সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
অনেকে সৌদি আরব প্রবাসীরা জানতে চায় যে, সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাই কিভাবে আপনি সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাবেন, সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বা সৌদি আরবের চেয়ে অস্ট্রেলিয়াতে অনেক টাকা বেতন পাওয়া যায়। এজন্য অনেকেই অস্ট্রেলিয়া যেতে চায়, তাই সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃসৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে
আপনি যদি সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে? চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানা যাক।
সৌদি আরব থেকে যদি আপনি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে রেখে দিতে হবে। এই কাগজপত্র আসলে আবেদন করার সময় আপনার প্রয়োজন হবে। যে কাগজগুলো লাগবে তা নিম্ন উল্লেখ করা হলো;
- পাসপোর্ট লাগবে যার বয়স কমপক্ষে ছয় মাস হতে হবে।
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে
- স্কিল সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
- একাডেমিক সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে
- চাকরির সনদপত্র যদি থাকে সেটা জমা দিতে হবে
- ইংরেজি ভাষায় যদি দক্ষতা হন তাহলে তার প্রমাণপত্র জমা দিবেন।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে
- এছাড়া আরো অন্যান্য যদি কাগজপত্র থাকে সেগুলো জমা দিবেন।
সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
আপনি যদি সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে চান, তাহলে সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন, কিভাবে আপনি অস্ট্রেলিয়া যাবেন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি থাকে, সে অনুযায়ী আপনাকে ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করা লাগবে।
ভিজিট ভিসাঃ অস্ট্রেলিয়া যদি আপনি স্বল্প সময়ের জন্য যেতে চান অর্থাৎ ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ভিজিট ভিসা প্রয়োজন হবে।
স্টুডেন্ট ভিসাঃ আন্তর্জাতিক ভাবে উন্নতমানের শিক্ষার গ্রহণের জন্য আপনি অস্ট্রেলিয়া যেতে চান, সে ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা করতে হবে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ এই ভিসার মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরি থাকেন, এমপ্লয়ার, স্পন্সারশিপ ভিসা স্কিলড ওয়ার্কার এবং স্কিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভিসা করা যেতে পারে।
ব্যবসায়িক ভিসাঃ আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য করার উদ্দেশ্যে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে এই ভিসা করতে হবে।
আপনি ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে চাচ্ছেন সেই ক্যাটাগরি আপনাকে নির্বাচন করা লাগবে। এক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সৌদি প্রবাসী শ্রমিকরা অস্ট্রেলিয়ার যাওয়ার ক্ষেত্রে স্কিল্ড ওয়ার্কার হিসেবে যাওয়া যেতে পারে।
এই ভিসার মেয়াদ পাবেন পাঁচ বছর, এই ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পরে আপনি মেডিকেল সেবা এবং সন্তানদের জন্য শিক্ষা সেবা বিনা মূল্য পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের এই ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইনে অস্ট্রেলিয়ান সরকারি ওয়েবসাইটে ভিসার জন্য আবেদন করা লাগবে।
এই ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হবে। অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন করার ওয়েবসাইট লিংক online.immi.gov.au এই লিংকের মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করা লাগবে। আবেদনপত্রের সাথে আপনাকে অস্ট্রেলিয়ান ভিসা আবেদন ফি দেওয়া লাগবে।
আবেদনপত্র পূরণ করার সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে হবে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করা লাগবে। এই ভিসা প্রসেসিং হওয়ার জন্য কয়েক মাস সময় লাগতে পারে, এই সময় আপনাকে ধৈর্য ধারণ করা লাগবে। তাহলে আপনি পরবর্তীতে এই ভিসা পেয়ে যাবেন, পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন।
সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
আপনি যদি সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যেতে চান, তাহলে সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে আপনি ইউরোপে যাবেন সে সম্পর্কে জানা যাক।
সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে তিনটি বৈধ ভিসা করা লাগবে। চলুন এ সম্পর্কে জানা যাক,
- টুরিস্ট ভিসায় যাওয়া যেতে পারে
- স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন।
টুরিস্ট ভিসাঃ আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ৯০ দিন অথবা তিন মাসের মেয়াদ ভ্রমণ করার জন্য যেতে পারবেন। টুরিস্ট ভিসায় সৌদি আরব থেকে সহজভাবে আপনি ইউরোপে যাওয়া যাবে।
সৌদি আরব থেকে যদি যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। এজন্য ইউরোপের যে কোন একটি দেশের ৯০ দিনের মধ্যে বৈধ কাজ ম্যানেজ করা লাগবে। আর যদি দীর্ঘদিন বা স্থায়ীভাবে বসবাস করার ইচ্ছা করেন, সে ক্ষেত্রে আপনাকে কাজের ব্যবস্থা করা লাগবে।
স্টুডেন্ট ভিসাঃ ইউরোপের যদি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ভিসা করার ইচ্ছা করেন, সেক্ষেত্রে আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন। সৌদি আরব থেকে ইউরোপে স্টুডেন্ট ভিসার পড়ালেখা করতে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে যে কোন একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ইনভিটেশন আপনার কাছে থাকা লাগবে।
তাহলে সহজ ভাবে আপনি স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন, যেমন যদি আপনি স্নাতক পাশ করেন সে ক্ষেত্রে আপনি স্নাতকোত্তর অর্জনের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করবেন। এভাবে আপনি সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ আপনি যদি সৌদি আরব থেকে ইউরোপে গিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্য বা চাকরি করার উদ্দেশ্যে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে হবে। এজন্য আপনাকে ইউরোপের বিভিন্ন চাকরির প্রটোকল থেকে আপনাকে পছন্দ মত চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে।
তারপর চাকরি যদি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে যেতে পারেন, এই পদ্ধতি যদি আপনি করতে পারেন তাহলে খুব সহজে ইউরোপে স্থায়ী নাগরিক হতে পারবেন। কারণ ইউরোপে সব সময় শ্রমিকের অভাব থাকে, তাই আপনি ইচ্ছা করলে এই ভিসার মাধ্যমে ইউরোপে যেতে পারবেন।
তবে যদি আপনার কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকে এবং দক্ষতা থাকে সেটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি ইউরোপে গিয়েও প্রচুর টাকা বেতনের চাকরি করতে পারবেন।
সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে
অনেকে জানতে চায় যে সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে? তাই আপনাকে এ বিষয়ে জানার প্রয়োজন। আপনি সেই অনুযায়ী ধারণা পাবেন, যা আসলে কত টাকা লাগতে পারে। চলুন, সে সম্পর্কে জানা যাক।
সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ করবে, সেটা আপনার ভিসার ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করবে এবং ভিসার মেয়াদ কতদিন থাকবে। তার ওপর নির্ভর করবে আপনার কত টাকা খরচ হতে পারে। তবে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য বেশি টাকা লাগবে না।
যদি আপনি দালাল এবং এজেন্সের মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যান, তাহলে অনেক টাকা লাগবে। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা যদি থাকে, সেই ক্ষেত্রে আপনি সৌদি আরব থেকে আনুমানিক যদি অস্ট্রেলিয়া যেতে চান, সেক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ৮ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যেই আপনার হয়ে যাবে।
এজন্য আপনাকে নিজেই আবেদন করা লাগবে, অল্প টাকা অস্ট্রেলিয়ায় যদি যেতে চান অবশ্য একজন অভিজ্ঞ মানুষের সহযোগিতা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা লাগবে। প্রয়োজনে নিকটস্থ এজেন্সির সাহায্য আপনি নেওয়া নিতে পারবেন।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের চেয়ে অস্ট্রেলিয়া নাগরিকত্ব পাওয়া খুবই সহজ এবং আপনি সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যদি যেতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই বেশি টাকা বেতন পাবেন। তাছাড়া আর একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন, সেটা আপনি অবৈধ পন্থায় যাওয়া যাবে না, এতে আপনার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এতক্ষণে আমরা জেনেছি সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগে। চলুন, এখন বাংলাদেশ থেকে কিভাবে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে। সে সম্পর্কে জানা যাক।
বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে।
আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে ৪ লক্ষ্ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা থেকে ১২ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে।
তবে ডলারের মান কমবেশি হওয়ার কারণে খরচও কম বেশি হতে পারে, সে বেশি টাকাও লাগতে পারে।
কিভাবে স্কিল্ড মাইগ্রেশনে অস্ট্রেলিয়ার জন্য আবেদন করবেন।
কিভাবে স্কিল্ড মাইগ্রেশনে অস্ট্রেলিয়ার জন্য আবেদন করবেন? চলুন, এই মাইগ্রেশন সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানা যাক।
আপনার যদি কোন এক বিষয়ে বা পেশায় দক্ষতা থাকে সেটা মাধ্যমে আপনি সৌদি আরব থেকেও অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন। চলুন, কিভাবে আপনি যেতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
সৌদি আরবের বসবাসকারী একজন প্রবাসী বা সৌদি আরবের একজন নাগরিক যদি তার দক্ষতা থাকে, তাহলে অভিবাসনে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যেতে পারে এজন্য আপনার স্কিল্ড অর্জন করতে হবে।
এরপরে অস্ট্রেলিয়া এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট সিস্টেমে প্রবেশ করার সক্ষম হওয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পয়েন্ট স্কোর করা লাগবে।
তারপর তাদের দক্ষ ও মাইগ্রেশন এর অধীনে অস্ট্রেলিয়া স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করা লাগবে এবং যে কাজগুলো বা পদক্ষেপ গুলোর করতে হবে। তা হল;
- চাহিদা অনুযায়ী একটি পেশা চিহ্নিত করা লাগবে।
- অস্ট্রেলিয়া পয়েন্ট তালিকায় আপনার ৬৫ স্কোর করা লাগবে।
- এছাড়াও ইতিবাচক দক্ষতা মূল্যায়ন থাকতে হবে।
- এছাড়াও আপনাকে ইংরেজি পরীক্ষা দিতে হবে
- আবেদন করার জন্য একটি আমন্ত্রণ পত্র পাওয়া লাগবে
- এছাড়াও পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাগজপত্র লাগবে
- মেডিকেল সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে।
- একটি PR ভিসা প্রয়োজন হবে।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা
এতক্ষণে আমরা জেনেছি সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। এখন জানবো কাজের ভিসা সম্পর্কে জানতে হবে। তাই এই দেশের কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া একটি উন্নত রাষ্ট্র সেখানে অনেকেই যেতে চায়, বিশেষ করে অনেকেই কাজের আশায় সেখানে যেতে চায়। তাই আপনি যদি সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে অনেকটা বেতন পাবেন এবং খুবই সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কাজের বিষয়ে আবেদন করা লাগবে।
তবে এই দেশে আসার পূর্বে কাজের অভিজ্ঞতা যদি থাকে, তাহলে ভালো হবে। কাজের কোন দক্ষতা যদি না থাকে, তাহলে আপনার সেখানে না যাওয়াই ভালো। অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার জন্য সরকারী ও বেসরকারি দুটি উপায়ে আবেদন করা যাবে। সরকারি ভিসা আপনি পেতে পারেন, যদি চেষ্টা করে থাকেন আর বেসরকারিভাবে ভিসা পাওয়া যায় কিন্তু সে ক্ষেত্রে অনেক টাকা খরচ হবে।
অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের ভিসার ক্যাটাগরি রয়েছে। তাই ভালো কাজের জন্য যদি আপনি যেতে চান, তাহলে ভালো বেতন পাবেন। সাধারণত উন্নত মানের কাজগুলোতে এই দেশের রয়েছে এবং এক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ভর করবে।
কেননা একজন অশিক্ষিত মানুষকে বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি দেবে না। সে ক্ষেত্রে ৫০০০০ থেকে ১ লাখ টাকার মত বেতন পাবেন। আপনি কাজের ভিসার ক্ষেত্রে কি কি কাজ করতে পারবেন, কোন কাজের উপর আপনি ভিসা করতে পারবেন সেগুলো সম্পর্কে জানা যাক।
- ক্লিনার ভিসা দিতে পারবেন
- হোটেল ভিসায় কাজ করা যাবে
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজ করতে পারবেন
- ড্রাইভিং ভিসায় কাজ করা যাবে
- জব ভিসায় কাজ করতে পারবেন
- সিজনাল ভিসায় যাওয়া যায়
- নন সিজনাল ভিসায় যাওয়া যায়
- কৃষি ভিসায় যেতে পারবেন।
- কোম্পানি ভিসায় কাজ করতে পারবেন
- শ্রমিক ভিসা বা লেবার পদে কাজ করতে পারবেন।
- বিজনেস ভিসায় কাজ করা যাবে।
উপরুক্ত এই কাজগুলো করার মাধ্যমে কত টাকা খরচ হতে পারে হতে পারে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক,
- কৃষি ভিসায় খরচ হবে ৭ থেকে ৯ লাখ টাকার মত।
- রেস্টুরেন্ট ভিসায় খরচ হতে পারে ৮ লাখ টাকার মত
- হোটেল ভিসায় যদি যান সে ক্ষেত্রে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা লাগবে।
- ড্রাইভিং ভিসায় যেতে চাইলে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ হবে।
- লেবার ভিসায় যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার মত খরচ হবে।
- শ্রমিক ভিসায় যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৭ লাখ টাকার মত লাগবে।
- ক্লিনার ভিসা যদি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার মত খরচ হবে।
- কোম্পানি ভিসায় খরচ হবে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার মত।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া যেতে চান, তাহলে কত টাকা খরচ হতে পারে।
সৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়
আপনি যদি সৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যাওয়ার ইচ্ছা করেন, সে ক্ষেত্রে সৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, বিস্তারিতভাবে জানা যাক।
সৌদি আরব থেকে এখন মানুষ অনেকেই পর্তুগালে যেতে যাচ্ছে, কেউ পর্তুগাল শহরটি ভ্রমণ করার জন্য যেতে চায় আবার কেউ কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চায় আবার অনেকেই পড়াশোনা উদ্দেশ্যে যায়। যাই হোক একেক ধরনের কাজের জন্য মানুষ গিয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে।
আপনি যদি সৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যেতে চান, সেক্ষেত্রে তিনটি বৈধ উপায় যেতে হবে। তা হল; টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া যাবে। এই তিনটি ভিসার মাধ্যমে আপনি সৌদি আরবের থেকে পর্তুগালে যেতে পারবেন। চলুন বিস্তারিত জানা যাক।
ট্যুরিস্ট ভিসাঃ আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব থেকে পর্তুগালে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ থাকবে ৯০ দিন বা তিন মাসের মত। সাধারণত বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াতে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে হয়ে যাবে।
সেজন্য টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী সে দেশে কয়দিনই বা থাকতে পারবেন। আপনি যদি সে ক্ষেত্রে কাজের উদ্দেশ্যে যান, তাহলে এই টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে ৯০ দিন থেকে তিন মাসের মধ্যে আপনাকে যে কোন একটি কাজ খুঁজে বের করা লাগবে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ আপনি যদি সৌদি আরব থেকে পর্তুগালে কোন কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়া লাগবে। আপনি সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজের জন্য আবেদন করা লাগবে।
পর্তুগালের বিভিন্ন জব পার্টগুলো থেকে আপনাকে একটি কাজ পছন্দ করে নিতে হবে এবং চাকরির জন্য আবেদন করা লাগবে। এজন্য এরপর আপনি মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগালে যেতে পারবেন।
স্টুডেন্ট ভিসাঃ অনেকেই লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে পর্তুগালে যেতে চায়, সেক্ষেত্রে আপনি সৌদি আরব থেকে যদি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে স্টুডেন্ট ভিসায় পর্তুগালে যেতে চান তাহলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করা লাগবে।
এছাড়া সৌদি আরবে আপনি যদি স্নাতক পাস করে থাকেন তাহলে পর্তুগালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের যদি ইচ্ছা করে থাকেন,সেই ক্ষেত্রে আপনি স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করবেন। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসা দেওয়া হবে। এরপর আপনি সেখানে গিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করতে পারবেন।
সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
আপনি যদি সরকারি ভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ইচ্ছা করেন, সে ক্ষেত্রে অনেক টাকা কম খরচ হবে। তাই সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।
অস্ট্রেলিয়া সরকারি ভাবে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা অফার থাকে বা প্রথমে আপনার উদ্দেশ্যে অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করা লাগবে। কারণ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আবেদন প্রক্রিয়াটা ভিন্ন হবে।
বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি থাকে যেমন ওয়ার্ক ভিসা, ভিজিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, মেডিকেল ভিসা, ভিজিট ভিসায় আবার বিভিন্ন ধরনের প্রকারভেদ থাকে। এই বিষয়ে চলুন বিস্তারিতভাবে জানা যাক।
সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা লাগে। চলুন, ধাপগুলো জেনে নেওয়া যাক,
প্রথমে অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের নামে একটি একাউন্ট তৈরি করা লাগবে।
অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরির সম্পর্কে ধারণা নেওয়া লাগবে। যেমন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগ্যতা বিভিন্ন ধরনের কিছু জানতে হবে।
এরপর উদ্দেশ্য অনুযায়ী উপযুক্ত ভিসা সিলেট করা লাগবে, অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তবে আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করে রাখবেন।
অনলাইনে আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদন ফরম এবং ভিসা আবেদন ফি পরিশোধ করা লাগবে।
আবেদন করার পর ভিসা প্রসেসিং শুরু হবে আনুমানিক প্রায় ৬ থেকে ৮ মাস সময় লাগতে পারে এই ভিসা প্রসেসিং হওয়ার ক্ষেত্রে।
শেষ কথাঃ সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন। তাহলে বৈধ উপায়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন, সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই সৌদি আরব থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url