বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা খরচ হয় জেনে নিন
অনেকে জানতে চায় যে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা খরচ হয়? তবে সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা থাকার কারণে খরচটা কম বেশি হতে পারে। চলুন, সিঙ্গাপুর কোন ভিসা কত টাকা খরচ হয় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সিঙ্গাপুর যেতে চায়, কারণ সিঙ্গাপুরে কিছু কাজের চাহিদা বেশি যেগুলোর বেতন অনেক বেশি। এজন্য আপনাকে কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা করতে হবে, তাই সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা খরচ হয়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা খরচ হয় জেনে নিন
সিঙ্গাপুর কাজের বেতন
অনেকে সিঙ্গাপুর কাজ করতে যেতে যাচ্ছেন, তাদের জানা প্রয়োজন। সিঙ্গাপুর কাজের বেতন কত? নিম্নে এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলো।
সিঙ্গাপুর বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য লোক নেওয়া হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেক লোকের সিঙ্গাপুর কাজের জন্য যায়। এজন্য কাজের উপর ভিত্তি করে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হয়। যার ভালো দক্ষতা ও কাজের মান ভালো তাদের বেতন বেশি দেওয়া হয়।
তাছাড়া যদি আপনি ভালো এজেন্সির মাধ্যমে সিঙ্গাপুর যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে ওনারা যে বেতনের কথা বলবে। প্রায় ওই বেতনই পাওয়া যেতে পারে, এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার হয়তো বেতন হতে পারে ৪২৯ মার্কিন ডলারের মত। যদিও আপনাকে প্রাথমিক পর্যায়ে কম বেতন দেবে কিন্তু তারা প্রতিশ্রুতি দেবে যে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে।
সে ক্ষেত্রে ৫০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলার দিয়ে থাকে। তাই আপনার কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করবে, আপনার বেতন বাড়ার ক্ষেত্রে। তারপরও যদি আপনার বিশ্বস্ত মাধ্যম অথবা এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারেন। তাহলে আপনি অনেক টাকা বেতন পাবেন, মোট কথা মাধ্যমটা শক্তপোক্ত হতে হবে।
সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা খরচ হয়
সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা খরচ হয়? এটা নির্ভর করবে আপনার ভিসার ক্যাটাগরির উপরে এবং ভিসার মেয়াদ কতদিন, তাছাড়া লোকেশন হিসেবেও নির্ভর করে থাকে। সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা আছে, কেউ কাজের উদ্দেশ্যে যদি যেতে চায় সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন।
পড়াশোনার উদ্দেশ্যে গেলে স্টুডেন্ট ভিসা লাগবে, ভ্রমণের জন্য ভিজিট ভিসা প্রয়োজন ব্যবসার উদ্দেশ্যে অনেকে যা থাকে সেটা বিজনেস ভিসা বলে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য উদ্দেশ্য যদি গিয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। দেশের মাধ্যমে আপনি সেটার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন।
ক্যাটাগরী এবং ভিসার উপর নির্ভর করে সিঙ্গাপুরের ভিসা কত টাকা দাম হতে পারে সেটা নির্ধারণ করা যেতে পারে। আত্মীয়-স্বজন বা এলাকার পরিচিত কোন মানুষের মাধ্যমে যদি আপনি সিঙ্গাপুর যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে একটু খরচ কম হতে পারে।
আর আপনি যদি এজেন্টস এর মাধ্যমে যেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার খরচ একটু বেশি হবে। এজেন্টের মাধ্যমে গেলে অবশ্যই সে বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। কোন কোন বিষয় ভিসা কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান, সেক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত।
সিঙ্গাপুর স্টুডেন্ট ভিসায় যদি যেতে চান, তাহলে খরচ পড়বে ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৮ লক্ষ টাকার মত।
সিঙ্গাপুর বিজনেস ভিসার মাধ্যমে যদি যেতে চান তাহলে খরচ হবে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মত।
সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসায় যদি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে খরচ হবে ৩০০ ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশের টাকায় ৩০০০০ টাকার মতো।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যা সিঙ্গাপুরের পাস হিসাবে পরিচিত। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যদি আপনি পেয়ে যান সে ক্ষেত্রে বিদেশি নাগরিক হয়ে যাবেন। আপনি যদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সিঙ্গাপুরে কাজ করতে চান সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসার প্রয়োজন হবে। আর যখন আপনি আপনার ভিসা পেয়ে যান।
তখন আপনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সিঙ্গাপুর থাকতে পারবেন এবং কাজ করার অনুমতি পাবেন। বৈধভাবে চাকরি করতে পারবেন। তাই বিদেশে যত লোক কাজ করতে যায় তাদেরকে অবশ্যই বা নাগরিক হতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লাগবে।
সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ফিঃ সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার জন্য প্রসেসিং করতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ লাগতে পারে এবং এই প্রসেসিং ফি ৫ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকার মত লাগে।
ভিসা প্রসেসের তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিতে চান, সে ক্ষেত্রে এজেন্সির ফি আরো বেশি লাগবে। সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর পর আপনাকে আরো অনেক কিছু প্রক্রিয়া কাজ করতে হতে পারে। যেমন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সংগ্রহ করা এবং মেডিকেল চেকআপ আবার করতে হবে।
সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত হতে পারে। সাধারণত ভিসা ফি প্রায় ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে মত লাগে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খরচ হতে পারে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকার বিমানের টিকিটের খরচ ৪০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকার মত।
যা আপনার এয়ার লাইন্সের উপর বা কোম্পানির উপর নির্ভর করে তাছাড়া আরো অনেক খরচাপাতি আছে। সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ৬০ দিন সময় সাড়ে সাত দিনের মত সময় লাগে। তবে কিছু ক্ষেত্রে অনেকটা কম বেশি হতেও পারে সিঙ্গাপুর ৬০ দিনের মধ্যে ভিসা আপনি পেয়ে যাবেন।
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা
আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা খরচ হতে পারে। সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, চলুন কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে এবং তার বিভিন্ন ধরনের ভিসা আছে। যেমন এমপ্লয়মেন্ট পাস এন্ড ওয়ার্ক পারমিট এই বিষয়গুলোর খরচ এবং আবেদন প্রক্রিয়া এমপ্লয়মেন্ট পাস এর আবেদন ফি ১০৫ মার্কিন ডলারের মত। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২৫০০ টাকা, ওয়ার্ক পারমিট আবেদন ফি ৩০ ডলার যা বাংলায় কনভার্ট করে ৩৬০০ টাকার মত হয়।
এমপ্লয়মেন্ট পাসঃ সাধারণত উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন কর্মজীবীদের ক্ষেত্রে এই পাস টা লাগে যেমন ম্যানেজার এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং পেশাদারিত্ব যারা কাজ করেন তাদের জন্য এস পাস এর মাধ্যমে দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রতিটি ভিসার জন্য নির্দিষ্ট শর্তাবলী থাকে এবং যোগ্যতাও মানদন্ড বিচার করা হয়। আবেদনকারীর অবশ্যই পাসপোর্ট সাইজের ছবি, কাজের অফার লেটার থাকতে হবে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য প্রমাণপত্র লাগবে।
এরপর এম্প্লয়মেন্ট পাসঃ এই ভিসা পাওয়ার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই উচ্চ শিক্ষিত এবং যোগ্যতা সম্পন্ন, দক্ষতা সম্পন্ন হওয়া লাগবে। এই এস পাস এর দক্ষতার প্রমাণ করার জন্য ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ক্ষেত্রে নিম্ন দক্ষতার কর্মীদের জন্য এবং এতে সাধারণ শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে না।
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ টু সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য সময়ের নির্ধারণ জানা দরকার। তাই বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে? এ সম্পর্কে চলুন জানা যাক, বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যদি বিমানে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ৪ ঘন্টা ৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিটের মত সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের ফ্লাইট থাকে। আপনার যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে হয় তাহলে আপনার সিঙ্গাপুরে যেতে চার থেকে পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই যেতে পারবেন। আর আপনি যদি রাস্তা ধরে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যান সে ক্ষেত্রে প্রায় ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগবে।
সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি যে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা খরচ হয়? চলুন এখন আমরা জেনে নেই সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য কি কাগজপত্র লাগে। নিম্নে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলো,
- একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যা ছয় মাস মেয়াদ থাকতে হবে এবং তার সাথে একটি খালি পাতাও থাকতে হবে।
- সিঙ্গাপুরের অবস্থান করার জন্য কোন ব্যক্তির আমন্ত্রণ পত্র প্রয়োজন।
- ভিসা আবেদন ৩০০ ডলার ডলারের মত লাগবে
- সম্প্রতি তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
- ব্যক্তিগত ডকুমেন্টস জন্ম নিবন্ধন জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন
- পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট প্রয়োজন
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট এর দরকার।
সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি
সিঙ্গাপুরে যদি আপনি যেতে চান, বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে এবং তাই সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনি অনেক টাকা বেতন পাবেন। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলো,
সিঙ্গাপুরে অনেক ধরনের কাজ আছে যার চাহিদা অনেক বেশি। তবে আপনি যে কাজগুলোই যদি কাজ না জেনে সিঙ্গাপুরে যান সে ক্ষেত্রে আপনি সমস্যায় পড়বেন। কারণ সিঙ্গাপুরে কিছু যেগুলোর চাহিদা তেমন একটা নেই আবার অনেক কাজ আছে যেগুলোর অনেক চাহিদা আছে এবং ভালো টাকা ইনকাম করাও যাবে।
সেই কাজের প্রতি দক্ষতা থাকলে আপনি বেশি টাকা বেতন পেতে পারেন। তাই আপনাকে আগে জেনে রাখতে হবে যে সিঙ্গাপুরে কোন কোন কাজের চাহিদা আছে এবং কোন কাজের চাহিদা কম সে সম্পর্কে জেনে তারপর আপনাকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক যে সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা সবচাইতে বেশি নিম্নে সে সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।
- কনস্ট্রাকশনের কাজ অনেক মূল্য রয়েছে
- ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজের চাহিদা আছে
- ক্লিনারদের অনেক চাহিদা আছে
- ওয়েল্ডিং এর কাজ করতে পারেন
- ড্রাইভিং অনেক ভালো টাকায় বেতন দিয়ে থাকে
- মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে চাকরি দিয়ে থাকে।
- সেনেটারির কাজ সম্পর্কে কাজ রয়েছে
- হোটেল বয় হিসাবে নিয়োগ দিয়ে থাকে।
উপরোক্ত এই কাজগুলোর মধ্যে আপনার যদি যে কাজটি দক্ষতা রয়েছে। তাহলে আপনি অনেক টাকা বেতন পাবেন, এক্ষেত্রে কাজগুলোর মধ্যে ড্রাইভিং ওয়েল্ডিং এর কাজগুলো অনেকটাই সিঙ্গাপুর ভালো মূল্যায়ন করে থাকে। তাই আপনি চাইলে বাংলাদেশ থেকে এই কাজগুলো ভালোভাবে শিখে তারপরে সিঙ্গাপুরে যাবেন। তাহলে আপনি ভালো মূল্যায়ন পাবেন।
উপরোক্ত এই কাজগুলো যদি আপনি না শিখে সিঙ্গাপুরে যান, সেই ক্ষেত্রে আপনি অসুবিধায় পড়বেন এবং কাজ করতে না পারলে আপনি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। উক্ত কাজগুলোর দক্ষতা যার যত বেশি সে তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবে। তাই আপনি অবশ্যই এই কাজগুলো শিখে এরপরে ভিসার মাধ্যমে খুবই সহজে সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন। ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
লেখকের শেষ বক্তব্য
পরিশেষে বলা যায় যে, যারা বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে চাচ্ছেন। তারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা খরচ হয়? তাই তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url