সাদা চুল কালো করার উপায় কি ও কার্যকরী পদ্ধতি জানুন

অনেকে জানতে চায় যে সাদা চুল কালো করার উপায় কি? এ সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে যাদের চুল সাদা হয়ে গেছে, তারা এই আমলকি ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন, কিভাবে সাদা চুল কালো যায় সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
ছবি
অনেকের সাদা চুল কালো করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কালার ব্যবহার করে থাকে, যা মাথার ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কেননা এর মধ্যে এক ধরনের এসিড থাকে যা আমাদের মাথার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই সাদা চুল কালো করার উপায় কি? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃসাদা চুল কালো করার উপায় কি ও কার্যকরী পদ্ধতি জানুন

চুল পাকার কারণ

বিভিন্ন কারণেই চুল পাকতে পারে হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই চুল পাকার কারণ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। যেসব কারণে চুল পাকতে পারে সে সম্পর্কে চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

বংশগত সমস্যাঃ পারিবারিক বা বংশের কারো কম বয়স তবুও চুল পেকে গেছে, তাহলে তার সাথে যদি আপনার রক্ত সম্পর্ক থাকে সেই সম্পর্কের কারণে আপনার চুল পাকতে পারে।

হরমোন জনিত সমস্যাঃ অনেকেরই অল্প বয়সে হরমোন কমে যেতে পারে অর্থাৎ থাইরয়েড জনিত কারণে চুল পাকতে পারে। রক্তের থাইরয়েড হরমোন যদি কমে যায় সে ক্ষেত্রে আপনার চুল পাকতে পারে।

মানসিক চাপঃ মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা থেকে অনেকের চুল পাকা শুরু হতে পারে। মানসিক চাপ রক্তের সেরাটনিন হরমোন কমিয়ে দিতে পারে। এর কারণে ত্বক ও চুলের সমস্যা হয়, বিশেষ করে চুল পেকে যায়।
ভিটামিনের অভাবঃ কিছু ভিটামিন রয়েছে যেগুলো শরীরে কম থাকার কারণে আমাদের চুল পাকতে পারে যেমন ফলেট, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। তাছাড়া অপুষ্টিজনিত কারণেও চুল পাকতে পারে।

রাসায়নিক ব্যবহারঃ আপনার চুলে যদি ঘন ঘন রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করেন অর্থাৎ ঘন ঘন চুল রং করেন, এর মধ্যে কিছু রাসায়নিক কেমিক্যাল থাকার কারণে আপনার চুল পাকতে পারে। কেননা সব ধরনের চুলের জন্য রং ব্যবহার করা ঠিক হবে না।

ভেজাল খাবারঃ বর্তমানে আমাদের দেশে অধিকাংশ খাদ্যের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল দিয়ে ভেজাল মেশানো হয়। যা আমাদের ত্বক ও চুলের ক্ষতি করতে পারে, এছাড়াও পরিবেশ দূষণের কারণে আমাদের চুল পাকতে পারে।

অনেকেই ফাস্টফুড খেতে পছন্দ করে কিন্তু এ সকল খাবার গুলোর মধ্যে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন কোমল পানীয় থাকে। যার কারণে আমাদের ওজন বেড়ে যায় এবং অল্প বয়সে চুল পাকতে শুরু করে।

তাছাড়া অনেকের বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে চুল পাকতে পারে অথবা সাদা হয়ে যায় এবং কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি সহ কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে চুল পাকতে পারে।

সাদা চুল কালো করার উপায় কি

অনেকের অল্প বয়সে চুল পেকে যায় বা সাদা হয়ে যায়। তাই সাদা চুল কালো করার উপায় কি? এ সম্পর্কে জানতে চায়। চলুন, এ বিষয়ে প্রাকৃতিক পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

চুলের রং যদি আপনার সাদা হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। কেননা চুলের কারণে আমাদের চেহারাটা সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। অনেকের চুল বিভিন্ন কারণে সাদা হয়ে যায় সে জন্য বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের রং কিনে নিয়ে আসে।

কিন্তু অধিকাংশ এই চুলের রঙের মধ্যে থাকে অ্যামেনিয়া, যা আপনার মাথার ত্বকে এলার্জি দেখা দিবে এবং বেশিদিন ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হবে। চলুন, কিভাবে সাদা চুল কালো করবেন সে সম্পর্কে ঘরোয়া কার্যকরী পদক্ষেপ গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আমলকিঃ সাধারণত চুলের জন্য তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যা অধিকাংশ তেল গুলো আমলকি দিয়ে তৈরি করা হয়। আর এই আমলকি তেল ব্যবহার করলে সাদা চুল কালো হবে। কেননা এর মধ্যে ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন, খনিজ অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল জমা থাকে যা চুল পরিষ্কার এবং চুলের পুষ্টি যোগাতে পারবে ও খুশকি দূর হয়।

তাই আমলকির রস ব্যবহার করতে পারেন কেননা এই রসগুলো চুলের ফলিকলকে শক্ত করবে, মজবুত রাখে এবং চুল বৃদ্ধি পাবে ও কালো হবে। এটা যদি খেতে পারেন তবে উপকার পাবেন। কেননা এর মধ্যে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে অল্প বয়সে চুল পাকবেনা, সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এটা দিয়ে চুল পরিষ্কার করতে পারেন।

এতে চুলের পাকা ভাব চলে যাবে এবং চুল পড়াও কমে যাবে। এজন্য আমলকি রৌদ্র শুকাবেন এরপরে গুড়া করে নিতে হবে, এর সাথে নারিকেলের তেল মিক্সড করে একটি পেস্ট তৈরি করবেন। এরপরে চুলে ব্যবহার করবেন, আপনি এটা কেটে সিদ্ধ করে তারপর তেলের সাথে শুকনো টুকরোগুলো ২০ মিনিটে রেখে দিবেন, ঠান্ডা হয়ে গেলে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করবেন।

এটা সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন। বানানোর জন্য যে প্রক্রিয়া করতে পারেন তাহলে কেটে নিবেন এবং এর সাথে অল্প পূরণ পানি দিয়ে ব্লেন্ডার করে নেওয়া লাগবে। লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ৩০ মিনিট রাখতে পারেন, এরপর হালকা গরম কুসুম পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিবেন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করার কারণে চুলের গোড়ালি শক্ত হবে।

এটা যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দিবে। এছাড়াও এটা চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুলগুলো উজ্জ্বল দেখায়।

মেথি ও নারকেল তেলঃ মেথির মধ্যে এক ধরনের অ্যামাইনো এসিড ও লিকিথিন থাকে, যা চুল কালো করতে পারে। নারকেল তেলের সাথে এটা মিক্সড গরম করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এর পরে হালকা গরম থাকাকালীন চুলের গোড়ায় মালিশ করবেন। রাতে ঘুমানোর আগে এটা ব্যবহার করতে পারেন। সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন।

চা পাতাঃ চা পাতার মধ্যে যে পুষ্টির উপাদান রয়েছে, তা চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে। এজন্য আপনি চা পাতার পাউডার, মেহেদী ২ চামচ করে নিবেন সঙ্গে মধু এবং লেবুর রস এক চামচ করে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবেন। এরপর একটু গরম পানি দিয়ে পেসটা তৈরি করবেন। সম্পন্ন চুলেই এটা ব্যবহার করবেন ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

আপনি প্রতিদিনের যে খাবারগুলো খেয়ে থাকেন, তার সাথে অতিরিক্ত কালোজিরার ভর্তা খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে আছে অ্যান্টিহিস্টামিন ও আন্টিফাঙ্গাল যা আপনার চুলের জন্য খুবই ভালো উপকার করবে।

এছাড়া কালোজিরা তেল ব্যবহার করতে পারেন কেননা এটা চুল কালো করা থেকে শুরু করে খুশকি এবং চুল মজবুত মাথার ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ ইত্যাদি দূর করতে ভালো কাজ করে থাকে। তাই এই তেল আপনি চুলের ব্যবহার করতে পারেন।

জবা ও আমলকিঃ কয়েকটা জবা ফুল এবং এর সাথে জবা পাতাও নিবেন। এরপর পেস্টা তৈরি করে নিতে হবে। এর সাথে আমলকির গুঁড়া মিশিয়ে সামান্য পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে চুলে ১ ঘন্টার মত রাখবেন। এরপরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন, সপ্তাহে দুইবার দিতে পারেন।

কারিপাতার তেলঃ কয়েক চামচ নারকেল তেল নিবেন এর মধ্যে কয়েকটি কারি পাতা নিয়ে গরম করে ফুটিয়ে নিবেন। তেলটা যখন হালকা ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন মাথায় ম্যাসাজ করবেন। এরপরে ৩০ মিনিট হওয়ার শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

নারকেলের তেল ও লেবুর রসঃ লেবুর রসের মধ্যে ভিটামিন সি থাকে যা চুল লম্বা করতে সাহায্য করবে। তাই ২ চামচ লেবুর রস ও নারকেলের তেলের সাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে নিতে হবে। এরপরে ভালো করে চুলে লাগাবেন, ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

কফি ও লেবুর রসঃ কফির মধ্যে থাকে ক্যাফেইন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজ। এর সাথে লেবুর রস মিক্সড করে যদি চুলার গোড়ায় দিতে পারেন। তাহলে অনেক উপকার পাবেন, আধা ঘন্টা পরে শ্যাম্পু দিয়ে ফেলবেন। সপ্তাহের দুইবার দিতে পারেন।

কারিপাতা ও নারিকেল তেলঃ চুল কালো করার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ করে থাকে কারিপাতা। কারণ চুল কালো করার জন্য দরকার মেলানিন, যা কারিপাতার মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়া এটা চুল গজাতে সাহায্য করবে। তিন চামচ নারিকেলের তেল নিবেন এর সাথে পাঁচ ছয় টা কারিপাতা নিতে পারেন।

এরপর গরম করে নিতে হবে মিশ্রণটি যখন কালচে হয়ে যাবে,তখন এটা ঠান্ডা করে নিবেন। এরপর চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন, সপ্তাহে দুই তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন।

চুল কালো করার তেলের নাম

অনেকেই চুল কালো করার তেল সম্পর্কে জানতে চায়, তাই চুল কালো করার তেলের নাম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো। চলুন কোন তেল দিলে আপনার চুল কালো হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

নারকেল তেল ও জবা ফুলঃ নারকেল তেলের সাথে জবা ফুলের মিশ্রণ করে যদি পেস্ট তৈরি করা হয়। সেটা চুল কালো করতে ভালো কাজ করবে। এজন্য নারকেল তেল এক মিনিটের মতো গরম করে নিবেন। এরপরে পাঁচ থেকে ছয়টি জবা পাতা মিক্সড করে দিবেন।
তারপরে এটা যখন ঠান্ডা হবে এই মিশ্রণটি মাথায় লাগাবেন ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন, সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করে দেখুন অনেক ভালো উপকার পাবেন।

আর এই জবা ফুলের মধ্যে যে উপাদান গুলো আছে, তা চুল পাক ধরা বাধা দিতে সাহায্য করবে। এছাড়াও চুলের গোড়া মজবুত করবে ও সহজে চুল পড়বেনা।

কালোজিরার তেলঃ কালোজিরার তেল এবং অলিভ অয়েল এক চামচ করে নিতে হবে। একটি পাত্রের মধ্যে ভালো করে মেশাতে হবে। এর পরের মাথার ত্বকের ভালো করে দিতে হবে, এক ঘন্টা রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

এতে আপনার চুল কালো করতে সাহায্য করবে। গবেষণায় দেখা গেছে কালোজিরা তেল হয়তো সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। বিশেষ করে যাদের সংবেদনশীল ত্বক রয়েছে তারা আগে কানের লতিতে একটু দিয়ে টেস্ট করতে পারেন। তারপরে মাথায় লাগাবেন।

চুলের লালচে ভাব দূর করার উপায়

অনেকের চুল লাল বা লালচে ভাব হয়ে যায় তাই এই সমস্যা দূর করার জন্য জানতে চায় চুলের লালচে ভাব দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

অনেকে দীর্ঘক্ষণ রোদে কাজ করে থাকে এর কারণে চুল লালচে ভাব হয়। আবার অনেকে রাসায়নিক উপাদান দ্বারা তৈরি চুলের কালার ব্যবহার করে থাকে, যার কারণে চুল লালচে ভাব হয়ে যায়। দীর্ঘদিন চুলে কালার করার কারণে দেখা যায় লালচে ভাব থেকেই যায়।

আপনি যদি রোদে কাজ করতে যান এবং চুল খোলা থাকলে সে ক্ষেত্রে চুলের কোলাজেল টিস্যু নষ্ট হতে পারে। এর কারণে আপনার চুল লালচে ভাব দেখা যায়। তাই রোদে যাওয়ার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

অনেকে কোঁকড়ানো চুল তাপ দিয়ে সোজা করতে চায়, এতে চুলের কোলাজেন টিস্যু নষ্ট হয়ে যায় এবং চুলের রং লালচে হয়ে যায়। অনেকে চুলের যত্নের জন্য মধু ব্যবহার করে থাকে, তাই ঘনঘন মধু ব্যবহার করলে চুলের স্বাভাবিক রং হারিয়ে যাবে।

যে পানির মধ্যে ক্লোরিন ও আয়রন থাকে সেখানে ব্যবহার করলে চুল লালচে হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত ও অবহেলার কারণে লালচে হতে পারে। এই চুলের লালচে ভাব দূর করার জন্য আপনাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তবে কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো মানলে আপনার চুলের অবস্থা ভালো থাকবে।

যখন আপনি রোদে যাবেন তখন কোন কিছু দিয়ে মাথা ঢেকে রাখবেন, যেন রোদের কারণে আপনার চুলের ক্ষতি না হয়।

রোদে বের হওয়ার আগ মুহূর্তে গোসলের পরে চুলে হেয়ার সেরাম দিতে পারেন, এতে চুলকে রোদ ধুলাবালি থেকে রক্ষা করবে।

চুলের জন্য কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না, প্রাকৃতিকগত প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

ভেজা চুলে কখনোই বাড়িতে বের হবেন না, এর কারণে চুল ময়লা হয়ে যেতে পারে, এতে চুল নষ্ট হয়ে যাবে, তাই বাইরে যাওয়ার সময় চুল শুকিয়ে নিতে হবে।

খাবার অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে, চুলকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হবে এবং বেশি বেশি পানি খেতে হবে।

টক দই আর ডিমের মিশ্রণ লালচে চুলের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করবে। সপ্তাহে একদিন এটা ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য ১টা ডিম এর সাথে এক কাপ টক দই মিশিয়ে মিশ্রণটি তৈরি করবেন। ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দেওয়ার পরে চুলে লাগাবেন। এরপরে শ্যাম্পু দিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন।

একটি ডিম এক কাপ দই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও নারকেল তেল মিক্সড করে নিয়ে পেস্টটি মাথায় দিবেন। এটা আপনার ত্বকে লাগানোর কারণে চুল কালো হবে ও ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন। সপ্তাহে একদিন দিতে পারেন।

পাকা চুলে তেল ব্যবহার করলে কি কালো হয়

অনেকে জানতে চায় যে পাকা চুলে তেল ব্যবহার করলে কি কালো হয়? আসলে তেল দেওয়ার কারণে চুল কালো হয় কিনা সেটা জানা প্রয়োজন। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

আমাদের মাঝে কিছু লোকের অতি তাড়াতাড়ি চুল পাকতে শুরু করে, যার কারণে তারা বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহার করে চুল কালো করার চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু চুল যদি একবার পেকে যায় সেটা কি আবার কালো করা সম্ভব। চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

চুল পেকে যাওয়া সাধারণত অনেকেই মেনে নিতে পারে না, এজন্য তারা কালো করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে থাকে। তাই বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করে। অনেকের ধারণা যে মাথায় তেল দিলে চুল কালো হতে পারে কিন্তু আসলে কি চুল কালো হবে।
তাই সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে ত্বক রোগ বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কারণে চুলের ফলিকলগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

এজন্য চুলের প্রাকৃতিক রং নষ্ট হয়ে যেতে থাকে এবং ধীরে ধীরে সাদা হয় ও পাকা শুরু করে। তবে কারো যদি বয়স ২০ বছর হওয়ার আগেই চুল পাকতে শুরু করে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা নিতে হবে।

তাই চিকিৎসকগণ বলে থাকেন মাথায় নিয়মিত তেল ব্যবহার করলেও পাকা চুল কখনো কালো হবে না। চুল কালো করার জন্য নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে, পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তবে বেশি সমস্যা মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

চুল লম্বা করার তেলের নাম

অনেকের চুল লম্বা করতে চায়, তাই চুল লম্বা করার তেলের নাম সম্পর্কে জানতে চায়। এজন্য এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। চলুন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

আপনি যদি আপনার চুলকে লম্বা ও ঘন করতে চান সেক্ষেত্রে চুলের যত্ন নিতে হবে। শ্যাম্পু এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ না পেলে চুলের গোড়ালি শক্ত হবে না এবং চুল বৃদ্ধি পাবে না। তাই যে সকল তেল ব্যবহার করলে চুল লম্বা হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

চুল লম্বা হওয়ার জন্য ভালো কাজ করে থাকে নারিকেলের তেল। এর মধ্যে ভিটামিন, ফ্যাটি এসিড থাকে। তাই এই তেল ব্যবহার করলে চুল ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে এবং কন্ডিশনার হিসেবে ভালো কাজ করবে। এর মধ্যে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে চুলের রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করবে।

চুলের গোড়ালি শক্ত ও রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করার জন্য আপনি ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া এটা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে, কারণ এর মধ্যে এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টিব্যাকটেরিয়াল আছে।

অনেকের চুল ভেঙ্গে যেতে পারে সেজন্য প্রাকৃতিক উপায়ে সমাধান করতে চান, সে ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল দিতে পারেন। কারণ এর মাঝে থাকে ভিটামিন ই এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চুল ভাঙ্গা দূর করতে সাহায্য করবে।

এছাড়া আমলকিতে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকার কারণে চুলের যত্নে ভালো কাজ করে থাকে এবং চুলকে অকালপক্কতা থেকে রক্ষা করে।

এছাড়াও খুশকি দূর করার জন্য আপনি ট্রি ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন এ ডি ও ই এর পাশাপাশি ফ্যাট থাকে এভোকাডো অয়েল এর মধ্যে তাই আপনি এটা ব্যবহার করতে পারেন।

চুলে তেল দেওয়ার সঠিক নিয়ম

চুলে তেল দিলে যে শুধু চুল বৃদ্ধি পাবে বা কালো হবে তা কিন্তু নয় এজন্য চুলে তেল দেওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে হবে। তা না হলে চুলের ক্ষতি হবে, চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

চুলের যত্নের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করে থাকি, একেক জন একেক সময় তেল দিয়ে থাকে। যখনই তেল ব্যবহার করবেন তখন আপনার উপকার পাবেন। তবে নিয়ম মেনে চুলে তেল দেওয়া সবচেয়ে বেশি উপহার পাওয়া যাবে। তাই চুলে তেল ব্যবহার করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে।

চুলে তেল দেওয়ার আগে অবশ্যই চুল আঁচড়াতে হবে, যাতে চুলের গোড়ায় তেল ভালোভাবে পৌঁছাতে পারে। তাই ভালো মানের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে হবে।

কেননা চুলের ঝট লেগে থাকলে সেগুলো ছাড়িয়ে দিতে হবে। এছাড়াও ধুলাবালি যদি থাকে সেগুলো ঝরে গেছে নাকি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হালকা গরম তেল চুলের জন্য অনেক উপকার। অবশ্যই এমনভাবে গরম করবেন যেন আপনার সমস্যা না হয়। চুলে হালকা এই গরম তেল ব্যবহার করলে চুলের ফলিকল গুলো সহজে উঠে যেতে পারে। আপনার ত্বকে যদি ধুলাবালি থাকে সেগুলো নরম হয়ে উঠে যাবে। এরপরে শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আপনার ময়লা গুলো উঠতে পারে।

তেল মালিশ করার পূর্বে অবশ্যই চুল গুলো ভাগ করা প্রয়োজন। এরপর চুলে তেল মালিশ করবেন, তেলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত যেন তেল পৌছায়া দিতে পারে। ব্যবহারের আগে বোতল থেকে তেল ছোট একটি বাঢিতে ঢেলে নিবেন, এতে ব্যবহার করতে সুবিধা হবে। এর পরে হাতের আঙ্গুলের ডগা তেলে চুবিয়ে চুলে লাগাতে হবে।

অনেকে হাতের তালু দিয়ে জোরে জোরে চুলে মালিশ করে এতে চুল ভেঙে যেতে পারে। তাই গরম তেলের মাঝে আঙ্গুল আলতোভাবে দিবেন, এরপর মাথায় আলতোভাবে লাগাতে হবে। এভাবে তেল মালিশ করার কারণে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের তেল পাওয়া যায় যেমন নারিকেল তেল, জলপাই, বাদাম, ক্যাস্টর অয়েল ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের তেল পাওয়া যেতে পারে। আপনি যেকোন একটি ভিটামিন জাতীয় তেল নিতে পারেন।

শেষ কথাঃ সাদা চুল কালো করার উপায় কি ও কার্যকরী পদ্ধতি জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে আপনার চুল সাদা থেকে কালো করতে চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাহলে আপনার চুল কালো হবে। তবে অবশ্যই সেটা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। তাই সাদা চুল কালো করার উপায় কি? সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪