গর্ভাবস্থায় কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন

অনেক গর্ভবতী বিভিন্ন ধরনের সবজির উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চায়, তাই গর্ভাবস্থায় কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কচুর মুখি গর্ভবতীর জন্য কি উপকার করে সে সম্পর্কে জানা যাক।
ছবি
গর্ভবতীর গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের সবজির মাঝে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি থাকে এগুলো খেতে পারেন। তাই গর্ভাবস্থায় কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় কচুর মুখি খেলে কি উপকার হয়? জেনে নিন

গর্ভাবস্থায় কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা

কচুর মুখির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং উপকারিতা থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কেননা একজন গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয়, নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। চলুন জেনে নেওয়া যাক,

গর্ভস্থ শিশুর সঠিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। একজন গর্ভবতীর মায়ের সুষম খাবার খেতে হবে। তাহলেই একজন গর্ভস্থ শিশুর দেহের ও মস্তিষ্কের সুস্থ গঠন হবে। কারণ এই শিশুটির উপরে নির্ভরশীল হয়ে থাকে। তাই গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টির উপাদান গুলো আপনার শরীর থেকেই গ্রহণ করবে। এজন্য গর্ভাবস্থায় খাদ্য তালিকায় আপনি প্রচুর মুখী রাখতে পারেন। কারণ এর মাঝে প্রচুর পরিবারে পুষ্টি রয়েছে।

পটাশিয়ামের অভাব দূর করবেঃ একজন গর্ভবতী মায়ের এই সময় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামের প্রয়োজন হয়। কেননা গর্ভাবস্থায় সাধারণত পায়ে টান লাগে খিচুনি এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। এজন্য শরীরে পটাশিয়ামের অভাব দেখা দিলে, এই সকল সমস্যাগুলো দেখা যায়।

একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে প্রতিদিন ৪৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়ামের প্রয়োজন হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম কচুর মুখিতে ৪৮৪ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পাওয়া যায়। তাই একজন গর্ভবতী কচুর মুখী খেতে পারেন তাহলে পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত গর্ভবতীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কেননা এই সময় যদি উচ্চ রক্তচাপ চাপের সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে খিচুনি বা একলামশিয়া হতে পারে।
তাই এ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কচুর মুখী আপনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর মাঝে থাকে পটাশিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই আপনি এই পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কচুর মুখী খেতে পারেন।

শিশুর জন্মগত ত্রুটি হবে নাঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত চিকিৎসকরা সুষম খাবার খেতে বলে। সুষম খাবার গুলোর মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ফলিক এসিড এটা এমন একটি ভিটামিন যা গর্ভস্থ শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্ট এবং শিশুর যাবতীয় জন্মদিন থেকে রক্ষা করবে।

গর্ভস্থ শিশুর যাবতীয় জন্মগত ত্রুটির জন্য গর্ভাবস্থায় একমাস আগে থেকেই ডাক্তাররা প্রতিদিন ৪০০ মাইক্রো গ্রাম ফলিক অ্যাসিড খেতে বলে। ভিটামিন বি৯ গ্রুপের এই ভিটামিন টি প্রতি ১০০ গ্রাম কচুর মুখের মধ্যে ১৯ মাইক্রগ্রাম ফলিক এসিড থাকে। যা আপনার গর্ভাবস্থায় প্রতিদিনের চাহিদার ৪.৭৫ গ্রাম পূরণ করবে।

শিশুর ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যঃ গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা সাধারণত শিশুর সুন্দর ফুটফুটে চেহারা আশাবাদী করে থাকে। এক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় মায়ের করনীয় হল ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভিটামিন ই শুধু শিশুর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে না, আপনার গর্ভাবস্থার কারণে চুল পড়ে যাওয়া চুল পুনরুদ্ধার করবে। ১০০ গ্রাম কচুর মুখির মধ্যে ২.৩৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই থাকে তাই আপনি প্রতিদিন এটা গ্রহণ করতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ একজন গর্ভবতী মায়ের সাধারণত এই সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা যায়। এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আশ যুক্ত খাবার খাওয়া লাগবে। তাহলে এই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে, কচুর মুখের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ আছে যা আপনার খাদ্য তালিকায় এটা রাখতে পারেন। প্রতি ১০০ গ্রাম কচুর মুখির মধ্যে ৪.১ গ্রাম খাদ্য আশ থাকে, তা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে, জন্য কচুর মুখি নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন।

তবে একজন গর্ভবতী অধিক পরিমাণে প্রচুর মুখে খাওয়া যাবে না। কেননা পেট ফাঁপা দিতে পারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না, অল্প পরিমাণে খেলে শরীরে অত্যন্ত উপকার পাওয়া যাবে।

কচুর মুখির পুষ্টিগুণ

কচুর মুখি অনেকে খেতে পছন্দ করে থাকে, কেননা কচুর মুখির পুষ্টিগুণ আছে যা আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ করে থাকে। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানা যাক।

কচুর মুখি পুষ্টি পূরণ করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এ সম্পর্কে পুষ্টিবিদরা বলে বলেছেন ১০০ গ্রাম কচুর মুখিতে ২৬৬ ক্যালরি রয়েছে, তাছাড়া এর মধ্যে আমিষ আছে ১.8 গ্রাম শর্করা থাকে, ৩২.৪ গ্রাম ক্যালসিয়াম ২২ মিলিগ্রাম আছে।

কচুর মুখির মধ্যে প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিন থাকে এছাড়াও খনিজ পদার্থ আছে। তাছাড়াও কচুর মুখির আরো বহু গুণ রয়েছে। চলুন বিস্তারিত ভাবে জানা যাক।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ কচুর মুখির মধ্যে ফাইবার রয়েছে যা খাদ্য হজম এর ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে। এই খাদ্যটি খাওয়ার পরে দীর্ঘ সময় খিদে লাগে না, যার কারণে খাদ্য হজম করতে সাহায্য করবে।

পাকস্থলী পরিষ্কার করেঃ কচুর মুখির মধ্যে আঁশ থাকার কারণে তা হজম প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে। এজন্য পাকস্থলীকে পরিচ্ছন্নতা রাখতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

হৃদ স্বাস্থ্যের জন্য ভালোঃ এটি হৃদপিন্ডের রক্তনালীকে সচল রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করে ১৯ শতাংশ পূরণ করে থাকে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকেঃ কচুর মুখির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, এক কাপ কচুর মুখির শরীরের ভিটামিন সি এর চাহিদা ১১ শতাংশ পূরণ করবে। এছাড়াও এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।

তারুণ্য ধরে রাখেঃ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে, এছাড়াও ভিটামিন এ, বি, সি কপার, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন আরো অনেক ধরনের উপাদান থাকে। যা আমাদের প্রতিদিনের কোষের সুরক্ষা রাখবে এবং তারণ্যকে ধরে রাখবে।

ওজন কমাতে কচুর মুখি

আপনার যদি ওজন বেশি হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে কচুর মুখী খেতে পারেন। কারণ ওজন কমাতে কচুর মুখি ভালো কাজ করে থাকে। চলুন, নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
ছবি
কচুর মুখি এনার্জি ধরে রাখবে এবং ক্লান্তি দূর করবে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য একটি ভাল খাবার হচ্ছে কচুর মুখি। এর মধ্যে ক্যালোরি কম থাকে এরমধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রকে ভালোর উপকার করে থাকবে।

এটা দীর্ঘক্ষন পেট ভরা থাকে যার কারণে অন্য কোন খাবার খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ থাকে না, এজন্য ওজন কমতে সাহায্য করবে। এজন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হওয়ার কারণে পাকস্থলীর বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে কচুর মুখি।
কচুর মুখির মধ্যে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কম থাকে, যা আমাদের ধমনী শক্ত যদি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করতে পারবে।

তাই নিশ্চিন্তেই কচুর মুখী খাওয়া যেতে পারে, দৈনিক ভিটামিন ডি গ্রহণের মাত্রা ১৯ শতাংশ পূরণ করবে। তাই এক কাপ কচুর মুখির যদি আপনি দৈনিক খেতে পারেন, তাহলে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাবে।

এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে কম চর্বিযুক্ত ও কম সোডিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাই এক কাপ কচুর মুখির মধ্যে থাকে ২০ গ্রাম সোডিয়াম ও ০.১ গ্রাম ফ্যাট যা হাইপারটেনশনের রোগীর জন্য ভালো কাজ করবে। এছাড়াও কিডনি রোগীদের জন্য খুবই উপকার কেননা তাদেরকে সোডিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়।

ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস। এছাড়াও এর মাঝে আরও বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো এসিড এবং ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ অয়েল থাকে। যা আমাদের ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং কার্ডিওভাসকুলার এছাড়া অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় কচুর মুখি

যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা কচুর মুখি খেতে পারেন, কারণ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় কচুর মুখি। তাই কচুর মুখির মধ্যে কি পুষ্টি উপাদান আছে সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক। এটা কিভাবে হার্টের ঝুঁকি কমাবে সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কচুর মুখি শক্তি ধরে রাখবে ক্লান্তি দূর করে এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকার কারণে অ্যাথলেটদের ভালো উপকার করে থাকে। তাই নিয়মিতভাবে কচুর মুখি খাওয়া যেতে পারে।

যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা কচুর মুখি খেতে পারেন, কারণ এর মাঝে কম ক্যালরি থাকার কারণে ওজন বৃদ্ধি পায় না।

এই কচুর মুখির মধ্যে ফাইবার থাকে যা পরিপাক এর ক্ষেত্রে ভালো কাজ করবে, পেট ভরা থাকে এজন্য পাচন প্রক্রিয়ায় ভালো কাজ করে।

ফাইবার হওয়ার কারণে পরিপাক প্রক্রিয়ায় কাজ করে পাশাপাশি পাকস্থলীর বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনেও সাহায্য করে থাকে।

কচুর মুখির মধ্যে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কম থাকার কারণে ধমনী রক্ত শক্ত হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে পারবে। এজন্য হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কম থাকে, রক্ত চলাচল দ্রুত করতে পারে। রক্ত চলাচল কোথাও বাধা প্রাপ্ত হয় না। তাই নিয়মিতভাবে খেতে পারেন, দৈনিক খাওয়ার কারণে এর ভিতরে ভিটামিন ডি ১৯ শতাংশ পূরণ করবে। তাই এক কাপ কচুর মুখি খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যাবে।

উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের ক্ষেত্রে কম চর্বিযুক্ত ও কম সোডিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় তাহলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি থাকে। স্ট্রোক করার সম্ভাবনা বেশি থাকে আর এই ঝুঁকি কমানোর জন্য আপনাকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। 

এজন্য কচুর মুখি খাওয়া যেতে পারে কারণ এর মাঝে সোডিয়াম ও চর্বি কম থাকে অর্থাৎ ২০ গ্রাম সোডিয়াম ও ০.১ গ্রাম ফ্যাট থাকে। যার কারণে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য খাবারটি খুবই ভালো হবে। এছাড়াও কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করবে।

ভিটামিন সি এর ক্ষেত্রে ভালো উপকার করে থাকে, দৈনিক যদি এক কাপ কচুর মুখি খেতে পারেন। এতে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে ১১ শতাংশ। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দেবে। এছাড়াও এই ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

কচুর মুখির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে, তার মধ্যে যেমন ভিটামিন জিংক, ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম ইত্যাদি থাকে। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির উপাদান গুলো পূরণ করে থাকে।

এছাড়া এর মাঝে এন্টিএক্সিডেন্ট থাকে যা প্রতিরোধ ক্ষমতার বিরুদ্ধে কাজ করবে। এছাড়াও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাবে, এর মাঝে প্রোটিন থাকে যা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে।

ওলকচু উপকারিতা

ওলকচু অনেকেই পছন্দ করে আবার অনেকে পছন্দ করে না কিন্তু এর অনেক উপকার আছে। তাই ওলকচু উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
ছবি
ওলকচু এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকার। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকার করে থাকে। কারণ এর মাঝে অ্যালেন্টাইন নামক পুষ্টি উপাদান থাকে, গবেষণায় দেখা গেছে অ্যালেন্টাইনের মধ্যে এন্টিবায়োটিক প্রভাব থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকার করবে।

এটি লিপিড প্রোফাইল উন্নত করার পাশাপাশি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের সহায়তা করবে। এছাড়াও এর মধ্যে উচ্চমাত্রায় ফাইবার থাকে।

এই ধরনের খাদ্য তালিকা ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই ওল কচু খাওয়া যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে এর মধ্যে উপস্থিতি এই অ্যালেন্টাইন নামক উপাদানটি ক্যান্সার প্রতিরোধের সাহায্য করে।
তাছাড়াও এর মধ্যে আর্গিননাইন যৌগ থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং ক্যান্সারের প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও ওলকচু খাওয়া যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে অ্যান্টি ওবিসিটি প্রভাব থাকার কারণে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

এতে শরীরের মেদ ঝরে ফেলবে তাছাড়া এর মাঝে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। যা দীর্ঘ সময় পেটে খিদা লাগতে দেয় না এজন্য ওজন কমতে সাহায্য করবে। এন্টি ইনফ্লেমেটরি থাকার কারণে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে থাকে, এছাড়া কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে।

তাছাড়া হঠাৎ করে গরম লাগা, ঘুম না আসা অদ্ভুত আচরণ করা এই ধরনের সমস্যাগুলো থেকেও এটা উপকার করে থাকে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে ওল কচুর নির্যাস এর ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন ধরনের উপকার হতে পারে।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন পুষ্টির প্রয়োজন হয়। এজন্য তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এই পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম কচুর মুখী তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। এতে গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই পরিমাণ মতো নিয়মিতভাবে প্রচুর মুখী খেলে আপনার আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এর চাহিদা মিটে যাবে।

তাই গর্ভাবস্থায় কচুর মুখি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪