বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায় ও কত টাকা লাগে জেনে নিন
অনেকে কুয়েতে যেতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে যাবেন, হয়তো জানেন না। তাই বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার প্রয়োজন। চলুন, বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে কিভাবে যাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি বৈধভাবে কুয়েতে যেতে চান, তাহলে আপনাকে সেই উপায়গুলো জানতে হবে। তাহলে আপনি কুয়েতে নিরাপদে যেতে পারবেন এবং আপনার কোন সমস্যা হবে না। তাই বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায় ও কত টাকা লাগে জেনে নিন
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে চান, সে ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো,
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার জন্য আপনার খরচ হতে পারে। ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার মত আবার কারো এর থেকেও বেশি লাগতে পারে। কুয়েত যাওয়ার জন্য অবশ্যই সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে গেলে ভালো হবে।
কারণ সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে তুলনামূলক অনেক টাকা কম পাবেন। আর আপনি যদি দালাল সংস্থার মাধ্যমে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনার এক থেকে দুই লক্ষ টাকা বেশি লাগতে পারে। তাছাড়া আপনার কোন আত্মীয়-স্বজন যদি থাকে, তাহলে তার মাধ্যমে যোগাযোগ করলে আরো ভালো হবে।
কুয়েতে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটারগি থাকে, ভিসার দাম কত সেটা সঠিকভাবে বলা কঠিন। তবে অবশ্যই ধারণা করা যায় যে বর্তমানে বাংলাদেশে থেকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য অনেক খরচ হতে পারে ৬ থেকে ৮ লাখ টাকার মতো।
বর্তমানে বহুল প্রচলিত কাজের ভিসার মধ্যে অনেক কোম্পানির ভিসা আছে। ড্রাইভিং ভিসা ক্লিনার এবং রেস্টুরেন্টের ভিসা পাওয়া যায়। এছাড়া দালালের মাধ্যমে ভিসার দাম বেশি হতে পারে। তবে টুরিস্ট এবং স্টুডেন্ট এর ভিসা কম দাম হয়ে থাকে।
- স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে খরচ হবে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য খরচ হবে ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মত।
- টুরিস্ট ভিসা ভিসার জন্য খরচ ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার মতো।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে আপনি কিভাবে কুয়েতে যাবেন, সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি কুয়েতে বৈধভাবে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে দুই ভাবে যাওয়া যেতে পারে। সরকারিভাবে এবং বেসরকারি উপায়ে যেতে পারবেন। সরকারি উপায়ে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে বোয়েসেল এর মাধ্যমে আপনাকে যেতে হবে। এই ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে বিদেশ কর্মীরা যায়।
বেসরকারিভাবে বিভিন্ন বিশ্বস্ত এজেন্সি রয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে আপনি কুয়েত যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে কুয়েতে কাজের ভিসা যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা লাগবে। তারপরে এজেন্সির শরণাপন্ন হতে হবে, তারপর ভিসার জন্য প্রসেসিং করবে, এজন্য আপনাকে বেশি টাকা দেওয়া লাগবে।
চাইলে অনলাইনে আবেদন করা যেতে পারে, তবে এজন্য একটি কাজের অফার লেটার লাগবে, অনলাইনে বিভিন্ন চাকরির ওয়েবসাইটে কুয়েত জবের জন্য আবেদন করা যায় এবং তাদের অফার লেটার দিবে। এরপরে আপনাকে কুয়েত দূতাবাসে গিয়ে ভিসা প্রসেসিং করা লাগবে কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ দালালের মাধ্যমে ভিসা করে থাকে।
কুয়েতে কাজের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য বিশ্বস্ত উপায় হচ্ছে বাংলাদেশের সরকারি স্বীকৃত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে। আপনি যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে আবেদন করবেন। তারপরে এক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র এজেন্সি কে টাকা দেওয়া লাগবে।
আপনি চাইলে কোন কুয়েত প্রবাসী থেকেও এই এম্বাসিতে টাকা জমা দিতে পারবেন এবং ভিসা প্রসেসিং করা যেতে পারে। তাই আপনি কুয়েতে যাওয়ার জন্য যে প্রক্রিয়াটি রয়েছে, সেটা একটু কঠিন বা সময় সাপেক্ষ হতে পারে। এটা আপনাকে মানতে হবে চলুন, সেই ধাপগুলো জেনে নেওয়া যাক;
প্রথমে আপনি যে পেশায় যাওয়ার জন্য ইচ্ছা করছেন সে পেশার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা যদি থাকে, সেগুলো সংগ্রহ করা লাগবে এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণও গ্রহণ করতে হবে।
এজেন্সি নির্বাচনঃ এরপর আপনাকে এজেন্সি নির্বাচন করা লাগবে, বিশ্বস্ত এজেন্সি হতে হবে এবং অভিজ্ঞ এজেন্সি নির্বাচন করা লাগবে। তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং সেরা এজেন্সি নির্বাচন করতে হবে।
কাগজপত্রঃ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা লাগবে, পাসপোর্ট, জীবন বৃত্তান্ত ছবি মেডিকেল সনদ কাজের অনুমতি কাজের চুক্তিপত্র ভিসা আবেদনপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট, কাজের অভিজ্ঞতা প্রমাণ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি করোনা ভ্যাকসিন এর সার্টিফিকেট সকল কিছু আপনাকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
ভিসা আবেদনঃ সকল কাগজপত্র প্রস্তুত করা হলে এজেন্সির মাধ্যমে বা সরাসরি এর মাধ্যমে বোয়েসেল এর মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। ভিসা আবেদন পত্র পূরণ এবং ডকুমেন্টগুলো সাবমিট করা লাগবে।
মেডিকেল পরীক্ষাঃ ভিসা প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো মেডিকেল পরীক্ষা করা লাগবে। এই পরীক্ষার ফলাফলে যদি ভালো হয় তাহলে আপনি এর ফলাফলটি কুয়েত সরকারকে জমা দিয়ে দিবেন।
ভিসা প্রাপ্তিঃ ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ভিসা প্রাপ্তির অপেক্ষা করতে হবে। একবার ভিসা পেলে কুয়েতে যাওয়ার জন্য আপনি প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
ফ্লাইট বুকিংঃ ভিসাপ্রাপ্তির পরে কুয়েতে যাওয়ার জন্য ফ্লাইট বুক করা লাগবে, ফ্লাইটের তারিখ এবং সময় নির্বাচন করতে হবে এবং প্রস্তুতি নেওয়া লাগবে।
কুয়েতে পৌঁছানোঃ কুয়েতে পৌঁছানো এবং নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে যে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন। প্রথমে কুয়েতের আভ্যন্তরীণ আইন এবং নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা লাগবে।
কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। তাই আপনাকে জানতে হবে কোন কাজ ভালো এজন্য কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি? কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। তবে দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন আছে, এজন্য দেশটিতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার কোন কাজের চাহিদা কেমন।
সেই বিষয়ে জানার প্রয়োজন এবং সেই কাজের জন্য দক্ষতা অর্জন করে যেতে হবে। অভিজ্ঞতা যদি থাকে তাহলে আপনার চাহিদা থাকবে। প্রথমে আপনার যদি কোন কাজের প্রতি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে, সেই ক্ষেত্রে আপনি কুয়েতে গিয়ে অনেক টাকা বেতন পাবেন।
আর আপনার নতুন অবস্থায় তেমন একটা বেতন পাবেন না। কাজেও পাবেন না এজন্য কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা থাকা দরকার এবং কোন কাজের চাহিদা রয়েছে, সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
- কনস্ট্রাকশনের কাজ
- মেকানিক এর কাজ
- ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতে পারবেন
- শেফ এর কাজ
- ড্রাইভিং এর কাজ
- ক্লিনার এ কাজ করতে পারেন
- ওয়েল্ডারের কাজ
- রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করবেন
- শপিংমলে জব করতে পারবেন
- কোম্পানির জব করা যাবে
- প্লাম্বারের কাজ করবেন
- হোটেল রেস্টুরেন্টের জব করা যেতে পারে।
উপরোক্ত এই কাজগুলো কুয়েতের সবচেয়ে চাহিদা বেশি রয়েছে। তাই আপনি চাইলে যে কোন একটি কাজের দক্ষতা অর্জন করে এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনি বিদেশে গেলে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কারণ দক্ষ জনগণের চাহিদা রয়েছে।
কুয়েতের সর্বনিম্ন বেতন কত
আপনি যদি কুয়েতে যান সে ক্ষেত্রে আপনাকে আগে জানতে হবে। তাই কুয়েতের সর্বনিম্ন বেতন কত? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ইউরোপ দেশের কর্মীদের বেতন সাধারণত কম দিয়ে থাকে। তারপরেও কুয়েতের সর্বনিম্ন বেতন বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করে বেতন পাবেন। বর্তমানে প্রাইভেট সেক্টরে কুয়েতের সর্বনিম্ন বেতন ২৫০ ডলারের মত যা বাংলাদেশে টাকায় হবে ২৮ হাজার টাকা।
দেশটিতে সাধারণত প্রবাসীদের বেতন অনেক কম দেওয়া হয়ে থাকে। এদেশের সপ্তাহের সাধারণত ৪৮ ঘন্টা কাজ করা লাগে, প্রতিদিন কাজের মাঝে ১ ঘন্টা বিরতি রয়েছে।
কুয়েতে বেতন নির্ভর করে কাজের উপরে, দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। আর কিছু কাজের বেতন অনেক টাকা বেশি হয়, আবার কিছু কাজের তুলনামূলক কম বেতন হয়। বিশেষ করে ক্লিনারের ভিসায় যারা যাবেন তাদের বেতন একটু কম হবে। আরব দেশে ক্লিনারের ভিসায় আসলে যাওয়া ঠিক হবে না।
আপনার যদি কোন একটি কাজের অভিজ্ঞতা থাকে এবং দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি কুয়েতে গিয়ে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও কোম্পানির চাকরি ব্যাংক সেক্ষেত্রে আপনি ফিক্সড একটা স্যালারি থাকবে এবং তাছাড়া ওভারটাইম ব্যতীত আপনি খুব একটা বেশি ইনকাম করতে পারবেন না।
এজন্য আপনাকে ডিউটি করার পরে আরো অন্য কিছু করা লাগবে। তবে আপনার যদি উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি আরো অনেক টাকা বেতন পেতে পারেন। চলুন কোন কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে জানা যাক।
মোবাইল মেকানিকের কাজ করলে আপনার মাসিক বেতন হবে ১ লক্ষ ৭০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার মতো।
ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ করলে মাসিক বেতন ১ লক্ষ ৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মত।
গাড়ি মেকানিক্সের বেতন হতে পারে মাসে ১ থেকে আড়াই লক্ষ টাকার মতো।
এসি টেকনিশিয়ান এর কাজ করলে আপনার মাসিক বেতন হবে ১ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার মত
টেইলার্সের যদি কাজ করেন সে ক্ষেত্রে বেতন পাবেন মাসে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকার মত।
ড্রাইভিং এর কাজ করলে বেতন পাবেন মাসে ৬৫ থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মত।
ক্লিনার এর কাজ করলে বেতন পাবেন ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মত।
কনস্ট্রাকশনের কাজ অর্থাৎ রাজমিস্ত্রি পাইপ ফিটিং ওয়েল্ডিং, রড মিস্ত্রির কাজ যদি করেন সেক্ষেত্রে মাসে বেতন পাবে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার মত।
উপরোক্ত এই কাজগুলো যদি করেন সে ক্ষেত্রে আপনি বেতন কতটা মাসে এর চেয়ে আরো কম বেশি হতে পারে। আর আপনার যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আরো বেশি বেতন পাবেন।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কি কি লাগে
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। এখন জানবো বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য কিছু ডকুমেন্টস লাগবে, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগবে। এ সকল ডকুমেন্টস গুলো আপনাকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। চলুন, এ সম্পর্কে জানা যাক;
কুয়েতে যাওয়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে, সে কাগজপত্র গুলো আপনাকে সংগ্রহ রাখতে হবে। চলুন, সকাল কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে জানা যাক।
- বৈধ পাসপোর্ট লাগবে কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদী হতে হবে।
- জীবন বৃত্তান্ত লাগবে
- ভিসা আবেদনপত্র প্রয়োজন
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
- আবেদনকারীর মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে হবে
- কাজের অনুমতি পত্র লাগবে
- কাজের চুক্তিপত্র প্রয়োজন
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে
- পুলিশ ভেরিফিকেশনের সার্টিফিকেট লাগবে
- শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে যদি থাকে সে ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট দরকার হবে
- কাজের প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট থাকলে দিবেন
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র যদি থাকে তাহলে দিবেন।
- করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট প্রয়োজন যদি থাকে দিবেন।
উপরের এই কাগজগুলো খুবই প্রয়োজন। তাই আপনি আগে থেকেই এগুলো সংগ্রহ করে রাখবেন, তা না হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে
আপনি যদি কুয়েত যেতে চান, সে ক্ষেত্রে কত সময় লাগতে পারে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে? নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমানে যারা বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে চাচ্ছেন, তাদের মধ্যে অনেকে জানতে চায় বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে কত সময় লাগতে পারে। তাই আপনাকে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য সময় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কারণ আপনি কত সময়ের মধ্যে পৌঁছাবেন সে সম্পর্কে জানা দরকার। তাই চলুন, এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
যারা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কুয়েতে যাবেন, ননস্টপ ফ্লাইটে তাদের ক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে ৫ ঘন্টা ৪০ মিনিটের মত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬ ঘন্টা ২০ মিনিটের মত সময় লাগতে পারে।
তাছাড়া যদি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের লোকাল বিমানে যান যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার সময় লাগবে ১১ ঘন্টা ৪০ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ১২ ঘন্টা ২০ মিনিটের মত লাগতে পারে।
কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে
অনেকে জানতে চায় যে কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে? তাই বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি কুয়েতে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে সে ক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসার জন্য বয়সের সীমাবদ্ধতা নেই।
তবে কাজের ভিসা নিয়ে যদি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার সর্বনিম্ন ২১ বছর বয়স এবং সর্বোচ্চ ৩৫ বছর হতে হবে।
এক্ষেত্রে বয়স যদি কমবেশি হয়, তাহলে ভিসা পাবেন না। যদিও কুয়েতের কাজের জন্য সর্বনিম্ন বয়স ১৮ করেছে, সে ক্ষেত্রে ভিজিট ভিসার মাধ্যমে গিয়ে ভিসার ট্রান্সফার করা যেতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে কাজ করলে অবশ্যই বয়সের শর্ত পূরণ করা লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত বিমান ভাড়া কত
আপনি যদি কুয়েতে যেতে চান, সেক্ষেত্রে বিমানে যাওয়া লাগবে। আর বিমানের ভাড়া কম বেশি হতে পারে। তাই বাংলাদেশ থেকে কুয়েত বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনার একটা ধারণা পাওয়া যাবে চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি বিদেশ যেতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই জানা লাগবে যে বিমান ভাড়া কত। কেননা আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে বিমান ভাড়া করতে চান সেক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় প্রতারিত হওয়া লাগবে।
এজন্য অনেকেই বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে বিমান ভাড়া সম্পর্কে হয়তো জানেনা। বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাদের সুবিধার্থে নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো। কোন বিমানের কত ভাড়া সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য এয়ারওয়েজ বিমান ভাড়া ১ লক্ষ ১৬ হাজার থেকে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মত হবে।
বাংলাদেশ থেকে শ্রীলংকার এয়ারলাইন্স বিমান ভাড়া হবে ৭৮ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মত।
বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট দুবাই এই বিমান ভাড়া হবে ৭৮ হাজার থেকে ৩ লক্ষ ২২ হাজার টাকার মতো।
বাংলাদেশ থেকে কাতার এয়ারওয়েজ যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া হবে ৬৫ হাজার থেকে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মত।
বাংলাদেশ থেকে তুর্কি এয়ারলাইনস এই বিমানের মাধ্যমে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ভাড়া হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার মতো।
বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিগো এয়ার এয়ারওয়েজ যদি যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া হবে ৭৫ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।
বাংলাদেশ থেকে এয়ার এরাবিয়া বিমান ভাড়া হবে ৯৫০০০ থেকে ২৯৫০০০ টাকার মত।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায় ও কত টাকা লাগে জেনে নিন
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দুটি উপায়ে যাওয়া লাগবে। এক, সরকারি ভাবে যেতে পারবেন দ্বিতীয়ত বেসরকারিভাবে যাওয়া যাবে। তাই বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি উপকার হবে, পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url