নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানুন

অনেকের নাক দিয়ে রক্ত পড়লে টেনশনে পড়ে যায়। তাই নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চায়, আসলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ জানা প্রয়োজন। চলুন, নাক দিয়ে কেন রক্ত পড়ে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অল্প বয়স থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত অনেকেরই হঠাৎ করে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। আসলে কি কারনে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে এটা হয়তো অনেকেই জানে না। তাই নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃনাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানুন

নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার কারণ

অধিকাংশ মানুষের বিভিন্ন সময়ে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। তাই নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার কারণ সম্পর্কে তেমন জানা যায় না। তবু কিছু লক্ষণ বোঝা যায়, চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণে অনেকে মনে করে এটা এক ধরনের রোগ কিন্তু বিভিন্ন রোগের এটা কারণ ও লক্ষণ হতে পারে। নাক কান গলা ছাড়াও শরীরের অন্য অনেক রোগের কারণ এই নাক দিয়ে রক্ত পড়ে থাকে। যেকোনো বয়সী এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এটি নাকের এক পাশ দিয়ে অথবা উভয়ের পাশ দিয়ে রক্ত বের হয়ে থাকে।

নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা এই সমস্যাটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ সমস্যার হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এতে জটিল রোগের উপসর্গ হতে পারে।
তখন একে মেডিকেল ইমারজেন্সি হিসেবে নেওয়া হয়। সাধারণত শতাংশ মানুষ জীবনের কোন না কোন সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা দেখা যায়। কি কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে সে সম্পর্কে জানা যাক।
  • অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।
  • অনেকের নাকের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে।
  • অনেকের নাকে আঘাত পেলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে।
  • অপারেশন জনিত সমস্যার কারণে হতে পারে।
  • নাকের সাইনোসাইটিস এর সমস্যা হলে হতে পারে।
  • নাকের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন যেমন এট্রোফিক, রাইনাইটিস এ ধরনের সমস্যার কারণেও হতে পারে।
  • নাকের ভিতর অনেকের টিউমার হয়।
  • অনেকের নাকের মাঝখানের হাড় বেঁকে যায় এ কারণেও হতে পারে।
  • অনেকের নাকের মাঝখানের পর্দায় ছিদ্র হয়ে যায়।
  • অনেকের এসপিরিস ওষুধ খাওয়ার কারণে হতে পারে।
  • উচ্চ রক্তচাপ হলে দেখা যায়।
  • রক্তনালীর কিছু জন্মগত সমস্যার কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
  • মহিলাদের গর্ভাবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
  • জন্ডিস বা লিভার এর প্রদাহের কারণে অর্থাৎ লিভার সিরোসিস এর জন্য হতে পারে।
  • রক্তের বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে হতে পারে যেমন এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, হিমোফিলিয়া পারপুরা, লিউকেমিয়া, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে এর স্বল্পতার কারণে লিভারের বিভিন্ন ধরনের রোগ হয় এবং নাক দিয়ে রক্ত আসে।
  • নাকের মধ্যে কিছু ঢুকে যাওয়ার কারণে হতে পারে।
  • নাকে ইনফেকশন হলে রক্ত পড়তে পারে।
  • শীত প্রধান দেশ ও এয়ারকন্ডিশন করার রুমের মধ্যে কারণে কারো নাক শুকিয়ে গেলে এই ধরনের সমস্যা হয়।
  • সাধারণত বয়স্ক ব্যাক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ অথবা ক্যান্সারের কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে।
রোগ নির্ণয় ও পরীক্ষাঃ কিছু ক্ষেত্রে রক্তের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয় যেমন এক্সরে, সিটি স্ক্যান, নাকের এন্ডোস্কোপি এগুলো করতে হবে তাহলেই রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা করলে সুস্থ হবেন।

নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করার উপায়

অনেকের নাক দিয়ে রক্ত পড়ে কিন্তু এটা বন্ধ করবেন কিভাবে সেটা জানে না। তাই নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। চলুন জেনে নেওয়া যাক,

নাক দিয়ে অনেকের রক্ত বের হয়, যার কারণে ভয় পায় কিন্তু কি কারণে নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে এটা হয়তো জানে না এবং কখন বন্ধ হবে সেটাও জানে না। সে ক্ষেত্রে অনেকটাই মানসিক টেনশনে থাকে এবং ভয় পেয়ে থাকে। কিন্তু এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই এর কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। 

নাক দিয়ে রক্ত পড়ার ক্ষেত্রে প্রায় ৯০% কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। এটা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়, তাই এক্ষেত্রে নিজেকে আশ্বস্ত থাকতে হবে অথবা কারো যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে উনাকে আশ্বস্ত করবেন যে, কিছু সময় পর একাই এটা বন্ধ হয়ে যাবে।

এজন্য তাৎক্ষণিকভাবে যে কাজটি করা যেতে পারে নাক টা দুটো আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরতে পারেন এবং মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিতে হবে। নাক দিয়ে যদি শ্বাস নেন তাহলে রক্ত ছুটে পড়তে পারে এবং আরো ছড়িয়ে যাবে, ভয় পাবেন বেশি এক্ষেত্রে জমাট বাঁধবে না। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চাপ দিতে হবে, তাহলেই জমাট বাঁধবে।

আরও একটি জিনিস করতে পারেন যদি আপনার বাসায় ফ্রিজ থাকে তাহলে ঠান্ডা পানি কোল্ড কম্প্রেশন ও ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো রক্ত বন্ধ করতে সাহায্য করবে, একটি রুমাল বা কাপড় ঠান্ডা বরফ কুচি করে অথবা ঠান্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিবেন। তারপরে নাকে চেপে ধরে রাখবেন ১০ মিনিটের মত দেখবেন রক্তপাত অনেক কমে যেতে থাকবে।

এটা নিয়ে যদি বসে থাকেন তাহলে আরো বৃদ্ধি পাবে এবং ভয় পাবেন। একটু নুয়ে থাকার চেষ্টা করবেন, এ সময় সোজা হয়ে থাকলে রক্ত মুখে চলে আসবে তখন বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এক্ষেত্রে আরো বেশি কষ্ট হবে।

অনেকের উচ্চ রক্তচাপের কারণে ওষুধ খেয়ে থাকে, এক্ষেত্রে স্বাভাবিক হয়ে গেলে অনেকেই ওষুধ বন্ধ করে থাকে। রক্তচাপের ঔষধ যদি অনিয়মিত খাওয়া হয়, তখন রক্তনালীর উপর একটি অসম চাপ পড়তে পারে। এ কারণে কিন্তু এই ধরনের রোগীদের নাক দিয়ে রক্ত বের হতে পারে।

প্রথমবার যদি এই রক্ত বের হয় তাহলে উনি ভাগ্যবান যে রক্তচাপ কমে যাওয়াতে স্ট্রোক থেকে বেঁচে যাবে। তবে বারবার যদি এই সমস্যা হয় তাহলে কিন্তু অসুবিধা হবে। তাই যারা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন তাদের পরামর্শক্রমে ওষুধ খাবেন, কখনোই ওষুধ বন্ধ করবেন না, এতে আপনার ক্ষতি হবে।

ভিটামিন কেঃ ভিটামিন কে জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন যেমন কলা, পালং শাক, সরষে শাক ব্রুকলি, বাঁধাকপি শরীরে আমাদের কলিজন তৈরি করতে পারে। যা নাকের ভেতরের অংশকে আদ্রতা বজায় রাখবে। দীর্ঘদিনের সুস্থতার জন্য ভিটামিন কে খাওয়া যেতে পারে। যদি সবুজ শাকসবজি বেশি করে খেতে পারেন, তাহলে আপনার রক্ত জমাট বাঁধে সাহায্য করবে।

আপেল সিডার ভিনেগারঃ সামান্য তুলা নিয়ে ভিনেগার ভিজিয়ে রাখবেন, এখন নাকের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় কমপক্ষে ১০ মিনিটের মতো রেখে দিবেন, এতে তাৎক্ষণিক ভাবে কাজ করবে।

স্যালাইনের পানিঃ শীতকালে নাকের ভিতর শুষ্ক ভাব থাকে এবং রক্ত পড়ার সম্ভাবনা থাকে। স্যালাইনের পানি এটা দূর করতে সাহায্য করবে। নাকের ভিতরের অংশের আর্দ্রতা ফিরে আনার জন্য এক বাটিতে কিছুটা স্যালাইন পানি ভালো করে ভিজিয়ে নিবেন এবং নাকের মধ্যে কয়েক ফোটা দিবেন, দেখবেন মুহূর্তের মধ্যে কাজ হবে।

শিশুর নাক দিয়ে রক্ত পড়লে করণীয়

শিশুর নাক দিয়ে রক্ত আসতে পারে এক্ষেত্রে কি করবেন, তাই শিশুর নাক দিয়ে রক্ত পড়লে করণীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

নাক দিয়ে রক্ত পড়া এটা এক ধরনের সমস্যা যা অনেকেরই হয়ে থাকে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ হয়ে থাকে। তবে এটা মারাত্মক আকারও ধারণ করতে পারে। শিশুর ক্ষেত্রে জরুরী চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন এবং প্রাথমিক অবস্থায় কি করবেন সে সম্পর্কে নেওয়া যাক।

দ্রুত ব্যবস্থা করবেনঃ নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সাথে সাথে কিছুটা তর্জনি ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে নাক এর দুপাশ দিয়ে টানা ১০ মিনিটের মত চেপে ধরবেন। এভাবে ধরে থাকলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। অবশ্যই রোগীকে চিৎ করে শোয়াতে হবে।

বিশ্রাম নিতে হবেঃ নাক দিয়ে রক্ত ক্ষরণের সব ধরনের রোগীকেই পূর্ণ বিশ্রাম করতে হয়। এই বিশ্রাম হচ্ছে রোগীকে সবসময় বিছানায় শুয়ে থাকতে হবে। শুধু বাথ রুমের কাজ ছাড়া বিছানায় থেকে ওঠা ঠিক হবে না। এমনকি ওঠার সময় রোগীকে সাহায্য করতে হবে।
হাসপাতালে ভর্তি করাঃ নাক দিয়ে রক্ত পড়লে এবং জরুরি অবস্থা হলে বেশি হয়ে গেলে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে। কারণ হাসপাতালে গেলে তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু থাকবে না, সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।

নাকের মধ্যে প্যাক দেওয়াঃ নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণে নাকের ভিতর গজ দিয়ে প্যাক দিতে পারেন। নাকের প্যাক সাধারণত দুই রকমের হয় এক ধরনের প্যাক নাকের সামনের দিকে দেওয়া যেতে পারে।

এই প্যাকটি সর্বোচ্চ ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা রাখা যাবে। আর এক ধরনের প্যাক মুখের মধ্যে দিয়ে নাকের পিছনের দিকে দেওয়া যেতে পারে। নাকের পিছন দিয়ে রক্তক্ষরণ হওয়ার ক্ষেত্রে এই ধরনের প্যাক দেওয়া পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

কারণ অনুযায়ী চিকিৎসাঃ কিছু ক্ষেত্রে রক্ত ক্ষরণের কোন কারণ থাকে না। আর পাওয়া গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রক্তকরণের কারণ খুঁজে অনুযায়ী চিকিৎসা করা যায়। যেসব ক্ষেত্রে কারণ খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে চিকিৎসা করতে সুবিধা হয়।

রক্ত পরিসঞ্চালনঃ চিকিৎসা ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ যদি বেশি হয় সে ক্ষেত্রে রক্তের গুনাগুনের মাত্রা অনুযায়ী রক্ত পরিসঞ্চালনের প্রয়োজন হবে। অনেক সময় রক্তের প্লাটলেট এবং রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষেত্রেও পরিসঞ্চালনের প্রয়োজন হয়।

নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ যদি কোনক্রমেই না কমে থাকে, সে ক্ষেত্রে ভয় পাওয়া যাবে না। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে সহজে নিয়ন্ত্রণ হবে আতঙ্কিত কাটানোর জন্য রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

শীতকালে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ

অনেকের শীতকালে রক্ত নাক দিয়ে রক্ত পড়ে কিন্তু কি কারনে পরে সেটা হয়তো জানে না। তাই শীতকালে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন নিম্নে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

শীতকাল আসলেই অনেকের নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে, তবে বিষয়টি কেউ তেমন একটা গুরুত্ব দিয়ে থাকে না। আবার অনেকেই এটা দেখে ভয় পায়, যে নাক দিয়ে রক্ত পড়বে এটা কোন কারণ হতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের মতে শীতে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ হলো বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়।

সে কারণে হতে পারে এছাড়া নাকের ভেতরের পাতলা পর্দা ফেটে যেতে পারে, নাকের একেবারে তলাতে সাধারণত রক্ত জালিকা থাকে ওই পাতলা ত্বক ফেটে গেলে সাধারণত রক্তপাত হয়ে থাকে। শুধু তাই নয় নাসারন্ধ্রের ভেতরের অংশ থেকে রক্ত আসতে পারে আবার বাইরের দিক থেকেও রক্তপাত আসতে পারে। এ ছাড়াও শীতে অনেকের সর্দি-কাশির কারণে হতে পারে।

যদিও কারো প্রচুর হাচির কারণে রক্তপাত আসে একটানা ২০ বার হাচি দিলে নাকের ভিতরের ওই পাতলা ফেটে যেতে পারে। এ সময় রক্ত জালিকাগুলো ছোট ছোট ফাটল ধরবে, ফলে রক্তপাত হতে পারে। যদিও এগুলো বড় কোন কারন না তবে নাকের ক্যান্সার বা রক্ত জমাট বাঁধার মত জটিল সমস্যা থাকলে নাক থেকে প্রায়ই রক্তপাত হয়ে থাকে।

তবে শীতে নাক থেকে রক্ত পড়ে তাহলে সেটা দ্রুত সারবে আর যদি অন্য কোন কারণে রক্তপাত হয় সে ক্ষেত্রে সারবে না। যদি সমস্যা দীর্ঘদিন যাবত চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসার পরামর্শ নিবেন। সেটা নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য শরীরকে আর্দ্রতা করে আর্দ্রতা বজায় রাখা লাগবে।

বেশি করে পানি খাওয়া লাগবে পাশাপাশি ফলের জুস ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। তাহলে শরীর আর্দ্রতা থাকবে তখন নমনীয় ফুলে ত্বক ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে এমনকি নাক থেকে রক্তপাত হবে না।

গর্ভাবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ

গর্ভাবস্থায় সাধারণত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়, তবে অনেকের নাক দিয়ে রক্ত পড়ে কিন্তু এর কারণ কি সেটা হয়তো জানে না। তাই গর্ভাবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভাবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত পড়া অনেকের সাধারণত হয়ে থাকে। বা এটা একটি সাধারণ সমস্যা আমাদের দেহের নাকের ভিতর রক্ত প্রবাহের নালিটি খুবই ক্ষুদ্র হয়ে থাকে এবং দেহের সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল একটি জায়গা যখন নাকের এই রক্তনালীর কোন সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। মাঝে মাঝে ঢাকের দুটো ছিদ্রই দিয়ে রক্ত আসে।
গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে থাকে, এই সময় নাকের ভিতর রক্ত নালীগুলো প্রসারিত হয় এবং যে রক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে সেগুলো নাকের সংবেদনশীল রক্তনালী গুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করে, এটা সহজেই রক্তনালী গুলো ফেটে যেতে পারে। এই কারণে গর্ভাবস্থায় নাক থেকে রক্ত পড়তে পারে। এ সময় প্রায় ২০ ভাগ মহিলাদের এই ঘটনা ঘটে থাকে মাঝে মাঝে নাক থেকে রক্ত পড়া ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

তাছাড়া গর্ভবতী নারীদের সাধারণত ঠান্ডা লাগলে সাইন্যাসের ইনফেকশনের কারণে এলার্জির কারণে নাকের ভিতর শুকিয়ে যায়। এই সমস্যাটা দেখা দিতে পারে। রক্ত আসে মাঝে মাঝে আঘাত পাওয়ার কারণেও বা কোন মেডিকেল কন্ডিশনের কারণে যেমন উচ্চ রক্তচাপ বা রক্ত চলাচল বাধার কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।

নাক দিয়ে রক্ত পড়ার চিকিৎসা

প্রশ্ন করে থাকে যে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার ক্ষেত্রে কি করা যেতে পারে। তাই নাক দিয়ে রক্ত পড়ার চিকিৎসা সম্পর্কে জানলে আপনার নাক দিয়ে করা রক্ত পড়ার সমস্যার সমাধান হবে। চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

যদি দেখা যায় নাকের সামনের দিকে ছোট্ট ক্ষত আছে, যা মেডিকেলের ভাষায় বলা হয়ে থাকে এক ধরনের সেপটাল আলসার কারণ সাধারণত এটা নাকের নিজস্ব একটি সমস্যা আলসার কে ছাড়িয়ে তোলার জন্য নাকের ড্রপ এন্টিবায়োটিক মলম দেওয়া যেতে পারে।

অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ করে দিবেন তাছাড়া কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেটা খুলে ফেলতে হবে। এভাবে যদি আমরা ব্যবহার করি তাহলে এই অংশটা সেরে যাবে।

কিন্তু যে রোগীর উচ্চ রক্তচাপ আছে অনিয়ন্ত্রিত চাপ থাকে তাকে আপনি যতই ড্রপ দেন না কেন মলম দেন না কেন এতে রক্ত আসবে রক্ত থামবে না। একজন কার্ডোলজিস্ট এর কাছে যেতে হবে তাহলেই সে ভালো হব্দিে। এছাড়া একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি মেডিসিন বিশ্বের কাছেও যেতে পারেন এক্ষেত্রে তারা কিছু ওষুধ দিবে এক্ষেত্রে আপনার উপকার হবে।

ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে তারা অনেক সময় স্কুল গিয়ে দেখা যায় দৌড় ঝাঁপ করার কারণে অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত আসতে পারে। এক্ষেত্রে যাকে বলা হয়ে থাকে এনজিওফাইব্রোমা হয়েছে। এখানে ড্রপ বা অন্য কিছু দিলে কাজ হবে না। আর সে রুগী সারবে না তাকে হাসপাতালে নেওয়া লাগবে যেখানে ভর্তি করানো যেতে পারে সেই সকল হাসপাতাল নিতে হবে।

এক্ষেত্রে টিউমারের সমস্যা থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে অপারেশন করা লাগবে। তাহলে তার রক্তক্ষরণ থামবে অন্যদিকে ধরুন অনেকের ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে আর সে ক্ষেত্রে অনুচক্রিকা বা প্লাটিলেট বেড়ে গেছে বাড়তে পারে অন্য জায়গা থেকেও সেটা রক্তক্ষরণ হবে হতে পারে। তাকে শুধু নাকে ওইটুকু চিকিৎসা দিলে কিন্তু রক্ত পড়া কমবে না।

সামগ্রিকভাবে তাকে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা করতে হবে এবং তাহলে রক্ত ঝরা কমে যাবে। প্রাথমিক চিকিৎসায় যদিও কিছুটুকু সেরে যেতে পারে। তারপরে এটার উপযুক্ত চিকিৎসা করতে হবে। এক্ষেত্রে ভয় পাওয়া যাবে না। নাক চেপে ধরে ১০ মিনিট অপেক্ষা করা লাগবে। ওই সময়ের সম্ভব হলে নাকের মধ্যে একটু বরফ ঘষে দিতে পারেন।

তাহলে এ সময় যদি রোগী কিছু খেতে চায়, তাহলে আইসক্রিম বা বরফের টুকরা দেওয়া যেতে পারে। তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করে যদি দেখা যায় সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে এর কোন চিকিৎসা করা খুবই কঠিন বিষয়। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই হাসপাতালে দিলে উপযুক্ত সে চিকিৎসা পাবে। মূলত এই ধরনের সমস্যা হলে বাড়িতে বসে না থেকে হাসপাতালে নিলেই ভালো হবে।

শেষ কথাঃ নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে যদি কারো নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। সেই ক্ষেত্রে প্রথমে লাগছে বে ধরতে হবে না চেপে ধরতে হবে। তারপরে অতিসত্বর হাসপাতালে নিতে হবে, তাহলে উপযুক্ত চিকিৎসা হবে। তাই চিকিৎসক নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার কারণ জেনে তারপর চিকিৎসা দিলে সুস্থ হয়ে যাবে। আজকের আর্টিকেলের এই উপরুক্ত বিষয়গুলো মেনে চললে আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪