সৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

অনেক সৌদি প্রবাসী তারা জানতে চায় যে, সৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাই আপনি কিভাবে পর্তুগালে যাবেন সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, সৌদি আরব থেকে কিভাবে পর্তুগাল যাওয়া যাবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর চেয়ে থেকে ইউরোপ কান্ট্রি গুলোর বেশি বেতন দিয়ে থাকে এবং সুযোগ-সুবিধা বেশি। এজন্য অনেকেই সৌদি আরব থেকে পর্তুগালে যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন। তাই সৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃসৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

সৌদি থেকে পর্তুগালে ভিজিট ভিসায় যেতে যা যা লাগবে

আপনি যদি সৌদি থেকে পর্তুগালে যেতে চান ভ্রমণ করার জন্য সেক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস লাগবে। তাই সৌদি থেকে পর্তুগালে ভিজিট ভিসায় যেতে যা যা লাগবে, সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

সৌদি আরবের তিনটি স্থান রিয়াদ জেদ্দা ও দাম্মাম এদের ভিসা জমা নিয়ে থাকে ভিএফএস গ্লোবাল। ভিএফএস এর জমা দেওয়ার আগে অনলাইনে আবেদন করা লাগবে। এজন্য ভিএফএস দুই ধরনের চার্জ একটা স্ট্যান্ডার্ড অপরটি প্রিমিয়াম।

স্ট্যান্ডার্ড এর ফি ১৬৯ সৌদি রিয়াল বা ৪৫ ইউ এস ডলারের মত প্রিমিয়াম রেট বেশি হয়ে থাকে। ভিসা অথবা মাস্টার কার্ড এর মাধ্যমে ভিএসএস ভিএফএস এর ফি দেয়া যায়। এরপর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে যে ডকুমেন্টগুলো দিতে হবে তা নিম্নে আলোচনা করা হবে।

সব ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কম বেশি ১৫ দিনের মধ্যে এম্বাসি আপনার এই ডকুমেন্টগুলো যাচাই করবে এরপর আপনার ভিসার দেবে কি দেবে না তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকবে। যে ডকুমেন্টগুলো লাগবে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • সেনজেন ভিসা আবেদন ফর্ম লাগবে
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি প্রয়োজন হবে
  • স্পন্সর এর চিঠি অর্থাৎ ভ্রমণের খরচ যদি অন্য কেউ বহন করে থাকে, সেক্ষেত্রে দিতে হবে। ভ্রমণের খরচ যদি আপনি নিজেই দিয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে স্পন্সরের চিঠি প্রয়োজন হবে না।
  • রিটার্নসহ ফ্লাইট টিকিট করা লাগবে
  • হোটেল বুকিং করতে হবে
  • ভ্রমণ বিভাগ বীমা প্রয়োজন হবে করা লাগবে
  • পাসপোর্ট কপি ও আগের ভিসার কপি লাগবে
  • চাকরির নিয়োগ পত্র প্রয়োজন হবে
  • ইনভাইটেশন লেটার লাগবে
  • জাতীয় পরিচয় পত্র বা ই-কামা কপি লাগবে
  • এক্সিট রি এন্ট্রি নন সৌদি নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে।
  • সৌদিয়ানদের জন্য তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট আর নন সৌদি লোকদের জন্য ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে।
উপরের ডকুমেন্টগুলো যদি আপনার কাছে থাকে, তাহলে সৌদি থেকে ভ্রমণ ভিসায় পর্তুগালে যেতে পারবেন। তাই উপরোক্ত কাগজগুলো ডকুমেন্টস গুলো আপনার সংগ্রহ করে রাখতে হবে।

সৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায়

আপনি যদি সৌদি থেকে পর্তুগালে যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে সৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে আপনি সৌদি থেকে পর্তুগালে যাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সৌদি আরব থেকে মানুষ অনেকেই পর্তুগালে যেতে চায়, কেউ ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে আবার কেউ পড়াশোনা করার উদ্দেশ্যে কেউবা কাজের জন্য গিয়ে থাকে। সৌদি আরব থেকে পর্তুগালে যাওয়ার জন্য তিনটি বৈধ উপায় রয়েছে। চলুন, সে তিনটি উপায় সম্পর্কে জানা যাক।

টুরিস্ট ভিসাঃ সৌদি আরব থেকে আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগালে যেতে চান ভ্রমণ করার জন্য সে ক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসা মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন এবং পর্তুগালে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। আপনি যদি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব থেকে পর্তুগালে যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসা করা লাগবে।

টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ থাকবে ৯০ দিন, এছাড়াও বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আপনি কয়দিনের মধ্যেই হয়তো ঘুরে বেড়াতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার এই সময়টা বেঁচে যাবে চাইলে আপনি সেই দেশে বাকি কয়েকদিন কাজ খুঁজতে পারেন।

যে কোন কাজ খুঁজে বের করে আপনি কাজ করতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনি কাজ পেলে সেখানে কাজ করার পরে পুনরায় ভিসা করে নিবেন। তাহলে আপনি সেখানে কাজ করতে পারবেন।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ সৌদি আরব থেকে পর্তুগালে যদি আপনি কাজ করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন। সেই ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করা লাগবে।

এজন্য আপনাকে ভিসার ক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে। কারণ পর্তুগালে অনেক ধরনের কাজ আছে যে কোন কাজের উপর আপনি ভিসা করে সেখানে কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন।

এছাড়াও পর্তুগালের বিভিন্ন জব পার্টগুলো থেকে আপনি যে কোন একটি কাজকে পছন্দ করতে পারেন এবং সেই চাকরির জন্য আবেদন করা লাগবে। আপনি যখন আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে সে দেশে যাওয়া লাগবে।

যদি আপনি কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান এবং সেই দেশে কাজ করার জন্য আপনাকে অনুমতি হিসেবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন হবে। তাহলে আপনি যে কোন কাজ ওই দেশে গিয়ে করতে পারবেন।

স্টুডেন্ট ভিসাঃ অনেকেই বিভিন্ন দেশে লেখাপড়া করার উদ্দেশ্যে ভিসা করে থাকে আর এই ধরনের ভিসাকে আমরা স্টুডেন্ট ভিসা বলে থাকি। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি সৌদি আরব থেকে পর্তুগালে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চান, তাহলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসাই করা লাগবে।

সৌদি আরবে আপনি যদি স্নাতক পাশ করেন, আপনি পর্তুগালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রেও ভিসা করতে পারেন। আপনি যদি পর্তুগালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের জন্য আবেদন করেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসা করা লাগবে এবং স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে তাদের সকল কিছু শর্ত মেনে আপনাকে যেতে হবে।

তিনটি মাধ্যমে আপনি সৌদি আরব থেকে পর্তুগালে বৈধভাবে যাওয়া যাবে। তাই পর্তুগালে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আগে খোঁজখবর নিতে হবে। কোন দালালের খপ্পরে পড়ে যাওয়া যাবে না, তাহলে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

ইতোমধ্যে ওয়ার্ক পারমিট বিষয়ে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হয়েছে। চলুন, পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো,
ছবি
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক তথ্য হলো স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদীকরণের ভিসা আছে। স্বল্পমেয়াদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হল ৬ মাস থেকে ১ বছরের মত থাকবে। আর দীর্ঘ মেয়াদী ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ক্ষেত্রে ২ বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকবে। এরপর আপনাকে নতুন করে আবার ভিসার মেয়াদ বাড়াতে হবে।

তাই আপনি যদি পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে জানতে হবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে কি কাজগুলো আছে সেটা জানতে হবে। চলুন ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গেলে আপনি কি কি কাজ করতে পারবেন সে সম্পর্কে জানা যাক।
  • ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতে পারবেন
  • ড্রাইভিংয়ের কাজ করা যাবে
  • ফুড প্যাকেজিং করার কাজ করতে পারবেন
  • হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজ করতে পারবেন
  • গবাদি পশুপালন ও ক্লিনারের কাজ করা যাবে।
  • বাসা বাড়ি ক্লিনারের কাজ করতে পারবেন, হসপিটালের ক্লিনার এ কাজ করা যাবে।
  • এছাড়াও অফিস এর ক্লিনার কাজ করা যাবে।
তাহলে উপরোক্ত কাজগুলোর মাধ্যমে করতে পারবেন, শুধুমাত্র ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করলে। তাই আপনার সুবিধামতো যে কাজটি অভিজ্ঞতা রয়েছে সে অনুযায়ী আপনি পর্তুগাল ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দামঃ পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার কত টাকা দাম হতে পারে, সেটা আপনার জানা প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে ইউরোপের যে কোন দেশেই যেতে চাইলে অনেক টাকা লাগে। সেই হিসেবে পর্তুগালে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার প্রায় ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কয়দিন লাগেঃ আপনারা হয়তো অনেকেই জানতে চান যে, পর্তুগালের ভিসা পাওয়ার কত দিন সময় লাগতে পারে। তাই এক্ষেত্রে পর্তুগালের ভিসার ক্ষেত্রে যদি আপনি আবেদন করে থাকেন, সেক্ষেত্রে কাগজপত্র জমা দেওয়ার সঠিক তথ্য যাচাই করার পরে সর্বনিম্ন ৫৫ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মতো লাগতে পারে।

আর যদি আপনি আবেদনের মধ্যে কোন ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র ভুল করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে পর্তুগালের ভিসা পাওয়া সম্ভব না, তাহলে বুঝতে পারছেন ভিসা করার ক্ষেত্রে কোন ভুল করা যাবে না। তাহলেই এই সময়ের মধ্যে আপনি ভেসে পেয়ে যাবেন।

পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি

অনেকেই জানতে চায় যে পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি? তাই পর্তুগালে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। এজন্য কোন কাজটি চাহিদা বেশি সেটা আপনার জানা প্রয়োজন। তাহলেই আপনি একটি ধারণা পাবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কোন কাজের চাহিদা বেশি।

আপনি যদি পর্তুগালে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই জানতে হবে যে আপনার পর্তুগালে কোন কাজগুলো বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং চাহিদা বেশি রয়েছে। আপনি যে কাজটি ভালো জানেন এবং অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা আছে সে কাজটির উপর ভিসা করে পর্তুগালে যেতে পারেন, তাহলে অনেক টাকায় বেতন পাবেন এবং আপনার কাজ করতেও ভালো লাগবে।

আর যে কাজের প্রতি দক্ষতা রয়েছে কিন্তু সেখানে পর্তুগালে সেই কাজের তেমন একটা গুরুত্ব নেই, সে ক্ষেত্রে যদি পর্তুগাল যান, তাহলে বেতন খুবই কম পাবেন এবং বিভিন্ন ধরনের বিপদের সম্মুখীন হবেন। 
তাই যে কোন একটি কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপরে গেলে ভালো হবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে।
  • মেকানিক্যাল কাজ করতে পারবেন
  • কনস্ট্রাকশন এর কাজ করা যেতে পারে
  • ইলেকট্রিক্যাল এর কাজ করতে পারবেন
  • ড্রাইভিং করা যেতে পারে
  • ক্লিনারের কাজ করতে পারেন
  • কৃষি কাজের চাহিদা রয়েছে
  • ফুড প্যাকেজিং এর কাজ করা যাবে
  • গবাদি পশু পালন চাহিদা রয়েছে
  • হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজের চাহিদা আছে
  • সিকিউরিটি গার্ড ও শেফ এর চাহিদা আছে।
তাহলে আপনি উপরোক্ত কাজগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি কাজের যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে এই কাজটার উপরে যদি আপনি ভিসা করতে পারেন তাহলে আপনি পর্তুগালে গিয়ে অনেক টাকায় বেতনের চাকরি করতে পারবেন।

পর্তুগালের সর্বনিম্ন বেতন কত

ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি সৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। এখন জানবো আপনি পর্তুগালে কোন কাজের বেতন কেমন সম্পর্কে। তাই নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

পর্তুগালের একটি বেতন কাঠামো আইন আছে, প্রতিবছর সরকার এটা নির্ধারণ করে দেয়। বর্তমানে পর্তুগালের মূল ভূখণ্ডের জন্য সর্বনিম্ন মাসিক বেতন দেওয়া হয় ৮২০ ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় কনভার্ট করলে আনুমানিক প্রায় ১ লক্ষ টাকার মত হবে। বর্তমানে পর্তুগালের গড় মাসিক বেতন ১৪৬৩ ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হয়ে থাকে।

এ দেশে সাধারণত কাজের ৪০ ঘন্টা বেসিক ডিউটি করা লাগে, তবে ওভারটাইম কাজ করার জন্য অতিরিক্ত বেতন দিয়ে থাকে। এছাড়া আপনি বছরে ২২ দিন ছুটি নেওয়ার অনুমতি পাবেন। তাহলে পর্তুগালের সর্বনিম্ন বেতন বা বেতন কাঠামোটা কত সেটা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হোক।

বিভিন্ন কাজের বেতনের পরিমাণ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে, সাধারণত প্রযুক্তি আইন চিকিৎসা সেক্টরগুলোতে বেতন বেশি হয়। যাদের অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা রয়েছে তাদেরও বেতন বেশি হয়। এছাড়াও বড় শহরগুলোতে বেতন বেশি হবে ছোট শহরগুলোতে একটু বেতন কম হবে।

কারণ বড় শহরগুলোতে কোম্পানিগুলো লাভ বেশি করে থাকে ছোট কোম্পানির গুলো লাভ কম হয়ে থাকে। সেভাবেই তারা বেতন কাঠামো তৈরি করে থাকে, তাছাড়াও কিছু কোম্পানির বেতনের স্বাস্থ্য বীমা পেনশন এবং সুবিধাও দিয়ে থাকে।
  • একজন রিসেপশনিস্টের বেতন হবে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।
  • একজন ওয়েটারের মাসিক বেতন প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা
  • একজন ক্লিনারের বেতন মাসে ১ লক্ষ দশ হাজার থেকে ১ লক্ষ আশি হাজার টাকার মত।
  • গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ১ লক্ষ ১৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত
  • ডেলিভারি ম্যান এর বেতন ১৫০০০০ থেকে ২৫০০০০০ হাজার টাকার মত।
  • একজন ড্রাইভার এর মাসে বেতন হয়ে থাকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো।
  • আপনি যদি কনস্ট্রাকশনের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তাহলে আপনার বেতন মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার মত।
  • একজন ইলেকট্রিশিয়ানের বেতন ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার মত
  • একজন প্লাম্বারের বেতন ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার মত।
  • একজন শেফ এর বেতন ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার মত।
  • যদি আপনি কৃষি কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে মাসে বেতন পাবেন ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার মত।

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

অনেকে জানে না কত টাকা লাগতে পারে, তাই বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে? জানতে হবে। চলুন, বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
তাই পর্তুগাল যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কে নির্ভর করবে আপনি কোন কাজের উপরে ভিসা করতে চাচ্ছেন, কেননা একেক ধরনের কাজের উপরে একেক রকম টাকা লাগতে পারে।

সেজন্য আপনি যে কাজের উপরে ভিসা করতে চাচ্ছেন তার উপরে নির্ভর করবে কত টাকা লাগতে পারে। চলুন, কোন কাজে কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে বুঝতে পারবে। বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যদি আপনি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে একটু বেশি টাকা যাবে। কারণ এই ভিসার মধ্যে অনেকগুলো কাজ থাকে যেমন ক্লিনার, ফ্যাক্টরির কাজ কৃষি কাজ।

তাই আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় করতে চান সে ক্ষেত্রে উপরের কাজগুলো করতে পারবেন। যদি আপনি পর্তুগালে যেতে চান সেক্ষেত্র খরচ ৮ থেকে ১২ লাখ টাকার মত খরচ হবে।
আপনি যদি মেডিকেলে পড়ার ইচ্ছা করেন, সেক্ষেত্রে পর্তুগালের বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল রয়েছে। যেগুলো গুনাগুনের উপর নির্ভর করে কত টাকা লাগতে পারে।

একেক টা মেডিকেলের একেক রকমের খরচ হতে পারে। তবে আপনি যদি মেডিকেলে পড়তে চান সে ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে।

আপনি যদি ফ্যামিলি ভিসায় পর্তুগালে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে একটু বেশি খরচ হতে পারে। তবে যদি আপনার ওখানে ফ্যামিলি কেউ থাকে সে ক্ষেত্রে খরচ কম হবে। যা হোক ফ্যামিলির ভিসায় যদি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে খরচ হবে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত।

আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে যদি স্কলারশিপ পান, তাহলে কম খরচ হবে। সে ক্ষেত্রে খরচ হবে ৪ থেকে ৬ লাখ টাকার মত। আর যদি স্কলারশিপ ছাড়া পর্তুগালে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ১৬ থেকে ১৮ লাখ টাকার মত।

আপনি যদি ভ্রমণ ভিসার মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে ৩ মাস অথবা ৬ মাসের জন্য যেতে পারেন। তিন মাসের জন্য যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে খরচ হবে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা আর যদি ৬ মাসের জন্য ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত।

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে যেতে চান সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে। তাই বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে পর্তুগাল যাবেন সে সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়া একটু কঠিন হয়ে থাকে, তারপরও বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী ও শ্রমিককাজ করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। তাই পর্তুগালে ভিসা পাওয়ার একটু কঠিন বিষয় তারপরও আপনি চেষ্টা করলে অতি সহজেই পেয়ে যাবেন।

তাই পর্তুগাল বাংলাদেশের জন্য চারটি ভিসা দিয়ে থাকে তা হল; স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মেডিকেল ভিসা এবং ভ্রমণ ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। অধিকাংশ বাংলাদেশীরা সাধারণত কাজের জন্য অথবা অনেকে শিক্ষা অর্জনের জন্য ভিসা করে থাকে। যদিও এই ভিসা করা একটু কঠিন বিষয়।

তবে পর্তুগালে ভ্রমণ ভিসা ও মেডিকেল ভিসা পাওয়া একটু সহজ হয় কিন্তু টুরিস্ট ও মেডিকেল ভিসা অনেকটা ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। আপনি যদি পর্তুগালে যেতে চান দুটি উপায়ে যেতে পারবেন।

আপনার যদি কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে তাদের মাধ্যমে অথবা পর্তুগাল দূতাবাসের এম্বাসির মাধ্যমে যাওয়া যাবে। পর্তুগাল এম্বাসি হলো মূলত পর্তুগাল ভিসা সেন্টার যার মাধ্যমে আপনি পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আর আপনি যদি পর্তুগালে যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে পর্তুগাল এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে কিন্তু দুঃখের বিষয় হল বাংলাদেশের পর্তুগালের কোন এম্বাসি নেই। তবে আপনি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দূতাবাসের মাধ্যমে পর্তুগালের ভিসা করতে পারবেন।

ভারতের দিল্লিতে পর্তুগালের এম্বাসি রয়েছে সেখানে আপনি যোগাযোগ করে পর্তুগালের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এজন্য আপনাকে ভারতের দিল্লিতে গিয়ে সরাসরি এম্বাসিতে আপনার পর্তুগালের ভিসা আবেদনপত্র জমা দেওয়া লাগবে।

পর্তুগালে যাওয়ার জন্য আর একটু সহজ উপায় হলো আপনার যদি কেউ আত্মীয়-স্বজন থাকে, তাহলে তাদের রেফারেন্সের মাধ্যমে আপনি অতি সহজেই পর্তুগালে যেতে পারবেন।

পর্তুগালে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি সহজ উপায় হল যদি কোন পর্তুগালের কোম্পানি জব লেটার অফার করে, সেই ক্ষেত্রে চাকরির উদ্দেশ্য যেতে পারবেন। যা হোক আপনি যে উপায় যান না কেন পর্তুগালে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভারতের পর্তুগাল এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে এবং সেখানে ভিসা জমা দিতে হবে।

তাই আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনি ভিসা করবেন এবং কোথায় যাবেন। বর্তমানে অনেক দালাল রয়েছে , যাদের মাধ্যমে প্রতারিত হতে পারেন। তাই আপনি যদি সচেতন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভারতের দিল্লির পর্তুগালের এম্বাসির মাধ্যমে যাওয়া লাগবে। এজন্য আপনি এই সকল তথ্যগুলো জেনে তারপরে পর্তুগালে যেতে পারবেন, তাছাড়া আপনি প্রতারিত হতে পারেন।

শেষ কথাঃ সৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি সৌদি আরব থেকে পর্তুগালে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে আপনাকে পর্তুগালের এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে এবং বৈধ পথে যেতে হবে। তাছাড়া আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই সৌদি আরব থেকে পর্তুগাল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটা যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪