কোমর ব্যথা কি কিডনি রোগের লক্ষণ ও কিডনি ব্যথা বোঝার উপায়

অধিকাংশ মানুষের বিভিন্ন কারণে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে, তাই কোমর ব্যথা কি কিডনি রোগের লক্ষণ? সম্পর্কে জানতে চায়। আসলে কি জন্য কোমর ব্যথা হচ্ছে সেটা জানা প্রয়োজন। চলুন, তাহলে কোমর ব্যথা হলে কিডনি নষ্ট হবে কিনা সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অল্প বয়স থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত অনেকেরই কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। এর পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তাই কোমর ব্যথা হলে যে কিডনি নষ্ট হবে এটা ভুল ধারণা। তাই কোমর ব্যথা কি কিডনি রোগের লক্ষণ? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃকোমর ব্যথা কি কিডনি রোগের লক্ষণ ও কিডনি ব্যথা বোঝার উপায়

কোমর ব্যথা কি কিডনি রোগের লক্ষণ

প্রায় সব মানুষেরই এক সময় কোমর ব্যথা হয়ে থাকে, তাই কোমর ব্যথা কি কিডনি রোগের লক্ষণ? এটা অনেকেই জানতে চায়। কোমর ব্যথা হলেই যে কিডনির সমস্যা দেখা দেবে তা কিন্তু নয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আমরা অনেকেই মনে করি যে কোমরে ব্যথা হলেই কিডনির সমস্যা হয়েছে। আমাদের কিডনি সাধারণত মেরু দন্ডের নিচের দিকে দুই পাশে অবস্থিত। তাই অবস্থানগত কারণেই মানুষের মধ্যে কোমরের ব্যথা সঙ্গে কিডনির কোন সম্পর্ক রয়েছে, এরকম একটা মানুষ মনে করে থাকে কিন্তু কোমরে ব্যথার যত কারণ আছে তার ভিতরে কিডনির সমস্যা খুবই কম হয়ে থাকে।

কখনো কখনো কিডনিতে সংক্রমণ বা পাথর হলে মেরুদন্ডের নিচের দুই পাশে ব্যথা হতে পারে কিন্তু তার শরীরে জ্বর প্রসবের, জ্বালাপোড়া এই ধরনের উপসর্গ থাকে। কিডনি বিকল জনিত বেশিরভাগ সমস্যা কোমরে ব্যথা হয় না।

অনেকের কোমর ব্যথা হয় না বরং আঘাত জনিত কারণ অতিমাত্রায় পরিশ্রম বা ভারী জিনিস উত্তোলন, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, গাড়ি চালানোর মত যারা কাজ করে থাকেন, তাদের কোমর ব্যথার বেশি উপসর্গগুলো দেখা যায়। আবার মেরুদন্ডের নানা সমস্যার কারণে যেমন স্পন্ডালাইটিস বয়স জনিত ব্যথা এ ধরনের সমস্যার কারণে কোমর ব্যাথা হতে পারে।

কিছু মারাত্মক রোগ যেমন মেরুদন্ডের টিভি হারের ক্যান্সার কোমরে ব্যথা এ কারণেও হতে পারে। মাংসপেশির সমস্যার কারণে অনেক সময় কোমর ব্যথা হয়। ইদানিং ওজন বৃদ্ধির সমস্যা ও এর কারণে এটা হতে পারে, অতিরিক্ত ওজন হলে কোন রোগ ছাড়া কোমরে ব্যথা নিয়ে হাজির হবে।

অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে শরীরে নানা জায়গায় ব্যথা হয়ে থাকে। তবে সাধারণত পুরুষদের তুলনায় নারীদের কবরের ব্যথা বেশি দেখা যায়। বেশি হয়ে থাকে কারণ যাই হোক না কেন এই বিষয়ে ঘাবড়ে যাওয়া যাবে না। কোমরে ব্যথা মানেই যে কিডনি নষ্ট হবে তা কিন্তু নয়, বলা যায় যে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ যে কোন সময় কোমরে ব্যথা আক্রান্ত হয়ে থাকে।

আর এই ধরনের কোমরে ব্যথার পিছনে তেমন জটিলতা কারণ নাই। এগুলো সাধারণত মেকানিক্যাল ব্যাক পেইন বলা হয়ে থাকে জীবনযাত্রা কিছু পরিবর্তন আনলে সাধারণ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে পারলে বেদনাশক ওষুধ খেলেও মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কখনো কখনো কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম করা লাগতে পারে বিশেষ করে যেসব ব্যথার সঙ্গে জড় ওজন হ্রাস মারাত্মক ব্যথার কারণে নিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটে। কোমরের ব্যথা পায়ের নিচে দিকে সরিয়ে পড়ে, বিশেষ করে যেসব ব্যথার সঙ্গে জ্বর ওজন হ্রাস মারাত্মক ব্যথার কারণে, সাপ্তাহিক কাজকর্ম বা নিদ্রায় সমস্যা হয়।

কোমরের ব্যথার কারণে পায়ের নিচে দিকে ছাড়িয়ে বা প্রসাব পায়খানা নিয়ন্ত্রনে সমস্যা পায় অবশ্ লাগা ব্যথা-নাশক ব্যথার অবসান না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পরীক্ষা নিরীক্ষায় না করে যদি আপনি ব্যথা না শোকর ওষুধ খেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার শরীরে ক্ষতি হবে তাই আপনি আপনার এই ব্যথার জন্য।

একজন চিকিৎসকের পড়া পরামর্শেক্রমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আপনার কি রোগ হয়েছে তারপর ভিত্তি করে ওষুধ খাবেন। তাহলে সুস্থ হয়ে যাবেন অনেকেই কচুর পরিমাণে ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকে যা পরবর্তীতে কিন্তু সমস্যা দেখা দেয়। মনে রাখবেন কোমরে ব্যথা কিডনি রোগের কারণে না হলেও ব্যথার ওষুধ থেকে কিন্তু কিডনি রোগ হবে।

কোমর ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে তার মধ্যে যেমন মাংস পেশি মেরুদন্ডের হাড় সন্ধি ও ইসলামী সম্পর্কিত সমস্যা থাকতে পারে। নির্দিষ্ট অংশ জুড়ে হয় মেরুদন্ডের নড়াচড়া, চলাফেরা করা বা দাঁড়ানোর অনেকক্ষণ ধরে কাজ করা বা শুয়ে থাকা এগুলো কারণে ব্যথা বাড়ে অথবা কমতে পারে এছাড়াও সাধারণত জ্বর হবে না, তবে টিউমার এবং টিবি রোগ বাদে দুর্বলতা রক্তশূন্যতা দূর করা উচিত। 

অরুচি বমির ভাব আনুষঙ্গিক সমস্যার সাধারণত অনেকগুলো দেখা যায় না। সাধারণত বিশ্রাম সর্বশেষে অনেক ভালো হবে। তবে বন্ধ করলে ব্যথা আবার ফিরে যায়, কোমর ব্যথা কখনো চিকিৎসার রোগীর বয়স দশ বছরের নিচে এবং ৫১ বছরের উপরে হলে হঠাৎ অস্বাভাবিক ওজন কমে যেতে পারে। কোমরে ব্যথার ওষুধ সেবন করার পরও যদি না কমে তাহলে প্রসাব পায়খানা ধরে রাখতে না পারলে কষ্ট হবে। 

এবং ওষুধ সেবন করার পরেও যদি না কমে সে ক্ষেত্রে প্রসাব পায়খানা ধরে রাখতে না পারলে বা কষ্ট হলে কোমরের ব্যথা পায়ে চলে পায়ে। গেলে এবং তা ঝিনঝিন ভারি অবশ্যই অবশ মনে হতে পারে জ্বালাপোড়া ও পা দূর্বলতা অনুভব করতে পারে রাতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

কিডনি ব্যথা বোঝার উপায়

অনেকে মনে করে কোমর ব্যথার কারণে কিডনির সমস্যা হয়। তাই কিডনি ব্যথা বোঝার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন ধরনের ব্যথা কিডনির সমস্যা হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কিডনি সংক্রমণ হলে যাকে রেনাল ইনফেকশন বলা হয়। সাধারণত এই সমস্যা তখনই দেখা যায়, যখন মুত্রাশয় থেকে ব্যাকটেরিয়া কিডনিতে চলে যায়। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এটা প্রাথমিক অবস্থা সাধারণ লক্ষণ গুলোর মধ্যে যেমন দেখা যায়। জ্বর, প্রসাবের অসুবিধা, পিঠের নিচের দিকে অস্বস্তির এবং প্রসাবের সময় ব্যথা হয়ে থাকে। কিডনির সংক্রমণের চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা যেতে পারে।

সাধারণত লোকজন কিডনি সংক্রমনের ব্যথার সাথে পিঠের ব্যথা মিশ্রিত করে ফেলে। এটা আসলে কিডনি ব্যথা কিনা সেটা নির্ধারণ করতে হবে। এক পাশে এবং নিচের দিকে কোমলতা অস্বস্তি পরীক্ষা করা এগুলো দরকার। কখনো কখনো ব্যথা কিডনি থেকে উদ্ভব হতে পারে। তবে অন্যান্য অঞ্চলে এটা অনুভূত নাও দেখা দিতে পারে। উপরোক্ত ব্যথা ধারালো এবং আকস্মিক থেকে নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে।

কিডনি ব্যথা একটু সাধারন উপসর্গ যা শরীরের পিছনে পাঁজরের নিচে মেরুদন্ডের উভয় পাশে তীক্ষ্ণ ব্যথা হিসেবে দেখা যায়। কিডনিতে পাথর কিডনি সংক্রমণ বা কিডনিকে প্রভাবিত করে এমন কোন সমস্যা অন্যান্য সমস্যা সহ রেনাল জটিলতার কারণেই হয়ে থাকে।

কিডনির পাথর কিডনিতে শক্ত এবং লবণ জমা হয়, যা মুত্র নালীর মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় তীব্র ব্যথা এবং অস্বস্তিকর লাগতে পারে।

কিডনি সংক্রমণ বা পাইলনেফ্রাইটিস যখন ব্যাকটেরিয়া কিডনি আক্রমণ করে এর ফলে প্রদাহর জ্বর ঘন ঘন প্রসাবের মতো দেখা যায়।

কিডনি সংক্রমণ হলে কঁচকিতে ব্যথা হয়, যা শরীরে অন্যান্য অংশ ছড়িয়ে যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে পুরুষদের অন্ডকোষে ব্যথা অনুভব হতে পারে।

রেনাল অস্বস্তি কমাতে বা প্রতিরোধ করার জন্য কিছু ব্যবস্থা করা যেতে পারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা লাগবে। হাইড্রেট থাকা অপরিহার্য টক্সিন বের করে দিবে এবং কিডনিতে পাথরের গঠন প্রতিরোধ করবে।

একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য বজায় রাখা যাতে লবণ কম খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ফল ও সবজি বেশি থাকে এমন ধরনের খাবার খাওয়া যেতে পারে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করার জন্য এবং প্রদাহ কমাতে এন্টিবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে।

সাধারণত একটি কিডনির সংক্রমণ থেকে ব্যথা পাঁজরের খাঁচার নিচের অংশে মেরুদন্ডের বিপরীতে এই ব্যথা অনুভূত হবে। সংক্রমণের তীব্রতার উপর নির্ভর করবে, একপাশে বা উভয় পাশে ব্যথা হতে পারে আর এই ব্যথা অনেক দিকে ছড়িয়ে যেতে পারে যেমন পেট, উরু, কূচকি।

কিডনি মেরুদন্ডের উভয় পাশে পাঁজরের খাঁচার নিচে অবস্থান করে এবং পিছনের পেশিগুলোর সংস্পর্শ রয়েছে। এই কিডনি ব্যথা এবং পিঠের ব্যথার মধ্যে পার্থক্য করা খুবই কঠিন। কিডনির ব্যথা পাজরের খাঁচার নিচের ঠিক নিচে পিঠের এক বা উভয় পাশে প্রকাশ পায়। কিডনি ব্যথার সম্ভাব্য কারণ এর মধ্যে হল ইউটিআই কিডনিতে পাথর এবং কিডনিতে আঘাত লাগতে পারে।

কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ কি

অনেকের কোমরের ব্যথা হয়ে থাকে, কি কারনে হয়ে থাকে হয়তো জানে না। তাই কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ কি? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

তীব্র কোমর ব্যথাঃ এই ব্যথা সাধারণত হঠাৎ করে হয়ে থাকে এবং কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহ এই ব্যথা চলতে থাকে।

দীর্ঘস্থায়ী কোমর ব্যথাঃ অনেকের দীর্ঘদিন যাবত কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে, এই ব্যথা সাধারণত তিন মাসেরও বেশি সময় থাকতে পারে তবে বিভিন্ন কারণ অনুযায়ী হতে পারে।

পেশিতে আঘাতঃ এটা কোমর ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ একটি সমস্যা হঠাৎ করেই বাঁকানো, মোচড়ানো বা ভারী বস্তু উত্তোলনের জন্য এরকম হতে পারে হয়ে থাকে।

অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থাঃ কোমর ব্যাথার বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা কারণে এই লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে। যেমন দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথা সিনড্রোম, মূত্রনালীর সংক্রমণ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হতে পারে।

অস্ত্রোপচারমূলক কোমর ব্যথাঃ এই ধরনের ব্যথা যা অস্ত্র প্রচারের ফলে হয়ে থাকে বিভিন্ন অপারেশনের কারণেও কোমর ব্যাথা হয় যেমন সিজারের কারণে কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে।

জন্মগত কোমর ব্যথাঃ এই ধরনের কোমর ব্যথাগুলো যা জন্মগত ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে বা বংশগত কারণেও অনেকের হয়ে থাকে।
প্রদাহজনক কোমর ব্যথাঃ এই ধরনের কোমর ব্যথা গুলো সাধারণত বিভিন্ন ব্যাথার কারণে হয়ে থাকে। এই ব্যথার নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এতে সঠিক চিকিৎসা নিলে সুস্থ হয়ে যাবেন।

যেভাবে এই কোমরের ব্যথা প্রতিরোধ করবেনঃ যদি অতিরিক্ত ওজন হয় এর কারণে মেরুদন্ডের উপর চাপ পড়ে এতে কোমর ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও সঠিক ভঙ্গিতে বজায় রাখবেন, হাঁটার সময় বসে থাকার সময় ভারী বস্তু উত্তোলনের সময় সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখার চেষ্টা করবেন। নিয়মিত ব্যায়াম করা লাগবে মেরুদন্ডের উপর বেশি গুলোকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যায়াম করা যেতে পারে।

ভারী বস্তু উত্তোলন করার সময় আপনার কোমর বা পিঠের পরিবর্তে আপনার পায়ে শক্তি ব্যবহার করতে পারেন। আপনার চেয়ে আর বিছানা বা অন্যান্য আসবাবপত্রগুলো আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা সেটা নিশ্চিত করা লাগবে।

এছাড়া আপনি চেষ্টা করবেন কোমরের দুই পাশে ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার করার জন্য কোমরে ব্যথা সময় অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে, ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন খাবেন।

যেখানে আপনি ব্যথা পাবেন সেই জায়গায় ঠান্ডা সে দেওয়া যেতে পারে সেঁক দেওয়া যেতে পারে। এতে প্রদাহ অনেকটাই কমে যাবে এবং গরম সেঁক শিথিল করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও কোমরের ব্যথা তীব্রতা কমাতে গেলে স্ট্রেসিং করা যেতে পারে।

এতে মেরুদন্ডের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করবেন নমনীয়তা বাড়াতে সাহায্য করবে। যদি আপনার কোমরের ব্যথা দুই পাশে হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া লাগবে। ডাক্তার আপনার এই ব্যথা নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দিবে।

কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ

অনেকে কোমর ব্যথা কি মনে করে কিডনির ব্যথা কিন্তু কিডনির ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। তাই কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

কিডনি রোগ খুবই নীরবে শরীরের ক্ষতি করে থাকে খুব জটিল একটা অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় না। তাই কি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো আগে থেকেই জেনে রাখতে হবে। যদি আপনি এই বিষয়গুলো জানতে পারেন, তাহলে আগে থেকে চিকিৎসা নিলে সুস্থ থাকতে পারবেন। চলুন, কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

প্রসাবের পরিবর্তনঃ কিডনি নষ্ট হওয়ার সবচেয়ে বড় লক্ষণ হলো প্রসাবের পরিবর্তন দেখা দিবে। কেন্দ্রীয় সমস্যা হলে প্রসাব বেশি বা কম হতে পারে বা বিশেষ করে রাতে এই সমস্যা দেখা দেয়। প্রসাবের রং গাড় হবে অনেক সময় প্রসাবের বেগ অনুভব হলেও প্রসব হবে না।

প্রসাবের সময় ব্যথাঃ প্রসাবের সময় সাধারণত কিডনি যদি সমস্যা হয়, তাহলে অনেক ব্যথা করবে। প্রসাবের সময় ব্যথা ও জ্বালাপোড়া এইগুলো ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের কারণ। যখন এটি কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে তখন জ্বর আসে এবং পিঠের নিচে ব্যথা করবে।

প্রসাবের সাথে রক্ত যাওয়াঃ প্রসাবের সাথে রক্ত গেলে খুবই ঝুঁকির একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। এমন হলো দ্রুত চিকিৎসক নিতে হবে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ যা আপনার বিপদের সম্মুখীন হবে।

দেহের ফোলা ভাবঃ কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং বাড়তি পানি বের করে দেবে। এটাই তার কাজ কিডনিতে রোগ যদি ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে পানি বের করতে পারে না। আর এই বাড়তি পানিগুলো শরীরে রক্তের সাথে মিশে ফোলা ভাব তৈরি করতে পারে।

মনোযোগ দিতে অসুবিধাঃ লোহিত রক্তকণিকা কমে যায়, এ কারণে মস্তিষ্কের অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে না। যার কারণে মনোযোগে অসুবিধা হয়ে থাকে।

সব সময় শীত অনুভব করাঃ কিডনি রোগীরা সাধারণত গরম আবহাওয়ার মধ্যেও তার শীত লাগে আর কিডনিতে সংক্রমণ হলে জ্বর এসে থাকে।

ত্বকে র‍্যাশ হওয়াঃ কিডনি অকার্য হয়ে গেলে রক্তে বর্জ্য পদার্থ বেড়ে যায়, এর কারণে ত্বকে চুলকানি উঠতে পারে।

বমি বমি ভাবঃ কিডনি রোগীদের সাধারণত রক্তের বর্জ্য পদার্থগুলো বের হয়ে যাওয়ায় কিডনি রোগীদের বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ছোট ছোট শ্বাস নেওয়াঃ কিডনি রোগে ফুসফুস তরল পদার্থ জমা হয়ে থাকে, এছাড়াও কিডনি রোগে শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা যায়। এসব কারণে এ কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় অনেকে ছোট ছোট শ্বাস নিতে থাকে।

পিছনে ব্যথাঃ কিছু কিছু কিডনি রোগে শরীরে ব্যথা হয়ে থাকে পিঠের পাশে নিচের দিকে সাধারণত ব্যথাগুলো হয়ে থাকে। এটি একটি কিডনি রোগের অন্যতম লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়।

অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ

অনেক শিশুদের সাধারণত কোমর ব্যথা হয়ে থাকে, তাই অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ সম্পর্কে অভিভাবকের জানা প্রয়োজন। চলুন কি কারনেই শিশুদের এই ব্যথা হয়ে থাকে। এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক,

জীবনের সবারই কোনো না কোনো সময় কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে, তাই এটা বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। তবে এই কোমর ব্যথা সাধারণত অল্প বয়স থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত অনেকের হয়ে থাকে। চলুন, অল্প বয়সে কেন এই কোমর ব্যথা হয় সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। বেশিরভাগ কোমর ব্যথাগুলো প্রকৃতপক্ষেের কারণ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

প্রয়োজনীয় ওষুধ আর ব্যায়ামের মাধ্যমে কোমর ব্যথা আক্রান্ত রোগী সাধারণত তিন মাসের মধ্যে সুস্থ হবে কিন্তু এর চেয়েও যদি বেশি সময় ধরেই কোমর ব্যথা থাকে। তাহলে বিষয়টা নিয়ে ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে তাছাড়া প্রায়ই যদি আপনার এই কোমর ব্যাথা হয়। তাহলে এটা একটা বিপদের সংকেত দিয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যদি এই বিপদের মাত্রা আরো বেড়ে যেতে থাকে। তাহলে অসুখের কবলে আপনি অল্প বয়সেই এই বড় ধরনের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে। অল্প বয়সে কোমর ব্যথা সাধারণত হওয়ার সমস্যাকে চিকিৎসা শাস্ত্র বলা হয়ে থাকে। এঙ্কাইলোজিং স্পনলাইটের এটা এমন এক ধরনের রোগ যা আক্রান্ত হলে আপনি কম বয়সী কোমর ব্যথায় ভুগতে থাকবেন।

এই ধরনের রোগের সাধারণত ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে লোকজন আক্রান্ত হয়ে থাকে। এদিকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে পুরুষ ও নারীর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৩:১ যা থেকে বোঝা যায়। যে নারীর চেয়ে পুরুষের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি আক্রান্ত হলে।
এর আগে আক্রান্ত হলে মূলত রোগীর মেরুদন্ড বেশি আক্রান্ত হবে, কোমর ব্যথা এই রোগের প্রধান উপসর্গ কোমরের সঙ্গে ব্যথা থাকে। হাত পায়ের গিরা পোড়ালে রোগ অথবা রোগ হাড়ের সংস্থলেও এই ধরনের ব্যথা হয়ে থাকে।

শরীরের এমন ব্যথা হলে সাধারণত হয়ে থাকে সাধারণত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে এই ব্যথাগুলো হয়। এরপরে রোগী ধীরে ধীরে দিনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের সঙ্গে সে নিজেকে যুক্ত করার পর ব্যথাটা অনেকটাই কমে যায়।

ব্যথার তীব্রতা অনেক সময় এত বেশি হয় যে রাতে ঘুমের রোগীর ঘুমের ওষুধ খাওয়া লাগতে পারে অথবা ঘুম ভেঙে গেলে অনেক কষ্ট হয়ে থাকে। রোগীর ব্যথার স্থানে জড়তা অনুভব হয়ে থাকে এবং ব্যথাযুক্ত স্থানে নাড়াতে পারে না।

পারিবারিক কারণে এ রোগে অনেকে আক্রান্ত হয়ে থাকে, এটা নির্ণয় করার জন্য এক্স-রে বা এমআরআই টেস্টের মাধ্যমে রোগটা নির্ণয় করা যাবে। ব্যায়াম ব্যথা নাশক এবং বাতের সুনির্দিষ্ট কিছু ঔষধ এর রোগে ব্যবহার করা হয়।

সঠিক সময়ে যদি না নিতে পারেন, তাহলে ব্যথার বেড়ে গেলে বিপদ হবে। মেরুদন্ড শক্ত হয়ে যাবে এবং জয়েন্ট আকার্য হয়ে যেতে পারে। তাই অল্প বয়সে কোমর ব্যথা তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদি হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নেবেন।

শেষ কথাঃ কোমর ব্যথা কি কিডনি রোগের লক্ষণ ও কিডনি ব্যথা বোঝার উপায়

পরিশেষে বলা যায় যে কোমর ব্যথা হলেই যে আপনার কিডনি নষ্ট হবে তা কিন্তু নয়। তাই আপনাকে আগে থেকেই জানতে হবে যে কোনটা কিডনির ব্যথা এবং কোনটা কোমর ব্যথা তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন। তাই কোমর ব্যথা কি কিডনি রোগের লক্ষণ? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪