গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয় ও যে ওষুধ খাবেন
অনেক গর্ভবতী জানতে চায় যে, গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয়? এই সময় অতিরিক্ত বমি হলে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে। তাছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে। চলুন, এই অবস্থায় কিভাবে আপনি বমি নিয়ন্ত্রণ করবেন সে সম্পর্কে জানা যাক।
গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত প্রথম তিন মাসে বমি হয়ে থাকে আবার অনেকের প্রথম মাসেই শেষ হয়ে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে এত টেনশন করার কিছুই নাই এটা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয়? সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয় ও যে ওষুধ খাওয়া যাবে
গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণ
গর্ভবতী নারীদের সাধারণত বমি হয়ে থাকে, তবে কিছু কারণ থাকতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে কি কারনে গর্ভবতী নারীদের বমি হয়। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভাবস্থায় সাধারণত নারীদের শরীরে বিটা এইচসিজি হরমোন বেড়ে যাওয়ার কারণে বমি হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা সকালে বেশি হবে, যাকে মর্নিং সিকনেস বলা হয়ে থাকে। তবে অন্য সময়ও হয়ে থাকে। সাধারণত প্রায় গর্ভবতী মায়েদের বমি হয়ে থাকে, মূলত এই বমি গর্ভবতীর হওয়ার একটি লক্ষণ। শারীরিক যে পরিবর্তন হয়ে থাকে এর কারনেও বমি হয়।
প্রথম অবস্থায় অর্থাৎ প্রথম তিন মাসের সময় সাধারণত বমি বেশি হয় হয়ে থাকে। এ সময় শরীরের বিভিন্ন ধরনের হরমোনের পরিবর্তন হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে প্রোজেস্টেরন হরমোন, ইসট্রোজেন হরমোন বেড়ে যেতে পারে এজন্য বমি হয়ে থাকে।
তাছাড়া আরও ছোটখাটো অনেক সমস্যা থাকতে পারে। সাধারণত সকালবেলা বমি বেশি হয়ে থাকে কারণ সকাল বেলা কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ এবং গ্লুকোজ কমতে থাকে। এছাড়াও ভিটামিন বি১ বি৬ এর অভাবের কারণেও হতে পারে। এছাড়া মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা আছে তাছাড়া প্রথম সন্তানের বেলায় এটা বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়াও মা-বোনের ইতিহাস যদি এরকম থাকে তাহলে সন্তানেরও হতে পারে। যমজ সন্তান এর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বমি হতে পারে, যদিও এর সঠিক কারণ আজ পর্যন্ত এখনো জানা যায়নি। তবে সাধারণত হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই সমস্যাটি বেশি হয়।
এছাড়াও অল্প বয়স অপরিকল্পিত গর্ভাবস্থায় হাইপার প্রোমেসি গ্রেভিডিরাম হওয়ার কারণেও হতে পারে। এছাড়া বংশগতভাবে এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, আরো অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন;
গর্ভবতী মায়ের যদি আগের সন্তানের ক্ষেত্রে বমি হয়ে থাকে, দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রেও বমি হতে পারে। এছাড়াও কারো যদি মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে সে মানসিক মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তার কারণে হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয়
গর্ভাবস্থায় সাধারণত নারীদের বমি হয়ে থাকে, তবে এর করনীয় জানতে হবে। তাই গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয়? সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে বিস্তারিত ভাবে জানা যাক।
সকালবেলা অল্প করে একটু পর পর মুড়ি খেতে পারেন অথবা শুকনা টোস্ট বিস্কুট খাওয়া যেতে পারে। এ সময় ভাজা পোড়া খাবার, স্পাইসি ফুড এই জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া যাবে না। এছাড়াও খাবারের মাঝে মাঝে অল্প করে পানি খেতে হবে। একসাথে বেশি পানি খাওয়া যাবে না।
আর দিনে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই লিটারের মত পানি খাওয়া লাগবে। এছাড়াও এ জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে, এর সাথে বমির ওষুধ খেতে হবে। বমি যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে গর্ভবতীর সমস্যা দেখা দিতে পারে বা এই অবস্থাকে সাধারণত হাইপার প্রোমেসিস গ্রেভিডেরাম বলা হয়ে থাকে। আরো কিছু করণীয় রয়েছে, চলন জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভাবস্থায় শুরু থেকেই একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে এবং চিকিৎসা নেওয়া লাগবে।
খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করা লাগবে যেমন; অতিরিক্ত তেল, চর্বি, ঝাল, গুড়া মরিচ, গুড়া মসলা, পুরনো আচার, ভাজাপোড়া এ ধরনের খাবারগুলো খাওয়া যাবে না।
যেসব খাবার খেলে সাধারণত বমি হয়ে থাকে সেগুলো খাওয়া যাবে না পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, আমিষ ও ভিটামিন বি জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া লাগবে।
সকালে যেহেতু সমস্যা বেশি হয়ে থাকে তাই সকালবেলা দাঁত ব্রাশ না করে রাতে বা দুপুর বেলায় ব্রাশ করতে পারেন।
সকালবেলায় শুকনা খাবার খাওয়া ভালো হবে, তাহলে বমি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
একবারে ভর পেট না খেয়ে অল্প অল্প করে খাবেন, ১-২ ঘন্টা পর পর খাবার খাবেন, তাহলে বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি খাবেন না একটু পর অল্প করে পানি খাবেন, কারণ বেশি পানি খেলে বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই শুয়ে পড়বেন না, কিছুক্ষণ সোজা হয়ে বসে থাকবেন এবং হালকা হাটা চলাফেরা করবেন।
মানসিক টেনশন করা যাবে না এবং দুশ্চিন্তা করা যাবে না। গর্ভাবস্থায় বমি হরমোনের প্রভাবের কারণে হতে পারে তবে চিকিৎসা নিলেও পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যায় না। এর একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সহযোগিতা করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি ঔষধ খেতে হবে
অনেকের অতিরিক্ত বমি হওয়ার কারণে অনেক কষ্ট হয়। তাই জানতে চায় যে গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি ঔষধ খেতে হবে? এজন্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন ঔষধ রয়েছে যা খেলে বমি কমবে। চলুন, সম্পর্কে জানা যাক।
গর্ভাবস্থায় বমি কমানোর জন্য ভিটামিন বি৬ বা পাইরেডক্সিন খাওয়া যেতে পারে। এতে গর্ভাবস্থায় অনেকটা কমে যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গর্ভকালীন বমি কমানোর জন্য এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ভিটামিন বি৬ এবং শক্তির সাধারণত ফার্মেসি থেকে পাওয়া যাবে। এতে কোন সমস্যা হবে না, যদি আপনার মনের সন্দেহ লাগে তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সাথে কথা বলে নিতে পারেন।
ভিটামিন এর পাশাপাশি বমি কমানোর জন্য আপনি এই ওষুধটা খেতে পারবেন। তবে এর সাথে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও এই পাইরিডক্সিন ওষুধটির সাথে এন্টিহিস্টামিন মিশানো আছে। তবে সেটা চিকিৎসার পরামর্শ খাবেন।
এসব ওষুধ খাওয়ার পরেও যদি আপনার বমি না কমে, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া লাগবে। এর পরে চিকিৎসক আপনাকে সাপোজিটরি অথবা ইনজেকশন হিসেবে দিতে পারে। এই ওষুধটার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, তাই গর্ভাবস্থায় বমি ভাব কমানোর জন্য এই ওষুধটি অনেক চিকিৎসক লেখে থাকে এবং এই ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম হলো;
Tablet. pyridox পাইরিডক্সিন এই ওষুধটি প্রতিদিন সকালবেলা একটি করে খেতে পারেন, তবে খাওয়ার আগে খেতে হবে। ১০ দিন পর্যন্ত খেয়ে দেখতে পারেন।
এই ওষুধটির সতর্কতা রয়েছে তা হলো; ওষুধটি খাওয়ার পর সাধারণত গাড়ি চালানো এই ধরনের কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই ওষুধটি খাওয়ার সময় সাধারণত অ্যালকোহল জাতীয় পানিও খাওয়া যাবে না। এছাড়াও শক্তিশালী এন্টিকলিনারজিক থাকার কারণে এজমা, গ্লুকোমা অথবা প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় বমি ভাব কতদিন থাকে
অনেকে জানতে চায় যে, অনেকে জানতে চায় যে গর্ভাবস্থায় বমি ভাব কতদিন থাকে? এটা আসলে একেক জন গর্ভবতীর একেক রকম সময় লাগে। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
গর্ভাবস্থায় সাধারণত বমি হয়ে থাকে প্রথম দিকে সাধারণত তিন মাস পর্যন্ত এই বমি হয়ে থাকে। আবার অনেকের ৪ মাস লাগতে পারে। তবে এটা ঠিক হয়ে যায়, সাধারণত ১৪ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে হতে পারে হয়ে যাবে। যদিও অনেক মহিলার টাকার জনের অনেক গর্ভবতির বমি নাও হয়ে থাকে।
যদি আরো বেশি সময় লাগে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ খেতে পারেন। যদিও এই আর্টিকেল এর উপরে আলোচনা করা হয়েছে ওষুধ সম্পর্কে যেটা প্রায় সব চিকিৎসকরা এই ওষুধটি গর্ভবতীর জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাই আপনি এটি নিরাপদে খেয়ে দেখতে পারেন। এরপরও যদি কাজ না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
অনেকের তৃতীয় ট্রাইমিস্টর এ বমি হয়ে থাকে, এক্ষেত্রে মর্নিং সিকনেস এর জন্য অপুষ্টি অথবা পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অনেকে আবার ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পরে বমি হতে পারে, তবে শুধুমাত্র সকাল বেলায় বমি হবে তা কিন্তু নয়, দিনের বেলাও যে কোন সময় হতে পারে। আবার অনেকবারও হতে পারে, সাধারণত গর্ভবতীদের প্রথম সপ্তাহে ৮০ শতাংশ নারীর বমির সমস্যা হতে পারে। আবার ৫০ শতাংশ নারীর গর্ভাবস্থার ৬ সপ্তাহ বা তারও আগে থেকেই এই বমি শুরু হয়।
গর্ভাবস্থায় বমির সাথে রক্ত
অনেক গর্ভবতী মায়ের সাধারণত বমির সাথে রক্ত আসতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় বমির সাথে রক্ত বের হয় কেন এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, বিস্তারিত ভাবে জানা যাক।
অনেক গর্ভবতীর এটা হতে পারে এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আবার অনেক মহিলার নাও হতে পারে। যদিও গর্ভাবস্থায় প্রথমদিকে বমির সাথে রক্ত আসতে পারে। তবে এটা একটি সমস্যার কারণে হতে পারে। তাই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যদি দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্যাটি হতে থাকে।
তাহলে অবশ্যই আপনার গ্রাস নালীর আস্তরণে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। এই কারণে হয়তো আপনার রক্ত বের হয়। এ ব্যাপারটি নিয়ে বেশি টেনশন করার কিছু নাই। তবে চিকিৎসা করলে এটা সারানো যাবে, তাই এটা যদি আপনি চিকিৎসা না করেন, তাহলে দ্রুত আর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এজন্য অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে ওষুধ খেতে হবে। তাহলে ঠিক হয়ে যাবে গর্ভাবস্থায় রক্ত বের হওয়া এটাকে হিমেটামেসিস বলা হয়ে থাকে। এটা সাধারণত নাক দিয়েও পড়তে পারে, এতে আপনার অন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার কারণে তাই এটার চিকিৎসা করাতে হবে।
এছাড়াও এই রক্তের রংটা অনেক কালো অথবা গারো খয়েরি এছাড়া কফির মত রং হয়ে থাকে। যা প্রথম দিকেই সমস্যাটা দেখা দিতে পারে এবং সকালবেলা সাধারণত হয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় বমি কমানোর ঘরোয়া উপায়
গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত বমি হয়ে থাকে, তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে সারানোর চেষ্টা করবেন। তাই গর্ভাবস্থায় বমি কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কমাতে পারেন সে সম্পর্কে জানা যাক।
আদা চাঃ বদহজম বা বিভিন্ন কারণে সাধারণত বমি হয়ে থাকে, এছাড়াও গর্ভবতী নারীদের প্রথম দিকে বমি হয়। এজন্য চিকিৎসকরা সাধারণত ঘরোয়া উপায় হিসেবে বলেন এতে গর্ভবতীর বমি অনেকটা কমে যাবে।
১ চামচ তরতাজা কাঁচা আদা কুচি কুচি করে নেবেন, এক কাপ পানির মধ্যে ৫ থেকে ১০ মিনিট পানিটা ফুটিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে চা পাতা দিয়ে মিশিয়ে খেলে আপনার বমি অনেকটা কমে যাবে।
মৌরির বীজঃ আমাদের মুখ সতেজ রাখার জন্য এই মৌরির বীজ খেতে পারি, এতে পাকস্থলী অনেকটা আরাম পেয়ে থাকে। এই মৌরি বীজ খাওয়ার কারণে বমির সমস্যা দেখা দিবে না। তাই গর্ভবতী মায়েদের যেহেতু বমি হয়ে থাকে তাই আপনি এটা খেতে পারেন।
আমসত্ত্বঃ আমসত্ত্ব বা অন্য কোন ফলের মাংসল এটা শুকিয়ে নিয়ে আপনি যদি খেতে পারেন, বমি অনেকটা কমে যাবে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে যা আপনার পানি স্বল্পতা দূর করবে। এছাড়াও এই ফলের মধ্যে তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রচুর চিনি লাগতে পারে যা খুব দ্রুত শক্তি দেবে আর বমি ভাবের ক্লান্তি টা দূর হয়ে যাবে।
লেবুঃ গর্ভবতীর বমির ভাব কমানোর জন্য আপনি লেবু খেতে পারবেন অথবা লেবুর গন্ধ নিতে পারবেন। শুকলে বা সামান্য রস যদি খেতে পারেন, এতে আপনার বমির ভাবটা অনেকটাই কমে যাবে।
এলাচঃ যদি বমি হয় বা বমি ভাব সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে গর্ভবতী নারীরা সাধারণত মুখে এক টুকরো এলাচ নিতে পারবেন। দেখবেন এই বমি ভাবটা অনেকটাই কমে যাবে। এটা একটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা হতে পারে।
পুদিনা পাতাঃ গর্ভবতীর বমির ভাব কমানোর জন্য পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যাবে। এর মধ্যে মেন্থলের গুণ থাকার কারণে এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারবে। এছাড়াও বমির সমস্যা দূর করবে, তাই কয়েকটি তাজা পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলে আপনি অনেক উপকার পাবেন।
ভিটামিন বি৬ যুক্ত খাবারঃ ভ্রণের বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন বি৬ এ জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া প্রয়োজন। এতে আপনার বমির করা কমে যাবে তাই আপনি এই ধরনের খাবারগুলো খাবেন বেশি।
জিরা পানিঃ গর্ভাবস্থায় যদি বমি হয় সে ক্ষেত্রে আপনি কার্যকর নিরাপদ একটি উপায় হল জিরার পানি খাওয়া। এক বা দুই চামচ জিরা অল্প একটু পানির মধ্যে নিয়ে ১৫ মিনিটের মতো পানি ফুটাবেন, এরপরে এটি ঠান্ডা করে সারাদিন অল্প অল্প করে খাবেন।
সাইট্রাস ফল খাবেনঃ গর্ভাবস্থায় বমি কমানোর জন্য আপনি সাইট্রাস জাতীয় ফলগুলো খেতে পারেন। এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বমির ভাব কমাতে পারবে তাই এগুলো আপনি নিয়মিত ভাবে খেতে পারবেন।
কমলা লেবুঃ এতে প্রচুর পরিমাণ সাইট্রিক এসিড আছে, যার কারণে এটা শুকলে অনেকটাই বমি কমে যায় এবং বমি দূর হয়ে যায় তাই কমলালেবুর রস খাওয়া যেতে পারে।
দইঃ দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে, এটি একটি প্রবায়োটিক যা আপনার ভালো ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করবে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে, দিনে দুই একবার একবাটি করে দই খেতে পারেন এতে বমির সমস্যাও দূর হবে।
শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয় ও যে ওষুধ খাওয়া যাবে
পরিশেষে বলা যায় যে গর্ভবতী নারীরা সাধারণত প্রথম দিকে বমি বেশি হয়ে থাকে। তাই এটা নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই, এটা একটি গর্ভবতীর লক্ষণ। সাধারণত তিন মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। তাই গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয়? সম্পর্কে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে, আশাকরি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url