গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয় ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন

অনেক গর্ভবতী মায়েরা জানতে চায় যে গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয়? তাই শ্বাসকষ্ট হলে এই সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে গর্ভস্থ শিশু। এজন্য অবশ্যই চিকিৎসা নিতে হবে। চলুন, গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট এর চিকিৎসা ও করনীয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অধিকাংশ গর্ভবতী মহিলারা এই সময় কাশি ঠান্ডা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট হয়ে যায়। এতে গর্ভস্থ শিশুর বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয় ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন

গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয়

একজন গর্ভবতী মায়ের যদি শ্বাসকষ্ট সমস্যা থাকে তাহলে তার অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয়? সম্পর্কে জানা প্রয়োজন চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক

যে সকল গর্ভবতী মহিলাদের শ্বাসকষ্ট হয়েছে তারা যেন দেরি না করে অতিসত্বর একজন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ নিকট যাবেন ও একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিতে হবে। চলুন, চিকিৎসকরা যে ব্যবস্থা গুলো নিয়ে থাকে তা নিম্ন উল্লেখ করা যাক।

হাঁপানি এর সমস্যা যদি থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে যে খাবারের মাধ্যমে হাঁপানি বৃদ্ধি পায় সেগুলো বাদ দিতে হবে।

অবশ্যই নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করা লাগবে, মুখে খাওয়ার ওষুধ মন্টিলুকাস্ট এর সাথে আন্টি হিসামিন খাওয়া যেতে পারে।

যদি অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে নেবুলাইজার দেওয়া যেতে পারে এবং সর্বশেষ স্টেরয়েড ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে।

তবে মনে রাখবেন আপনার চিকিৎসা এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হবে না। চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইনহেলানের সবচেয়ে উপকারী এবং আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ইনহেলান আছে যেমন সালবুটামল, সালমেটেরল ও স্টেরয়েড এর মাধ্যমে চিকিৎসা করা যেতে পারে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে অ্যাজমার অনেক খাওয়ার জন্য ওষুধ আছে, ইনহেলান আছে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য একটি বিশেষ প্রতিরোধমূলক ওষুধ আছে। একজন মা যদি তার এ সমস্যাগুলো থাকে তাহলে ঠিকঠাক মত ওষুধ খেলে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।
এই সময় গর্ভাবস্থায় আজমা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, শেষের দিকে নিয়ন্ত্রণ যেন থাকে। কারণ শেষের দিকে একটু বৃদ্ধি পায়, এই সময় শ্বাসনালীর প্রদাহ হতে পারে। এজন্য গর্ভাবস্থায় এ সময় ইনহেলার ব্যবহার করবেন তাহলে ভালো থাকবেন।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই সময়ে গর্ভবতী মায়েরা কিছুদিন ইনহেলান ব্যবহার করতেন এখন সেটা আর করেনা। তারা মনে করে এই ইনহেলান এর ব্যবহার কারণে হয়তো বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু এই সময় বাচ্চার ক্ষতি হবে না। এখন যেই ওষুধটি আসছে সেটা তেমন ক্ষতি করবে না। এটি মা ও শিশু দুজনের জন্যই উপকার হবে।

একটি ওষুধ আছে শ্বাসনালী প্রদাহ কম হবে এটি ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে বাচ্চাটাও বেড়ে উঠতে থাকবে প্রসবের একদম শেষ পর্যন্ত এই ওষুধটি ব্যবহার করা যেতে পারে। তার সঙ্গে যে সতর্কতা রয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে।

গর্ভাবস্থার কারণে শ্বাসকষ্ট হলে সেটি সাধারণত প্রতিরোধ করতে সমস্যা হয়। তবে শ্বাসকষ্ট বোধ করলে নিচের ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন।

নিজেকে শান্ত রাখতে হবে যে কোন সময় সকল বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করা যাবে না। এতে শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পাবে, তাই শ্বাসকষ্ট হলে প্রথমে নিজেকে শান্ত করবেন এবং মানসিক চাপ মুক্ত রাখবেন।

কোন ভাবে ভারী কাজ করবেন না এবং ব্যায়াম করার ফলে যদি আপনার শ্বাসকষ্ট আরো বেশি হয়। সেক্ষেত্রে ব্যায়াম করা বাদ দিয়ে দিবেন, কাজের মাঝে মাঝে বিরতি নিবেন।

সব সময় সোজা হয়ে বসার চেষ্টা করবেন, প্রয়োজনে অন্যদের সাহায্যে নিতে পারেন। ইনহেলান দিতে পারেন বুকের চাপ অনুভব করলে এতে করে তা কিছুটাও কমে আসবে।

শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে আপনার দুই হাত কিছুক্ষণ মাথার উপরে ধরে রাখবেন, এতে করে আপনার পাঁজরের উপর চাপ কমে যাবে আপনার শ্বাসকষ্ট সুবিধা হবে।

রাত্রিতে ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত বালিশ নিয়ে কোমর থেকে মাথা কিছুটা উঁচু করে রাখবেন। এতে করে ঘুমানোর সময় আপনার ফুসফুসের উপর চাপ কমে যাবে।

শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে আপনি ব্যায়াম করতে পারবেন, গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া লাগবে এর পাশাপাশি আপনি অনেকটা রিলাক্স করতে পারবেন।

গর্ভাবস্থায় সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল ওজন কমাতে হবে, যদি অতিরিক্ত হয়ে থাকে তবে অবশ্যই চিকিৎসা করবেন।

গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণ

গর্ভাবস্থায় অনেকে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে কিন্তু কি কারনে হয় এটা হয়তো জানে না। তাই গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন এবং সেই ক্ষেত্রে যদি আপনার শ্বাসকষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে মানুষের টেনশন হয়ে থাকে। তাই কি কারণে আপনার এই শ্বাসকষ্ট হচ্ছে সেটা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

প্রথম ত্রৈমাসিকঃ গর্ভাবস্থার প্রথম লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো প্রথমদিকে অনেকের শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। তা আপনারও হতে পারে, আপনার শিশুর বিকাশের জন্য অক্সিজেনের পাশাপাশি রক্ত সরবরাহ করতে হবে। যখন আপনার শিশুর সাথে অক্সিজেন ভাগ করে নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট অনুভব হতে পারে।

প্রথমদিকে প্রসারিত করে আপনার ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এই পরিবর্তনগুলো দেখা যায় প্রজেস্টরেন হরমোন অতিরিক্ত হওয়ার কারণে, আপনার শ্বাসযন্ত্রের কাজকে বৃদ্ধি করে তুলতে পারে।

দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকঃ এই সময় দেহের হরমোন গুলি এ কারণে হতে পারে। আপনার শ্বাসকষ্ট ফুসফুসের সূক্ষ্নালী গুলি ফুলে উঠবে তার পেশীগুলি শিথিল হয়ে যায়। এই সমস্ত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরিবর্তন হওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। হরমোন গুলো গভীর এবং আরো ঘন শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তৃতীয় ত্রৈমাসিকঃ আপনার শিশুর বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আপনার জরায়ু অন্যান্য সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলির বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করবে। এতে আপনার ডায়াফ্রাম অন্তর্ভুক্ত আছে, এক্ষেত্রে ডায়াফার্মটি ৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত স্থানান্তর হতে পারে।

আপনার ফুসফুস পুরোপুরি প্রসারিত করবে এবং এটা কঠিন আকার ধারণ করতে পারে, শ্বাসকষ্ট হয় এবং অস্বস্তিকর লাগে। আপনার মধ্যে ভ্রন যদি উচ্চস্থানে থাকে তাহলে প্রচুর অ্যামোনিওটিক তরল থাকে, যা একাধিক গর্ভাবস্থা থাকে। তবে আপনি এই ক্ষেত্রে চাপ অনুভব করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় কাশি হলে করণীয়

অনেকের গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত কাশি হতে পারে এবং এর থেকে অনেকের শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। তাই গর্ভাবস্থায় কাশি হলে করণীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। যে শ্বাসকষ্টের কারণে কাশি হচ্ছে নাকি এমনি কাশি হচ্ছে চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক।

গর্ভাবস্থায় নারীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাধারণত জ্বর সর্দির সমস্যা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যদি সর্দি কাশি হয় এক্ষেত্রে আরো বেশি এই শ্বাসকষ্টটা বৃদ্ধি পায়। এ সময় আপনি ইচ্ছা করলেই কাশির জন্য যে কোন ওষুধই খেতে পারবেন না। 

তাই এই সময় অনেকেই ঘরোয়া প্রতিকার খুঁজে থাকে এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বা গর্ভস্থ শিশুর তেমন ক্ষতি হবে না। মায়ের উপরে চাপ বাড়বে না তাহলে চলুন গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি হলে কি করতে হবে সেই ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

গরম স্যুপঃ গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি হলে গরম সবজি ও চিকেন স্যুপ খেতে পারেন। এর মধ্যে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ দিতে পারেন। এই উপাদানগুলো সর্দি কাশির জন্য ভালো কাজ করে থাকে। তাই গরম স্যুপ খেলে আপনার সর্দি কাশির সমস্যা দূর হবে।
রসুনঃ রসুনকে প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক বলা হয়ে থাকে, তাই সর্দি কাশির ক্ষেত্রে দারুন কাজ করে থাকে। এই উপাদানটি গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে, রক্ত চলাচল সচল রাখবে এবং কোলেস্টেরলের মাত্র নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। তাই গর্ভবতী নারীরা সাধারণত এক কোয়া রসুন প্রতিদিন খাওয়া যেতে পারে।

নারিকেলের তেলঃ নারিকেল তেলের মধ্যে এন্টিফাঙ্গাল, এন্টিব্যাকটেরিয়াল, এন্টিভাইরাল উপাদান গুলো থাকে। নারিকেল তেল বা নারিকেল গর্ভাবস্থার ক্ষেত্র অনেক নিশ্চিত রয়েছে বা সুরক্ষিত রাখে। আপনি বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীন ভাবে নারকেল তেলকে ব্যবহার করতে পারবেন।

গরম পানির সাথে এক চামচ নারিকেলের তেল মিশিয়ে তেল শরীরে মালিশ করতে পারেন এত ব্যথা বা যেকোনো ধরনের সমস্যা গুলো দূর হতে পারে।

আদাঃ আধা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান যা গর্ভাবস্থায় সর্দি-কাশির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। এই উপাদান রক্ত চলাচল সচল রাখতে সাহায্য করে, এছাড়াও বিভিন্ন সংক্রমণ এর বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। এই উপাদান গরম পানিতে আদা এবং লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় অ্যাজমা হলে করণীয়

গর্ভবতী মায়েদের অনেকের হাঁপানি বা অ্যাজমা থাকতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় হাঁপানি হলে করণীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে তাদের অনেক সুবিধা হবে এই হাঁপানি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা নেওয়া যাক।

হাঁপানি শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ জনিত একটি রোগ এর লক্ষণ গুলো হলো শ্বাস নিতে কষ্ট হবে, শ্বাসের সাথে শব্দ হবে, বুকে ব্যথা করবে, কাশি হতে পারে। এসব সাধারণত রাতের দিকে বেশি হয়ে থাকে। বাচ্চা গর্ভে থাকা অবস্থায় পরবর্তী মায়ের অল্প অথবা বেশি শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

গর্ভাবস্থায় ফুসফুসের অবস্থানের পরিবর্তন ও হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। তাই এই সময় কেউ যদি প্রথম দেখা যায় সে ক্ষেত্রে এই সময় কেউ যদি প্রথমবারের মতো একবার লক্ষণ দেখা যায়। তাহলে সেটা অ্যাজমা কিনা সেটা কঠিন ভাবে নির্ণয় করতে হবে। গর্ভবতী নারীদের মধ্যে প্রতি ১০০ জনের ৩ জন থেকে ৪ জন মানুষের এ সমস্যা হয়। গর্ভধারণের সময় মা ও শিশুর জন্য খুবই বিপদ।

যেমন কম ওজনের বাচ্চা জন্ম দিতে পারে অথবা সময়ের আগেই বাচ্চা হয়ে যায়, প্রসব ব্যথা ওঠে মায়ের রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এক্লেমশিয়া ইত্যাদি হতে পারে। অনেক সময় অনিয়ন্ত্রিত এজমা মা ও শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তবে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রনে থাকলে গর্ভের শিশুর তেমন ক্ষতি হবে না। যাদের গর্ভাবস্থায় অ্যাজমা ধরা পড়ে তাদের উচিত প্রথম থেকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা।

এজমা বা শ্বাসকষ্ট হলে যে প্রত্যেকেরই একই ধরনের লক্ষণ দেখা যাবে তা কিন্তু নয় ১১ জনের শ্বাসকষ্টের মাত্র এক এক ধরনের হবে শ্বাসকষ্ট দূর করতে হলে সাধারণত অ্যাড্রিনাজিক এগেনস্ট অফ কটিকো স্টোরেড ধরনের ইনহেলান ব্যবহার পারেন। এছাড়াও মুখে খাওয়ার ওষুধ খেতে পারেন এর মধ্যে মন্টিলুকাস্ট, কিটোটিফেন, স্টেরয়েড এই ধরনের ট্যাবলেট গুলো খাওয়া যেতে পারে।

আক্রান্ত মায়েদের ক্ষেত্রে গর্ভের শিশুর জন্য নিরাপদ ওষুধ ব্যবহার করবেন। সাধারণত যে ধরনের ওষুধ চিকিৎসা জন্য ব্যবহার করে থাকে তা গর্বের শিশুর যেন ক্ষতি না হয় সেটা বিবেচনা করে থাকেন। হজমের সমস্যা বা পেটের জ্বালাপোড়া করে তাই এই ধরনের সমস্যা থাকলে ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করবেন। খাদ্য গ্রহণের সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা লাগবে।

একেবারে বেশি না খেয়ে বারবার অল্প করে খেতে পারেন এবং খাওয়ার তিন থেকে চার ঘন্টা ঘুমাতে যাওয়া লাগবে। যে মায়েদের শ্বাসকষ্টের পরিমাণ বেশি তাদের উচিত গর্ভধারণের ৭ মাস থেকে মা হওয়ার সময় থেকে নিয়মিত বাচ্চা নড়াচড়া খেয়াল করবেন। বাচ্চা নড়াচড়া কম হলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এর নিকট পরামর্শ নিবেন।

যেসব এলার্জি জাতীয় দ্রব্যের কারণে যেসব এলার্জি জাতীয় দ্রব্যের কারণে বৃদ্ধি পেতে থাকে সেগুলো থেকে দূরে থাকবেন। এজমার প্রকোপ কমানোর জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি গর্ভধারণকালীন যে কোন সময় দিতে পারবেন এক্ষেত্রে ক্ষতি নেই। আক্রান্ত মায়েদের উচিত বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো এতে শিশুটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং ভবিষ্যতে এজমা থেকে সুরক্ষিত থাকবে।

গর্ভাবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার

অনেকেই গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণে ইনহেলান ব্যবহার করে থাকে, তবে গর্ভাবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। এজন্য একজন চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ নেবেন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভবতী নারীদের অনেক ধরনের উপদেশ নিয়ে থাকে কিছু পরামর্শ ক্ষতি হতে পারে আবার কিছু উপদেশ এত উপকার হয়। এজমার সমস্যার ক্ষেত্রে ইনহেলান ব্যবহারের এমন কিছু প্রচলিত কথা আছে যে, এরা শরীরে ক্ষতি করবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে। এ ধরনের কথাবার্তা খুবই ভুল ধারণা। 

গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে গর্ভাবস্থা সাথে এজমার তীব্রতা কমাতে এবং ফুসফুসের কাজের উন্নতির জন্য অবশ্যই ইনহেলার দেওয়া যেতে পারে। তাই কোন প্রচলিত কথা বিশ্বাস না করে গর্ভাবস্থায় কোন ওষুধ ব্যবহার করা এবং বন্ধ করার বিষয়ে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন।

বিভিন্ন চিকিৎসক গণ ইনহেলার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বলেছেন যে অ্যাজমার রোগী যদি হয়ে থাকেন আপনি তাহলে অবশ্যই এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবহার করতে হবে । শিশুর সঠিক বৃদ্ধির জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। যা মায়ের রক্ত থেকে পায় মায়ের ফুসফুসের কাজ সঠিকভাবে যদি না হয়। 

তাহলে গর্ভে শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন করার জন্য তাই আপনার হ্যাজব্যান্ড ও মাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কেননা আপনার অক্সিজেন লেভেল কমে গেলে শিশুর ক্ষতি হবে।
আর এই গর্ভবতী মায়ের অক্সিজেন ঠিক রাখার জন্য অবশ্যই ইনহেলার ব্যবহার করা লাগবে। তাই একজন গর্ভবতী মা যদি অক্সিজেন না পায় তাহলে তার সন্তান পাবে না।

এজন্য তার অক্সিজেন ব্যবহার করা খুবই জরুরী। একজন গর্ভবতী নারী ও একজন গর্ভবতী নারী নয় এমন উভয়ের সমান কাজ করবে ইনহেলান। গর্ভাবস্থায় এজমা থেরাপি ব্যবহৃত ব্যবহারিত করা যায় না এজন্য ইন হেলান ব্যবহার করা অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এলার্জি ধুলাবালি দূষণকারী পদার্থ সিগারেটের ধোঁয়ার মতো বৃদ্ধি করতে পারে।

তাই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে এবং চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা লাগবে। তা না হলে আপনার গর্ব অবস্থায় জটিলতার বেড়ে যাবে এছাড়াও গর্ভবতী নারীদের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুসরণ করা লাগবে ও সময়মতো ওষুধ খেতে হবে।

চিকিৎসা সহায়তা নেয়ার প্রয়োজনীয়তা লক্ষণ বিষয়ে জানতে হবে এবং ইনহেলানের সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। কারণ পরবর্তী নারীদের সৃষ্টি হতে পারে ধুলাবালি শক্তিশালী সুগন্ধি এবং অন্য দূষণ সৃষ্টিকারী উপাদানের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা লাগবে।

এজন্য আপনার বালিশের কভার ও ম্যাট্রেসের এ বিষয়গুলো এর আবরণ থেকে আপনার দূরে থাকা। প্রয়োজন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ধূমপান এবং সেকেন্ড হ্যান্ড এছাড়াও ধূমপানকারী থেকে দূরে থাকতে হবে। তা না হলে একবার বা শ্বাসকষ্ট বেশি হবে।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয় ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট অনেকের বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কারণ এ সময় তারা সচেতনতা অবলম্বন করতে পারে না। তাই গর্ভাবস্থায় শ্বাসকষ্ট হলে কি করনীয়? এ সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা অনেকেই ভুল ধারণা রয়েছে, যে গর্ভবতী নারীদের শ্বাসকষ্ট হলে এই ইনহেলান ব্যবহার করা যাবে না। 

কিন্তু এটা একটা ভুল ধারনা কেননা চিকিৎসকরা ইনহেলান ব্যবহার করতে বলেন তাই আপনি নিশ্চিন্তে শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা নেবেন, আশা করি সুস্থ হয়ে যাবেন। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪