ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম করার উপায় জানুন
অনেকে জানতে চায় যে ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে। তাই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, কিভাবে ঘরে বসে ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অনেকে যারা বাড়িতে অবসর বসে থাকেন অথবা ঘরে বসে ইনকাম করতে চাচ্ছেন, তারা কিছু কৌশল এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করলেই ইনকাম করতে পারবেন। তাই ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম করার উপায় জানুন
বাড়িতে বসে অনলাইনে কাজ
যদি আপনি ঘরে বসে বসে ইনকাম করতে চান, সেক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করতে পারেন। তাই বাড়িতে বসে অনলাইনে কাজ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন এ সম্পর্কে যা জানা যাক,
প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে আমরা এখন অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারি। অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য প্ল্যাটফর্ম আছে, যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সহজেই ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। তবে কিছু অনলাইনের মাধ্যমে কাজ আছে, যেগুলো করলে প্রতারণা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেদিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।
তবে অনলাইনের মাধ্যমে যদি আপনি কোন একটা বিষয়ের প্রতি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে এখান থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। নিম্নে আপনি কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবেন, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ফ্রিল্যান্সিংঃ ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় পথ হলো ফ্রিল্যান্সিং করা। বর্তমানে এটা অনেক জনপ্রিয় হয়েছে, যদি আপনার একটি বিষয়ের প্রতি দক্ষতা বা প্রতিভা থাকে তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই ফ্রিল্যান্সিং করে এজন্য কয়েকটি ওয়েবসাইটে দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আপনার অনেক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম আছে। যা আপনার দক্ষতা অর্জন করা লাগবে, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং এছাড়াও আরো অনেকগুলো প্ল্যাটফর্মিং আছে। তবে ফাইবার ডট কম, ফ্রিল্যান্সার ডট কম আপনি কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় আরো একটি কাজ হল গ্রাফিক্স ডিজাইন। আপনি ঘরে বসে ডিজাইন করে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করে সেল করে ইনকাম করতে পারেন। যদি আপনার দক্ষতা ভালো থাকে সেই ক্ষেত্রে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি এই ডিজাইনগুলো দেখাতে পারেন এবং সেখান থেকেও ইনকাম করা যেতে পারে।
পোর্টফলিও তৈরি করতে পারেন তাহলে একই জিনিসগুলো বারে বারে বিক্রি করতে পারবেন, এতে দীর্ঘদিন আপনারা আয় হবে। এজন্য অনলাইনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে গ্রাফিক্সের কাজ করা যেতে পারে যেমন ফাইবার ডট কম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, আপওয়ার্ক এর মাধ্যমে কাজ করা যেতে পারে।
অনলাইন টিউটরঃ আপনি যদি কোন একটা বিষয় দক্ষ হতে পারেন এবং সেই বিষয়ে যদি শেখাতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে টিউটরিং করতে পারেন। এতে ঘরে বসেই আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
প্রচুর পরিমাণ অনলাইনে টিউটরিং প্ল্যাটফর্ম আছে যা আপনাকে সারা বিশ্ব থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ হতে পারবেন। যেমন টুইটার ডটকম, ইউডেমি, ইত্যাদি।
সামাজিক মাধ্যম ব্যবসাঃ আপনার যদি কোন বিশেষ প্রতিভা থাকে যেমন কারিগরি শিল্প বা গয়না তৈরি করার অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি এই পণ্যগুলো তৈরি করতে পারেন এবং সেগুলো ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে বা ইনস্টাগ্রামে বিক্রি করা যেতে পারে।
তাছাড়া আপনি যদি নিজেও নিজের পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে চান সে ক্ষেত্রে টিউটোরিয়াল তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে শেখাতে পারেন অথবা একটি অনলাইন দোকান খোলা যেতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অন্য কোম্পানির পণ্য যদি আপনি পরিষেবা বা বিক্রি করে দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি এখান থেকে কমিশন পাবেন, যাকে বলা হয় আফিলিয়েট মার্কেটিং। এ পদ্ধতিতে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে একটা ওয়েব পেজ বা ব্লগ প্রয়োজন হবে।
যখন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালু হবে, তখন এফিলেট মার্কেটিং করে অর্থাৎ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক যুক্ত করে দিবেন। আপনার সাইট থেকে প্রতিষ্ঠানে পণ্যগুলো দর্শক দেখবে তাহলে আপনি এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
অনুবাদঃ আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা অর্জন করেন, তাহলে আপনি এটাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। অনেকের ওয়েবসাইট আছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টগুলো অনুবাদ করা লাগে, সেখানে আপনি এগুলো অনুবাদ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
বিশেষ করে স্প্যানিশ, ফ্রেন্স, আরবি, জার্মান সহ বিভিন্ন ধরনের ভাষা যদি আপনার জানা থাকে। তাহলে এগুলো ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে পারবেন এবং সেগুলো মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য যে সাইটগুলো রয়েছে সে ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
কনটেন্ট রাইটিংঃ আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন সেই ক্ষেত্রে একটি ভাষায় শাবলীল ভাবে লিখতে পারেন। তাহলে সেই প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করা যাবে। আপনার আর্টিকেল লেখার মানের উপর ভিত্তি করে ইনকাম শুরু হবে। এক্ষেত্রে কাজ দাতার নির্দিষ্ট নীতি মেনে আপনি লেখালেখি করে ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউবঃ ইউটিউবের মাধ্যমেও ঘরে বসে ইনকাম করা যেতে পারে, এজন্য আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। এখানে ভিডিও আপলোড করা লাগবে সেই ভিডিওগুলো যখন আপনার ভাইরাল হবে। যখন আপনি মনিটাইজেশনের অনুমতি পাবেন তখন আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
এতে আপনার অবশ্যই সৃজনশীল এবং ভালো এডিটিং জানা লাগবে। এ বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি থাকে এবং আপনার চ্যানেলটা ভিডিও দেখার জন্য মানুষ আগ্রহ দেখাবে। ভিডিও যদি মানুষজন নাই দেখে তাহলে ইনকাম আপনার হবে না। চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ও ভিডিও দেখা বৃদ্ধি পেলেই কিন্তু আপনার ইনকামও বৃদ্ধি পাবে।
ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম
অনেকে ঘরে বসে কাজ করতে চায় বিশেষ করে মেয়েরা ঘরে বসে যে কাজগুলো করতে পারবেন। তাই ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম করা যায় কিভাবে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হলো,
কাপড় আয়রনের কাজ করাঃ ঘরে বসে সবচেয়ে সহজে কাজ হল কাপড় আয়রন করা যেতে পারে। অনেক মানুষ আছে সারাদিন বাইরে নানা রকম কাজ করে থাকে, তারা ভালোভাবে তাদের কাপড় গুলো আয়রন করার সময় পায় না।
কোথায় বের হলে তাড়াতাড়ি তাদের আয়রন করা প্রয়োজন হয়। এজন্য আপনি এই কাজটি করতে পারেন, এতে করে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ঘরে বসে আপনার কাজের ফাঁকে এই কাজটা করে ইনকাম করা যেতে পারে।
টিউশনি করানোঃ যেহেতু বর্তমানে শিক্ষার হার বেশি যার কারণে শিক্ষার্থীরা বেশি। আমাদের দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর মা-বাবা সেরকম ভাবে পড়াশোনা করানোর মতো সময় পায় না। তারা কর্ম ব্যস্ততায় থাকে, তাই তারা বিভিন্ন ধরনের শিক্ষিত কোন ব্যক্তির কাছে তার বাচ্চাকে পড়াতে চায়।
খুব ভালো কোয়ালিটি ফুল শিক্ষক খুজে থাকে, এজন্য আপনার যদি শিক্ষার্থী পড়ানোর দক্ষতা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এই কাজটি করতে পারেন। তাই ঘরে বসে বিভিন্ন শ্রেণীর ছেলে মেয়েদেরকে বাসায় নিয়ে টিউশনি করাতে পারেন অথবা বাসায় গিয়েও করাতে পারেন। এতে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব এবং ফেসবুকে এখন অনেকটাই জনপ্রিয় তাই আপনি এই প্লাটফর্মকে বেছে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের রান্নার ভিডিও করে এখানে আপলোড করতে পারেন। বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়েরা বর্তমানে রান্না করতে পছন্দ করে আর বিভিন্ন আইটেম রান্না করতে পারে। তাই আপনি ঘরে বসে এই রান্নার ভিডিও করতে পারেন সেগুলো ইউটিউব বা ফেসবুক পেজে আপলোড দিতে পারেন।
তাহলে অনেক ভিজিটর আসবে এতে আপনার ইনকাম হবে। তাই ঘরে বসে আপনি চাইলে এই আপনার বাড়ির কাজের পাশাপাশি এই রান্না করার কাজটি ভিডিও করে অনলাইনে আপলোড করতে পারেন। তাহলে সেখান থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বিউটি পার্লারঃ মেয়েরা এখন সৌন্দর্য বেশি পছন্দ করে থাকে, তাই অনেকেই বিউটি পার্লারে গিয়ে নিজের রূপসজ্জা কে সাজিয়ে তোলে। আর এই কাজটা আপনি করতে পারেন, কারণ অনেক মেয়েরা এখন এই ব্যবসাটি করছে।
কারণ মেয়েরা এমনিতেই সাজ সজ্জা পছন্দ করে, বিশেষ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য বিউটি পার্লার দ্বারা করতে যায়। তাই আপনি চাইলে আপনার বাড়ির ফাঁকা একটি জায়গায় একটি ঘর তুলে সেখানে বিউটি পার্লার তৈরি করে ইনকাম করতে পারেন।
নার্সারি তৈরি করাঃ গাছ লাগাতে অনেকেই পছন্দ করে এবং দেখতেও সৌন্দর্য লাগে ফল খাওয়া যায়। তাই আপনার বাড়ির ছাদে অথবা বাড়ির আঙ্গিনায় যদি জায়গা থাকে, সেই ক্ষেত্রে আপনি গাছ লাগাতে পারেন।
বিশেষ করে ফুলের গাছ, ফলের গাছ তাই আপনার বাড়ি আশেপাশের ছোট আকারে বিভিন্ন রকম ফুলে নার্সারি তৈরি করতে পারেন। সেখান থেকে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বিভিন্ন গবাদি পশু পালনঃ আপনি যদি গ্রামে থাকেন এবং বাড়িতে অল্প একটু জায়গা থাকে, তাহলে সেখানে গবাদি পশু পালন করতে পারেন। এভাবে অনেক টাকা লাভ করা যাবে, গবাদি পশুর মধ্যে যেমন গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি ইত্যাদি। বাড়িতে যদি জায়গা নাও থাকে তাহলে আপনি মাঠেও কিন্তু লালন পালন করা যেতে পারে, এক্ষেত্রে অনেক লাভ হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিংঃ আপনি ঘরে বসে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন, যদি আপনি দক্ষ হতে পারেন সে ক্ষেত্রে অনেক টাকা ইনকাম করা যাবে। অনলাইনের মাধ্যমেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন আবার চাইলে অফলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করা যেতে পারে।
ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা
আপনার যদি মূলধন না থাকে সে ক্ষেত্রেও কিছু কৌশল অবলম্বন করেও টাকা ইনকাম করা যায়। তাই ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করতে পারেন। কিভাবে আপনি বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
রিসেলার ব্যবসা করাঃ আপনার যদি মূলধন না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি অন্য কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট যদি সেল করে দিতে পারেন সেখান থেকে আপনাকে কমিশন দিবে। মূলত এই ধরনের কাজটিকে রিসেলার ব্যবসা বলা হয়।
এক্ষেত্রে আপনার কোন মূলধনের প্রয়োজন নাই এবং এজন্য কিছু দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ক্ষেত্রে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলেই এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন এবং এখান থেকে টাকা আয় করা যাবে।
সোশ্যাল মিডিয়া সার্ভিস ব্যবসাঃ আপনি চাইলে বিনামূলধনে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে পারেন। যেমন ফেসবুকের লাইক কমেন্ট শেয়ার, ফলোয়ার ইনস্ট্রাগ্রাম এবং ইউটিউব এর সাবস্ক্রাইব এগুলো করে আপনি ইনকাম করতে পারেন।
সাধারণত এই লাইক কমেন্ট এ বিষয়গুলো নতুন ইউটিউব বা ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নিয়ে থাকে, তাই আপনি এই ব্যবসাটি করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।
টিউশনির ব্যবসাঃ অনেকেই মনে করে যে টিউশনি হয়তোবা কোচিং সেন্টার খুলতে হবে ৫-৭ জন টিচার লাগবে কিন্তু আসলে এত ধরনের কোন কিছুই করা লাগবে না। অল্প টাকার মাঝে আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন বিষয় টিউটোরিয়াল তৈরি করে সেগুলো ফেসবুকের মাধ্যমে সার্ভিস দিতে পারেন।
তাছাড়া আপনি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে এই বিষয়গুলো নিয়ে পাবলিস্ট করতে পারেন। এটা দেখবেন অনেক সাবস্ক্রাইব হবে এবং আপনি সেখান থেকেও মনিটাইজেশন করে ইনকাম করতে পারবেন।
ঘরে বসে হাতে লিখে আয়
আপনি যদি ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের হাতে লিখে কাজ করতে পারেন, যদি দক্ষতা অর্জন করেন তাহলে ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করতে পারবেন। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো,
বাংলা কনটেন্ট লিখে আয় করুনঃ আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন এবং আপনার যদি বাংলা ভাষার প্রতি দক্ষতা থাকে তাহলে লেখালেখির কাজটি করে ইনকাম করা যেতে পারে। এজন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লেখালেখি করতে পারেন।
অথবা নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানেও বিভিন্ন ধরনের বিষয়ে লিখে পোস্ট পাবলিশ করলে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। যদি কেউ দীর্ঘদিন যাবত এর পিছনে লেগে থাকে তাহলে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো ইনকাম করা যেতে পারে।
তাছাড়া অনেকে লেখালেখি কাজ করার জন্য লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে, আপনি চাকরি করতে পারেন অথবা অনেকেই একটি বাংলা পোস্ট লেখে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে। সে ধরনের কাজও করতে পারেন।
এক্ষেত্রে ১ হাজার থেকে ১২০০ শব্দের মধ্যে লিখে অনেকেই দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাছাড়া আপনি বাংলা লেখালেখি করে যদি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে সেখানে আপনি একাউন্ট খুলে আপনার এই কনটেন্ট গুলো পাবলিশ করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকামঃ আপনি ঘরে বসে কনটেন্ট রাইটিং এর পারদর্শী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং দক্ষতা অর্জন করে মার্কেটপ্লেস একাউন্ট খুলে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারেন। যেমন ফাইবার ডট কম রয়েছে সেখানে আপনি একাউন্ট খুলে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে নিয়ে আপনি আয় করতে পারেন।
গল্প সাহিত্য ও কবিতা লিখে আয় করুনঃ আপনি যদি গল্প অথবা কবিতা লিখতে পছন্দ করেন বা পারদর্শী হন সে ক্ষেত্রে এটা কাজে লাগিয়ে খুব সুন্দর করে কবিতা বা গল্প লিখতে পারেন। সেটা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গল্প বা কবিতা পাবলিস্ট করলে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং করে আয়ঃ আপনি চাইলে নিজস্ব ওয়েবসাইট খুলে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে আপনি পোস্ট পাবলিশ করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। সেটা ইংলিশ অথবা বাংলা যেকোনো বিষয়ে লেখালেখি করে পোস্ট পাবলিশ করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাছাড়া আপনার ওয়েবসাইট যখন ভালো পর্যায়ে থাকবে সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এছাড়াও প্রোডাক্ট প্রমোশন করেও ইনকাম করা যেতে পারে।
অবসর সময়ে কি কাজ করা যায়
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম করার সম্পর্কে আপন জানবো অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে কিভাবে ইনকাম করা যায়, সে সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।
বাড়িতে বসে ব্যবসাঃ আপনি বাড়িতে বসে কি ব্যবসা করবেন সেটা হয়তো ভাবতেছেন কিন্তু এই ধরনের অনেক ব্যবসা রয়েছে যেটা আপনি অনায়াসে করে ইনকাম করতে পারেন। এমন কিছু ব্যবসা করবেন যেগুলো আপনাকে নিজেকে আনন্দ দেবে এবং অন্য উপভোগ করবে। হতে পারে সেটা কোন খেলার জিনিস অথবা ঘরে তৈরি করা খাবার বিভিন্ন জায়গায় আপনি বিক্রি করতে পারেন।
মনে করেন আপনার কোন একটা শখ আছে যেমন বাগান করা সেখানে আপনি চাইলে বাগান বিভিন্ন ধরনের ফুলের বা বিভিন্ন ধরনের সবজির বাগান করতে পারেন। তার মাধ্যমেও এগুলো বিক্রি করে আপনি লাভবান হতে পারেন।
কনসাল্টিং সার্ভিসঃ অনেকেই দীর্ঘদিন যাবত চাকরি করে হয়তো বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন অথবা বিভিন্ন কাজে করার কারণে সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অবসর সময়ে সেই কাজগুলো করে আপনি পরামর্শ দিতে পারেন।
যারা পরামর্শের জন্য বিভিন্ন জায়গায় নক করে থাকে কোন সমস্যার জন্য আপনার কাছে পরামর্শ ও সমাধানের উপায় জানতে চাই সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ভাবে উপার্জন করতে পারেন। যেমন বিভিন্ন ডিজাইন এবং ইভেন ম্যানেজমেন্ট কাজ করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।
আত্মকর্মসংস্থান মূলক কাজঃ অবসর সময় আপনি আকর্ষণীয় কাজ করতে পারেন সেটা হল আত্মনির্ভরশীল মুলক কাজ করা। আত্মনির্ভরশীল মূলক কাজ করার জন্য আপনাকে সবসময় একজন কর্মচারী রাখা লাগবে। আর যদি সেটা আপনার থাকে তাহলে আপনি নিজেই নিজের বস হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
চাকরি জীবনে অনেক বছর অনুভূতি থাকতে পারে সেটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি এই ধরনের কাজ করতে পারেন। আত্মকর্মসংস্থান মূলক কাজের মধ্যে একটা ব্যবসা অথবা দোকান দিতে পারেন। সেটা বিভিন্ন ধরনের বইয়ের দোকান দিতে পারেন এটা নির্ভর করবে আপনার অভিজ্ঞতার উপরে।
যে বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই বিষয় নিয়ে আপনি কাজ করলে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়া নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া লাগবে এবং বিশ্বস্ত কোন উৎস থেকে ঋণ নিতে পারেন। ব্যাংক ঋণ নিতে পারেন অথবা সরকারি কোনো অনুদান দিলে সেখান থেকে নেওয়া যেতে পারে।
বাসা বা সম্পত্তি ভাড়া দিয়ে আয়ঃ বাসা বা সম্পত্তি ভাড়া দিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। সবচেয়ে কম ঝামেলা মুক্ত একটি কাজ। যদি আপনার নিজস্ব কোন বাসা থাকে বা সম্পত্তি বা দোকান থাকে সেগুলো ভাড়া দিয়েও আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি শুধু প্রতি মাসে একবার করে দেখবেন। আবার আপনি বাসায় একা মনে করেন থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার আরো মানুষ থাকার মত জায়গা থাকতে পারে সেখানে সাবলেট ভাড়া দিয়ে অর্থ পাবেন।
নিজস্ব গাড়ি থেকে আয়ঃ আপনি যদি ভালো ড্রাইভার হয়ে থাকেন অথবা গাড়ি চালাতে দক্ষতা অর্জন করে থাকেন, কাজে লাগাতে পারেন বর্তমানে সারা বিশ্বে উবার নামক অ্যাপ্লিকেশন আছে যার মাধ্যমে আপনি ড্রাইভার হিসেবে গাড়ি চালাতে পারবেন। এখানে ভালো ইনকাম করা যায় এরকম আরো অনেক অ্যাপ্লিকেশন আছে।
যেমন বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং এপ্লিকেশন পাঠাও এটার মাধ্যমে কাজ করেন পায় করা যেতে পারে।
ট্যুর গাইডঃ অবসর জীবনে ট্যুর গাইড এর মত আনন্দদায়ক কাজও করতে পারেন। যদি আপনার স্বাস্থ্য বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত ভ্রমণের উপযোগী হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে এ কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখা যাবে সেই সাথে অর্থ উপার্জন করা যাবে।
আরো একটি দারুন বিষয় হলো নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হবে, এ গাইডের কাজের মাধ্যমে মন ফ্রেশ থাকে এবং অনেক সময় কেটে যায়।
স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করাঃ নিজের অবসর সময়কে ভালো পথে ব্যয় করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে পারেন। তাছাড়া স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন সংগঠন কাজ করে থাকে তাদের সাথে আপনি সহযোগিতা মূলক কাজ করতে পারেন।
অধিকাংশ স্বেচ্ছাসে সংগঠন তাদের সদস্যদের বৃত্তি প্রদান করে। আপনি যেকোন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারেন সে ক্ষেত্রে অবসর কাটানোর মতো সময়টুকু লাভজনক সংস্থার কাজ করতে পারেন।
ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ
ঘরে বসে অনেকেই প্যাকিং এর কাজ প্যাকিং কাজ করতে পারেন, তাই ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেয়া প্রয়োজন। তাই এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো
ঘরে বসে কি কি প্যাকিং করা যাবেঃ আপনার চারপাশে অনেক কাজ আছে যেগুলো আপনি ভালোভাবে যদি নজর দিতে পারেন একটু রিচাস করা লাগবে যে কোন কাজ করেই আপনি ক্যারিয়ার করতে পারেন।
সেটা নিয়ে একটু গবেষণা করা দরকার তাহলে আপনি কোন বিষয়ে কাজ করবেন সেটা বুঝবেন। আর সে ক্ষেত্রে কিছু ধারণা দেওয়া যেতে পারে, আপনি প্যাকিং এর কাজ করতে পারবেন। এই সকল পণ্যগুলো আপনি সহজে করা যেতে পারে নিম্নে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক,
- বই প্যাকিং এর কাজ করতে পারেন
- কলম প্যাকিংয়ের কাজ করা যাবে
- মোমবাতি প্যাকিংয়ের কাজ করতে পারবেন
- ধূপকাঠি প্যাকিংয়ের কাজ করা যাবে
- চার্জার লাইট কাটিং এর কাজ করতে পারেন
- এলইডি লাইট প্যাকিংয়ের কাজ করতে পারবেন
- চাউল প্যাকিংয়ের কাজ করা যাবে
- ডাল প্যাকিংয়ের কাজ করতে পারেন
- স্যান্ডেল প্যাকিংয়ের কাজ করতে পারবেন
- কাপড় কাটিং এর কাজ করা যাবে
- গামছা প্যাকিং এর কাজ করতে পারবেন
- ই-কমার্সের পণ্যগুলো প্যাকিং করতে পারবেন
- রেস্টুরেন্টের কাজের জন্য পণ্য প্যাকিং করা হয় সেটাও করতে পারবেন।
- অনলাইনে মার্কেটিং এর পণ্যগুলো প্যাকিং করা যেতে পারে।
তাছাড়া আপনি লোকাল উৎপাদিত যে পণ্যগুলো হয় সেগুলোর প্যাকিং করে ইনকাম করতে পারেন। এগুলো আপনার খোঁজখবর রাখলেই এ বিষয়গুলো কাজ করা যেতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করা যায় জেনে নিন
ঘরে বসে এই কাজ অনেকেই করতে পারে আবার অনেকে বাইরে যাওয়া করতে পারবে। তবে ঘরে বসে এই কাজটি করাই ভালো হবে এতে অনেক টাকা ইনকাম হয়। বাড়ির মহিলারা সাধারণত ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম করতে পারবে। এজন্য প্যাকিংয়ের কাজ করতে পারেন।
প্যাকিংয়ের কাজের কাঁচামাল সবগুলোই কোম্পানিরা দিয়ে দিবে সব প্রক্রিয়া বুঝিয়ে দেওয়ার পরে আপনি প্যাকিংয়ের কাজটা করতে পারবেন। বাড়ির ছোট বড় সবাই কিন্তু এই কাজটা করলে অনেক টাকা ইনকাম করা যাবে।
তাছাড়া গ্রামের বাড়িতে আরো বিভিন্ন ধরনের প্যাটিং এর কাজ থাকতে পারে বিশেষ করে আপনারা সবাই একসাথে মিলে চা পাতা প্যাকিং এর কাজ করতে পারেন এটা খুবই ভালো একটি কাজ। তাছাড়া চানাচুরের ছোট ছোট প্যাকিং করেও ব্যবসা করা যেতে পারে, বিস্কুটিং করা যেতে পারে কাজের জন্য সাধারণত এই কাজগুলো গ্রামে করা হয়ে থাকে তাই গ্রামের ঘরে বসে প্যাকিং এ কাজ করা যাবে।
ঘরে বসে অনলাইনেও প্যাকিংয়ের কাজ করা তেমন একটা সুযোগ থাকে না। তবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে প্যাকিংয়ের কাজের অর্ডার নেওয়া যেতে পারে অনলাইনের মাধ্যমে। এখন সব প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে ঠিকানা থাকে সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি অথবা ফেসবুকের মাধ্যমে তারা এড দিয়ে থাকে।
এই সকল সাইটগুলো আপনার ভিজিট করে কোম্পানির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে নিতে পারেন এবং প্যাকিং এর কাজ তারা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিবে তখন আপনি কাজ করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিবেন।
শেষ কথাঃ ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম করার উপায় জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে কিছু দক্ষতার প্রয়োজন আছে। আপনি ঘরে বসে যদি ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে করতে পারেন। তাই ঘরে বসে হাতের কাজ করে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url