চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে কি কাজ করা যায় জেনে নিন
আপনি যদি চাকরি করে থাকেন সেক্ষেত্রে অবসর সময় পান, তাহলে অবসর সময়ে কি কাজ করা যায়? সে সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, কিভাবে অবসর সময়কে কাজে লাগানো যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অনেকে সরকারি বা বেসরকারি অল্প বেতনে চাকরি করে থাকে, তাই তাদের অবসর সময়টুকু যদি কাজে লাগাতে পারে তাহলে বাড়তি কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই অবসর সময়ে কি কাজ করা যায়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃচাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে কি কাজ করা যায় জেনে নিন
ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম
আপনি যদি অবসর সময় কাজে লাগাতে চান, তাহলে ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। এতে আপনি কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং সময়টাও কাজে লেগে যাবে। নিম্নে এই বিষয়ে আলোচনা করা হল,
অনেকে মনে করে যে বাড়িতে বসে হাতের কাজগুলো করলে হয়তো বেশি টাকা ইনকাম হবে না। এ ধারণাটি ভুল, কারণ আপনি যদি সঠিক সময়ে কাজটা করতে পারেন। তাহলে অনেক টাকা আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এ জন্য আপনাকে ধৈর্য এবং সঠিক নিয়ম ও পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
প্রত্যেকটা কাজের আয় কেমন হবে সেটা নির্ভর করে কাজের উপরে, কাজের গুনাগুন এবং কাজটি করা হচ্ছে কিভাবে এটার ফলাফল কি হতে পারে সকল কিছুই বিবেচনা করে টাকা ইনকাম হবে। তাই আপনাকে সঠিক উপায় খুঁজে সঠিক ভাবে কাজ করতে হবে। এটা কিভাবে করবেন তা জানা প্রয়োজন, তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমেই আপনি এ সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
মুরগির খামার করে ইনকামঃ ঘরে বসে অবসর টাইমে টাকা ইনকাম করার ভালো একটি মাধ্যম হল মুরগি পালন করা। যদি গ্রামে বসবাস করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে আপনি মুরগি পালন করতে পারেন। ছোটখাটো খামার তৈরি করতে পারেন।
এ কাজে সাধারণত মহিলারা করে থাকে, তারা বিভিন্ন জাতের মুরগি পালন করতে পারে, ডিম ফুটানো, ডিম থেকে বাচ্চা বের করা যাচ্ছে আবার বড় করে বিক্রি করা এই সকল কাজগুলোই সাধারণত থাকেন। এখন প্রশ্ন হল আপনি কিভাবে লাভবান হবেন? মনে করেন আপনি যদি মুরগি পালন করেন এবং সেখান থেকে ডিম দেয় তা বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আবার ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর পর সেই বাচ্চা বিক্রি করলেও টাকা পাবেন। অনেকে বাচ্চা কিনে এনে লালন পালন করে বিক্রি এভাবে টাকা ইনকাম করা যায়।
তাছাড়া মুরগির খামার যদি করতে চান, সেই ক্ষেত্রে ফার্মের মুরগি পালন করা যেতে পারে। ফার্মের মুরগি সাধারণত লোকজন খেয়ে থাকে এক্ষেত্রে লাভবান হতে পারেন, বর্তমানে এর চাহিদা রয়েছে।
রান্নার প্রশিক্ষণ করিয়ে টাকা ইনকামঃ অবসর সময়ে ঘরে বসে আপনি একটি হাতের কাজ করতে পারেন, সেটা হল রান্না করা। এমন একটি কাজ যা মানুষের জীবিকার জন্য লেগে থাকে। তাই আপনার যদি রান্নার করার হাত ভালো থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি ভালোভাবে রান্না করে এটার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
এখন প্রশ্ন হলো এজন্য আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে রান্নার প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। আপনি ইউটিউবে কিংবা আপনার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে যেকোন ভাবেই হোক না কেন মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
সেলাই মেশিনের কাজ করে টাকা ইনকামঃ আপনি যদি সেলাই মেশিনের কাজ ভালো দক্ষতা থাকে, সেই ক্ষেত্রে কাপড় সেলাই করেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। ঘরে বসে এই হাতের এই কাজগুলো করে প্রচুর পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
পোশাক তৈরি করার জন্য আমরা সাধারণত টেইলারের কাছে গিয়ে থাকি, বিশেষ করে মেয়েদের পোশাকের ক্ষেত্রে টেইলারদের প্রয়োজন বেশি হয়। অনেকে আছে পোশাক বানিয়ে পড়তে পছন্দ করে তাই এটাকে কেন্দ্র করে আপনি একটা টেইলারিং প্রশিক্ষণ নিয়ে এটার মাধ্যমে কাজ করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
নকশি কাঁথা তৈরি করেঃ গ্রামের মহিলারা সাধারণত অবসর সময়ে নকশী কাঁথা সেলাই করে থাকে। যা আমাদের গ্রামের একটি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। নকশী কাঁথার চাহিদাও রয়েছে অনেক, এটা দেশ-বিদেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে। এদের বুটিক কোম্পানি গ্রাম অঞ্চলের মানুষকে সহায়তা করে থাকে এবং তাদেরকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়।
আপনার যদি এই বিষয়ে স্কিল থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। বিশেষ করে অনলাইনে মাধ্যমে যদি আপনি প্রচার করতে থাকেন, তাহলে আশেপাশের স্থানে নকশি কাঁথা তৈরি করে দেবে, বুটিক কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েও এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বাগান করার মাধ্যমে টাকা ইনকামঃ আপনি যদি গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করেন, সেই ক্ষেত্রে বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি আবাদ করতে পারেন। আর সেখান থেকে আপনার নিজের চাহিদা মেটানোর পর বিক্রি করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়া যদি আপনি শহরে বসবাস করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে আপনার বাড়ির ছাদে বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ করতে পারবেন। আপনি নিজের চাহিদা মিটানোর পর চাইলে বিক্রি করতে পারবেন। এভাবে আপনি বাণিজ্যিকভাবে যদি চাষাবাদ করেন সেক্ষেত্র টাকা ইনকাম করা যাবে।
অবসর সময়ে কি কাজ করা যায়
অবসর সময়কে কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়। তাই অবসর সময়ে কি কাজ করা যায়? সে সম্পর্কে কিছু ধারনা নেওয়ার প্রয়োজন, তাই নিম্নে এ বিষয়ে কিছু ধারণা দেওয়া হলো;
আপনি ভালো বেতনের চাকরি করেন কিন্তু আপনার মেধা আছে এবং সময়ও আছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে কিছু উপার্জন করতে যদি পারেন। সে ক্ষেত্রে অবসর সময়কে কাজে লাগাতে হবে এ ধরনের কিছু উপায় রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি বাড়তি ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ফ্রিল্যান্সিংঃ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর ফ্রিল্যান্সিং, যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনার কর্মক্ষেত্রের কাজের পাশাপাশি বাড়িতে অবসর সময়ে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারেন। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক সেক্টর রয়েছে তার মধ্যে যেটা আপনার পছন্দ হয়।
সেই কাজটি আপনি দক্ষতা অর্জন করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন। যেমন লেখালেখির কাজ করে নিজে ওয়েবসাইট খুলে সেখানে কিছু পোস্ট পাবলিশ করে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। এরপর গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন, ডিজিটাল মার্কেটিং প্রোগ্রামিং ইত্যাদি ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করে মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
তাই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি youtube এ সার্চ দিয়ে যে বিষয়টা ভালো লাগে সেই বিষয়টি নিয়ে আপনি প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করতে থাকুন। দেখবেন এক সময় আপনি সফলতা অর্জন করছেন।
ব্লগিং করেঃ ব্লগিং মানে লেখালেখি করা, ভার্চুয়াল জগতে অনেকগুলোই সাইট আছে তার মধ্যে আপনি লেখালেখির কাজটা খুব সহজেই শিখতে পারবেন এবং ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। অনেকে চাকরির পাশাপাশি বা পড়াশোনার পাশাপাশি এই ব্লগিংয়ের কাজ করে থাকে।
কারণ এই ব্লগিং করতে হলে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা নাই। আপনার যখন ইচ্ছে তখন আপনি করতে পারবেন, এতে আপনার কাজের কোন সমস্যা হবে না। আপনি অবসর টাইমে এই ব্লগিং কাজ করতে পারেন।
এই ব্লগিং করার জন্য আপনি নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, সেই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট পাবলিশ করবেন। এটা যখন আপনার রেঙ্কে চলে আসবে সেক্ষেত্রে google এডসেন্সের মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। হয়তো এটা ইনকাম করতে আপনার একটু সময় লাগবে এবং তাই ধৈর্য ধরতে হবে।
ওয়েবসাইট বিক্রি করেঃ আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন। তাহলে অনেকটা ইনকাম করতে পারবেন, আপনি একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্লগ তৈরি করবেন, সেখানে বেশ কিছু আর্টিকেল লিখবেন।
এগুলো পাবলিশ করা হয়ে গেলে কিছুদিন পরে এটা গুগল রেঙ্কে আসলে আপনার ওয়েবসাইটের মূল্যটা বেড়ে যাবে। এভাবে আপনার ওয়েবসাইটের মূল্য যখন বেড়ে যাবে, তখন আপনি এটা বিক্রি করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ বর্তমানে সবচাইতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, কারণ আপনি চাকরির পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। অ্যাফিলেট মার্কেটিং ব্লগিং এর সাথে করা যেতে পারে আবার আপনি চাইলে ব্লগিং ছাড়া মার্কেটিং করা যেতে পারে। অনলাইনের প্রায় প্রত্যেকটা কোম্পানির প্রোডাক্ট এর জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করা আছে।
এর মজার বিষয় হলো এখানে আপনি সম্পূর্ণ কাজ করে দিবেন এর কারণে আপনি প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে থাকতে পারবেন। এতে আপনার কোন টাকা খরচ হবে না বরঞ্চ আপনি তাদের প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করে দিলে আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন।
ইউটিউবিং করেঃ আপনি চাইলে যে বিষয়ে চাকরি করেন বা যে কাজের মাধ্যমে আপনি পেশাগত ভাবে আছেন। সেই কাজের বিভিন্ন বিষয় সুন্দর করে ভিডিও করে, এডিটিং করে সেটা যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে নিয়মিতভাবে পাবলিশ করতে থাকেন। তাহলে দেখবেন এক সময় আপনার ভিউয়ার অনেক হয়েছে এবং মনিটাইজেশন পাবেন।
এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন ধৈর্য ধরা এবং কনটেন্ট এর মান গুণগতমান ভালো হতে হবে। মানুষ দেখে যেন উপকৃত হয় সেই ধরনের কনটেন্ট আপনাকে তৈরি করতে হবে। তাহলে আপনি চাকরির পাশাপাশি youtube এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
ফেসবুকের মাধ্যমেঃ আপনি চাকরি করার পাশাপাশি অবসর সময়ে কে কাজে লাগানোর জন্য ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর বর্ণনা দিয়ে এবং সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করে যদি নিয়মিতভাবে পোস্ট করতে থাকেন। এখান থেকে অনেক টাকা আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
যদি আপনার পণ্য না থাকে সেই ক্ষেত্রে যারা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সেল করে থাকে তাদের থেকে আপনি প্রোডাক্টগুলো নিয়ে সেগুলো বিক্রি করে দিবেন। সেখান থেকে কমিশন নিতে পারেন, বর্তমানে এই ফেসবুকে সবাই ব্যবহার করে থাকে তাই আপনি ফেসবুকে কাজে লাগিয়ে আপনার বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট।
অথবা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বা কাজের কোন কিছু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে সেগুলো যদি আপনার ফেসবুকে পোস্ট পাবলিশ করে থাকেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার ভিউয়ার বেশি হলে বা ভাইরাল হলে সেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
ই কমার্সঃ বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লোকজন কেনাকাটা করে থাকে কিন্তু এখানে একটা বিষয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যেটা হল বিশ্বাসের বিষয়। কারণ অনেকেই অনলাইনে মাধ্যমে বিক্রি করে টাকা নিয়ে যে পণ্য দেওয়ার কথা সেটা না দিয়ে অন্য একটি পণ্য দিয়ে থাকে। এভাবে ব্যবসার প্রতি বা অনলাইনের কেনাকাটার প্রতি মানুষের অনেক অনিহা সৃষ্টি হয়েছে।
এজন্য আপনার পেজটার গুণগতমান ভালো হতে হবে এবং যেন মানুষজন ট্রাস্ট হতে পারে। সেই রকম ধরনের আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে, এছাড়া আপনার প্রোডাক্ট এর গুনাগুন ভালো হতে হবে এবং মানুষের কাছে যেন ডেলিভারি দেওয়ার পরে আপনি টাকাটা নিতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি পাবে।
ড্রপ শিপিংঃ ড্রপ শিপিং এর কাজ হল মধ্যম ব্যক্তি হিসেবে কাজ করে। যেমন daraz.com, bikroy.com এই ধরনের ব্যবসা বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটা মূলত অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা।
আপনি চাইলে ঘরে বসে এই জনপ্রিয় ব্যবসা মাধ্যমে চাকরি করার পাশাপাশি ইনকাম করতে পারবেন। যদিও দারাজ ও বিক্রয় ডট কম অনেক বড় অনলাইন প্লাটফর্ম। তাই আপনি ছোট পরিসরে ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
বাড়িতে বসে মেয়েদের কাজ
এতক্ষণে আমরা জেনেছি অবসর সময়ে কি কাজ করা যায়? এখন জানবো নারীরা বাড়িতে কি ধরনের কাজগুলো করতে পারে সেই সম্পর্কে। নারীরা কর্মজীবি হওয়াটা খুবই জরুরী এবং সংসারের কাজ করবে এতে তাদের একঘেয়েমিতা চলে আসবে। তাই তারা কাজ করার পাশাপাশি অবসর সময়কে কাজে লাগাতে পারবে।
এই ধরনের কিছু চিন্তাভাবনা করলে কি কাজ করা যেতে পারে সে সম্পর্কে ভেবে নেওয়ার দরকার। অনেকেই আবার স্বামী সংসার নিয়ে ব্যস্ততা থাকার কারণে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তারা চাকরি করতে পারেনা।
তাদের মেধা থাকা সত্ত্বেও তারা সে মেধা কাজা লাগে নিতে পারেন। এজন্য চাইলে ঘরে বসে মেধাকে কাজে লাগিয়ে একটা বিষয়ে স্ক্রিল অর্জন করে সেটাকে কাজে লাগাতে পারলে ইনকাম হবে এবং পাশাপাশি তার অনেক ভালো লাগবে, সে ধরনের কিছু কাজের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে;
ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইন কাজঃ বর্তমানে অনেক মহিলারাই গ্রাজুয়েশন ও পোস্ট গ্রাজুয়েশন শেষ করে চাকরি না করে ঘরে বসে তারা ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তাই আপনি চাইলে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর বহুৎ বিষয় রয়েছে তার মাঝে যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে অথবা মার্কেটপ্লেস এর বাহিরে ও আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনি যে কাজগুলো করতে পারেন শিখতে পারেন, কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ডিজিটাল মার্কেটিং এই সকল কাজগুলোর দক্ষতা অর্জন করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।
এজন্য আপনার আকর্ষণীয় অনলাইন প্রোফাইল তৈরি করা লাগবে প্রথমে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে তারপরে ছোট ছোট কাজ শুরু করবেন। ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে এবং আপনাকে লেগে থাকতে হবে।
থ্রি পিসের ব্যবসাঃ বর্তমানে অনেক মহিলারাই তারা ঘরে বসে মহিলাদের পোশাক বোরকা এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী তারা অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করেন। আপনি এই পেশাকে বেছে নিতে পারেন।
এজন্য বাড়িতে বসে বিভিন্ন প্রোডাক্টের গুনাগুন লাইভ করা যেতে পারে এবং ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এই প্রোডাক্টগুলোর গুণগতমান তুলে ধরে স্পন্সর করে আপনি বিক্রি করতে পারেন। এতে আপনার লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
অনলাইন টিউটরিংঃ বর্তমানে অনেক মহিলারা অনেক নারীরা তারা ঘরে বসে ইনকাম করতে পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে তারা যদি কোন বিষয়ের প্রতি দক্ষতা থাকে যেমন অনেকে ইংরেজি পড়াতে পছন্দ করেন। অনেকে ফিজিক্স কেমিস্ট্রি গণিত ইত্যাদি ধরনের বিষয়ে যে বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে।
সেই বিষয়ের প্রতি সুন্দর করে উপস্থাপন করে সেটা যদি ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচারণা করতে পারেন। তাহলে অনেকেই অনেক ছাত্রছাত্রী এখানে ভর্তি হয়ে শিখতে চাইবে, আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
রান্না ও ক্যাটারিংঃ আপনি যদি রান্না করার ক্ষেত্রে অনেক দক্ষ হয়ে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে হোম ক্যাটারিং বা টিফিন পরিবেশনার ক্ষেত্রে কাজ করতে পারেন। অনেক কর্মজীবী ও শিক্ষার্থীরা এখন ঘরে বসে খাবার তৈরি করে মানুষের কাছে পৌঁছার দিচ্ছে। অনেক গ্রাহক রয়েছে তারা সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে স্থানীয় বিজ্ঞাপনের ব্যবহার করে তাদের খাবার গুলো পৌছে দিচ্ছেন।
বর্তমানে সময় কম থাকার কারণে অনেকে আবার অনলাইনে মাধ্যমে খাবার কিনে খাচ্ছেন। বলা যেতে পারে বাংলাদেশের সবচাইতে খাবারের অনলাইন ভিত্তিক অর্ডার দিয়ে থাকে ফুডপান্ডাতে। আপনিও ইচ্ছা করলে এই ধরনের ব্যবসাটা করতে পারেন, এতে ইনকাম করা যেতে পারে।
চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা
যারা স্বল্প বেতনে সরকারি চাকরি করে থাকেন, তারা চাকরির করার পর ব্যবসা করতে পারবেন। তাই চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য কি কি বিষয় জানা প্রয়োজন। সে সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হলো,
চা পাতার ব্যবসাঃ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চা পাতা একটি জনপ্রিয় বা অনেকেরই পছন্দ ছোট বড় সবাই এই চা খেতে পছন্দ করে। আপনি ঘরে বসেই এই ব্যবসাটি করতে পারেন, এছাড়া আপনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে চা পাতার ব্যবসার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার চাকরির পাশাপাশি কাজ করতে পারবেন, এজন্য আপনি প্রথমে ডোমেইন হোস্টিং কিনে একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। সে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রথমে ২০ কেজি চা পাতা নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করবেন। প্রথম পর্যায়ে নূন্যতম ১২ হাজার টাকা লাগবে, এরপর আপনি ব্যবসা যখন আরো বেশি সেল হবে সেই ক্ষেত্রে আপনি আরো মূলধন বৃদ্ধি করতে পারেন।
অনলাইনে শিক্ষকতাঃ যারা আগে থেকেই পড়াশোনা অবস্থায় প্রাইভেট পড়ানোর দক্ষতা রয়েছে। তারা চাকরি পাওয়ার পরে অবসর সময়ে এই দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষকতা করতে পারেন। যদি ইংরেজিতে দক্ষতা থাকে তাহলে সেই বিষয়ে আপনি পড়াতে পারেন অথবা গণিত ইত্যাদি বিষয়ে পড়ালে অনেক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করতে পারে।
এতে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনি ফেসবুকে ব্যবহার করতে পারেন। এখানে আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা করে একটি বিশ্বস্ত পেজ খুলে অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস নিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারেন।
অথবা নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে আপনার ক্লাসের ভিডিও গুলো রেকর্ড করে সেখানে পাবলিশ করা থাকলে, ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হয়ে ইনরল করার মাধ্যমে তারা এখান থেকে শিখতে পারবে। এভাবে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
পুরনো ফোনের ব্যবসাঃ পুরনো ফোনের অনেক চাহিদা আছে। বাটন ফোনের চেয়ে বেশি চাহিদা স্মার্টফোনের। তাই আপনি যদি ভালো মানের পুরনো ফোন সংগ্রহ করতে পারেন। সেগুলো বিক্রয় করে আপনি ওখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এজন্য আপনি ফেসবুক মার্কেট প্লেসে এবং bikroy.com এর মাধ্যমে এই ফোনগুলো বিক্রি করতে পারবেন। তাছাড়া কিছু টাকা খরচ করে যদি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফোন ডিসপ্লে করতে পারেন, তাহলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মিক্সড ড্রাই ফুড এর ব্যবসাঃ যারা স্বাস্থ্য সচেতন এবং খাবারকে পছন্দ করেন, খাবার বিষয়ে ভালো বুঝে থাকেন। তারা ড্রাই ফ্রুটস এর নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এজন্য পেস্তা বাদাম, কাঠবাদাম, চিনা বাদাম বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে।
যেগুলো বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি এই খাদ্যটা বিক্রি করতে পারেন। যা অত্যন্ত পুষ্টিকর ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকার হবে। এতে করে আপনি এই প্রোডাক্টটা গুণগতমান যদি ভালো হয়ে থাকে।
সেক্ষেত্রে আপনি ইউটিউবে এই বিষয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে স্পন্সর করে আপনি মানুষের কাছে এটা পৌঁছে দিতে পারেন। এভাবেও আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
পাঞ্জাবির ব্যবসাঃ ছেলেদের পছন্দ সাধারণত পাঞ্জাবি, তাই বিশেষ করে ঈদের সময় প্রচুর পরিমাণে পাঞ্জাবি বিক্রি হয়ে থাকে। সারা বছরই কম বেশি মানুষজন কেনে তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপলক্ষে পাঞ্জাবি বিক্রি হয় বেশি। এ সময় দেখা যায় পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিড় হয়ে থাকে।
এবং তারা প্রচুর ব্যবসা করতে পারে, তাই আপনি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসাটা আইডিয়া নিতে পারেন। এতে করে আপনি বিজনেসের প্ল্যাটফর্ম টা হিসেবে বেছে নিতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়া। এগুলোর মাধ্যমে আপনি স্পন্সর করে সুন্দর করে উপস্থাপন করে ভালো ভিডিও তৈরি করে যদি আপনি বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। ফেসবুকে ব্যবহার করে তাহলে দেখবেন আপনার পাঞ্জাবি ভাল সেল হবে।
জুতার ব্যবসাঃ পোশাকের যেমন সৌন্দর্য আছে, ঠিক তেমনি পায়ের সৌন্দর্যের জন্য জুতার অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি অনলাইন মার্কেটগুলো দেখতে পারেন সে ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে জুতা বিক্রি হয়। মাসে লক্ষ টাকাও আয় করা সম্ভব যদি আপনি প্রোপারলি ব্যবসা করতে পারেন।
তবে এই সম্পর্কে আপনার ভালো আইডিয়া থাকতে হবে এবং জুতার কোয়ালিটি সাইজ বিভিন্ন ধরনের হতে হবে। তাছাড়া ভালো মান হতে হবে এজন্য সৎ এবং সততার সাথে ব্যবসা করতে হবে। আর এই ব্যবসা করার জন্য প্রথমত হয়তো অনেক টাকার মূলধন নিতে হবে।
কিন্তু আপনি যদি অনলাইন ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে এই জুতার ব্যবসা করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার মূলধন না থাকলেও আপনি কিন্তু অন্যের দোকানের প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করে সেখান থেকে কমিশন নিয়েও ইনকাম করতে পারবেন।
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি অবসর সময়ে কি কাজ করা যায়? এখন জানব অবসর সময়ে প্যাকিংয়ের কাজ করা সম্পর্কে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো,
এই প্যাকিংয়ের কাজে যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে, সেই ক্ষেত্রে আপনি এ কাজ করে দিনে ৬-৭ ঘন্টা কাজ যদি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন। সব সময় যে সমান হবে তা কিন্তু দেয়। যার অভিজ্ঞতা যত বেশি সে তত টাকা ইনকাম করতে পারবে।
আপনার চারপাশে অনেক কাজ আছে যদি আপনি একটু খেয়াল করে থাকেন এবং গবেষণা করেন যে কাজ করলে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। একটু গবেষণা করলে আপনি সেটা বুঝতে অবসর সময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য প্যাকিং করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। যে ধরনের কাজ আসলে প্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
- কলম প্যাকিং এর কাজ করতে পারেন
- ধূপকাঠি প্যাকিং এর কাজ করা যেতে পারে
- চার্জার লাইট প্যাকিং করা যায়
- মোমবাতির প্যাকিংয়ের কাজ করতে পারেন
- এলইডি লাইট প্যাকিং করা
- চাল, ডাল প্যাকিং করা
- বই প্যাকিং করা
- স্যান্ডেল জুতা প্যাকিং করা যেতে পারে
- গামছা প্যাকিং করতে পারেন
- ই-কমার্স ব্যবসার পণ্যগুলো প্যাকিং করতে পারবেন
- রেস্টুরেন্টের কাজের পণ্যগুলোর প্যাকিং করতে পারবেন
- অনলাইন মার্কেটে পণ্যগুলো প্যাকিং করা যেতে পারে
- এছাড়া আরো অনেক লোকাল উৎপাদিত করল উৎপাদিত পণ্যের প্যাকিং করেও আপনি কাজ করা কাজ করতে পারবেন।
ঘরে বসে এই সকল কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বাড়ির মহিলারা সাধারণত এই ধরনের কাজ করে থাকে, এই প্যাকিংয়ের কাজগুলো তারাই করে থাকে। কারণ তারা বাড়ির কাজগুলো করার পাশাপাশি যখন অবসর সময় পায়।
এই কাজগুলো করলে অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই স্বাবলম্বী হবে। এই ইনকাম মাধ্যমে আপনি প্রায় প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। প্যাকিংয়ের কাজকে ছোট না মনে করে এটাকে পেশা হিসেবে মনে করে আপনি কাজটা করতে পারবেন।
গ্রাম অঞ্চলের মহিলারা সাধারণত বাড়ির কাজ করার পাশাপাশি আরো সময় পেয়ে থাকে। তাই তারা বিভিন্ন ধরনের প্যাকিংয়ের কাজ করতে পারেন। যেমন চা পাতার প্যাকিং এর কাজ করা যেতে পারে, গ্রামে উৎপাদিত চানাচুরের ছোট ছোট প্যাকিং করা যেতে পারে, এছাড়া বিস্কুটের প্যাকেজ করা যেতে পারে, পোশাকগুলোর প্যাকিং করা যেতে পারে ইত্যাদি এই ধরনের কাজ করতে পারেন।
আবার কিছু কিছু অঞ্চলের ব্যবসা করা হয়ে থাকে। সেখানে বিড়ি-সিগারেটের উৎপাদন করা হয় এর সেই এলাকাগুলোতে এই সকল পণ্য প্যাকিং কাজের জন্য গ্রামের মানুষকেই ব্যবহার করা হয়। তবে এই কাজটি না করাই ভালো, কারণ এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং আপনার এক সময় ক্যান্সার হতে পারে।
প্যাকিংয়ের কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধা রয়েছে, কারণ এই কাজটি স্থায়ীভাবে করা হয় না। আজ আছে কাল নাই এই ধরনের কাজের উপর নির্ভরশীল হওয়া যেতে পারে না। তাই প্যাকিংয়ের কাজগুলো যেহেতু ছোট এই কাজ বারবার অনেক সময় নাও হতে পারে।
তাই বিরক্ত চলে আসতে পারে অনেক সময় ঘরে বসেই কাজটি করলেও অনেক জায়গায় হয়তো এটা করা লাগে। এজন্য বাড়তি পড়ালেখা করা এবং বাচ্চা থাকলে তাদের পড়ালেখার সমস্যা হতে পারে। তাই প্যাকিংয়ের কাজ করার ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তে তারপরে কাজটা করা যেতে।
আমাদের শেষ মন্তব্য
পরিশেষে বলা যেতে পারে যে আপনি যে কোন কাজ করেন না কেন। তার পাশাপাশি যদি ছোটখাটো কোন ব্যবসা করতে পারেন অথবা অবসর সময়কে কাজে লাগাতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে উপরোক্ত এই বিষয়গুলো ব্যবহার করতে পারেন। তাই অবসর সময়ে কি কাজ করা যায়? এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আর্টিকেলে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি উপকার হবে, পোস্টটা ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট করবেন শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url