মহিলাদের পেটের চর্বি কমানোর উপায় ও ঔষধ সম্পর্কে জানুন

অনেক মহিলারা তাদের অতিরিক্ত চর্বি নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাই মহিলাদের পেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে জানলে পেটের আর চর্বি থাকবে না। চলুন, কিভাবে আপনার এ পেটের চর্বি কমাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অতিরিক্ত তৈলাক্ত এবং চর্বিযুক্ত খাবার যদি খাওয়া হয় সেক্ষেত্রে চর্বি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিশেষ করে নারীরা সাধারণত এই ধরনের খাবার গুলো বেশি খেয়ে থাকে। যার কারণে তাদের চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই মহিলাদের পেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃমহিলাদের পেটের চর্বি কমানোর উপায় ও ঔষধ সম্পর্কে জানুন

মহিলাদের পেটের চর্বি কমানোর উপায়

সাধারণত মহিলাদের পেটের চর্বি বেশি হয়ে থাকে, এজন্য কমানো প্রয়োজন। তাই মহিলাদের পেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেকে হয়তো জানে না। চলুন, কিভাবে চর্বি কমানো যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

যাদের পেটের চর্বি বেড়ে গেছে তারা অনেকটাই চিন্তা করেছেন, তবে সঠিক পদ্ধতিতে চর্বি কমানোর সম্পর্কে জানেন না। কেননা বয়স বেড়ে গেলে নারীদের সাধারণত পেটের চর্বি জমে যায়, এক গবেষণায় দেখা গেছে যে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা যখন কম হয় তখন পেটের চর্বি জমা হতে থাকে।

নারীদের সাধারণত কোমরের অংশ বেশির ভাগ চর্বি হয়ে থাকে, কারণ তারা নড়াচড়া কম করে। তাই চলুন, কিভাবে এ পেটের চর্বি কমাবেন সে সম্পর্কে জেনে যাওয়া যাক।

নিয়মিত কার্ডিও করাঃ এক গবেষণায় দেখা গেছে যে যদি কেউ নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করে তাহলে পেটের চর্বি অনেকটাই কমে যাবে। এই ব্যায়াম করার বিভিন্ন ধরনের উপায় আছে, এছাড়া বন্ধুরা মিলে একসাথে ব্যায়াম করলে সবচাইতে ভালো হবে। সাধারণত বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ দিন ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

এছাড়া আপনি নিয়মিত স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করে শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমাতে পারবেন। এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও কিছু চিকিৎসকরা বলেছেন যারা জিমে বা বাড়ির ভিতরে স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করতে পারেন, এতে ক্যালোরি অনেকটাই কমে যাবে এতে আপনার উপকার হবে।

প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়াঃ আপনি যদি অধিক পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করেন, সে ক্ষেত্রে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। সাধারণত রাত্রিতে ক্যালোরি ছাড়া খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সে ক্ষেত্রে চর্বি বিহীন প্রোটিন খেলে আপনার পেটে চর্বি হবে না। যেমন মুরগি, মাছ, প্রোটিন পুষ্টির জন্য ভালো কাজ করে থাকে।

কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না, এতে ওজন কমানোর শর্ত হলো কম ক্যালরি খেতে হবে। ক্যালরি গ্রহণের কারণেই তুলনামূলক বেশি ওজন বাড়তে পারে।

ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে ভালো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেন, এই জন্য কম ক্যালরি যুক্ত খাবার গুলো গ্রহণ করবেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তাই খাবার তালিকা করার সময় কম ক্যালরি বা চর্বির পরিমাণ উপকরণের দিকে মনোযোগ দেয়া লাগবে।

শাকসবজি ও ফলমূলঃ প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি ও ফলমূল খাবার তালিকায় যুক্ত করবেন। এতে আপনি ভিটামিন খনিজ পদার্থ এবং ফাইবার যুক্ত পুষ্টিগুলো পাবেন। এছাড়া যে চর্বি গুলো আপনার উপকার করবে সে চর্বি গুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যেমন বাদাম, মাছ, ভেজিটেবল অয়েল ইত্যাদি খেতে পারেন। এটা আপনার ওজন এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।

গরম পানিতে লেবুঃ হালকা গরম পানিতে লেবু মিক্সড করে খাওয়ার, এতে আপনার মস্তিষ্ক ভালো থাকবে। তাই প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গরম পানির মধ্যে লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন। 

কেননা লেবুর মধ্যে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা হজমের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে এবং শরীরের বিষাক্ত জিনিসগুলো বের করে দিতে পারে, এতে দ্রুত চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। তাই গরম পানির মধ্যে একটু লেবুর রস ও সাথে একটু মধু দিতে পারেন।
জিরা পানি খাওয়াঃ সকালবেলা জিরা পানি খেতে পারেন, এতে হজমের কাজ করবে এবং পেট ফোলা ভাব, গ্যাস্টিকের সমস্যা ও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

শস্য জাতীয় খাবারঃ শস্য জাতীয় খাবার গুলোর মাঝে সাধারণত ফাইবার থাকে, এটা শরীর সুস্থ রাখার জন্য ভালো কাজ করে থাকে। এছাড়াও ক্ষুদা ভাব কমাতে পারে এবং উচ্চ ক্যালরি বহুল খাবারের প্রতি চাহিদা কম থাকে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যার কারণে ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং পেটের মেদ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

মসলাঃ আদা যদি খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার স্থূলতা এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি এই মসলাটি খেতে পারেন, এতে দেহের ইনসুলিন এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।

পানি পান করাঃ পানি ওজন কমানো ও মেদ কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে নিজেকে আর্দ্র রাখা প্রয়োজন, তাহলে আপনি অসুস্থ খাবারের প্রতি চাহিদা থাকবে না। খাবারের আগে পানি পান করতে হবে এবং তাহলেই আপনার পেটে চর্বি জমে থাকবে না।

নারিকেলের তেলঃ এই তেল আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। তাই প্রতিদিন দুই চামচ বিশুদ্ধ তেল আপনার খাবারের সাথে মিক্সড করে খেতে পারেন অথবা তরকারির মাঝে রান্না করার ক্ষেত্রে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

মানসিক চাপঃ মানসিক চাপের কারণে মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। বিশেষ করে এই মানসিক চাপ যদি দীর্ঘদিন থাকে, তাহলে পেটে চর্বি জমে। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ করটিসল নামক হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে।

এটা ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, আর ইনসুলিন ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে এবং পেটে চর্বি জমে। তাই মানসিক চাপ কমানোর জন্য কাজকর্মে যুক্ত হওয়া লাগবে। এছাড়াও ভালো পরিবেশে ঘুরে বেড়াতে হবে, সে ক্ষেত্রে পেটের চর্বি কমতে সাহায্য করবে।

গ্রিন টি খাওয়াঃ এর মধ্যে যে উপাদান রয়েছে তা আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। যদি আপনার চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, সে ক্ষেত্রে এর পরিবর্তে আপনি গ্রিন টি খেতে পারেন। 

কেননা গবেষণায় দেখা গেছে ওজন কমানোর জন্য এবং পেটের মেদ কমানোর জন্য দৈনিক চার পাঁচ কাপ গ্রিন টি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং পেটের চর্বিগুলো কমতে থাকবে। তবে এর সাথে চিনি খাওয়া যাবে না, তাহলে আরো ওজন বৃদ্ধি পাবে।

পর্যাপ্ত ঘুমঃ যদি আপনি নিয়মিত ভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমান তাহলে সে ক্ষেত্রে স্থূলতা ও পেটের চর্বি বৃদ্ধি পাবে। তাই প্রতি রাত্রিতে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তাহলে আপনার পেটের চর্বি জমবে না এবং চর্বি যদি থেকেও থাকে সেই ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তাই ওজন ও পেটের চর্বি কমানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।

খাবারের হলুদের পরিমাণ বৃদ্ধি করবেনঃ হলুদের মধ্যে এক ধরনের কারকমিন থাকে, যা শক্তিশালী পলি ফেনাল এবং এটা চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও রেজিস্ট্যান্স এর বিরুদ্ধে কাজ করতে সাহায্য করে থাকে।

তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়

অনেক নারীর সাধারণত তলপেটে চর্বি হয়ে থাকে, সেটা কমানোর জন্য বিভিন্ন উপায় বের করেন। তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে জানলে আপনি নিজেই এই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করলে চর্বি কমে যাবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেকের উপরে পেটের চর্বি হয়ে থাকে আবার অনেকের তলপেটে চর্বি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় তাই নিয়মিত ব্যবহার করলে এই চর্বি কমে যাবে। চলুন কিভাবে আপনি এই চর্বি কমাবেন, জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমে আপনাকে নিয়মিত ঘুমের প্রতি নজর দিতে হবে, প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো লাগবে। এছাড়া ঘুম থেকে ওঠার পরে সকালে খালি পেটে এক গ্লাস থেকে দুই গ্লাস পানি খেতে পারেন। 

কারণ মুখে যে লালা থাকে সেটা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এবং আমাদের দেহে এন্টিবডি করতে পারে। তাই নিয়মিতভাবে এটা করতে পারেন, তাহলে সুস্থ থাকবেন। তাই তলপেটের মেদ কমানোর জন্য এই নিয়মটা পালন করতে পারেন।

পুষ্টিবিদগণ বলেছেন ফাইবার জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে, তাহলে আপনার চর্বি কমে যাবে। কেননা এই খাবারগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে যা আপনার ওজন এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকে।

এই খাদ্যগুলো যেমন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ফলমূল এগুলো আপনি খেতে পারেন, পাশাপাশি অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ কার্বোহাইড্রেট খাবার খেলে সাধারণত শরীরে চর্বি জমে যায়, তাই এই খাবারগুলো বর্জন করতে হবে। ফাস্টফুড খাবার তেলে ডুবানো ভাজা খাবার এগুলো এড়িয়ে চললে আপনার পেটের চর্বি কমানো সহজ হবে।

পেটের চর্বি কমানোর জন্য সকালের সাতটি অভ্যাস

আপনার পেটের চর্বি কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় বের করতে হবে। তাই বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তাই পেটের চর্বি কমানোর জন্য সকালের সাতটি অভ্যাস করতে পারলে আপনার পেটের চর্বি কমে যাবে। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

আমাদের শরীরে সাধারণত পেটে চর্বি অনেকেরই হয়ে থাকে, এজন্য অনেক কিছুই করে থাকেন কিন্তু এতে কাজ হয় না। এটা দূর করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে এবং এটা যদি আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে বিপদ রয়েছে।

কারণ এই চর্বি থেকেই সাধারণত আপনার হৃদরোগ ডায়াবেটিস এবং লিভারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। পেটের চর্বি কমানোর জন্য আপনাকে শরীর থেকে ঘাম ঝরাতে হবে। এই ধরনের ব্যায়ামগুলো করতে হবে। সকালবেলা এই ধরনের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে তাহলে আপনার পেটের চর্বি কমতে সাহায্য করবে।

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানির মধ্যে একটু পরিমাণ লেবুর রস নিবেন। এতে হজমের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে এবং পেটের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করবে।

ব্যায়াম করুনঃ চর্বি কমানোর জন্য সবচাইতে ভালো কাজ করে থাকে শারীরিক ব্যায়াম। সকালবেলা মর্নিং ওয়ার্ক, যোগ ব্যায়াম, এছাড়াও দ্রুত হাঁটা, যেন আপনার শরীর থেকে ঘাম ঝরতে থাকে। এই ধরনের ব্যায়ামগুলো যদি করতে পারেন, তাহলে আপনার পেটের চর্বি কমতে সাহায্য করবে এবং পাশাপাশি খাবারের ক্ষেত্রে ডায়েট করতে হবে।
সকালবেলা সাধারণত প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে, এতে শর্করার মাত্রা কম রাখতে হবে। সকালবেলা সাধারণত ডিম দই বা প্রোটিন যুক্ত খাবার গুলো খেতে পারেন। এতে আপনার খাদ্যে হজম করবে, ক্যালোরি কম থাকবে, ওজন নিয়ন্ত্রণ বা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।

খাওয়ার সময় অবশ্যই মনোযোগ সহকারে খেতে হবে কেননা মনোযোগ সহকারে যদি না খান, তাহলে আপনার এই খাবার পরিপূর্ণভাবে কাজ করবে না এবং ক্ষুধা লেগেই থাকবে। যার কারণে আপনি অতিরিক্ত খাবার খাবেন, এতে আপনার পেটের চর্বি জমবে। তাই খাওয়ার সময় কখনই মোবাইল বা অন্য কিছু ডিভাইসের প্রতি আগ্রহ না হয়, মনোযোগ সহকারে খাবার খাবেন।

সকালের নাস্তায় সাধারণত ক্যালোরি যুক্ত খাবার গুলো খাবেন না, চেষ্টা করবেন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো যেমন শাক-সবজি ফলমূল যে খাবারগুলো খেলে আপনার ক্ষুধা লাগবেনা এবং বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার আপনার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ হবে না এবং পেটে গ্যাস বা হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। এতে আপনার পেটের চর্বি কমতেও সাহায্য করবে।

স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুনঃ স্ট্রেস যদি আপনার বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে পেটের চর্বি জমতে থাকে, তাই এই জন্য স্ট্রেস কমানোর জন্য আপনি সকালবেলা মেডিটেশন করতে পারেন। এতে আপনার স্ট্রেস অনেকটাই কমে যাবে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখবে, এতে আপনার পেটে চর্বি জমবে না।

মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর ঔষধ

অনেকে পেটের মেদ কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন কিন্তু কাজ হয় না। চলুন, মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর ঔষধ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। তাহলে আপনার পেটের চর্বি কমাতে সহজ হবে। চলুন, নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

আপনি বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করার পরও যখন আপনার পেটের চর্বি কমছে না, সে ক্ষেত্রে ঔষধ খাওয়া যেতে পারে। তবে নিজে তৈরি করে ওষুধ খেলে সবচাইতে ভালো হবে। তাহলে আপনার এই ওজন কমাতেও সাহায্য করবে, তাছাড়া আপনার পেটের চর্বি ও কমতে থাকবে। তাই কিভাবে এই ঔষধ তৈরি করবেন সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার এই ওষুধটা তৈরি করা যেতে পারে। যা দ্রুত আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে এবং অতিরিক্ত যদি ওজন থাকে সে ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পেটের চর্বি হয় সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত খাবার খেলে এবং যদি শারীরিক ব্যায়াম না করা হয় সে ক্ষেত্রে পেটের চর্বি জমতে থাকে।

তাই খাবারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। তা না হলে আপনার যত ঔষধ অথবা যত কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেন না কেন? আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না এবং চর্বি জমতে থাকবে। কেননা এর পরবর্তীতে আপনার কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁটু ব্যথা, হার্টের রোগ ইত্যাদির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই এইগুলো রোগ যদি আপনার শরীরে একবার ধরা পড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আপনার অসুবিধা হবে এবং জীবন যাপন করা খুবই কঠিন হবে। এই রোগ গুলো পরবর্তীতে একেবারে সেরে তুলতে পারবেন না। তাই আগে থেকেই এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। চলুন ওষুধ বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • এক চামচ পরিমাণ জিরার পাউডার পানির সাথে মিশাবেন।
  • আর ১ চামচ আদার রস নিতে পারেন।
এই দুটি উপাদান যদি আপনি মিক্সড করে খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার পেটের চর্বি কমতে সাহায্য করবে। শুধু এই ওষুধটা খেলেই যে আপনার পেটের চর্বি কমবে তা কিন্তু নয়। শরীর চর্চা করতে হবে এবং খাবারের দিকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেমন লাল মাংস, ভাজাপোড়া খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না।

তবে এই দুটি উপাদানের মধ্যে যে পুষ্টি রয়েছে তা হলো কিউমিনাম নামক উপাদান যা আপনার পেটের চর্বি গলাতে সাহায্য করবে। আর আদার মধ্যে ফেনোল নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যার কারণে অতিরিক্ত চর্বি জমবে না এতে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

এই ওষুধটা আপনি যেভাবে খেতে পারেনঃ এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি গরম করে নিবেন, একটা কাপে গরম পানিটুকু ঢেলে নিবেন, গরম পানিতে আদার রস ও জিরার পাউডার মিশাবেন। এই দুটো উপকরণ মেশাতে হবে, দুই মাস সকালের নাস্তার পরে যদি এই মিশ্রণটি খেতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন।

পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম

খাবার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যদি আপনি ব্যায়াম করতে পারেন, তাহলে পেটের চর্বি কমাতে ভাল কাজ করবে। তাই পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে ব্যায়াম করলে আপনার পেটের চর্বি কমবে সে সম্পর্কে জানা যাক।
ছবি
পেটের অতিরিক্ত মেয়াদ থাকার কারণে অনেকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। বিভিন্ন রোগ ব্যাধি বৃদ্ধি পেতে পারে, তাই এই পেটের চর্বি কমানোর জন্য শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শরীর চর্চা করা খুবই প্রয়োজন।
তবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খুবই কষ্টকর। সারাদিন না খেয়ে থেকে যদি আপনি জিমে গিয়ে ঘাম ঝড়ান তাহলে কিন্তু চর্বি কমবে না। তাই পরিমাণ মতো খাওয়া লাগবে এবং শারীরিক ব্যায়ামও করতে হবে। এজন্য আপনাকে নিয়ম মত খাবার ডায়েট করতে হবে, এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার গুলো খেতে হবে।

পেটের চর্বি কমানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাছাড়া আপনার এটা বৃদ্ধি পাবে, পেটের চর্বি কমানোর জন্য বিভিন্ন শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন। যে ব্যায়ামগুলো করলে সাধারণত আপনার দ্রুত চর্বি কমবে। চলুন, সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ওয়াকিংঃ পেটের চর্বি কমানোর জন্য আপনি কিছুক্ষণ জোরে জোরে হাঁটতে পারেন আবার একটু থামবেন। এরপর আবার শুরু করবেন, এভাবে ১০ মিনিট যদি হাঁটতে পারেন, তাহলে পেটের চর্বি অনেকটাই কমে যাবে।

শেষ কথাঃ মহিলাদের পেটের চর্বি কমানোর উপায় ও ঔষধ সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে পেটের চর্বি কমানোর জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হবে। পাশাপাশি খাবার নিয়ন্ত্রণ ও শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। তাহলেই আপনার পেটের চর্বি আস্তে আস্তে কমে যাবে। তাই মহিলাদের পেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪