বিড়াল কামড়ালে কি টিকা দিতে হয় ও কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হবে
অনেকে প্রশ্ন করে থাকে যে বিড়াল কামড়ালে কি টিকা দিতে হয়? এই ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয় লক্ষ্য করতে হবে। এরপরে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকে টিকা দেওয়া লাগবে কিনা। চলুন, বিড়াল কামড়ানোর পরে টিকা দেওয়া লাগবে কিনা সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অধিকাংশ মানুষ বিড়ালের কামড়ে সাধারণত ভ্যাকসিন দিতে চায় না কিন্তু পরবর্তীতে জলাতঙ্ক হয়ে গেলে সেই রোগীকে বাঁচানো খুবই কঠিন নিশ্চিত মারা যাবে। তাই বিড়াল কামড়ালে কি টিকা দিতে হয়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবিড়াল কামড়ালে কি টিকা দিতে হয় ও কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হবে
বিড়াল কামড়ালে কি টিকা দিতে হয়
অনেকে জানতে চায় যে বিড়াল কামড়ালে কি টিকা দিতে হয়? আসলে বিড়াল যদি জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ভ্যাকসিন দিতে হবে। তাই এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
বিড়াল কামড়ানোর ধরণ বুঝে চিকিৎসা নেওয়া লাগবে। বিড়ালের আঁচড় বা কামড়ের ক্ষেত্রে ক্ষত স্থানের গভীরতা দেখা লাগবে। আঁচড় দেওয়ার কারণে যদি রক্তপাত হয়, তাহলে রক্তের সাথে জীবাণুর সংস্পর্শ হতে পারে।
তখন টিকে নিতে হবে এবং যথাযথ চিকিৎসা প্রয়োজন হবে। বিড়াল আঁচড় কিংবা কামড় দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে। সে বিষয়ে আমাদের জানা প্রয়োজন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ক্ষতঃ বিড়াল যদি আঁচড় দেয় কিন্তু রক্ত বের হয় নাই, এক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আঁচড় দিলে জীবানু নাশক দিয়ে ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার করে দিবেন। তবে ক্ষত গভীর হলে অতিরিক্ত রক্তপাত যদি হয় সে ক্ষেত্রে অবহেলা করা যাবে না, এক্ষেত্রে অবশ্যই টিকা দিতে হবে।
সাবান পানিঃ জলাতঙ্ক বা র্যাবিস ভাইরাস জীবাণু রোধের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবান পানি ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় এন্টিবায়োটিক সল্যুশন ও ধ্বংস করতে পারে না। তাই ক্ষত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এতে জীবাণু সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। এই ক্ষেত্রে রক্তপাত হয় তাহলে টিকা দিতে হবে এবং চিকিৎসকের নিকট নিতে হবে।
রক্তপাত হলেঃ বিড়াল কামড় দিলে রক্তপাত হয় এরপরে এই রক্তপাত বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে ব্যান্ড এইড লাগাতে হবে। কারণ বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ক্ষতস্থানে ধনষ্টংকারের জীবাণু সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোন রকম মলম বা ক্রিম ব্যবহার করবেন না।
অ্যান্টিবায়োটিকঃ বিড়াল কামড়ালে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করার জন্য তরল এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে স্যাভলন ও ডেটল ব্যবহার করতে পারেন, ভালো কার্যকারিতা রয়েছে। এরপরেও রক্তপাত বন্ধ করতে গজ ব্যবহার করবেন।
সংক্রমণঃ ক্ষত গভীর না হলেও অনেক সময় জীবাণু সংক্রমিত হয়ে থাকে। তার কারণে হালকা ক্ষত দেখে অবহেলা করবে না। তাহলে করা ঠিক নয় দেখবেন ক্ষতস্থানে ফুলে গেছে কিনা এছাড়া লাল হয়ে গেলে রক্তপাত বন্ধ না হলে ,তীব্র ব্যথা করছে জীবাণু সংক্রমিত হচ্ছে তখন দ্রুত চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে।
জ্বরঃ বিড়াল কামড়ানোর পরে যদি জ্বর আসে তাহলে বুঝবেন বিপদের সম্ভাবনা বেশি। অনেক সময় আচর দিলে বয়স্কদের জ্বর আসে না তবে ছোটদের জ্বর আসতে পারে। এটাকে বলে ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজিজ, জ্বর আসতে পারে ফোসকা পড়তে পারে পীর বাপ পেট ব্যথার মত লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে। তখন ডাক্তারের কাছে অবশ্যই পরামর্শ নিতে হবে।
যে বিড়ালটি আপনাকে কামড় দিয়েছে সে রাবেসে আক্রান্ত কিনা রাবিশ্বে আক্রান্ত কিনা সেদিকে খেয়াল করতে হবে। বিড়ালের আচরণে পরিবর্তন আসবে, আগ্রাসী হয়ে উঠবে ,ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নিবে মুখ দিয়ে লালা ও গলার স্বরে পরিবর্তন আসবে।
লক্ষণ গুলো যদি আপনি দেখতে পান তাহলে অবশ্যই বুঝবেন আপনার বিড়াল র্যাবিশে আক্রান্ত হয়েছে। এই অবস্থায় বিড়াল বেশি দিন বাঁচতে পারে না যদি ৮ থেকে ১০ দিন সুস্থ থাকে। তাহলে বুঝতে হবে বিড়াল এরা বেশি আক্রান্ত হয় নাই।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়
অনেকে প্রশ্ন করে থাকে যে বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়? বিড়াল কামড়ালে সাধারণত ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রথম টিকে দেওয়া লাগবে। এটা প্রথম দিনেই দিতে হবে কেননা সকল প্রাণের কারণে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জনগণকে সুরক্ষিত থাকার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন দেওয়া লাগবে। ব্যক্তি বা শিশুদের জন্য বিড়াল কামড়ানোর ১,৩,৭,১৪ এবং ২৮ তম পর্যন্ত টিকা দেওয়া লাগবে এই শিডিউল এর মত আপনাকে টিকা দিতে হবে।
বিড়ালের কাপড় থেকে সম্ভাব্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে নিজেকে সুরক্ষা রাখতে হবে এবং ঠিকানা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি পূর্বে কোন কখনো জ্বলাতন্ত্র রোগের বিরুদ্ধে ঠিকানা দিয়ে থাকেন। তবে PEP এই টিকা সিরিজের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের সীমার মধ্যে চারটি ডোজ দিতে পারবেন।
- প্রথম ডোজ দিতে হবে বিড়াল কামড়ানোর ঘটনার দিন।
- দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া লাগবে প্রথম ডোজ দেওয়ার ৩দিন পরে দিতে হবে।
- তৃতীয় ডোজ প্রথম ডোজ দেওয়ার ৭ দিন পরে দেওয়া লাগবে।
- চতুর্থ ডোজ প্রথম দোষ দেওয়ার পরে ১৪ দিন পরে দিতে পারবেন।
উপরোক্ত এই নিয়মে আপনাকে টিকা দিতে হবে, এছাড়াও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে যথেষ্ট পদক্ষেপ এবং টিকাদার সময়সূচী নির্ধারণ করা যেতে পারে। বিড়ালের কামড়ের সঙ্গে সঙ্গে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে জানতে হবে যে জলাতঙ্ক হচ্ছে কিনা। কেননা এটা একটি গুরুতর এবং সম্ভাবনা মারাত্মক রোগ তাই দেরি করা যাবে না। দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে, না হলে ভিকটিম মারা যেতে পারে।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়
অনেকে জানতে চায় যে বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়? জলাতঙ্ক হওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় থাকে, তাই এ সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে. চলুন বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।
জলাতঙ্ক যেভাবে ছড়ায়ঃ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বানর, বেজি, বাঁদুর এরা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে এই সকল প্রাণীর যদি মানুষকে কামড়ায়, তাহলে এই জলাতঙ্ক রোগ হবে। আক্রান্ত প্রাণীর মুখের লালায় রেবিস ভাইরাস থাকে।
এই লালা দাঁত বসিয়ে দিলে যে ক্ষত বা সামান্য আঁচড়ের মাধ্যমে রক্ত সংস্পর্শ পেলে, এ রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পরে এবং জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশে শতকরা ৯৫ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ কুকুরের কামড়ে হয়ে থাকে।
জলাতঙ্কের লক্ষণঃ সন্দেহজনক প্রাণীর কামড়ানোর ৯ থেকে ৯০ দিনের মাঝে জলাতঙ্ক রোগ দেখা যায়। কারো শরীরে জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে পাগলামি আচরণ শুরু হয় এবং অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে।
এই আক্রান্ত ব্যক্তির কথাবার্তা অস্বাভাবিক মনে হবে। কোন উদ্দেশ্য ছাড়াই ছুটে বেড়াবে, ক্ষুধামন্দা দেখা যাবে, বিকৃত আওয়াজ করবে, বিনা কারণেই অন্যকে কামড় দিতে যাবে।
আরো পড়ুনঃ জ্বর ঠোসার দাগ দূর করার উপায় জেনে নিন
এদের সাধারনত পিপাসা লাগে তবে পানি খেতে পারবে না, পানি দেখলেই ভয় পাবে। আলো বাতাসের সংস্পর্শে এলে আতঙ্ক আরো বেড়ে যায়। খাবার খেতে চাইবে না, শরীরে কাঁপুনি মুখ দিয়ে অতিরিক্ত লালা বের হবে। কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যাবে। মেজাজ খিটখিটে থাকবে, আক্রমণাত্মক আচরণ করবে।
শরীর নিস্তেজ হয়ে যায় এবং ঝিমুনি হতে পারে, মানুষের চোখের আড়ালে থাকতে চায়। শরীরে কাঁপুনি ও পক্ষাগাত দেখা যায়। সন্দেহজনক প্রাণী কামড় বা আঁচড় দিলে যা করতে পারেন, সন্দেহভাজন প্রাণী কামড়ানো বা আঁচড় এর সাথে সাথে ক্ষতস্থান টি ১০ থেকে ২০ মিনিট ধরে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
এরপর পটাশিয়াম, পারম্যাঙ্গানেট দ্রবন দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন। ক্লোরোহেক্সিডিন অথবা পোভিডোন দিয়ে ক্ষতস্থানকে পরিষ্কার করতে পারেন। এতে ৭০ থেকে ৮০% জীবাণু নষ্ট হবে।
তারপর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া লাগবে, নিকটবর্তী হাসপাতালে নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া লাগবে।
ক্ষতস্থানে যা করবেন নাঃ ক্ষতস্থানে স্যালাইন, বরফ, চিনি, লবণ এই সকল ক্ষারক পদার্থ ব্যবহার করবেন না। এছাড়াও বাটি পড়া, পান পড়া, চিনি পড়া, মিছরি পড়া, ঝাড় ফুক দেওয়া এইগুলো কখনও জলাতঙ্ক হতে কাউকে বাঁচাতে পারবে না।
ক্ষতস্থানে কখনোই অন্য কিছু দিয়ে কাটা, চোষন দেওয়া অথবা ব্যান্ডেজ করা যাবে না। এর কারণে ইনফেকশন হতে পারে, ক্ষতস্থানে বরফ, ইলেকট্রিক শক দেওয়া কিংবা হাত পা বাধা এগুলো করা যাবে না। কোন কবিরাজ বা ওঝার মাধ্যমে অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা অপ চিকিৎসা করবেন না।
বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ
ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি বিড়াল কামড়ালে কি টিকা দিতে হয়? এখন জানবো জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে। চলুন, এর সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আমাদের দেশে ৯০ ভাগ রোগী জলআতঙ্কে আক্রান্ত হয় কুকুরের কামড়ের কারণে, তবে কুকুরের পাশাপাশি শেয়াল বিড়াল বাঁদুর বেজি বানর ইত্যাদির মাধ্যমেও জলাতঙ্ক হয়ে থাকে। তাই ঝুঁকি রয়েছে এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোনো প্রাণী বা মানুষ সুস্থ কাউকে কামড়ালে ওই সুস্থ ব্যক্তিটাও জলাতঙ্ক আক্রান্ত হবে।
এই রোগে আক্রান্ত হলে ফুসফুস, স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। চিকিৎসকরা বলেছে এই সকল আক্রান্ত প্রাণীর কামড় দিলে ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে রোগীর মধ্যে জলাতঙ্ক উপসর্গ দেখা যায়।
চিকিৎসা শাস্ত্রে বলা হয়েছে পানি দেখে বা পানির কথা মনে পড়লেই যে আতঙ্ক তৈরি হবে তাকে মূলত বলা হচ্ছে হাইড্রোফোবিয়া যা পানি আতঙ্ক বলা হয়। রেবিস ভাইরাস ঘটিত এই রোগে আক্রান্ত রোগী সাধারণত যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় তার মধ্যে
- পানি দেখে তারা ভয় পায়
- কর্কশ কণ্ঠস্বর হয়
- অন্যকে অকারনে কামড় দিতে আক্রমণ করে
- খিটখিটে মেজাজ থাকে
- খাবারের অরুচি দেখা যায়
- অস্বাভাবিক কথাবার্তা বলে
- উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়ায়
- পানির পিপাসা লাগলেও পানি দেখে ভয় পায়
- মানুষের চোখের আড়ালে বা অন্ধকারে একাকীত্ব থাকতে পছন্দ করে
- আলো বাতাসের সংস্পর্শে এলে ভয় পায়
- খিচুনি ও মুখে লালা বের হওয়া হয়ে থাকে।
বিড়াল কামড়ালে করণীয়
জলাতঙ্ক আক্রান্ত প্রাণী বিড়াল যদি আপনাকে কামড় দেয় সেই ক্ষেত্রে কি করবেন। তাই বিড়াল কামড়ালে করণীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন নিম্নে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আক্রান্ত প্রাণীর আঁচড় বা কামড় থেকে সতর্ক থাকতে হবে, তারপরও এই সকল প্রাণীর অনেকেই কামড় দিয়ে থাকে। তাই চিকিৎসকরা বলেছেন আক্রান্ত স্থান রক্তপাত যদি হতে থাকে সেক্ষেত্রে বন্ধ করার জন্য চেপে ধরতে হবে। ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস করার জন্য অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল কাপড় ধোয়ার সাবান আক্রান্ত স্থানে ১৫ মিনিট ধরে ধুয়ে নিবেন।
এরপর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে ক্ষতস্থানে প্রথমে পটাশিয়াম ক্লোরোহেক্সাডিন অ্যান্টিবায়োটিক মলমের প্রলেপ দিয়ে ব্যান্ডেজ করতে হবে। নিয়মিতভাবে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করা লাগবে। মনে রাখবেন ক্ষতস্থানে কখনই স্যালাইন বা অন্য কিছু দিয়ে বাধা যাবে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ক্ষতস্থানে সেলাই করা যাবে না।
বিড়ালের নখের আঁচড় কি বিপজ্জনক
অনেকে জানতে চায় যে বিড়ালের নখের আঁচড় কি বিপজ্জনক? সাধারণত বাড়িতে অনেকেই বিড়াল পুষতে ভালোবাসে কিন্তু এটা যদি ভ্যাকসিনেশন না করা থাকে, তাহলে ছোট বাচ্চাদের আঁচড় দিলে ক্ষতি হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক,
বিড়ালের কামড় বা আঘাত অন্যান্য প্রাণী এবং মানুষের উভয়ের জন্য বিপদজনক হবে। বিড়াল প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া বহন করে থাকে যার কামড়ের ক্ষতিগুলোতে টিস্যু সংরক্ষণ সংক্রমণ করবে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণের মধ্যে একটি হলো অত্যন্ত প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়া।
যা পাস্তুরেলা মাল্টোসিডা হিসাবে পরিচিত লাভ করে। সম্মিলিত ব্যক্তিরা সংক্রমিত ব্যক্তিরা জ্বর এবং ফ্লু এর মত উপর উপসর্গ দেখা যায় এবং উপযুক্ত চিকিৎসা যদি না নেয় তাহলে মৃত্যু হবে। শিশু বয়স্ক অসুস্থ এবং ইমিউনোসপ্রেসড ব্যক্তিরা বিড়াল কামড়ালে গুরুতর সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে।
বিড়াল কামড়ালে কি বাচ্চা হয়
অনেকে প্রশ্ন করে থাকে যে বিড়াল কামড়ালে কি বাচ্চা হয়? গ্রাম অঞ্চলে অনেকেই এই প্রশ্নটা করে থাকে যে কুকুর বা বিড়াল কামড়ালে পেটে বাচ্চা হবে। আসলে এই কথাটা কতটা সত্য চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কুকুর বা বিড়াল কামড়ালে কখনোই পেটে বাচ্চা হবে না, এটা একটি ভ্রান্ত ধারণা। এটা একটি কুসংস্কার কথা মূলত এটা একটি ভয় দেখানোর জন্য এই কথাটা বলা হয়ে থাকে। বিশেষ করে শিশুদেরকে মানুষ বলে থাকে যে কুকুরের সামনে যেও না। কেননা কুকুর কামড়ালে পেটে বাচ্চা হবে।
যাতে করে শিশুরা ভয় পায় এই জন্য কথাটা হয়তো বলা হয়ে থাকে। কারণ কুকুর বা বিড়াল কামড়ালে র্যাবিস হতে পারে আর র্যাবিস আক্রান্ত বিড়াল মানুষকে কামড়ালে সময়মতো চিকিৎসা না নিলে তার মৃত্যু হবে। র্যাবিস আক্রান্ত বিড়াল কে সাধারণত লোকজন পাগলা বিড়াল বলেই ডাকবে।
প্রকৃতপক্ষে এই আচরণের কারণ হলো রেবিস হলো র্যাবডোভাইরাস এই গ্রুপের আরএনএ ভাইরাস জনিত একটি রোগ। আক্রান্ত রেবিস আক্রান্ত বিড়াল এর মধ্যে কোন কিছুকে কামড়ানোর প্রবৃত্তি জাগে ঝাপ দিয়ে কোন কিছু ধরতে চাইবে, গিলে খেতে চাইবে। সাহায্যকারী মাংসপেশিগুলোর সংকোচন হবে।
পানি পান করবে না, তাই হয়তো র্যাবিস অন্য নাম জলাতঙ্ক দেওয়া হয়েছে। কাজেই বিড়াল থেকে সাবধান থাকবেন কিন্তু বিড়াল কামড়ালে মানুষের পেটে যে বাচ্চা হবে এটি একটি ভুল ধারণা। বিড়াল কামড়ালে কখনোই পেটে বাচ্চা হবে না।
এটা অসম্ভব বিষয় তারপরও এই ধরনের একটি ভ্রান্ত বিশ্বাস প্রচলিত আছে। সম্ভবত কুকুর বা বিড়াল থেকে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য এই কথা বলা হয়। বিশেষ করে শিশুদের ভয় দেখানোর জন্য যাতে করে তারা কুকুর বা বিড়ালের নিকট না যায়।
সেজন্য হয়তো এই ধরনের কথা বলা হয়েছে কিন্তু এ কথাটা একদমই ঠিক নয়। বিড়াল কামড়ালে পেটে বাচ্চা হবে এই ধরনের কথা বলা ঠিক নয়। এজন্য আপনাকে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। যদি বিড়াল কামড় দেয় তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
শেষ কথাঃ বিড়াল কামড়ালে কি টিকা দিতে হয় ও কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হবে
পরিশেষে বলা যায় যে যদি কাউকে বিড়াল কামড় দেয় অথবা আঁচড় দেয়। তাহলে সে ক্ষেত্রে লক্ষ্য করবেন যদি রক্ত বের হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কাপড় কাচার সাবান দিয়ে ১৫ মিনিটের মত ধুয়ে ফেলবেন। অনেকে জানতে চায় অনেকে প্রশ্ন করে যে বিড়াল কামড়ালে কি টিকা দিতে হয়? যদি জলাতঙ্ক আক্রান্ত কোনো প্রাণী কামড় দিয়ে থাকে অবশ্যই টিকা দিতে হবে।
তাই রোগীকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন, তাহলে সময় মতো তাকে যদি টিকা দেওয়া হয়। তাহলে অবশ্যই সুস্থ হবে। আর জলাতঙ্ক হলে সেই রোগীকে বাঁচানো যায় না। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url