গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
অনেক গর্ভবতী মায়েরা সাধারণত কোয়েল পাখির ডিম খেতে পছন্দ করেন, তাই গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। এই ডিম খেলে অনেক পুষ্টি পাবেন। চলুন, কোয়েল পাখির ডিম খেলে গর্ভস্থ শিশুর কি উপকার হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অনেক গর্ভবতী মহিলারা বড় ডিম খেতে পারে না সে ক্ষেত্রে ছোট ডিম হিসেবে কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস ইত্যাদি রয়েছে। তাই গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভবতী মায়েদের এই সময় সাধারণত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তার মধ্যে ডিম খাওয়া যেতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এই ডিমের গুণাগুণ বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কোয়েল পাখির ডিম ছোট হলেও এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, ও আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে। যা মুরগির ডিমের চাইতে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কোয়েলের ডিমের পুষ্টিঃ এই ডিমের মধ্যে , আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন-এ, পর্যাপ্ত আছে। যা একজন গর্ভবতীর উপরোক্ত এই পুষ্টি গুলো প্রয়োজন। তাই গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির জন্য এবং শিশুর হাড় গঠনের জন্য দারুন কাজ করবে।
এলার্জি জনিত রোগ প্রতিরোধ করতেঃ পরিবেশ দূষণের কারণে অনেকেই এলার্জিজনিত সমস্যা হয়ে থাকে, এজন্য কোয়েলের ডিম খাওয়া যেতে পারে। কেননা এটা সর্দি ও কাশির বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে। এর মধ্যে এলার্জি প্রতিরোধক উপাদান থাকে, গবেষণায় দেখা গেছে যে কোয়েলের ডিম এলার্জির লক্ষণ ও মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করেঃ শীতকালে সাধারণত অনেকের হাঁপানি হয়ে থাকে, এটা অনেক কষ্টদায়ক আবার অনেক গর্ভবতী মায়েরও শ্বাসকষ্ট সমস্যা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন ঔষধ বা খাদ্য খেতে হয়, তাই গবেষণায় দেখা গেছে কোয়েল পাখির ডিম যদি খেতে পারেন তাহলে সমস্যাটা অনেকটাই কমে যাবে।
ত্বক কোমল রাখেঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ব্রণ উঠে থাকে। যার কারণে দেখতে খারাপ লাগে, এজন্য কোয়েল পাখির ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করা যেতে পারে। কেননা এর মধ্যে এমাইনো এসিড থাকে, যা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করবে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখবে।
যা ত্বকের কোলাজেন গঠন করতে সাহায্য করে থাকে, এছাড়াও এই প্রোটিন আপনার ত্বক কোমল রাখবে। সে ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া যেতে পারে।
রাতকানা রোগের সমস্যা এবং চোখ ভালো রাখাঃ যারা রাত্রিতে চোখে দেখেনা মূলত ভিটামিন-এ' কম থাকার কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। এজন্য ভিটামিন-এ' জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে। তাই তাই কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া যেতে পারে।
এতে ভিটামিন-এ' চোখের কর্নিয়া ও অন্য অংশে ভালো থাকবে। তাছাড়া গর্ভবতীর ও গর্ভস্থ শিশুর চোখ ভালো রাখার জন্য এটা খাওয়া যেতে পারে।
বার্ধক্য প্রতিরোধঃ অনেক কে অল্প বয়সেই বার্ধক্যের মতো মনে হয় এবং খুবই বেশি বয়স দেখা যেতে পারে। তাই কোয়েল পাখি ডিম খাওয়া যেতে পারে কেননা গবেষণায় দেখা গেছে কোয়েল পাখির ডিম এর মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান আছে, তা বয়স কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে।
এছাড়াও এটা ভিটামিন, এ্যালেনিয়াম, ড্রিংক, সেলেলিয়াম থাকে যা ত্বকের জন্য উপকার করে থাকে। এছাড়া এর মাঝে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা বার্ধক্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে পারবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ অনেক গর্ভবতীর সাধারণত গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়ে থাকে, যার কারণে তারা নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধায় পড়ে যান। এজন্য কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া যেতে পারে, এতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ থাকবে। কেননা বিভিন্ন চিকিৎসক কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এই ডিমের মধ্যে কোলেস্টেরল থাকে যা হার্টের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এছাড়া আপনার শরীর ভালো থাকবে এবং উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
দেহ পরিষ্কারঃ দেহকে বিষমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খাওয়া যেতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে কম কলেস্টরেল থাকে যা রক্ত চলাচল করতে সুবিধা হয় এবং অতি দ্রুত গতিতে রক্ত চলাচল করতে পারে। এতে মূত্রথলি এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ক্ষেত্রে উপকার করে থাকে।
সতর্কতাঃ এই ডিমে অনেক পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে। এর মাঝে কোলেস্টেরল রয়েছে। এই পাখির ডিমে ৮৪৪ গ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যা মুরগির ডিমের চেয়ে অনেক কম। তাই আপনি যদি দৈনিক প্রয়োজনীয় ২০০ গ্রাম এর বেশি ক্যালরি খেয়ে ফেলতে না চান, তাহলে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া যেতে পারে।
কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক
কোয়েল পাখির ডিম অনেক উপকার হয়েছে তবে অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি হবে। তাই কোয়েল পাখির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। পরিমাণ মতো খেলে আপনার উপকার হবে কিন্তু অতিরিক্ত যদি খান তাহলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে যেনে নেওয়া যাক।
নিম্ন রক্তচাপঃ যাদের প্রেসার সব সময় কম থাকে তাদের অতিরিক্ত এই ডিম খাওয়া যাবেনা। এতে আরো প্রেশার কমে যাবে, কেননা এই ডিম রক্তের শর্করা এবং রক্তচাপ কমাতে পারে। তাই কোয়েল পাখির ডিম অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা।
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরঃ একজন মানুষ দিনে ৫ থেকে ৮ টি এই ডিম খাওয়া যেতে পারে। এর বেশি খেলে শরীরের ক্ষতি হবে, কারণ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাবে। এর কারনে হার্টের রোগীদের ঝুঁকি রয়েছে। তাই কোয়েল পাখির ডিম বেশি খাবেন না।
কোয়েল পাখির কাঁচা ডিমঃ কখনোই এই ডিম খাবেন না, এতে থাকে ব্যাকটেরিয়া থাকে। যার কারণে শরীরে ক্ষতি হতে পারে, তাই রান্না করে খাওয়াই ভালো হবে অথবা সিদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম তারা এই কোয়েল পাখির কাঁচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
এলার্জির সমস্যাঃ যাদের পূর্বে থেকেই এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা কোয়েল পাখির ডিম খাবেন না। এতে আরো এলার্জির সমস্যাটা বৃদ্ধি পেতে পারে। অনেকের দূষিত পরিবেশের কারণেও এলার্জি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ডিম খেলে অনেক সময় এই এলার্জির সমস্যা দূর হবে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে এলার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষ করে যাদের হাঁসের এবং মুরগির ডিমে এলার্জি রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কোয়েল পাখি ডিম খেলেও এলার্জি হতে পারে।
যেহেতু কোয়েল পাখির ডিমে ক্ষতি আছে সে দিক বিবেচনা করে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। এছাড়া যদি আপনার বড় ধরনের কোন রোগ ব্যাধি থাকে এবং এলার্জির সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে এই কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো হবে।
কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি ওজন বাড়ে
অনেকে জানতে চায় যে কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি ওজন বাড়ে? আসলে এ ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
অনেকেই কোয়েল পাখির ডিম খেতে পছন্দ করে, অনেকে আবার মনে করে যে কুসুমসহ ডিম খাওয়ার কারণে মোটা হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও এই ডিম খাওয়ার কারণে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাবে ধারণা করে যে ডিম খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এর সাথে কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি পেতে পারে কেননা ডিমের মধ্যে আছে ক্যালোরি।
কিন্তু এই সব ভেবে আপনার ডিম খাওয়া বন্ধ করা যাবে না, কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। তাই আপনি পরিমাণ মতো খেলে ক্ষতি হবে না, এছাড়া কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকার কারণে আপনার শরীর পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে। যদি আপনি কোলেস্টরেল কথা চিন্তাভাবনা করে থাকেন।
সেক্ষেত্রে আপনি ডিম খেলে শরীরে ক্ষতি হবে, এই ধরনের চিন্তা করলে দেখা যাবে যে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা যাবে। এজন্য আপনি কোয়েলের ডিম সিদ্ধ করে খেতে পারেন। সাধারণত তেল দিয়ে এটা রান্না করে খেলে শরীরে ক্ষতি হতে পারে।
তাছাড়া এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাবেন, যা খুবই কম দামে পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিনের সকালের নাস্তার ক্ষেত্রে ডিম খেতে পারেন। তবে কোন তেল বা অন্য কিছু উপায় ছাড়া শুধু সিদ্ধ করে আপনি প্রতিদিন কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারেন।
কুসুমসহ ডিমঃ কোয়েলের কুসুমসহ ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, এছাড়াও সাদা অংশে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে। তাই যদি আপনি পুরো ডিমটা খেতে পারেন কুসুম এবং সাদা অংশের দুটি পুষ্টি পাবেন। প্রতিদিন ডিম খাওয়ার কারণে আপনার শরীরের প্রোটিন, ভিটামিন, অ্যামাইনো এসিড এর চাহিদা পূরণ করবে।
এর কারণে নানা ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে আপনার শরীর মুক্তি পাবে। সে সঙ্গে মহিলাদের সাধারণত অ্যানিমিয়া রোগ হয়ে থাকে অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে, সে ক্ষেত্রে আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা এবং গর্ভস্থ শিশু বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও এর মাঝে ফ্যাটি এসিড থাকে যা মাছ মাংসের পাশাপাশি আপনি ডিম খেতে পারেন।
এটা খেলে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাবে এরকম ধারণা ঠিক নয়, এর মাঝে কোলেস্টেরল আছে কিন্তু এটা ক্ষতিকর নয় শরীরের জন্য উপকার। কোয়েলের ডিম এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, ই, ডি, কে জিংক সোডিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি আছে যা আপনার শরীরের ভিটামিন গুলোর চাহিদা পূরণ করবে। তাই উপলক্ষে ভিটামিন গুলো পাওয়ার জন্য কোয়েলের ডিম খেতে পারেন।
কিডনি রোগীদের কোয়েলের ডিম খেলে কি হয়
অনেকে কিডনি রোগে ভুগতে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে জিজ্ঞেস করে থাকেন যে কিডনি রোগীদের কোয়েলের ডিম খেলে কি হয়? চলুন, কিডনি রোগীরা এই ডিম খেলে কি ক্ষতি হবে। সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মুরগির বা হাঁসের ডিম যেটাই খান না কেন তার মধ্যে কোলেস্টেরল থাকে আবার কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে কোলেস্টেরল থাকে। যা আপনার হৃদরোগের ঝুকির সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে চিকিৎসকের মতে কোয়েল পাখির ডিম বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে। যেমন কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কম কলেস্টেরলঃ মুরগির ডিমের তুলনায় সাধারণত কোয়েল পাখির ডিমের কোলেস্টেরল কম থাকে এবং প্রোটিন পরিমাণ মুরগির ডিমের চাইতে কোয়েল পাখিতে বেশি রয়েছে। সেই হিসেবে কোয়েল পাখির ডিম খেলে তেমন ক্ষতি হবে না।
কর্ম দক্ষতাঃ এই ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড ইত্যাদি রয়েছে। যা শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করবে এবং শরীরে কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
অ্যান্টি বডি তৈরি করেঃ এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার শরীরের মধ্যে এন্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করবে। তাই অন্যান্য ডিমের চাইতে এই ডিমের মধ্যে সবচাইতে পুষ্টি বেশি।
পাকস্থলীর সমস্যাঃ যাদের পাকস্থলীতে সমস্যা রয়েছে বা বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি রয়েছে। তাদের কোয়েলের ডিম খাওয়া যেতে পারে। কেননা এটা অনেক উপকার করে থাকে, বিশেষ করে যেমন টিবি রোগ, ডায়াবেটিস এই ধরনের যাদের রোগ রয়েছে, তারা এই কোয়েল পাখি ডিম খেতে পারেন।
শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা
শিশুদের সাধারণত ছোট ডিম খেতে ভালো লাগে, সেই ক্ষেত্রে কোয়েলের ডিম খাওয়া যেতে পারে। তাই শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
শিশুদের ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ডিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা আকারে ছোট হয়ে থাকে যার কারণে শিশুরা খেতে পছন্দ করে থাকে। এছাড়া এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পুষ্টিগুণ রয়েছে।
যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া পেশি শক্তি এবং হাড় মজবুত করতে পারে। তাই দৈনিক আপনার শিশুকে কোয়েলের ডিম খাওয়াতে পারেন।
শিশুদের ব্রেনের বিকাশ বৃদ্ধির জন্য এই ডিম খাওয়ানো যেতে পারে। তাছাড়া বাচ্চার দ্রুত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রোটিন বা পুষ্টির প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে এই কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়াও এর ভিতরে ভিটামিন-এ' থাকে যা আপনার শিশুর দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখবে। এছাড়াও মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাবে, এর ভিতরে কিছু পুষ্টি উপাদান থাকে যা আপনার বাচ্চার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং মুখের রুচি বৃদ্ধি করতে পারে।
তবে একটা দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেহেতু এটা অনেক পুষ্টিকর এক্ষেত্রে অতিরিক্ত খাওয়ানো যাবে না। এতে শিশুর ক্ষতি হবে যেমন এটা অতিরিক্ত খেলে শিশুর উচ্চ রক্তচাপ, শরীরে কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি পেতে পারে। যার কারণে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই দুই থেকে তিনটির বেশি দিনে ডিম না খাওয়ানো ভালো।
কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি আছে
অনেকের হাস মুরগির ডিম খেলে সাধারণত দেখা যায় এলার্জি হতে পারে। তাই জানতে চায় যে কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি আছে? চলুন, কোয়েল পাখির ডিম খেলে আপনার অ্যালার্জি হবে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মূলত এই ডিম খেলে আপনার এলার্জি হবে না কিন্তু যদি আপনার পূর্বে থেকে এলার্জি সমস্যা থাকে অর্থাৎ যে কোন প্রাণীর ডিম খেলেই আপনার এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ডিম খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যখন বুঝবেন যে আপনার কোয়েল পাখি ডিম খাওয়ার পরে এলার্জি হচ্ছে সে ক্ষেত্রে বিরত থাকবেন।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে কোয়েল পাখি ডিম খেলে এলার্জি সমস্যা হবে না। এর মধ্য সে রকম উপাদান নেই যে আপনার এলার্জির সমস্যা হবে। তাই আপনি নিশ্চিন্ত কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারেন। এরপরেও যদি আপনার অসুবিধা হয় তাহলে এটা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এটি এলার্জির সমস্যা দূর করে, তাছাড়া ত্বক উজ্জ্বল রাখে, এছাড়া চুল ঝরে পড়ার সমস্যা দূর করে।
এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যার ফলে আপনার চুল ঝরে পড়বে না এবং চুলকে শক্তিশালী মজবুত করবে। এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকে যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করবে এবং সুন্দর করতে পারে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটাই প্রতিফলন হয় যে এর মধ্যে যে পুষ্টি উপাদানগুলো রয়েছে, তা আপনার এলার্জির সমস্যা হবে না বরং আপনার এলার্জি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে কোয়েল পাখির ডিম পুষ্টিগুনে ভরপুর। তাই আপনি নিশ্চিন্তে এটা খেতে পারেন, তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। এতে আপনার ডায়রিয়া বা পেটের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় এটা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তাই গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url