ইন্দোনেশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয় ও বেতন সম্পর্কে জেনে নিন
অনেকে জানতে চায় যে ইন্দোনেশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয়? আসলে আপনি কোন কাজের জন্য যাবেন, সেই কাজের ভিসার উপর নির্ভর করবে কত খরচ হবে। চলুন, ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।
ইন্দোনেশিয়া অনেকে যেতে চায় কিন্তু এই দেশে সম্পর্কে তেমন জানেনা। তাই ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কে ও ভিসা খরচ কত হবে এ সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন। তাই ইন্দোনেশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃইন্দোনেশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয় ও বেতন সম্পর্কে জেনে নিন
ইন্দোনেশিয়া বেতন কত
অনেক ইন্দোনেশিয়া যেতে চায় কিন্তু এখানে বেতন সম্পর্কে জানে না। তাই ইন্দোনেশিয়া বেতন কত? সম্পর্কে অনেকে জানতে চায়। চলুন, ইন্দোনেশিয়ার বেতন সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
ইন্দোনেশিয়াতে কোন কাজের বেতন কি রকম হবে, এটা নির্ভর করে কাজের উপরে। ইন্দোনেশিয়াতে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে, বেতন ও আলাদা আলাদা ভাবে দিয়ে থাকে। যেমন একজন ডেভেলপার এর বেতন প্রায় ৮০ লক্ষ রুপি।
আবার একজন গ্রাফিক ডিজাইনার বেতন প্রতি মাসে প্রায় ৪৫ লক্ষ রুপি এছাড়া আরো অন্যান্য পেশা রয়েছে তাদের বেতন কত হতে পারে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- একজন নার্সের মাসিক বেতন হয় বা অন্য ৫২ লক্ষ রুপি
- একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর বেতন মাসে ৭০ লক্ষ রুপীর মত
- একজন সেলস ম্যানেজারের বেতন হবে মাসে বেতন পাবে ১০ লক্ষ রুপি
- কোয়ালিটি এনালিস্ট যারা পেশায় আছে তাদের বেতন প্রতি মাসে ৫৭ লক্ষ রুপি
- এছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় গড় বেতন ধরা হয় মাসে ৫০ হাজার টাকার মত
- একজন শ্রমিক ইন্দোনেশিয়াতে মাসের বেতন পায় ২৬ হাজার টাকার মত।
- এছাড়াও কাজের ভিসায় যারা ইন্দোনেশিয়া যায় তাদের বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ১৮ হাজার টাকার মত বেতন পায়।
এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তাদের বেতন কাজের উপর নির্ভর করে। উপরোক্ত এই কাজের জন্য কি রকম বেতন হবে তা আপনাদেরকে একটু ধারণা দেওয়া হয়েছে,আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ইন্দোনেশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয়
অনেকে ইন্দোনেশিয়া যেতে চায় কিন্তু জানে না যে কত টাকা খরচ হতে পারে। তাই ইন্দোনেশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয়? সম্পর্কে জেনে তারপর ইন্দোনেশিয়ায় গেলে ভালো হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নিম্নে আলোচনা করা হলো,
বাংলাদেশ থেকে যারা ইন্দোনেশিয়ায় যেতে যাচ্ছেন তারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে কোন কাজের জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে। তাই আমাদের জানা প্রয়োজন, আপনি কোন বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার জন্য ইচ্ছা করেছেন এর উপর নির্ভর করেই আপনার ভিসা খরচটা নির্ভর করবে।
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়, এছাড়াও অনেকে ভ্রমণ করতে যায়। ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তারপরে যাওয়াই ভালো হবে। চলুন কোন কাজের ভিসার কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কে জানা যাক।
- আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারেন
- টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে পারেন
- ইন্দোনেশিয়া সেকেন্ড হোম ভিসা হিসাবে যাওয়া যায়।
উপরোক্ত ভিসা গুলোর মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়া যাবে। এখন জেনে নেওয়া যাক কত টাকা খরচ হতে পারে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ আপনি যদি কাজের ভিসায় ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ পাবেন যেমন ইঞ্জিনিয়ার, ক্লিনার, শিক্ষক রেস্টুরেন্ট নার্স ডাক্তার কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি ধরনের কাজ করতে পারবেন। তাই যদি আপনার এই কাজ গুলোর অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি ভালো বেতন পাবেন।
উপরোক্ত কাজগুলোর উপরে ভিত্তি করে আপনার কত টাকা খরচ হতে পারে সেটা নির্ভর করে। বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার জন্য আপনার খরচ হতে পারে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।
টুরিস্ট ভিসাঃ টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যদি আপনি ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে আপনার বিভিন্নভাবে যেতে পারবেন যেমন ৭ দিনের জন্য যদি প্যাকেজ নিতে পারবেন। অর্থাৎ ১৮০ দিনের জন্য টুরিস্ট প্যাকেজ কিনে নিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার আসলে কয়দিনের জন্য যাবেন সেটা নির্ভর করবে।
৭ দিনের টুরিস্ট ভিসার প্যাকেজে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ২ লক্ষ টাকার মত। আর ১৮০ দিনের প্যাকেজ যদি নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লাগতে পারে। এছাড়াও মাল্টিপল টুরিস্ট ভিসা যদি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।
ইন্দোনেশিয়ায় সেকেন্ড হোম ভিসাঃ ইন্দোনেশিয়ার সেকেন্ড হোম ভিসায় যদি আপনি যেতে ইচ্ছে করেন, তাহলে টাকা বেশি খরচ হবে। ইন্দোনেশিয়ার সেকেন্ড হোম ভিসা সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানে আবার অনেকে জানে না, তাই এক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়ার সেকেন্ড হোম ভিসা খরচ হতে পারে ১৮ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২১ লক্ষ টাকার মতো।
ইন্দোনেশিয়া ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার কিছু কাগজপত্র লাগতে পারে। তাই ইন্দোনেশিয়া ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, আপনার কি কি কাগজ লাগতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।
আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ায় কাজের জন্য অথবা ভ্রমণ ভিসা যাওয়ার জন্য ইচ্ছা করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে আপনার যে কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন তা অবশ্যই নিতে হবে। চলুন এই ধরনের ভিসার জন্য কি কি কাগজ লাগতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।
- আপনি অনলাইনের মাধ্যমে যে আবেদন করেছেন সেই পূরণ করা কপিটা প্রিন্ট করে নিতে হবে।
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি সঙ্গে নিতে হবে দুই কপি।
- কমপক্ষে ছয় মাস পাসপোর্ট এর বয়স হওয়া লাগবে।
- যে কোম্পানির কাছে আপনি চাকরি করার জন্য অনুমতি পেয়েছেন সেই কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি লাগবে।
- আপনার যদি ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি থাকে সেটাও প্রয়োজন হবে।
- যদি এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করে থাকেন সেক্ষেত্রে এজেন্সি কে আপনি একটি চিঠি দিতে হবে।
উপরোক্ত কাগজপত্র ছাড়া আরও হয়তো অনেক কিছু লাগতে পারে সেজন্য আপনি আপনার এজেন্সির মাধ্যমে জেনে নিবেন, তাহলে আর সমস্যা হবে না।
ইন্দোনেশিয়া কাজের ভিসা
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি ইন্দোনেশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয়? সম্পর্কে এখন জানবো কাজের ভিসা সম্পর্কে। তাই এ সম্পর্কে জেনে তারপরে আপনি ইন্দোনেশিয়া যাবেন। চলুন এ সম্পর্কে জানা যাক।
ইন্দোনেশিয়ার কাজের ভিসার সম্পর্কে অনেকে হয়তো জানে না, তাই ইন্দোনেশিয়ার কাজের জন্য যদি আপনি যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, তাহলে আপনার এ সম্পর্কে জানা লাগবে। যে জিনিসগুলো আপনাকে জানতে হবে চলুন সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। যেমন ইন্দোনেশিয়া কয় ধরনের যাওয়া যেতে পারে, ইন্দোনেশিয়ায় কি কি কাজ করে থাকে বাঙালিরা।
এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার বেতন কি রকম হতে পারে, তাছাড়া ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার জন্য যে ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন সেটা জানতে হবে। ইতিমধ্যে কি কি ডকুমেন্ট লাগে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া অনেক সুন্দর একটি প্রাকৃতিক দেশ যা মানুষ সাধারণত ভ্রমণ করার জন্যই বেশি গিয়ে থাকে।
এছাড়া অনেকে ব্যবসা করার জন্য যায়, যেহেতু আপনি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার রুপি। এছাড়া আপনার দুই মাস আগে বিমানের টিকিট কাটতে হবে, আর আপনি যদি যাওয়ার দুদিন আগে টিকিট কাটেন সেক্ষেত্রে আপনার খরচ ৪০ থেকে ৫৫ হাজার রুপি হতে পারে।
ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ খরচ কত
ইন্দোনেশিয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরপুর তাই আপনি যদি ভ্রমণ করতে চান, সেই ক্ষেত্রে কি পরিমান খরচ হতে পারে। তাই ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ খরচ কত? সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনার সুবিধা হবে নিম্নে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো,
দক্ষিণ এশিয়ায় ভ্রমণ করার জন্য সবচাইতে অন্যতম ইন্দোনেশিয়া, যেখানে আপনি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পারবেন এবং খুবই ভালো লাগবে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমণ করতে যায়।
তবে অন্যান্য দেশের চেয়ে ইন্দোনেশিয়ায় খরচ একটু বেশি হতে পারে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার দুটি ভ্রমণ প্যাকেজ থাকে, ইন্দোনেশিয়ায় ৬০ দিনের যদি ভ্রমণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারবে আর ২ লাখ টাকার মত আর ১৮০ দিনের ৪ লাখ টাকার মত খরচ হবে।
এছাড়াও ইন্দোনেশিয়ায় অন্যান্য খরচ সহ কত টাকা খরচ হতে পারে, নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো চলুন জানা যাক।
- এয়ার টিকিট মালিন্দ এর মাধ্যমে যদি যেতে চান তাহলে খরচ পড়বে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার মত।
- হোটেল ভাড়া এক রাতে খরচ হবে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মত।
- খাবার খরচ একজন ব্যক্তির ১০০০ থেকে ২ হাজার টাকার মত।
- বাইক ভাড়া একদিনের জন্য খরচ হবে ৬০ হাজার রুপি মত।
- আনুষঙ্গিক এন্ট্রি ফি লাগবে ৫০০০ থেকে ২০ হাজার রুপির মত।
- বিভিন্ন এট্রাকশনে এন্ট্রি ফি ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার রুপির মত খরচ হবে।
ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ায় কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে পারমিট ভিসা নিতে হবে। তাই ইন্দোনেশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে জানা খুবই জরুরী। সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক, ইন্দোনেশিয়ায় দুই ভাবে কাজ করা যেতে পারে। প্রথম হলো যদি কোন কোম্পানির মাধ্যমে সরাসরি কাজের জন্য কোম্পানি আপনাকে হায়ার করে থাকে তাহলে আপনার ইন্দোনেশিয়া যাওয়া যাবে।
আর দ্বিতীয় হল এজেন্সির মাধ্যমে যদি আপনি ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে মনে রাখবেন ইন্দোনেশিয়া সাধারণ শ্রমিকদের জন্য কোন রকম ভিসা প্রোভাইড করে না। এটা হয়তো শুনে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে তাহলে সেখানে কারা যেতে পারে। আসলে কারা যেতে পারবে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আইনজীবী এছাড়া আপনি যদি কোন একটি প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষক হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনি ইন্দোনেশিয়া কাজের বিষয় যেতে পারবেন। তাছাড়া ইন্দোনেশিয়ার যদি আপনি একেবারে লো ক্যাটাগরির কাজের জন্য যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে যে কাজগুলো করা যাবে।
যেমন ক্লিনার, দোকানে হেল্পার শপিং মলের ক্লিনার এই সকল কাজে আপনার যাওয়া ঠিক হবে না বা অনুমতি পাবেন না। এছাড়া যদি আপনি হাই প্রফেশনাল ক্যাটাগরি নিয়ে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি ইন্দোনেশিয়ায় যেতে পারবেন।
আবার অনেকে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে সেখানে গিয়ে জবের জন্য সিভি সাবমিট করে থাকে। যদি গ্রহণ করে তাহলে আপনি সেখানে পারমিট হিসেবে চাকরি করতে পারবেন। আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ার কাজের জন্য যান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার এটা ভুল সিদ্ধান্ত হবে।
আপনি ব্যবসা করতে অথবা ঘুরে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যদি ইন্দোনেশিয়া যেতে চান, তাহলে ইন্দোনেশিয়া অনেক সুন্দর একটি দেশ সেখানে আপনি ঘুরে বেড়াতে পারবেন। এতে কোন সমস্যা নাই, তাই আশা করি আশা করি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
ইন্দোনেশিয়া টাকার মান
অনেকেই ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জানা উচিত ইন্দোনেশিয়া টাকার মান সম্পর্কে। তাহলে একটি ধারণা পাবেন যে আপনার বেতন কত হতে পারে। চলুন এ সম্পর্কে জানা যাক,
বাংলাদেশের ১ টাকা সমান সাধারণত আমরা ১০০ পয়সায় ধরে থাকে। ইন্দোনেশিয়ার ১ টাকা সমান ১ হাজার পয়সা ধরা হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন ইন্দোনেশিয়ার টাকার মান বাংলাদেশের চাইতে অনেক কম। চলুন, কত টাকা সমান কত টাকা হতে পারে নিম্নে জানা যাক।
- বাংলাদেশী ১ টাকা সমান বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার ১২৯. ৪৮ ইন্দোনেশিয়ান রুপি।
- বাংলাদেশের ১০০ টাকা সমান বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার ১২৯৪৮.৩৪ ইন্দোনেশিয়ান রুপী হবে।
- বাংলাদেশের ১০০০০ টাকা সমান বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার ১২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৩৩.৭১ রুপি।
- বাংলাদেশের ১০ লক্ষ টাকা সমান ইন্দোনেশিয়ার বর্তমানের ১২ কোটি ৯৪ লক্ষ ৮৩ ৩৭১.৩৮ ইন্দোনেশিয়ান রুপি হবে।
উপরোক্ত এই নিয়মটা হয়তো কম বেশি হবে, তাই আপনারা এ ধরনের একটি অ্যাপস পাওয়া যায়। যার মাধ্যমে আপনি সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া যেতে কত সময় লাগে
অনেকে প্রশ্ন করে যে, বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া যেতে কত সময় লাগে? তাই বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার সময় কত হতে পারে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন জানা যাক,
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার দূরত্ব প্রায় কয়েক হাজার কিলোমিটার এর মত হবে। বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি ইন্দোনেশিয়ায় স্থলপথে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন,
সেই ক্ষেত্রে আপনার সময় লাগতে পারে ১৫০ ঘন্টা এক কথায় বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার সময় লাগতে পারে ৬ দিন ৬ ঘন্টার মত।
আর যদি আপনি বিমানের মাধ্যমে যাওয়ার ইচ্ছা করেন, সে ক্ষেত্রে ১ দিনের মধ্যেই আপনি ইন্দোনেশিয়ায় যেতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে সরাসরি বিমানে যাওয়া যায় না। তাই ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার জন্য একটি অথবা দুটি বিরতি দেওয়ার লাগতে পারে।
তাই বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি ইন্দোনেশিয়ায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে মাঝখানে মালেশিয়ার কুয়ালালামপুর বিরতি দেওয়া লাগবে। এজন্য ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর জন্য আপনার সময় লাগবে ৭ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মত আর সর্বোচ্চ লাগতে পারে ১৬ ঘন্টা ৫৫ মিনিটের মত।
বাংলাদেশ টু ইন্দোনেশিয়া বিমান ভাড়া
অনেকে ইন্দোনেশিয়ার বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানতে চায়, তাই বাংলাদেশ টু ইন্দোনেশিয়া বিমান ভাড়া সম্পর্কে জেনে তারপর এই দেশে যাওয়া ভালো হবে। চলুন এ সম্পর্কে জানাবেন,
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার জন্য মালয়েশিয়া অথবা সিঙ্গাপুরের যেকোনো একটা জায়গায় আপনাকে ট্রানজিট হয়ে যাওয়া লাগবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে যদি ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করেন সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটা বিমান মালয়েশিয়া দিয়েই যেতে হবে।
অথবা সিঙ্গাপুর বিরতি দেওয়া লাগতে পারে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার জন্য কোন বিমানে কি রকম ভাড়া হবে সেটা জানা দরকার। চলুন জেনে নেওয়া যাক,
এয়ার এশিয়াঃ যদি আপনি এয়ার এশিয়ার বিমান এর মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে খরচ হতে পারে ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে ৩৫ হাজার ৫৬০ টাকা।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনঃ যদি আপনি এয়ার এশিয়ার বিমান এর মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ায় যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে ৪৫ হাজার ৮০০ থেকে ৪৯ হাজার ৪৫০ টাকা খরচ হবে।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সঃ আপনি যদি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এই বিমানে বিমানের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ায় যেতে চান, তাহলে খরচ পড়বে ৫২ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে ৫৮ হাজার ৫৫০ টাকা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সঃ আপনি যদি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে যাওয়ার ইচ্ছা করেন, তাহলে খরচ পড়বে ৮৯৯০০ টাকা থেকে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৫০ টাকার মত।
ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্সঃ আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ায় ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যেতে চান, সেক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৭৮ হাজার ৯৯৯০ টাকা থেকে ৮৫ হাজার ৯০০ টাকা।
থাই এয়ারওয়েজঃ আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ায় থাই এয়ারওয়েজ বিমানের মাধ্যমে যাওয়ার পরিকল্প করেন, সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৬৭ হাজার ৫৯০ টাকা।
এমিরেটস এয়ারলাইনঃ আপনি ইন্দোনেশিয়ায় যদি এমিরেটস এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে খরচ হবে ৮৯ হাজার ৬৫০ টাকা থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৭০০ টাকা।
কাতার এয়ার ওয়েজঃ আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ায় কাতারে এয়ারওয়েজ বিমানের মাধ্যমে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে আপনার খরচ হবে ৭৬ হাজার ৯৮০ টাকা থেকে ৮৮৪৫০ টাকার মত।
শেষ কথাঃ ইন্দোনেশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয় ও বেতন সম্পর্কে জেনে নিন
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে কোন কাজের জন্য কত টাকা খরচ হবে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই ইন্দোনেশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয়? সম্পর্কে আর্টিকেলের বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url