মুখের অবাঞ্ছিত লোম চিরতরে দূর করার উপায় জানুন
নারীদের সাধারণত শরীরে বা মুখে অনেক সময় অবাঞ্ছিত লোম হয়ে থাকে কিন্তু এই অবাঞ্ছিত লোম চিরতরে দূর করার উপায় সম্পর্কে অনেকে জানে না। চলুন, এই লোম কিভাবে দূর করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সাধারণত লোম যদি ঘন ঘন তোলা হয় তাহলে ঘন হবে বেশি এবং শক্ত হয়ে যাবে। এজন্য কখনোই ঘন ঘন শেভ করার চিন্তা ভাবনা করবেন না। তাই অবাঞ্ছিত লোম চিরতরে দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃমুখের অবাঞ্ছিত লোম চিরতরে দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন
অবাঞ্ছিত লোম চিরতরে দূর করার উপায়
আমাদের শরীরের কিছু অবাঞ্ছিত লোম আছে যেগুলো দূর করার জন্য আমরা টেনশনে পড়ে যাই। তাই অবাঞ্ছিত লোম চিরতরে দূর করার উপায় সম্পর্কে জানলে ভালোভাবে এই লোম গুলো তুলতে পারবেন। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
অনেক মহিলাদের মুখে এই লোম হয়ে থাকে, এক্ষেত্রে তারা এটা তোলার জন্য অনেক চেষ্টা করে থাকে। তাই অনেকে লেজার থেরাপির মাধ্যমে তুলার চেষ্টা করে কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে যদি আপনি এটা দূর করতে পারেন সবচাইতে ভালো হয়।
ত্বক বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন মুখের এই লোমগুলো স্বাভাবিক বিষয়। অনেকের হরমোন জনিত সমস্যার কারণে এই ধরনের লোম হয়ে থাকে। তাছাড়া জেনেটিক্স কারণেও মুখের লোম দেখা যেতে পারে। এছাড়াও কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে চিকিৎসা করলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
তবে হাতের কাছে থাকা উপাদান নিয়েই আপনি এই লোম গুলো দূর করতে পারবেন। সে বিষয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক। কিভাবে এই লোম গুলো দূর করবেন সেই সম্পর্কে ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো জেনে নেওয়া যাক।
চিনি ও লেবুর রসঃ চিনি ও লেবুর রস যদি মিক্সড করা হয় তাহলে অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান হবে। তাই দুই চামচ চিনির সাথে লেবুর রস ও আধা কাপ পানি মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর ঠান্ডা করবেন যেখানে আপনার অবাঞ্ছিত লোম আছে, সেখানে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মতো লাগিয়ে রাখবেন। এরপরে পানি দিয়ে ধূয়ে ফেলতে হবে।
লেবু ও মধুঃ লেবু ও মধু এর মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। লেবুর মধ্যে এক ধরনের সাইট্রিক এসিড থাকে, যা আপনার অবাঞ্ছিত লোম গুলো দূর করার জন্য ভালো কাজ করে। এজন্য এক চামচ মধু ও দুই চামচ চিনি নিয়ে তার সাথে লেবুর রস মিশাবেন।
এরপরে আস্তে আস্তে নাড়া দিতে থাকবেন, বেশি ঘন করা যাবে না। ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর অবাঞ্ছিত লোমের উপর লাগাতে থাকবেন এর পরে দেখবেন আস্তে আস্তে এটা দূর হয়ে গেছে। এটা প্রাকৃতিক হিসেবে কাজ করবে।
ডিমের সাদা অংশ ও চালের আটাঃ ডিমের সাদা অংশ নিবেন এর ভিতর এক চামচ চিনি নিতে হবে। এরপরে ভালো করে মেশাবেন তারপরে আধা ঘন্টার মত রেখে দিবেন। তারপর শুকিয়ে নিতে হবে, এরপর টেনে টেনে পানি দিয়ে ধূয়ে ফেলতে হবে।
ওটস এবং কলাঃ এ দুটোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে, যা আপনার এই লোম দূর করতে সাহায্য করবে। তাই ২ চামচ ওটস বেলেন্ডার করে নিবেন এর সাথে একটি পাকা কলা মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর লোমযুক্ত স্থানে রেখে দিবেন ১৫ মিনিট এভাবে রাখলে তারপরে স্বাভাবিক পানি ধুয়ে ফেলবেন। নিজে রেজাল্ট দেখতে পারেন।
পেঁপে ও হলুদঃ পেঁপে ও হলুদ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুন রয়েছে এবং এর মধ্যে এক ধরনের এনজাইম থাকে যা এই লোম গুলো দূর করতে সাহায্য করবে।
পেঁপের শাঁসের সাথে এক চিমটি হলুদের গুড়া নিবেন এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মত মালিশ করতে থাকবেন এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
এইসব উপাদান গুলো সরাসরি মাখার আগে অবশ্যই পরীক্ষা করে নেবেন, যাতে করে ত্বকে প্রদাহ থেকে মুক্তি পাবেন।
মুখের শেইভ করলেঃ আপনি যদি অবাঞ্ছিত লোমগুলো শেইভ করার মাধ্যমে দূর করা যাবে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এটা করা ঠিক হবে না। যদি শেইভ করেন তাহলে লোম গুলো আরো ঘন হয়ে উঠবে। এতে দেখতে ভালো লাগবে না। তাই শেইভ যদিও করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ঘন ঘন করতে হবে। এছাড়া রাসায়নিক এবং অ্যালকোহল যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারবেন না।
ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে চেপে চেপে মুখের দাগ গুলো শুকিয়ে নিতে হবে, ঘষাঘষি করা যাবে না।
তাদের জন্য পুষ্টিকর সমৃদ্ধ মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন, সুগন্ধযুক্ত প্রসাধনী না ব্যবহার করাই ভালো। কারণ এতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
উচ্চমাত্রার এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারবেন, এতে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
প্রাকৃতিক ভাবে যদি শরীরের এই লোমগুলো দূর করতে পারেন এই পদ্ধতিকে বলা হয় সুগারিং পদ্ধতি। এর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে তা না হলে বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য এর সাথে সাধারণত লেবুর রস এবং পানি মিশাতে পারেন।
তৈরির পদ্ধতিঃ আধা কাপ পানির মধ্যে দুই চামচ লেবুর রস নিতে হবে, এরপরে মিশ্রণটি হালকা গরম করে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি হালকা নারা দিতে পারেন, কিছুক্ষণ পরে মিশ্রণটির রং বাদামি থেকে সোনালী ভাব হলে নামিয়ে ফেলবেন।
এবার যে স্থানে আপনার অবাঞ্চিত লোম হয়েছে তা দূর করার জন্য লাগাবেন, এরপর উল্টোদিকে মিশ্রণটি প্রয়োগ করা লাগবে, কয়েক সেকেন্ডে রেখে দেওয়ার পরে লোম যেদিকে রয়েছে সেদিকে মিশ্রণটি তুলে দেবেন।
ব্যবহারের স্থানঃ আপনার শরীরে যেখানে অবাঞ্চিত লোম হবে সেখানে মিশ্রণটি লাগাতে পারবেন। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে দাড়ি বা গোফে লাগাবেন না, এতে কোন কাজ হবে না।
কতবার ব্যবহার করতে পারবেনঃ প্রাকৃতিক উপায়ে যতবার ইচ্ছা আপনি ততবার এটি ব্যবহার করতে পারবেন। যখন আপনার মনে পড়ে তখনই এই লোমগুলো দূর করে দিবেন। এতে আপনার অনেক উপকার হবে।
মুখের অতিরিক্ত লোম দূর করার উপায়
অনেক নারীর মুখে এই লোম দেখা যায় তাই মুখের অতিরিক্ত লোম দূর করার উপায় সম্পর্কে জানলে আপনি এই লোমগুলো দূর করতে পারবেন এবং আপনার অনেক ভালো লাগবে, মনের প্রশান্তি আসবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এই লোম দূর করবেন।
অনেক নারীর মুখে লোমের জন্য তারা অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়ে যায়, সবসময় মানসিক টেনশনে থাকে। তাই তারা লেজার করে যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল আবার অনেকে ওয়াক্সিং থ্রেডিং ইত্যাদি ব্যবস্থা নেয়। এছাড়া আবার অনেকে ফেসিয়াল করেও এই লোমগুলো তুলে ফেলার চেষ্টা করে। এগুলো করার কারণে অনেক ব্যথা হয় এবং অনেক টাকা খরচ হয়।
তাই আপনি কিভাবে দীর্ঘস্থায়ীভাবে লোম দূর করবেন এবং ব্যথা হবে না। সেজন্য প্রাকৃতিক উপাদান গুলো ব্যবহার করতে হবে। চলুন, কোন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান আপনি ব্যবহার করলে চিরস্থায়ীভাবে এই লোম দূর হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
হলুদ গুড়াঃ রূপচর্চার ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকেই হলুদ ব্যবহার করা হয় এবং ত্বকের যত্নে ত্বককে ভালো রাখার জন্য, ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করার জন্য এই হলুদ ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে এন্টিব্যাকটেরিয়া বৈশিষ্ট্য থাকে যা মুখের লোম দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য হলুদের পুষ্টিগুণ গুলো আপনার শরীরে অনেক কাজ করবে, আপনার মুখের লোম গুলো তুলতে ভালো কাজ করবে।
যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ আপনার মুখে কতটুকু লাগবে সেই পরিমাণ হলুদ নিবেন এর সাথে সামান্য পানি মিক্সড করবেন। আপনার মুখের যে অংশগুলোতে লোম আছে সেখানে এটা লাগিয়ে রাখবেন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপরে গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন, আশা করি আপনার এই লোম দূর হয়ে যাবে।
বেসনঃ হলুদের মত বেসন রূপচর্চার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে, এটা ত্বকের ভিতর থেকে পরিষ্কার করে দেবে। যে কোন ধরনের ফেসপ্যাক এর সাথে এই বেসন মিক্সড করতে পারবেন। এটি প্রাকৃতিক গতভাবেই মুখের লোম দূর করতে সাহায্য করবে। নিয়মিতভাবে এটা ব্যবহার করলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং কমল হবে।
ব্যবহারের পদ্ধতিঃ বেসনের সাথে হলুদের গুড়া নিবেন এবং সামান্য পানিতে মিক্সড করে নিতে হবে। মুখে লাগানোর পর অপেক্ষা করবেন, যতক্ষণ না শুকায় ততক্ষণ মুখে রাখবেন। এরপরে তোয়ালে দিয়ে চেপে ধরেও ধুয়ে ফেলবেন।
মুখের লোম চাপ দিয়ে উঠে ফেলবেন দেখবেন এর সাথে লোম গুলো উঠে আসছে আবার খেয়াল করবেন আইভ্র যেন না উঠে আসে, সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন। এক্ষেত্রে আপনি আইভ্রতে একটু ভ্যাসলিন দিতে পারেন।
ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ উপায়
অনেকের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোম হয়ে থাকে যা বিব্রতকর অবস্থা মনে হয়। তাই ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ উপায় সম্পর্কে জানলে আপনি নিজেই এটা দূর করতে পারবেন। চলুন, কিভাবে লোম গুলো দূর করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ত্বকের বিভিন্ন ধরনের অতিরিক্ত লোম গুলো দূর করার জন্য অনেকেই পার্লারে গিয়ে বিভিন্ন উপায়ে এই অবাঞ্ছিত লোমগুলো তুলে দেয়। পার্লারের লোকজন যতবার তুলে দেয় আবার এই লোমগুলো ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় উঠে থাকে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যথা মুক্ত ভাবে লোম তোলার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমতঃ এক চামচ চিনি নিবেন তার মধ্যে কুসুম কুসুম গরম পানি নিয়ে মিক্সড করে নিবেন। চিনি যখন গলে যাবে তখন এই মিশ্রণটি মধ্যে এক চিমটি হলুদ দিবেন এবং এক চামচ পরিমাণ নারিকেল তেল ২ চামচ পরিমাণ আটা দিবেন। এই সব উপকরণ গুলো মিক্সড করে নিতে হবে। এরপর আটা গুলো পাতলা হয়ে গেলে আপনার মুখে বা ত্বকে যে লোম হয়েছে সেখানে লাগিয়ে দিবেন।
দ্বিতীয়তঃ ত্বক ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিবেন, তোয়ালে দিয়ে মুছে নিবেন। মুখটা শুকনা করতে হবে এরপরে এই পেস্ট লাগিয়ে নিতে পারেন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে এরপর শুকিয়ে গেলে সামান্য ভিজিয়ে নিয়ে মুছে ফেলবেন। দেখবেন লোমগুলো আস্তে আস্তে উঠে যাবে।
সপ্তাহে একদিন এটা ব্যবহার করতে পারেন আশা করি লোম কিছুদিনের মধ্যেই কমে যাবে।
একসাথে ত্বকে জমে আছে ময়লা গুলো পরিষ্কার করবে এবং রোদে পোড়া দাগগুলো দূর করবে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।
আপনি ইচ্ছা করলে ফেসপ্যাক এর সাথে কফির গুড়া ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার কাজ হবে।
ঠোঁটের উপরের লোম দূর করার উপায়
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি মুখের ও ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম চিরতরে দূর করার উপায় সম্পর্কে। এখন জানব ঠোটের লোম দূর করার সম্পর্কে। সাধারণত যে সকল মহিলাদের অতিরিক্ত লোম হয় তারা বিভিন্ন টেনশনে থাকেন চলুন এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ওয়াক্সিং পদ্ধতিঃ ঠোটের লোম দূর করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হল ওয়াক্সিং পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটা ব্যবহার করলে দুই থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আপনার স্থায়ীভাবে এই লোম দূর হয়ে যাবে। এজন্য আপনি ভালো একটি পার্লারে যোগাযোগ করতে পারেন।
টুইজিং পদ্ধতিঃ যারা অনেকদিন হলো অবাঞ্ছিত লোম তোলার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন কিন্তু কাজ হয়নি। তারা এই ট্যুইজিং পদ্ধতিটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন, এজন্য আপনাকে সবসময় পরিষ্কার করতে হবে। কারণ হলো টুইজিং নোংরা থাকলে ব্যাকটেরিয়া হতে পারে। যদি আপনি এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন, তাহলে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এটা কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
ডেপিলেটরি ক্রিমঃ আপনি যদি এই পদ্ধতি গুলো করতে সময় না পান সে ক্ষেত্রে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিম আপনার ঠোটের লোম গুলো দূর করতে সাহায্য করবে। এটা কয়েকদিন ব্যবহার করলেই আপনি ফলাফল ভালো বুঝতে পারবেন এবং স্থায়ীভাবে এটা কাজ করে তুলবে।
লেজার ট্রিটমেন্টঃ এ ধরনের চুল বা লোম দূর করার জন্য এই পদ্ধতিটা ব্যবহার করতে পারেন। এটা দীর্ঘস্থায় একটি পদ্ধতি। তবে এটা অনেক টাকা লাগে কার্যকর হওয়ার জন্য একাধিকবার চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে। এটা অনেকটাই যন্ত্রনা, জ্বালাপোড়া, চুলকানির মত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তাই এটার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, অবশ্যই চিকিৎসার পরামর্শ ছাড়া এটা করবেন না।
পায়ের লোম দূর করার উপায়
অনেক নারীর প্রচুর পরিমাণে পায়ের লোম হয়ে থাকে এতে তারা অস্বস্তিকর মনে করে। তাই পায়ের লোম দূর করার উপায় সম্পর্কে জানলে আপনার এই পায়ের লোম নিজেই দূর করতে পারবেন। চলুন, কিভাবে পায়ের লোম দূর করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পায়ের লোম দূর করার জন্য সাধারণত মানুষ শেইভ করে থাকে কিন্তু এটা আরো ঘন হয়ে ওঠে। যার কারণে দুই একদিন পরেই দেখা যায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ত্বক দীর্ঘদিন সুন্দর রাখার জন্য শেইভ করার আগে এবং পরে যে কাজগুলো করতে হবে, সেটা জানা প্রয়োজন। তাই চলুন, কিভাবে আপনি ত্বকের যত্ন নেবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ত্বক এক্সফ্ললিয়েট করাঃ পায়ের লোম তোলার জন্য প্রথমে আপনাকে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। যার কারণে মৃত কোষ গুলো উঠে যাবে, এছাড়াও মরা কোষগুলোর নিচে যদি ছোট লোম থাকে সেটাও উঠে যাবে।
ভালো রেইজার ব্যবহারঃ পায়ের এই লোম পরিষ্কার করার জন্য ভালো রেইজার ব্যবহার করতে হবে। নিম্ন মানের রেজাল্ট ব্যবহার করলে লোম গুলো কাঁটবেনা এবং এতে ক্ষতি হতে পারে। তাই বর্তমানে নারীদের জন্য বিশেষ ধরনের রেইজার তৈরি করা হয়েছে। যা আপনি বাজারে এগুলো খুজে পাবেন এবং সেটা আপনি বেছে নিবেন।
উল্টা দিকে শেইভ করাঃ গরম যে দিকে বড় হবে তার উল্টোদিকে শেইভ করা যেতে পারে। এতে ভালো হবে, কেননা এতে একদম গোড়া থেকে শেইভ করা যাবে। এরপর ময়েশ্চারাইজার দিতে হবে, শেইভ করার পর যে ময়েশ্চারাইজার করা লাগবে। এতে ত্বক ভিতর থেকে বের হবে, শেইভিং এর পায়ের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। গোড়া থেকে তোলার জন্য বিভিন্ন প্যাক পাওয়া যাবে ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
লোম গুলো কেটে ফেলার পরে পায়ে একটি প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে যে প্রণালীগুলো দিতে পারেন, তাহলো; মুলতানি মাটি, চন্দনের গুড়া, পাকা কলা ও মধু পরিমান মত দিয়ে গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে দিবেন। এরপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করবেন।
মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন অথবা ভালো মানের লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করবেন। এই প্যাক ব্যবহার করার পরে পায়ের ত্বকের লোম দূর হবে।
শেষ কথাঃ মুখের অবাঞ্ছিত লোম চিরতরে দূর করার উপায় জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে আপনার মুখের অবাঞ্ছিত লোম গুলো দূর করতে চান, সেই ক্ষেত্রে কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। তাই অবাঞ্ছিত লোম চিরতরে দূর করার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার অবাঞ্ছিত লোম গুলো দূর হয়ে যাবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url