গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয় ও যেসব উপকার পাবে শিশু
যে সকল গর্ভবতী মহিলারা টক জাতীয় ফল বেশি খেয়ে থাকে, তারা জানতে চায় যে গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয়? আসলে আমলকির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে, যা গর্ভবতীর জন্য ভালো হবে। চলুন, আমলকি খেলে গর্ভবতীর কি উপকার হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আমলকি একটু টক জাতীয় ফল যা গর্ভবতীরা বেশি পছন্দ করে থাকে। তাই এই ফলটি যদি গর্ভবতী খেতে পারেন, তাহলে তার শরীরের আয়রন, ক্যালসিয়াম এর চাহিদা পূরণ করবে। তাই গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয় ও যেসব উপকার পাবে শিশু
গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয়
গর্ভবতী মায়েরা সাধারণত টক জাতীয় ফল গুলো খেতে চায়, তার মধ্যে অন্যতম হলো আমলকি। তাই গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয়? সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো;
গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এই সময় বিভিন্ন ধরনের শরীরে পরিবর্তন হতে পারে। বিশেষ করে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের পরিবর্তন হয়ে থাকে। এই সময়ে তাদের রুচিবোধ ও পাল্টে যায়। এজন্য তারা বিভিন্ন ধরনের ফল এবং খাদ্য খেতে চায়। তাদের কাছে অনেক খাবার গুলো পছন্দ হয় না।
এই সময় তাদের মুখে কোন খাবার স্বাদ লাগেনা, এই জন্য অনেকেই টক জাতীয় ফল খাওয়ার ইচ্ছা করে এর মধ্যে আমলকি অন্যতম। তাই গর্ভাবস্থায় আমলকি অনেক উপকার করে থাকে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে।
এজন্য চিকিৎসকরা গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টির অভাব পূরণ করার জন্য এটা কাঁচা খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও যদি সরাসরি না খেতে পারেন। তাহলে এর জুস বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ধরনের আমলকির আচার পাওয়া যেতে পারে। সেটাও খেতে পারেন। তাছাড়া দিনের মধ্যে ১-২টি আমলকি এমনি খেতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক আমলকি গর্ভবতী মায়েদের কি উপকার করে।
অধিকাংশ গর্ভবতীরা সাধারণত এ সময় ক্লান্ত বোধ অনুভব করে, অলসতা ভাব চলে আসে, বমি বমি মনে হয়, কোন কাজ করতে মন চায় না, মেজাজ খিটখিটে থাকে, এক্ষেত্রে আমলকির রস খাওয়া যেতে পারে। এতে তার মেজাজ ভালো থাকবে এবং সবকিছুই ভালো লাগবে।
গর্ভবতীদের সাধারণত এই সময় কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি দেখা যায়, তাই আমলকি খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মধ্যে ফাইবার থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পাবে রক্ষা পাবে। এছাড়াও এর মধ্যে আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টি থাকে যা গর্ভবতীদের জন্য রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই গর্ভবতী মহিলারা এ সময় এটা খেতে পারেন।
গর্ভবতীদের সাধারণত এ সময়ে অনেকের উচ্চ রক্তচাপ থাকতে পারে। তাই নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়মিতভাবে আমলকি খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর ভিতরে থাকে ভিটামিন সি যা রক্ত নালীকে প্রসারিত করতে পারবে এবং রক্তচাপকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় যদি কারো জ্বর ও সংক্রমণ হয়ে থাকে সেটা প্রতিরোধ করতে পারবে। তাই এই সময়ে পরিমাণ মতো আমলকি খাওয়া যেতে পারে।
অনেক গর্ভবতী মহিলাদের এই সময়ের হাত-পায়ে পানি দেখা যায় ও পা ফুলে যায়। এজন্য তারা আমলকি খেতে পারবেন। কেননা এর মধ্যে থাকে এন্টি ইনফ্লামেন্টারি যা আপনার দেহের হাইড্রেট রাখতে সহযোগিতা করবে।
গর্ভবতী মায়েদের অনেকের দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে এবং অনেকের পুজ আসতে থাকে, মুখ দিয়ে বা নিঃশ্বাসের সাথে দুর্গন্ধ চলে আসে। এজন্য এটাকে দূর করার জন্য আমলকি খাওয়া যেতে পারে। কারণ এর মধ্যে ভিটামিন সি থাকে যা এ ধরনের সমস্যাগুলো দূর করতে পারে।
অনেক গর্ভবতীর হাত ও পায়ের পাতা ফুলে যেতে পারে এতে এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য আমলকি খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মধ্যে থাকে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান, এছাড়াও এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ জলীয় উপাদান রয়েছে যা দেহকে হাইড্রেট রাখার চেষ্টা করে।
আমলকির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট যা গর্ভবতীদের প্রসবের যদি ইনফেকশন থাকে ও বিষাক্ত পদার্থ গুলো বের করে দিতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস না থাকলেও গর্ভবতীদের সাধারণত এই সময় অনেকের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। যাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলা হয়। গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে। আমলকির মধ্যে থাকে এন্টিবায়োটিক উপাদান যা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এর সম্ভাবনা কম থাকে।
সকালের ক্লান্তি ভাবঃ সাধারণত গর্ভবতী মায়েরা সকালবেলায় খুবই দূর্বলতা লাগে, এজন্য শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আমলকি খাওয়া যেতে পারে। এতে অলসতা এবং ক্লান্তি ভাব দূর হবে।
রক্ত পরিশোধন করেঃ এই আমলকি খাওয়ার কারণে শরীর থেকে টক্সিন নামক উপাদান বের করে দেবে যা ভ্রন কে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
চুল পড়া বন্ধ করতেঃ গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এই সময় অনেকের চুল পড়তে পারে, এজন্য চুল পড়া বন্ধ করতে আমলকির রস খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মাঝে অ্যামাইনো এসিড ও প্রোটিন থাকে যা চুল পড়া বন্ধ করতে পারে।
ভিটামিন সি জাতীয় ফলঃ আমলকির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়া আয়রন ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা চিকিৎসকরা এটাকে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধি ফল বলে থাকে।
গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। তাই গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
যদি গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে চান সে ক্ষেত্রে আমলকি খেতে পারেন। কেননা এটা ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। এর মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, এছাড়া অন্যান্য ভিটামিন সি যুক্ত ফলের চাইতে এর মধ্যে কয়েক গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে।
চুলের যত্নের ক্ষেত্রে এই ফল ব্যবহার করতে পারেন, এতে চুলের গোড়া মজবুত করবে ও খুশকি দূর হবে। এছাড়াও আমলকি পাকা চুল এর ক্ষেত্রে ভালো কাজ করবে, তাছাড়া চুল অনেক লম্বা হবে।
সকালে এর রস মধুর সাথে মিক্সড করে খেতে পারেন। কেননা এটা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করবে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখবে।
আমলকির মধ্যে আছে ফাইটোকেমিক্যাল চোখের যত্নে ভালো কাজ করে থাকে। এছাড়াও এটা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করবে। তাছাড়া চোখের বিভিন্ন ধরনের ছানি পড়া, প্রদাহ, চুলকানো, পানি করা সকল ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
আপনি যদি এর রস খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে নিঃশ্বাসের যে দুর্গন্ধ হয় এবং দাঁতের মজবুতরের ক্ষেত্রে উপকার করে থাকে।
আমলকি যেহেতু টক জাতীয় ফল তাই এটা খাওয়ার কারণে মুখের রুচি বাড়াবে। তাই গর্ভাবস্থায় মুখের রুচি বাড়ানোর জন্য আমলকি খেতে পারেন। এর কারণে খিদে লাগবে এজন্য আপনি আমলকি গুড়ার সাথে সামান্য মধু মিক্সড করে খেতে পারেন।
প্রতিদিন সকালবেলায় নিয়ম করে যদি এই আমলকি খেতে পারেন, তাহলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ হবে। এছাড়াও ভিটামিন সি থাকার কারণে ঠান্ডা লাগা, ফুসফুস যন্ত্র, মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি ইত্যাদি ধরনের কাজ করে থাকে। তাছাড়া ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে উপকার করে থাকে। এছাড়া কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার অপকারিতা
আমলকির উপকারিতা আছে তবে বেশি খেলে ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভাবস্থায় এই ফল শরীরের সকল ক্ষেত্রেই উপকার করে থাকে। কারণ এর মধ্যে ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকে, এজন্য এই ফল খাওয়ার কারণে সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু উপকার করলেও কিছু ক্ষতিকর রয়েছে। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা, তাহলে আপনার যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে চলুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
হজমের সমস্যাঃ এর মধ্যে ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকে, যা অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে গর্ভবতীদের হজমের সমস্যা, পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এছাড়াও এসিডিটির সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় আমলকি পরিমাণ মতো খাওয়া প্রয়োজন।
কিডনিতে পাথর হতে পারেঃ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অক্সলেট থাকে যা অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে। গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে আমলকি খাওয়ার সতর্কতা থাকতে হবে, তাই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
হাইপোগ্লাইসিমিয়াঃ যারা ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন তাদের যদি ব্লাড সুগার খুবই কমে যায়, তাহলে একে বলা হবে হাইপোগ্লাইসোমিয়া। এতে স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনার রক্তের শর্করার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত আমলকি খাওয়া যাবেনা।
রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়ঃ আপনি যদি এটা অতিরিক্ত খেয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যা হার্টের সমস্যা হয়ে থাকে, এজন্য গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত আমলকি খাওয়া যাবে না।
দাঁতের সমস্যাঃ এর মধ্যে অনেক অম্ল ভাব থাকে যা আপনার দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করতে পারে। যার কারণে কাভিটি ও টুথ সেনসিটিভিটির জন্য দাঁতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এটা কাঁচা খাওয়ার পরে মুখ পরিষ্কার করবেন। এক্ষেত্রে শুকনো আমলকি খাওয়া যেতে পারে, এতে অম্ল ভাব কম রয়েছে।
রক্ত তরল হয়ে যায়ঃ এর মধ্যে এন্টি প্লেটলেট থাকার কারণে রক্তকে তরল করতে পারে এবং রক্ত জমাট বাধতে অসুবিধা হয় কিন্তু যাদের রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা আছে তারা আমলকি খাবেন না। এক্ষেত্রে রক্ত আরও পাতলা হবে।
এতে একটু কেটে যাওয়ার সাথে সাথে সেটা আর বন্ধ হবে না। আর রক্তপাত বন্ধ না হওয়ার কারণে রক্তশূন্যতা হয়ে মারা যেতে পারে। এজন্য এক থেকে দুইটি আমলকি খাওয়া যেতে পারে। এর কারণে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ফাইবার গ্রহণ করবেন।
আমলকি কাদের খাওয়া উচিত নয়
অনেকের বড় ধরনের রোগ থাকে তাদের ক্ষেত্রে আমলকি খাওয়া ঠিক হবে না। তাই আমলকি কাদের খাওয়া উচিত নয়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
লিভারের সমস্যাঃ যাদের লিভারের সমস্যা আছে তারা এর রস খাবেন না। এতে ভিটামিন সি এবং এসিডিটি থাকার কারণে লিভারের সমস্যা আরো বৃদ্ধি করতে পারে। এ কারণে যাদের লিভারের সমস্যা আছে তারা আমলকির রস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
কিডনির সমস্যাঃ যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে তারা এর রস খাবেন না। এক্ষেত্রে শরীরে ক্ষতি করবে কেননা এতে বায়োএকটিভ উপাদান আছে। যা কিডনি রোগের কোষ এবং টিস্যুর ক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে। তাই এ সকল রোগীদের ক্ষেত্রে আমলকি খাওয়ার সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
নিম্ন রক্তচাপ থাকলেঃ যাদের সব সময় নিম্ন রক্তচাপ থাকে তাদের ক্ষেত্রে এটা খাওয়া যাবে না। কেননা এতে নিম্ন রক্তচাপের ক্ষেত্রে অনেকটাই ক্ষতি করতে পারে। নিম্ন রক্তচাপ কমানোর জন্য যে উপাদান থাকা দরকার আমলকির মধ্যে তা আছে। তাই তারা অতিরিক্ত রস খাবেন না।
গর্ভাবস্থায় আমলকিঃ গর্ভাবস্থায় আমলকি বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে কিন্তু ক্ষতিও করবে। কেননা এটা খাওয়ার কারণে এসিডিটি বৃদ্ধি পায় যেহেতু এই সময়ে গর্ভবতীদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে থাকে।
এজন্য অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। এই ক্ষেত্রে আপনার পেট ফুলে যেতে পারে। এছাড়াও আপনার প্রসবের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে আপনার অতিরিক্ত আমলকির রস খাওয়া যাবে না।
আমলকি কাঁচা না শুকনা খাবেন
অনেকে জিজ্ঞাসা করে থাকে যে আমলকি কাঁচা না শুকনা খাবেন এক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে। কোন ধরনের আমলকি খেলে আপনার শরীরের জন্য উপকার করবে। সে সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
এই ফল অত্যন্ত উপকার করে থাকে যাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি আছে। যা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকার করবে। বিশেষ করে গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির উপাদান পূরণ করে থাকে। সে ক্ষেত্রে ঠান্ডা সর্দি কাশি বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে রক্ষা করতে পারে।
কারণ এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আপনার ঠান্ডা কাশি এগুলো দূর করতে সাহায্য করবে। এ ছাড়াও চুল ও ত্বকের ক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো কাজ করে থাকে। গর্ভবতী নারীদের এই সময়ে ত্বক এবং ঘন ঘন ঠান্ডা লাগতে পারে সেই ক্ষেত্রে আমলকি খাওয়া যেতে পারে, তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
পুষ্টিবিদরা মনে করেন আমলকি রোদে শুকালে এর পর যদি খাওয়া হয় সে ক্ষেত্রে রোগব্যাধি অনেকটাই ঝুঁকি কম থাকে। এই ক্ষেত্রে কি উপকার করতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
শুকনা আমলকি খাওয়ার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। কারণ এর মাঝে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আপনি একটি শুকনা আমলকি নিবেন এবং পানির ভিতরে ফোটাবেন এরপরে যখন এই পানিটুকু খাবেন সে ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে যেমন এসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য বদহজমের মত সমস্যাগুলো দূর হবে।
এছাড়াও এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ও সি থাকার কারণে আমাদের চোখের সমস্যা ও দূর হবে। তাই এই শুকনা আমলকি খাওয়া যেতে পারে এছাড়াও যাদের সমস্যা আছে সেটাও কমাতে সাহায্য করবে।
এটা মুখের ত্বকের ক্ষেত্রে বা পরিষ্কার করতে, দাঁতের দুর্গন্ধ থেকে দূর করার জন্য এই শুকনা আমলকি আপনি চিবিয়ে খেতে পারেন এতে মুখের দুর্গন্ধ অনেকটাই কমে যাবে।
শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয় ও যেসব উপকার পাবে শিশু
পরিশেষে বলা যায় যে আমলকি অত্যন্ত ভিটামিন সি যুক্ত ফল, যা আপনার ঠান্ডা কাশি ও ক্ষমতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। এজন্য এই আমলকি খাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতীদের আমলকি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
তাই গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url