সৌদি আরব থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
অনেকে জানতে চায়, সৌদি আরব থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাই কানাডা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলো আপনাকে জানতে হবে। চলুন, কিভাবে আপনি কানাডায় যাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সৌদি আরব থেকে কানাডায় যাওয়ার জন্য অনেকেই চেষ্টা করে থাকে, এজন্য বিভিন্ন পদ্ধতি বা উপায় রয়েছে। সেগুলো আপনাকে জানতে হবে তাহলে সহজ ভাবে আপনি কানাডায় যেতে পারবেন। তাই সৌদি আরব থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃসৌদি আরব থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
সৌদি আরব থেকে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে
অনেকে সৌদি আরব থেকে কানাডা যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন কিন্তু জানেন না কত টাকা লাগে। তাই সৌদি আরব থেকে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।
উন্নত দেশগুলোর মধ্যে কানাডা অন্যতম, এ দেশটি অনেক বড়। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে আসে আবার অনেকে বিভিন্ন কাজের জন্য আসে কেউ হয়তো পড়াশোনার উদ্দেশ্যে আসে কিংবা চিকিৎসার জন্য এই কানাডাতে গিয়ে থাকেন আবার অনেকেরই স্বপ্নের দেশ কানাডা।
কানাডা সম্পর্কে অনেকে জানেন যে অর্থনৈতিকভাবে ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বেশ উন্নত এবং ছোটখাটো কাজ করা যায় তাহলে ভালো বেতনে পাবেন। এছাড়াও শিক্ষার মান অনেক ভালো এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। তাই আপনি যদি সৌদি আরব থেকে কানাডায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে নির্ভর করবে আপনার কোন কাজের উপরে ভিসা করবেন, তার উপরে কত টাকা লাগতে পারে।
যেহেতু কানাডাতে বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে যেমন কৃষি ভিসা, টুরিস্ট ভিসা জব ভিসা অর্থাৎ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এছাড়াও স্টুডেন্ট ভিসায় আপনি কানাডাতে যেতে পারেন। মূলত এসব ক্যাটাগরিতে লোকজন কানাডাতে ভিসার জন্য আবেদন করে।
সে ক্ষেত্রে সৌদি আরব থেকে যদি আপনি কানাডায় যেতে চান, সেটাও নির্ভর করবে আপনার ভিসা ক্যাটাগরির উপরে এবং কতদিন সেখানে অবস্থান করবেন।
আপনি যদি বৈধ উপায়ে কানাডায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা খরচ হবে প্রায় ৪ থেকে ৬ লাখ টাকার মত। যদিও এর চাইতে হয়তো কম বেশি হতে পারে।
এছাড়া আপনি যদি কানাডাতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সৌদি আরব থেকে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৮ থেকে ১২ লাখ টাকার মত। বৈধভাবে ভিজিট ভিসায় গিয়ে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় অনুমতি পেতে পারেন বা পরিবর্তন করা যাবে।
অনেক মানুষই ভিজিট ভিসায় যাওয়ার পরে তারা বিভিন্ন ধরনের কাজ খুঁজে সেখানে গিয়ে কাজ করতে থাকে এবং পরবর্তীতে কাজের ভিসা তৈরি করে মেয়াদ বাড়াতে থাকে। এভাবে আপনার স্বপ্নের দেশ গিয়ে আপনি ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন।
তাই যে সকল সৌদি প্রবাসী ভাইয়েরা কানাডায় যেতে চাচ্ছেন তারা প্রথমে ভিজিট ভিসায় গিয়ে কাজ খুঁজতে থাকবেন। আশা করি যে কোন একটা কাজ পেয়ে যাবেন, তাহলে আপনি সেখানে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করতে পারবেন এবং ভালো টাকা বেতন পাবেন।
সৌদি আরব থেকে কানাডা যাওয়ার উপায়
অনেক সৌদি প্রবাসী স্বপ্ন দেখে কিভাবে কানাডায় যাওয়া যায়। তাই সৌদি আরব থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলেই আপনি কানাডায় যেতে পারবেন। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সৌদি আরব থেকে কানাডা যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো ভিজিট ভিসার মাধ্যমে আপনি যেতে পারেন। এই ভিজিট ভিসা পাওয়ার পরে আপনি কানাডাতে যাবেন এবং এরপর আপনি কাজ খুঁজে পরবর্তীতে ভিসা করে নিবেন।
প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে চান সেই ক্ষেত্রে বৈধভাবে আপনাকে কানাডাতে যেতে হবে। যারা সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ী আছেন তারা কানাডায় ভিজিট ভিসায় সহজভাবে যেতে পারবেন। কানাডায় ভিজিট ভিসায় যাওয়ার পরে আপনি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে নিবেন।
এ দেশে ভিজিট ভিসায় যাওয়ার পরে কাজ খুঁজে পাওয়ার পর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কনভার্ট করে নিতে হবে। কানাডায় ভিজিট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার ভালো একটি ট্রাভেল সিস্টেমই তৈরি থাকা লাগবে। পাশাপাশি প্রতি মাসে আপনার ব্যাংক একাউন্টে ভালো পরিমাণ টাকা লেনদেন করা লাগবে।
এছাড়াও কানাডা ভিসা আবেদন সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা হয়, এজন্য আপনাকে কানাডা ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং পূরণ করা লাগবে। অনলাইনের মাধ্যমে জমা দেওয়া লাগবে, এরপরে আপনাকে আবেদন ফি পরিশোধ করতে করা লাগবে।
অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পরে কানাডার দূতাবাস আপনার ইন্টারভিউ নেয়ার পরে, ভিসা আবেদনটি যাচাই বাছাই করবে। এই ভিসা প্রসেসিং হতে কয়েক মাস সময় লাগে। তারপর আপনি কানাডা ভিজিট ভিসার জন্য অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে।
অবশ্যই কোন দালালের মাধ্যমে যাওয়া যাবে না, এতে জীবনের ঝুঁকি থাকবে। দালালরা সর্বদা বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে আপনাকে নেওয়ার চেষ্টা করবে। তাই এসব দালাল থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। যাদের বেতন ৫০০০ রিয়ালের বেশি তারা চেষ্টা করবেন সৌদি আরবে থাকার।
সৌদি আরব থেকে কানাডায় গিয়ে কি কাজ করা যায়
অনেকে জানেনা যে কানাডাতে কি কাজ করা যায়, তাই সৌদি আরব থেকে কানাডায় গিয়ে কি কাজ করা যায়? সে সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনার ভালো একটি ধারণা পাবেন, চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
অধিকাংশ সৌদি প্রবাসী সৌদি আরব থেকে কানাডায় যাওয়ার ইচ্ছা করে কাজের জন্য তার মধ্যে যেমন সৌদি প্রবাসী যারা রয়েছেন তারাও একটু ভালো বেতনের আশায় এবং সুন্দর মতো চলাফেরা করার জন্য তারা কানাডায় যেতে ইচ্ছে করে।
সেখানে কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করবে এবং তারা উন্নত জীবনযাপন করার চেষ্টা করে থাকে। তাই সৌদি প্রবাসী যারা রয়েছেন তারা অনেকেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে কানাডায় যেতে চায়। সরাসরি আসলে যাওয়া যাবে না, এজন্য আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে সৌদি আরব থেকে কানাডায় কাজ খুঁজে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে হবে।
যখন কোম্পানি সার্কুলার ছাড়বে তখন আপনাকে সেই সার্কুলারের মাধ্যমে আবেদন করা লাগবে এবং কোম্পানি আপনাকে যোগ্য মনে করলে তখন আপনি কাজ পেয়ে যাবেন। তারপর তখন আপনি কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করবেন।
সৌদি আরব থেকে যাওয়ার পর বিভিন্ন কাজে কানাডায় আপনাকে কাজ করা লাগতে পারে। কানাডায় বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে তার মধ্যে কোন কাজটি চাহিদা বেশি সে বিষয়টা আপনাকে জানতে হবে।
বর্তমানে কানাডা সরকার প্রচুর শ্রমিক নিচ্ছে যে কাজগুলোর জন্য শ্রমিক নিচ্ছে তা হলো; কনস্ট্রাকশনের কোম্পানিগুলো বেশি শ্রমিক নিয়ে থাকে, বড় বড় ফ্যাক্টরি।
এরপর কানাডাতে অনেক রকমের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আছে যারা লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এছাড়াও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এই কাজগুলোর অনেক চাহিদা আছে এবং প্রতিনিয়ত এই কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এ বিষয়গুলোর দক্ষতা থাকে সেই হিসেবে আপনি কানাডায় যেতে পারেন।
এজন্য যারা এ সকল কাজে পারদর্শী রয়েছেন এবং যোগ্যতা অভিজ্ঞতা আছে তারা সৌদি আরব থেকে কানাডায় এই কাজগুলোর উপরে ভিসা করে আপনি যেতে পারবেন। সৌদি আরব থেকে কানাডায় গিয়ে কি কাজ করবেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
সৌদি আরব থেকে কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি সৌদি আরব থেকে কানাডায় ভিজিট ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে কিভাবে ভিসাটা পাবেন সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই সৌদি আরব থেকে কানাডা ভিজিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো। চলুন এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক,
ভ্রমণ ভিসাঃ ভ্রমণ ভিসা অস্থায়ী আবাসিক ভিসা নামে বলা যেতে পারে। ভ্রমণ ভিসার মাধ্যমে কানাডায় যাওয়া যাবে। আপনি যদি সৌদি আরব থেকে ভ্রমণ ভিসায় কানাডায় যেতে চান, সেক্ষেত্রে ভিসা পাওয়ার একটু কঠিন হবে। অনেকেই ছুটি কাটাতে বা ভ্রমণ করার জন্য কানাডায় যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকে।
আবার এই ক্ষেত্রে আপনি যেহেতু সৌদি প্রবাসী সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো স্যালারিতে চাকরি করার উদ্দেশ্যেই বা কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন। তাই আপনি কে সহজ ভাবে ভিসা পাওয়ার জন্য বেছে নিতে হবে।
তাই আপনি চেষ্টা করবেন প্রথমে ভ্রমণ ভিসা আবেদন করার জন্য এর পরবর্তীতে যদি আপনি কানাডায় যাওয়ার অনুমতি পান, সেখানে গিয়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যে আপনাকে কাজ জোগাড় করতে হবে। তাহলেই পরবর্তীতে আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে সেখানে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এজন্য ভিজিট ভিসা পেতে হলে অনলাইনে আবেদন করা লাগবে। আর কানাডা সরকারের ভিসা পোর্টালে আবেদন করতে হবে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো এবং উন্নত দেশগুলোকে এই দেশে ভ্রমণ করার জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না।
কানাডার ভ্রমণ ভিসা যেভাবে পাবেনঃ অনলাইনে ভিসা ফর্ম পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে আপনার নিজের পেশাগত ভ্রমণ সংক্রান্ত পরিবারের সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা লাগবে।
আপনি যদি প্রথমবারের মতো কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই বায়োমেট্রিক জমা দেওয়া লাগবে। কানাডা ভিসার জন্য ব্রায়মেট্রিক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আপনি যদি সৌদি প্রবাসী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে এদেশের কানাডা দূতাবাসে গিয়ে সেখানে ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া লাগবে।
ভ্রমণ ভিসার ১ থেকে ২ মাস এবং অভিবাসীর জন্য ৬ মাস থেকে ২ বছর সময় লাগতে পারে। তবে অভিবাসী ভিসার রিকোয়ারমেন্ট থাকে সেগুলো পূরণ করা লাগবে। ভ্রমণ ভিসার জন্য শর্ত কঠিন হয়ে থাকে, তারপরেও আশা করি আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন।
সৌদি আরব থেকে কানাডার ভিসা
আপনি যদি সৌদি আরব থেকে কানাডা যেতে চান আর সেক্ষেত্রে ভিসা করা লাগবে। তাই সৌদি আরব থেকে কানাডার ভিসা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আপনার জানা প্রয়োজন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি কাজ করার বা পড়াশোনার জন্য কানাডায় যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে কর্ম ভিসা বা স্টাডি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। কানাডা ভিসার আবেদনএখন অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
অনলাইনে আবেদন শেষ করার পর হাইকমিশন এবং কনসালটেন্ট গিয়ে আপনার ছবি এবং ফিঙ্গার দিতে হবে। বায়োমেট্রিক্স এর মাধ্যমে কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য কানাডার ওয়েবসাইটের লিংক আপনাকে গিয়ে আবেদন করা লাগবে।
যেভাবে আবেদন করবেনঃ কানাডা সরকারের অভিভাসন এবং নাগরিকত্ব বিষয়ক পোর্টাল দেশটির ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এই ভিসার ধরন অনুযায়ী আবেদন করা লাগবে। ভিসা সংক্রান্ত প্রায় সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা লাগবে।
অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করার পর ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করবে। বায়োমেট্রিক দেওয়ার জন্য আপনাকে সৌদি আরবের কানাডিয়ান হাই কমিশনে যেতে হবে।
কানাডা কি কি ধরনের ভিসা দিয়ে থাকেঃ কানাডা সরকারের বিভিন্ন ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে, তার মধ্যে আপনি যে কোন একটি বেছে নিতে পারবেন। তবে এই ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে আপনার সকল তথ্য-উপাত্ত দেওয়া লাগবে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় সব ধরনের নথিপত্র প্রস্তুত করে রাখতে হবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কোন কোন ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে।
- ভ্রমণ ভিসায় যেতে পারেন
- শিক্ষার্থী ভিসায়
- কর্ম ভিসার মাধ্যমে
- স্থায়ী বসবাসের ক্ষেত্রে ভিসায় যাওয়া যাবে।
আপনি যদি কানাডায় যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, তাহলে উপরোক্ত যে কোন একটি ভিসার মাধ্যমে আবেদন করা যেতে পারে।
কানাডায় কর্ম ভিসা যেভাবে পাবেনঃ প্রতি বছর কানাডার সরকার লাখ লাখ মানুষ কাজের জন্য নিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি সৌদি থেকে কানাডায় কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে কাজের ভিসায় আবেদন করতে হবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক। কিভাবে আপনি কাজের ভিসা পাবেন।
প্রথমে কানাডায় কাজের সন্ধান করা লাগবে, যদি আপনার ভাগ্য ভালো হয়। সে ক্ষেত্রে নিয়োগ কর্তার সন্ধান পেতে পারবেন বা আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা যদি মিলে যায়। সে ক্ষেত্রে কাজটি আপনি পেতে পারেন বা নিয়োগ কর্তা আপনাকে কাজটির জন্য উপযুক্ত মনে করবে এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসার পাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি দেবে বা কর্মভিসা পাওয়ার অনুমতি দিবে।
আপনার কাছাকাছি এলাকায় কোন নিয়োগ কারী সংস্থা খোঁজা লাগবে। যারা আপনাকে কানাডায় কাজ খোঁজার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারবে। তবে অত্যন্ত সাবধানতার সাথে যাচাই বাছাই করা লাগবে। এই কাজের সময় অনেকেই প্রতারিত হয়ে থাকে, তাই আপনাকে ভালো একটি সংস্থার কাছে যেতে হবে।
কানাডা সরকারের কর্মসংস্থান প্রকল্প আবেদন করা লাগবে, এই প্রকল্পের আওতায় অনেক সময় চাকরি ছাড়াও আপনি কানাডায় যেতে পারবেন।
সৌদি আরব থেকে কানাডা যেতে কি কি লাগে
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি সৌদি আরব থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। এখন জানবো কানাডায় যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগতে পারে। তাই সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
- কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদের পাসপোর্ট লাগবে
- ভিসা ফি প্রদান করা লাগবে
- ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করা লাগবে
- অভিবাসন ইচ্ছা পত্র থাকতে হবে
- জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে
- ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সার্টিফিকেট লাগবে
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট কর্মসংস্থান সালাত বা বিনিয়োগের প্রমাণপত্র লাগবে
- সার্টিফিকেট লাগবে মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে
- পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট লাগবে।
সৌদি আরব থেকে কানাডায় যাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করব
অনেকে প্রশ্ন করে থাকে যে সৌদি আরব থেকে কানাডায় যাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করব? তাই কিভাবে আপনি আবেদন করবেন সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
সৌদি আরব থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে, সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করা লাগবে। সৌদি আরব থেকে কানাডা যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন এজেন্সিওর মাধ্যমেও আপনি যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তারাই আপনাকে সকল ব্যবস্থা করে দেবে। তবে এজেন্সি বিশ্বস্ত হতে হবে।
সৌদি আরবের দূতাবাস থেকে আপনি কানাডা যাওয়ার জন্য আবেদন করা যেতে পারে। বর্তমানে কানাডায় অনেক কাজের চাহিদা আছে, এজন্য অনেক মানুষই সৌদি আরব থেকে কানাডায় কাজের জন্য যেতে চায়। এই কাজের চাহিদা মেটানোর জন্য লোক নিয়ে থাকে, কানাডা সরকার প্রতিবছরে অনেক লোক নিয়ে থাকে।
তাই আপনি বিভিন্ন অনলাইনে মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে কাজের জন্য ভিসা আবেদন করতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমেই আবেদন করা লাগবে এবং কিছু ডকুমেন্টস আপনাকে দিতে হবে তাহলেই কিছুদিন ধৈর্য ধারণ করলে হয়তো আপনি যেতে পারবেন।
সৌদি আরব থেকে কানাডায় নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
আপনি যদি সৌদি আর ব থেকে কানাডায় গিয়ে স্থায়ী বাসিন্দা হতে চান, সে ক্ষেত্রে কিছু শর্ত থাকে বা উপায় থাকে। তাই সৌদি আরব থেকে কানাডায় নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন, বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আপনাকে রিজওয়ান তৈরির মাধ্যমে কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার অনুমতি পাবেন। আপনি যদি সৌদি আরব থেকে কানাডাতে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে কানাডায় গিয়ে আর ফিরতে না চান সেই ক্ষেত্রে আপনাকে একটি রিজিওন তৈরি করা লাগবে। এই রিজিওন তৈরি করার জন্য আপনি কানাডার শরণার্থী হিসেবে যাওয়া লাগবে।
সেখানে আপনাকে বলতে হবে আপনি আর দেশে ফিরতে পারবেন না বা আপনি দেশে ফিরলে আপনার সমস্যা হবে। সকল কিছু ডিটেলস আপনাকে বলতে হবে আপনার সমস্যার কারণগুলো তুলে ধরতে পারেন যেভাবে, যে রাজনৈতিক সমস্যার কারণে অথবা ধর্মীয় কোন সমস্যার কারণে আপনি এই কানাডার শরণার্থী শিবিরে এসেছেন বা তাদের এখানে থাকার অনুমতি চাচ্ছেন।
এই শরণার্থী শিবিরে মাধ্যমে আপনি ৩ বছর থাকার অনুমতি পাবেন এবং থাকার পর আপনি তখন রেসিডেন্সি কার্ড পাওয়ার অনুমতি বা যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। এর মধ্যে আপনি সেখানে কোন একটি চাকরিতে কাজ করার চেষ্টা করবেন এবং আপনি আস্তে আস্তে কানাডার রেসিডেন্সি কার্ড পেয়ে যাবেন।
এভাবে আপনি শরণার্থী শিবির থাকার পরে সেখান থেকে আপনি কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারবেন। এই শরণার্থী শিবিরে থাকা গেলে আপনাকে খাবার এবং মোটামুটি খাবারের ব্যবস্থা দেবে। তারা এভাবে আপনাকে সেখানে কষ্ট করে থেকে তার পরবর্তীতে আপনি কার্ড পেলে সেই দেশের নাগরিক হয়ে যাবেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন।
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
আপনি যদি সরকারি ভাবে কানাডায় যেতে চান, সেক্ষেত্রে সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে কিভাবে আপনি কানাডায় যেতে পারবেন। সে সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
এক্সপ্রেস এন্ট্রি সিস্টেমঃ কানাডার এক্সপ্রেস এন্ট্রি সিস্টেম অভিবাসনের জন্য একটি জনপ্রিয় ও দ্রুত গতি কাজ করে থাকে। এই সিস্টেমের অধীনে অভিবাসীরা তিনটি শ্রেণীতে আবেদন করার অনুমতি পাবে।
ফেডারেল স্কিল্ড ট্রেড প্রোগ্রাম, ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার, কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রাম আপনার শিক্ষা কর্মদক্ষতা অভিজ্ঞতা ভাষা দক্ষতা অন্যান্য ফ্যাক্টর অনুযায়ী পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে। উচ্চ স্কর যদি পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে আপনি কানাডার স্থায়ী অভিবাসনের জন্য আমন্ত্রণ পাবেন।
প্রাদেশিক নমিনি প্রোগ্রামঃ যদি আপনি কোন নির্দিষ্ট প্রদেশে বসবাস বা কাজ করার ইচ্ছা করে থাকেন, তাহলে প্রাদেশিক নমিনি প্রোগ্রাম আপনার জন্য ভালো হবে। প্রতিটি কানাডিয়ান প্রদেশের নিজস্ব নমিনি প্রোগ্রাম আছে।
সেই প্রদেশের শ্রমবাজারের চাহিদার সাথে মিলে যাবে, এর মাধ্যমে যদি আপনি নির্বাচিত হতে পারেন। তাহলে আপনি কানাডার স্থায়ী বা অভিবাসী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন।
শিক্ষার মাধ্যমে অভিবাসনঃ বাংলাদেশের ছাত্ররা কানাডায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে অভিবাসনের স্বপ্ন দেখে দেখে কানাডিয়ান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া এবং সফলভাবে ডিগ্রী সম্পন্ন করা ছাত্র ভিসা কাজের ভিসা রূপান্তর করা এবং পরবর্তীতে স্থায়ী অভিবাসনের সুযোগ নেওয়া যাবে।
কাজের ভিসাঃ কানাডায় পেশাগত কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অভিবাসন অন্যতম একটি উপায় হতে পারে। এর জন্য আপনাকে কানাডার নিয়োগকর্তারা জব অফার পাওয়া লাগবে। তারপরে কানাডিয়ান লেবার মার্কেট ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট পজিটিভ হয় সেক্ষেত্রে আপনি কাজের ভিসা পাওয়ার অনুমতি পাবেন।
ফ্যামিলি স্পন্সরশীপঃ যদি আপনার কানাডায় পরিবারের সদস্য থাকে, তাহলে তারা আপনাকে স্পন্সর করে কানাডায় স্থায়ী অভিবাসনের জন্য আবেদন করা যাবে। এই প্রক্রিয়াটি নির্দিষ্ট শর্তাবলী ও যোগ্যতা থাকতে হবে তাহলে কার্যকারিতা পাবে।
অন্যান্য পদ্ধতিঃ কানাডায় অভিবাসনের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি থাকে যেমন সেল্ফ ইমপ্লয়েড পারসন্স প্রোগ্রাম স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রাম রিফিউজি এবং প্রতিটি পদ্ধতির নিজস্ব যোগ্যতা ও শর্তাবলী থাকে, যা আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতি অভিবাসনের লক্ষ্যের সাথে মিলে গেলে তাহলে আপনি অনুমতি পাবেন।
ভিসা প্রক্রিয়াকরণের খরচ দুই ধরনের হয়ে থাকে সরকারি এবং বেসরকারি। সরকারি প্রক্রিয়াকরনের ক্ষেত্রে খরচ একটু কম লাগে, সেক্ষেত্রে আপনার ৫ লাখ টাকার মত লাগতে পারে। এজেন্সির মাধ্যমে বা কোন বেসরকারিভাবে যান, সে ক্ষেত্রে আপনার ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে।
সৌদি আরব থেকে কানাডার ভিজিট ভিসা কত দিনের হয়
অনেকে জানতে চায় যে সৌদি আরব থেকে কানাডার ভিজিট ভিসা কত দিনের হয়? এক্ষেত্রে আপনার জানা প্রয়োজন। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভিসা আবেদনের সাথে কোন এজেন্সি আপনাকে কানাডা টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসা কখনোই দেয়ার অনুমতি দিতে পারবে না। এক্ষেত্রে অনেক ধাপগুলো অতিক্রম করা লাগবে, আপনার দেওয়া তথ্যের যাচাই বাছাই করা হবে। এরপর অনলাইনে আবেদন করতে হবে, আবেদনের পর পেমেন্ট পরিশোধ করা লাগবে।
পেমেন্ট পরিশোধ করার দেরি হলে আবেদনটি ক্যান্সেল হয়ে যাবে। পেমেন্টের পূর্বে অনলাইনে আবেদন কাজ করা লাগবে। ফরম পূরণের পরপরই পেমেন্ট করা লাগতে পারে। ভিসা আবেদনের পর প্রসেসিং হতে ২০ থেকে ৬০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।
এরপর ফাইনাল ভাবে আবেদন সম্পন্ন হলে আরো ১০ থেকে ১৫ দিন বেশি লাগতে পারে। সব মিলে আপনার দুই থেকে তিন মাসের মতো। এই ভিজিট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে। ভিসা পাওয়ার পর আপনার নিজ দায়িত্ব অনলাইনে চেক করে নিতে হবে, না হলে আপনি প্রতারিত হতে পারেন।
শেষ কথাঃ সৌদি আরব থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি সৌদি আরব থেকে কানাডায় যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আর অবৈধ পথে আপনার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। তাই সৌদি আরব থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url