কিভাবে টিকটক থেকে ইনকাম করা যায় জেনে নিন
অনেকে জানেনা যে কিভাবে টিকটক থেকে ইনকাম করা যায়? তাই টিকটক প্ল্যাটফর্ম থেকে যদি আপনি টাকা ইনকাম করতে চান। সেই জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। চলুন, টিকটক এর মাধ্যমে ইনকাম করার পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
যতগুলো বিনোদনের জন্য অ্যাপ্লিকেশন আছে তার মধ্যে অন্যতম টিকটক জনপ্রিয়তা আছে। মানুষ এর মাধ্যমে বিনোদন নিয়ে থাকে, এর মাধ্যমে ইনকামও করা যায়। তাই কিভাবে টিকটক থেকে ইনকাম করা যায়? এ সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃকিভাবে টিকটক থেকে ইনকাম করা যায় জেনে নিন
টিকটক কি
বর্তমানে টিকটক অনেকটাই জনপ্রিয়, তাই টিকটক কি? জানা প্রয়োজন। নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
বিশ্বে যে সকল মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কম সময়ে নিজেদের অবস্থান জনপ্রিয়তা করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো টিকটক। মূলত অনলাইন শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম, ইউটিউব বা ইনস্টাগ্রাম এর মধ্যে টিকটক এর অনেকটাই পার্থক্য আছে। শর্ট ভিডিও যা এক মিনিট বা তার খুবই কম হয়ে থাকে।
বর্তমানে লোকজন কাজের ব্যস্ততার ও সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে অল্প সময়ের মধ্যে কিভাবে বিনোদন নেওয়া যায়।
সেরকম শর্টকাট এপ্লিকেশন খুঁজে থাকে, তার মধ্যে এই টিকটক অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদেরকে অনেক বিনোদন দিয়ে থাকে। কারণ সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করুন
আগের যুগে দেখা যেত লোকজনেরা বিনোদনের জন্য বড় বড় নাটক, সিনেমা এবং বড় কোন বিনোদন অনুষ্ঠান দেখতো কিন্তু বর্তমান জেনারেশনের বিনোদনের জন্য অল্প সময়ের মধ্যে কিভাবে আনন্দ পাওয়া যায়। সেই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলোই খুঁজে থাকে, তার মধ্যে টিক টক একটি জনপ্রিয়।
বর্তমান জেনারেশনের কাছে তাই এই টিকটক জনপ্রিয়। ভিডিও গুলো এক মিনিট বা তার চেয়ে কম হয়ে থাকে এবং অনেক আনন্দ পাওয়া যায়। এই ভিডিওগুলো বানানোর সময় কম লাগে এবং ভিডিওগুলো আপলোড করার সাথে সাথেই অনেকের কাছে পৌঁছে যায় এবং ইনকাম হওয়ার সুযোগ আছে।
কিভাবে টিকটক থেকে ইনকাম করা যায়
টিকটক এর মাধ্যমে অনেকে অর্থ উপার্জন করছে, তাই কিভাবে টিকটক থেকে ইনকাম করা যায়? সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে এর উপায় গুলো বর্ণনা করা হলো,
টিকটক ক্রিয়েটিভিটি জব ক্রিয়েটর ফান্ড ও প্রোগ্রামে যোগ দিতে পারেনঃ এই ফান্ড প্রোগ্রাম এ যোগদান করুন, আপনি টিকটক থেকে সহজ ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে ফান্ড বা অর্থ উপার্জনের জন্য দুটি শর্ত থাকবে। ১ মাসের ব্যবধানে কমপক্ষে ১০ হাজার জন ফলোয়ার থাকতে হবে।
দুই নাম্বার ১ লক্ষ ভিডিও ভিউ লাগবে, এই দুটি শর্ত যদি পূরণ করতে পারেন তাহলে আপনার টাকা রোজগার শুরু হবে। একজন প্রকৃত পক্ষে টিকটক ক্রিয়েটর যদি হতে চান, সে ক্ষেত্রে আরও বেশ কয়েকটি যোগ্যতা আপনাকে অর্জন করতে হবে। নিম্নে সেগুলো দেওয়া হলো,
টিকটক ক্রিয়েটিভিটি তে এই প্রোগ্রামগুলোর অধীনে সাইন আপ করতে হবে এবং এর বয়স ১৮ বছর হওয়া লাগবে।
ক্রিয়েটিভিটি প্রোগ্রামে সুইজ করার ক্ষেত্রে একটু ক্রিয়েটারদের ফান্ডে এনরোল করা লাগবে।
সবশেষ কথা হলো ইউজারদের অ্যাকাউন্ট র্যাংকিং ক্ষেত্রে ভালো থাকতে হবে।
লাইভ স্ট্রিম করুন এবং ভার্চুয়াল গিফট সংগ্রহ করতে পারেনঃ টিকটকের অন্যতম বিশেষ ফিচার আছে তা হল ভার্চুয়াল গিফটিং, এক্ষেত্রে উপহার পাওয়ার জন্য কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের লাইভ স্ট্রিম করতে হবে। এর মাধ্যমে ফলোয়ার বাড়াতে হবে এবং তাদেরকে মনোরঞ্জন করা লাগবে।
এরপর ফলোয়াররা কন্টেন্ট কতটা আগ্রহী তা বিচার করতে হবে। ক্রিয়েটরদের ভার্চুয়াল গিফট পাঠাতে হবে, আপনি অর্থ দিতে পারেন, ব্যবহার করার কারণে আপনি একসাথে দুটি কাজ করতে পারবেন।
প্রথমত লাইভে আসার মাধ্যমে আপনার নিজের ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন এবং তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হবে। দ্বিতীয়তঃ সহজে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফলোয়ারদের নিকট প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে যেভাবে প্রোডাক্ট বিক্রয় করা যায়, ঠিক তেমনি টিকটকের প্রোডাক্ট বিক্রি করার ক্ষেত্রে একটি সেকশন আছে। এখানে আপনারা কন্টেন্ট বা প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। আপনার একাউন্টের র্যাংকিংয়ে মনিটাইজেশন করতে পারবেন।
যারা নিত্য শিল্পী, গায়ক বা কৌতুক অভিনেতা তারাও কিন্তু ভিডিও বানিয়ে ফলোয়ারদের মধ্যে কন্টেন্ট করতে পারবেন। হতে পারে প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে জামা কাপড়, হ্যান্ড ব্যাগ, মেকআপ কেস কফি, স্টিকার নোটবুক এই ধরনের অনেক প্রোডাক্ট বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আবার আপনার নিজস্ব যদি প্রোডাক্ট না থাকে, তাহলে এই সকল প্রোডাক্ট কোম্পানি থেকে নিয়ে আপনি আপনার টিকটক আইডিতে প্রচারণা করতে পারবেন। এর মাধ্যমে যদি বিক্রি হয় তাহলে আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারেনঃ এই টিকটক আইডির মাধ্যমে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটারও হতে পারবেন। যারা নিজেদের পছন্দ প্রোডাক্ট বা ব্র্যান্ডের প্রচারণা করে থাকে বিনিময়ে তারা অর্থ করার জন্য করে। এর জন্য আপনাকে প্রোফাইল থেকে প্রোডাক্ট বা ব্যান্ড সম্পর্কিত একাধিক পোস্ট করতে হবে এবং সেই পোস্টে ইউনিক এফিলিয়েট লিংক বা প্রমো কোড দিতে হবে।
এই লিংক বা প্রোমো কোড ব্যবহার করে ফলোয়াড়রা যদি কেনাকাটা করে। সেলস রেভিনিউ থেকে আপনি কিছু শতাংশ কমিশন পাবেন। নিজস্ব একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে সেখানে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আপনার সরাসরি টিকটকের মার্কেটপ্লেস থেকেও তালিকাভুক্ত ব্র্যান্ড বা ১০ হাজারেরও বেশি প্রোডাক্ট আছে সেগুলো প্রচারণা করতে পারবেন।
এজন্য প্রথমে কোম্পানির সাথে আপনার যোগাযোগ করা লাগবে স্যাম্পল পিএস পাঠানোর রিকোয়েস্ট করতে হবে। তারপর ভিডিও বা লাইভ স্ট্রিম করার মাধ্যমে কার্যকারিতা বুঝে সেই প্রোডাক্ট কেনার জন্য ফলোয়াড়দের কাছে মোটিভেশন করা লাগবে।
ব্যান্ড পার্টনারশিপ হতে পারেনঃ আপনি এর মাধ্যমে আরেকটি উপায় ইনকাম করতে পারেন সেটা হলো একজন ইনফ্লুয়েঞ্জার হিসেবে নামিদামি ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করতে হবে। এতে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটি টিকটক থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় তবে যার কানেকশন বেশি সে তত মার্কেট সুনাম করতে পারবেন।
কিন্তু আপনি যদি রোজগার করতে চান সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক ব্রান্ড বাছাই করে নিতে হবে। তারপরে যথাযথভাবে এই প্রোডাক্ট এর সেল বাড়ানোর জন্য আপনাকে প্রমাণ করা লাগবে। এক কথায় শর্ট ভিডিও মেকিং প্লাটফর্মে মার্কেটপ্লেসের ইনফ্লুয়েঞ্জার এজেন্সি হিসেবে আপনাকে কাজ করতে হবে।
ভিউয়ারদের থেকে টিপস সংগ্রহ করতে পারবেনঃ আপনার ফলোয়ারদের কোন ক্রিয়েটরের কন্টেন পছন্দ যদি হয়, সেই ক্ষেত্রে তারা টিকটক এর মধ্যে টিপস বা অনুদান দিয়ে থাকে। এই ধরনের টিপসগুলি পাঠানোর কারণে দর্শকরা সামান্য মূল্য দিতে বা মনোরঞ্জন ভিডিও পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
যদি ভিডিও ভিউ করছে এমন প্রতিটি ব্যক্তিকে দেওয়া হয় তাহলে সবাইকে যে দেবে তার কিন্তু নয়। ফলোয়াররা নিজেদের ইচ্ছা অনুসারে বেশি পরিমাণ টিপস দেওয়ার জন্য ক্রিয়েটারদের ফলোয়ার দের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা প্রয়োজন।
ফ্যান সাবসক্রিপশন অফার করতে পারেনঃ ক্রাউড ফান্ডিং হলো একটি বড় প্রকল্প আরেকটির চলচ্চিত্র থেকে ঝটপট টাকা ইনকাম করার জন্য জনপ্রিয়। এই দুটি বিকল্প ছাড়াও নিয়মিত অর্থ উপার্জনের আরো দুর্দান্ত পন্থা আছে, টিকটক নিজেদের জন্য ফ্যান সাবস্ক্রিশন প্ল্যানটা চালু করা যেতে পারে।
এই ধরনের প্ল্যান নিয়ে আসার মাধ্যমে ফলোয়ার আরো বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার রোজগার যদি ভিউয়ারদের সাহস মটিভিউশন প্ল্যান কিনে নিতে পারেন। আপনার কনটেন্ট গুলোর অধিক আকর্ষণ হওয়ার কারণ একজন ব্যক্তি মনোরঞ্জন বা জ্ঞান অর্জনের জন্যই কিন্তু টাকা খরচ করে। তাছাড়া বেশ কয়েকটি বিষয়ে আপনাকে ফলো করতে হবে তাহলে আপনি সাবস্ক্রিশন পাবেন।
- টিকটকে ধারাবাহিকভাবে নিত্য নতুন কনটেন্ট তৈরি করবেন এবং পোস্ট করতে থাকবেন।
- ফলোয়ারদের রিটার্ন গিফট বা গিফট প্রোডাক্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন।
- সবসময় ফলোয়ারদের ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট বা ভিডিও করার চেষ্টা করবেন।
- সর্বশেষ বলা যেতে পারে সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান এর চার্জ কম রাখতে হবে।
টিকটক থেকে কত টাকা আয় করা যায়
অনেকে জানতে চায় যে টিকটক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? টিকটক থেকে কি পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়।
এটা নির্ভর করে পারফরমেন্সের উপর এবং আপনার ফলোয়ার প্রোফাইলের উপরে নির্ভর করবে। যদি আপনার সব মিলিয়ে নিয়মকানন ঠিক থাকে এবং আপনার সকল কিছু যদি অনেকে ভালো থাকে।তাহলে আপনি মাসে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন।
তবে এর চেয়ে আরো বেশি হতে পারে, সেটা নির্ভর করবে আপনার ফলোয়ারের উপর এবং আপনার ভিডিও কোয়ালিটির উপর।কি পরিমাণ ভিডিও আপলোড দিচ্ছেন, এইটা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না যে আপনি কত টাকা মাসে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এটা মোটামুটি ভাবে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
টিকটকে কত ভিউতে কত টাকা
আমরা জেনেছি ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে কিভাবে টিকটক থেকে ইনকাম করা যায়? এখন জানব কি পরিমাণ ভিউ হলে কত টাকা আমরা পেতে পারি। চলুন, সে সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
টিকটকের প্লাটফর্মে আপনি যদি কোন ভিডিও আপলোড করেন, সেখানে প্রতি এক হাজার ভিউ এর জন্য ০.০২ থেকে ০.০৪ ডলারের মত ইনকাম করতে পারবেন। অর্জিত টাকা টিকটক ক্রিয়েটিভিটি প্রোগ্রাম বা তার ফান্ড পেয়ে যাবেন।
তবে মনে রাখবেন আপনার উপার্জনের টাকা বৃদ্ধি পাবে আপনার ভিডিও এর ভিউ এবং এংগেজমেন্ট রেটিং কেমন তার ওপর। যদি আপনার ভিডিও ভিউ বেশি হয় এবং এংগেজমেন্ট ভালো থাকে। তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
টিকটক ভিডিও কিভাবে ভাইরাল হয়
আপনার ভিডিও যদি ভাইরাল না হয়, সেক্ষেত্রে ইনকাম করা খুবই কঠিন হবে। তাই টিকটক ভিডিও কিভাবে ভাইরাল হয়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
কনটেন্ট এর মানঃ সর্বপ্রথম খেয়াল রাখতে হবে কন্টেন কেমন হয়েছে এবং ভিডিওর কোয়ালিটি দেখতে হবে। টিকটক ভিডিও তা যেন আকর্ষণীয় মজাদার এবং শিক্ষনের কিছু বিষয় থাকে, সেই ক্ষেত্রে খেয়াল করতে হবে তাহলেই ভাইরাল হবে।
ট্রেন্ডিং টপিকঃ সাম্প্রতিক বিষয় বা জনপ্রিয় ট্রেন্ডিং টপিক বা চ্যালেঞ্জের উপর ভিডিও তৈরি করতে হবে, তাহলেই আপনার টিকটক ট্রেন্ডিং ভাইরাল হবে।
সাম্প্রতিক ইভেন্ট ও চ্যালেঞ্জঃ সাম্প্রতিক ইভেন্ট বা চ্যালেঞ্জের উপর ভিডিও তৈরি করতে হবে। যেন অতি দ্রুত গতিতে ভাইরাল হতে পারে এবং লোকজনেরা সাম্প্রতিক বিষয়ে লোকজন বেশি পছন্দ করে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল এফেক্টঃ যখন আপনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে মানুষ এটি পরিবেশন করবে এবং এটা আরো জনপ্রিয় হয়ে যাবে।
হ্যাশট্যাগ ব্যবহারঃ সঠিকভাবে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে এবং সাম্প্রতিক ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ নেওয়া জরুরি যাতে করে টিকটক ভিডিও গুলো আরো দৃষ্টিগোচর হতে পারে।
অনুষ্ঠানের উপর নির্ভর করাঃ সুন্দর অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে একটি ভিডিও তৈরি করা লাগবে এবং সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যবহার করতে হবে, তবে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
টিকটকে ফলোয়ার বাড়ানোর উপায়
জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও তৈরি করা যায় এরকম প্লাটফর্ম হল টিকটক এবং সেই ভিডিওগুলো তৈরি করে শেয়ার করতে পারেন। এমনকি এখান থেকে মাসে লাখ টাকা আয় করা যেত পারে। বিশ্বের অনেক দেশে নিষিদ্ধ আছে এই অ্যাপটি, চীনের মতো দেশেও এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তারপরেও কিন্তু এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরাও এই টিকটক ব্যবহার করে থাকে। প্রযুক্তি বাজারে যতগুলো সাইট আছে তার মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে টিকটক।
বর্তমানে টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটির মত। ৮ থেকে ৮০ বছর বয়সে সকলে ব্যবহার করে থাকে, অনেকে এটা থেকে আয় করছেন। সেজন্য প্রথম শর্ত হলো ভিডিওতে ভিউজ অনেক বেশি বাড়াতে হবে। সেজন্য ফলোয়ারের প্রয়োজন কিন্তু ফলোয়াড় কম হবে, এর ক্ষেত্রে আয় কম হবে।
টিকটক এর ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য উপায় হলো;
- অবশ্যই আপনার ইউনিক কন্টেন্ট তৈরি করা লাগবে যেটা অন্যদের থেকে আলাদা হতে হবে।
- অবশ্যই আপনার ভিডিওতে পোস্ট করার সময় হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
- ইউনিক কনটেন্ট তৈরি করবেন এবং পাশাপাশি ট্রেন্ডিং কন্টেনগুলো তৈরি করতে পারেন। দেখার সময় অবশ্যই কন্টেন্ট অন্যজনরা দেখতে পারবে।
- জনপ্রিয় ব্যক্তিদের আইডি ফলো করবেন এখানকার ফলোয়ারদের আপনার আইডিতে সামনে চলে আসবে।
ফলোয়ার বাড়ানোর আরেকটি অন্যতম উপায় হলো কন্টেন একবারই ভালো করতে পারে না। খুব বেশি ভিউ হয় না, প্রতিদিন সব সময় ৫০ থেকে ৮০ টি অ্যাকাউন্ট ফলো করতে পারেন। তাহলে দেখবেন কমপক্ষে ৪৫ থেকে ৭০ জন আপনাকে ফলো করতে শুরু করবে। এভাবেই আপনার ফলোয়ার বৃদ্ধি পাবে।
বিভিন্ন প্রোমোশনাল ভিডিও তৈরি করা যেতে পারে, এক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যান্ডের প্রমোশনাল ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
টিকটক এর জনপ্রিয় এমন ব্যক্তিদের সাথে ডুয়েট ভিডিও তৈরি করবেন, হতে পারে এটা ব্যক্তির ফলোয়াররাও আপনাকে ফলো করতে পারে।
ভিডিও আপলোড করতে পারেন দিনের নির্দিষ্ট সময় গুলোতে ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করবেন এতে আপনার ফলোয়ার বাড়বে এবং ওই সময়গুলোতে আপনার একাউন্টে তারা পারফরমেন্স দেখতে পারবে।
এছাড়া লাইভ স্ট্রিম করা যেতে পারে এদের ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললে খুব মজার আড্ডা দিলে এতে করে আপনার ফলোয়ার বৃদ্ধি পাবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
পরিশেষে বলা যায় যে সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে টিকটক অন্যতম। যার মাধ্যমে বিনোদন দিতে পারবেন এবং টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই কিভাবে টিকটক থেকে ইনকাম করা যায়? তবে টাকা ইনকাম করার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। তা আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি উপকার হবে, পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url