প্রতিদিন টক দই খেলে কি হয় ও যেসব খাবারের সঙ্গে খাবেন না

অনেকে জানতে চায় যে প্রতিদিন টক দই খেলে কি হয়? আসলে প্রতিদিন টক দই খাওয়ার ক্ষেত্রে শরীরের সমস্যা হতে পারে। তাই এ সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন, প্রতিদিন টক দই খাওয়ার কারণে কি হতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।
ছবি
অনেকে এই টক দই উপকার আছে বলে প্রতিদিন ও বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকে। এতে শরীরে আরো ক্ষতি করে। তাই প্রতিদিন টক দই খেলে কি হয়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃপ্রতিদিন টক দই খেলে যে উপকার হয় ও যেসব খাবারের সঙ্গে খাবেন না

প্রতিদিন টক দই খেলে কি হয়

টক দই আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। তাই প্রতিদিন টক দই খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে জানার পর যদি আপনি টক দই খান। তাহলে এর উপকারিতা সম্পর্কে আরো ভালো জানবেন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

টক দই এর মধ্যে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন বি-১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস আরো অনেক ধরনের উপাদান থাকে।

টক দই এর মধ্যে এক ধরনের প্রোবায়োটিক থাকে। যা ভালো ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করতে সাহায্য করে। যার কারণে পেটের সমস্যা দূর করবে।

টক দইয়ের মধ্যে কিছু খনিজ উপাদান আছে ও ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।

প্রতি এক কাপ টক দইয়ে ২৭০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে, যা আমাদের শরীরের হাড়ের গঠন ও মজবুত করতে সাহায্য করবে।

তবে প্রতিদিনে ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তাদের খাওয়া যেতে পারে, এর বেশি খেলে ক্ষতি হবে।

চলুন, আরো কিভাবে আমাদের উপকার করতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

ফ্যাট কমায়ঃ ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে আপনাকে ফ্যাট জাতীয় খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আর টক দইয়ের মধ্যে ফ্যাট খুবই কম আছে, যে কারণে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও টক দই রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই এই টক দই কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা, স্ট্রোক, হৃদরোগের ঝুঁকি থেকেও রক্ষা করতে পারে।

ওজন কমায়ঃ ওজন কমানোর জন্য অনেক প্রচেষ্টা করে থাকে। এক্ষেত্রে অন্যতম পদ্ধতি হতে পারে টক দই। তাই আপনি এটা খেতে পারেন এতে আপনার ওজন অনেক কমে যাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবেঃ টক দইয়ের মধ্যে লেক্টিক থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে। যদি আপনি নিয়মিত ভাবে এই টক দই খেতে পারেন, তাহলে ক্যান্সারের থেকেও রক্ষা পাবেন। এছাড়া এটা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে ও মানসিক চাপ থেকে কমাতে সাহায্য করবে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ অনেকের খাবারের এলার্জি থাকে যার কারণে হজম এর সমস্যা হয়। আর এই সমস্যা দূর করতে পারেন। কেননা টক দইয়ের মধ্যে থাকে প্রোবায়োটিক যা আপনার ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরি করবে। এতে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি হবে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ এর মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করবে, রোগ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে।

যা শরীরে প্রবেশ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো প্রতিরোধ করতে পারে। প্রতিদিন খাবারের পর আপনি টক দই খেতে পারেন। এটা আপনার স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে উঠলে সুস্থ থাকবে।

যেসব খাবারের সঙ্গে টক দই খাবেন না

অনেক খাবারের সাথে টক দই খেলে ক্ষতি হতে পারে। তাই যেসব খাবারের সঙ্গে টক দই খাবেন না। তা আপনাকে জানতে হবে। কোন খাবার গুলোর সাথে টক দই খেলে ক্ষতি হবে। সে সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

প্রতিদিন টক দই খেতে যারা পছন্দ করে থাকেন। তারা রান্নার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। আবার অনেকেই দুধের বিকল্প হিসেবে টক দই খেতে পারেন। পুষ্টিবিদরা টক দই রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। চিকিৎসকরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধির প্রতিরোধ করার জন্য খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। টকদের মধ্যে থাকে প্রবায়োটিক যা পেটের সমস্যাকে দূর করবে।

আর কিছু ভালো উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে পারবে এবং পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। তাছাড়া এর মধ্যে প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম ফসফরাস, ভিটামিন-এ, বি-৬, বি-১২ ছাড়া আরো অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে।

এমন কিছু খাবার টক দইয়ের সাথে এমন কিছু খাবার খেলে যা ক্ষতি হতে পারে। সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, চলুন জানা যাক। গবেষণায় দেখা গেছে যে টক দইয়ের সাথে কিছু খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

পিয়াজের সাথে টক দই খাবেন না, বিরানির সাথে টক দই খাওয়া যাবেনা। দই ও পেঁয়াজ একসঙ্গে যদি খাওয়া হয় এতে এসিডিটি বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে টক দই এমনিতেই ঠান্ডা আর পিঁয়াজ শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।

তাই দুটি খাবার যখন একসাথে খাওয়া হয় তখন বিপরীত কাজ করে। ঠান্ডা এবং গরমের মিশ্রণে ত্বকের সমস্যা হয়। এছাড়া এলার্জির মত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তাই এই খাবার দুটি একসাথে না খাওয়াই ভালো।

দুধের সাথে টক দইঃ কখনোই খাবেন না। কেননা এই দুইটা খাবার একই জায়গায় থেকে চলে আসে। এই দুই উপাদান প্রোটিন একসঙ্গে খাওয়ার একেবারে ঠিক হবে না। এতে ডায়রিয়া বা অ্যাসিডিটি পেট ফোলা ভাব অথবা গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মাছের সাথে টক দইঃ খাবেন না, বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দইয়ের সাথে যদি মাছ খাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে শরীরে কু প্রভাব পড়তে পারে। ফলে আমাদের শরীরের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন মাছ ও দই দুটি প্রোটিন তাই একসঙ্গে খেলে সমস্যা হতে পারে। যদি অনেকের একসঙ্গে খাওয়ার পরে তেমন সমস্যা হয় না, তবে পেটে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভাজা পোড়া খাবারের সাথে টক দইঃ খাবেন না, অনেকেই পুরোটার সাথে টক দই পছন্দ করে। এই ক্ষেত্রে খাওয়া ঠিক হবে না। এই খাবার একসাথে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের পেট ফুলে যেতে পারে, পেট ফাঁপা দিতে পারে অনেকের ডায়রিয়াও হতে পারে। তাই এই ধরনের খাবার একসাথে খাওয়া ঠিক হবে না কিন্তু আপনার আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আম ও দইঃ দই এর সাথে যদি আপনি আম খেতে চান সেক্ষেত্রে খুবই ক্ষতি হবে। এই দুটি খাবারের মিশ্রণে শরীরের টক্সিন সৃষ্টি হবে। যদিও আমের সাথে দই খেতে ভালো লাগে কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

টক দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম

আপনি যখন টক দই খাবেন তখন অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী খাবেন। তাই টক দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। তা না হলে শরীরে ক্ষতি হবে। চলুন, এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

যারা স্বাস্থ্য সচেতন রয়েছেন তারা টক দই খাওয়ার প্রবণতাটা বেশি থাকে। তাই টক দই অনেক গুণাগুণ রয়েছে এটা প্রবায়োটিক হিসেবে কাজ করে থাকে। এর ভিতর যে উপাদান গুলো রয়েছে তা খুবই শরীরের জন্য ভালো কাজ করে থাকে। এর মধ্যে কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে যেগুলো শরীরে কিছু খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে মেরে ফেলতে পারে।

সেই সাথে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। এই দই এর মধ্যে ভিটামিন এ, বি, ভালো ফ্যাট থাকে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম, ফসফরাস সহ আরো অনেক ধরনের পুষ্টি থাকে।

যা শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করবে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এছাড়াও এটা সঠিক নিয়ম মত খেতে হবে। চলুন টক দই খাওয়ার কিছু নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
রাত্রিতে দই খাবেন নাঃ অনেকেই রাত্রিতে দই খেতে চায় কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন রাত্রিতে টক দই খাবেন না। এর কারণে শরীরে মিউকাসের জন্ম নিতে থাকে, যার ফলে বিভিন্ন সংক্রমণের মূলে থাকে এবং এর সংক্রমণের ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। নাকের মধ্যে অস্বস্তিকর লাগে এছাড়াও আর্থারাইসের সমস্যা সৃষ্টি করে।

দই এর সাথে চিনিঃ ওজন বাড়ার ভয় অনেকেই টক দই খেয়ে থাকে কিন্তু এর সাথে যদি চিনি খেয়ে ফেলেন তাহলে ওজন আরো বৃদ্ধি পাবে। চিনি খাওয়ার সিদ্ধান্ত একেবারে ঠিক হবে না কিন্তু দই খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে চিনি বাদ দিতে হবে।

কারণ এর কারণে পেটে অম্বল হতে পারে। তাই চিনি খাওয়ার পরিবর্তে আপনি মধু, গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। তাছাড়া অল্প লবণ, গোল মরিচের গুড়া, দারুচিনি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

প্রতিদিন না খাওয়াই ভালোঃ টক দই যদিও অনেক উপকার কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন প্রতিদিন খাওয়া ঠিক হবে না, একদিন পরপর টক দই খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরের ব্যালেন্স ঠিক থাকবে, প্রতিদিন যদি টক দই খাওয়া হয় তাহলে শরীরে মিউকাস সমস্যা হয়।

গর্ভাবস্থায় দই খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় অনেক ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয়, তাই দই খাওয়া যেতে পারে। কারণ গর্ভাবস্থায় দই খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে, যা আপনার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

হজমের সমস্যা দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের পেটের গ্যাসের সমস্যা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও হজমের সমস্যা হয় আর এই হজমের সমস্যা দূর করার জন্য দই খাওয়া যেতে পারে। 

কারণ এর মধ্যে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা আমাদের খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো মেরে ফেলে এবং খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে। তাই একদিন পরপর একজন গর্ভবতী মা অল্প পরিমাণ খেতে পারবেন। কেননা দই এর মাঝে প্রোবায়োটিক থাকে যা খাদ্য হজম করতে সাহায্য করবে।

ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করেঃ গর্ভবতী মায়েদের এই সময়ে গর্ভস্থ শিশুর হাড় গঠন করতে ও দাঁত মজবুত করতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এর প্রয়োজন হয়। তাই পরিমাণ মতো দই খাওয়া যেতে পারে এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা গর্ভস্থ শিশুর জন্য অনেক উপকার করবে।

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাঃ গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এই সময় অনেকের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য দই খাওয়া যেতে পারে। কেননা এটা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে এবং কোলেস্টেরল দূর করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ গর্ভবতী অবস্থায় সাধারণত এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। যার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি হতে পারে, তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করার জন্য দই খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মাঝে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর করতে সাহায্য করবে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

মানসিক চাপ কমাবেঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত মানসিক চাপ বেশি থাকে, এই স্ট্রেস কে কমানোর জন্য দই খাওয়া যেতে পারে। কেননা এই দই মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

ত্বক সুস্থ রাখেঃ গর্ভবতী মায়েদের হরমোনের পরিবর্তন হওয়ার কারণে এই সময়ে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। সুস্থ রাখার জন্য দই খাওয়া যেতে পারে। কেননা দই এর মধ্যে ভিটামিন-ই থাকে যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

রাতে টক দই খেলে কি হয়

অনেকেই মনে করে রাত্রিতে টক দই খেলে শরীরের উপকার হবে কিন্তু রাতে টক দই খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। তা না হলে শরীরে ক্ষতি হতে পারে, চলুন বিস্তারিত জানা যাক।

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রাতের বেলা টক দই খাওয়া ঠিক হবে না, এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। আমাদের শরীরে টিস্যুর বিপরীত কাজ করে থাকে, এজন্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই রাত্রিতে দই খেলে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক,

রাত্রিতে দই খাওয়ার কারণে পরিপাকতন্ত্রের উপর বিরোপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর কারণে অনেকের বমি হয়ে থাকে তাই রাত্রিতে দই না খাওয়াই ভালো।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে রাত্রিতে দই খাওয়ার কারণে অনেকে ব্রণের সমস্যা হয়েছে। তাই রাত্রিতে দই খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।

রাত্রিতে দই খাওয়ার কারণে অনেকের শরীরে অতিরিক্ত কফ তৈরি করতে পারে, এতে গলা ব্যথা এবং সর্দির মতো সমস্যা হতে পারে।

রাত্রিতে দই খাওয়ার কারণে অনেকের স্থূলতা সমস্যা দেখা দিতে পারে, এর পাশাপাশি অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।

রাত্রিতে দই খাওয়ার কারণে অনেকের বাতের ব্যথা বা জয়েন্টের ব্যথাগুলো আরো বৃদ্ধি করতে পারে।

শেষ কথাঃ প্রতিদিন টক দই খেলে কি হয় ও যেসব খাবারের সঙ্গে খাবেন না

পরিশেষে বলা যায় যে টক দিয়ে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে এবং পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে। তাই এটা পরিমাণ মতো এবং কিছু নিয়ম অনুযায়ী যদি খাওয়া হয়। তাহলে শরীরের অনেক উপকার হবে। তাই প্রতিদিন টক দই খেলে কি হয়? সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪