এলার্জি চুলকানি দূর করার সাবান ও ঘরোয়া উপায় জানুন
অনেকে এলার্জি ও চুলকানির কারণে বিভিন্ন ধরনের সাবান ব্যবহার করে থাকে। তাই আগে এলার্জি চুলকানি দূর করার সাবান সম্পর্কে জানতে হবে, তা না হলে শরীরে ক্ষতি হবে। চলুন, কি ধরনের সাবান ব্যবহার করলে চুলকানি দূর হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের এলার্জি চুলকানি ও চর্ম রোগে ভুগে থাকেন তারা বিভিন্ন ধরনের সাবান ব্যবহার করেন কিন্তু আসলে কোন সাবান গুলো তারা যে সমস্যা দূর করবে সেটা জানে না। তাই এলার্জি চুলকানি দূর করার সাবান সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃএলার্জি চুলকানি দূর করার সাবান ও ঘরোয়া উপায় জানুন
এলার্জি চুলকানি দূর করার সাবান
অনেকে চুলকানির সমস্যায় ভুগে থাকেন তাই তারা বিভিন্ন সাবান ব্যবহার করে থাকে। তাই এলার্জি চুলকানি দূর করার সাবান সম্পর্কে জেনে তারপরে ব্যবহার করবেন। তা না হলে ক্ষতি হবে, চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
অনেকের এলার্জি সহ বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগ হয়ে থাকে, এজন্য এ সম্পর্কে জানতে হবে। যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কি নরমাল সাবান বা মেডিকেটেড কোন সাবান সাজেস্ট করে কিনা, সেটা অনেক চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ করতে হবে।
তবে সাধারণত একজন চিকিৎসক যেটা সাজেস্ট করে গ্লিসারিন যুক্ত যে সাবান গুলো আছে। আমরা এগুলোকে সাধারণত বলে থাকি সিরামাইট যুক্ত যে সাবান বডি ওয়াস বা লোশন পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। বাচ্চাকে অল্প সময়ে গোসল করে ভালোভাবে মুছিয়ে কিন্তু বাচ্চাকে লোশন দেওয়া যাবে।
লোশন দিয়ে তাকে ফুল স্লিপ ড্রেস পরাবেন এবং বড়দের ক্ষেত্রে গোসল করে যখন বডিতে লোশন দেওয়া দরকার। বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল শরীরের মেখে গোসল করতে গেলে তার স্কিন থেকে তেল কম বের হয়ে থাকে। তার স্কিন খুব সহজে হাইড্রেট থাকবে বা অলিভ অয়েল মেখে বা নারকেল তেল মুখেও গোসল করা যেতে পারে। যাদের স্কিন অনেক বেশি হাইড্রায় থাকে তাদের সেখান থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।
শীতকালে দেখা যায় ইচিং এর পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়, এই সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা ও চিকিৎসকরা বলেছেন এটা বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ হচ্ছে ড্রাই স্কিন ড্রাইনেসের জন্য অনেকের চুলকানি হয়ে থাকে।
এই ইচিং এর জন্য ময়েশ্চারাইজ করা লাগবে দিনে দুই থেকে তিনবার গোসলের পরে একবার রাতে একবার দুপুরে।
এটা যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সারা জীবন স্কিন কেয়ার প্রেভেন্ট করা যেতে পারে। তার একটা হচ্ছে যাদের সারা বছরই অল্প অল্প করে এই চুলকানি এলার্জি থাকে তাদের ক্ষেত্রে শীতকালেও বেড়ে যেতে পারে।
চুলকানির কিছু কারণঃ অনেকের শুষ্ক ত্বক হওয়ার কারণে শীতকালে চুলকানি হয়ে থাকে। এছাড়াও যাদের ধুলো ময়লা পোকামাকড়ের কামড় বা কাপড় সাফল্য সঠিক ব্যবহার করলেও এই এলার্জি চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণের কারণে চুলকানি হয়ে থাকে। এছাড়াও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিকর লিভারের সমস্যা গর্ভধারণ ইত্যাদি কারনে চুলকানি দেখা যেতে পারে।
চুলকানির জন্য যে সকল কাজগুলো আপনারা করতে পারেন তাহলে মৃদু সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ত্বকের জন্য সুগন্ধযুক্ত সাবান এড়িয়ে চলতে হবে এতে ত্বকের জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই লোশন যুক্ত সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে, এতে ত্বকের আদ্রতা রাখবে। এন্টিফাঙ্গাল সাবান ব্যবহার করতে পারেন এতে চুলকানি অনেকটা কমে যাবে। এছাড়াও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন।
যে সাবান গুলো ব্যবহার করা যেতে পারে যেমন ডাব, লাক্স, লাইফ বয়, ডেটল, হিমালয় হারবালস ইত্যাদি।
তবে মনে রাখবেন সাবান ব্যবহারের পর ত্বক ভালো করে ধুতে হবে, আর ঠান্ডা পানিতে গোসল করা লাগবে। গরম পানিতে গোসল করলে ত্বককে আরো অসুস্থ করে তুলবে। সুতির পোশাক পড়তে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করবেন।
এলার্জি চুলকানি কেন হয়
অনেকের এলার্জি চুলকানি হয়ে থাকে কিন্তু কি কারনে হয় সেটা হয়তো জানে না। তাই এলার্জি চুলকানি কেন হয়? এ সম্পর্কে জানলে আপনি সতর্ক হতে পারবেন। তাই নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
চুলকানি অস্বস্তিকর অবস্থা আপনাকে ফেলতে পারে, এজন্য আপনাকে বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি চুলকাতে হয়। বিভিন্ন জায়গায় দাগ পড়ে যায় এছাড়াও চুলকানোর জন্য অনেক ধারালো জিনিস দিয়ে চুলকানো হয় বা চামড়াতে ঘষা দেওয়া লাগে, এমনকি শরীরের যে কোন অংশে ঘষা দেওয়ার কারণে সেখানে ব্যথা হয়।
সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফুলে যায়, চুলকানির কিছু কমন কারণ আছে যেগুলো আপনার জানতে হবে। মূলত এলার্জির সমস্যা থেকেও চুলকানি হয় কিন্তু কোনটা এলার্জি আর কোনটা চুলকানি সেটা আমরা হয়তো বলতে পারিনা।
কেননা এই দুইটার অবস্থা একই রকম হয়ে থাকে এর জন্য ডিফারেন্ট হয়ে থাকে যেমন গরমের দিনে রোগী এক ধরনের উপসর্গ দেখা যায়, এছাড়া শীতকালে আরেক ধরনের উপসর্গ হয়। বিশেষ করে শিশু নারীরা বয়স্ক লোক এর রোগীগুলো সাধারণত বেশি চুলকানি হয়ে থাকে।
গরমের দিনে আবহাওয়ার কারণে কায়িক পরিশ্রম করলে এই ধরনের ঘামাচি হয়ে থাকে সেই ঘামাচি থেকে অনেকের চুলকানি হয়। এছাড়া সাধারণ ভাষায় আমরা যেটাকে দাউদ বলে থাকে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আমরা ওষুধের দোকানে অনেকে গিয়ে বলে থাকি যে এলার্জি হয়েছে আমাকে ওষুধ দিবেন, এরাও সাধারণত এলার্জির ওষুধ দিয়ে থাকে।
কিন্তু এটা কি কারনে হলো মূলত কোন ধরনের এলার্জি বা চুলকানি কিনা বা দাউদ কিনা এটা না জেনে তারা ওষুধ দিয়ে দিচ্ছে। যার কারণে রোগীদের বিভিন্ন ধরনের বিপদের সম্মুখীন ফেলে দিচ্ছে। এগুলো রোগের বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে চুলকানির আপনার যদি হয়ে থাকে তাহলে এই বিষয়টা নিয়ে সহজ ভাববেন না। তাদের নির্ণয় করবেন এটা কি এলার্জি নাকি চুলকানি এবং ওর উপর আপনাকে জানতে হবে তাহলে আপনাকে চিকিৎসা নিলে সুস্থ হবে।
এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
অনেকেই এই চুলকানিকে অবহেলা করে থাকে বা এলার্জিকে তেমন যত্ন নেয় না। সেজন্য কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা করা যেতে পারে। তাই এলার্জি চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার প্রয়োজন। চলুন এ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
ত্বকের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো এলার্জি এই সমস্যায়, ত্বকে চুলকানির সমস্যা দেখা দেয় কারো কারো ক্ষেত্রে ত্বকের ছোট ছোট ফুসকুড়ি ওঠে থাকে এবং কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জির কারণে ত্বকে বড় বড় গোল আকৃতির ফোলা ভাব দেখা যায়। এই সমস্যার সমাধানের কারণে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আপনি অবলম্বন করতে পারেন।
চিকিৎসা শাস্ত্রের ক্ষেত্রে এলার্জি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে অথবা বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে। তাই এলার্জিতে যেসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সেগুলো যদি আপনি না মেনে চলেন তাহলে অবশ্যই খাওয়ার পরে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে পালমোনারি ইডিমা তৈরি করতে পারে।
এই সমস্যাকে চিকিৎসা ভাষায় বলা হয়ে থাকে ভ্যাসোডাইলেশন এজন্য এলার্জির সমস্যা যারা ভুগে থাকেন। সে সকল রোগীদেরকে খাবার-দাবার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।
পাশাপাশি এলার্জির সমস্যার পরিমাণ কমানোর জন্য বাইরের কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মধুঃ ত্বকের এলার্জি সমস্যা যদি থাকে সে ক্ষেত্রে মধু ব্যবহার করা যেতে পারে। মধু পরিবেশের উপস্থিতিতে এলার্জিনের সঙ্গে শরীরকে খাপ খাওয়াতে পারে। এছাড়াও মধুর মধ্যে যে উপাদানটি থাকে তা এলার্জির ফুসকুড়ি কমাতে সাহায্য করে।
লেভেন্ডার এসেনসিয়াল ওয়েলঃ ত্বকের এলার্জির সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গোসলের সময় পানিতে লেভেন্ডার এসেন্সিয়াল ওয়েল মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
আর পাশাপাশি অবশ্যই রাতে শোয়ার আগে শোয়ার আগে একবার করে লাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল এর ভাপ নেওয়া যেতে পারে।
অ্যালোভেরাঃ ত্বকের এলার্জি বা চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। যাদের চুলকানি শুষ্কতার সমস্যা এলার্জি সমস্যা অ্যালোভেরা পাতার জেল কিংবা বাজারে পাওয়া যায় অ্যালোভেরা জেল সেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ঔষধি গুন দ্রুত জ্বালা এবং চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন।
তিতা জাতীয় খাবারঃ খাবারের মধ্যে যে তিতা জাতীয় খাবার গুলো আছে, সেগুলো খেতে পারেন কারণ এগুলো খাওয়ার মধ্যে আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এলার্জি থেকে রক্ষা করবে। এক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে চিরতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। যা আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করবে।
ঠান্ডা এড়িয়ে চলাঃ এলার্জি সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আপনি ঠান্ডা মেঝেতে খালি পায়ে হাটা হাটি করবেন না, গরমের দিনেও মেঝেতে শোয়া যাবে না। এটা কোল্ড এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হলুদঃ ভেজস উপাদান হলুদ ভালো উপকার করে থাকে, এলার্জি সমস্যা দূর করার জন্য গরম ভাতে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে আপনার এলার্জি বা চুলকানির সমস্যা দূর হবে।
ওটমিলঃ এর মধ্যে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি যা আপনার বিভিন্ন এলার্জির জনিত ত্বকের প্রতিক্রিয়া বিশেষ করে চুলকানি প্রশমিত করবে।
বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডা ত্বকের পিএইচ ভারসাম্যহীনতাকে মোকাবেলা করতে পারবে। এছাড়া আপনার ত্বকে যে কোন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। এজন্য আপনি ১২ চামচ পানিতে চার চামচ বেকিং সোডা পেস্ট করে নিবেন। এলার্জির স্থানে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করলে এরপরে পানি দিয়ে ধূয়ে ফেলবেন।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাঃ ত্বকের এলার্জি সমস্যা থেকে দূর রক্ষা পাওয়ার জন্য নিয়মিতভাবে গোসল করতে হবে, পোশাকের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে। এছাড়া বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মুখে মাক্স ব্যবহার করতে হবে।
ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করুন সাবান
আপনার ত্বকের ধরন বুঝে সাবান ব্যবহার করতে হবে। তাই ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করুন সাবান এজন্য আপনাকে জানতে হবে কোন ধরনের সাবান ব্যবহার করবেন। আপনার এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সারাদিনের ধুলোবালি ঘাম আর ক্লান্তিকে দূর করে গোসল করতে হবে আর এই পরিপূর্ণ গোসল সাবান ছাড়া আসলে করলে নিজেকে অস্বস্তিকর মনে হয়। এই সাবান শুধু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই করেনা ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান করে থাকে, বাজারে বিভিন্ন ধরনের সাবান পাওয়া যায় সাবান।
তবে সব ধরনের আপনার ত্বকে ব্যবহার করা ঠিক হবে না। সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য সাবান ব্যবহার করতে ত্বক অনুযায়ী সাবান ব্যবহার করতে হবে।
ত্বকের সাধারণত সমস্যা হয়ে থাকে পিএইচ স্তরগুলো সাধারণত বাণিজ্যিকভাবে তৈরির সাবান গুলো পিএইচ ৯ থেকে ১১ এর মধ্যে মাত্রা থাকে। যা ত্বকের পিএইচ মাত্রাকে বাড়িয়ে দিতে পারে এবং নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, তাই কোন সাবান কোন ধরনের ত্বকের জন্য ব্যবহার করবেন সেটা আপনাকে বুঝতে হবে। তাহলে আপনার ত্বকের নানা ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন। তাছাড়া আপনার ক্ষতি হবে।
আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় শুষ্ক মিশ্র এবং সংবেদনশীল এই চার রকমেরই হয় তাহলেই ত্বকের ধরন বোঝে আপনাকে সাবান ব্যবহার করা লাগবে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্যঃ অ্যান্টিব্যাক্টরিয়াল সাবান বা লেভেন্ডার ক্যামোমাইল এবং থাইম যুক্ত সাবান ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকেরঃ অ্যালোভেরা কোকো মাখন অ্যাভোকডো কারো এই ধরনের উদ্ভিদ বা বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদের যে তেল রয়েছে সেগুলো দিয়ে যে সাবান তৈরি করে সেটা ব্যবহার করা যেতে পারে।
মিশ্র ত্বকের ক্ষেত্রেঃ খুব বেশি শুষ্ক বা তৈলাক্ত নয় এমন ত্বককে আমরা সাধারণত মিশ্র বলে থাকি। এসব ত্বকের জন্য গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।
সংবেদনশীল ত্বকের জন্যঃ ত্বক যদি খুব সংবেদনশীল হয় এবং সংক্রমণ প্রমাণ হয়। সেক্ষেত্রে ত্বককে সংবেদনশীল বলা হয়ে থাকে, এসব ত্বকের জন্য সাধারণত ভিটামিন ই এবং জোজোবার তেল যুক্ত সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন পরিমিত সাবানের ব্যবহারের সুফল পাওয়া গেলেও সাবানের অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের শুষ্কতা ও জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে।
তাই সাবান পরিমিত ব্যবহার করাই ভালো হবে। এজন্য ত্বকের বিশেষ সুরক্ষায় সাবান দিয়ে গোসলের পর তাকে অলিভ অয়েল অথবা বডি লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
সাবান ব্যবহারের অপকারিতা
আমরা সাবান ব্যবহার করে থাকি ত্বক শরীরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য কিন্তু এটার অপকারিতা আছে। তাই সাবান ব্যবহারের অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন নিম্ন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই সাবান ব্যবহার করে থাকি, সাবান মুখ পরিষ্কার করে খুব সহজেই কিন্তু তাদের জন্য উপযোগী নাও হতে পারে সাবান দিয়ে মুখ ধুলে যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। তাহলে
শুষ্কতা দেখা দিবেঃ বেশিরভাগ সাবানের রাসায়নিক থাকায় জমে থাকা প্রাকৃতিক তেল গুলো শুষে নিতে পারে জ্বালাপোড়া করতে পারে, যাদের ত্বক সংবেদনশীল বা যাদের একজিমা অথবা সোরিয়াসিসের চর্মরোগ আছে তাদের সাবান ব্যবহার করা যাবে না।
পিএইচ ভারসাম্য ব্যাহত হয়ঃ সাবান ক্ষার পরিপূর্ণ হওয়ায় এটা ব্যবহার করলে ত্বকের পি এইচ ভারসাম্য সমস্যা হয়ে থাকে এর ফলে তাকে শুষ্কতা ব্যথা এবং ব্রণ উঠতে পারে।
ত্বকের বার্ধক্য ত্বরান্বিত করেঃ অতিরিক্ত রাসায়নিক যুক্ত সাবান হওয়ার কারণে ত্বকের প্রাকৃতিক বাধাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে, যার ফলে তাকে বার্ধক্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত রাসায়নিক যুক্ত সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এলার্জি এবং জালা ভাবঃ কিছু সাবানের মধ্যে সুগন্ধি ব্যবহার করে এবং প্রিজারভেটিভ অন্যান্য এডেটিভ ব্যবহার করে থাকে যার ফলে তাকে অ্যালার্জি এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। যারা সৃষ্টি করে থাকে এর ফলে মুখে লাল ভাব অথবা চুলকানি হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মুখ পরিষ্কারের জন্য সাবানের বিকল্প পিএইচ ভারসাম্য যুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিশেষভাবে তৈরি ফেসওয়াশ বিভিন্ন ধরনের ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করবেন এলোভেরা কেমোমাইল এবং গ্রিন টি এর মত প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে যে ফেসওয়াশ গুলো তৈরি করা হয়। সেগুলো মুখ উজ্জ্বল করতে পারে এবং ত্বকে কোন সমস্যা হবে না।
শেষ কথাঃ এলার্জি চুলকানি দূর করার সাবান ও ঘরোয়া উপায় জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে যাদের অ্যালার্জি এবং চুলকানির সমস্যা রয়েছে, তারা একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে যে সাবান ব্যবহার করতে বলে সেটা ব্যবহার করবেন। তাছাড়া সাবানের পিএইচ এবং ত্বকের উপযুক্ত কিনা সেটা আপনাকে নির্ণয় করতে হবে।
তাই এলার্জি চুলকানি দূর করার সাবান সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url