খেজুর খেলে কি ওজন কমে না বাড়ে বিস্তারিত জেনে নিন

অনেকে প্রশ্ন করে থাকে যে খেজুর খেলে কি ওজন কমে? খেজুরের মধ্যে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা খাওয়ার কারণে আপনার ওজন করতে পারে। চলুন, খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে কিভাবে আপনার ওজন কমাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমাতে চান, সেই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো একটি ফল খেজুর। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে, যা আপনি খাওয়ার ফলে ওজন কমাতে পারে। তাই খেজুর খেলে কি ওজন কমে? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃখেজুর খেলে কি ওজন কমে না বাড়ে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

খেজুর একটি মিষ্টি জাতীয় ফল যা অনেকেই পছন্দ করে। তাই প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

খেজুর কে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়ে থাকে, কারণ এর মাঝে ভিটামিন ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে জিংক পাওয়া যায়। যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন, খেজুরের উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক।

খেজুরের মধ্যে এক ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবে এবং রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এছাড়াও এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম থাকার কারণে আমাদের শরীরে আঁশের যোগান দেয়। এছাড়া ডায়েটের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করবে, শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো এই খেজুরের মধ্যে পাওয়া যায়।

যারা রক্ত স্বল্পতায় ভুগছেন তারা নিয়মিতভাবে খেজুর খেতে পারেন। কারণ এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা একজন মানুষের ১১ ভাগ আয়রনের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। যারা চিনি খেতে পছন্দ করেন না বা ক্ষতি হতে পারে, তারা চিনির পরিবর্তে এই খেজুর খেতে পারবেন। মিষ্টি জাতীয় জিনিসের পরিবর্তে খেজুর খেলে আপনার মিষ্টির চাহিদা মিটাবে।

এছাড়াও হৃদস্পন্দনের হারকে ঠিক রাখতে পারে, কারণ এর মাঝে খনিজ পদার্থ থাকে যা হার্টের সুস্থতা রাখতে ভালো কাজ করে।

খেজুরের মধ্যে সোডিয়াম থাকে যা উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এজন্য যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ডায়েট হিসেবে খেজুর খাওয়া যেতে পারে।

খেজুরের মধ্যে লিউটেন ও জিক্সাটিন থাকে যা আমাদের চোখের রেটিনা কে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে যারা কোষ্ঠকাঠিন্য ভুগছেন তারা এই খেজুর খেতে পারেন। কারণ এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার বা আঁশ যুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে আপনার পায়খানা কে নরম করবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে, যা আপনার এই কোষ্ঠকাঠিন্য কে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

যারা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন বা অসুস্থ হয়ে থাকেন যেমন হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এ ধরনের সমস্যা যাদের রয়েছে। তাদের সাধারণত প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় আর এই ধরনের রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য আপনি খেজুর খেতে পারেন। কারণ খেজুরের মধ্যে আন্টিএক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।

যারা হৃদরোগে ভুগছেন তারা সাধারণত খেজুর খেতে পারেন। কারণ এর মাঝে পটাশিয়াম থাকে যা আপনার খারাপ কোলেস্টরকে দূর করতে সাহায্য করবে এবং হৃদরোগ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।

খেজুরের মধ্যে এক ধরনের ফ্রুক্টজ থাকে যা আমাদের শরীরে এনার্জি বা শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে। তাই আপনি শারীরিক পরিশ্রম করার পূর্বে দুই থেকে তিনটা খেজুর খেয়ে নিতে পারেন, এতে আপনি শরীর অনেক শক্তি পাবেন। কারণ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে যা আমাদের শক্তি জাগাতে সাহায্য করে।

যাদের ত্বকের সমস্যা রয়েছে বিভিন্ন ব্রণ উঠে থাকে এছাড়াও ত্বককে উজ্জ্বল করার জন্য এবং বয়সের ছাপ যেন না দেখা যায় এই ধরনের সমস্যা যারা ভুগছেন, তারা নিয়মিতভাবে খেজুর পেতে পারেন। এতে আপনার এই ধরনের সমস্যা দূর হবে। এছাড়াও যারা যকৃত রোগব্যাধির সমস্যায় ভুগছেন তারাও খেজুর খেতে পারেন। আপনার যকৃত সমস্যার সমাধান হবে।

খেজুর খেলে কি ওজন কমে

যারা অনেক স্বাস্থ্যবান বা মোটা হয়ে গেছে তারা জানতে চায় যে খেজুর খেলে কি ওজন কমে? ওজন কমানোর জন্য চিকিৎসকরা অনেক খাবার মেইনটেইন করে খেতে বলেন, তার মধ্যে খেজুর একটি অন্যতম। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

খেজুর এর মধ্যে প্রাকৃতিক চিনি আছে যা তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে ভিটামিন বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, এছাড়া আরো অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। খেজুরের মধ্যে ফাইবার থাকার কারণে পরিপাকতন্ত্রকে সাহায্য করে থাকে।

যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিতভাবে খেজুর পেতে পারবেন। এতে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকে এই উপাদানগুলো আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

খেজুর কিভাবে ওজন কমায় চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানা যাক, খেজুরের মধ্যে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই অল্প বয়সী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত এই খেজুর খাওয়া প্রয়োজন। খেজুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, হাড়কে মজবুত করতে পারে, এছাড়াও এটা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

খেজুর লৌহ সমৃদ্ধ একটি ফল যা ওজন কমাতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দিতে পারবে। খেজুরের মধ্যে আঁশ থাকার কারণে দীর্ঘক্ষন পেট ভরা থাকে, এজন্য অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখা যায় এতে করে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

খেজুরের মধ্যে প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি করবে না। আমরা জানি যে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় যেমন চিনি জাতীয় যত খাবার রয়েছে, সেগুলো যদি আমরা খাই তাহলে আমাদের ওজন বৃদ্ধি পাবে।

তাই এই মিষ্টি বা চিনি জাতীয় খাবারের পরিবর্তে যদি আমরা খেজুর খাই তাহলে আমরা প্রাকৃতিক মিষ্টি পাবো, যার মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি পাবে না বরং ওজন কমতে সাহায্য করবে।

খেজুর অত্যাধিক মিষ্টি এবং পুষ্টিগুণ ভরপুর এর ভিতর কম ক্যালরি থাকে, যার কারণে আপনি যদি খেজুর নিয়মিত ভাবে ২ থেকে ৩টি খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন কমতে সাহায্য করবে।
খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা আপনার ওজন কমতে সাহায্য করবে। প্রোটিন শরীরের স্বাস্থ্যকর বজায় রাখতে পারে এবং পেশির কার্যকারিতা সচল রাখতে পারে। এই পুষ্টি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

খেজুরে অন্থোসায়ানিন, ফেনোলিক্স এবং ক্যারোটিনয়ের্ডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিক্যাল এর সাথে লড়াই করতে পারবে এবং আপনার স্ট্রেস ও প্রদাহর বিরুদ্ধে কাজ করতে সাহায্য করবে। যাতে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

শরীরের পেশি ও হাড় শক্তিশালী করার জন্য ক্যালসিয়ামের, ভিটামিনের ও মিনারেলের প্রয়োজন হবে। আর খেজুরে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল পেশীকে ও হাড় কে গঠন, মজবুত করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কম এবং ওজন বাড়াতেও কিন্তু খেজুর সাহায্য করে, তাই আপনি নিয়মিত এটা খেতে পারেন।

সব ফ্যাট কিন্তু শরীরের জন্য খারাপ করবে না, তার মধ্যে খেজুর অন্যতম। কারণ খেজুরের মধ্যেও চর্বি থাকে যেটা আমাদের শরীরের জন্য উপকার। এই ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তাই প্রতিদিন আপনি তিন থেকে চারটি খেজুর খেতে পারেন, এতে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

আপনি যদি কয়েকটি খেজুর খেতে পারেন তাহলে আপনার ক্ষুধা অনেকটাই কমে যাবে। পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণ করবে। এছাড়াও শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতিটাও পূরণ করবে। কারণ এর মাঝে ভালো পরিমাণ ক্যালরি থাকার কারণে শরীরকে কর্মক্ষম করতে পারবে। বিশেষ করে কঠিন পরিশ্রমের সময় বা সারাদিন না খেয়ে আছেন তারপর তিন-চারটা খেজুর খেতে পারেন এতে শরীরে শক্তি পাবেন।

খেজুরের মধ্যে যে ফাইবার থাকে সেটি ভালো ব্যাকটেরিয়া সংখ্যা বাড়ানো ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে। এটা আমাদের অন্ত্রের কার্যপ্রণালী ঠিক রাখবে, এতে উপস্থিত ফেনোলিক এসিড অ্যান্ড অক্সিডেন্ট প্রদাহ ও জ্বালা কমাতে সাহায্য করবে। তবে খেজুর অবশ্যই পরিমাণমতো খাওয়া লাগবে এজন্য প্রতিদিন আপনি ৩ থেকে ৪টি খেজুর খেতে পারেন, এতে আপনার শরীরের উপকার হবে।

প্রতিদিন কয়টি খেজুর খাওয়া উচিত

আমরা জানি খেজুর আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার কিন্তু প্রতিদিন কয়টি খেজুর খাওয়া উচিত? সে সম্পর্কে অনেকে হয়তো জানিনা। চলুন, কিভাবে খেজুর খেলে আপনার শরীরের উপকার হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

খেজুর যেহেতু প্রাকৃতিক মিষ্টি ফল এর মাঝে খেজুর কে আমরা চিনির বিকল্প হিসেবে খেতে পারি। বিভিন্ন দুধ জাতীয় খাদ্যের চিনির পরিবর্তে খেজুর মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে নিয়মিত বেশি পরিমাণে খেজুর খেলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

একজন ব্যক্তি দিনে কতটি খেজুর খেতে পারবে সেটা নির্ভর করবে তার শরীরের অবস্থার উপরে। একজন সুস্থ ব্যক্তি সকালে মধ্যকালীন নাস্তা অথবা বিকালের নাস্তায় ২ থেকে ৩টি খেজুর খাওয়া যাবে। 

যারা ব্যায়াম বা কঠোর পরিশ্রম করে থাকে, তারা পরিশ্রম শেষ করে তার থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে পারবে। আর যারা ওজন বাড়াতে চাচ্ছেন তারা দুধের সাথে কয়েকটি খেজুর মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার কারণে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। প্রতিদিন কতগুলো খেজুর খাবে একেক জনের শরীরে একেক রকমের চাহিদা হয়ে থাকে। তবে একবারে অনেকগুলো খেজুর খাওয়া যাবে না।

কারণ খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা বেশি পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি কতগুলো খেজুর আপনার খাদ্য তালিকায় রাখবেন, সেটা একজন খাদ্য বিষয় পুষ্টি বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।

সাবধানতা;

খেজুর অনেক উপকার হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না। খেজুরে গ্লুকোজ থাকে যা রোগীর শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

যাদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে, তারা খেজুর খেলে আরো শরীরে পটাশিয়াম বৃদ্ধি পাবে। এদের সমস্যা দেখা দিতে পারে যারা ডায়ালাইসিস দিচ্ছেন তারা খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

খেজুরের নানা উপকারিতা থাকলেও সকাল-বিকাল খেজুর খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত যে কোন খাবারে বিপদ হতে পারে দিনে ৪ থেকে ৫টি খেজুর খাওয়া যাবে, এতে স্বাস্থ্যের উপকার।

৪ থেকে ৫টি খেজুর বা ১০০ গ্রাম খেজুর খেলে ২৭৭ ক্যালোরি পাওয়া যাবে, এটা মিষ্টি হওয়ায় বেশি খাওয়া যাবে না, তাহলে ওজন কমবে না বরং আরো বাড়বে।

খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়

খেজুর উপকার তাই বলে সব সময় খাওয়া যাবে না। এর একটি নির্দিষ্ট সময় আছে তাই খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। তাহলে আপনার শরীরে উপকার করবে, চলুন সে সম্পর্কে জানা যাক।
ছবি
খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে এবং পুষ্টি থাকে। তাছাড়া ফাইবার ও আছে যা আমাদের খাদ্য হজম করতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে আন্টিএক্সিডেন্ট থাকে যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবে। রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে, এছাড়াও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

তবে অধিক মিষ্টি ও ফাইবারের সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে ফলটি সঠিক সময়ে যদি না খেতে পারেন, তাহলে আপনার উপকার হবে না। এই ফলটি কাঁচা খাওয়া যাবে না, সারারাত ভিজিয়ে রাখার পরে অনেকেই খেয়ে থাকে যা এটাও ঠিক নয়। আবার অনেকে খালি পেটে খেতে পছন্দ করে যা এটাও ক্ষতিকর আছে। আসলে খেজুর কিভাবে খেলে উপকার পাওয়া যাবে চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

প্রাকৃতিকভাবে এর মধ্যে চিনির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে রক্ত শর্করা বৃদ্ধি করে না। এজন্য আপনি সকালবেলা যখন হাঁটতে বা ব্যায়াম করতে যাবেন, তখন ৩০ মিনিট আগে ২ থেকে ৪টি খেজুর খাওয়া যেতে পারে। এটা আপনার শরীরে ক্যালরি বৃদ্ধি পেলেও ব্যায়াম করার কারণে আপনার ক্যালোরি টা কমে যাবে।

আবার এর মাঝে ফাইবার থাকার কারণে আপনি হয়তো বেশি খেতে পারেন, এজন্য এটাও ঠিক হবে না। তাই যখন ঘুমাবেন তার পূর্বে ২-১টি খেজুর খাওয়া যেতে পারে।
এতে আপনার শরীরের ভিতরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করতে পারবে এবং ভালো ব্যাকটেরিয়া গুলো বৃদ্ধি করবে। এতে আপনার সকালবেলা পেট পরিষ্কার হবে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।

আপনার লিভারকে যদি সুস্থ রাখতে চান, সেই ক্ষেত্রে খেজুর খাওয়া যেতে পারে। কেননা গবেষণায় দেখা গেছে যে এর মাঝে ক্যালরি থাকার কারণে এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটা লিভারকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।

সর্বোপরি কথা হলো যে সকাল বেলা খেজুর খাওয়া সবচেয়ে ভালো কাজ করবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই খালি পেটে খেলে অনেকের পেটের সমস্যা হতে পারে, এজন্য কিছু একটা হালকা নাস্তা করে তারপরে খাবেন এতে উপকার পাবেন।

রাত্রিতে খাওয়ার কারণে আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে সেই ক্ষেত্রে উপকার হবে। এছাড়া চাইলে খেজুরের গুড় খাওয়া যেতে পারে এতে কোন সমস্যা নাই। খেজুর বিভিন্ন ধরনের উপকার করে তাই আপনি নিয়মিত ভাবে পরিমাণ মতো খেতে পারবেন।

বিশেষ করে নিয়মিত কেউ যদি খেজুর খেতে পারে, তাহলে তার শরীরের মধ্যে এন্টিঅক্সিডেন্ট বাড়তে থাকবে। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীরাও মিষ্টি জাতীয় খাবারে পরিবর্তে খেজুর খেলে তাদের মিষ্টির চাহিদাটা পূরণ হয়ে যাবে। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং শরীরে অনেক উপকার করবে।

চলুন, এখন জেনে নেওয়া যাক কখন খেজুর খেলে আপনার ঠিক হবে এবং কখন খেলে আপনার খাওয়া ঠিক হবে না যেমন যাদের বদহজমের সমস্যা আছে অর্থাৎ আইবিএস এর সমস্যা রয়েছে তারা খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।

কারণ এতে আপনার ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, খেজুরের মধ্যে সরবিটল নামক সুগার থাকে যা আপনার আইবিএস কে আরো বৃদ্ধি করে দিতে পারে, এছাড়াও ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।

খেজুরের মধ্যে ফ্রুক্টজ থাকে যার কারণে এলার্জির সমস্যা হতে পারে, যাদের অ্যালার্জি সমস্যা আছে তারা এই খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। যদি আপনার সমস্যা না হয় তাহলে ২-১টা খেতে পারেন।

খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি খেজুর খেলে কি ওজন কমে? এখন জানবো কিভাবে ওজন বাড়ে? চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানা যাক, নিম্নে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে অর্থাৎ একটা খেজুরের মধ্যে ২৩ থেকে ২৮ ক্যালোরি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ৩০ গ্রাম খেজুরের মধ্যে ৯২ ক্যালরি পাবেন এবং ১০০ গ্রাম খেজুরের মধ্যে ২৮২ কিলোগ্রাম থাকবে।

খেজুরের সাথে এক গ্লাস দুধ যদি নিয়মিতভাবে খেতে পারেন সকাল এবং রাত্রিতে তাহলে আপনার ওজন বাড়তে থাকবে। কারণ অল্প খেজুর খাওয়ালেও অনেক পরিমাণ ক্যালরি বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে বড় খেজুরে ৩০০ থেকে ৩৫০ ক্যালোরির মত রয়েছে।

আর ছোট খেজুরগুলোর মধ্যে ২৫০ থেকে ২৭০ ক্যালরি থাকে, তাই আপনি যদি অত্যন্ত চিকন বা হালকা পাতলা হয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে ওজন বাড়াতে চাইলে আপনি নিয়মিতভাবে খেজুর খেতে পারেন। দুধের সাথে মিক্স করে খেতে পারেন তাহলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। সে ক্ষেত্রে খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন তা না হলে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয়

আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন, তা না হলে আপনার শরীরের ক্ষতি হতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভবতী মায়েরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পছন্দ করে থাকে, খেজুর একটি নরম এবং মিষ্টি জাতীয় ফল এটাও তারা খেতে পছন্দ করবে। নারীরা সাধারণত খেজুর খেতে পছন্দ করে থাকে। খেজুর খেলে গর্ভাবস্থায় লেবার পেইন অনেকটাই কম হবে।

এটা একটা আঞ্চলিক কথা কিন্তু তারপরও গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে ইউটেরাসের সংবেদনশীলতা কমতে থাকে এবং অনেক শক্তিশালী করতে পারবে। যার কারণে প্রসব ব্যথা অনেকটাই কম হয়।

গবেষণা দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় ৩৫ সপ্তাহ পর থেকে প্রতিদিন ছয়টা করে খেজুর একজন গর্ভাবতী মাকে খাওয়ানো হয়েছিল, সেক্ষেত্রে তার গর্ভস্থ শিশুর অনেক উপকার হয়েছে ও ব্যথা কম হয়েছে।

আরো একটি গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় যদি কোন মা খেজুর খায়, সে ক্ষেত্রে তাদের সার্বিক্স আরো একটু বেশি ফ্লেক্সিবল হবে যার কারণে প্রসব করতে সহজ হয়ে থাকে। কেননা খেজুর লেবার পেইন কমিয়ে দিতে পারবে। যার কারণে একজন গর্ভবতী মায়ের অনেক কষ্ট কম হয়ে থাকে।
সন্তান প্রসবের পূর্বে একজন মায়ের শক্তির প্রয়োজন আছে, এজন্য সুস্থ সন্তান জন্মগ্রহণ করার জন্য অতিরিক্ত শক্তির দরকার, খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে যা গর্ভাবস্থায় যদি খেজুর খেয়ে থাকে তাহলে সে অনেক শক্তি পাবে।

খেজুরের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট থাকে এছাড়াও ফ্রুক্টজ এবং সুক্রোজ থাকার কারণে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও খেজুরের মধ্যে গ্লুকোজ থাকে যা গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্লুকোজের চাহিদা পূরণ করে থাকে, এজন্য গর্ভবতী নিয়মিতভাবে খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৮০ গ্রাম এর মত খেজুর খাওয়া লাগবে। একজন গর্ভবতী মা হিসেবে সার্বিক্স মজবুত করবে, যার কারণে কৃত্রিমভাবে ওষুধ দিয়ে প্রসব ব্যথা তৈরি করার প্রয়োজন লাগবে না। এতে স্বাভাবিকভাবে প্রাকৃতিক উপায় প্রসব হয়ে যাবে এবং ব্যথা কম করতে পারে।

দ্রুত সন্তান প্রসবের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে রক্ত বের হয়, এজন্য মা অনেক দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং রক্তস্বল্পতা হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় আয়রন সাপ্লিমেন্টারি খাওয়ার পাশাপাশি খেজুর খাওয়া যাবে।

কেননা খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে এবং একজন মানুষের এই আয়নের চাহিদা পূরণ করে থাকে এবং দ্রুতগতিতে রক্ত বৃদ্ধি করে। তাই একজন গর্ভবতী মায়ের নিয়মিতভাবে খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।

খেজুর খাওয়ার অপকারিতা

ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি খেজুর খেলে কি ওজন কমে? এখন জানবো এর অপকারিতা সম্পর্কে। অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে। তাই অতিরিক্ত খেজুর খেলে আমাদের কি ক্ষতি হতে পারে, সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

মিষ্টি জাতীয় এই শুকনো ফলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের শরীরের জন্য কারণ এর ভেতরের প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে পারে। আবার ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও ভাল কাজ করে। পরিমাণ মতো খেলে আবার ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। তবে পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া যাবে না।

এতে শরীরের ক্ষতি হবে, খেজুরের মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যা অতিরিক্ত খেলে শরীরে ক্ষতি হয়। এজন্য আপনার পেটের সমস্যা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ওজন বেড়ে যাওয়া আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে পেটের ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

পেটের সমস্যাঃ অনেকেই ফলটি খুবই পছন্দ করে থাকে, কারন এটি একটি শুকনো জাতীয় ফল আকারে খুবই ছোট মিষ্টি যার কারণে অনেকেই পছন্দ করে। খেজুরের মধ্যে থাকে সালফেট যা শরীরে যখন প্রবেশ করে তখন পেটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস্টিকের সমস্যা হয়, তাছাড়া পেট ফাঁপা দেওয়া, ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, খেজুর খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। তবে অতিরিক্ত ফাইবার থাকার কারণে যদি আপনি অতিরিক্ত খান তাহলে আরও ডায়রিয়া হতে পারে।

ত্বকের সমস্যাঃ খেজুরের মধ্যে যে সালফেট থাকে এই রাসায়নিক থাকার কারণে শরীরের ভিতরে আমাদের প্রবেশ করলে বাইরে থেকে শরীরে ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও ত্বকের র‍্যাশ উঠতে পারে, চুলকানি হতে পারে, লাল হয়ে যেতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ওজন বেড়ে যাওয়াঃ যাদের আগে থেকেই অনেক ওজন আছে তারা খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। কেননা খেজুর খাওয়ার কারণে ওজন আরো বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে ক্যালোরি থাকে এজন্য অতিরিক্ত যদি খেয়ে ফেলেন তাহলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। তাই প্রতিদিন ৪টি খেজুরের বেশি খাবেন না। এতে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ হবে।

শ্বাসকষ্টের সমস্যাঃ অনেকে খেজুর খেতে পছন্দ করে থাকে তবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা যাদের আছে তারা এটা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা পুষ্টিবিদরা বলেছেন শ্বাসকষ্টের সমস্যা যাদের আছে তারা খেজুর না খাওয়াই ভালো। কারণ এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে এলার্জির সমস্যা হতে পারে।

আর এলার্জির সমস্যা হওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এজন্য খেজুর এলার্জির সমস্যা সৃষ্টি হলে, আপনার ভালো হবে এজন্য চিকিৎসকরা বলে থাকেন। যাদের অ্যালার্জি সমস্যা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

খেজুর খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে

ডায়াবেটিস রোগীরা সাধারণত মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করে, তাই তারা খেজুর খেতে পারে কিন্তু অনেকে প্রশ্ন করে থাকে যে খেজুর খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।
ছবি
ডায়াবেটিস রোগীরা সাধারণত মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া নিষিদ্ধ থাকে। কারণ এতে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পেতে পারে, তাই ডায়াবেটিস রোগীরা সাধারণত মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি বেশি আকর্ষণ থাকে। এজন্য তারা মিষ্টি জাতীয় খাবারের পরিবর্তে অনেক সময় খেজুর খায় তাহলে তারা এই মিষ্টির চাহিদা মেটাতে পারবে।

খেজুর একটি মিষ্টি জাতীয় ফল যা আমাদের মিষ্টি চাহিদা পূরণ করবে। এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন থাকে ভিটামিন রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে খেজুর খাওয়ার কারণে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং স্বাস্থ্যের জন্য তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে, তাহলে আরো ক্ষতি হবে।

তবে ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত খেজুর খাওয়ার কারণে অনেক উপকার পাবে, এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ১ অথবা ২টার বেশি খাওয়া যাবে না। ১ থেকে ২টা খেজুর খাবে এর বেশি খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে।
তাই আপনি স্বাভাবিক খাওয়ার পাশাপাশি যদি এই মিষ্টি জাতীয় ফলটি খেতে পারেন। ১ থেকে ২টি খাওয়া যেতে পারে, তবে এর বেশি অতিরিক্ত খাবেন না। এতে শরীরে ক্ষতি হবে।

খেজুর একটু অত্যন্ত নরম ও মিষ্টি জাতীয় ফল হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পছন্দ করে। গবেষণায় দেখা গেছে ১০ জন ডায়াবেটিসের রোগীকে ৪ সপ্তাহ নিয়মিতভাবে ১০০ গ্রাম করে খেজুর খাওয়ানো হয়েছিল, ৪ সপ্তাহ পর তাদের ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পায় নাই, নিয়ন্ত্রণ ছিল এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ আছে।

আজোয়া খেজুর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক ভালো কাজ করে থাকে, এতে গবেষণা করে দেখা গেছে যাদের পুরনো ডায়াবেটিস আছে তারা আজওয়া খেজুর যদি খায় তাহলে ডায়াবেটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তবে এই ক্ষেত্রে সব ডায়াবেটিস রোগী আপনার খেজুর খাওয়া যাবে না।

এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হবে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া লাগবে। তাহলে আপনার ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পাবে না এবং অসুবিধা হবে না। আর যদি আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজেই অতিরিক্ত খান তাহলে আপনার ক্ষতি হবে।

শেষ কথাঃ খেজুর খেলে কি ওজন কমে না বাড়ে বিস্তারিত জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে, আপনি যদি ওজন কমাতে চান সেই ক্ষেত্রে খেজুর খেতে পারেন। তবে পরিমাণমতো খেতে হবে, তা না হলে আপনার ওজন আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

তাই খেজুর খেলে কি ওজন কমে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪