ঘরোয়া উপায়ে পা ফোলা কিভাবে কমানো যায় জেনে নিন

অনেকেরই বিভিন্ন কারণে পা ফুলে থাকে কিন্তু এটা কিভাবে কমাবে সেটা জানেনা। তাই পা ফোলা কিভাবে কমানো যায়? এ সম্পর্কে জানলে আপনার পা ফেলার অনেকটা কমে যাবে। চলুন, পা-ফলা কিভাবে কমাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেকের বিভিন্ন কারণেই পা ফুলতে পারে সেই কারণটা আগে নির্ণয় করা লাগবে এবং এজন্য একজন চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে। তিনি এই কারণ খুঁজে বের করবেন এবং চিকিৎসা দেবেন। তাই পা ফোলা কিভাবে কমানো যায়? সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃঘরোয়া উপায়ে পা ফোলা কিভাবে কমানো যায় জেনে নিন

পা ফোলার কারণ

বিভিন্ন কারণে পা ফুলে থাকে তাই পা ফোলার কারণ সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। তাহলে চিকিৎসা নিতে সুবিধা হবে। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক। কি কারনে পা ফুলে যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

যাদের উচ্চতা অনুযায়ী শরীরে ওজন কম হয়, তাদের সাধারণত পা ফুলে যেতে পারে। একটানা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করে তাদের এই পা ফুলে যেতে পারে। আর দীর্ঘ সময় পা ঝুলে বসে থাকলেও এই সমস্যা দেখা যায়। অন্তঃসত্তা নারীদের শেষের চার মাসে পা ফুলে যেতে পারে।

ব্যথা নাশক ঔষধ খাওয়ার কারণেও পা ফুলে যেতে পারে। উচ্চ রক্তচাপে ব্যবহৃত ওষুধ খেলে, জন্ম নিয়ন্ত্রণ ওষুধ খাওয়ার কারণে পা ফুলে যেতে পারে। তবে এসব কারণ ছাড়া আরও বিভিন্ন কারণ রয়েছে চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক। প্রথমদিকে অনেকের পা ফোলার বিষয়টা অনেকে খেয়াল করতে নাও পারে।

আবার খেয়াল করলেও অনেকে আমলে অনেকে এ বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে না কিন্তু যে কোন পা ফোলা কেই গুরুত্ব দিতে হবে। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে কারণ পা ফোলা অনেক অসুখের প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে। সময়মতো এটার গুরুত্ব না দিলে বা কারণ নির্ণয় না করলে চিকিৎসা নিতে সমস্যা হতে পারে।

পা ফোলা সাধারণত শুধু শরীরেই কারণেই হয়ে থাকে না শরীরে অনেক সময় পানি আসার লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। শরীরের সর্বনিম্ন অংশ হওয়ার কারণে পায়ের পাতা ও গোড়ালিতে সাধারণত ফুলে যায়। গোড়ালির একটু উপরে ভেতরের দিকে হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে কমপক্ষে ১৫ সেকেন্ড চেপে ধরবেন। এরপরে যদি দেবে যায় সেই চিহ্ন দেখা যায়।

তাহলে মনে করতে হবে যে আপনার পা ফুলে গেছে সেটা এভাবে আপনি ঘরে বসে পরীক্ষা করতে পারেন। তবে অল্প পরিমাণ পানি জমলে তার নির্দিষ্ট ভাবে বোঝা যায় না, আমাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য হৃদযন্ত্র রক্তনালী কিডনি ও লিভার সমন্বিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। 

তাই শরীরের জন্য পানি জমার কোন লক্ষণ পাওয়া গেলে, এই সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার। শরীরের পানির জমার পরিমাণ বাড়তে থাকলে পা ছাড়াও পেটে মুখ ফুলে যেতে পারে।
পেটে পানি জমার উপস্থিতি চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখে বুঝতে পারবে, এছাড়াও যে সকল কারণে আপনার পা ফুলে যেতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

হৃদরোগঃ যাদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন করতে সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও কার্যক্ষমতা কমে যায়, এর কারণে অনেক সময় হার্ট ফেইলোর হতে পারে। জন্মগত হৃদরোগ বিশেষ করে হৃদরোগের জন্মগত ত্রুটিপূর্ণ বাল্বের একটি অসুখ, যা হার্ট অ্যাটাকের পর হৃদযন্তের ক্ষমতা কমে যায়।

এতে দেখা যায় অনেক সময় পা ফুলে যায় ফুসফুসের বিভিন্ন অসুখ থেকেও এই ধরনের লক্ষণ গুলো দেখা যায়। শুরুতে দ্রুত হাঁটা বা দৌড়ানোর মতো পরিশ্রম করলে শ্বাসকষ্ট দেখা যায়, ধীরে ধীরে কম পরিশ্রম করলে শ্বাসকষ্ট আরও হতেই থাকবে।

তখন সামান্য হাঁটাহাঁটি বা নিজের কাজগুলো করলো দেখা যায় শ্বাসকষ্ট হয়। শ্বাসকষ্টের কারণে চিত হয়ে শুয়ে ঘুমাতে পারবে না। দেখা যায় অনেক সহ হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে। এই শ্বাসকষ্টের কারণে ফুসফুসে পানি জমে এক পর্যায়ে পায়ও পা ও পেটে পানি জমতে থাকে।

কিডনি রোগঃ কিডনি শরীরের ছাঁকনি হিসেবে করবে, রক্ত পরিশোধন করার জন্য শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থগুলো বের করে দিতে পারে। যখন কিডনি ফিল্টারিং এর কাজ ঠিকমতো না করে তখন অতিরিক্ত পানি পায়ে জমে যায়।

কিডনি জটিলতায় প্রথমে মুখটা ফোলা দেখা যায় এরপর পুরো পা ফুলে যেতে পারে। ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সাধারণত কিডনি সমস্যা দেখা যায়। তাই এদের পায়ে পানি জমলে কিডনির পরীক্ষা নিরীক্ষা করার প্রয়োজন কম বয়সে পা ফোলা লালচে ভাব লালচে প্রসাব এবং উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিলে কি নিয়ে অসুখের সম্ভাবনা থাকে।

রক্তনালীর অসুখঃ শরীরের শিরা গুলো হৃদযন্ত্রের রক্তে এসে কোথাও রক্ত জমাট বেঁধে গেলে শরীরের সেই জায়গাগুলোতে ফুলে যায়। এছাড়াও পায়ের বড় শিরায় রক্ত জমাট বাধার সম্ভাবনা হয়ে থাকে। এছাড়া অনেকের কোমর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত ফুলে যেতে পারে।

সাধারণত অনেকের এক পা ফুলে যায় আবার অনেকের ফুসফুসের শিরায় রক্ত জমাট হয়ে মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। এতে ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা হতে পারে। তাই ফুলে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের নিকট যাওয়া প্রয়োজন।

যকৃতের রোগঃ যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে বা সিরোসিস এর সমস্যা রয়েছে তাদের সাধারণত পেটে ও পায়ে পানি আসে। এই ধরনের রোগীদেরকে খাবারে অরুচি দেখা যায়। আর এছাড়াও হলুদ প্রসাব হয় এবং রক্তবর্ণ বুমি দেখা যেতে পারে।

হরমোনের সমস্যাঃ যাদের হরমোনের সমস্যা বা থাইরয়েডের সমস্যা থাকে বা এগুলো যখন কমে যায় তখন পায়ে পানি আসে। এতে রোগীর এই সফল উপসর্গ ছাড়াও সাধারণত শীত শীত মনে হয় ক্লান্তি লাগে ওজন বৃদ্ধি পায় এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। থাইরয়েডিজম ফুলে গেলেও আঙ্গুলের চাপে দেয়া অনেক সময় দেবে দেখা যায় বরং খসখসে মনে হয় হতে পারে।

পা ফোলা কিভাবে কমানো যায়

অনেকের বিভিন্ন কারণে পা ফুলে যেতে পারে, তাই কিভাবে এটা কমাবেন সেটা জানা প্রয়োজন। তাই পা ফোলা কিভাবে কমানো যায়? সে সম্পর্কে চলুন নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

সাধারণত পা ফেলার ক্ষেত্রে অবশ্যই বালিশে পা রেখে ঘুমাবেন এবং পা তুলে বসার অভ্যাস করবেন। এতে দুই একদিনের মধ্যে আশা করি সেরে যাবে। যারা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করে তারা কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু হাটাহাটি করতে হবে।

দীর্ঘ সময় ঝুলিয়ে বসার অভ্যাস যদি থাকে সেটা ত্যাগ করবেন। উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজন ঠিক রাখা লাগবে, দীর্ঘ ভ্রমণে পায়ের পাতা আঙ্গুল ও পেশি সচল থাকে এমন ব্যায়াম করতে পারেন। মাঝে মধ্যে আসনের উপর পা তুলে বসতে পারেন, দুই-একদিনে এই পা ফেলা যদি না কমে এবং সঙ্গে যদি থাকে তাহলে চিকিৎসকের বড় অংশ নেওয়া লাগবে।

চিকিৎসক আপনার পা ফোলার কারণ খুঁজে বের করবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। যারা নিয়মিত ব্যাথা নাশক ওষুধ খায় যাদের উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেতে হয় বা জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিল বরে খেয়ে থাকেন ওষুধ খেয়ে থাকেন।

এই ক্ষেত্রে এই সকল লোকদের এই সকল রোগ হয়ে থাকে, তাদের যদি পা ফুলে যায়, তাহলে এ বিষয়টি চিকিৎসক কে বলা লাগবে। চিকিৎসার পরামর্শ ছাড়া পা ফোলা কমানোর জন্য শরীরে পানি কমানোর ঔষধ ওষুধ খাবেন না। তাদের রক্তের ইলেকট্রোলাইট লবণ কমে যেতে পারে এবং বিপদ হবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করা যেতে পারে, সরিষার তেল অথবা অলিভ অয়েল তেল এর সাথে রসুন ভেজে মালিশ করতে পারেন এবং খাদ্যে তালিকা পুষ্টিতে ভরপুর এমন খাবার খাওয়া লাগবে। এক সপ্তাহে যদি আপনার পায়ের ফোলা ভাব না কমে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসার পরামর্শ নিতে হবে।

তরল ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া লাগবে। এতে শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের করে দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে আপনার পায়ের ফোলা অনেকটা কমে যাবে।

প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা আপনার পা ফেলা কমাতে উপকার করবে কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও উপস্থিত থাকার কারণে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে।

একটি সুস্বাস্থ্যকর জীবন চাইতে হলে অবশ্যই আপনাকেও ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। তাহলে আপনার কমাতে পারবে পায়ের ফোলা ভাব ওজন কমাতে সাহায্য করবে। কেননা আপনার শিরা গুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়বে এদের তরল ধারণ করতে পারবে।

আপনার পা ফোলা কমাতে চাইলে অবশ্যই আপনার খাবার থেকে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলেই আপনি পা ফেলা ভাব কমে যাবে।

অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না এতে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে যা পা ফলা আরো বৃদ্ধি করবে।

যারা অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে নেশা দিয়ে দ্রব্য পান করে থাকে। এতে ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং আর বেশি হতে পারে না। এছাড়া ক্যাফিন যারা খায় তাদেরও একই সমস্যা উভয়ে ডিহাইড্রেশন এর ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। যা ফলাভাব আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাই আপনি খাদ্যে থেকে এ ধরনের অপদার্থ খাদ্যগুলো সরিয়ে ফেলবেন।

পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়

যাদের পা ফুলে যায় তারা ওষুধ ছাড়া ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। তাই পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

পা ফোলা সমস্যার কমানোর জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপাদান প্রয়োগ করা যেতে পারে। চলুন যে সকল বিষয়ে যে সকল জিনিস প্রয়োগ করলে আপনার অনেকটা কমে যাবে। সেই প্রাকৃতিক ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যাক।

ইপসম লবণঃ পেডিকিউর করার সময় এক গামলা কুসুম গরম পানির মধ্যে আধা কাপ ইপসাম লবণ মিশিয়ে ২০ মিনিটের মত রেখে দিবেন। এর মধ্যে পা রাখবেন এতে অনেকটা ফোলা কমে যাবে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, অস্বস্তি কমে যাবে সপ্তাহে তিন দিন এরকম করতে পারেন।

লবণ কম খাবেনঃ লবণ বেশি খাওয়ার কারণে পানি শোষণ করবে বেশি, এতে পা ফেলার সম্ভাবনা থাকে এজন্য দূরে রাখতে হবে ,তিন জাত প্যাকেটজাত প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো কোমল পানীয় জাতীয় খাবার গুলো ফাস্টফুট জাতীয় খাবার গুলো দূরে রাখা প্রয়োজন।

ম্যাগনেসিয়ামের অভাবঃ শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাবের কারণে হাত পা ফুলে যায়। তাই সবুজ শাকসবজি, বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার মাছ সয়াবিন এভোকোডা কলা ডার্ক চকলেট এ জাতীয় ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া যেতে পারে।

মালিশ করবেনঃ নারিকেলের তেল থ্রি ওয়েল, তেল নিমের তেল কাঠ বাদামের তেল, এগুলো দিয়ে পায়ে মালিশ করতে পারেন এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। পায়ের ফোলার ভিতর অনেকটাই ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। তেলটা কুসুম গরম করবেন এরপর পায়ের নিচে থেকে উপরের দিকে মালিশ করবেন এটা সাধারণত রাত্রে এবং গোসলের আগে করলে ভালো হবে।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ এর মধ্যে থাকে পটাশিয়াম থকে যা বাড়তি ব্যথা ত্বরণ অপসারণ করতে সাহায্য করবে। সমপরিমাণ কুসুম গরম পানি নিয়ে সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিতে হবে এবং একটু পরিষ্কার তোয়ালে ভিজিয়ে রাখবেন হালকা চেপে নিয়ে পানিগুলো ফেলে দিবেন তোয়ালে।
পিছিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মত দুই টেবিল চামচ দিবেন ২/ ৪ বছর এখন সিডার ভিনেগার দিবেন এরপর এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সেটা খেতে পারেন দিনে দুইবার।

ধনীরা ধনিয়াঃ ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে এই মসলাটি ভালো কাজ করে থাকে, পা ফেলানোর ক্ষেত্রেও ভালো কাজ করবে। আপনার কমানোর ক্ষেত্রে ভালো কাজ করবে এক গ্লাস পানিতে দুই তিনটি দুই তিন চামচ ধনিয়ার গুড়া অর্ধেক পানি ফুটানোর মধ্যে দিয়ে দিবেন। পরে তার থেকে নিয়ে ঠান্ডা করে দিনে দুইবার খেতে পারে।

আদাঃ শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা কেউ অনুসরণ করার জন্য এই আদা খাওয়া যেতে পারে। এই আঁধার মধ্যে থেকে তৈরি যে তেল বের হবে সেটা ব্যথা কমাতে খুবই উপকার করে থাকে। এটা দিয়ে আপনি মালিশ করতে পারেন অথবা দিনে দুই তিন কাপ আদা চা খাওয়া যেতে পারে। কাঁচা চিবিয়ে খাও অনেক উপকার পাবেন।

টমেটোঃ টমেটোর মধ্যে লাইকোপিন নামক একটি এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যার অর্থ সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে পারে।

রসুনঃ রসুনের মধ্যে এন্টি ইনফরম্যাটরি এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা পা ফোলা কমাতে ভালো কাজ করবে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ সরিষার তেল হালকা কুসুম গরম করে শরীরের মালিশ করলে ব্যথা অনেকটাই কমে যায় এই কাজটা তারা করে থাকে।

হলুদঃ হলুদের মধ্যে অক্সিডেন্ট থাকে এন্টি ইন ফ্লাটরে এন্টি ইনফ্লেমেটরি থাকে আপনার পা ফেলাতে কমাতে ভালো কাজ করবে।

পা ফোলা কিসের লক্ষণ

বিভিন্ন কারণে অনেক সময় পা ফুলে থাকে কিন্তু এই পা ফোলা কিসের লক্ষণ হতে পারে। সেটা আমাদের জানা প্রয়োজন। চলুন, পা ফেলা যে লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে। সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

অনেকের পা ফুলে যায় এবং পায়ে পানি আসে, এই পা ফুলে যাওয়া অথবা পানি আসা কি কারনে হতে পারে সেটা আমাদের জানা প্রয়োজন। এটা অনেকেই হয়তো স্বাভাবিক ঘটনা মনে পড়ে থাকে কিন্তু এটা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া লাগবে পায়ের পানি জমে গেলে অথবা পা যদি ফুলে যায়।

প্রথমে যে ভয়টা আপনার হবে সেটা হলো কিডনিতে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা অর্থাৎ ক্রনিক কিডনি ডিজিস এবং কিডনি ফেইলার হয়েছে কিনা। সেটার কারণে কিন্তু পা ফুলে যেতে পারে পানি আসতে পারে।

এছাড়াও হার্ট জনিত সমস্যা অথবা হার্ট ফেলার এই ধরনের সমস্যার কারণেও পায়ে পানি আসতে পারে লিভারজনিত সমস্যার কারণে যেমন লিভার সিরোসিস এর কারণে পায়ে পানি আসতে পারে এবং পানি পা ফুলে যেতে পারে যারা উচ্চ রক্তচাপে ঘুরছেন তারা যদি নিয়মিত ভাবে এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন।

এই ওষুধের সাইড ইফেক্ট হিসেবে তাদের পা ফুলে যেতে পারে এবং পায়ে পানি আসতে পারে। এছাড়াও কোন কারণ ছাড়াও বিশেষ করে মহিলাদের পায়ের পানি আসতে পারে কিংবা দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণেও অনেক সময় পায়ে পানি আসতে পারে অথবা ট্রেনে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে টেনে পা ঝুলিয়ে যাতায়াত করা হলে সেক্ষেত্র পায়ে পানি আসতে পারে। তাই আরো বিভিন্ন কারণেই বা ফুলে যেতে পারে তবে বিষয়টি আপনার পা ফেলা দেখলেই পরামর্শ নিবেন।

পা ফুলে গেলে যে টেস্ট করাতে হয়

আপনার যদি পা ফুলে যায় সে ক্ষেত্রে কিছু টেস্ট করাতে হবে। তাই পা ফুলে গেলে যে টেস্ট করাতে হয় সম্পর্কে সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার সুবিধা হবে। কেননা বিভিন্ন কারণেই পা ফুলে যেতে পারে। তাই আপনার ডাক্তার কিছু হয়তো পরীক্ষা দিতে পারেন। তাই চলুন এ বিষয়ে নেওয়া যাক জেনে নেওয়া যাক।

চলুন পা ফুলে যাওয়ার কারণে যে চিকিৎসা যে পরীক্ষাগুলো দিয়ে থাকেন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

রক্ত পরীক্ষাঃ ডাক্তার সাধারণত আপনার রক্তের প্রোটিন ইউরিক অ্যাসিড ইলেকট্রোলাইট এবং অন্যান্য পদার্থের মাত্রা করানোর জন্য বলতে পারেন। এই পরীক্ষাগুলো আপনার পা ফুলে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ইমেজিং পরীক্ষাঃ আপনার পায়ের এক্সরে আল্ট্রা সাউন্ড সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই পরীক্ষাগুলো আপনার পায়ের কোন আঘাত বা ক্ষতি আছে কিনা সেটা জানার জন্য পরীক্ষাটা দিয়ে থাকেন।

অন্যান্য পরীক্ষাঃ আপনার পা ফুলে যাওয়ার কারণে আরো বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা দিয়ে থাকেন যেমন লিম্ফোগ্রাফি এই পরীক্ষাটি আপনার সিস্টেমের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে থাকে। ভেনোজোগ্রাফি এই পরীক্ষাটা আপনার শিরা গুলোর কার্যকারিতা কেমন আছে সেটা জানার জন্যই দিয়ে থাকেন।

এছাড়াও কার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা করার জন্য আপনার হৃদয়ের কার্যকারিতা কেমন রয়েছে সেটা জানার জন্যই পরীক্ষাটা দিয়ে থাকে উপলক্ষে পরীক্ষাগুলো সাধারণত পা ফুলে যাওয়ার কারণেই এই সমস্যাগুলো দেখা যায়। তাই এই পরীক্ষাগুলো দিতে পারেন তবে আপনার পা ফুলে যাওয়ার কারণ নির্ভর করে আপনাকে ডাক্তার পরীক্ষা দেখে চিকিৎসা দিয়ে থাকবেন।

শেষ কথাঃ ঘরোয়া উপায়ে পা ফোলা কিভাবে কমানো যায় জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে বিভিন্ন কারনে পা ফুলে যেতে পারে, তাই এটা নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই কারণ। এর কারণ সম্পর্কে তেমন একটা সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই চিকিৎসকরা সাধারণ মানসিকভাবে শক্ত হতে বলেন এজন্য চিকিৎসার পাশাপাশি আপনি পা ফোলা কিভাবে কমানো যায়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনার উপকার হবে পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪