গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়া যাবে কি ও যেভাবে নামাজ পড়বেন

অধিকাংশ গর্ভবতী মহিলারা জিজ্ঞেস করে থাকে যে, গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়া যাবে কি? আসলে এটা নির্ভর করবে আপনার শরীরের উপরে। চলুন, ঘরে বসে নামাজ পড়া যায় কিনা এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
গর্ভাবস্থায় অনেকেই নামাজ পড়তে চায় না, কারণ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে নারীদের প্রথম দিকে অনেক শারীরিক সমস্যা গুলো দেখা দেয়। অনেকে নামাজ পড়তে পারে না। তাই গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়া যাবে কি? সম্পর্কে জানতে পোস্ট টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপ্ত্রঃগর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়া যায় কিনা ও যেভাবে নামাজ পড়বেন

গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়া যাবে কি

অনেক গর্ভবতী মায়ের নামাজ পড়তে অসুবিধা হয়ে যায়। তাই তারা জানতে চায় যে গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়া যাবে কি? আসলে যদি বেশি সমস্যা হয় তাহলে বসে নামাজ পড়তে পারবেন। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভাবস্থায় নারীর শারীরিক গঠন পরিবর্তন হয়, সুস্থ নারীর মতো নামাজ পড়তে গেলে পেটে চাপ লাগবে। এজন্য অন্তঃসত্তারা অসুস্থ ব্যক্তির মত নামাজ পড়বে, দাঁড়িয়ে সম্ভব না হলে বসে আদায় করতে পারবে। রাসূল সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারবেনা।

সে যেন বসে পড়ে, বসে সিজদা দেয় আবার যে ব্যক্তি সিজদা করবে, তার মাথা সামান্য ঝুঁকে থাকবে অন্যথায় নামাজ হবে না। তিরমিজি শরীফ ৩৭৬।

ঝুঁকে সিজদা করার সময় বালিশ বা টেবিল এর বিশেষ অন্য কিছুর উপর সিজদা করা যাবে না। গর্ভবতী অবস্থায় সিজদা দিতে কষ্ট হলে জমিনে হাত রাখতে পারেন এবং তার উপর সেজদা করবেন। যতটুকু আপনার প্রয়োজন হয় ততটুকু ঝুঁকে ইশারায় সিজদা করবেন। ইশারায় সিজদা করার সময় সামনে কোন টেবিল, বালিশ বা অন্য কিছু রেখে দেওয়া যাবে না।

হাদিস শরীফে এসেছে জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাঃ বর্ণনা করেছেন, রাসূল সাঃ একজন রোগী দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি তাকে একটি বালিশের উপর সেজদা করা দেখতে পেলেন অথবা লোকটি একটি কাঠের টুকরো নিল তার উপর সিজদার জন্য।
রাসুলুল্লাহ সাঃ তা নিয়ে ফেলে দিল, বললেন তুমি সক্ষম হলে জমিনের উপর সেজদা করবে, অন্যথায় ইশারায় করে নেবে আর তোমরা সেজদার উপর থেকে বেশি ঝুঁকে আদায় করবে।

গর্ভবতী নারী অসুস্থ ব্যক্তির মতই নামাজ পড়তে পারবে অর্থাৎ সক্রিয় সামর্থ্য অনুযায়ী একাধিক বিকল্পের কোন একটি গ্রহণ করা যেতে পারে। রাসূল সাঃ এরশাদ করেছেন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ো যদি না পারো,তাহলে বসে নামাজ পড়ো যদি তাও না পারো তাহলে ইশারায় নামাজ আদায় করবে। বুখারী শরীফ। হাদিস ১০৫০

যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে পারে না সে বসে বসে রুকু সেজদা আদায় করবে। যে ব্যক্তি বসে সেজদা করবে সেই ঝুকবে সেজদা করার জন্য কোন বস্তু উপরে তুলে সেটার উপর সেজদার করা প্রয়োজন হবে না।

কেউ যদি অসুস্থতার কারণে বসে নামাজ পড়তে অপারগ হয়, তাহলে সে শুয়ে ইশারার মাধ্যমে নামাজ পড়তে পারবে। তার পা কিবলার দিকে রেখে মাথা সামান্য উপরে তুলে শোবেন. যাতে চেহারা কেবলার মুখি হয় এরপর সে ইশারায় মাধ্যমে রুকু, সিজদা আদায় করে নেবে। মুসান্নাফে ইবনে সাহাবা

গর্ভাবস্থায় চেয়ারে বসে নামাজ পড়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় অনেকেই বসে নামাজ পড়তে পারেনা, এজন্য চেয়ারে বসে নামাজ পড়তে চায়। তাই গর্ভাবস্থায় চেয়ারে বসে নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আপনি সঠিকভাবে নামাজ পড়তে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভবতীর যেহেতু এই সময়ে অনেক স্বাস্থ্য হয়ে যায় এবং পেটটা অনেক বড় হয়ে যায়। যার কারণে তারা সেজদা করতে অসুবিধা হয়। তাই তাদের দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য অনেকেই চেয়ারে বসে নামাজ পড়তে চায়। তাই জিজ্ঞাসা করে যে গর্ভাবস্থায় পড়তে পারবে কিনা, আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন এবং অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে থাকেন।

তাহলে অবশ্যই যত্ন নিতে হবে আর একমাস ধরে এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যদি আপনার এমন ধরনের ওজর থাকে তাহলে বসে নামাজ পড়তে পারবেন। আর পা ভেঙে গেলে বসে নামাজ পড়তে পারবেন।

তাই চেয়ারে বসে নামাজ পড়লে তবে জায়েজ হবে। আপনার হয়তো একটু খারাপ লাগছে, তাই চেয়ারে বসে সালাত আদায় করবেন, এমনটা জায়েজ হবে না। তবে নির্দিষ্ট ওজর থাকলে তাহলে চেয়ারে বসে নামাজ পড়তে পারবেন।

গর্ভাবস্থায় নামাজ পড়ার নিয়ম

গর্ভবতী নারীদের সাধারণত নামাজ পড়তে অসুবিধা হয়ে যায়। তাই গর্ভাবস্থায় নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে তাদের জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী নারী সাধারণত অসুস্থতায় ভুগতে থাকে বেশি এবং তাদের নামাজ পড়তে অনেকটা কষ্ট হয়ে যায়। তাই মহান আল্লাহ তা'আলা কুরআনে তাদের সম্পর্কে বলেছেন, আর আমি মানুষকে তার মা-বাবার প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে, তার মা অতি কষ্টে গর্ভে ধারণ করে এবং অতি কষ্টে তাকে প্রসব করে। সূরা আহকাফঃ ১৫

গর্ভাবস্থায় যেহেতু দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা যায় না অনেক ক্ষেত্রে মা-বাবা সন্তানের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই অন্তঃসত্ত্বা নারীদের রমজানের রোজা রাখার ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।

নিজের বা গর্ভের সন্তানের জন্য ক্ষতিকর মনে করলে তারা রমজানের রোজা ভেঙ্গে পরবর্তীতে কাজা করতে পারবে। 
রাসুল সাঃ বলেছেন আল্লাহতালা মুসাফির লোকের রোজা মাফ করেছেন ও অর্ধেক নামাজ কমিয়ে দিয়েছে। আর অন্তঃসত্তা ও স্তন্যদানকারী নারীদেরকেও রোজার ক্ষেত্রে মাফ করে দিছেন। সুনানে তিরমিজি। তবে গর্ভাবস্থায় নামাজের হুকুম অন্য সময়ের মতোই থাকবে, যেহেতু সাধারণত নামাজ পড়া এই সময় একটু কষ্টকর।

তবুও পড়তে হবে গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে সেজদা করা সম্ভব না। তবুও নামাজ পড়তে হবে, সেজদা করতে যদি না পারেন তাহলে বসে থেকে পড়বে, বসেও যদি সেজদা করতে না পারে তাহলে হাত জমিনে রেখে তারপর সিজদা করবে এটাও যদি অসম্ভব হয়।

তাহলে হাত সামনে রেখে যতটুকু ঝুকতে পারে ততটুকু ঝুঁকে ইশারায় সিজদা করা যেতে পারে। ইশারায় সিজদার সময়ের সামনের টেবিল বালিশ বা অন্য কোন উঁচু জিনিস রাখা যাবে না। এর উপরে সেজদা করা যাবে না বরং শুধু ইশারাই করা লাগবে।

তাই অন্তঃসত্ত্বা নারীর নামাজের বিধান অসুস্থ ব্যক্তির যেভাবে নামাজ পড়ে সেভাবে পড়বে। তার সাধ্য অনুযায়ী নামাজ পড়তে পারবে সম্ভব হলে জমিনের উপর দোয়া করবে অথবা ইশারায় নামাজ পড়া যাবে।

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ

গর্ভাবস্থায় অনেক কাজ করা নিষেধ থাকে তাই গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ? এ সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। তাহলে আপনি ভালোভাবে সুস্থ থাকবেন। চলুনের সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত জানা যাক।

নারীদের জীবনে গর্ভকালীন সময় একটি বিশেষ ক্ষেত্র গর্ভাবস্থায় বিশেষ কোনো জটিলতা যদি না থাকে তাহলে ঘরের হালকা কাজকর্ম করতে পারবে। তবে কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় একজন করা যাবে না। যেমন;

খুব বেশি ভারি কোন কাজ করা যাবে না, বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। হাত দিয়ে বসে বসে ঘর মোছা যাবে না, বাথরুম পরিস্কারে এসিড বা অন্য কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করবেন না। সিলিং ফ্যান পরিষ্কারের কাজে সময় করা যাবে না।

ভারী জিনিস বহন করা যাবে না, বাড়িতে পালিত পোষা প্রাণী থাকলে তার বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার থেকে বিরত রাখবেন। গর্ভকালীন সময় গর্ভবতী মহিলাদের সবসময় হাসিখুশি থাকতে হবে এবং টেনশন মুক্ত থাকতে হবে।

গর্ভাবস্থায় কিভাবে বসা উচিত

গর্ভাবস্থায় কিভাবে আপনি বসবেন সেটাও জানা প্রয়োজন। তাই গর্ভাবস্থায় কিভাবে বসা উচিত? সে সম্পর্কে যদি জানতে পারেন। তাহলে আপনার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভাবস্থায় একটি ভালো অঙ্গবিন্যাস সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো একটি ভুল অঙ্গভঙ্গি শুধু ব্যথা বা অস্বস্তি গড়ে তুলবেনা। তার চেয়ে বেশি গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করতে পারে। মেরুদন্ডের উপর চাপ কম যেন পড়ে এজন্য সঠিক ভঙ্গিমায় বসতে হবে।
একেবারে মেঝেতে পা জড়ো করে বসা ঠিক নয়, একান্তভাবে নিচে বসতে চাইলে আপনি যেকোনো ধরনের উঁচু টুল ব্যবহার করবেন।

চেয়ারেও বসতে পারবেন এবং বসার সময় আপনার পিঠে সোজা হয়ে বসতে হবে। পায়ের পাতাগুলো একটু উঁচু করে রাখার চেষ্টা করবেন।

বসা থেকে যখন উঠে দাঁড়াবেন তখন আস্তে আস্তে করে পায়ের উপর ভর দিবেন, সোজা করে বসে থেকে উঠবেন কাজের জায়গায় যদি দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়। তাহলে সে ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে দাঁড়াতে হবে। আবার কিছুক্ষণ পর হেঁটে আসবেন একটানা কখনোই কাজ করবেন না। গর্ভকালীন সময় আপনার অঙ্গ-বিন্যাস গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই এদিকে মনোযোগ দিতে হবে।

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়

গর্ভবতী নারীরা সাধারণত বেশি শুয়ে থাকতে পছন্দ করে, তাই গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়? সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে চলুন নিম্ন বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত শুয়ে থাকলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। গর্ভকালীন সভায় স্বাস্থ্যের জন্য গর্ভে নারীদের সাধারণত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। রাতে ৮ ঘন্টা এবং দিনে ২ ঘন্টা ঘুমাতে পারবেন, গর্ভাবস্থায় ঘুম ভালো না হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অতিরিক্ত ঘুমানো আবার ভালো নয়, এতে বিপদ হতে পারে। চলুন, কি সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

অতিরিক্ত ঘুমানোর কারণে ওজন বেড়ে যেতে পারে, পা ফুলে যেতে পারে, পানি আসতে পারে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। সারাদিন ক্লান্তি অনুভূতি হতে পারে, বাচ্চার মাথা বড় হয়ে যেতে পারে পেট এবং কোমর ব্যথা হবে।

গর্ভকালীন সময় পেট বড় হয়ে যাওয়ার কারণে শারীরিক অসুস্থ এবং হরমোন জনিত পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় রাতে ভালো ঘুম অনেকের ঘুম হয় না। যার কারণে দিনের বেলায় শুয়ে পড়েন অথবা ঘুমিয়ে পড়েন। তাই দিনের বেলা স্বাভাবিকভাবে ঘরের কাজকর্ম করবেন এবং শারীরিক পরিশ্রম হালকা পাতলা করা যেতে পারে।

এর কারণে রাত্রিতে ভালো ঘুম হবে, তবে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করা যাবে না। অ্যাক্টিভিটির মধ্যে থাকলে শরীরের রক্তের সঞ্চালন ভালো থাকবে, সারা রাত্রিতে ভালো ঘুম হবে। দিনের বেলায় বারবার শুয়ে পড়ার এবং ঘুমিয়ে পড়ার প্রবণতা কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়া যাবে কি ও যেভাবে নামাজ পড়বেন

পরিশেষে বলা যায় যে গর্ভবতী মায়েরা গর্ভস্থ হয় তাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যার কারণে এই সময় তাদের শারীরিক পরিবর্তন হওয়ার কারণে অনেক সময় নামাজ পড়তে অসুবিধা হয়। তাই অনেকে প্রশ্ন করে থাকে গর্ভাবস্থায় বসে নামাজ পড়া যাবে কি? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪