মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত বিস্তারিত জেনে নিন

আপনি যদি মালয়েশিয়ায় উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার জন্য যেতে চান, তাহলে মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত হবে? সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, মালয়েশিয়ায় পড়াশোনার ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে এ সম্পর্কে জানা যাক।
ছবি
বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মতো মালয়েশিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। তাই আপনি খুবই কম খরচে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। তাই মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃমালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত বিস্তারিত জেনে নিন

মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা

আপনি যদি মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা উদ্দেশে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে ভিসা করা লাগবে। তাই মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্ন বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

আপনি মালয়েশিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করার ক্ষেত্রে যে যোগ্যতা লাগবে, তা নির্ভর করবে আপনি কোন স্তরে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন। কেননা মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন স্তরে পড়াশোনা করা যায় এবং যোগ্যতাও বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। নিম্নে সে বিষয়ে উল্লেখ করা হলো,

আপনি যদি মালয়েশিয়ায় ডিপ্লোমা কোর্স করার পরিকল্পনা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া লাগবে।
আর যদি আপনি আন্ডার গ্রাজুয়েটে মালয়েশিয়ায় ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা করেন, সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১২ বৎসরের পূর্ববর্তী শিক্ষা অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিক সম-মানের শিক্ষার দরকার হবে।

যারা মালয়েশিয়া পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম ভর্তি হতে চায়, এদের জন্য অন্যান্য ১৬ বছরের শিক্ষা অর্থাৎ ব্যাচেলর ডিগ্রীধারী হওয়া লাগবে।

বর্তমানে ডক্টরেট কোর্স করার জন্য পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি এবং ব্যাপক গবেষণা করার মত অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে। তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়ার ইচ্ছা করেন, সে ক্ষেত্রে আপনাকে উপরোক্ত যোগ্যতা গুলো থাকতে হবে। তাহলে আপনি যেতে পারবেন।

মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত

অনেকে মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করার উদ্দেশ্যে যেতে চায়, সেক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত? সে সম্পর্কে চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

মালয়েশিয়া উচ্চশিক্ষা করার যাবে সেজন্য আপনি যদি যাওয়ার ইচ্ছা করেন, তাহলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে হবে। সেজন্য কিছু বিষয় অবগত হওয়া লাগবে, ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য নূন্যতম উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট থাকা লাগবে।

তাহলে আপনি মালয়েশিয়া উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। ডিপ্লোমা কোর্স করার জন্য আপনাকে সার্টিফিকেট অর্জন করা লাগবে। তারপর আপনি মালয়েশিয়া উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারবেন। এছাড়া আপনি মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আইইএলটিএস স্কর লাগবে এবং সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় ৬.০ স্কোর লাগে।

মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রামের ভিত্তিতে সাড়ে তিন থেকে চার বছরে স্নাতক অধ্যায়ন করা লাগে। এতে খরচ পড়বে ৯ হাজার ৬০০ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ রেঙ্গিত লাগবে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার ৬৫৯ টাকা থেকে ২৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৬ টাকার মত খরচ হবে।

আর ১ থেকে ২ বছরের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে খরচ হবে ৭৫০০ থেকে ১২৭০০ রিংগিত, যা বাংলাদেশী টাকায় ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৫ টাকা থেকে ২ লাখ ৭৬ হাজার৩৯ টাকার মতো।

উপরোক্ত এই টাকার মধ্যে আপনি উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার জন্য মালয়েশিয়া যেতে পারেন, তবে এই খরচের ক্ষেত্রে কম বেশি হতে পারে।

মালয়েশিয়া স্কলারশিপ

আপনি যদি মালয়েশিয়া স্কলারশিপ নিয়ে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে কিভাবে আপনি স্কলারশিপ পাবেন সেটা জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

মালয়েশিয়ায় স্বল্প খরচে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা যায় এবং ক্যারিয়ার গড়া যাবে। এছাড়াও ইউনিভার্সিটি অফ কলেজ, অনেক ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ আছে সেগুলো উন্নত শিক্ষা এবং ভালো ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন। এজন্য মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আপনার কাছে অল্প টাকা থাকে, সেক্ষেত্রে স্কলারশিপে মালয়েশিয়া বিভিন্ন বিষয়ের উপর পড়ালেখা করা যেতে পারে।

যোগ্যতাঃ মালয়েশিয়া পড়াশোনা করার জন্য যোগ্যতা থাকতে হবে এসএসসি বা দাখিল পাস, এসএসসি বা দাখিল পাস করলে ডিপ্লোমা করা যাবে। এইচএসসি বা আলিম পাসেও ডিপ্লোমা করা যায় অথবা ব্যাচেলর করা যাবে।

ভর্তি তথ্যঃ মালয়েশিয়ায় অ্যাডমিশন এবং ভিসা সিস্টেমে অন্য দেশের অ্যাডমিশন বা সিস্টেমটা অনেকটাই সহজ পদ্ধতি। এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিস এর নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে খুবই দ্রুতভাবে ভিসা প্রসেসিং করা যায়।
কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি থেকে অফার লেটার যদি আসে পরবর্তীতে ভিসা তেমন একটা কঠিন হয় না। মানুষের ভিসা প্রসেসিং করার একটি সুবিধা হল স্টুডেন্ট ভিসা এপ্রুভ হওয়ার পরে টিউশন ফি কলেজ বা ভার্সিটিতে দেওয়া লাগে। মালয়েশিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেস করা খুবই সহজ এবং নিরাপদ রয়েছে।

জীবনযাত্রাঃ আপনি যদি মালয়েশিয়াতে যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার জীবনযাত্রার মান খুবই উন্নত হবে। কারণ মানুষের জীবনযাত্রা মান খুবই ভালো এবং একজন ছাত্র-ছাত্রী খুবই মানসম্মত জায়গায় কম খরচে থাকা যাবে।

এছাড়াও যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক ভালো, মালয়েশিয়া খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি দেশ, ৫ থেকে ৬ ধরনের মেট্রো ট্রেন আছে। এছাড়া মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ছাত্র ছাত্রীদের পছন্দ হবে। বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৩.৫ ঘন্টার যাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে ইচ্ছা হলে বাংলাদেশে খুব সহজে চলে আসা যাবে। এছাড়াও এদেশের পড়ালেখার মান অনেক ভালো।

মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং

মালয়েশিয়ার স্টুডেন্টদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে ভালো পরিবেশ রয়েছে। তাই ভিসার ক্ষেত্রেও মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং খুব দ্রুত করে থাকে। তাছাড়া মালয়েশিয়া পড়াশোনার জন্য এখানে থাকা খাওয়ার খরচ খুব কম হয়ে থাকে। মালয়েশিয়া খুবই কম খরচে পড়াশোনা করা যাবে এবং আপনি ক্যারিয়ার সুন্দরভাবে গড়তে পারবেন।

মালয়েশিয়ার লেখাপড়া সবচাইতে সুবিধা হলো টিউশন ফি অন্যান্য দেশে থেকে ইউনিভার্সিটি বা কলেজে খুবই কম। মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং হওয়ার ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ মাসের মত সময় লাগতে পারে, মালয়েশিয়ায় ভিসা প্রসেসিং হওয়ার কোন ঝামেলা সাধারণত হবে না। খুব সহজে আপনি ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন এবং দ্রুত গতিতে আপনি যেতে পারবেন।

মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ফর বাংলাদেশী

বাংলাদেশীদের জন্য মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসার খুবই সহজ পদ্ধতি। তাই মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ফর বাংলাদেশী জন্য দ্রুত ভিসা পাওয়া যায়। নিম্নে এ বিষয়ে চলুন বিস্তারিত জানা যাক।

আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যে দেশেই যেতে চান না কেন সে ক্ষেত্রে কম খরচ হয়ে থাকে। মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে খুবই কম খরচ হবে এবং থাকার পরিবেশে খুবই সুন্দর। তাছাড়া পড়াশোনার মান অনেক ভালো, খুবই কম খরচ আপনি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েশন বা পোস্ট গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে পারবেন।

এছাড়াও স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে অন্যান্য ভিসার থেকে কম খরচ হয়ে থাকে। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে যদি পড়াশোনা করার ইচ্ছা করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে আরো কম খরচ হয়ে থাকে। বাংলাদেশের মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট যাওয়ার জন্য বা পড়াশোনার জন্য খরচ হতে পারে ৭০ হাজার থেকে ৯০০০০ টাকার মতো বিমান ভাড়া লাগতে পারে।

এজন্য মালয়েশিয়ায় আপনি স্কলারশিপ নিয়ে যেতে পারবেন, এই সুযোগটা বাংলাদেশে স্টুডেন্টদের এজন্য দেশের বাহিরে গিয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে স্টুডেন্টদের রয়েছে। এছাড়া আপনি পড়াশোনা শেষ করে সেখানে অনেক কাজ বা বিভিন্ন চাকরি করতে পারবেন। কারণ বাংলাদেশের চাইতে মালয়েশিয়া অনেকটাই উন্নত দেশ এবং পরিবেশগত দিক দিয়ে খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।

বিদেশে পড়াশোনার খরচ

আপনি যদি বহির বিশ্বে পড়াশুনা করতে চান, সেই ক্ষেত্রে বিদেশে পড়াশোনার খরচ কত হতে পারে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, বিস্তারিতভাবে জেনে নেয়া যাক।

বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে একেক দেশের একেক রকমের খরচ হবে। আর সব দেশের পড়াশোনার মান এক রকম হবে না। এজন্য আপনি যদি বাহিরে গিয়ে পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে আপনার দেখতে হবে কোন দেশে অল্প খরচের মধ্যে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে এবং মানসম্মত শিক্ষা রয়েছে।

তাছাড়া জীবন যাপন করা অনেকটাই সহজ পড়াশোনা ভালো। তবে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে কয়েকটি দেশের পড়াশোনার খরচ কেমন হতে পারে সে বিষয়ে জানার প্রয়োজন। যেমন মালয়েশিয়া, জার্মান, চীন, ফ্রান্স এই দেশগুলোতে আপনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।

তবে এই দেশগুলোর মধ্যে সবচাইতে কম খরচে ভালো মানের শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে। মালয়েশিয়াতে সেক্ষেত্রে আপনার আইইএলটিএস এর প্রয়োজন হবে, তাহলে আপনি সেখানে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেকটাই ছাড় পাবেন।

পৃথিবীর যে দেশেই যান না কেন স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার ব্যাংকে কিছু টাকা দেখানো লাগবে। যাকে বলা হয় ব্যাংক সলভেন্সি, মালয়েশিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক সলভেন্সি দেখানো লাগে।
১ বছরের টিউশন ফি থাকা লাগবে, থাকা ও খাওয়ার জন্য যত টাকা লাগে সে পরিমাণ টাকা রাখতে হবে। মালয়েশিয়া টিউশন ফি ১ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা, ইন্সুরেন্স ফি ১২ হাজার টাকা, মেডিকেল ফি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার মতো খরচ হবে।

জার্মানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কম খরচে বা বিনামূল্য উচ্চ শিক্ষা বা স্কলারশিপ ব্যবস্থা আছে এবং কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য টাকা প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য যাওয়ার আগে ভালোভাবে জেনে শুনে আপনাকে যেতে হবে। জার্মানে যাওয়ার আগে ব্যাংক সলভেন্সি ১২ লাখ টাকা দেখানো লাগবে।

পরে প্রতি মাসে ৯০ হাজার টাকা করে তুলতে পারবেন, প্রতি সেমিস্টার ফি ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এই টাকার মধ্যে পরিবহন ফি এবং পড়াশোনার খরচ ফি থাকা খাওয়ার জন্য প্রতি মাসে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাগতে পারে। এছাড়া স্বাস্থ্য বীমার জন্য ১০ হাজার টাকা রাখতে হবে।

তবে সবচাইতে কম খরচে থাকা খাওয়া ও পড়াশোনা সব কিছু খুবই কমে দিয়ে থাকে চীন। আপনি যদি চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান, সে ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা টিউশন ফি লাগতে পারে। যদি মেডিকেলে পড়ার ইচ্ছা করেন সেক্ষেত্রে ৩ থেকে ৬ লাখ টাকার মত টিউশনে ফি লাগতে পারে।

চীনে যদি কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকার ইচ্ছা করে সেক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। এবার কেউ যদি মনে করে বাহিরে থেকে নিজে রান্না করে খাবে সে ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে হবে।

ফ্রান্সে কেউ যদি পড়াশোনা করার ইচ্ছা করে সে ক্ষেত্রে তার ব্যাংক সলভেন্সই দেখাতে হবে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার মত। প্রতি বছর ৩ লাখ টাকা এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করতে প্রতিবছর ৪ লাখ টাকার মত খরচ দেওয়া লাগবে। তবে এই খরচ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন রকম হবে। থাকা ও খাওয়া খরচ প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মত হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকলে আরো কম খরচ হবে।

মালয়েশিয়া স্কলারশিপ কিভাবে হয়

ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত? এখন জানবো স্কলারশিপ সম্পর্কে। যদি মালয়েশিয়ায় বিনা টাকায় পড়াশোনা করতে চান, তাহলে স্কলারশিপ নিতে হবে। চলুন, নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

বর্তমানে ইউরোপ আমেরিকার সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা উন্নতমান করেছে মালয়েশিয়া। দেশটিতে বিশ্বের ওয়ার্ল্ড রেংকিং এর মধ্যে বেশ কিছু সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে কিছু নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আছে। মালয়েশিয়ার লেখাপড়া সব ধরনের কারিকুলাম যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত রাজ্য অস্ট্রেলিয়া কেন্দ্রিক পড়াশোনা হয়ে থাকে।

স্টুডেন্টদের উচ্চ শিক্ষার সব ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে এদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়তে যেমন উন্নতি ল্যাব রয়েছে, লাইব্রেরী ক্যাম্পাস আধুনিক শিক্ষা সরঞ্জাম দক্ষ শিক্ষক আরো অনেক কিছুই রয়েছে। ইউরোপ আমেরিকায় না গিয়ে আপনি গুণগত শিক্ষা পাবেন এই মালয়েশিয়া।

ইউরোপ আমেরিকার তুলনায় এ দেশে শিক্ষার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে কম এবং স্কলারশিপ এর সুবিধা পাবেন। ফুল ফ্রী স্কলারশিপে স্নাতকোত্তর এফফিল করার সুযোগ আছে। মালয়েশিয়ার প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় মালয় বিশ্ববিদ্যালয় এই সুযোগ দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সহ সব দেশের শিক্ষার্থী স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করে থাকে। মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজধানী কুয়ালালামপুরে এবং বিশ্বের রেংকিংয়ে প্রথম দিকে রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিবছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ৫৫০টির বেশি ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দেয় এই বিশ্ববিদ্যালয়।

সুযোগ সুবিধাঃ স্কলার্শিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ফিন্যান্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড এর মাধ্যমে পড়াশোনার সম্পন্ন খরচ ফ্রি করা হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হয় আবাসন ফ্রি প্রদান করে থাকে জীবনযাত্রার খরচ ব্যয় করে থাকে।

আবেদনের যোগ্যতাঃ যে কোন দেশের শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপ নিয়ে আবেদন করতে পারবেন। 
  • স্নাতকোত্তর স্কলারশিপ এর ক্ষেত্রে নূন্যতম ৩.০ সিজিপিএ থাকা লাগবে।
  • পিএইচডির ক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় ডিগ্রীর সনদ জমা দেওয়া লাগবে।
  • ইংরেজি ভাষার দক্ষতা সার্টিফিকেট জমা দেওয়া লাগবে।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট দিতে হবে
  • একটি জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি তৈরি করতে হবে
  • রেফারেন্স লেটার লাগবে
  • একটি গবেষণা পরিকল্পনা থাকতে হবে।

মালয়েশিয়ায় ডিপ্লোমা কোর্স খরচ কত

আপনি যদি মালয়েশিয়া ডিপ্লোমা করতে চান, সেই ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই মালয়েশিয়ায় ডিপ্লোমা কোর্স খরচ কত? চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

মালয়েশিয়া ডিপ্লোমা করার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আপনাকে মালয়েশিয়ায় ডিপ্লোমা করার জন্য সর্বনিম্ন এইচএসসি পাশ করা লাগবে। তারপর আপনি ডিপ্লোমা করার অনুমতি পাবেন।

মালয়েশিয়া গিয়ে যদি আপনি ডিপ্লোমা কোর্স করার ইচ্ছে করেন, সেই ক্ষেত্রে কত টাকা জমা দিতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া প্রয়োজন। ডিপ্লোমা কোর্স করার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে জেনে নেওয়া যাক।

ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট লাগবে, মালয়েশিয়াতে আইইএলটিএস ছাড়া সমস্যা হতে পারে। তাই এই কোর্সটা করে তারপর আবেদন করতে হবে এবং এর স্কোর থাকতে হবে ৬.০।

মালয়েশিয়া টিউশন ফি ৪৫০০ থেকে ২৫ হাজার রিঙ্গিত এর মত হবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০০ থেকে রিংগিত পর্যন্ত হয় ৭০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে মানসম্মত শিক্ষার জন্য আপনাকে বেশি টাকা দিতে হবে।

EMGS এর ফি দেওয়া লাগবে ১০০ রিংগিত তবে এটা ফিরিয়ে পাবেন যদি অফারের যোগ্য হয়ে থাকেন। এছাড়া ইন্সুরেন্স ফি ৫০০ থেকে ৮৫০ রিঙ্গিত, মেডিকেল ফি ২৫০ রিঙ্গিত দেওয়া লাগবে। এদেশে কিছু সরকারি বেসরকারি স্কলারশিপ থাকে, এই স্কলারশিপ এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট গুলো দেখতে পারেন।

মালয়েশিয়ায় লেখাপড়ার মান ভালো রয়েছে। এছাড়াও স্কলারশিপের সুযোগ আছে যদি আপনি আবেদন করার পরে স্কলারশিপ পান, তাহলে খুবই কম খরচে আপনি সেখানে ডিপ্লোমা করে পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন

মালয়েশিয়া যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে। তাই মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানা যাক।
ছবি
মালয়েশিয়ায় বছরে তিনটি সেমিস্টার পড়ানো হয়ে থাকে, প্রথম সেমিস্টার চলে সাধারণত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে, দ্বিতীয় সেমিস্টার শুরু হয় মে থেকে আগস্ট মাস আর তৃতীয়বার শেষের সেমিস্টারটি সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। আপনাকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে এরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

কোন স্কাইপই বা অনলাইনে ইন্টারভিউ এর দেওয়া লাগে না। আবেদনের শুরুতে আপনার কাজ হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। যদি আপনি সরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করেন তাহলে অনেকগুলো ধাপ পার করা লাগবে এবং একটু সময় বেশি লাগবে।

অন্যদিকে আপনি যদি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করতে চান সে ক্ষেত্রে অনেক কম সময়ের মধ্যেই অত্যন্ত দ্রুত গতিতে আপনি অ্যাডমিশন পাবেন।

আপনার সকল কাগজপত্র যদি সঠিক হয় সেই ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় একটি অফার লেটার ইস্যু করবে। আর সেটা আপনাকে পাঠিয়ে দিবে EMGS এর মাধ্যমে। আপনি সেখান থেকে ইস্যু করবেন আপনার অ্যাপ্রুভাল লেটারটি।
এই EMGS এর পূর্ণরূপ Education Malaysia Global Service. এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয় ইমিগ্রেশন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সমন্বয় করে থাকে। মালয়েশিয়ার কোন বিশ্ববিদ্যালয় ইমিগ্রেশন এর সাথে সরাসরি কাজ করে না, তাই শিক্ষার্থীদের সকল কাগজ পাঠিয়ে দিবে EMGS এ।

আর এই EMGS সকল ডকুমেন্টস গুলো ভেরিফাই করবে, এরপরে সত্যতা যাচাই হলে পাঠিয়ে দিবে। ইমিগ্রেশনে একটি আপ্রোভাল লেটার প্রদান করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় সেই অ্যাপ্রুভাল লেটারটি সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিবে।

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ
  • সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট লাগবে
  • সিভি মোটিভেশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার প্রয়োজন হবে।
  • বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন পত্র ও আবেদন ফি প্রদানের ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও পাসপোর্ট এর কপি প্রয়োজন হবে।
  • রেফারেন্স লেটার লাগবে
  • আইইএলটিএস থাকতে হবে।
  • বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র প্রয়োজন হবে।

শেষ কথাঃ মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত বিস্তারিত জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি মালয়েশিয়া পড়াশোনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত টাকা হতে পারে। সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাছাড়া মালায়েশিয়া আপনি স্কলারশিপ এর মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পারবেন। এজন্য কিভাবে আপনাকে আবেদন করতে হবে সকল বিষয়ে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি হবে উপকার হবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪