খালি পেটে কমলা খেলে কি হয় ও যেসব রোগে খাবেন না

অনেকে কমলা খেতে পছন্দ করে কিন্তু খালি পেটে কমলা খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানে না। তাই খালি পেটে খাওয়ার কারণে কি হতে পারে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কমলা খেলে কি উপকার হয়, এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
কমলার মধ্যে ভিটামিন সি থাকে যা খালি পেটে খাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কমলা খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাই খালি পেটে কমলা খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃখালি পেটে কমলা খেলে কি হয় ও যেসব রোগে খাবেন না

খালি পেটে কমলা খেলে কি হয়

অনেকে জানেনা খালি পেটে কমলা খাওয়ার কারণে কি হতে পারে। তাই খালি পেটে কমলা খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে চলুন, নিম্নে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

টক মিষ্টি ফল কমলা ছোট বড় সবাই পছন্দ করে, এটা রসালো ফল। এর মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, এছাড়াও এ জাতীয় টক মিষ্টি ফল যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। মুখে অত্যন্ত সুস্বাদু লাগে তাছাড়া উপকারিতা অনেক রয়েছে।

বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে এটা ভালো কাজ করে থাকে। তাই সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন কমলা খাওয়া যেতে পারে। তবে আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে খালি পেটে অতিরিক্ত না খাওয়া ভালো। কিছু একটা খাবার খেয়ে তারপরে খাবেন তাহলে উপকার পাবেন।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, তাছাড়া এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। কমলার মধ্যে ভিটামিন-এ' অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার ও ফ্লাভোনয়েড থাকে।

যা শরীরের প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে থাকে, এছাড়া ওজন কমানোর জন্য ফল এই ফলটি দারুন কাজ করে থাকে। তাই কমলা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এছাড়াও এটি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার দূর করে।

দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখেঃ কম বয়সে অনেকের দৃষ্টি শক্তি সমস্যা হতে পারে, এক্ষেত্রে আপনার চোখ ভালো রাখতে হলে নিয়মিত ভাবে কমলা খেতে পারেন। এটা খেলে দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে কারণ আমাদের ত্বক ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন ভিটামিন-সি। কমলায় এই ভিটামিন রয়েছে, তাছাড়া শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।

ক্যান্সার থেকে দূরে রাখেঃ ক্যান্সার একটি ভয়াবহ রোগ, তাই আপনি প্রতিদিন যদি একটি করে কমলা খেতে পারেন। তাহলে আপনি এক সময় এ ধরনের রোগ থেকে বেঁচে যাবেন।
কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আলফা ও বিটা ক্যারোটিন থাকার কারণে সকল ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে, যা আমাদের ফুসফুস, স্তন, পাকস্থলী ক্যান্সার ইত্যাদির বিরুদ্ধে এ সকল উপাদান গুলো কাজ করে থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি যা রোগকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। তাই নিয়মিতভাবে আপনি যদি কমলা খেতে পারেন, তাহলে আপনার রোগব্যাধি কম হবে এবং যত ধরনের রোগ রয়েছে সেগুলো সংক্রমণ করতে পারবেনা।

ত্বক সুন্দর করেঃ সুন্দর ত্বক সবাই পছন্দ করে থাকে, তাই অনেকে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকে কিন্তু সে গুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে ত্বক নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য কমলা খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, যা ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে পারবে।

এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যার কারণে ত্বককে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বকের ব্রণ চলে যাবে। তবে সকালবেলা খালি পেটে অতিরিক্ত কমলা লেবু খাবেন না, যদি আপনার এসিডিটির সমস্যা থাকে। কারণ এর মধ্যে এক ধরনের সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে, যা আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই কিছু খাবার খাওয়ার পরে এই ফল খাওয়া যেতে পারে।

কমলা লেবু খাওয়ার কারণে মুখে রুচি বৃদ্ধি পায় যার কারণে খাবারের প্রতি আগ্রহ থাকে এবং শরীরে অনেক শক্তি বৃদ্ধি পায়।

তাছাড়াও যদি আপনি পরিশ্রম করার কারণে শরীর যদি ক্লান্ত লাগে, সে ক্ষেত্রে কমলার জুস খেতে পারেন। এতে আপনার ক্লান্তিকভাব অনেক কমে যাবে।

কমলার মধ্যে যে উপাদান রয়েছে তা কৃমি এর সমস্যা সমাধান করে থাকে।

এছাড়াও অন্যান্য যে লেবুগুলো রয়েছে তার মধ্যে যেমন ভিটামিন সি রয়েছে যা আপনার ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করবে।

কমলালেবু অনেকটাই টক হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে কখনোই লবণ দিয়ে খাবেন না, এতে আরো ক্ষতি হবে। এমনি খাওয়ার চেষ্টা করবেন, তবে কমলা খালি পেটে অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। এতে আপনার এসিডিটির সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।

খালি পেটে কমলা খেলে কি ক্ষতি হয়

যেহেতু কমলার মাঝে এক ধরনের অ্যাসিড রয়েছে যা আপনার পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই খালি পেটে কমলা খেলে কি ক্ষতি হয়? সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

হজমের সমস্যাঃ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যার কারণে আপনি যদি অতিরিক্ত খান সে ক্ষেত্রে বদহজম, ডায়রিয়ার মত সমস্যাগুলো দেখা যেতে পারে। আর যদি পরিমাণ মত কমলা খাওয়া হয় সেক্ষেত্রে আরও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করবে এবং হজম শক্তিতে বৃদ্ধি করবে।

অম্বলঃ এর মধ্যে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড থাকার কারণে এটা প্রাকৃতিক গতভাবেই এসিডিটি বৃদ্ধি করতে পারে। তাই অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা, তাহলে খাদ্যনালীতে জ্বালাপোড়া করে এবং অম্বল বা এসিড রিফ্লেক্স সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ডায়রিয়াঃ এর মধ্যে ফাইবার থাকার কারণে অতিরিক্ত যদি খেয়ে ফেলেন সে ক্ষেত্রে শরীরের জন্য ক্ষতি হবে। বিশেষ করে কমলা যদি প্রচুর পরিমানে খাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে বুক জ্বালা পড়া, এসিডিটি এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অতিরিক্ত ভিটামিন সি ক্ষতিকরঃ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যার কারণে অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে শরীরে ক্ষতি হতে পারে, বমি বমি ভাব, ঘুমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনিতেও পাথর দেখা দিতে পারে।

শিশুদের ক্ষেত্রেঃ শিশুদের জন্য কমলা পরিমাণ মত খাওয়া ভালো কিন্তু যদি অতিরিক্ত খাওয়ানো হয় সে ক্ষেত্রে ক্ষতি হবে। কারণ এতে পেট ব্যথা করতে পারে, ডায়রিয়াও হতে পারে।

রাতে কমলা খেলে কি হয়

রাত্রিতে বিভিন্ন ধরনের ফল খেলে পেটের সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রাতে কমলা খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনার উপকার হবে, চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
পুষ্টিবিদগণ বলেন রাত্রিতে ফল খেলে শরীরে ক্ষতি হতে পারে, তবে এ ধারণা ঠিক নয়। ফল খেলে শরীরে তেমন ক্ষতি হবে না তবে অনেকের সন্ধ্যার পরে যদি খায়, তাহলে সে ক্ষেত্রে এসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যাদের এই ধরনের এসিডিটির সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে তারা রাতে ফল খাবেন না। 

যেহেতু কমলা লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, তাই যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন, তাহলে হজমের, পেটের সমস্যা, অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।

তাই রাত্রিতে এটা অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। কেননা রাত্রিতে খাওয়ার কারণে আপনি যদি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন সে ক্ষেত্রে বিপদের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যখন খেতে পারেনঃ যদি আপনি এটা উপকার পাওয়ার চিন্তাভাবনা করেন, সে ক্ষেত্রে খালি পেটে খাবেন না সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফল খাবেন না, একটু পরে খাওয়া যেতে পারে।

দুইটি খাবারের মাঝখানে যদি আপনি ফল খান সেক্ষেত্রে আপনার উপকার পাবেন। এতে আপনার এর পুষ্টি উপাদান গুলো শরীরে ভালো কাজ করবে এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকার হবে।

কতটুক পরিমান খাবেনঃ একজন সুস্থ মানুষ দৈনিক ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত ফল খাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা হবে না কিন্তু যদি ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এর বেশি খাওয়া যাবে না।

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ফল খেলে শরীরের উপকার হবে, তাই কমলা খাওয়া যেতে পারে। কেননা গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। চলুন, গর্ভবতীদের কমলা কি উপকার করে সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, আয়রন, ফলিক এসিড ইত্যাদি থাকে। যা একজন গর্ভবতীর খুবই প্রয়োজন। কেননা এই সময় তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে যার কারণে ভিটামিন সি জাতীয় ফল গুলো খেলে শরীরে উপকার হবে।

তাই ভিটামিন-সি তে ভরপুর কমলালেবু খাওয়া যেতে পারে। এতে আপনার ত্বক উজ্জল হবে এবং ভিটামিন সি গর্ভাবস্থায় খেলে গর্ভস্থ শিশুর ভ্রনের মস্তিষ্ক বৃদ্ধি পায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ আমরা জানি যে ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে, যেহেতু গর্ভবতীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, এক্ষেত্রে গর্ভবতীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন সি জাতীয় ফল খাওয়া যেতে পারে। তাই কমলা লেবু খাওয়া যেতে পারে।

কারণ এর মাঝে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়াও এর মাঝে যে পুষ্টি উপাদানগুলো রয়েছে তা এলার্জির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং শিশুর হাড় মজবুত করতে, রক্ত প্রবাহ দ্রুত চলাচল করতে সাহায্য করে থাকে।

শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশঃ এর মধ্যে ভিটামিন বি-৬ এবং ফলিক এসিড থাকে, যা গর্ভাবস্থায় গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিউরাল টিউব, শিশুর মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ড শক্তিশালী এবং শিশুর জন্মর ত্রুটি থেকে রক্ষা করবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য করে দূর করেঃ এর মধ্যে ফাইবার ও সেলুলোজ থাকার কারণে এটা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় যেহেতু সাধারণত গর্ভবতীদের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায় সেই ক্ষেত্রে কমলালেবু খাওয়া যেতে পারে তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ এর মধ্যে উচ্চ পটাশিয়াম থাকে যা গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

হাইড্রেট রাখতে পারেঃ প্রতিদিন যদি তরল জাতীয় খাবার খাওয়া হয় সেক্ষেত্রে আপনার হাইড্রেট এর ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। তবে খাবারের পাশাপাশি কমলা খাওয়া যেতে পারে কারণ শরীরের তরল জাতীয় ভারসাম্য বজায় রাখতে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের প্রয়োজন পড়ে। তাই এই ফল খাওয়ার কারণে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে এবং শরীরকে হাইড্রোড রাখবে।

ত্বকের উপকারঃ গর্ভবতীদের সাধারণত এই সময়ের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে তাই ভিটামিন সি জাতীয় ফল খেলে সাধারণত সমস্যা দূর হবে। যেহেতু কমলা লেবুর মধ্যে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা আপনার ত্বকে উজ্জ্বল রাখবে এবং ব্রণ গুলো প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

বাচ্চাদের কমলা খাওয়ার উপকারিতা

শিশুরা সাধারণত ফল খেতে পছন্দ করে কেননা শিশুরা সাধারণত নরম জাতীয় ফলগুলো পছন্দ করে থাকে। তার মধ্যে কমলা খাওয়ানো যেতে পারে। তাই বাচ্চাদের কমলা খাওয়ার উপকারিতা আছে। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
এর মধ্যে ভিটামিন-এ' ভিটামিন সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি রয়েছে। যা শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। তাদের মুখের রুচি বৃদ্ধি করবে। তবে পরিমাণমতো খাওয়াতে হবে অতিরিক্ত খাওয়ালে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এর মধ্যে অনেক ধরনের পুষ্টি থাকে যা আপনার শিশুর শরীরের উপকার করবে। তবে শিশুকে যদি সরাসরি খাওয়ানো যায় সেক্ষেত্রে ভালো হয়। তবে যদি এভাবে না খেতে চায় সেক্ষেত্র জুস বানিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। তবে পরিমাণ মত খেলে এক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে ভিটামিন সি, বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি থাকে যা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারবে।

এছাড়াও এর মাঝে ভিটামিন সি থাকার কারণে বাচ্চাদের ঠান্ডা সর্দি কাশি এগুলো থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। কেননা শিশুদের সাধারণত ঠান্ডা লেগেই থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি ভিটামিন সি জাতীয় ফলগুলো খাওয়াতে পারেন।
তার মধ্যে কমলা বাচ্চারা খেতে পছন্দ করে, সে ক্ষেত্রে এটা খাওয়ানো যেতে পারে। শিশুদের রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য কমলা লেবু খাওয়ানো যেতে পারে। কারণে এর মাঝে ভিটামিন সি আয়রন, ভিটামিন-এ আছে যা আপনার বাচ্চার রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করবে।

শিশুদের সাধারণত হাড় মজবুত থাকে না সে ক্ষেত্রে হাড়কে মজবুত করার জন্য কমলা লেবু খাওয়ানো যেতে পারে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফেট থাকে যা আপনার শিশুর হাড় মজবুত করবে। শিশুদের সাধারণত রিকেটস এর মত সমস্যা হয়ে থাকে যা হাড় বাঁকা হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে ভিটামিন সি জাতীয় ফলের মধ্যে কমলালেবু খাওয়ানো যেতে পারে।

হজমের সমস্যার ক্ষেত্রে শিশুদেরকে বেশি দেখা যায় সে ক্ষেত্রে কমলা লেবু পরিমাণ মতো খেতে হবে, তাহলে তাদের পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকবে এবং পেট ব্যথার সমস্যা দূর হবে।

অনেক শিশুদের সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়, এজন্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খাওয়ানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। তাই আপনি কমলালেবু খাওয়াতে পারেন কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। তবে এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, শিশুটির অবশ্যই ৬ মাসের বেশি বয়স হতে হবে।

তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এক বছরের পর হলে ভালো হবে। কেননা এর বীজ যদি শিশুর পেটের ভিতরে চলে যায়। সে ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। আপনি চাইলে ছোট শিশুদেরকে জুস বানিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। তবে একদম ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

শেষ কথাঃ খালি পেটে কমলা খেলে কি হয় ও যেসব রোগে খাবেন না

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি খালি পেটে কমলা লেবু খেতে পারেন, তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। পরিমাণ মত খেলে আপনার শরীরে উপকার করবে। তাছাড়া পেটের সমস্যা, গ্যাস্টিক, হজম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই খালি পেটে কমলা খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪