এশার নামাজ কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হয় জেনে নিন
অনেকেই এই এশার নামাজ কত রাকাত এটা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যান। তাই এশার নামাজ কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হয়? এ সম্পর্কে জানলে ভালো হবে। চলুন, এশার নামাজ কত রাকাত এবং কিভাবে পড়বেন সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
দিন শেষে এই নামাজটি পড়া হয়ে থাকে, তাই অনেকেই এই নামাজ কত রাকাত ও কিভাবে পড়া লাগবে তা জানতে চায়। তাই এশার নামাজ কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হয়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃএশার নামাজ কয় রাকাত পড়তে হয় জেনে নিন
এশার নামাজ কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হয়
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে এশার নামাজ যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এশার নামাজ কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হয়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
এশার নামাজ সম্পর্কে রাসূল সাঃ বলেছেন, "যে ব্যক্তি জামাতের সাথে এশা নামাজ পড়ে সে অর্ধেক রাত নফল নামাজ পড়ার সওয়াব পাবে এবং যে ফজরের নামাজ পড়বে সে সারারাত জেগে নামাজ পড়ার সওয়াব পাবে।" মুসলিম শরীফঃ ১৩৭৭
- এই নামাজ মূলত ১৭ রাকাত যেমন
- চার রাকাত সুন্নত পড়া হয়
- চার রাকাত ফরজ পড়তে হবে।
- দুই রাকাত সুন্নত পড়তে হয়
- দুই রাকাত নফল পড়া হয়
- তিন রাকাত বিতর পড়তে হয়
- দুই রাকাত নফল ইচ্ছাকৃতভাবে পড়তে পারবেন।
চার রাকাত সুন্নতঃ এই চার রাকাত সুন্নত, মূলত সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এই সুন্নত নামাজ রাসূল সাঃ নিয়মিতভাবে পড়েছেন এবং উম্মতের জন্য পড়ার জন্য বলেছেন। এটা মূলত ফরজ নামাজের আগে পড়তে হয়।
চার রাকাত ফরজঃ এই ফরজ নামাজ অবশ্যই পড়তে হবে, এটা আল্লাহতালার নির্দেশ। এটা না পড়লে আমাদেরকে গুনাহগার হতে হবে এবং কেননা প্রত্যেক মুসলমানের উপর এটা বাধ্যতামূলক করেছেন।
দুই রাকাত সুন্নতঃ এই দুই রাকাত সুন্নত, যা রাসূল সাঃ পড়েছেন, এটা মূলত ফরজ নামাজের পরে পড়তে হয়।
দুই রাকাত নফলঃ এই দুই রাকাত নফল আবশ্যিক বিষয় নয়, যা পড়লে অনেক সওয়াব পাবেন ও এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
তিন রাকাত বিতরঃ বেতর নামাজ পড়া ওয়াজিব, এই নামাজের শেষে বিতর নামাজ পড়তে হয়। এটা এক ধরনের বিশেষ নামাজ, তিন রাকাত পড়া লাগে।
দুই রাকাত নফল ইচ্ছাকৃতঃ এই দুই রাকাত নফল অতিরিক্ত ভাবে পড়তে পারেন। এতে আপনার অনেক উপকার হবে এবং আল্লাহর কাছে আপনি বিভিন্ন ধরনের সাহায্য প্রার্থনা করতে পারবেন।
তবে উপরোক্ত ১৭ রাকাতের মাঝে কিছু নামাজ গুলো আপনি না পড়লেও চলবে। সেক্ষেত্রে কারো যদি শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে ফরজ নামাজ বাদে বাকি যেগুলো সুন্নাত রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে দুই রাকাত সুন্নত আদায় করতে পারেন, বাকিগুলা আদায় না করলেও চলবে।
এরপর বেতর নামাজ আদায় করতে হবে, যদিও বেতর নামাজ আসলে এশার নামাজের সাথে সম্পর্ক নাই। তবে এটি বিশেষ ধরনের নামাজ বলা হয়। শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলে আপনি ৯ রাকাত নামাজ পড়তে পারবেন।
এশার নামাজের ওয়াক্ত কখন শুরু হয়
অনেকে জানতে চায় যে এশার নামাজের ওয়াক্ত কখন শুরু হয়? তাই একজন মুসলিম হিসাবে আমাদের এই নামাজ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।
এই নামাজের উত্তম সময়ঃ রাত্রিকে তিন ভাগ করে ১ম ভাগের সময় পড়া ভালো অর্থাৎ এই নামাজ যখন সময় হবে তার থেকে এক থেকে দেড় ঘন্টার পর পড়া যাবে।
এই নামাজের মাকরুহ সময়ঃ আপনি যদি কোন কারণ ছাড়াই মধ্যরাতের পর এই নামাজ পড়েন, তাহলে মাকরূহ হয়ে যাবে। আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে মধ্যরাতে পড়া যাবে কিন্তু অন্য কোন কারণে যদি এই নামাজ পড়েন তাহলে মাকরুহ হয়ে যাবে।
মনে করেন আপনি ওয়াজ মাহফিলে গেছেন সেখানে আপনি মধ্যরাতের পরে এই নামাজ পড়বেন, তাহলে এ নামাজ মাকরুহ হবে। তাই যথা সময় আপনাকে নামাজ পড়তে হবে।
এশার সালাত ৯ রাকাত পড়লে হবে কি
অনেকে জানতে চায় যে এশার সালাত ৯ রাকাত পড়লে হবে কি? এ বিষয়ে ইসলামী শরীয়ত মতে আপনাকে জানতে হবে। চলুন এ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে জেনে নেওয়া যাক।
এই বিষয় নিয়ে আলেম-ওলামাদের মধ্যে মতামত রয়েছে, তবে অনেকে বলে থাকেন যে এই নামাজের ফরজ চার রাকাত পড়লে হয়ে যাবে। ফরজ নামাজের আগে চার রাকাত সুন্নত রয়েছে এটা না পড়লেও চলবে। তবে ফরজ নামাজের পরে ২ রাকাত সুন্নত রয়েছে, এটা আপনি মসজিদে না পড়লেও চলবে। আপনি বাড়িতে পড়তে পারবেন।
তবে যদি কারো শারীরিক অসুবিধা থাকে, সে ক্ষেত্রে এ সুন্নত নামাজ না পড়লেও সমস্যা নাই। তবে যারা সক্ষম ও সুস্থ ব্যক্তি তাদের সুন্নতগুলো আদায় করা লাগবে। এ সুন্নত গুলো পালন করলে অনেক সওয়াব পাবেন। চেষ্টা করবেন আদায় করার জন্য আর বিতরের নামাজ সাধারণত এই নামাজের সাথে সম্পর্ক নাই।
এই নামাজটি আলাদা সেটা আপনার নিজের মত পড়তে পারবেন। শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ হলে আপনি শুধু ফরজ চার রাকাত পড়লেই পড়া যাবে। তাই এই নামাজ ৯ রাকাত পড়লে কোন অসুবিধা নেই।
রাত বারোটার পর এশার নামাজ পড়া যাবে কি
অনেকে প্রশ্ন করে থাকে যে রাত বারোটার পর এশার নামাজ পড়া যাবে কি? এই প্রশ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে হয়তো জানেন না। চলুন, রাত বারোটার পর এই নামাজ পড়া যাবে কিনা এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
এই নামাজ সূর্য অস্ত যাওয়ার ১ ঘন্টা পর থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত পড়া যাবে। তবে মধ্যরাতের পর এ নামাজ পড়লে মাকরুহ হয়ে যাবে। অনেক ওলামায়ে কেরাম এই বিষয়ে একমত হয়েছে কিন্তু ফজরের নামাজ ব্যতীত সব নামাজ গুলোই একটা নামাজ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত পড়া যায়।
সেই হিসেবে এই নামাজটাও ফজরের আগ পর্যন্ত পড়া যেতে পারে। তবে হানাফি আলেম গণের মতে এই নামাজ রাত্রিকে তিন ভাগে বিভক্ত করে প্রথম ভাগের শেষের দিকে পড়া যাবে। দ্বিতীয় ভাগে পড়া মুবাহ এবং শেষভাগে পড়া মাকরুহ হয়ে যাবে।
অর্থাৎ মনে করেন সূর্য অস্ত যাবে ৬ টায় এবং সূর্য উদয় হবে ৬ টায়, তাহলে রাত্রির সময় কাল ১২ ঘন্টা। আর এই ১২ ঘণ্টাকে তিন দিয়ে ভাগ করলে চার ঘন্টা করে হবে। তাহলে এখন আপনি সন্ধ্যা ছয়টার সাথে চার ঘণ্টা যোগ করেন তখন সময় হবে দশটা। আর এই দশটার সময় সর্বশেষ এই নামাজ পড়তে পারবেন।
তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে মসজিদে ইমামের সাথে নামাজ পড়া উত্তম, পুরুষদের ক্ষেত্রে নিজে নিজে ঘরে নামাজ পড়া ঠিক হবে না। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি ঘুমানোর আশঙ্কা থাকে সেই ক্ষেত্রে আগেই নামাজ পড়া ভালো।
তাই সব সময় রাত বারোটা হিসাব করা যাবে না, কেননা সময় কম বেশি হতে পারে। সে হিসেবে আপনাকে নামাজ পড়তে হবে। এজন্য রাত বারোটার পরে যে নামাজ হবে না, এই কথা বলা ঠিক হবে না। কেননা বড় ধরনের সমস্যা থাকলে রাত বারোটার পরে নামাজ পড়া যাবে কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করা মাকরুহ হয়ে যাবে।
এশার নামাজের আগে ঘুমানো মাকরুহ
এই নামাজের আগে যদি আপনি ঘুমাতে চান, সেক্ষেত্রে ঠিক হবে কিনা। তাই এশার নামাজের আগে ঘুমানো মাকরুহ হবে কিনা। এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
অনেক রাত্রিতে এবং মাগরিবের পর ঘুমানো ঠিক নয় কেননা রাসূল সাঃ বলেছেন, এই নামাজের আগে এবং পরে কথাবার্তা বলা ভালো অভ্যাস নয় কিন্তু যদি আপনি মানব কল্যাণ মূলক কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে এই নামাজের পরে জাগ্রত থাকা যাবে। যেমন অতিথির সাথে কথা বলতে পারবেন, আবার জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে কিংবা পরিবারকে সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে।
এক কথায় অধিক রাত জাগ্রত থাকার কারণে ক্ষতি হতে পারে। যেমন ফজরের নামাজ মিস হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে রাত না জাগাই ভালো। ইসলামের দৃষ্টিকোণে তাড়াতাড়ি ঘুমানো উপকারিতা আছে। যেমন আগে ঘুমানো রাসুল সাঃ এর সুন্নত। কেননা তিনিও অতি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যেতেন, এছাড়াও রাত্রিতে ঘুমানো শরীরের জন্য অনেক ভালো।
তাছাড়া ফজরের নামাজের সময় খুব সহজে উঠতে পারবেন এবং শারীরিক শক্তি পাবেন। তাছাড়া তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য শেষ রাত্রিতে উঠতে পারবেন। সেই হিসাবে এশার নামাজ পড়ার পর আপনি ঘুমিয়ে যেতে পারেন। তবে মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত না ঘুমানো ভালো। এশা নামাজ শেষ হয়ে যায়, সে পর্যন্ত যদি আপনি ঘুমান, তাহলে এটা মাকরুহ হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ইসলামী স্কলাররা বলেছেন মাগরিবের পরে এশার নামাজের আগে ঘুমানো মাকরুহ। এটা মালিকী এবং হাম্বলী ইমামদের মতামত। তবে হানাফী মাযহাবের মতে এই নামাজের সময় ঘুমানো মাখরুহ, তাই অনেকেই বলেছেন যে এই সময়টুকু ঘুমানো ঠিক হবে না।
কেননা রাসুল সাঃ এই নামাজের আগে মাগরিবের পরে ঘুমানো পছন্দ করতেন না এবং এই নামাজের পরে বেশি কথাবার্তা পছন্দ করতেন না। সহি বুখারি, কেননা কোন ব্যক্তি যদি মাগরিবের নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তার এই নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। সেই দৃষ্টিকোণে মাখরুহ বলা হয়েছে।
এশার নামাজের ফজিলত
এই নামাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাই এশার নামাজের ফজিলত রয়েছে। কারণ এটি সর্বশেষ নামাজ এক্ষেত্রে অনেকের অলসতা আসতে পারে। তাই এটার প্রতি গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়েছে এবং ফজিলত বেশি। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
আমরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে থাকি, সাধারণত জামাতেই পড়তে হবে। তবে এই নামাজের সময় মানুষজন রাত্রি হয়ে যায় এবং অলসতার কারণে জামাতে নামাজ পড়তে চায় না। তাই ফজর এবং এশার নামাজ এ দুই সময়ে সাধারণত মানুষ নামাজ পড়তে অনেক কষ্ট হয়।
যার কারণে এই নামাজ দুটার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসূল সাঃ এই নামাজের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাহলে বোঝা গেল এই নামাজ জামাতে পড়লে অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি এই নামাজ জামাতের সাথে আদায় করে তাহলে সে অর্ধেক রাতের নামাজের সওয়াব পাবে।
আবার যদি কেউ ফজরের নামাজ পড়ে তাহলে সে সারা রাত্রি নামাজ পড়ার সওয়াব পাবে। তাহলে ফজর ও এশার নামাজ যদি কেউ জামাতের সাথে পড়তে পারে, তাহলে আল্লাহতালা খুবই খুশি হন।
হযরত উবাই ইবনে কাব রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একবার রাসূল সাঃ আমাদেরকে ফজরের নামাজ পড়াচ্ছিলেন, সালাম ফিরে জিজ্ঞেস করলেন অমুক ব্যক্তি কি আছে? তখন লোকজন বলল নাই। এরপর আরেকজনের নাম তিনি জিজ্ঞেস করলেন অমুক ব্যক্তি কি আছে? তখন লোকেরা বলল নাই তিনি বললেন এই দুই ব্যক্তি নামাজ না পড়ার কারণে তাদেরকে মোনাফেকের লক্ষণ হিসেবে ধরা হলো।
এই নামাজের সুন্নতের ফজিলতঃ এই নামাজের চার রাকাত ফরজের পরে দুই রাকাত সুন্নত অনেক ফজিলত আছে। এরপরে তিন রাকাত বেতর নামাজ পড়া লাগে, যেটা ওয়াজিব। এশার নামাজের সাথে অন্তর্ভুক্ত না এই নামাজটি স্বতন্ত্র নামাজ এটা ফজরের আগ পর্যন্ত পড়া যাবে।
তবে দুই রাকাত সুন্নত নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হযরত আয়েশা রাঃ বর্ণিত হয়েছে যে রাসূল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি দিনে ১২ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজ পড়ে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাতে হবে। ১২ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদার মধ্যে যে নামাজ গুলো হয় তা হল;
যোহরের ফরজ নামাজের আগে চার রাকাত পড়তে হবে এবং পরে দুই রাকাত মাগরিবের পরে দুই রাকাত পড়া লাগে, এশার পরে দুই রাকাত এবং ফজরের আগে দুই রাকাত। তিরমিজি শরিফঃ ৪১৪। উপরোক্ত এই সুন্নত গুলো অবশ্যই একজন মুসলমান হিসেবে পড়তে হবে। কেননা রাসূল সাঃ এ গুলো পড়তেন এবং গুরুত্ব দিয়েছেন।
যে কোন নামাজের ক্ষেত্রে অবহেলা করবেন না, কেননা কেউ যদি নামাজের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়ে, তাহলে আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্য শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন তাদের জন্য দুঃখ হয়, যারা নামাজের ব্যাপারে উদাসীন থাকে। সূরা মাউন,আয়াতঃ ৫
শেষ কথাঃ এশার নামাজ কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হয় জেনে নিন
পরিশেষে বলা যায় যে এশার নামাজ সম্পর্কে অনেকেই ভালো ভাবে জানেনা, তাই এশার নামাজ কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হয়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি বুঝতে পারবেন। এই নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলত রয়েছে। তাই চেষ্টা করবেন জামাতের সাথে নামাজ পড়া। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url