ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

অনেকে জানতে চায় ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে। কেননা এই ফেসবুক রিলস বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় হয়েছে এবং এর দ্বারা ইনকাম করা যায়। চলুন, কিভাবে এই রিলস থেকে ইনকাম করতে পারবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
ফেসবুক রিলস ভিডিও দেখার মাধ্যমে বিনোদনের পাশাপাশি এটা দ্বারা ইনকাম করা যাবে। তবে আপনি এটা দ্বারা কিভাবে ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

ফেসবুক রিলস কি

অনেকেই ফেসবুক রিলস চালাতে পছন্দ করে কারণ ছোট ছোট ভিডিও গুলো দেখতে ভালো লাগে। তাই ফেসবুক রিলস কি? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

ফেসবুক রিলস আসলে ছোট আকারের ভিডিওগুলো কে বলা হয়ে থাকে। রিলস ফিচারটি কাজে লাগাতে পারেন। এ ভিডিও গুলোর দৈর্ঘ্য ৬০ সেকেন্ড হয়ে থাকে, তাই এই ভিডিও গুলো দেখতে সময় কম লাগে। মূলত টিকটকে সাধারণত এই ধরনের ছোট ভিডিও অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে। 

পরবর্তীতে ফেসবুক তারাও এই রিলস তৈরি করে থাকে। আপনিও এই ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করে পাবলিস্ট করতে পারেন। এতে অনেক ভিউয়ার পাবেন ছোট আকারের এই ভিডিও গুলো তৈরি করে পাবলিশ করলে ভালো হবে।

বর্তমানে ছোট আকারের ভিডিও গুলো ইউটিউব ফেসবুক অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাই এই ফেসবুক রিলস পরবর্তীতে অনেকে মনিটাইজেশন করে টাকা ইনকাম করছে। যদি আপনি টাকা ইনকাম করতে চান সে ক্ষেত্রে ফেসবুকে রিলস তৈরি করতে পারেন।

ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার উপায়

ফেসবুক রিলস অনেক জনপ্রিয়তা হয়েছে, তাই এর মাধ্যমে যেদিন ইনকাম করতে চান তাহলে ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো,

বিশ্বের মধ্যে যতগুলো সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে তার মধ্যে ফেসবুক অন্যতম এবং ফেসবুকের জনপ্রিয় ফিচার হলো ফেসবুক রিলস। বর্তমানে ছোট-বড় নারী পুরুষ সবাই এই রিলস তৈরি করে এবং এটা পাবলিশ করে থাকে। অনেকে দিনে ৫-৬ টি রিলিজ তৈরি করে শেয়ার করে থাকে।

এতে হাজার হাজার ভিউ এবং কমেন্টও পড়ে, টিকটক এর সাথে প্রতিযোগিতা করে ফিচারটি ফেসবুক নিয়ে এসেছে।ইনস্টাগ্রাম ও এই ফিচারটি সংযুক্ত করেছে। এই রিলস তৈরি করে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। ফেসবুক একাধিক সুযোগ দেয়, ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটার মতে এইচ ভিডিও রিলস ভিডিও গুলো অতি দ্রুত ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিও মূলত ৩ সেকেন্ড থেকে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে হয়ে থাকে। মেটার ১৫০ টি দেশের তথ্য অনুযায়ী ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে ইনস্টাগ্রামে দিনের অর্ধেক সময় রিলস দেখে কাটিয়ে দেয়। একজন ব্যক্তি ১০ হাজার ফলোয়ার ৫টি ভিডিও এবং গত ৬০ দিনে ৬ লাখ মিনিটের ভিউ থাকতে হবে।

সেই রিলস বিজ্ঞাপন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয় এ বিজ্ঞাপন থেকে আসা অর্থের ৫৫ শতাংশ পাবে আর বাকি ৪৫ শতাংশ ফেসবুক নিবে। রিলস থেকে আয় করবেন যেভাবে এর জন্য কিছু শর্ত থাকবে চলুন সে সম্পর্কে জানা যাক,

ফেসবুক ভিডিও ও রিলস ভিডিও এর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ভিডিও এর দৈর্ঘ্য কতটুকু হতে হবে।
রিলস ভিডিও এর দৈর্ঘ্য হবে ৯০ সেকেন্ড  এবং ভিডিও ভার্টিকেল হবে। রিলস মনিটাইজেশন করার জন্য পেজ বা প্রফেশনাল মোডের আইডিতে অন্তত ৫ হাজার ফলোয়ার থাকা লাগবে, ৫টি ইউনিক ভিডিও হতে হবে।

যা আপনি প্রথম আপলোড করছেন এবং শেষ দুই মাস বা ৬০ দিনে ৬০ হাজার মিনিট থাকা লাগবে। আর একটা কথা মনে রাখতে হবে অন্যের ভিডিও দিয়ে আপনি মনিটাইজেশন করতে পারবেন না। এসব শর্ত পূরণ হওয়ার পরই রিলস মনিটাইজেশন করার জন্য আবেদন করবেন।

ফেসবুক আপনার পেজ ও পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি এবং কন্টেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি রিভিউ করে সব ঠিকঠাক থাকলে মেটা বিজনেস, প্রফেশনাল ড্যাশবোর্ডে অথবা আপনাকে জানিয়ে দেবে আপনারা আবেদনটি যদি অনুমোদন পায় সে ক্ষেত্রে রিলস থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

রিলস স্টারঃ সম্প্রীতি ফেসবুক থেকে অর্থ আয়ের আরেকটি ফিচার এনেছে সেটা হল রিলস স্টার। একজন ব্যবহারকারী রিলস স্টার দেওয়ার অনুমতি পাবে। প্রতি একশ রিলস স্টারে এক ডলার পাওয়া যায়। যিনি এই কন্টেন্ট নির্মাণ করেছেন তিনি পাবেন।

রিলস বোনাস প্রোগ্রামঃ রিলস থেকে আয় করার জন্য আরেকটা উপায় হলো রিলস প্লে বোনাস প্রোগ্রাম। যদি আপনার কোন রিলস ভিডিওতে ৩০ দিনে ১০০০ ভিউ হয়, সেই ক্ষেত্রে ফেসবুক আপনাকে টাকা দিবে। এক মাসে ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত অনেকে ইনকাম করে থাকে।

চ্যালেঞ্জঃ সম্প্রতি মেটা ঘোষণা দিয়েছে যে যারা নিজস্ব রিলস পাবলিশ করবে, তাদের টাকা দিবে এই চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে একজন ৪০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকার মত আয় পারা যাবে।

একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করতে হবে। চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে ইনকাম করতে হলে, তাহলে রিলস বোনাস প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। এর মেয়াদ হবে ৩০ দিন, মেয়াদ শেষ হলে নতুন ভাবে আবার চ্যালেঞ্জ শুরু করা লাগবে।

ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি

ফেসবুক থেকে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই মনিটাইজেশন করতে হবে। তাই ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক,

ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত থাকে, সেই শর্তগুলো আপনাকে পূরণ করতে হবে। চলুন, সেই শর্তগুলো সম্পর্কে জানা যাক।

ফেসবুক ভিডিও মনিটাইজেশন করার জন্য কিছু শর্ত দিয়ে থাকে, মেটা নির্দিষ্ট ভাবে এখন পর্যন্ত এই শর্তগুলো প্রকাশ করতে পারে নাই। হয়তো আপনি অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন তথ্য পেতে পারেন কিন্তু মেটা এখন পর্যন্ত সঠিক কোন গাইড লাইন বা অফিশিয়াল ভাবে কোন আপডেট দেয়নি। তবে ফেসবুক তাদের ব্লগ পোষ্টের মাধ্যমে রিলস ভিডিও মনিটাইজেশনের জন্য কিছু শর্ত বলে দিয়েছে।
  • ফেসবুক পেজে কমপক্ষে ১০ হাজার ফলোয়ার্স থাকা লাগবে।
  • শেষ ৬০ দিনের মধ্যে ভিডিওতে ৬ লক্ষ মিনিট ভিউজ থাকা লাগবে।
  • সর্বশেষ কমপক্ষে পাঁচটি একটিভ ভিডিও পাবলিশ করা লাগবে।
এক কথায় একটি ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করার জন্য যে সকল শর্ত থাকে, ফেসবুক ভিডিও রিলস ভিডিও মনিটাইজেশন করার জন্য একই শর্ত পূরণ করা লাগবে। মেটা তাদের ব্লগ পোস্টে বলেছে ফেসবুক রিলস ভিডিওতে দুই ধরনের ফরমেট অভারলে বিজ্ঞাপন দেখা যাবে। তাহলে ব্যানার এড এবং স্টিকার অ্যাড।

ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন নিয়মঃ যদি সব শর্ত পূরণ করার মাধ্যমে ফেসবুক পেজ বা অ্যাকাউন্ট ভিডিও রিলস মনিটাইজেশন করার উপযুক্ত হতে পারে। তাহলে নিচের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে রিলস ভিডিও মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • প্রথমে ফেসবুক একাউন্ট বা পেজের প্রফেশনাল ড্যাশবোর্ড প্রবেশ করা লাগবে।
  • তারপর নিচের দিকে দেখতে পারবেন অ্যাডস অন রিলস একটি অপশন পাবেন এতে ক্লিক করবেন।
  • এরপরে নিচে থাকা গেট স্টার্টেড বাটনে ক্লিক করা লাগবে।
  • এবার বিজনেস তথ্যাবলির ফরম পাবেন এই ফর্মটি আপনার সঠিক সব তথ্য দিয়ে পূরণ করবেন।
  • তথ্যাবলী সাবমিট করার পর পেমেন্ট মেথড সেটআপ করা লাগবে। এখানে পেপাল বা ব্যাংক একাউন্ট যে কোন একটি মাধ্যম সিলেক্ট করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য সাবমিট করা লাগবে।
  • সর্বশেষ টেক্সট ইনফো সাবমিট করতে হবে, ইচ্ছা করলে পরবর্তী সময় ও সাবমিট করা যাবে।
  • সবকিছু সঠিকভাবে পূরণ করলে ডান বাটনে ক্লিক করবেন তাহলেই হয়ে যাবে।

ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায়

ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে। এখন জানবো এই রিলস বন্ধ করার সম্পর্কে। ফেসবুক রিলস অনেক জনপ্রিয় একটি ফিচার কিন্তু অনেকের কাছে আবার বিরক্তিকর লাগে। তাই এটা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান, চলুন ফেসবুক রিলস বন্ধ করা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

ফেসবুকে বর্তমানের রিলস নামের একটি ফিচার যুক্ত হয়েছে, অনেকের জন্য ভালো মনে হলেও বেশিরভাগ মানুষের কাছে আবার বিরক্তিকর মনে হয়। বিশেষ করে তুলনামূলক শিক্ষিত বয়স্ক ব্যবহারকারীর জন্য এটি একটি অসুবিধা হয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরাসরি রিলস বন্ধ করার কোন অপশন দেয়নি যার মানে হচ্ছে ফেসবুক সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব না।

তবে আজকে আমরা সেই বিষয়টাই আলোচনা করব। ফেসবুক রিলস কিভাবে বন্ধ করা যায়, সেই সম্পর্কে যার মাধ্যমে আপনার ফিড থেকে ফেসবুক রিলস অপশন দেখানো কমিয়ে ফেলা যাবে। বিশেষ করে তুলনামূলক খারাপ ছিল হাইড করতে পারবেন।

ফেসবুক রিলস হাইড করার নিয়মঃ ফেসবুক রিয়েলস হাইড করার তেমন কোন অপশন নাই, তবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ফলো করলে আপনি এটা বন্ধ করতে পারবেন বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। চলুন, কয়েকটি ধাপে এর প্রক্রিয়াগুলো জানার চেষ্টা করব। সবগুলো ধাপ যদি সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন তাহলে বন্ধ করতে পারবেন।

প্রথমে মোবাইল কিংবা ডেস্কটপ থেকে আপনার ফেসবুকে লগইন করা লাগবে। এরপর স্ক্রল করতে থাকবেন যতক্ষণ না রিলস আসে। আপনার ফেসবুক রিলস সেকশন আসা পর্যন্ত আপনাকে স্ক্রল করতে হবে।

দ্বিতীয় রিল সেকশনের উপরে ডান পাশে থ্রি ডট লাইনে ক্লিক করতে হয়।

তৃতীয়তঃ থ্রি ডট আইকনে ক্লিক করলে হাইড নামের একটা অপশন দেখবেন। এবার এই হাইড অপশনটাতে ক্লিক করবেন। কিছু সময়ের জন্য রিলস সেকশনটি হাইড হবে।
তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে রিলস সেকশনটি সম্পূর্ণরূপে হাইড হবে না। সাময়িকভাবে রিলস সেকশনটি হাইড হলেও আবার ইন্সটল করার সময় আপনার সামনে দেখতে পাবেন।

তবে কয়েকবার এইভাবে হাইড করলে ফেসবুক বুঝতে পারবে যে আপনি এই সেকশনটি দেখতে পছন্দ করেন না। তখন আস্তে আস্তে ভিউজ কম আসতে থাকবে।

প্রোফাইলের রিলস হাইড করাঃ যদি এমন হয় যে রিয়েলস আপনার ভালো লাগে তবে নির্দিষ্ট একটি প্রোফাইলের রিয়েলস আপনি দেখতে চান না অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোন একটি প্রোফাইলের রিলস আপনি বন্ধ করতে চাচ্ছেন, সেই ক্ষেত্রে যে নিয়ম তা নিম্নে আলোচনা করা হলো,

প্রথমতঃ যে প্রোফাইলের রিলস দেখতে চাচ্ছেন না। তার উপরে ডান পাশে থ্রি ডট আইকনে ক্লিক করা লাগবে।

দ্বিতীয়তঃ এই পর্যায়ে ফ্লোটিং মেনুতে অনেকগুলো অপশন দেখতে পারবেন, এখান থেকে see less এই অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর থেকে ওই চ্যানেলের আর কোন ভিডিও আপনার টাইমলাইনে আর দেখতে পারবেন না।

নিজের রিল হাইড করার নিয়মঃ যদি আপনি নিজে একজন রিলস ক্রিয়েটর হতে চান, তাহলে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের নির্দিষ্ট কিছু মানুষের কাছ থেকেই রিলস পারসেন্ট কে হাইড রাখা লাগবে। সে ক্ষেত্রে আপনি এটাও করতে পারেন।

আপনার রিলস আপলোড করার সময় সাধারণত এটি পাবলিক করা লাগবে। আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের যে কেউ এই রিলস যেন দেখতে পায়। সাথে ফেসবুক ব্যবহার করে এমন যে কেউ চাইলেও আপনার প্রোফাইলে গিয়ে এই রিলস দেখতে পাবেন।

আপনি নির্দিষ্ট কিছু মানুষের কাছ থেকে এই রিলস হাইড করতে চান, সে ক্ষেত্রে পাবলিকের পরিবর্তে কাস্টম এই অপশনটি সিলেক্ট করে দিবেন। তাহলে কে কে আপনার এই রিলস দেখতে পারবে, তা সিলেক্ট করে দিলে শুধু তারাই দেখতে পারবে। এভাবে আপনি আপলোড করে দিতে পারেন।

ফেসবুক রিলস ভিডিওর সাইজ কত

অনেকে জানতে চাই যে ফেসবুক রিলস ভিডিওর সাইজ কত? তাই এটা জানা খুবই জরুরী, তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। সম্প্রতি ফেসবুকের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ৯০ সেকেন্ড করা হয়েছে। যেটা ছিল ৬০ সেকেন্ড পর্যায়ক্রমে সব ব্যবহারকারী এই সুবিধা পেয়ে যাবেন।

এক প্রতিবেদনে দেখা যায় যে গতবছরের তুলনায় ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে দিগুন রিলস প্লে হয়েছে। এটা নিশ্চিত করেছেন মেটা গত ছয় মাসে রিলস পূর্ণ শেয়ার হয়েছে, দ্বিগুণ ফেসবুক মিলছে আকারে বড় ভিডিও তৈরির পাশাপাশি ট্রেন্ডিং টেমপ্লেট এবং গ্রুভস নামের সুবিধা গুলো যুক্ত হয়েছে। এই ট্রেন্ডিং টেমপ্লেট সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভিডিওতে বিভিন্ন টেমপ্লেট ব্যবহার করা হয়।

গ্রুভস সুবিধার মাধ্যমে গান বা সংগীতের তালে তালে ভিডিও তৈরি করা যায়। গবেষণার ভিত্তিতে মেটা বলেছে বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারের অর্ধেক সময় ভিডিও দেখে এই ব্যবহার কারীরা android ও ডেস্কটপ সংস্করণে রিলস ভিডিও দেখার সুযোগ থাকায়, নতুন এসব সুবিধা ব্যবহারকারীরা কাছে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়।

ফেসবুক রিলস ভিউ বাড়ানোর উপায়

ফেসবুক এ ভিউ বাড়ানোর যায় কিভাবে আপনি এই ভিউ বাড়াবেন সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই ফেসবুক রিলস ভিউ বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।

ফেসবুকের জনপ্রিয় ফিচার হলো রিলস ছোট-বড় সবাই কিন্তু এটা ব্যবহার করে থাকে। ভিডিও তৈরি করে থাকে প্রচুর পরিমাণে এটা শেয়ার হয় এবং হাজার হাজার ভিউ এবং কমেন্ট করে থাকে। তাই এখান থেকে অনেক টাকাও ইনকাম করা যায়। এজন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কিছু ভিউ থাকা লাগে। তাই চলুন, কিভাবে ভিউ বাড়ানো যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

অডিও ট্র্যাক ব্যবহার করবেন, ফেসবুকের রিল ভিডিওর ভিউ বাড়াতে জনপ্রিয় গান এবং মিউজিক পছন্দ করা লাগবে।

এর ফলে অন্যের সেই রিলের প্রতি বেশি আকর্ষণ হবে অন্যরা সম্প্রতি যেসব গানগুলো বের হয়েছে অথবা সব গানগুলো ট্রেন্ডিং এ আছে সেগুলো রিলস বানানোর চেষ্টা করতে হবে, এতে রিলস এর ভিউ বাড়বে।
রিলস ভিডিও তৈরীর সময় মাথায় রাখা লাগবে যে সব সময় ক্রিয়েটিভ রিলস তৈরি করতে হবে। এমন কনটেন্ট তৈরি করা লাগবে যার প্রতি মানুষ সহজেই আকৃষ্ট হবে। এই ক্ষেত্রে ট্রেন্ডিং টপিকের উপরে গুরুত্ব দিতে হবে তাহলে ভিউ বেশি হবে।

ভিউ বাড়াতে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা লাগবে, কনটেন্ট পোস্ট করার সময় যথাযথ হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। এই ক্ষেত্রে কনটেন্টের সাথে মিল রেখে উপযুক্ত হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করবেন।

নিয়মিত আপলোড করা লাগবে ফলে দর্শকের সংখ্যা বাড়তে থাকবে, কারণ দর্শকের কাছে একবার আপনি কন্টেন যদি ভালো লাগে তারা বেশি বেশি আপনার এই ভিডিওগুলো দেখতে থাকবে।

অবশ্যই ভালো ক্যাপশন এর ব্যবহার করবেন ভিডিও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য একটি উপযুক্ত ক্যাপশন এর ব্যবহার করা দরকার। যা ভিউয়াররা আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

ফেসবুক রিলস ভাইরাল হ্যাশট্যাগ

ফেসবুক রিলসের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হ্যাশট্যাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি এর প্রতি গুরুত্ব দিবেন। তাই ফেসবুক রিলস ভাইরাল হ্যাশট্যাগ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কিভাবে আপনি প্রয়োগ করবেন চলুন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই ফেসবুক রিলস ভাইরাল হ্যাশট্যাগ দেওয়া লাগবে। ফেসবুক রিলস ভাইরাল হ্যাশট্যাগ কি রকম হতে পারে। আপনি যেমন ভিডিও আপলোড করবেন সেই ভিডিওর সাথে মিল রেখে হ্যাশট্যাগ দেওয়া লাগবে।

হ্যাশট্যাগ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সর্বোচ্চ ভিডিও আপলোড করা হয়েছে সেই হ্যাশট্যাগ গুলো দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়া প্রতিদিন ভাইরাল কিছু হ্যাশট্যাগ পরিবর্তন হতে থাকবে। তাই ভিডিও আপলোড করার সর্বোচ্চ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা লাগবে।

ফেসবুক রিলস কত ভিউ কত টাকা

অনেকে জানতে চাই যে ফেসবুক রিলস কত ভিউ কত টাকা? এ সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে ফেসবুক রিলস মাধ্যমে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ফেসবুক থেকে যদি ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে জানতে হবে কত টাকা ইনকাম হয় অনেকেই জানেনা। সাধারণত এটি নির্বাচন করার জন্য আপনার ভিডিও দর্শক দেখছে সেটার উপর নির্ভর করবে।

তবে আমাদের বাংলাদেশ ১০০০ ভিউতে ০. ২০ ও বাইরের দেশের ১০০০ ভিউতে ০. ৫০ থেকে ১ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যায়।

ফেসবুক রিলস ডাউনলোড

অনেকে ফেসবুক নিউজ ডাউনলোড করতে চায়, তাই ফেসবুক রিলস ডাউনলোড করবেন কিভাবে এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, সম্পর্কে জানা যায় বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

ফেসবুক রিলস থেকে ডাউনলোড করার জন্য একাধিক ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি বিভিন্ন ফেসবুক ভিডিও এবং ফেসবুক ফ্রি ভিডিওগুলো ডাউনলোড করা যেতে পারে। ফেসবুক থেকে ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে আপনাকে vitmate অথবা এইচডি ভিডিও ডাউনলোডার অ্যাপটি ইন্সটল করা লাগবে।

এরপর আপনি আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রবেশ করবেন, আপনি যে রিলস ভিডিওটি ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন তার থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করবেন, কপি করে লিংকটা নিয়ে নিবেন। এর পরে ওই লিংকটা vidmate এ সার্চ করবেন। খুব সহজে ডাউনলোড অপশন পাবেন ডাউনলোড এ ক্লিক করে ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিবেন।

শেষ কথাঃ ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে ফেসবুক রিলস বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এই ভিডিওগুলো খুবই ছোট হয়ে থাকে এটা মূলত টিকটক এর ভিডিওর মত তাই মানুষ অনেক বিনোদন পায় বা আনন্দ পায়। বর্তমানে এই ভিডিওগুলো দেখার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।

তাই ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছে আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪