কিভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায় বিস্তারিত জেনে নিন
অনেকে জানতে চায় যে কিভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়? এজন্য আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করার পদ্ধতি গুলো জানতে হবে। চলুন, অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে ইনকাম করতে পারবেন, তাই কিভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃকিভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায় বিস্তারিত জেনে নিন
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
অনেকেই অনলাইনে মাধ্যমে ইনকাম করতে চায়, তাই মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানলে প্রতি মাসে এর চেয়ে বেশি আরও ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে ঘরে বসে অনেকে ২০ হাজার টাকার মত ইনকাম করে থাকে। বর্তমানে ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে ঘরে বসে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
এ সকল পণ্য ডেলিভারি যদি আপনি দিতে পারেন তাহলে দেখবেন ওখান থেকে অনেক ইনকাম আসবে। বিনা খরচে ফেসবুক এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে আপনার পছন্দমত যে কোন প্রোডাক্ট কিংবা আপনার আশেপাশে এমন কোন পণ্য রয়েছে।
যেটি সারা বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, এই সকল পণ্যগুলো সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে আপলোড করতে পারেন এবং অনলাইনে ডেলিভারি দিতে পারেন। এভাবে ঘরে বসে প্রোডাক্ট বিক্রি করে আপনি ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে অনেক উদ্যোক্তারা এভাবেই ইনকাম করে যাচ্ছে।
ভিডিও এডিটিং এর কাজঃ ইউটিউব এবং ইন্টারনেটের যুগে ভিডিও অনেক জনপ্রিয়। মানুষ এখন বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে বিশেষ করে ইউটিউবে সার্চ করে ভিডিও দেখতে পছন্দ করে। তাই ভিডিও এডিটিং এর পেশার দিন দিন চাহিদা বেড়ে চলছে।
আপনি যদি ভালো মানের ভিডিও এডিটর হতে পারেন তাহলে বিভিন্ন কোম্পানিতে জব করতে পারবেন। এমনকি বিভিন্ন কনটেন্ট এবং তাদের ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করে দিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনেকে কোডিং শিখে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করছে। অনেকেই ধারণা করে যে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া কোডিং এর কাজ করা যায় না। কিন্তু বাস্তবতা হলো ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়াই কোডিং শিখতে পারবেন এবং এই সেক্টরে ভালো ক্যারিয়ার করা যাবে।
কারণ এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যাপার না, আপনার দক্ষতা সবচাইতে প্রাধান্য দেওয়া লাগবে। তাই ঘরে বসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা খুবই সহজ একটি বিষয়।
আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন কিংবা বেকার হন, যদি ব্যবসা করতে পছন্দ করেন। সেই ক্ষেত্রে আপনি টি শার্ট কিংবা ছেলেমেয়েদের কাপড় চোপড় খুবই কম দামে কিনে অনলাইন ভিত্তিক সেগুলো বিক্রি করতে পারেন। এভাবে আপনার অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন সেক্ষেত্রে ট্রাভেল রিভিউ এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কোন ওয়েব পেজ বা ট্রাভেল ব্লগ শুরু করতে পারেন। সেখান থেকে রোজগার করা যাবে বিশেষ করে ট্রাভেলিং সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে বহু মানুষ জানতে চায় এবং তারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সার্চ করে থাকে। তাই আপনি এই বিষয়ে ব্লগ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে অনেক টাকা ইনকাম করা যাবে।
কিভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়
অনেকে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে চায় কিন্তু কিভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়? এ সম্পর্কে হয়তো জানেনা। তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত চলুন জেনে নেওয়া যাক। কিভাবে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো,
ই-কমার্স সাইটগুলোতে বিক্রি করাঃ সহজে টাকা ইনকাম করার উপায় হিসেবে বাংলাদেশে বহুত উপায় রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি ই-কমার্স সাইটগুলোতে আপনি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। কেননা ই-কমার্স সেক্টরটি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে দারাজ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ই কমার্স সাইট।
এই ই-কমার্স ওয়েবসাইটে পণ্য বিক্রি করে এখন অনলাইনে একটি নিশ্চিত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তারা যে একজন বিক্রেতা হিসেবে সাইন আপ করার ফল আপনি যদি সেখানে অনলাইন এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে পারেন। তাহলে ঘরে বসে আপনি উপার্জন করতে পারবেন অর্থাৎ তাদের সাথে এফিলেট মার্কেটিং করেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন বা কমিশন নিতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকামঃ আপনার যদি একটা ওয়েবসাইট থাকে বা ইউটিউব চ্যানেল কিংবা ফেসবুক পেজ থাকে, তাহলে আপনি এফেলেট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ডেভেলপমেন্ট সহ অন্যান্য তথ্য পদ্ধতি ব্যবহার করার সুযোগ সুবিধা নিরাপদ অনলাইন অর্থ উপার্জন করা। এই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে, এছাড়া আপনি দারাজ মার্কেটিং প্রোগ্রাম এর বিশ্বাস করে আপনি এখান থেকে পণ্য বিক্রি করে কমিশন নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন।
রিসেলার হিসেবে ইনকামঃ রিসেলার হয়েও বাংলাদেশ অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। এজন্য আপনাকে সঠিক কোন বিক্রয় পণ্যটি বেছে নিতে হবে এবং তারপরে সর্বনিম্ন পাইকারি মূল্যে কেনা লাগবে।
এর পরে আপনি যদি খুবই কম লাভে বিক্রি করতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী অনলাইনে মার্কেটিং করতে হবে। তাহলে আপনি দেখবেন অতি সহজে আপনার এই পণ্যটি বিক্রি করতে পারবেন। এতে আপনি অনেক লাভ করতে পারবেন।
সামান্য ব্যবহৃত পণ্য বিক্রিঃ আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে আপনি হয়তো অল্প সময়ের জন্য পণ্যটি ব্যবহার করেছেন তার ডকুমেন্ট সহ যদি আপনি মার্কেটিং করতে পারেন। সেটা হতে পারে ফেসবুক অথবা আপনার নিজস্ব সাইট এর মাধ্যমে অথবা ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনি মার্কেটিং করতে পারলে এই পণ্যটা বিক্রি করে অনেক টাকাই ইনকাম করতে পারবেন।
এজন্য বিক্রি করার জন্য অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। বর্তমানে আপনি sale.com,ebazar.com,clickbd সহ বাংলাদেশের অনেক পুরনো পণ্য বিক্রির ওয়েবসাইট আছে। সেগুলোতে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় এগুলোতে আপনি বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
রাইড শেয়ারিং করেঃ আপনার যদি একটা মোটরসাইকেল থাকে, বা একটি গাড়ি থাকে তাহলে আপনি পাঠাও, উবার ও সাহাগ ইত্যাদির মত রাইড হেলিং পরিষেবা প্রদানকারীর মাধ্যমে আপনি এই অ্যাপস ব্যবহার করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
অনলাইনে এই ধরনের অনেক অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ভিত্তিক কোম্পানি আছে তাদের সাথে সংযুক্ত হয়ে আপনি এগুলোর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকামঃ ফ্রিল্যান্সিং করেও আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকে চাকরি করতে পছন্দ করে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা সেটা করে আপনি অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই জন্যই ঘরে বসে কিভাবে আয় করবেন।
সে সম্পর্কে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো থেকে বিভিন্ন ইউটিউব বা অনলাইনে গুগলে সার্চ করে আপনি কোর্স করে বা একটা বিষয়ের দক্ষতা অর্জন করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এই জন্য ইনকাম করার সাইটগুলো হল ফাইবার ডটকম upwork.com freelancer.com এগুলোর মাধ্যমে আপনি এখান থেকে আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্লাইন্টের কাজ করে দিয়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
জরিপ মাধ্যমে ইনকামঃ বাংলাদেশ অর্থ উপার্জনের জন্য বেশ কয়েকটি সেরা ওয়েবসাইট আছে। বিভিন্ন বিষয়ে সমীক্ষা করে অনলাইনে ওয়েবসাইট থেকে অর্থ উপার্জন করা যাবে অথবা আপনাকে নির্দিষ্ট জরিপে অংশগ্রহণ করা লাগবে। আপনি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে উপার্জনের ওয়েবসাইট হিসেবে সেরা অর্থ প্রদানকারী কিছু ওয়েবসাইট খুঁজে সেখানে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন টিউটরঃ বর্তমানে অনলাইনে অনেকেই টিচিং পেশাকে বেছে নিয়েছে। যদি আপনার দক্ষতা থাকে কোন একটি বিষয়ের উপর তাহলে সে বিষয়ে আপনি টিউশনি করাতে পারেন। অনলাইন ভিত্তিক বিশেষ করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য বর্তমানের আয়ের উৎস হিসেবে এই অনলাইন ভিত্তিক টিউশনি করানো যাবে।
আপনি ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদেরকে পড়াতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে এভাবে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন অথবা যদি আপনার কোন ইউটিউব চ্যানেল থাকে সেখানেও আপনার যে বিষয় দক্ষতা রয়েছে তার মাধ্যমে সুন্দর করে ক্লাস ভিডিও করে সেখানেও পাবলিস্ট করে ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়ঃ ইউটিউবে বর্তমান বাংলাদেশের অনলাইনের অর্থ উপার্জনের জন্য জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এখান থেকে বাংলাদেশের সেরা অনলাইন ভিত্তিক যত সাইট রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ইনকামের ব্যবস্থা করে থাকে।
যদি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন এবং সেখানে ভালো দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারেন, ভালো কনটেন্ট তৈরি করে আপলোড করতে পারেন। নিয়মিতভাবে কাজ করলে আপনি এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ব্লগিং করে ইনকামঃ আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে ব্লগিং করে গুগল থেকে আপনার সাইডে প্রচুর পরিমাণ অর্গানিক ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন এবং আপনার ওয়েবসাইট হতে অনেক টাকা ইনকাম করা যাবে। তবে ধৈর্যের সাথে কাজ করতে হবে একটু সময় লাগতে পারে।
অনলাইন ভিত্তিক লেখকঃ আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন এবং একজন রাইটার হয়ে থাকেন। তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন সাইটে কাজ করে দিয়ে সেখান থেকেও ইনকাম করতে পারবেন। অনেকে আবার বিভিন্ন কোম্পানির রাইটার হিসেবে জব করেও ইনকাম করে থাকে। চাইলে আপনি এই কাজটি করে ইনকাম করতে পারেন।
ফটোগ্রাফারঃ আপনার যদি একটি ভালো ক্যামেরা থাকে এবং সুন্দর করে ছবি তুলতে পারেন অর্থাৎ আপনি যদি ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন, তাহলে সুন্দর দৃশ্য ছবি তুলে সেগুলো শাটার স্টক এ ছাড়া আরো অনেক ওয়েবসাইট সেখানেও আপনার ছবিগুলো বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
আপনি যদি ঘরে বসে ইনকাম করতে চান সেই ক্ষেত্রে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনি অনায়াসেই এ পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, কিভাবে এত টাকা ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সিপিএ মার্কেটিংঃ বাংলাদেশে অনলাইনে ইনকাম করার ক্ষেত্রে সিপিএ মার্কেটিং অনেকটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা সাধারণত ঘরে বসে ৩০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো ইনকাম করতে করছে।
আপনি যদি এই সিপিএ মার্কেটিং করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে। এটা খুবই সহজ একটি কাজ এখানে কোন কিছু বিক্রি করা লাগে না বরং লিড জেনারেট করলেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
এসইও ইনকাম করে ইনকামঃ এসইও এর শব্দটি শুনে অনেকে হয়তো মনে করতে পারেন এটা আবার কি জিনিস? এটা হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, যে অনলাইনে এত এত ওয়েবসাইট দেখতে পারেন। আপনারা সেগুলো google search এর রেঙ্কে প্রথমে আসার জন্য এসইও করা লাগে।
এজন্য প্রতিটি ওয়েবসাইটের মালিক তাদের ওয়েবসাইট কে প্রথম দিকে আনার জন্য এসইও এক্সপার্ট খুঁজে থাকে। তাই আপনি যদি এসইও কাজ শিখতে পারেন সে ক্ষেত্রে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসাঃ অল্প সময়ের মধ্যে খুবই লাভ করা যায়, এই রেস্টুরেন্টের ব্যবসায় বর্তমানে অনেক মানুষ ফাস্টফুড খুবই পছন্দ করে থাকে। আপনি রেস্টুরেন্টে ফাস্টফুডের সকল খাবারগুলো তৈরি করবেন। যেমন বার্গার, পিজ্জা, চিকেন, গ্রিল এই ধরনের ফাস্ট ফুড গুলো খুবই আকর্ষণীয় ভাবে তৈরি করা লাগবে এবং রেস্টুরেন্টে মজুদ করতে হবে।
আপনার রেস্টুরেন্টের লোকেশন জনসমাগম হতে হবে তাহলে বিক্রি বেশি হবে এবং এর নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলে এটার মার্কেটিং করা লাগবে। তাহলে দেখবেন অনেক দূর থেকেই আপনার এই রেস্টুরেন্টে লোকজন আসবে এবং অনেক টাকায় সেল হবে।
ইচ্ছা করলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকের বাসায় গিয়েও পৌঁছে দিতে পারবেন। এভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা যাবে।
ফুড ডেলিভারিঃ ফুড ডেলিভারি একটি জনপ্রিয় পেশা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা ব্যাপার না। তবে এখানে আপনাকে শারীরিক পরিশ্রম করা লাগবে তাহলেই ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা যাবে।
আপনারা ফুড পান্ডা উবারের এগুলো ফুড সার্ভিস প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে ফুড ডেলিভারি কাজ করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠান যেখানে আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে ফুড ডেলিভারি দিয়ে ইনকাম করা যেতে পারে।
কাপড়ের ব্যবসাঃ কাপড়ের ব্যবসা বাংলাদেশ একটি জনপ্রিয় ব্যবসা বিশেষ করে গার্মেন্টস এবং এর উপর নির্ভর করে। তাই আপনি আপনার সংসার চালানোর জন্য ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার জন্য কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন। প্রথমে বেশি পুঁজি না থাকলে অল্প পরিসরে আপনি পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন।
বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা হতে পারে যেমন শাড়ি বিক্রি টি-শার্ট বিক্রি গজ কাপড় জার্সি বিক্রি ইত্যাদি ধরনের কাপড় বিক্রি করতে পারবেন। আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে এই কাপড়ের ছবিগুলো সুন্দর করে উঠিয়ে যদি আপনি বুস্টিং করতে পারেন, তাহলে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
কসমেটিকস এর ব্যবসাঃ আপনি যদি অল্প টাকায় বেশি লাভ করতে চান, সে ক্ষেত্রে কসমেটিক্সের ব্যবসা করতে পারেন। আপনি যদি এই ব্যবসা শুরু করতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার পণ্যের কোয়ালিটি এবং দোকানের পজিশন ভালো রাখতে হবে। যদি কোন বড় কোন মার্কেট প্লেসে কসমেটিকের দোকান দেওয়া যেতে পারে।
সেক্ষেত্রে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা ব্যাপার না। সাধারণত স্কুল কলেজের সামনে ছোট আকারে এই কসমেটিকের দোকান দিলে ভালো টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। চাইলে আপনি অনলাইন ভিত্তিক ও এই কসমেটিকের জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন।
বিউটি পার্লারঃ অনেক নারী এখন নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে বিশেষ করে তারা নিজেদের রূপচর্চার পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় বিউটি পার্লার করেছে। এতে তারা অনেক টাকা ইনকাম করতে পারছে।
বিশেষ করে তারা অনলাইন ভিত্তিক ফেসবুক মার্কেটিং করার মাধ্যমে তারা এই বিউটি পার্লারে ক্লাইন দেরকে নিয়ে আসার কারণে তারা অনেক টাকা ইনকাম করতে পারছে। এছাড়াও তারা অনলাইন বুকিং এর মাধ্যমে সার্ভিসগুলো বাসায় গিয়ে সেবা দিচ্ছ।
মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি কিভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়? এখন জানবো মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্পর্কে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কোন কাজগুলো করলে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ট্রান্সলেটরঃ আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় সুন্দর করে কথা বলতে পারেন অথবা এই বিষয় নিয়ে ক্যারিয়ার করতে চান। আপনি যদি অনুবাদক হিসেবে এই পেশাটি বেছে নিতে চান, তাহলে সে ক্ষেত্রে অনেক টাকা ইনকাম করা যাবে।
ইন্টারনেটে প্রচুর ওয়েবসাইট আছে যেগুলো প্রতিনিয়ত দক্ষ অনুবাদক খুঁজতে থাকে। এই ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারবেন এজন্য আপনার ভাষা এবং জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করবে। আপনি কতটা দক্ষতা সম্পন্ন তার ওপর নির্ভর করে বেতন পাবেন।
তবে আশা করা যায় আপনি ৫০ হাজার টাকার মতো ইনকাম করতে পারবেন। বিশেষ করে যদি আপনি ফ্রিল্যান্সার ডটকম, ফাইবার ডট কম ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো তো ট্রান্সলেশন লিখে সার্চ করলেই দেখতে পারবেন অনেকেই এই কাজ করে অনেক টাকা মাসে ইনকাম করে যাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনফিলেন্সারঃ অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে,সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেট গুলোতে ব্যবহার করার করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনাকে শুধুমাত্র আপনার পছন্দের টপিক নিয়ে একটি চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ খোলা লাগবে এবং তারপরে আপনার প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করা লাগবে। আপনার ফলোয়ার্স বৃদ্ধি করা লাগবে আপনার যে ফলোয়ার্স বা অডিয়েন্স বৃদ্ধি পেলে তাদের কাছে আপনার পণ্য বিক্রি করা লাগবে।
এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের পণ্য মার্কেটিং করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ ইনকাম করা যাবে। আপনি বিনিয়োগ ছাড়াও একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিংঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার জন্য আপনি ওয়েবসাইট ফ্লিপিং কাজটি করতে পারবেন। এটা হল মূলত ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটাকে বিক্রি করে দেওয়া। এক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি একটা বিষয় দিয়ে দিবে সেটাকে টার্গেট করে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করা লাগবে।
এরপর সেখানে হাই কোয়ালিটি এসিও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট পাবলিশ করা লাগবে। যখন সেই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে অর্গানিক ট্রাফিক আসবে, মনিটাইজেশন প্ল্যাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে ভালো অর্থ উপার্জন করা যাবে। তখন সেটি আপনি বিক্রি করে দিতে পারেন, এরকম একটা ওয়েবসাইট কেনাবেচার জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম হল flippa.com
আপনি নিজে ওয়েবসাইট তৈরি না করেও এখান থেকে ওয়েবসাইট কিনে নিতে পারবেন। এরপর সেই ওয়েবসাইটের বিভিন্ন জিনিস ইমপ্রুভ করে এখানেই আবার বিক্রি করে দিতে পারবেন। যারা ওয়েবসাইট ফ্লিপিং এক্সপার্ট তারা বাড়িতে বসে এই কাজ করে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তবে এজন্য আপনাকে অবশ্যই এসইও এক্সপার্ট হতে হবে তাহলে আপনি ভালো পারফরম্যান্স করতে পারবেন।
অ্যাপস ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্টঃ টাকা ছাড়া অনলাইনে ইনকাম করার জন্য একটু জনপ্রিয় উপায় হল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বা অ্যাপ ডিজাইন এর কাজ করা। গত কয়েক বছর ধরে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বিশেষজ্ঞ এবং যারা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস দিয়ে থাকে তারা বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করছে এবং অনেক চাহিদা রয়েছে।
তাই এই কাজটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ আপনি ইচ্ছা করলে এই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে কাজ করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে একজন অভিজ্ঞ ডেভেলপার এবং ডিজাইনার কাছে শিখতে হবে, তাহলে অভিজ্ঞতা অর্জন করলেই আপনি অনায়াসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়
অনেকেই অনলাইনে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করছে তাই মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। তাহলে আপনিও মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্লগিং করাঃ ওয়েবসাইট তৈরি করে এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন অথবা google arsens-এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যাবে। আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন google এডসেন্সের মাধ্যমে এড বসাবেন গুগল অ্যাডসেন্স আপনাকে টাকা দিবে কিনা সেই বিষয়টা হয়তো আপনার জানা প্রয়োজন।
আপনি যদি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা লাগবে। আপনি সেখানে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে পোস্টগুলো র্যাঙ্ককে নিয়ে আসলে, পোষ্টের ভিতর অ্যাড বসিয়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়া এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করেও কমিশন ভিত্তিক টাকা পাবেন। তাছাড়া আপনার এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বড় বড় কোম্পানির এফিলেট মার্কেটিং করেও সেখান থেকে কমিশন পেয়ে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক পেজ তৈরি করে ইনকামঃ আপনি যদি ফেসবুক পেজ খুবই সুন্দর ভাবে তৈরি করতে পারেন এবং ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে যদি ভালো বুঝে থাকেন। তাহলে সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্রমোশন করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
যদি আপনি নিজেই বিজনেস করতে চান সে ক্ষেত্রেও আপনার পন্যর কোয়ালিটি এবং বিস্তারিত সেগুলো তুলে ধরে ফেসবুকে পোস্টিং করে সেখান থেকেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। কারণ বর্তমানে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ ব্যবসায়ীরা তারা এই প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছে।
অনলাইনে বিক্রি করার জন্য তাই আপনিও এই প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার যদি আপনার নিজস্ব কোন পণ্য না থাকে সেক্ষেত্রে অন্য কারোর প্রোডাক্ট সেল করে সেখান থেকে আপনি কমিশন নিতে পারেন।
তাই এজন্য আপনাকে অবশ্যই ফেসবুক মার্কেটিং এবং ফেসবুক পেজ সুন্দর করে সাজাতে হবে তাহলেই আপনার পারফরম্যান্স ভালো হবে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ কিভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায় বিস্তারিত জেনে নিন
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি অনলাইন ভিত্তিক ইনকাম করতে চান, সেই জন্য আপনাকে যে কোন একটি বিষয়ের উপরে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন না। তাই কিভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url