ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায় জেনে নিন

অনেকে জানতে চায় যে ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? আসলে ফেসবুকে কত টাকা ইনকাম হবে এটা নির্ভর করে আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে। চলুন, ফেসবুক থেকে কি পরিমান টাকা ইনকাম করা যাবে সে সম্পর্কে জানা যাক।
ছবি
আপনি যদি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে ফেসবুক সম্পর্কে ভালো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিতে হবে। ধৈর্য সহকারে পরিশ্রম করতে হবে, তাহলে ইনকাম করতে পারবেন। তাই ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন।

পোস্টসূচিপত্রঃফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায় জেনে নিন

ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

ফেসবুক থেকে অনেকে টাকা ইনকাম করতে চায় এবং অনেকে করছে। তাই ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনি যদি জানতে পারেন। তাহলে আপনিও ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, কিভাবে ফেসবুক থেকে ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ফেসবুক থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় আছে, এর মধ্যে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনাকে ঠিক করতে হবে যে, কোন কাজটি করে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি অনেকেই ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করছে। এতে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায়। 

তাই ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করার জন্য আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং, মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন মার্কেট প্লেসে পণ্য বিক্রি করা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তার মধ্যে ৬টি উপায়ে খুব সহজভাবে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ইন-স্ট্রিম এডঃ ভিডিওর মধ্যে থাকা বিজ্ঞাপন গুলোকে দর্শকদের বেশি আকর্ষণ করে থাকে। ইন-স্ট্রিম এড এই বিজ্ঞাপন গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ব্যবহারকারীরা স্বতন্ত্র বিজ্ঞাপন গুলো এড়িয়ে যায় কিন্তু ইন-স্ট্রিম এই বিজ্ঞাপন গুলোর ক্ষেত্রে এড়িয়ে যেতে পারে না।

ভিডিওগুলো সাধারণত গল্প আকারে উপস্থাপন করা হয়। ফেসবুকের শর্তগুলো পূরণ করার পাশাপাশি ভিডিওগুলো অবশ্যই এক মিনিটের বেশি হওয়া যাবে না। সেই সাথে ইন স্ট্রিম বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য পেজটিতে ন্যূনতম ১০ হাজার ভিউ থাকা লাগবে।

পেইড সাবস্ক্রিপশনঃ টাকার বিনিময়ে সাবসক্রিপশন তৈরি করা যায় এবং মাসিক ইনকাম বাড়ানো যাবে। এই পদ্ধতিতে ফলোয়াররা টাকার বিনিময়ে পেজটিতে সাবসক্রিপশন দেবে। এছাড়া এই সুবিধাটি এখন ফেসবুকের ইনভাইটেশন ফিচার এর ভিত্তিতে দেখা যায়।
ব্যবহারকারীরা ফ্যান সাবস্ক্রিপশন আনলক করতে পারবে যখন তাদের ১০ হাজার ফলোয়ার বা ২৫০ জনের বেশি রিটার্ন ভিউ থাকবে কিংবা ৫০ হাজার পোস্ট এংগেজমেন্ট বা ১ লাখ ৮০ হাজার ওয়াচ টাইম মিনিট থাকবে।

ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজঃ পেজ রিচ বাড়াতে এবং কন্টেন্ট কে বৈচিত্র্যময় করার জন্য প্রাসঙ্গিক কারো কারো সঙ্গে কাজ করা যেতে পারে। নতুন নতুন দর্শক আনতে এবং ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়াতে অনেক নির্মাতা বা কোম্পানি ব্র্যান্ড রয়েছে।

বেশ ভালো ফলোয়ার রয়েছে এমন কারো সাথে তারা কাজ করতে আগ্রহী হয়। এক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে তাদের সাথে কাজ করে থাকে, এজন্য আপনার পোস্টে ব্যবসায়িক পার্টনারদের ট্যাগ শুরু করার আগে প্রথমে তাদের কাছে জন্য অনুরোধ করা লাগবে।

এক কথায় বিভিন্ন ব্র্যান্ড কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য প্রচার করার জন্য যে সকল ফেসবুকের ফলোয়ার বেশি তাদের সাথে টাকার বিনিময় তাদের পণ্যগুলো প্রচার করার জন্য বলে থাকে। এভাবেও আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

ফলোয়ারদের কাছ থেকে আয়ঃ বর্তমানে ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছে যে, ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং ইনফ্লুয়েন্সাররা নির্দিষ্ট রিলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিউ তৈরি করে, একটি সিরিজ সম্পন্ন করে মাসে ৪০০০ মার্কিন ডলারের মতো পুরস্কার পাবেন।

এই চ্যালেঞ্জ ফিচারটি এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ইনভাইটেশন এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে অর্থাৎ যাদের ইনভাইটেশন করা হবে তারাই শুধু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।

পেইড ইভেন্টঃ ফেসবুক পেজের টাকার বিনিময়ে ইভেন্ট পরিচালনার করা যায়। ইভেন ফিচার্ডের মাধ্যমে পেজ দিয়ে ইভেন্টের সময়সূচি তৈরি এবং সাজানো তা চালানো যাবে। এজন্য ফেসবুক পেজে পেইড অনলাইন ইভেন্টস এর ফিচারটি চালু করা লাগবে।

নতুন ইভেন্ট তৈরি করার জন্য ইভেন ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। সেখানে পেইড অপশন সিলেক্ট করে ইভেন্ট মূল্য এবং যদি কোন সহজ থাকে সহ হোস্ট থাকে তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করা লাগবে।

ফলোয়ারদের অনলাইনে স্টোরে নিয়ে যাওয়াঃ এই ফিচারটির মাধ্যমে ফেসবুক পেজ থেকে ক্রেতাদেরকে সরাসরি অনলাইনে স্টোরে নিয়ে যাওয়া যাবে। যেসব ব্র্যান্ডের ফেসবুকে একটি ছোট ব্যবসা আছে, তাদের জন্য এটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে।

ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে পণ্যটি কেনার জন্য বলা যেতে পারে। এজন্য ফেসবুক পেজের ক্যাটালগ ম্যানেজারে পণ্যের ক্যাটালগ যোগ করা লাগবে। এরপর ছবি বা ভিডিও পোস্ট করলে প্রাসঙ্গিক অন্যটির সঙ্গে তার লিংক করে দিতে হবে, লাইভ স্ট্রিম চলাকালীন সময়ে পণ্যে ক্লিক করতে পারবে।

ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়

ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? ফেসবুক থেকে কত টাকা ইনকাম করা যাবে। এ সম্পর্কে আসলে বলা খুবই কঠিন বিষয়। এটা নির্ভর করবে আপনার দক্ষতার উপরে আপনি প্রফেশনাল ভাবে যদি সবকিছু কাজ করে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনি ভালো কনটেন্ট তৈরি করলে আপনার ভিজিট আর বেশি আসবে, সেই হিসেবে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুক থেকে প্রতিমাসের ১০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ বা দেড় লক্ষ্ টাকারও বেশি ইনকাম করা যায়। প্রাথমিক অবস্থায় আপনি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার আর্টিকেল অথবা কন্টেন্ট যদি বেশি মানুষ পছন্দ করে থাকে এবং ভিউ বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার টাকার পরিমান বাড়তে থাকবে।

আপনার আইডি যত জনপ্রিয় হবে আপনার ইনকাম তত বেশি হবে। অবশ্যই আপনার ভিডিও গুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয় হওয়া লাগবে। তাহলে আপনার ভিডিওতে অনেক বেশি পরিমাণ মানুষ দেখবে এবং ইনকাম বেশি হবে। আপনি যদি মোটামুটি মানের ইনকাম করতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনি ফেসবুক থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো মাসে ইনকাম করতে পারবেন।

আর আপনি প্রফেশনাল ভাবে যদি সব কিছু করে থাকেন সেক্ষেত্রে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুক রিলস ফেসবুক লাইভ ফ্যান সাবস্ক্রিপশন ইত্যাদি উপায়ে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

তবে এখান থেকে ইনকামের আসল এবং নিশ্চিত উপায় হল ফেসবুকের দীর্ঘসময়ের ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করা লাগবে এবং ফেসবুক মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম করা যাবে। তবে আপনাকে অবশ্যই উন্নত মানের ভিডিও তৈরি করতে হবে এবং শেয়ার করা লাগবে।

আপনি যদি হাই কোয়ালিটি ভিডিও তৈরি করতে পারেন এবং লোকজন আপনার এই কনটেন্টের প্রতি আকৃষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে আপনি লাখ লাখ ফলোয়ার পাবেন এবং এক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 টাকা আয় করা যায়

অনেকে জানতে চায় যে কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 টাকা আয় করা যায়? তাই এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, তাহলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন উপায় ইনকাম করা যায়, আপনি ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে প্রথমে আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন, ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য কিছু উপায়।

কনটেন্ট তৈরি করেঃ আপনি ফেসবুক থেকে যদি ইনকাম করতে চান, সেক্ষেত্রে কনটেন্ট নির্মাণ করতে হবে। আর সেগুলোর মাধ্যমে আপনি ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইলে শেয়ার করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং করেঃ আপনার যদি একটা ওয়েবসাইট থাকে এবং সেখানে বিভিন্ন বিষয়ক কন্টেন্ট লেখা থাকে। তাহলে আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করে সহজেই ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন। ট্রাফিকের মাধ্যমে সুতরাং এভাবে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমেঃ আপনি একটি ফেসবুক পেজ গ্রুপ খুলে চাইলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বা সেবা বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এজন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো জানতে হবে। তাছাড়া এখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা কোম্পানির প্রচার প্রচারণা করার মাধ্যমে ইনকাম করা যেতে পারে।

ফেসবুক মার্কেট প্লেসে পণ্য বিক্রি করেঃ আমরা সবাই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি সবাই জানি যে, ফেসবুকের একটি নিজস্ব মার্কেট প্লেস আছে। যেখানে আপনি আপনার পছন্দমত পণ্য সেবা পণ্য বা সেবা বিক্রয় করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। চাইলে আপনি এভাবে ইনকাম করতে পারেন।

বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কাজ করেঃ আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের যদি ফলোয়ার বেশি হয়ে থাকে। তাহলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের প্রোডাক্ট বা সেবাগুলো প্রচার করে যদি বিক্রি করতে পারেন। তাহলে সে ক্ষেত্রে সেখান থেকে কমিশন ভিত্তিতে ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? এখন জানবো কত ভিউ কত টাকা দিতে পারে সম্পর্কে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

অনেক ছোট বড় কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান আছে যারা ফেসবুকে তাদের কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ফেসবুক প্রতিষ্ঠানকে টাকা দেয়। এর মধ্যে কিছু কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বড় অংশের টাকা দিয়ে থাকে ফেসবুক প্রতিষ্ঠানকে তাদের বিজ্ঞাপন দেখাতে বলে থাকে।

আবার কিছু কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান কম টাকা দিয়েও বিজ্ঞাপন দিতে বলে এরপরে ফেসবুক ওইসব কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন গুলো পেজের বিভিন্ন ভিডিওতে দেখিয়ে থাকে। যে কোম্পানি বেশি টাকা দেয় ফেসবুক সে কোম্পানির বিজ্ঞাপন ভিডিওগুলো বেশি দিয়ে থাকে।

যে কোম্পানি কম টাকা দিবে ফেসবুক তাদের বিজ্ঞাপন গুলোও কম দেখাবে। বিজ্ঞাপন গুলো ভিডিও কখনো কখনো দেখা যায় ১ লক্ষ ভিউ হলে ১০ হাজার টাকা আয় হয়ে থাকে। আবার কখনো ১ লক্ষ ভিউতে ৫০০০ টাকা আয় হয়ে থাকে।

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়

অনেকেই জানতে চায় যে ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়? তাই এ সম্পর্কে জানলে আপনি ফেসবুক সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা থাকবে। তাই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে নিম্নে দেওয়া হল,

অনেকেই ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করে থাকে, এজন্য ফেসবুক পেজ খোলা লাগে কিন্তু সহজে ইনকাম অনেকে করতে পারে না। এর কিছু কারণ থাকে শুধু ফেসবুক পেজ খুললেই যে ইনকাম হবে তা কিন্তু নয়, ফেসবুক পেইজে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফলোয়ার থাকা লাগবে।

ফেসবুক পেজে ফলোয়ার থাকার পাশাপাশি ইউনিট কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও হওয়া লাগবে। কন্টেন্টগুলো কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হবে বর্তমানে ফেসবুক পেজে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে অনেকেই টাকা ইনকাম করছে।

অনেক সময় ফেসবুক পেজে নির্দিষ্ট ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও মনিটাইজেশন পাওয়া যায় না। এর অন্যতম কারণ হলো সঠিকভাবে ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করে না। তাছাড়া অনেকেই ভিডিও কন্টেন আপলোড করে কিন্তু ফেসবুক পেজে ফলোয়ার থাকে না, সে ক্ষেত্রে ইনকাম করতে পারেনা।

এজন্য আপনাদের ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে আপনি টাকা ইনকাম করতে হবে, সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে যারা ফেসবুক পেজ খুলে ইনকাম করার চিন্তা ভাবনা করছেন, তাদের এই বিষয়টি জানা খুবই জরুরী। তাই আমরা আজকের এই আলোচনাতে বলব যে ফেসবুকে ফলোয়ার কত হলে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনারা হয়তো জানেন যে ফেসবুক পেজে বিভিন্ন উপায় ইনকাম করা যায়। বিশেষ করে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ষ্টার মনিটাইজেশন করে ইন লাইভ স্ট্রিম করে অ্যাপ দেখিয়ে এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। ফেসবুকে নির্দিষ্ট শর্ত অনুযায়ী শুধুমাত্র ফেসবুক পেজে ৫০০ ফলোয়ার হলে স্টার মনিটাইজেশন অন করা যেতে পারে।

এজন্য অনেকেই ষ্টার মনিটাইজেশন অন করে ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করছে। এছাড়াও ফেসবুক পেজ থেকে টাকা পাওয়ার জন্য ইন-স্ট্রিম এড অপশন চালু করার জন্য ফেসবুক থেকে কমপক্ষে ৫০০০ ফলোয়ার ও ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম থাকা লাগবে।
আপনার ফেসবুক পেজের ভিডিওতে ইন-স্ট্রিম চালু করে ইনকাম করা করতে পারবেন। তবে লাইভ স্ট্রিম অ্যাড চালু করে যদি ফেসবুক পেজে কমপক্ষে ১০০০০ ফলোয়ার দুই মাসের মধ্যে ৬ লক্ষ ওয়াচ টাইম পূরণ করা লাগবে। অর্থাৎ আপনি ইন-স্ট্রিম ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করা যাবে।

তবে আপনারা যদি ফেসবুক রিলস ভিডিও থেকে ইনকাম করতে চান, সেই ক্ষেত্রে ফেসবুকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে কাজ করা লাগবে। ভিডিও রিলস ভিডিও সাধারণত ৯০ সেকেন্ডের হয়ে থাকে। আর আপনার ফেসবুক পেজের রিলস ভিডিও মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ৫ হাজার ফলোয়ার এবং দুই মাসের মধ্যে ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম থাকা লাগবে।

তবে মনে রাখবেন ফেসবুক পেজে অবশ্যই ইউনিক ভিডিও অবশ্যই থাকা লাগবে। তাছাড়া আপনার ফেসবুক পেজে ১০ হাজার ফলোয়ার থাকলে সাবস্ক্রিপশন চালু করে, ফেসবুক পেজ থেকেও আয় করা যায়। মূলত ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন অন করা লাগবে।

আর আপনারা জানেন যে ফেসবুক পেজে মনিটাইজেশন অন করার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যার ফলোয়ার ও ওয়াচ টাইম এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। যা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি ফেসবুক পেজে মনিটাইজেশন পেতে হলে ফেসবুক কন্টেন্ট পলিসি ও মনিটাইজেশন পলিসি অনুযায়ী কাজ করা লাগবে।

তাহলে আসলে বুঝতে পারছেন ফেসবুক পেজে যদি ইনকাম করতে চান সেই ক্ষেত্রে ফলোয়ার বেশি করতে হবে এবং এছাড়া বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি প্রথমত ফেসবুক পেজে ভিডিও কনটেন্ট গুলোতে মনিটাইজেশন অন করে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারেন। দ্বিতীয়ত স্টার মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আয় করা যেতে পারে। তাছাড়াও অ্যাড অন রিসেন্ট অপশন চালু করেও ভিডিও থেকে ইনকাম করা যাবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করা যাবে। এই উপায় গুলোর মাধ্যমে ফেসবুক থেকে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। এভাবেই আপনি ফেসবুক ফলোয়ার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুকে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা

অনেকে জানতে চায় যে, ফেসবুকে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। যদি আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে এ সম্পর্কে জানতে হবে। তাই এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

১০০ ভিউ হোক বা ১ হাজার বা এক মিলিয়ন ভিউ হতে পারে, সে ক্ষেত্রে আপনার ইনকামের পরিমাণ CPM রেট অর্থাৎ CPC, cost per click এবং শ্রোতাদের লোকেশন, ভিডিওর বিষয় এই সকল বিষয়ের উপর নির্ভর করবে আপনার ইনকাম। এক্ষেত্রে আপনার মনে রাখতে হবে যে ফেসবুকে ১০০ ভিউ এড এর জন্য কিন্তু একেবারে শূন্য বরাবর ইনকাম হতে পারে।

কেননা যদি বিজ্ঞাপনের RPM রেট আনুমানিক ২ ডলার হয়, তাহলে ২ ডলার পেতে হলে ১০০০ এড ভিউ হওয়া লাগবে। তার মানে প্রতি ভিউতে মোটামুটি ০. ১৬৮ টাকা পাবেন। এর জন্য ১০০ ভিউতে ইনকাম হবে ১৬.৮ টাকার মত।

এই হিসাবে যদি ধরা হয় তাহলে আপনার এক মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ ভিউতে, ফেসবুক আপনাকে দেবে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার মত। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ইম্প্রেশন গুলোর উপর ভিত্তি করেই কিন্তু আপনাকে টাকাটা দেবে। সিপিএম রেট এর উপর ভিত্তি করে ১০০, হাজার বা ১ মিলিয়ন ভিউতে ফেসবুক আপনাকে এই হিসাবে টাকা দিতে পারে।

ফেসবুক প্রফেশনাল মোড থেকে ইনকাম

বর্তমানে ফেসবুক প্রফেশনাল মোড থেকে ইনকাম করা যাচ্ছে, তাই আপনিও যদি আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই চলুন, সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।
ছবি
ফেসবুক প্রোফাইলে সুযোগ দিচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ, যাদের প্রোফাইল প্রফেশনাল মোডে রুপান্তর হয়েছে। তারাই শুধুমাত্র এই সুযোগটা পেয়ে থাকে, এজন্য নিয়মিত ভিডিও আপলোড করা লাগে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসাবে আপনিও এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই কিছু নিয়ম নীতি পূরণ করা লাগে।

ফেসবুক প্রোফাইল ব্যবহারকারীদের সুবিধা দিতে সম্প্রতি প্রফেশনাল মোড টা চালু করে দিয়েছে ফেসবুক মেটা। যার কারণে প্রোফাইল থেকেও এখন আয় করা যায়। কিছুদিন আগে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ বলেছিল যে ফেসবুকের পেজের পাশাপাশি প্রোফাইল থেকে ইনকাম করা যাবে।

আর এই সুযোগটি হচ্ছে প্রফেশনাল মোডের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। এই মুহূর্তে চালু করলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মতই আপনিও বাড়তি ইনকাম করতে পারবেন।
যেভাবে আপনি প্রফেশনাল মোড টা চালু করতে পারবেন চলুন সে সম্পর্কে জানা যাক। আপনার ফেসবুক একাউন্ট যদি প্রফেশনাল মোড চালু হয়। তাহলে নোটিফিকেশন পাবেন। আর আপনি যদি সেই নোটিফিকেশন গুরুত্ব না দেন।

তাহলে এই মুড চালু করতে পারবেন না, তবে প্রথমে আপনার ফোনে ফেসবুকে যেতে হবে এবং ফেসবুক ওপেন করা লাগবে। একাউন্টের প্রোফাইল থেকে থ্রি ডট. অপশনে ট্যাগ করতে হবে। এখানে নিচের অংশে লেখা থাকবে টার্ন অন প্রফেশনাল মোড যখন আপনি এই অপশনটা দেখতে পারবেন। 

তখন এটাতে এর ভিতরে লেখা থাকবে গেট পেইড ফর ইউর কন্টেন্ট, এরপরে দ্বিতীয় অপশনটি আপনাকে গ্রো ইওর অডিয়েন্স করা লাগবে এবং তৃতীয়টি সি কনটেন্ট ইনসাইট থাকবে টার্ন অন এবং লার্ন অন মুড অপশন দেখতে পারবেন। এখান থেকে আপনি টার্ন অন প্রেস করবেন এতে আপনার প্রফেশনাল মোড হয়ে যাবে এবার আপনার প্রোফাইলে দেখতে পারবেন।

আপনার ভিউ টুলস অপশনটি চালু হয়েছে কিনা চালু হবে। তার মানে আপনার ফেসবুক প্রফেশনাল মোড হয়ে যাবে, ভিউ টুলস অপশনটি ক্লিক করার পর পেজের মতোই ফেসবুক প্রোফাইল শেয়ার করা যাবে। ছবি, ভিডিও অডিওসহ সব কন্টেন্টের পোস্ট রিচ, পোষ্ট আংগেজমেন্ট নতুন ফলোয়ারের সংখ্যা সবকিছুই আপনি এনালাইজ করতে পারবেন।

এখান থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন কিভাবে প্রফেশনাল মোডের মাধ্যমে আপনি বাড়তি ইনকাম করা যেতে পারে। আপনার প্রোফাইল উপযুক্ত কিনা সে ক্ষেত্রেও যাচাই করা প্রয়োজন। এরপরে ফেসবুক প্রোফাইল প্রফেশনাল মোডে রূপান্তর করার পরে আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে বলবে, 

কমপক্ষে ৫০০০ ফলোয়ার এবং ৫টি লাইভ ভিডিও থাকা লাগবে। প্রোফাইল থেকে ৫টি লাইভ করা লাগবে। এছাড়াও প্রোফাইলে ৫টি ভিডিও থাকা লাগবে কমপক্ষে ৬০ হাজার ঘন্টা ভিউ থাকা লাগবে। এসব শর্ত পূরণ করতে পারলেই আপনি ফেসবুক পেজের মতো মনিটাইজেশন করে ইনকাম করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায় জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে ফেসবুকের বিষয় অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলেই আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন, তাই ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বর্ণনা করা হয়েছে আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪