আসরের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয় জেনে নিন
আসরের নামাজ অনেকেই অবহেলা করে থাকে যার কারণে এটা সম্পর্কে জানে না। তাই আসরের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয়? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। চলুন, আসরের নামাজ কত রাকাত এবং কিভাবে পড়বেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আসরের নামাজ খুবই সংক্ষিপ্ত কিন্তু লোকজন সাধারণত অলসতা দেখে বা বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে গিয়ে থাকে না। যেন এটা সহি শুদ্ধমত হয়, তাই আসরের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃআসরের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয় জেনে নিন
আসরের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয়
অনেকে জানতে চায় যে আসরের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয়? যদিও বিষয়টি খুবই সাধারণ কিন্তু তারপরও যারা জানে না তাদের কাছে অনেক কঠিন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এর মধ্যে তৃতীয় নাম্বার হল আসরের নামাজ। তাই এই নামাজ সম্পর্কে চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
এই নামাজ যত রাকাতঃ এই নামাজ কত রাকাত হবে এটা নিয়ে অনেক মতবিরোদ রয়েছে। হানাফী মাযহাবের মত এই নামাজ ৮ রাকাত, চার রাকাত সুন্নত, চার রাকাত ফরজ। ফরজ নামাজের পূর্বে চার রাকাত সুন্নত নামাজ রয়েছে।
মুসাফিরের জন্য আসরের নামাজঃ মুসাফিরের জন্য এই নামাজ দুই রাকাত পড়তে হবে। রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ মুসাফিরের জন্য দুই রাকাত পড়া লাগবে কিন্তু অন্য মাযহাবের বংশধরের লোকেরা মুসাফির অবস্থায় দুই রাকাত নামাজ পড়ে সে ক্ষেত্রে সুন্নত হবে।
চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায়ের নিয়মঃ প্রথমে পবিত্রতা অর্জন করবেন, এরপরে অজু করে কেবলা মূখী হয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে যাবেন। অবশ্যই জায়গাটা পরিষ্কার হতে হবে এবং জামাতে নামাজ পড়তে হবে।
তারপরে এই নামাজের নিয়ত করতে হবে, আরবিতে পড়লে ভালো হবে। বাংলাতে পড়লে কোন সমস্যা নাই।
তাকবীর করে দুই হাত কাধ বরাবর হাত নিয়ে বেঁধে নিবেন অবশ্যই নাভির উপরে হাত বাঁধতে হবে। তারপরে ছানা পড়া লাগবে।
এরপরে সুরা ফাতেহা পড়তে হবে এর সাথে অন্য একটি সূরা পড়া লাগবে।
তারপর রুকুতে যেতে হবে এরপর সুবহানা রব্বিয়াল আযিম সর্বনিম্ন তিনবার পড়া যাবে, এরপর বিজোড় ভাবে আরো বেশি পড়া যাবে।
রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়াবেন এবং রাব্বানা লাকাল হামদ বলতে হবে।
এরপরে সেজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা সর্বনিম্ন তিনবার এবং সেজদা থেকে উঠে আবার দ্বিতীয়বার সেজদা দিবেন এবং এই তাজবিটা পাঠ করবেন।
এভাবেই প্রথম রাকাত শেষ করতে হবে
এভাবে পুনরায় আবার দ্বিতীয় রাকাতও পড়ে নিবেন।
দ্বিতীয় রাকাতের সিজদার পরে তাশাহুদ পাঠ করা লাগবে, এরপর আবার সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। এরপরে বাকি আরো দুই রাকাত, এই প্রথম দুই রাকাতের মত করে পড়ে নিবেন। তারপরে শেষ বৈঠকে গিয়ে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ, দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ করে সালাম ফিরে নামাজ শেষ করবেন।
৪ রাকাত ফরজ নামাজ আদায়ের নিয়মঃ চার রাকাত ফরজ নামাজ মূলত সুন্নতের মতই পড়তে হবে। তাদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে।
ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে প্রথমে নিয়ত করতে হবে। এরপরে আপনাকে আর কিছু বলতে হবেনা। এ ক্ষেত্রে ইমামের উপর ছেড়ে দিতে হবে। আপনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকবেন এবং রূকু ও সেজদার সময় শুধু তাসবিহ গুলো পাঠ করবেন।
তারপরে মাঝখানে প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ পড়বেন। বাকি দুই রাকাত ইমামের সাথে পড়ে নিবেন। তারপরে শেষ বৈঠকে বসে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ,দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে ইমাম সাহেব সালাম ফিরাবে সাথে আপনিও সালাম ফিরে নামাজ শেষ করবেন।
আশা করি উপরোক্ত এই পদ্ধতিতে নামাজ পড়তে পারবেন এবং কত রাকাত সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।
আসর নামাজের সময়
অনেকে জানতে চায় আসর নামাজের সময় সম্পর্কে, এটা মূলত বিকালের সময়ে হয়ে থাকে। যোহরের নামাজের শেষ হওয়ার পর আসরের নামাজের সময় শুরু হতে থাকে। অধিকাংশ ইমামের মতে যখন কোন বস্তুর ছায়া ওই বস্তুর সমান ছায়া দেখা যাবে তখনই আসরের নামাজ শুরু হবে।
তবে নামাজ শুরু হওয়ার পরপরই পড়া ভালো। বিশেষ করে সূর্য যখন হলদে হয়ে যায় এই সময় আর নামাজ পড়বেন না। কেননা রাসূল সাঃ বলেছেন, 'সূর্য যখন হলদে রং হয়ে যায় তখন শয়তানের দুই শিং এর মাঝখানে এসে যায়, তখন মোনাফেকরা এই নামাজ পড়ে থাকে।' মুসলিম শরীফ
সুতরাং সূর্য যখন হলদে রং হবে তার আগেই আপনাকে নামাজ পড়তে হবে, দেরি করা যাবে না।
আসরের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানুন
আসর নামাজের অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে, তাই আসরের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আল্লাহ তা'আলা আমাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করছেন। তার মধ্যে আসরের নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নামাজটি পবিত্র কুরআনে গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
কেননা মহান আল্লাহ তা'লা বলেছেন, 'তোমরা নামাজ সমূহ ও মধ্যবর্তী নামাজের হেফাজত করো এবং আল্লাহর জন্য দাঁড়িয়ে বিনীত হয়ে যাও।' সূরা বাকারা আয়াত নাম্বার ২৩৮
বিভিন্ন হাদিস থেকেও অধিকাংশ আলেমগণকে নামাজের গুরুত্ব দিয়েছেন। এদিক বিবেচনা করে দিনের দুটি নামাজ হলো ফজর ও জহর নামাজ এবং অপরদিকে রাতের দুটি নামাজ মাগরিব ও এশা নামাজের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
অনেকেই কাজকর্মে ব্যস্ততা থাকে, চাকরিজীবীরা এই সময় বাসায় যাওয়ার তাড়াহুড়া করে থাকেন, যার কারণে অনেক সময় এই নামাজটা পড়া হয় না। এছাড়াও ব্যবসায়ী, ছাত্র-ছাত্রীরা, মোট কথা সব শ্রেণীর মানুষ এই সময় খুবই ব্যস্ত থাকে। যার কারণে অলসতা করে বিভিন্ন অজুহাতে নামাজটা ঠিকঠাকমতে পড়ে না।
তাই হাদিসে এই নামাজের প্রতি অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং এটা একটি দিনের আমল হিসেবে আল্লাহ তা'লা কবুল করে নিবেন। হাদিসের ভাষ্যমতে বান্দা দৈনিক আমল গুলো দুই সময় করে থাকে আবার এই দুই সময়ে ফেরেস্তাগুলো পালাবদল হয়ে থাকে। ফেরেশতারা গিয়ে মহান আল্লাহর কাছে বান্দার আমলের হিসাব দেন তার মধ্যে অন্যতম হলো একটি আসরের নামাজ।
আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সাঃ বলেছেন, 'এ সময় ফেরেশতারা সাধারণত পরিবর্তন হয়ে তোমাদের কাছে আসে এবং একদল দিনে ও একদল রাতে তারা পালাবদল করে। আসর এবং ফজরের নামাযে উভয় দল আবার একত্রিত হয়ে যায় অথবা তোমাদের মাঝে রাত যাপনকারীরা দলটি উঠে যাবে।
তখন তাদের প্রতিপালক জিজ্ঞেস করবে আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় রেখে আসলে? অবশ্য তিনি নিজেই সব ব্যাপারেই জানেন, তারপরেও তাদেরকে জিজ্ঞেস করবে। তখন তারা বলবে যে তাদেরকে আমি নামাজরত অবস্থায় দেখে এসেছি আর যখন তাদের কাছে গিয়েছিলাম তখন তারা নামাজ অবস্থায় ছিল।' বুখারী শরিফঃ ৫৫৫
এই হাদিস দ্বারা বোঝা গেল যে এই নামাজ মুসলিমদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নামাজের সময় মুসলমানরা সাধারণত বাইতুল্লাহর দিকে ফিরে নামাজ পড়ে অর্থাৎ কেবলা পরিবর্তনের ঘটনাটির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। বুখারী হাদিসঃ ৪০
এমনকি পূর্ববর্তী উম্মতদের ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এই নামাজটি তাদের উপর ফরজ ছিল। যা আমাদের নবী সাঃ এর হাদিসেই পাওয়া যায়। আবু বাসরা গিফারী রহঃ তিনি বলেছেন রাসূল সাঃ মুখাম্মাস এই স্থানে আমাদের নিয়ে আসরের নামাজ আদায় করেছিলেন।
তিনি বললেন তোমাদের মধ্যে পূর্ববর্তী উম্মদের কাছেও এটা পেশ করা হয়েছিল কিন্তু তারা এর মর্যাদা রক্ষা করতে পারে নাই। যে ব্যক্তি এই নামাজ আদায় করল সে সওয়াব পাওয়া যাবে। তাই এই সালাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতএব আমাদের উচিত শত ব্যস্ততার মাঝেও এই নামাজের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং অন্যান্য নামাজ গুলোর গুরুত্ব সহকারে পড়া।
আসরের নামাজের গুরুত্ব
এই নামাজ পড়লে অনেক সওয়াব পাবেন। তাই আসরের নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই এই নামাজের প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
মহান আল্লাহ তা'লা আসরের নামাজ এর গুরুত্ব দিয়েছেন। কেননা এই নামাজের আগে দুই ওয়াক্ত নামাজ রয়েছে এবং পরেও দুই ওয়াক্ত নামাজ থাকে। এজন্যই এই নামাজকে মধ্যবর্তী নামাজ বলা হয়। মহান আল্লাহ তা'আলা বিভিন্ন কারণে সুরা আসরের কসম করেছেন, তাই এই নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপরুক্ত এই আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে আল্লাহ তা'লা আসরের নামাজের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এছাড়া মহান আল্লাহ তা'লা সূরা তোহার মধ্যে সূর্য উদয় এবং সূর্যাস্তের পরে যে নামাজ পড়া হয়, সেই নামাজের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন অর্থাৎ ফজর এবং আসর।
তাছাড়া হাদিসেও এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি ফজর ও আসরের নামাজ জামাতের সাথে পড়ল, তার জন্য ফেরেশতারা আল্লাহর কাছে সুপারিশ করে এবং বলবে যে আমরা তাকে সবসময় নামাজ অবস্থায় দেখি।
এছাড়া আরো একটি হাদিসে বলা হয়েছে যে জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ বর্ণিত আমরা একবার নবীজির কাছে গেলাম হঠাৎ তিনি পূর্ণিমার চাঁদ দেখছিলেন ও বললেন, অচিরেই তোমাদের রবকে দেখতে পাবে।
যেভাবে চাঁদকে তোমরা দেখতে পাচ্ছ, আল্লাহকে দেখতে কোন ধরনের ভিড়ের সম্মুখীন হবে না। যদি এই নিয়ামত লাভ করতে চাও তাহলে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের আগে অর্থাৎ ফজর ও আসরের নামাজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। সহীহ বুখারী হাদিস নাম্বারঃ ৪৮৫১
আছর নামাজ না পড়ার শাস্তি
মুসলমান হিসেবে যদি আসরের নামাজ না পড়েন সে ক্ষেত্রে শাস্তি আছে। তাই আছর নামাজ না পড়ার শাস্তি কি হতে পারে সে সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
আসরের নামাজ না পড়লে অনেক বড় ধরনের শাস্তি হতে পারে। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন, 'যদি কোন ব্যক্তি আসরের নামাজ না পড়ে, তাহলে তার পরিবার পরিজন ও ধন সম্পদ সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। বুখারী শরীফঃ ৫৫২
মালিহ রঃ বর্ণিত তিনি বলেন 'আমরা বুরাইদা রাঃ এর সাথে ছিলাম। দিনটি মেঘাচ্ছন্ন ছিল, তাই বুরাইদা রাঃ বললেন, তোমরা আসরের নামাজ তাড়াতাড়ি পড়ে নাও কারণ নবী করীম সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি আসরের নামাজ পড়লো না তার আমল নষ্ট হয়ে যাবে।' বুখারী শরিফঃ ৫৫৩
আসরের ফরজ ৪ রাকাতের আগে সুন্নত না পড়লে কি গুনাহ হবে
অনেকেই এই প্রশ্নটা করে থাকে যে আসরের ফরজ ৪ রাকাতের আগে সুন্নত না পড়লে কি গুনাহ হবে? তাই এই প্রশ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা অনেকেই এটা পড়ে না, এটা না পড়লে গুনাহ হবে কিনা সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন এ বিষয়ে জানেন নেওয়া যাক।
অন্যান্য এবাদতের মধ্যে নামাজের কথা গুরুত্ব রয়েছে এবং কোরআন শরীফের মাঝেও নামাজের কথা আছে। হাদিসে একাধিকবার নামাজের কথা বলা হয়েছে সে সঙ্গে গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রথমত নামাজ পড়তে হবে এমনকি আল্লাহর প্রতি যথাসময়ে নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হওয়া যায়।
এক্ষেত্রে একাকী নামাজ পড়ার চেয়ে জামাতে নামাজ পড়া উত্তম। হাদিসে এসেছে রাসূল সাঃ বলেছেন 'একাকী নামাজ পড়ার চেয়ে জামাতের সাথে নামাজ পড়লে তার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।' সহীহ বুখারি হাদিসঃ ৬৪৫
অন্যদিকে ওয়াক্ত মত নামাজ আদায় করলে আল্লাহতালা খুবই পছন্দ করে থাকেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত 'রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল কোনটি? তিনি বললেন যথাসময়ে নামাজ পড়া।
পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন এর পরে কোনটি তিনি বললেন এরপর পিতা-মাতার সাথে ভালো ব্যবহার করা। তারপর ইবনে মাসুদ আবার বললেন তারপরে কোনটি রাসূল সাঃ বললেন আল্লাহর পথে জিহাদ করা।' সহি বুখারি হাদিসঃ ৫০২
এক্ষেত্রে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে অন্যতম হলে আসরের নামাজ। তবে আসরের সময় ফরজ নামাজের পূর্বে চার রাকাত সুন্নত যা রাসূল সাঃ আদায় করতেন।
আলী রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাঃ বলেছেন, 'আসরের পূর্বে চার রাকাত সুন্নত আদায় করতেন রাসূল সাঃ এছাড়াও আল্লাহর মোকাররাব ফেরেশতা ও তাদের অনুসারীরা মুসলিমদের উপর সালাম পেশ করতেন।' তিরমিজি শরীফঃ ৪২৯
তবে প্রশ্ন হল এই ফরজ নামাজের আগে যে চার রাকাত সুন্নত রয়েছে এটা কি আসলে পড়তেই হবে বা বাধ্যতামূলক। কেউ যদি এই চার রাকাত নামাজ না পড়ে তাহলে গুনাগার হতে হবে কিনা।
যে সুন্নতগুলোর প্রতি রাসূল সাঃ বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন সেগুলো পড়ার লাগবে যেমন জোহরের নামাজের আগে যে চার রাকাত সুন্নত রয়েছে সেটা অবশ্যই পড়তে হবে, এগুলো ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না।
এ দিকে আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজের আগে যে সুন্নত নামাজ রয়েছে, সেটা রাসুল সঃ সময় পেলে এটা পড়তেন। তবে নিয়মিতভাবে কখনো পড়েন নাই। তাই অধিকাংশ আলেমগণের মত কেউ সময় পেলে এটা পড়বেন, সে ক্ষেত্রে সওয়াব পাওয়া যাবে কিন্তু যদি আদায় না করে সে ক্ষেত্রে গুনাহগার হবেন না।
শেষ কথাঃ আসরের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয় জেনে নিন
পরিশেষে বলা যায় যে আসরের নামাজ সম্পর্কে আল্লাহতালা খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ এটা দিনের মধ্যবর্তী নামাজ যা কুরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাই অবশ্যই এই নামাজের প্রতি গুরুত্ব দিবেন। এই নামাজ কিভাবে কত রাকাত পড়তে হবে এ সম্পর্কে জানাও প্রয়োজন।
তাই আসরের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার বুঝতে সমস্যা হবে না। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url