গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া যাবে কি ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
অনেক গর্ভবতী নারী জানতে চায় যে গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া যাবে কি? আসলে গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া যাবে। এতে কোন সমস্যা হবে না, চলুন কিভাবে আনারস খেলে সমস্যা হবে না সে সম্পর্কে জানা যাক।
অনেক গর্ভবতী নারী আনারস খেতে খুবই পছন্দ করে কিন্তু তাদের বাড়িতে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষরা আনারস খেতে মানা করে। কারণ এতে নাকি বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তাই গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া যাবে কি? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া যায় কিনা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় অনেকেই আনারস খেতে ভয় পায় তাই প্রশ্ন করে যে গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া যাবে কি? আসলে আনারস খাওয়ার কারণে যে প্রচলিত কথাগুলো আছে সেটার কারণে অনেকেই এই আনারস খেতে ভয় পায়। চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
আমাদের দেশের গর্ভাবস্থায় সম্পর্কে প্রচলিত অনেক কথা আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো গর্ভবতী মায়েরা আনারস খেতে পারবে না। আনারস খাওয়ার কারণে গর্ভপাত হতে পারে কিন্তু এই ধারণাটি একদম সঠিক নয়।
যুক্তরাজ্যের একটি সংস্থা এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া যাবে এটা একদমই নিরাপদ। এতে করে গর্ভপাত হওয়ার বৈজ্ঞানিকভাবে কোন প্রমাণ নাই। অন্যান্য অনেক ফল রয়েছে সেগুলো অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং অনেক বেশি ফাইবার থাকে যা গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে।
আনারসে ব্রোমিলিন থাকে যা অনেক আগে গর্ভপাতের জন্য ব্যবহার করা হতো কিন্তু আনারসের মধ্যে যে ব্রোমিলিন আছে তা দিয়ে গর্ভপাত হবে না। গর্ভপাত হওয়ার জন্য কমপক্ষে ১০ টি আনারস একবারে খাওয়া লাগবে।
তাহলে যে ব্রোমলিন গ্রহণ করবে তার কারণে গর্ভপাত হতে পারে তাও ৩০ শতাংশ ধরা যায়। এখন আপনি বলুন তিন-চার টুকরা আনারস খাওয়ার কারণে গর্ভপাত হবে না।
তাছাড়া আনারস ছাড়াও কমলা, আমড়া এছাড়া টক জাতীয় ফলের মাঝে ব্রমিলিন থাকে যা আনারসের চেয়েও ব্রমিলিন বেশি।
গর্ভাবস্থায় আপেল কমলা আম আনারস তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এগুলো উপকার হবে এমনকি পাকা পেঁপে খেতেও সমস্যা নাই। তবে কাঁচা পেঁপে এবং আধা পাকা পেঁপের মধ্যে ল্যাটেক্স থাকার কারণে গর্ভপাতের ঝুঁকি রয়েছে।
সন্তান গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন আনারস জাতীয় টক মিষ্টি খাবার মায়েদের কাছে বেশি ভালো লাগে কিন্তু বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠরা বলে থাকে যে আনারস খাওয়ার কারণে বাচ্চা গর্ভপাত হবে।
তাই তাদেরকে নিষেধ করে থাকে বিশেষ করে গর্ব বা ধারণের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে একেবারেই খেতে দেয় না। এজন্য প্রধানত দায়ী আনারসের অবস্থিত ব্রমিলিন নামের এক ধরনের এনজাইম। এই ব্রোমলিন শরীরের প্রোটিন ভেঙ্গে দিয়ে অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে যে সমস্ত ওষুধের ব্রমলিন উপাদান থাকে সেইসব ওষুধ ডাক্তাররা কোন হব মাকে খেতে দেয় না।
তাই গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে আনারস খাওয়ার কারণে ব্রমিলিনর প্রভাবে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই প্রসব বেদনা উঠতে পারে এর জন্য দায়ী থাকে।
আবার যাদের বদহজম রয়েছে বা আইবিএস এর সমস্যা রয়েছে তারা আনারস খাওয়ার কারণে আরো বেড়ে যাবে। অ্যাসিডিটি গলা বুক জ্বালা এই ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। যে মায়েরা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের আনারস খাওয়া যাবে না।
তাদের ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পাবে আনারসের মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে, তাই যে সমস্ত গর্ভবতী মহিলার ওজন বেশি তাদের খাওয়া যাবেনা। এজন্য বলা যায় যে গর্ব অবস্থায় আনারস না খাওয়াই ভালো।
আনারসের পুষ্টিগুণ
আনারস আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে থাকে, তাই আনারসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্ন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
আনারসের বহু গুণ রয়েছে বিশেষ করে শরীরে পানির চাহিদা মিটাতে পারে। এটা একটি বাড়তি তার গুণ। আনারস পুষ্টির বেশ উপকার করে থাকে। অনেক পুষ্টি পাওয়া যায় আনারসের মধ্যে আছে ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস এছাড়াও অনেক উপাদান আছে।
দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করতে ভালো কাজ করে থাকে, এছাড়াও আনারস ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। কারণ এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং অনেক কম ফ্যাট থাকে আনারসের জুস হিসাবে অনেকেই পছন্দ করে থাকে এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকার।
আনারসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে যা হাড় গঠন করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া এর ভিতরে ম্যাঙ্গানিজ থাকার কারণে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও পরিমিতভাবে আনারস খেলে হাড়ের সমস্যা জনিত রোগ প্রতিরোধ করা যাবে।
গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া কি ক্ষতিকর
অনেক গর্ভবতী মায়েরা জিজ্ঞেস করে থাকেন যে গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া কি ক্ষতিকর? আসলে এটা আমাদের শরীরে ক্ষতি করবে কিনা সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্ন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
আনারস খেতে অনেকেই পছন্দ করে থাকে। গ্রীষ্মকালীন এই ফলটির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি আছে। আনারসের মাঝে এন্টিএক্সিডেন্ট থাকে, এটি প্রদাহ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
আনারসের মধ্যে ব্রমিলিন এনজাইম থাকে তা হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে। এছাড়া এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।
তাছাড়া প্রদাহরোধী হিসেবে কাজ করে থাকে। এছাড়াও এটা আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে হিসেবে কাজ করবে। তবে এত পুষ্টিগুণ ফলটি গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে কিনা। এটা অনেকেই জানতে চায় আনারস বেশ পুষ্টিগণ রয়েছে। তবে গর্ভবতীর আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
কারণ আনারসের মধ্যে উচ্চমাত্রায় ব্রোমলিন থাকে যা সারবিক্স কে নরম করতে পারে এবং জরায়ুর সংকোচন হয়ে যায়। এর কারণ অনেক সময় গর্ভপাত হতে পারে। তাই এটি মা ও শিশুর জন্য ক্ষতিকর, তবে অল্প পরিমাণে খাওয়া যাবে। তবে বিশেষজ্ঞরা সাধারণত আনারস খাওয়া থেকে বিরতই থাকতে বলেন।
আনারস খাওয়ার পর পানি খেলে কি হয়
অনেকে জানতে চায় যে আনারস খাওয়ার পর পানি খেলে কি হয়? আসলে আনারস খাওয়ার পর পানি খাবেন কিনা এর সম্পর্কে জানা আমাদের প্রয়োজন। চলুন নিম্নে বিস্তারিত ভাবে জানা যাক।
আনারস খাওয়ার পর পানি খাওয়া যাবে। আনারসের মধ্যে ফাইবার থাকে যা পাঁচক পদার্থ হিসেবে উপকার করে থাকে। পানি কেবলমাত্র শরীরে হাইড্রেশন পূরণ করবে। তবে একটি বিষয় মনে রাখা দরকার। আপনি আনারস খাওয়ার পরে পেটে অতিরিক্ত এসিড তৈরি হতে পারে।
যা সবার ক্ষেত্রে হবে না, কিছু লোকের হয়তো সমস্যা হতে পারে। তাই আপনি চাইলে পানি খেতে পারেন, এছাড়াও সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি খাবার খেলেন অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি খাওয়া সবচাইতে ভালো হবে।
আনারস খেলে কি কৃমি দূর হয়
অনেক শিশুর মা জিজ্ঞেস করে থাকেন, যে আনারস খেলে কি কৃমি দূর হয়? সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রে অনেকেই কৃমির ওষুধ খাওয়াতে ভয় পায়। যার কারণে বিভিন্ন পদ্ধতি খুঁজতে থাকে, তাই হয়তো অনেকে জানতে চায় আনারসের মাধ্যমে গিয়ে কৃমি দূর হবে কিনা বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। কৃমি মোটেও হালকা বিষয় হিসেবে মেনে নেবেন না।
কৃমির ক্ষতিকারক একটি পরজীবী প্রাণী কৃমি সময় মত না দূর আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হবে। পেটের যেকোনো সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে আনারস ভালো কাজ করে থাকে, হজমের সমস্যা দূর করবে পাশাপাশি আনারস যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে। তেমনি আনারস থাকা এনজাইম ব্রমলিন প্রোটিন পরিপাকতন্ত্রকে সাহায্য করে থাকে।
পেটে কৃমি দূর করার জন্য আনারস খাওয়া যেতে পারে। এটা সকাল বেলা খাওয়া যাবে। কেননা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন সকালে উঠে খালি পেটে আনারসের রস খেতে পারবেন। তবে যাদের এসিডিটির সমস্যা রয়েছে তারা না খাওয়াই ভালো। এমনকি বাচ্চাদেরকে খালি পেটে খাওয়ালে তেমন একটা সমস্যা হবে না।
নিয়মিত আনারস খেলে সারবে যেসব রোগ
আনারস খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ ভালো হয়ে থাকে, তাই নিয়মিত আনারস খেলে সারবে যেসব রোগ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আনারসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস থাকে একাধিক পুষ্টিগুনে রয়েছে। আনারস যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, তাই এই ফলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গর্ভবতীদের জন্য খাওয়া যাবে তবে পরিমান মত খেতে হবে।
অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। সারা বছর কম বেশি পাওয়া যাবে, গরমকালে আনারস বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই এই সময় মানুষ জন বেশি খেয়ে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন আনারসের মধ্যে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বা ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় তা ছাড়া যে কোন সার্জারি থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য খাওয়া যেতে পারে এবং শরীরকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ত্বক উজ্জ্বল করেঃ ত্বক উজ্জ্বল করতে পারে এর মধ্যে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও কে থাকে। এর মধ্যে আরো পাওয়া যায় ব্রোমিলিন এই সকল উপাদান গুলো ত্বককে ব্রণ থেকে রক্ষা করতে পারে।
হাড় শক্ত করেঃ যখন বয়স বেশি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে হাড়ের ক্ষয় দেখা যায়, এক্ষেত্রে হাড় ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে আনারস খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ থাকে যা হাড়কে মজবুত করে, এমনকি মাড়ির ক্ষয় রোধ করে থাকে।
ওজন কমায়ঃ আনারসের মাঝে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও ফ্যাট থাকার কারণে এটা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
ঠান্ডা লাগা থেকে বাচায়ঃ অনেকের হালকা বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লেগে থাকে অথবা বিভিন্ন কারণে ঠান্ডা লাগতে পারে সারা বছরই দেখা যায় সর্দি কাশি লেগে আছে। এই ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান করার জন্য আনারসের জুস খাওয়া যেতে পারে। কারণ আনারসের মাঝে ভিটামিন সি থাকে যা ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে রক্ষা করবে। তাই নিয়মিত ভাবে আনারস খাওয়া যেতে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ ক্যান্সারের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ এবং অনিয়ন্ত্রিত কোষের বৃদ্ধি হয়। এর অগ্রগতি সাধারণত অক্সিডেটিভ ট্রেস এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের সাথে যুক্ত হয়ে থাকে। তাই গবেষণায় দেখা গেছে আনারস এবং এর যৌগ গুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
হজমের সমস্যাঃ একটু ভারি মসলারদের খাবার খেলেই হজমের সমস্যা দেখা যায়। ঘন ঘন হজমের ওষুধ খাওয়া লাগতে পারে এই ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান করার জন্য ফলের আনারসের জুস খাওয়া যেতে পারে। কেননের মাঝে ব্রমেলিন নামের এক ধরনের উৎসেচক থাকে যা হজমের সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে।
গরমে আনারস খেলে শরীরে কি হয়
আনারস যেহেতু গরমকালে বেশি পাওয়া যায় এবং মানুষজন বেশি খেয়ে থাকে। তাই গরমে আনারস খেলে শরীরে কি হয়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে সাধারণত শরীর ও ত্বক অবস্থা খারাপ হয়ে থাকে। এই সময় অনেকেই পছন্দ করেন টক মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো বিশেষ করে আনারস খেতে খুবই পছন্দ করে থাকেন। সুস্বাদু রসালো এই ফলটি শরীরের নানান পুষ্টির উপকার করে থাকে।
এছাড়া ত্বকেরও সুরক্ষা দিতে পারে, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন শরীরের নানা সমস্যা দূর করতে কমলা রঙের ফল আনারসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আরো বলে থাকেন তীব্র গরমে দেহের পুষ্টি সাধন এবং দেহকে সুস্থ সবল রাখার জন্য আনারস খাওয়া যেতে পারে।
তাই গরমের এই সময় আনারস খাবেন শরীরের অত্যন্ত উপকার হবে। আনারসের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস রয়েছে। যা আমাদের পুষ্টির অভাব পূরণ করবে এবং ভাইরাসজনিত ঠান্ডা কাশি থেকেও রক্ষা করবে।
ঋতু পরিবর্তনের সময় মানুষের সাধারণত জ্বর ঠান্ডা সর্দি কাশি লেগেই থাকে। এই সময় আনারস খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া গলা ব্যথা এবং ব্রঙ্কাইটিস এর মত সমস্যাগুলো দেখা যায়। তাহলে ওষুধের পরিবর্তে আনারস খাবেন এতে ভাল কাজ করবে।
আনারস দেহের কোষের উপর ফ্রি র্যাডিকেলের বিরোধ প্রভাবে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণ হজম শক্তি বৃদ্ধি ব্রণের সমস্যা এ সকল দূর করতে আনারস খাওয়া যেতে পারে। আনারসের আলফা হাইড্রোক্সি এসিড বা এএইচএ ত্বকের বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও খাওয়া যেতে পারে।
শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া যাবে কি ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে গর্ভবতীর জন্য এই সময় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য দরকার এবং ফল ফলাদি খাওয়া প্রয়োজন। তাই আনারসের মাঝে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান আছে। যা আপনি অল্প পরিমাণে খেলে আপনার পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
তাই একজন গর্ভবতীর আনারস খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাই গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া যাবে কি? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url