করা যায় এবং পছন্দমতই খেলার বাছাই করতে পারবেন।
আপনি বাছাই করা খেলোয়াড় বা দল বাস্তবে কেমন পারফরম্যান্স করতে পারবে তারপর ভিত্তি করেই আপনাকে পয়েন্ট দিবে। পরবর্তীতে এই পয়েন্ট কনভার্ট করে আপনি টাকায় রূপান্তর করতে করা যাবে। এছাড়াও থার্ড পার্টির মাধ্যমে আপনি নিজের বিকাশ একাউন্টে নিতে পারবেন।
MPL-Mobile Premier league: ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় গেমিং অ্যাপের মধ্যে অন্যতম হলো এই অ্যাপটি। যা ব্যবহারের করে এক কোটির উপরে হতে পারে। এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি অনলাইনের মাধ্যমে অন্যদের সাথে বিভিন্ন ধরনের গেম খেলতে পারবেন। এর মধ্যে আছে Ludo, Kabaddi, Basketball, Bubble Matching এগুলোর মাধ্যমে আপনি খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে যত টাকা আপনি জিততে পারবেন সেই টাকাগুলো Paypal, Paytm, ব্যাংক একাউন্ট, UPI এর মাধ্যমেও টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। বাংলাদেশ এই অ্যাপ থেকে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন এবং বিকাশের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।
এছাড়া আপনি আরো অনেকগুলো গেমসের অ্যাপস রয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে লুডু, কেরাম ফ্যান্টাসি ক্রিকেট, ফ্রুটস কাটিং ইত্যাদি গেমস খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা বিভিন্ন কোড ব্যবহার করে একাউন্ট খুলে টাকা বা বোনাস পেতে পারেন।
এর পরে আপনি বিভিন্ন গেম খেলে পয়েন্টসহ রিয়াল ক্যাশ জিতে নিতে পারবেন। আপনি টাকা উঠাতে পারবেন বিশেষ করে আপনার বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়
মোবাইলের মাধ্যমে আপনি যদি টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়? সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই নিম্নে কিভাবে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় আছে। যদি আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনার ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যে সকল মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করবেন তা নিম্নে আলোচনা উল্লেখ করা হলো।
- ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন
- অনেকেই ব্লগিং করে ইনকাম করে
- ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন
- ফটোগ্রাফ বা ভিডিও বিক্রির মাধ্যমেও ইনকাম করা যায়
- অনলাইনের মাধ্যমে টিউশনি করে আয় করা যায
- সবুক ই কমার্স দ্বারা ইনকাম করতে পারবেন
- রিসেলিং ব্যবসা করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন
- Instagram ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন
- ইনভেস্টমেন্ট সাইট থেকেও ইনকাম করা যায়। মাইক্রো ওয়ার্ক সাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন ড্রাইভিং করে ইনকাম করা যেতে পারে। ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন
- টাকা ইনকামের এপ্স গুলো দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
- মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশ থেকে ইনকাম করা যেতে পারে।
উপরোক্ত এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি ইনকাম করতে পারেন। তবে এগুলোর প্রত্যেকটার বিস্তারিতভাবে জেনে তারপরে আপনি এগুলো ব্যবহার করবেন। চলুন, ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে মোবাইলের মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করা যেতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনার হাতের স্মার্টফোনটি ইনকাম করার জন্য যথেষ্ট হতে পারে। ভিডিও রেকর্ড করবেন শুরু থেকে ভিডিও এডিট করা লাগবে, এরপর আপলোড করবেন, এই বিষয়গুলো মোবাইলের মাধ্যমে আপনি করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করবেন। গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামে যুক্ত হতে পারলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া বেশি সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার পেলে স্পন্সরড ভিডিও এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম
এতক্ষণে আপনি জানতে পেরেছেন যে কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়? এখন আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইনকাম করবেন নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
ফ্রিল্যান্সিং শুধু নির্দিষ্ট একটি কাজ নয় এটার বিশাল একটি প্ল্যাটফর্ম। কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে যদি নিজের দক্ষতা ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি যে উপার্জন করতে পারবেন সেটাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং এর সাইট আছে যা মোবাইলের মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা যদি ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনার একটি স্ক্রিল থাকতে হবে এবং কাজের দক্ষতা দরকার।
তাছাড়া আপনি এক বা একাধিক ও কাজের দক্ষতা করতে পারেন মোবাইল দিয়ে আপনি যে সকল কাজ আরো পড়ুনঃ হারানো জাতীয় পরিচয় পত্র তোলার নিয়ম ও করনীয় সম্পর্কে জানুন
- কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারেন
- ট্রান্সলেশন করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন
- ব্লগ কমেন্টিং করে কাজ করা যাবে
- কপিরাইটিং এর মাধ্যমে
- ফোরাম পোস্টিং করে
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেব
- প্রুফ রিডিং করে
- প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং লিখে
- ট্রান্স ক্রিপশন এর মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
উপরোক্ত এই কাজগুলো খুবই সহজ যা আপনি আপনার হাতের মোবাইলের মাধ্যমে এই কাজগুলো করে দিলে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চাইলে আপনি ফাইবার আপ ওয়ার্ক এর মত বড় বড় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একাউন্ট খুলে ইনকাম করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট
অনেকে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে থাকে, সেই টাকা বিকাশ নগদ বা রকেটের মাধ্যমেও নিয়ে আসা যেতে পারে। তাই মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম করা যেতে পারে, এটা অনেকেই হয়তো বিশ্বাস নাও করতে পারেন কিন্তু কিভাবে আপনি ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনের মাধ্যমে কাজ দেন।
আপনি সেই কাজগুলো ঘরে বসে স্মার্টফোনের মাধ্যমে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে ইনকাম করতে পারবেন। ইনকাম করা খুবই সহজ রকেটের মাধ্যমে নিতে পারবেন। আপনার পড়ালেখার পাশাপাশি হাত খরচ চালাতে পারবেন।
অ্যাপসের মাধ্যমে ইনকামঃ অনলাইনের মাধ্যমে আপনি অনেক ধরনের অ্যাপস দেখতে পাবেন। সেগুলোর মাধ্যমে ইনকাম করা যেতে পারে। চলুন, সেই অ্যাপস গুলো কি সে সম্পর্কে জানা যাক।
Add Wallet অ্যাপসঃ এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই অ্যাপসটি আপনি ডাউনলোড করবেন। এই অ্যাপটির নাম লিখবেন Add Wallet এরপরে এটা ডাউনলোড করে নিবেন। অনলাইনের জগতের সবচাইতে সহজ কাজ এই অ্যাপস এর মাধ্যমে করা যেতে পারে।
এখানে আপনি শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন দেখবেন এর মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কিছু বিজ্ঞাপন দেবে আপনি সেই বিজ্ঞাপন গুলো দেখতে থাকবেন। পরবর্তীতে আপনার একাউন্টে কিছু ডলারও যোগ হয়ে যাবে।
ডলার গুলো আপনি টাকায় কনভার্ট করে বিকাশ নগদ অথবা রকেটের মাধ্যমে নেওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘন্টা এই কাজগুলো করলে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করা ব্যাপারই না।
Slidejoy এপ্স থেকে ইনকামঃ আপনার যদি অনলাইনে অনেক বন্ধু থাকে, সেক্ষেত্রে এই অ্যাপসটির মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারেন এবং ইনকাম করতে পারবেন। কারণ এটি বন্ধুদের মাঝে রেফার করবেন যত বেশি তত আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়া এই অ্যাপসের মাধ্যমে সাইন আপ করলে সাথে সাথে আপনাকে বোনাস দেবে এবং মাঝে মাঝে কিছু বিজ্ঞাপন দেখার কারণে ইনকাম করা যেতে পারে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘন্টা আপনি যদি কাজ করতে পারেন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Woww অ্যাপসের মাধ্যমে ইনকামঃ এই অ্যাপসটি অনেক জনপ্রিয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা এই অ্যাপটি ব্যবহার করে ইনকাম করতে শুরু করেছে। এই অ্যাপসটি রেজিস্ট্রেশন করলেই আপনি বোনাস পেয়ে যাবেন।
তারপর এখানে কিছু ক্যাটাগরি আছে যে কোন একটি ক্যাটাগরি আপনি ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও এখান থেকে রেফার করেও ইনকাম করা যাবে। সর্বোপরি আপনি ডলারগুলোকে বিকাশের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।
কুইজ খেলে ইনকামঃ অনেকে কুইজ খেলেও ইনকাম করতেছে। আপনি যদি এই কুইজ খেলে ইনকাম করতে চান, সেই ক্ষেত্রে এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং আপনি এটা খেলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কুইজ খেলে অনেকেই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন। এমনকি অনেকে দিনে এক হাজার টাকার মতো ইনকাম করতে পারেন। তাই কিভাবে কুইজ খেললে আপনি ইনকাম করতে পারবেন সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেয়া যাক।
Winzo তে কুইজ খেলে ইনকামঃ বর্তমানে অনেকেই কুইজ খেলে এই অ্যাপসটির মাধ্যমে ইনকাম করতে পারছেন। এই অ্যাপসটির মাধ্যমে আপনি যদি দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে এখানে অনেকগুলো ক্যাটাগরি আছে গেমসের, যে কোন একটি রেফার করে ইনকাম করতে পারেন।
এছাড়া আপনি যদি লুডু খেলার পারদর্শী হতে পারেন সেক্ষেত্রে এই অ্যাপসটির মাধ্যমে লুডু খেলে ইনকাম করতে পারবেন। আর এখানে যে টাকাগুলো আপনি পাবেন সেটা বিকাশ নগদ রকেটের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
Qureka তে কুইজ খেলে ইনকামঃ অ্যাপসটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে প্রায় ২৫ হাজারের মত কুইজ আছে। এর মধ্যে সঠিক উত্তর দিতে পারলে আপনি প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন।
এই অ্যাপসটি অনেক বিশ্বাস করতে পারেন এখানে অনেকেই খেলে থাকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলব আপনি অবশ্যই ইনকাম করতে পারবেন। এতে কোন সন্দেহ নেই এটি একটি সাধারণ জ্ঞানের কুইজ। আপনার যদি সাধারণ জ্ঞানের ভালো দক্ষতা থাকে।
সেক্ষেত্রে এই অ্যাপসটির মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এখানে অনেকেই খুব সহজে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ইনকাম করতে পারে এবং এখানে সাইনআপ করলে তেমন কোন অসুবিধা হয় না। এতে আপনি ৫০ টাকার মতো পেয়ে যাবেন।
ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
অনেকেই মোবাইলের মাধ্যমে ফটো তুলতে পছন্দ করে। তাই আপনি ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন নিম্নে আলোচনা করা হলো,
অনলাইনের মাধ্যমে আপনি ছবি বিক্রি করতে পারবেন, অনেকেই ফটোগ্রাফাররা এই কাজটি করে থাকে। যারা এটা একটি পেশা হিসেবে নিয়েছেন তারা এই অনলাইনের মাধ্যমে ছবিগুলো বিক্রি করতে পারবেন। স্টক ফটোগ্রাফার হতে হলে পেশাদার মানের ফটোগ্রাফার হওয়া লাগবে।
এমন কিছু নয় তবে স্টক ফটোগ্রাফির বেসিক জিনিসগুলো জানার প্রয়োজন। ছবি বিক্রির সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে এবং দক্ষ ফটোগ্রাফার হওয়া লাগবে। অনলাইনে ছবি বিক্রি করতে পারবেন সে জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম আছে সেগুলো অনেকেই হয়তো জানে না সেগুলো জানা প্রয়োজন।
কিভাবে ছবি বিক্রি করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন সেটা জানা প্রয়োজন। এজন্য স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট থেকেও আপনি আয় করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে এই ওয়েবসাইট গুলো যাচাই করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই সাইনআপ করে আপনার ইমেইল দিয়ে একাউন্ট করতে হবে।
প্রথমে স্টক ইমেজ ওয়েবসাইটে সাইন আপ করবেন। এরপর sell ইমেজ বা সাবমিট ইমেজ অপশন দেখবেন কোথায় আছে। তারপর রেজিস্ট্রেশন এর কাজ শেষ করবেন।
এজন্য আপনি নিজের নেম ইউজার নেম ভেরিফাইড email address একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড দিতে হবে। তাহলে আপনি অনেক সহজেই ছবি গুলো বিক্রি করতে পারবেন এবং সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
শাটার স্টকঃ Shutterstock সাটার স্টক এটা অনলাইনে ছবি বিক্রি করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট এবং খুবই সহজভাবে আপনি এখানে ছবি বিক্রি করতে পারবেন। এটি মূলত ফটো ওয়েবসাইট বলা হয়ে থাকে। এখানে মাইক্রো স্টক সাইট হিসেবে বিবেচনা করলে এখানে ছবি অনেক সস্তায় বিক্রি করা হয়ে থাকে।
আপনার ছবি যদি বিক্রি বৃদ্ধি করতে চান সেই ক্ষেত্রে অনেক ছবি দেওয়া লাগবে। যত বেশি ছবি দিবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি স্টকে ছবি বিক্রি করা বুঝতে পারেন তাহলে একসময় অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন এবং অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই সাইটগুলোতে আপনাকে এখন বর্তমানে অনেক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কারণ অনেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার রাও এখানে অনেক ছবি সেল করে থাকে। এজন্য অনেক প্রতিযোগিতা রয়েছে। ছবি তোলা এবং নির্মাণের দক্ষতা থাকতে হবে তাহলে আপনি মার্কেটে এগিয়ে থাকবেন।
এলামিঃ Alamy.com এই সাইটটি সারা পৃথিবীতে অনেক জনপ্রিয় এবং ক্রিয়েটিভ ছবির এখানে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। ওয়েবসাইটের প্রতিটি ছবি অনেক ভালো মানের এবং অন্যদের থেকে অতুলনীয়। এখানে প্রায় ২৩৫.২৭ মিলিয়ন ছবি আছে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার ছবি এখানে যুক্ত হয়ে থাকে।
তাই আপনার ছবিগুলো যদি ক্রিয়েটিভ এবং ইউনিক হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে এই ওয়েবসাইটে আপনি ছবি এড করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কন্ট্রিবিউটর হলে আপনি ৫০% পর্যন্ত কমিশন পাবেন।
তবে ছবিগুলো এক্সক্লুসিভ হতে হবে অনেকে ৪০% পর্যন্ত কমিশন পেয়ে থাকে সেগুলো অনেক এক্সক্লুসিভ ইমেজ এর ক্ষেত্রে তাই এটি অনেক সহজভাবে এবং সাবমিশন করে আপনি এখানে থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এডোবি স্টকঃ অনলাইনের মধ্যে ছবি বিক্রি করার জন্য অ্যাডোবি স্টক খুবই জনপ্রিয়। যেখানে আপনি ছবি বিক্রি করতে পারবেন এবং বিক্রি করার জন্য সাবমিট করতে পারবেন। সেগুলো আরেকটি স্টক সাইড কোয়ালিটিতে পেতে পারেন।
অন্যদিকে যদি আপনি সরাসরি Adobe Lightroom CC এবং এডোবি Bright CC ওয়েবের মাধ্যমে আপনার ছবি ভিডিও স্টক এর সাথে যুক্ত হতে পারবেন। সেখান থেকে ছবিগুলো বিক্রি হলে ৩৩% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন
আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটঃ আমি নিজে একটু ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং সেখান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ছবি বিক্রি করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি নিজেই একটি এজেন্সি হতে পারেন। সেখানে ছবি বিক্রি করার জন্য ওয়েবসাইট খুলবেন, এটার একটি ভালো দিক আছে আবার কিছু কঠিন আছে।
ভালো দিকটি হলো আপনি নিজেই আপনার ছবিগুলো নিজের ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারছেন। এবং দায়িত্ব পালন করছেন নিজের ইচ্ছামত টাকা মূল্য নির্ধারণ করবেন এবং পুরো টাকাটাই আপনি পেয়ে যাবেন কোনরকম কাউকে কমিশন দিতে হবে না।
আর কঠিন সমস্যা হলো এটা একটি ফুল ফিচার্ড ওয়েবসাইট তৈরি করা লাগবে সেজন্য প্রাথমিকভাবে আপনাকে টাকা বিনিয়োগ করা লাগবে। প্রথমে ডমিন ও হোস্টিং কেনা লাগবে ওয়েবসাইটের। ছবি আপলোড করার জন্য এসইও ও মার্কেটিং করতে হবে তাহলে ক্রেতারা আপনার ওয়েবসাইটে আসবে।
পেমেন্ট সিস্টেম তৈরি করা লাগবে। সব ধরনের ফটোগ্রাফারের জন্য উপযুক্ত হতে হবে। অভিজ্ঞ সুপরিচিত ফটোগ্রাফাররা যে পদ্ধতি অবলম্বন করলে সফলতা পেতে পারে সেই ধরনের সিস্টেম করতে হবে।
মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম
অনেকে জানে না যে মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম করা যায়। আসলে বর্তমানে বিকাশ কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের বোনাস এবং অফার দিয়ে থাকে তাদের ব্যবসার সুবিধার্থে। তাই এই অফার এবং বোনাস গুলো পাওয়ার জন্য কি কাজ করতে হবে সেটা আপনার জানা প্রয়োজন তা বর্ণনা করা হলো,
সম্প্রতি অনেক একটি জনপ্রিয় এই বিকাশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেকের ইউটিউব চ্যানেল আছে বা ব্লগ ওয়েবসাইট আছে। তারা বিকাশ অ্যাপ এর বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন তাদের ব্লগ ওয়েব সাইটে
এবং youtube এর মধ্যে প্রমোট করতে পারবেন বা করে যাচ্ছেন। ফলে যার কারণে হাজার হাজার বিকাশ অ্যাপ রেফার করতে পারতেছেন এবং প্রতি রেফারের বিনিময়ে ১০০ টাকা করে বিকাশ তাদেরকে পুরস্কৃত করছে।
বিকাশ থেকে পুরস্কার পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে বিকাশ অ্যাপটি ব্যবহার করতে হবে এবং তারা এই বিকাশ অ্যাপটি ব্যবহার করে সেটা আপনাকে সন্ধান করা লাগবে। আপনার আশেপাশে যারা বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেনা তাদেরকেও আপনি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য উপদেশ দিবেন।
বিড়ালের সাথে তাদেরকে এই অ্যাপসটি ইন্সটল করার জন্য অনুরোধ করতে পারেন এবং এই অ্যাপসটি খুলে দেওয়ার জন্য আপনার রেফার লিংক ব্যবহার করতে হবে। যদি আপনার বিকাশ ব্যবহার করতে তার আগ্রহে নাও হতে পারে সে ক্ষেত্রে তাদেরকে বোঝানো বোঝাতে হবে।
যখন তারা বিকাশ অ্যাপটি ব্যবহার করা শুরু করবে ব্যবহার করতে থাকবে। তখন আপনি এখান থেকে ১০০ টাকা করে পেয়ে যাবেন।
সুতরাং কেউ যদি আপনার কথা শুনে আপনার রেফার লিংক ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপটি ইন্সটল করে থাকে ইন্সটল করে করবে ব্যবহারকারী পাবে ১০০ টাকা ও আপনিও বিকাশ অ্যাপটি থেকে ১০০ টাকা পুরস্কার পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি যিনি ব্যবহার করবেন ব্যবহার করে পুরস্কার পাবে এবং আপনিও পাবেন।
টাকা ইনকাম করা খুবই সহজ বিষয় কিন্তু কৌশল গুলো আপনাকে জানা প্রয়োজন প্রযুক্তির কল্যাণ এখন ঘরে বসেই অনেক মানুষ ইনকাম করতে পারছে যদি আপনার হাতের মোবাইলটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিকাশ অ্যাপ থেকেও আপনি খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই ক্ষেত্রে বিকাশ ব্যবহার করে ইনকাম করা যেতে পারে, বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করার কারণে আপনি ১০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পেতে পারেন। বিকাশ অ্যাপ থেকে কিভাবে এই ইনকামটা করবেন তা উল্লেখ করা হলো,
প্রথমে প্রবেশ করা লাগবে এবং ডান দিকের বিকাশ করবেন
তারপর রেফার বিকাশ অ্যাপ অপশনটি থেকে রেফার এই অপশনটিতে ক্লিক করা লাগবে।
অ্যাপের লিঙ্কটি যেকোন মাধ্যমে যেমন এসএমএস ইমেইল মেসেঞ্জার whatsapp ইমো বিভিন্ন এগুলোর মাধ্যমে শেয়ার করতে হবে।
রেফারেল লিংক ব্যবহার করার কারণে যিনি ব্যবহার করবেন বিকাশ অ্যাপ দিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র ছবি তুলে অ্যাকাউন্ট খুলে লগইন করতে হবে। এরপরই তিনি প্রসেস টাকা পঁচিশ টাকা বোনাস পাবেন।
তারপর তিনি বিকাশ অ্যাপ থেকে প্রথমবার যে কোন পরিমাণ মোবাইল টাকা যদি রিচার্জ করে বা ক্যাশ আউট করে সে ক্ষেত্রে আরও ২৫ টাকা ক্যাশবাগ পাবে। সর্বমোট ৫০ টাকার মতো বোনাস পেয়ে যাবে আপনিও সে ক্ষেত্রে বোনাস পেতে পারেন।
লেখকের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার একটু কৌশলী হতে হবে এবং কিছু বিষয় জানতে হবে। তাই কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়? এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটিতে সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি আপনার উপকার হবে, পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url